User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#Book Review বইয়ের নামঃ বেতাল রম্য লেখকঃ আসিফ মেহ্দী ক্যাটাগরিঃ রম্য রচনা লেখক আসিফ মেহ্দীকে আমি চিনি মূলত ফেসবুক থেকেই। অনেকদিন ধরে ফলো করলেও কখনো ওনার লেখা বই পড়া হয়নি। একদিন স্থানীয় পাঠাগারে ওনার 'বেতাল রম্য' বইটি পেয়ে পড়ে ফেললাম।এটি সম্ভবত লেখকের প্রথম বই। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ছোট ছোট মোট ২৬ রম্য গল্প রয়েছে বইটিতে। লেখকের সেন্স অব হিউমার যথেষ্ট সূক্ষ্ম এবং শব্দ চয়ন ও ভালো। লেখক যেহেতু একজন ইঞ্জিনিয়ার সেহেতু মজার ছলে মাঝেমধ্যেই সায়েন্টিফিক টার্ম ব্যবহার করেছেন। ২৬টি গল্পের মধ্যে অধিকাংশই ভালো লেগেছে।কিন্তু হরতাল বিষয়ক দুটি গল্প পড়ে প্রচুর মজা পাইছি।☺️ তাছাড়া 'আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দম্পতি', 'মর্নিং ওয়াক', 'যানজটে জান জটে', ' পড়লেও মজা আপনাকে বাধ্যতামূলকভাবে পেতেই হবে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি বিষয়ক দুটি গল্প 'পৌর নির্বাচনের স্পেশাল নিউজ' এবং দ্য থিওরীজ অব পলিটিক্যাল টানাটানি ' প্রশংসার দাবিদার।
Was this review helpful to you?
or
★রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ বই: বেতাল রম্য; লেখক: আসিফ মেহ্দী; বইয়ের ধরন: ব্যঙ্গ ও রম্যরচনা রকমারি থেকে বইটা অর্ডার করার পর বই হাতে পেয়ে যখন প্যাকেট খুললাম, বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে ই মনে পড়ে গেলো বিটিভিতে প্রচারিত সেই রম্য অনুষ্ঠানের নাম- " হাসতে মোদের মানা। " বিটিভি তে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হতো শুধু মাত্র দর্শকদের রম্য ও হাসি-ঠাট্টার খোরাক যোগানোর জন্য। কিন্তু রম্য গল্প মানেই যে শুধু হাসি-ঠাট্টা নয়, সমাজের অনিয়মগুলো ও যে এর পিছনে দৃশ্যমান, তা লেখক আসিফ ভাই শব্দের নিপুন বুননে ব্যাখ্যা করেছেন। বইটির কয়েকটা উল্লেখযোগ্য রম্য গল্প হলো: কাহিনিকম্প, বোনাস লাইফ, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দম্পতি, ব্রেকিং নিউজ, যানজটে জান জটে, পান্না ভাই এইচ এস সি, টোনাটুনির গল্প, খেলার নাম বাবাজি,বিব্রতকর, মজার স্মৃতি, এ জার্নি বাই ট্রেন, মামা-দৌরাত্ম্য, আগে কি সুন্দর ঈদ কাটাইতাম, মর্নিং ওয়াক প্রভৃতি। গল্পগুলো ছোট ছোট। কিন্তু প্রতিটি গল্পেই পাঠকের জন্য রয়েছে লেখক আসিফ ভাই কর্তৃক প্রদত্ত অসাধারণ সব চমক। লেখকের শব্দের নিপুণ বুনন আমাকে বারবার বিমোহিত করেছে আর গল্পগুলো স্থান করে নিয়েছে আমার হৃদয়ের গহীনে।
Was this review helpful to you?
or
"রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ" ১। হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা স্ট্রেস হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে মানসিক চাপ দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ২। ‘আত্মার ওষুধ’ এই কথাটি গ্রিসের একটি লাইব্রেরির দরজার সামনে লেখা রয়েছে। উল্লেখিত তথ্য দুটি তুলে ধরার কারণ একটাই। আপনি একটি কাজ করেই দুটি উপকার পেতে পারেন। সেই ব্যবস্থা করেছেন প্রতিভাবান লেখক আসিফ মেহদী। ব্যতিক্রমধর্মী ও বাস্তবমুখী ২৬টি রম্য গল্প দিয়ে একটি বই করেছেন “বেতাল রম্য”। বইটির জার্নি কাহিনিকম্প গল্পটি দিয়ে শুরু হয়ে থেমেছে নন্দলালের জাহাজভাঙা কারখানায়। মাঝখানে রয়েছে ব্রেকিং নিউজ, টোনাটুনির গল্প, মামা-দৌরাত্ম্য, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দম্পতির মত অসাধারণ সব গল্প। সমসাময়িক সব বিষয় নিয়েই গল্প আছে। রাজনীতি, খেলাধুলা, যানজট, মূল্যবৃদ্ধি কিছুই বাদ পড়েনি। বিষয়বস্তুর দিক থেকে প্রতিটা গল্পই আলাদা। রয়েছে পাঠকের জন্য ইঙ্গিতবাহী কৌতুক, দরকারি মেসেজ। রম্য গল্প হলেও গল্পগুলো নিছক হাসি ঠাট্টার নয়, বরং প্রত্যেকটা গল্প আমাদের সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতির চিত্রিত রূপ। রম্য রচনায় লেখকের হাত পরিপক্ব। মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন প্রতিটা গল্পেই। সহজ সরল, ঝরঝরে ভাষায় এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে পাঠক মাত্রই বুঝতে সমর্থ হবেন; ধরতে পারবেন গল্পের বার্তাটিও। ৭১ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটি বই কিন্তু ওজনে বেশ ভারী। গল্পের আড়ালে সমাজের অনিয়মগুলোই ফুটে উঠেছে। তাই তা আর রম্যগল্পের সংজ্ঞাতে সীমাবদ্ধ নেই। বইটি আপনাকে শুধু আনন্দই দিবে না, চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সম্পর্কে সতর্কও করে তুলবে।
Was this review helpful to you?
or
রম্য দিয়েই লেখার জগতে ঢুকেছেন আসিফ মেহদী। ‘বেতাল রম্য’ তার প্রথম বই। অথচ পড়তে গিয়ে কখনোই মনে হয়নি রম্যগুলো কাঁচা। বরং সময় ও সময়ের অসঙ্গতি ধরতে লেখক যেভাবে গল্প ফেঁদেছেন, তা কেবল পরিণতই নয়, বিষয়ের আঙ্গিকে যথেষ্ট গভীর। হাস্যরসের নানা উপাদান ছড়িয়ে গল্পগুলোকে মুখরোচক করেছেন বটে, তবে প্রতিটি গল্পই একেকটা করে চিন্তার দরোজা খুলে দিতে থাকে। এটাই একজন প্রকৃত লেখকের দায়। তিনি যা-ই লিখুন না কেন, সেখানে যেন চিন্তার খোরাক থাকে। হালকা বিষয় দিয়ে শুরু হলেও শেষে গিয়ে একটু হলেও নড়েচড়ে বসতে হয়। এ কাজে লেখক মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন। সহজিয়া রম্য দিয়ে হাসিয়েছেন, কখনো ভাবিয়েছেন, কখনো কল্পনার ডানায় চড়িয়েছেন। যাপিত জীবন, রাষ্ট্র, রাজনীতি, সমাজ, খেলাধূলা, উৎসব- এসবের কিছুই বাদ যায়নি তার গল্পের বিষয়বস্তুতে। সময় যখন যেমন দাবি করেছে, সেভাবেই কলম চালিয়েছেন লেখক। বেতাল সময়কে বোতলবন্দী করার এই প্রয়াস ও কৌশল পুরোপুরি সফল- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। রম্যপ্রিয়, সময় ও সমাজ সচেতন পাঠকের জন্য এক নির্ভেজাল তৃপ্তির নাম ‘বেতাল রম্য’।
Was this review helpful to you?
or
প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে লিখে পাঠকগণকে প্রভাবিত করবে এটাই তো স্বাভাবিক,এরই নেপথ্যে আসিফ মেহেদী এক অনন্য তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।আসিফ মেহেদীর বই যারা এখনও পড়েনি তারা অবশ্যই বিস্ময়বোধকারী,আর যারা পড়ছে তারা তো নতুন সম্ভাবনার দাঁড় প্রান্তে।
Was this review helpful to you?
or
প্রতিভাবান তরুণ লেখক আসিফ মেহ্দী রচিত ‘বেতাল রম্য’ বইটি ২০১২ সালের একুশে বইমেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশিত হয়েছে শুভ্র প্রকাশ প্রকাশনী থেকে এবং বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আহসান হাবীব। ‘বেতাল রম্য’ বইটি লেখকের বিভিন্ন সময়ে লেখা ২৬ টি ব্যতিক্রমধর্মী রম্যরচনার সংকলন। ‘বেতাল রম্য’ লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। বইটিতে যেই রম্য রচনাগুলো স্থান পেয়েছে তার কিছু আগে প্রকাশিত হয়েছে আর কিছু অপ্রকাশিত। এই সংকলনের একটা অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হল এখানে সমসাময়িক প্রায় সব বিষয় নিয়েই রম্য রচনা স্থান পেয়েছে। রাজনীতি থেকে খেলাধুলা, হরতাল থেকে শুরু করে যানজট কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজেটের গল্প, মূল্যবৃদ্ধি কোন কিছুই লেখকের সতর্ক দৃষ্টি এড়াতে পারে নি। আর রম্য রচনা লেখার ব্যাপারে লেখক অসাধারণ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। তাঁর লেখার প্রতি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ইঙ্গিতবাহী কৌতুক। আর সেই কৌতুকও অপ্রাসঙ্গিক নয়, আলোচনার প্রসঙ্গক্রমেই আসে। সব মিলিয়ে ‘বেতাল রম্য’ আমার কাছে দারুণ উপভোগ্য লেগেছে। আসিফ মেহ্দীর প্রতিটি লেখায় পাঠকের জন্যে রয়েছে কোন না কোন মেসেজ। অণুরম্যের এই বইটি শুধুমাত্র অনাবিল আনন্দ দেবে তা-ই নয়; পাঠকমাত্রই জীবন ও দেশ নিয়ে আরেকবার গভীরভাবে ভাবার তাগিদ অনুভব করবেন এই রম্য সংকলনটি পাঠ করবার পর। এই লেখাগুলোর সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল এতে একদিকে যেমন আছে হাস্যরস; অন্যদিকে তেমনি সামাজিক অসঙ্গতিগুলোও সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বইটি পাঠককে আনন্দ দেবার পাশাপাশি ভাবাবেও। তাই আমি সকল পাঠককে বেতাল রম্যের এই আনন্দময় ভাবনার জগতে অগ্রীম নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, বিভিন্ন অসঙ্গতি, ঝুট ঝামেলা নিয়ে প্রতিদিন টিভিতে অসংখ্য টক শো হচ্ছে। পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় কতই না জ্ঞানগর্ভ লেখা হচ্ছে। চিঠিপত্র কলামে আবেগঘন লেখা পাঠিয়ে অনেক মানুষ চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের। কিন্তু বাস্তবে কি কোন কাজ হয় এইসব টক শো বা সম্পাদকীয় পাতার কলামের মাধ্যমে? যাদের শুনাবার বা পড়াবার জন্য এত প্রচেষ্টা, তারা তো এসব দিকে থোড়াই কেয়ার করে! সাধারণ মানুষও কি আর এইসব দেখে বিন্দুমাত্র সচেতন হয়? তারা তো রোজ রোজ একই ব্যক্তিদের লেখা পড়তে পড়তে, টক শো'তে তাদের চিল্লাপাল্লা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। আজকাল সাধারণ মানুষের চোখে এসব পড়লেই তারা বিরক্তিতে ভ্রুকুটি করে বলে, 'কি লাভ রোজ রোজ এইসব বলে? কি লাভ এইসব লিখে? সরকারের তো চোখ কান বন্ধ। তারা কিচ্ছু করবে না। তবু এইসব সুশীলেরা এসে গলাবাজি করছে। পত্রিকার পাতা ভরাচ্ছে।' এই যখন অবস্থা, তখন মানুষের মনে নাড়া দিতে এই বইয়ের রম্য গল্পগুলোর অবস্থান ঠিক কোথায়? সেটাই বলব এবার। আসলে প্রয়োজন পড়লে মাথার পেছন দিয়ে হাত ঘুরিয়ে এনেও নাক দেখাবার প্রয়োজন হয়। এতে যেমন হাস্যরসের সৃষ্টি হয়, তেমনি যে কাজটি করতে এতকিছু, সেটাও ঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। আজকের দিনে রম্য কলাম বা গল্পগুলো অনেকটা এরকমই। নব্বইয়ের দশকে গদ্য কার্টুনের মাধ্যমে এই ব্যাপারটাকে প্রথম জনপ্রিয় করেন আনিসুল হক। তিনি সে কাজটা আজও করে চলেছেন। কিন্তু একটু অন্যভাবে হলেও তাকে সংগ দিতে চলে এসেছেন আসিফ মেহদী! আনিসুল হক স্যারের মত তার উদ্দেশ্য ও কাজের ধরণটাও প্রায় একই। আসিফ মেহদীও যেটা করেন তা হল, কিছু অনুকথা বা অনুগল্পে হাস্যরস সৃষ্টির মাধ্যমে সমসাময়িক নানা ব্যাপারে আলোকপাত করা। এবং এই কাজে বলতে গেলে তিনি যথেষ্ট সফল। এবং সেই সফলতারই কিছু দৃষ্টান্তের দেখা মিলবে এই বইতে। সহজবোধ্য ও প্রাঞ্জল করে কিছু উদ্দীপক সাজান তিনি। সেই উদ্দীপকের ক্যানভাসে ক্রমেই ফুটিয়ে তোলেন সমাজের কোন একটা অসঙ্গতি। লেখা যত এগুতে থাকে, তার আলোকপাত করা বিষয়টি ক্রমশ দিনের আলোর মত পরিষ্কার হতে থাকে। হঠাৎ হঠাৎ কিছু অতি বাস্তবসম্মত হাস্যরস লেখকের বলে চলা ঘটনাকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এবং ঘটনাগুলোর একসময় কোন এক হাস্যকর পরিনতিই লাভ করে। তাই প্রথম দেখায় গোটা লেখাটাকে নিছকই কিছু কাঁচা কথা মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে তা না। মনোযোগ দিয়ে গোটা ব্যাপারটাকে উপলব্ধি করলে বোঝা যায় লেখক আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন, লেখাটার প্রকৃত অন্তর্নিহিত ভাব আসলে কি। আর ঠিক তখনই পাঠক সমসাময়িকতার সাথে পুরো লেখাটাকে 'রিলেট' করতে পারে। আর এর ফলে কিন্তু মানুষের মধ্যে আকস্মিকভাবেই সচেতনতার বীজ জন্মায়। যেহেতু পাঠকের উপলব্ধির ব্যাপারটা ছোটখাট চুটকির এক তুড়িতে নয়, হয়েছে ধীরে ধীরে কিন্তু কার্যকরীভাবে, তাই লেখাটা পড়বার সাথে সাথেই তার উপযোগিতা পাঠকের কাছে শেষ হয়ে যায় না। বেশ অনেকক্ষণ পাঠকের মনে ঘুরপাক খেতে থাকে ব্যাপারটা। পাঠক ভাবতে থাকে বিষয়টিকে। আর এর মাধ্যমে অবচেতনমনেই পাঠকের কাছে সরাসরি লেখকের কাছ থেকে একটা বার্তা পৌঁছে যায়। পাঠক যদি মননশীল ও বুদ্ধিমান হন, তাহলে সহজেই বুঝে যান লেখকের পাঠানো বার্তাটি। পরবর্তিতে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, পাঠক কিছুতেই সেই বার্তাটিকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না। আর এখানেই মূল সফলতা স্যাটায়ার রাইটারদের, যার দায়িত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই করে আসছেন আসিফ মেহদী। শুধু এই বই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আসিফের সামগ্রিক রচনাপদ্ধতি নিয়ে কথা বললাম কেননা এই বইয়ের অধিকাংশই মৌলিক রচনা নয়। বিগত দিনে সেগুলো রস+আলো বা উন্মাদের মত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আর সেইসব লেখা থেকেই সেরা ২৬টা রম্যগল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। প্রতিটি গল্পের ভাষাই অতি সহজ-সরল। আধুনিক মন মানসিকতার মানুষ খুব সহজেই লেখাগুলোকে বুঝতে সমর্থ হবেন এবং লেখকের বার্তাটিও পেয়ে যাবেন। এই বইয়ের উল্লেখযোগ্য গল্পগুলো হলঃ ব্রেকিং নিউজ, টোনাটুনির গল্প, আগে কি সুন্দর ঈদ কাটাইতাম, মামা-দৌরাত্ম্য, কাহিনিকম্প, বোনাস লাইফ, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দম্পতি, যানজটে জান জটে, পান্না ভাই এইচএসসি ইত্যাদি। প্রতিটি গল্পই বিষয়বস্তুর দিক থেকে আলাদা। আঙ্গিক দিক বিচারেও রয়েছে অনেক ভিন্নতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূল সুরটা থেকে গেছে একই। গল্পগুলো আপনাকে শুধু আনন্দই দেবে না। ভাবাবে। অনেক বেশি ভাবাবে। প্রতিটা গল্পেই নিজের ছায়া দেখতে পাবেন। তাই চেষ্টা করলেও ভুলতে পারবেন না গল্পগুলোর মূলভাবকে। স্থায়িভাবে আপনার মনে বসতি গড়ে নেবে তারা। আপনার আশেপাশে ঘটে চলা ঘটনাগুলোর ব্যাপারে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলবে আপনাকে।
Was this review helpful to you?
or
প্রতিভাবান তরুণ লেখক আসিফ মেহ্দী রচিত ‘বেতাল রম্য’ বইটি ২০১২ সালের একুশে বইমেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশিত হয়েছে শুভ্র প্রকাশ প্রকাশনী থেকে এবং বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আহসান হাবীব। ‘বেতাল রম্য’ বইটি লেখকের বিভিন্ন সময়ে লেখা ২৬ টি ব্যতিক্রমধর্মী রম্যরচনার সংকলন। ‘বেতাল রম্য’ লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। বইটিতে যেই রম্য রচনাগুলো স্থান পেয়েছে তার কিছু আগে প্রকাশিত হয়েছে আর কিছু অপ্রকাশিত। এই সংকলনের একটা অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হল এখানে সমসাময়িক প্রায় সব বিষয় নিয়েই রম্য রচনা স্থান পেয়েছে। রাজনীতি থেকে খেলাধুলা, হরতাল থেকে শুরু করে যানজট কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজেটের গল্প, মূল্যবৃদ্ধি কোন কিছুই লেখকের সতর্ক দৃষ্টি এড়াতে পারে নি। আর রম্য রচনা লেখার ব্যাপারে লেখক অসাধারণ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। তাঁর লেখার প্রতি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ইঙ্গিতবাহী কৌতুক। আর সেই কৌতুকও অপ্রাসঙ্গিক নয়, আলোচনার প্রসঙ্গক্রমেই আসে। সব মিলিয়ে ‘বেতাল রম্য’ আমার কাছে দারুণ উপভোগ্য লেগেছে। আসিফ মেহ্দীর প্রতিটি লেখায় পাঠকের জন্যে রয়েছে কোন না কোন মেসেজ। অণুরম্যের এই বইটি শুধুমাত্র অনাবিল আনন্দ দেবে তা-ই নয়; পাঠকমাত্রই জীবন ও দেশ নিয়ে আরেকবার গভীরভাবে ভাবার তাগিদ অনুভব করবেন এই রম্য সংকলনটি পাঠ করবার পর। এই লেখাগুলোর সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল এতে একদিকে যেমন আছে হাস্যরস; অন্যদিকে তেমনি সামাজিক অসঙ্গতিগুলোও সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বইটি পাঠককে আনন্দ দেবার পাশাপাশি ভাবাবেও। তাই আমি সকল পাঠককে বেতাল রম্যের এই আনন্দময় ভাবনার জগতে অগ্রীম নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
‘উন্মাদ’ এবং ‘রস+আলো’ এই দুইটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দুইটি রম্যপত্রিকা। স্বাভাবিকভাবেই এই দুইটি পত্রিকায় যারা লিখেন, তাদের লেখার বেশ ভক্ত সবাই। আসিফ মেহদী এদের একজন, যিনি এই দুই পত্রিকাতেই লিখে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরে। রম্যগল্প নিছক হাসি ঠাট্টার বিষয় হিসেবেই মনে করা হয়। কিন্তু আসিফ মেহদীর রম্য গল্পগুলির আড়ালে সমাজের অনিয়মগুলি নিয়ে সুক্ষ খোঁচাও থাকে। যে কারণে লেখাগুলি রম্যগল্পের সংজ্ঞাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এরকম বেশ কিছু গল্প নিয়ে ‘বেতাল রম্য’ বইটি। ভূমিকা থেকে লেখকের ভাষায় বলা যায়, ‘এখন আমরা একটা বেতাল সময়ের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার গল্প বা লেখাগুলিতে তালগোল পাকানো বর্তমান পরিস্থিতি অথবা তালকানা অর্থাৎ তালজ্ঞানহীন দুর্নীতিবাজদের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তাই বিষয়বস্তুর সাথে তাল মিলাতে ‘বেতাল রম্য’ নামটি বেশ মানানসই মনে হল।’ বইটিতে মোট ২৬ টি রম্যগল্প রয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ কাহিনিকম্প, বোনাস লাইফ, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দম্পতি, যানজটে জান জটে, পান্না ভাই এইচএসসি, খেলার নাম বাবাজি, ব্রেকিং নিউজ, টোনাটুনির গল্প, বিব্রতকর, মজার স্মৃতি, আগে কি সুন্দর ঈদ কাটাইতাম, মামা- দৌরাত্ম্য প্রভৃতি। এখানে উল্লেখ্য যে ‘আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দম্পতি’ গল্পটি নিয়ে ঈদের নাটক করেছে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। গল্পটিতে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পাগলা সমর্থন নিয়ে এক তরুণ তরুণীর সম্পর্ক প্রায় ভাঙতে বসেছিল। পরে খুব মজার কাণ্ড কারখানার মধ্য দিয়ে শেষ হয় গল্প। গল্পগুলি ছোট ছোট। কিন্তু প্রতিটি গল্পতেই রয়েছে নানা চমক। লেখকের সহজ সরল ঝরঝরে ভাষায় গল্পগুলি পেয়েছে পাঠক জনপ্রিয়তা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। বইটি প্রকাশ করেছে ‘শুভ্র প্রকাশ’। দাম রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। রম্য গল্প পড়তে যারা ভালোবাসেন তাদের জন্যে অসাধারণ একটা বই।