User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনন্য
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Vary good fling
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
খু্বই ভালো সার্ভিস ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ভালোই আছে বইটি
Was this review helpful to you?
or
নারী- হুমায়ুন আজাদ আমার একটি প্রিয় বই। কি কারণে? কারণ বাংলা ভাষায় নারী নিয়ে এতটা পরিশ্রমী ও গবেষণাধর্মী আমি আগে কোথাও পাইনি। এটা আমার ব্যর্থতা একই আমাদের সাহিত্যের ব্যর্থতা জানিনা। তবে এই বই আমাকে মুগ্ধ করে এর প্রচুর গবেষণা দিয়ে। লেখক এখানে নারীর প্রতি বৈষম্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ, ধর্ম, সাহিত্য, শিল্প সহ প্রায় সকল সংগঠনকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। নারী কিভাবে দমিত হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে। কিভাবে নারীদের ডাইনি বলে ইউরোপে লাখে লাখে মারা হয়েছে, আরবে ধর্মের দোহায় দিয়ে পায়ে শিকল পরানো হয়েছে, কিভাবে কল্যাণময়ী সংগঠনও যেমন সাহিত্য, শিল্প নারীকে হেয় ও দ্বিতীয় লিঙ্গ হিসেবে দেখে আসছে। দেখে আসছে অবাঞ্চিত বা অকিঞ্চিতকর অস্তিত্ব হিসেবে। তবে বইটির কিছু কিছু অংশের সাথে আমি দ্বিমত। তবে এত বড় বইয়ের একশোভাগ শুদ্ধ কিংবা আমার মতের সাথে মিলবে এমন আশা নিয়ে পড়াটা বাতুলতা তাই এদিক থেকে আমি নমনীয়। লেখকের প্রয়াস অন্তত বাংলাদেশি সাহিত্যে অভিনব। এমন পরিশ্রমী লেখা এখন আর কেউ লিখে না বড় একটা। এটাই দুঃখ।
Was this review helpful to you?
or
goood
Was this review helpful to you?
or
নারী পড়লে আপনার বুঝতে পারবেন ধর্ম নারীকে কিভাবে দেখে, যদিও মূলে রয়েছে পুরুষতন্ত্র! নারীবাদের উৎপত্তি, বর্তমান নারীবাদ, কি ভাবে নারীরাই নারীরির জন্য হুমকি।
Was this review helpful to you?
or
নারী হুমায়ুন আজাদ রচিত একটি নারীবাদী রচনা। বইটি ১৯৯৫ সালের ১৯ শে নভেম্বর বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় সাড়ে চার বছর পরে ২০০০ সালের ৭ মার্চ হাইকোট বইটির নিষিদ্ধকরণ আদেশ বাতিল করে। তারপর থেকে বইটি পুনরায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। এই উপন্যাসটিতে নারীবাদী কাঠামোতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, পুরুষতন্ত্র একটা মানুষকে নারী করে তুলে। ইহুদি-খ্রীষ্টান-হিন্দু-মুসলমানের চোখে নারী এক অবাধ্য বক্রহার যে স্বর্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে; নিকৃষ্ট! লেখক এখানে বর্ণনা করেছেন নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক রাজনীতির রুপ, রুশো, রাসকিন, ফ্রয়েড, রবীন্দ্রনাথের নারীবিরোধীতার মিল এবং রাজা রামমোহন রায় এবং বিদ্যসাগরের নারীমুক্তির তাত্ত্বিক ও বাস্তব কর্মরাশি লেখক এই বইটিতে তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই কিন্তু কিছু কিছু পর্যায়ে একটু এক্সট্রিম লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি সত্যিই অসাধারণ, হুমায়ুন আজাদের চিন্তা চেতনায় কতটা গভীরতা ছিলো তা প্রকাশ পেয়েছে। যে বেকুবগুলো বই না পড়েই রেটিংস ডাউন করার জন্য এসেছে তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। আসলে বইয়ে এদের বিষয়েই বলা হয়েছে, সুতরাং তাদের সত্যতা তুলে ধরার জন্য তারা লেখকের উপর ক্ষীপ্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ের লেখক ও একজন নারী। বইটি একদম বাজে লেগেছে আমার!
Was this review helpful to you?
or
নারীবাদ নিয়ে যারা কাজ করেন তারা বলতে চান নারীবাদ হল নারীদের অধিকার আদায়, সমতা অর্জন এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংগঠিত বিভিন্ন মতবাদ ও আন্দোলন। আর হুমায়ুন আজাদ নারীবাদ বলতে যা বুঝিয়েছেন তা হল "যিনি নারী পুরুষের সাম্যে ও সমান অধিকারে বিশ্বাস করেন তিনিই নারীবাদী"। নারীগ্রন্থে হুমায়ুন আজাদ আরো বলেছেন " তাকে (নারী) মনে রাখতে হবে সে মানুষ, নারী নয়, নারী তার লৈংগিক পরিচয় মাত্র। মনে রাখতে হবে, পুরুষের সাথে তার পারথক্য মাত্র একটি ক্রমোজমের। এবং একটি ক্রমোজোমের জন্য একজন প্রভু এবং আরেকজন পরিচারিকা হয়ে উঠতে পারে না।"
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।প্রতিটা মানুষের জীবনে অন্তত একবার বইটি পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
Delivery was fast and nice packaging. বইটি আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার মূলে কুঠারাঘাত করেছে। সমাজে যে নারীদের গুরুত্ব কতটা সেটা বোঝা যায় লেখকের লেখনীর মাধ্যমে এ বইতে. অবশ্যপাঠ্য একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
লেখক- হুমায়ূন আজাদ। শুরুতে কখনও নারীবাদ নিয়ে কাজ করেননি হূমায়ন আজাদ। কিন্তু যখন শুরু করলেন তখন যেন বাংলা সাহিত্যের নারীবাদী ধারায় গোলাভরে গেল নতুন ফসলে। তবে তার এই প্রচেষ্টাকে তির্যক দৃষ্টিতে দেখতে ছাড়েননি অনেকেই। ‘নারী’ গ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ন আজাদ প্রথাবিরোধী লেখক হিসাবে পরিচিতি পান। পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে নারীকে কি কি রূপে দেখা হয় বইটির প্রতিটি পৃষ্টায় তা ছড়িয়ে আছে।বইটি পড়ে অনেক নতুন নতুন বিষয় জানা যায়,আর পাঠফল?এটা নিজের চিন্তা ভাবনার উপর নির্ভর করে।
Was this review helpful to you?
or
বইটা একটানা কয়েকদিন ধরে বেশ মনযোগ সহকারে পড়ে উঠলাম। সাধারণত নন-ফিকশন খুব একটা ভালো লাগে না কিন্তু এই প্রথম, কোনো নন-ফিকশন গ্রন্থ বেশ তৃপ্তি সহকারে পড়লাম। শুধু তৃপ্তিবোধ হওয়াটাই বড় কথা নয় তার চেয়েও বড় কথা হল, এ গ্রন্থ আমাকে যেন নতুন করে, নারীকে চিনতে শিখিয়েছে ধন্যবাদ লেখক।
Was this review helpful to you?
or
সিমন দ্য বভিয়ারের দ্বিতীয় লিঙ্গ পড়ার পর এই বইটি পড়ে আমার মনে হয়েছে আদর্শের দিক থেকে উভয় বই একরকম। হুমায়ুন আজাদ যেন অন্য কোন জগত থেকে নারীর ত্রাণকরতা হয়ে এসেছিলেন। খুব কাছ থেকে যেন নারীকে যানতে পেরেছেন তাদের সমস্যা ও দুরাবস্থার কথা চিন্তা করেছেন। শিশুবস্থা থেকেই নারী এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রায় সব ক্ষেত্রেই পুরুষের দাসে পরিণত হয়ে থাকে। নারীবাদী লেখক হিসাবে লেখক সত্যি এই বইয়ের মাধ্যমে নারী মুক্তির এক রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আজাদ স্যারের বইয়ের রিভিউ লেখার যোগ্যতা হলে পরে লিখব।
Was this review helpful to you?
or
ফালতু... রকমারি এইসব মুরতাদদের বই রাখে কেনো?.. সোহাগ ভাইয়া, এরকম দু চারটা নোংরা লোকের বই রকমারি না দিলে ব্যবসার কিছুই আসে যাবেনা.. কিন্ত শুধু এক অজাতের নারী বইটাই আপনার জান্নাত জাহান্নামের ফয়সালা করে দিতে পারে.... আল্লাহ কে ভয় করুন।। এটা নিঃসন্দেহে গুনায়ে জারিয়াহ
Was this review helpful to you?
or
সত্যি কথা বলতে গেলে - সবাই এই বইটি পড়তে পারবে না। আর পড়লেও বইয়ের ভাবার্থ বুঝতে পারবে না। অনেক সহজ ভাষায় অনেক কঠিন কথা বলা হয়েছে যেটা সবার মগজে ঢুকবে না বরং আঁতে ঘা লাগবে অনেক পুরুষের। আসলে বইটি পড়ার সময় ৯০ এর দশকের নারীদের কথা মাথায় রেখেই পড়তে হবে, তাহলেই সারমর্মটা বুঝা সম্ভব। এই সময়ের নারীদের কথা চিন্তা করলে লেখক যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হয়ত বোঝা কঠিন হয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অমূল্য সম্পদ হিশেবে চিরকাল সংরক্ষিত থাকবে। বাংলার পুরুষতন্ত্রের এ পাহাড়কে উনিই বোধহয় সর্বপ্রথম এতটা জোরালোভাবে আঘাত করেছিলেন, শতবছর পর হলেও সেই পাহাড় যেদিন গুড়োগুড়ো হয়ে যাবে সেদিন এই পাহাড়ে, সর্বপ্রথম যে, সর্বোচ্চ শক্তি দ্বারা আঘাত হেনেছিলেন তার কথা এই বাঙালি অবশ্যই মনেকরবে। ওনার চিন্তাভাবনা গ্রহণের মত মন:স্তত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠের নেই কেননা হুমায়ুন আজাদ তার যুগ থেকে সাংঘাতিক এগিয়ে ছিলেন। এই বইটা কি কারণে কিছু মানুষের অপছন্দের তালিকায়, তা এটা না পড়লে বুঝতে পারতাম না। এটা যেকোনো পুরুষ আধিপাত্যবাদীর চিন্তার জগতে ভূকম্পন সৃষ্টির মত ক্ষমতা রাখে। শুধুমাত্র, কিছু অহেতুক অজুহাত দ্বারা হুমায়ুন আজাদের মত একজন চিন্তাবিদকে তার জীবদ্দশায় সঠিক মূল্য দিতে পারিনি। এমনকি তার মৃত্যুর পরও তার প্রাপ্য মূল্য দিতে পারছি না। তবে, আমার বিশ্বাস, একদিন অবশ্যই আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হুমায়ুন আজাদের মূল্য বুঝতে পারবে। হয়ত, তিনিই আমাদের সুদূর ভবিষ্যতের কোনো এক বিপ্লবের কারিগর। . বই থেকে কিছু পছন্দনীয় অংশ, . " পুরুষতন্ত্রের সৌরলোকের সূর্য পুরুষ ; নারী অন্ধকার। " (পৃ :১৪) . " পুরুষ নারীকে সাজিয়েছে অসংখ্য কুৎসিত অভিধায় ; তাকে বন্দি করার জন্য তৈরী করেছে পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্র.......লিখেছে ধর্মগ্রন্থ, অজস্র দর্শন, কাব্য, মহাকাব্য ; সৃষ্টি করেছে বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান ও আরও অসংখ্য শাস্ত্র এত অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি কোনো সেনাবাহিনী। " (পৃ : ১৪) . " কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, ক্রমশ নারী হয়ে ওঠে। "(পৃ:১৯) . " বঞ্চিত হওয়াই নারীত্ব! নিজের স্বার্থে নিজের অধীনে রাখার জন্যে পুরুষ নারীকে এমন শিক্ষা দিয়েছে হাজার বছর ধ'রে যাতে নারী হয়ে উঠেছে বিনম্র, বশ্যতাপরায়ণ এবং নিজের অভিলাষ ছেড়ে দিয়েছে সে পুরুষের হাতে। " (পৃ :১১৩) . "গর্ভধারণ করবে নারী, বিবাহিত না হয়ে নারী সন্তান চাইতে পারবে না। এর অর্থ তার শরীর, তার জরায়ু তার নয়, তার মালিক পুরুষ ও পিতৃতন্ত্র। পুরুষ এসব বিধি প্রচার করেছে বিধাতার নামে। তবে, এসব হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের সমাজ সংরক্ষণের বিধিনিষেধ। নারীর গর্ভধারণ একান্ত পাশবিক কাজ। নারীকে কি চিরকাল ধারণ ক'রে যেতে হবে, গর্ভ, পালন করে যেতে হবে পশুর ভূমিকা? গর্ভবতী নারী দেখতে অনেকটা গর্ভবতী পশুর মত, দৃশ্য হিসেবে গর্ভবতী নারী শোভন নয়, আর গর্ভধারণ নারীর জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক। একদিন হয়ত, গর্ভধারণ গণ্য হবে আদিম ব্যাপার ব'লে, মানুষ বেছে নিবে সন্তানসৃষ্টির বিকল্প উপায় ; তখন গর্ভধারণই নারীত্ব বলে গণ্য হবে না। নারী গর্ভধারণে আনন্দ পায় না পুরুষতন্ত্রের শিক্ষার ফলে নারী আজো মনেকরে গর্ভধারণই তার জীবনের সার্থকতা, কিন্তু এটা তা নয়। অধিকাংশ নারীই এখনই গর্ভধারণ প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা পেলে আনন্দে তা গ্রহণ করবে ; গর্ভবতী হওয়ার মধ্যে জীবনের কোনো সার্থকতা, মহত্ব, পূণ্য নেই। একসময়, নিয়ত গর্ভিনী থাকাই ছিলো নারীর কাজ ; এখন গর্ভের সংখ্যা কমেছে, তাতে ক্ষতি হয় নি, বরং সমাজরাস্ট্র এই চায়। " ( পৃ : ৩৬৩)
Was this review helpful to you?
or
Nari der aro omorjada kora hoyese
Was this review helpful to you?
or
ফূল ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে কী আছে সেটা এই ছোট আলোচনায় তুলে ধরাটা রীতিমত ধৃষ্ঠতা। তবে আগ্রহ জাগানোর জন্য কয়েকটা কথা তুলে ধরার চেষ্টা করা যায়। চারশত পৃষ্ঠার এই বইয়ে আছে দেশের নারীর কথা, বিদেশের নারীর কথা। এ যুগের নারীর কথা, আগের যুগের নারীর কথা। নারীর দুঃখ, কষ্ট আর পীড়নের কথা। ‘নারী ও তার বিধাতা পুরুষ’ ব্যঙ্গাত্মক এই নাম দিয়ে বইয়ের প্রথম প্রবন্ধটি শুরু। প্রথম প্রবন্ধের সারবস্তু নারীর প্রতি পুরুষের বিধাতাসুলভ মনোভাব। পুরুষের; নারীর উপর সক্রিয় থাকার প্রবণতার বিশ্লেষণ। লৈঙ্গিক রাজনীতি নামক প্রবন্ধে দেখিয়েছেন লেখক নারীর প্রতি পুরুষের পীড়ন হল রাজনৈতিক পীড়ন। শক্তিশালী যুক্তি আপনার চিন্তাকে প্রভাবিত করতে বাধ্য। নারী হঠাত করে বন্দি হয়ে পড়ে নি। সেও মুক্ত ছিল একসময়। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারকে টুটিয়ে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রতিষ্ঠায় নারীর হয়েছে ঐতিহাসিক পরাজয়। আলোচনায় উঠে এসেছে এই কথাও। কখনো দেবি বানিয়ে তোষামুদ করে, কখনো বা আবার দানবী বানিয়ে বাধা দিয়ে চুপসে দেয়া হয়েছে নারীর মাথা তুলে দাড়ানোর আকাঙ্খা। আইন-কানুন আর বিধি-বিধান চাপিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়েছে নারীর অগ্রযাত্রার চাকা। কয়েকটি পৃথক প্রবন্ধে উল্লেখিত আলোচনা করেছেন লেখক। পুরুষতান্ত্রিক এই যাত্রায় সামিল হয়েছেন প্রতিভাবানরাও। লেখক; একটি প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ এর বিভিন্ন লেখালেখি উদ্বৃত করে দেখিয়েছেন পুরুষতান্ত্রিক সঙ্কীর্ণতা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন নি রবীন্দ্রনাথও। ভিন্ন একটি প্রবন্ধে সুপরিচিত মনোবিশ্লেষক সিগমুন্ড ফ্রয়েডের নারী বিষয়ক তত্বকে অপবিজ্ঞান আখ্যা দিয়েছেন, খন্ড করেছেন ফ্রয়েডের যুক্তি, প্রমাণ করেছেন ‘ফ্রয়েডীয় কুসংস্কার’। লেখক ভোলেন নি নারীর শরীরের কথাও। পাঠককে নারীর শরীরের জৈবিক কাঠামোর ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে সচেষ্ট হয়েছেন তাঁর লেখায়। ভেঙে দিতে চেয়েছেন ভুল ধারণার দেয়াল। মেয়েশিশু তাঁর বাল্যকাল পেরিয়ে কৈশোর-তারুণ্যে এসে কীভাবে ‘মানুষ থেকে নারী’ হয়ে উঠে তার দুঃখগাঁথাও এঁকেছেন। বইটিতে রামমোহন রায়কে নারীর প্রাণদাতা আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে জীবনদাতা হিসেবে দেখয়িছেন লেখক। অল্পকথায় ব্যাখা করেছেন নারী অধিকার প্রদানে এই দুই মহাপুরুষের ভূমিকা। পুরুষাধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ও কৌশলগত লড়াই করা দুই মহিয়সী মেরি ওলস্টোনক্রাফট ও বেগম রোকেয়াকে স্মরণ করেছেন শ্রদ্ধায়, দেখিয়েছেন তাঁদের চিন্তাধারা; নারীর জন্য তাঁদের ভাবনা।
Was this review helpful to you?
or
"নারী" প্রথম নারীবাদী বাংলা গ্রন্থ যেখানে নারীবাদী কাঠামোতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, পুরুষতন্ত্র একটা মানুষকে নারী করে তুলে।পুরুষ সৃষ্টি করেছে নারীর ধারণা, নির্ধারণ করেছে নারীর সংজ্ঞা, নির্দেশ করেছে নারীর অবস্থান, তৈরী করেছে নৃশংস বিধিমালা, করে তুলেছে তাকে কামসঙ্গী ও পরিচারিকা। ইহুদি-খ্রীষ্টান-মুসলমানের চোখে নারী এক অবাধ্য বক্রহার যে স্বর্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে; হিন্দুর চোখে সে আরও নিকৃষ্ট। লেখক এখানে বর্ণনা করেছেন নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক রাজনীতির রুপ, রুশো-রাসকিন-ফ্রয়েড-রবীন্দ্রনাথের নারীবিরোধীতার মিল এবং রাজা রামমোহন রায় এবং বিদ্যসাগরের নারীমুক্তির তাত্ত্বিক ও বাস্তব কর্মরাশি। তিনি দিয়েছেন ওলস্টোনক্র্যাফট ও বেগম রোকেয়ার গভীর ব্যাখ্যা, বর্ণনা করেছেন নারীর লিঙ্গ ও শরীর, বালিকা কিশোরী তরুণীর বেড়ে ওঠা ও নারীর স্বপ্ন-সমস্যা-প্রেম-কাম-সংসার। হুমায়ুন আজাদ পরিচয় দিয়েছেন নারীবাদী সাহিত্যতত্ত্বের, বিশ্লেষণ করেছেন বঙ্গীয় ভদ্রমহিলার উৎপত্তি এবং ব্যাখ্যা করেছেন বাংলার নারী ঔপন্যাসিকদের নারীবাদী দৃষ্টিতে, যা আগে কখনও করা হয়নি।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়নের এ বইয়ের তত্ত্ব মতে বিয়ে-সংসার -সন্তান এ সব কিছুই নারীর পরাধীণতার প্রতীক।তাহলে নারীর স্বাধীনতার প্রতীক কি নারী বইটা কিনে পড়ায়?বিয়ে অনাধুনিক আর লিভ টুগেদারকে আধুনিক দাবীকারী হুমায়নের নিজের তাহলে বিয়ে করার কি দরকার ছিল?বিশ্ববিদ্যালের একজন শিক্ষক হয়ে নিয়মিত মদ খেয়ে দেশ-জাতি-সমাজকে কি শিক্ষা দিলেন এই ‘‘লেখক?“