User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা RF-07-022 টেম্পল বিষয়টা আসলে কি? জানেন? যারা জানেন না তাদের একটু বলি- ১২শ শতাব্দীর শেষের দিকে লন্ডনের ফ্লিট স্ট্রীট এবং থেমস নদীর মাঝামাঝি অবস্থানে নাইট টেম্পলারদের হেডকোয়ার্টার হিসেবে টেম্পল চার্চ নির্মাণ করা হয়। কিং জনের শাসনামলে এই ভবনটিকে রাজকোষ হিসেবে ব্যবহার করা হত। ১৩শ থেকে ১৪শ শতকে টেম্পলার চার্চগুলোর মধ্যে একটি কমন বৈশিষ্ঠ ছিল যেটা হল একটি পাথরের প্রতিকৃতি থাকত। চার্চটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানী কর্তৃক ভারী বোমাবর্ষণের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল যা অবশ্য যুদ্ধ শেষ হবার পরপরই সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়। যেখানে চার্চটি স্থাপিত সেই এলাকাটির নামই হয়ে গেছে "টেম্পল"! কিন্তু ম্যাথিউ রীলি কোন টেম্পলের কথা বলতে চেয়েছেন? পড়তে হবে বইটি... কাহিনী সংক্ষেপঃ পেরু’র প্রাচীন ইনকাদের একটি পবিত্র ধর্মিয় মূর্তি ছিল। মূর্তিটিকে তারা আইডল নামে ডাকতো। ধারনা করা হয় এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে পৃথিবীতে ছিটকে আসা কোন উল্কাপিন্ডের খন্ড থেকে। উল্কাপিন্ডটি ছিল আগা-গোড়া থাইরিয়াম নামক এক প্রকার দূর্লভ ধাতু দিয়ে তৈরি। যা কখনও পৃথিবীতে পাওয়া যায় না। আলবার্তো লুইস নামের এক ধর্মপ্রচারকের লেখা ম্যানাস্ক্রিপ্ট থেকে জানা যায় আইডলটার কাহিনী এবং কোথায় সেটা লুকানো আছে। আইডলটার দখল নেওয়ার জন্য অনেকগুলো দল মাঠে নামে। জার্মান নাজীরাও আছে সেই দলে।তারা চুরি করে নিজ দখলে নেয় সুপারনোভা এবং আইডলটার খোঁজে পেরুতে অভিযান শুরু করে । তাদের উদ্দেশ্য - আইডলটা চুরি ও সুপারনোভা অ্যাক্টিভেট করে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রকে ব্লাকমেইল করে টাকা যোগাড় করা এবং বিশ্বের ক্ষমতা নেয়া । তাদেরকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে জার্মান আর্মি’র একটি দল। ইউ এস নেভি আসে আইডলটার দখল এবং তাদের সুপারনোভা পুনরুদ্ধারের জন্য । ইউ এস আর্মিরও একটি দল আসে, একই কাজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তাদের অবদান বোঝাতে । আলবার্তো লুইস স্যান্টিয়াগো’র প্রাচীন স্প্যানিশে লেখা ম্যানাস্ক্রিপ্টটার অনুবাদের জন্য ঘটনাক্রমে ইউ এস আর্মির দলের সাথে জড়িয়ে যান বেশ ক’জন একাডেমিক, যাদের মাঝে অন্যতম “উইলিয়াম রেস”- মধ্য বয়সী একজন ভাষাবিদ। পেরুতে প্রতিটি দলই পৌছায় এবং একে অন্যের মুখোমুখি হয় । অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় কাহিনী । কারা দখল করবে আইডলটা ? সুপারনোভার পুনরুদ্ধার কি সম্ভব হবে ? সব প্রশ্নের সমাধান নিয়ে বইয়ের শেষে অপেক্ষা করে আসল চমক.... পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ♦ যে পাঠকগন অ্যাকশন টাইপ বই পছন্দ করে তাদেরকে আমি বইটি পড়ার জন্য বলবো। চমৎকার গতিময় একটি কাহিনী। দুটি সমান্তরাল কাহিনীর অপূর্ব বর্ননা দিয়েছেন লেখক। বইটিকে আমার মনে হয়েছে খুব সহজ ভাষায় লেখা অসাধারন একটি উপন্যাস। ♦ অ্যাডভেঞ্চার, সায়েন্স, ফ্যান্টাসি আর অ্যাকশনে ভরা একটি বই, যা আপনাকে দেবে একটা ভাল অ্যাকশন মুভির ফ্লেভার। সো একশন প্রেমীরা শুরু করে দিন
Was this review helpful to you?
or
ন্যচ
Was this review helpful to you?
or
ম্যাথিউ রীলি- অষ্ট্রেলিয়ান একজন অ্যাকশন থ্রিলার লেখক । গতিময় উপন্যাস আর অ্যাকশন তার উপন্যাসগুলোর বড় বৈশিষ্ট্য । তার অন্যতম অ্যাকশন থ্রিলার “টেম্পল” । “সুপারনোভা”- ইউ এস নেভি’র বানানো অত্যাধুনিক পারমানবিক মারণাস্ত্র । এই সুপারনোভায় যদি ব্যবহার করা হয় থাইরিয়াম নামক পদার্থ-তবে তা হয়ে উঠবে আরো ভয়ঙ্কর । উড়িয়ে দেবে পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ । কিন্তু থাইরিয়াম পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না । প্রাচীন এক কিংবদন্তী থেকে জানা যায়, পেরু’র প্রাচীন ইনকাদের একটা “আইডল” ছিল । আধুনিক বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, ওটা থাইরিয়াম দিয়ে তৈরী কোন মূর্তি, যে থাইরিয়ামের উৎস পৃথিবীতে আসা কোন উল্কাপিন্ড । স্প্যানিশরা লাতিন আমেরিকা দখলের পর, তাদেরই এক ধর্মপ্রচারক আলবার্তো লুইস স্যান্টিয়াগো’র লেখা এক ম্যানাস্ক্রিপ্ট থেকে জানা যায় আইডলটার অস্তিত্ব এবং লুকিয়ে রাখার স্থানের ব্যাপারে । ম্যানাস্ক্রিপ্টটা যোগাড় করে, একইসাথে এই আইডলের পিছনে ছোটা শুরু করে অনেকগুলো দল । জার্মান নাজীরা আবার সুসংহত হচ্ছে । তারা চুরি করে নিজ দখলে নেয় সুপারনোভা এবং আইডলটার খোঁজে পেরুতে অভিযান শুরু করে । তাদের উদ্দেশ্য - আইডলটা চুরি ও সুপারনোভা অ্যাক্টিভেট করে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রকে ব্লাকমেইল করে টাকা যোগাড় করা এবং বিশ্বের ক্ষমতা নেয়া । তাদেরকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে জার্মান আর্মি’র একটি দল । ইউ এস নেভি আসে আইডলটার দখল এবং তাদের সুপারনোভা পুনরুদ্ধারের জন্য । ইউ এস আর্মিরও একটি দল আসে, একই কাজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তাদের অবদান বোঝাতে । আলবার্তো লুইস স্যান্টিয়াগো’র প্রাচীন স্প্যানিশে লেখা ম্যানাস্ক্রিপ্টটার অনুবাদের জন্য ঘটনাক্রমে ইউ এস আর্মির দলের সাথে জড়িয়ে যান বেশ ক’জন একাডেমিক, যাদের মাঝে অন্যতম “উইলিয়াম রেস”- মধ্য বয়সী একজন ভাষাবিদ । পেরুতে প্রতিটি দলই পৌছায় এবং একে অন্যের মুখোমুখি হয় । অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় কাহিনী । কারা দখল করবে আইডলটা ? সুপারনোভার পুনরুদ্ধার কি সম্ভব হবে ? সব প্রশ্নের সমাধান নিয়ে বইয়ের শেষে অপেক্ষা করে আসল চমক, যা কাহিনী কে করেছে আকর্ষনীয় । অ্যাডভেঞ্চার, সায়েন্স, ফ্যান্টাসি আর অ্যাকশনে ভরা একটি বই । তবে, আমার ব্যাক্তিগত অভিমত-একটা ভাল উপন্যাস লেখার চেয়ে একটা ভাল অ্যাকশন মুভির চিত্রনাট্য লেখা-এটাই যেন ছিল বড় লক্ষ্য । বইয়ের এক বিশাল অংশ জুড়ে পাতার পর পাতা অ্যাকশন এবং তার মাত্রাতিরিক্ত বিশদ বর্ণনা অনেক ক্ষেত্রেই আমার মনোযোগ এবং আকর্ষণকে ফ্যাকাসে করেছে । আর পেশায় ভাষাবিদ উইলিয়াম রেসের চরিত্রে অতিরিক্ত গুণাবলী আরোপ এবং অ্যাকশন আর অ্যাডভেঞ্চারে বিভিন্ন দেশের আর্মির স্পেশাল ট্রুপস কে ছাপিয়ে তার সুপারম্যানীয় সাফল্য তার চরিত্রকে টাইপড করে তুলেছে । বইটি প্রকাশ করেছে রোদেলা প্রকাশনী, অনুবাদ-হাসান খুরশীদ রুমী, পৃষ্ঠা- ৪৭৯, মূল্য- ৪০০ টাকা । হাসান খুরশীদ রুমী’র অনুবাদ আমার ভাল লাগে, বিশেষ করে তার ঝরঝরে বর্ণনা । তবে এই বই-এ অনেক জায়গায় কিছুটা শাব্দিক অর্থ নির্ভরতা অনুবাদের মানকে কিছুটা ক্ষুণ্ণ করেছে । অ্যাকশন নির্ভর বই যাদের পছন্দ, তারা নির্দ্বিধায় পরতে পারেন বইটা ।