User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Enthralling
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
হতাশ হলাম খুব। যেরকম আশা করেছিলাম সেরকম পাই নাই। আজাইরা তুলনা দিয়ে ভরাই দিসে।
Was this review helpful to you?
or
সলিমুল্লাহ খান চমৎকার কথক এবং লিখিয়ে হিসেবেও কম যান না। সলিমুল্লাহ খানের জানার,দেখার আর পড়াশোনার গন্ডি অতিব্যাপক যার স্বাক্ষর লেখনীতে বিদ্যামান। খান কথক পরে হবে এবার বই নিয়ে কথা হোক। বইটার নাম বেশ বিচিত্র। কেন এই আজিম কিসিমের নাম তার স্বপক্ষে সলিমুল্লাহ খান লিখেন- "বাংলা সন ১৪০৯ হইতে ১৪১৩- পর্যন্ত এই পাঁচ বৎসরের ভিতর আমার স্বাক্ষরে প্রকাশিত সাত নিবন্ধ ও দুই তর্জমা সম্বল করিয়া ইতিহাস কারখানাঃ প্রথম কান্ড ছাপা হইল। সঙ্কলিত একটি প্রবন্ধেরর নামে প্রথম কান্ডের নামম সত্য,সাদ্দাম হোসেন ও স্রাজেরদৌলা রাখিলাম। আমরা এখন যাঁহাকে সিরাজুদ্দৌলা নামে জানি তাঁহার নাম ঊনবিংশ শতাব্দীরর গোড়ার দিকে কখনো কখনো "স্রাজেরদৌলা " লেখা হইত।এই বয়ানের বৃত্তান্তই ইতিহাস কারখানা।" পশ্চিমাগণের ইরাক আক্রমণের অজুহাত ছিলো সাদ্দাম একনায়ক, স্বৈরাচারি। সে মানবসমাজের জন্য হুমকীসুলভ অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত। তাই পশ্চিমাগণ স্বপ্রনেদিত হয়ে ইরাক আক্রমণ করে। যদিও ওসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী অংশটিকে প্রথম মহাযুদ্ধের পরই নানা ধুয়া তুলে ওসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে ভাগ করে নেয় ফ্রান্স আর ব্রিটেন। যাইহোক, সাদ্দামকে পরাজিত করে ইরাকি জনগণকে "প্রকৃত " মুক্তিদানকারী পশ্চিমাফৌজের বিরুদ্ধেই সংগ্রাম শুরু করে দেয়া ইরাকি জনগণ। ইরাকিরা বড্ড পাঁজি জাত। ইয়াংকী আর তার বন্ধুগণ কতো কষ্ট করে "ইরাকী ফ্রিডম" পরিচালনা করে, ইরাকিদের একটি সরকার উপহার দিলো তা তারা না মেনে "জনযুদ্ধ " (সলিমুল্লাহ খানের মতে,আমারও দ্বিমত নাই) শুরু করে দিলো যা এখনো চলছে। এদিকে,ইয়াংকী আর তার মিত্রদের পোয়াবারো (তের বলতে পারলে খুশ হই)।তেল খনি সব দখল হল। আরকী চাই! সলিমুল্লাহ খান সাদ্দামকে একজন প্রকৃত জাতীয়তাবাদী বলে উল্লেখপূর্বক স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। যা বেশ গ্রহণযোগ্য (কীসব যুক্তি বললে স্পয়লার হতে যায়)। তিনি সাদ্দাম কর্তৃক কুর্দিদের দমনের "মৃদু " সমালোচনাও করেছেন। ফরাসি বিপ্লবের শিশু, "সাম্য,মৈত্রী,স্বাধীনতা"র ধোয়া তুলে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের ১৭৯৮ সালের মিসর দখলের ঘটনা বর্ণনাপূর্বক প্রমাণ করতে চেয়েছেন দুষ্টের অজুহাতের অভাব নেই, অন্যকে নির্যাতন করার জন্য। এখানে স্মরণ করতে পারি মিসর দখলের সময় খোদ নেপোলিয়ন "মেহমুদ/মাহমুদ " নামধারণ করেছিলেন এবং ব্যাপক প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিলেন ফরাসিবাহিনী মামলুক শাসকদের হাত থেকে নিরীহ মিসরীয়দের রক্ষার্থে আগমন করেছে(লক্ষ করুন ইয়াংকী আর তার দোসরদের সাথে কত্তমিল)। নেপোলিয়ন আর তার দলবল মিসর দখলের সময় ইসলামকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মিসরীয়দের মনস্তত্ত্বে স্থান লাভের চেষ্টা করে। মিসরীয়রা ফরাসিদের বন্ধু হিসেবে নেয় নি, বরং তিনবছরের মাথায় ফরাসি হানাদারবাহিনীকে তল্পিতল্পাসহ মিসর ত্যাগ করতে হয়েছিল। ১৭৫২ সালেই আলীবর্দি খান, তরুণ মির্জা মোহাম্মদ ওর্ফ সিরাজদ্দৌলাকে তার উত্তরসূরি ঘোষণা করেন। কিন্তু যখন ১৭৫৬ সালে সিরাজ নবাব হন, অনেকেই তা মানতে পারে নাই। কেননা সিরাজ তাদের স্বার্থপূরণের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক ছিলেন। এইসব রাজন্যবর্গ আর ব্যবসায়ীগোষ্ঠী হাত মেলায় সম্প্রসারণবাদী ইংরেজ ব্যবসায়ীদের সাথে। তরুণ স্বাধীনচেতা সিরাজ কোনকালেই ইংরেজদের ভালো চোখে দেখতেন না। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ইংরেজদের ক্ষমতালিপ্সা (এ সম্পর্কে আলীবর্দি খা তাকে সতর্ক করেছিলেন)। ফলাফল পলাশীর যুদ্ধ, নবাবের পরাজয় আর বৃহৎ অর্থে ইংরেজদের পুরোপুরি ক্ষমতা দখল। ইংরেজ আর এদেশীয় কতিপয় ঐতিহাসিক বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবকে উপস্থাপন করেন "অত্যাচারী, নারীলিপ্সু, অযোগ্য" বলে। সলিমুল্লাহ খানের বেশ দক্ষতার সাথে প্রমাণ করেছেন ইংরেজ ও তাদের মতাবলম্বী সেইসব ঐতিহাসিকরা কতটা ভুল আর স্বার্থান্ধ ছিলেন। কে সিরাজদ্দৌলাকে হত্যা করে? মির মিরন নাকী ক্লাইভ ই মূল পরিকল্পক? উত্তর বইতে সুস্পষ্ট। ফরাসি দার্শনিক, সমাজচিন্তক বাদিয়ু আর জাক জেরিদা নিয়ে আলোচনা আছে। জাক জেরিদা আর বাদিয়ু নিয়ে আমার জানার গন্ডি সীমাবদ্ধ তাই সেসব নিয়ে মতামত দিচ্ছি না। তবে আরো সহজবোধ্য হতে পারতো।বাংলায় বাদিয়ুর বই চোখে পড়ে নাই আর জাক জেরিদা নিয়ে স্বদেশী ভাষায় দুইএকটার বেশি বই নাই। চমৎকার কিছু কবিতা আছে যা বইটিকে নবমাত্রা দিয়েছিলো। বেশ বাস্তবভিত্তিক কবিতা। এডগার রাইজ বারোজ তার "টারজান " চরিত্র দিয়ে কীভাবে বর্ণবাদ আর সাম্রাজ্যবাদের নগ্নপ্রচার চালিয়েছেন তা নিয়ে অনূদিত প্রবন্ধটি চিন্তারাজ্যে ঝড় তোলে। সার্বিক বিবেচনায় বেশ তথ্যসমৃদ্ধ বই, চিন্তার খোরাক জোগাতে বাধ্য।
Was this review helpful to you?
or
সলিমুল্লাহ খানের সত্য, সাদ্দাম হোসেন, স্রাজেরদৌলাকে বলা যায়, সাম্রাজ্যবাদ নিয়া লেখা একটি পুস্তক, যেখানে ইতিহাসের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তিনি সাম্রাজ্যবাদের নানাদিক নিয়ে কথা বলেছেন। এখানে সবমিলিয়ে আছে ৯ টি লেখা। ৭ টি মূল লেখা এবং সংযোজনে ২টি অনুবাদÑ কবিতা (হ্যারল্ড পিন্টারের) এবং প্রবন্ধ (নিউ সিঙ্গারের)। বইয়ের প্রথম লেখা ‘ইরাক, আরব জাতীয়তাবাদ ও সাদ্দাম হোসেন’ খুবই উপভোগ্য একটি রচনা। সাদ্দাম জাতীয়তাবাদী নাকি একনায়কতাবাদী এই প্রশ্ন তিনি সামনে নিয়ে আসেন আর এর পরিপ্রক্ষিতে আরব জাতীয়তাবাদের ইতিহাস ও সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্তগুলি বর্ণনা করেন, কিন্তু সাদ্দাম নিজেকে কীভাবে এবং কখন আরব জাতীয়তাবাদের মূলধারার সাথে সংশ্লিষ্ট করেন, সেই ব্যাখ্যা অনুপস্থিত রেখে রায় দেন যে, “সাদ্দাম হোসেনের প্রকৃত অপরাধ তাঁহার আরব জাতীয়তাবাদ বা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনীতি।” তার এই রায়ে আরো একটি ‘সত্য’ স্পষ্ট হয় যে, যিনি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, তিনি আর একনায়কতাবাদী নন। দ্বিতীয় লেখাটাই বইটার নাম। এখানেও সাদ্দাম প্রসঙ্গ, তবে প্রেক্ষাপট তার বর্তমান বিচার। সলিমুল্লাহ খানের অভিমত, যারা সাদ্দামের সমালোচনা করেন বা বলেন যে, সাদ্দাম খারাপ লোক, তারা আসলে সাম্রাজ্যবাদকে সহনশীল করে তোলেন, মার্কিন আগ্রাসনকে খানিকটা বৈধতা দেয়ার ভিত্তি তৈরি করেন, যথা. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষক ও নোম চমস্কি, এবং তার আংশকা তারা সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধকৌশলের কাছে পরাস্ত হয়েছেন। অতঃপর তিনি সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন এবং তা করেন খুবই অনবদ্যভাবে, নিশ্চিত করেন যে, “সাদ্দাম হোসেনের আসল অপরাধ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, তার ‘অপশাসন’ নয়।” এবং দাবি করেন “সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদী, কমসে কম ইরাকি জাতীয়তায় তার পক্ষপাত থাকবেই।” অর্থাৎ, তিনি জাতীয়তাবাদী, আর এই কারণেই সাম্রাজ্যবাদের যত অপপ্রচার। এই সূত্র ধরেই সিনে হাজির হন সিরাজুদ্দৌলা। যারা সাম্রাজ্যবাদের কৌশলের ধারক বা তার কাছে পরাস্ত তারা সিরাজুদ্দৌলার চরিত্র হনন করার চেষ্টা করেছেন, যেমনটা এখন সাদ্দামের বিরুদ্ধে করছেন। সাদ্দাম এবং সিরাজ জাতীয়তাবাদী কিনা (বিশেষ করে সিরাজুদ্দৌলা) তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেলেও, দুজনেই হয়ে উঠেছিলেন পুঁজির বিকাশ ও চলাচলের ক্ষেত্রে একটি বাধা। অথচ এই বিষয়টাই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, পুরা আলোচনায়। সাম্রাজ্যবাদের বিপরীতে সলিমুল্লাহ খান দাঁড় করিয়েছেন জাতীয়তাবাদকে, ইংরেজ চরিত্রকে সিরাজ-চরিত্রের বিপরীতে। আমার মনে হয়েছে এখানে ‘সত্য’ উচ্চারিত হয় নাই। সিরাজুদ্দৌলার পতন সর্ম্পকে তিনি বলেন যে “বাংলাদেশের পুঁজিপতি সমাজ ও আমলাতন্ত্র তাঁর বিরুদ্ধে বিপ্লব করতে একত্র হয়েছে। সেইখানে তাঁর হার।” কেন তারা সিরাজের বিরুদ্ধে গেলো? কেন একত্র হলো, ইংরেজের সঙ্গে? এই ঐক্যের মূলে রয়েছে যে, পুঁজির মুক্তি, তার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার, সেখানে তিনি যান না। এবং নিশ্চিতভাবেই পলাশীর পুরা ঘটনাটার ভিতর জাতীয়তাবাদের কোন উপাদানের উপস্থিতি ছিল বলে আমার মনে হয় না। সেখানে দেশীয় পুঁজিপতিরাও জেতেন সিরাজের বিপক্ষে, কিন্তু সেই বিজয়ের/বিপ্লবের ফসল কেন তারা নিজেদের হাতে রাখার চেষ্টা না করে ইংরেজদের হাতে তুলে দেন? তারা মানুষ হিসাবে ‘খারাপ’ ছিলেন এবং ‘দেশপ্রেমিক’ ছিলেন না বলে? নাকি বিদেশী পুঁজির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো কোন প্রস্তুতিই তাদের ছিল না বলে? সলিমুল্লাহ খান এইসব কিছু অস্বীকার করেন না। আবার বলেনও না। তার বলা এবং না-বলায় এই ভ্রম হতে পারে যে, সাম্রাজ্যবাদ কোনো ব্যক্তি চরিত্রের ফাঁক গলে ঢুকে পড়েছিলো এই বাংলায়। সলিমুল্লাহ খান এই ব্যক্তিচরিত্রকে বিবেচনা করেন ইতিহাসের ধারাবাহিকতায়, যেখানে সাম্রাজ্যবাদ তাদের বিচ্ছিন্ন করে দানব হিসাবে দেখাতে চায়। কিন্তু সিরাজ বা সাদ্দাম, ভালো বা খারাপ হলেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা আরব জাতীয়তাবাদ ভালো বা খারাপ হয়ে যায় না। আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া সাহেবের নবাবসিরাজ-উদ-দৌলা বইয়ের আলোচনাতেই সলিমুল্লাহ খান স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করেন যে, ‘বিষয় সিরাজ-চরিত্র নয়, বিষয় বাংলার ইতিহাস,’ তবে ইতিহাসটা বিচ্ছিন্নভাবে বাংলার নয়, বরং পুঁজির বিকাশের ইতিহাস, যা শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদ রুখে দাঁড়াতে পারে না বলেই আমার ধারণা। আবার অন্যদিকে এই জাতীয়তাবাদের আবিস্কারের প্রয়োজনেই সিরাজুদ্দৌলার পুনারাবির্ভাব। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সিরাজুদ্দৌলা ঠিক তখনই আবিষ্কৃত হন, যখন বাঙালি জাতীয়তাবাদের একজন আইকনের প্রয়োজন পড়ে কিংবা সাদ্দাম ও সিরাজ জাতীয়তাবাদকে তখনই আশ্রয় করার চেষ্টা করেন, যখন তারা পরাজয়ের মুখোমুখি উপনীত হন, আশা করেন যে জনগণ তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, দেশের আমজনতা ফিউডাল সমাজপতিদের সাথে আর্ন্তজাতিক পুঁজির বিরোধে কাউকেই সার্পোট দেয় নাই। ‘স্বাধীনতা অর্থ দাসত্ব’ লেখায় তিনি বর্ণনা করেন ফরাসীদের মিসর দখলের প্রেক্ষাপট; কী করে সাম্রাজ্যবাদ নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেন। তারা কারণ হিসাবে যে বিষয়গুলিকে তুলে ধরেন, তা একই, ইরাক প্রসঙ্গেও। বলা ভালো, এইটা এখানে যেমন বোঝা যাচ্ছে, মিসরও বুঝেছিল, ইরাকও বোঝে। তাহলে দখলের জন্য নয়, সাম্রাজ্যবাদের নিজেদের অবস্থানের পক্ষে নৈতিক ভিত্তি আবিষ্কার করা জরুরী নিজের জন্যেই? সাম্রাজ্যবাদের নৈতিক ভিত্তিটা কী এই জায়গায় আসেন দেরিদা; পশ্চিমা চিন্তার মূলে কুঠারাঘাতকারী, কিন্তু তার প্রাণভোমরা এনলাইটমেন্টেরই সন্তান বলে প্রমাণিত। দেরিদা প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ খানের যে আবিস্কার, তার যিনি সমালোচক তাকেও তার মতামতের বিক্ষিপ্ত এবং সম্পূরক কপি বলে স্মরণ করেছেন তিনি। ‘সত্য’ অবিমিশ্রিত কোনো ব্যাপার নয়, আমি এইটাই বুঝেছি বাদিয়ুর প্রসঙ্গে আমার সামান্য জ্ঞানে। সাম্রাজ্যবাদ যে বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তির উপর দাঁড়ানো, তাকে প্রশ্ন করাটা জরুরি। সেই চেষ্টা ৭ নম্বর লেখাতেও জারি রাখতে চেয়েছেন সলিমুল্লাহ খান। আর আমি চেষ্টা করছি তার সাথে দ্বিমত হওয়ার জায়গাগুলিকে স্পষ্ট করতে। কেননা সাম্রজ্যবাদের খেলা অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, আর তার বিপরীতে ‘সত্য’ মানে অসম্পূর্ণতা, ক্রমশঃ হয়ে উঠার একটি বিষয়, একটা বিকামিং। সেখানে মূল বিষয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাস নয়, বরং বিষয় পুঁজির বিকাশের ইতিহাস। সলিমুল্লাহ খানের অনুবাদগুলিও সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ক, ভিন্ন মাত্রার এবং উপভোগ্য। আসলে কথা ছিল বইটাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার, কিন্তু আমি এই প্রসঙ্গে উঠে আসা কয়েকটা তর্কের কথা বলে গেলাম। আশা করি পাঠক পড়ে দেখবেন বইটা কেননা আমার ধারণা, চিন্তার জন্য এই আলাপগুলি খুবই জরুরী, আর এর জন্যে একটা ভালো উছিলা ক্ষুদ্রকায় এবং দামি (আর্থিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উভয় দিক থেকেই) এই গ্রন্থখানি ।