User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
'অপুর পাঁচালি' বইটি মূলত সত্যজিৎ রায়ের ইংরেজিতে লেখা 'My Years With Apu' যেটির নামকরণ শ্রী নীরেন্দ্রনাথ রায় কর্তৃক অনূদিত হবার পর হয়েছে 'অপুর পাঁচালি।' এই বইয়ের জনরা হল মেমওয়ার (memoir) যার বাংলা করলে হয়, 'আত্মজীবনীমূলক রচনা'। ব্যক্তিগত ডায়রির মত করে নিজের খসড়া খাতায় এই লেখাটি লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ইচ্ছা হয়ত ছিল নিজেই লেখাটিকে পরিবর্তিতে পূর্ণোদ্যমে শেষ করবেন এবং লেখাটিকে একটি পূর্নাংগ আত্মজৈবনিক রচনায় রূপ দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠে নাই। এই লেখাটি খসড়া খাতায় থাকাকালীনই, মৃত্যুর পথে পাড়ি জমান লেখক। কিন্তু তিনি লেখাটি নিজের মত করে শেষ করে যেতে না পারলেও, খসড়া হিসেবে যতটুকু লিখেছিলেন সেটিকেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ এই বইটির সাহিত্যিক মূল্য যে অপরিসীম! 'উত্তরণ' ছবির জন্য সত্যজিৎ রায় চিত্রনাট্য তৈরি করেছিলেন বটে কিন্তু সেটা শিল্পের অন্য একটি শাখা। সাহিত্যের ক্যানভাসে সত্যজিৎ রায় নামক অসামান্য শিল্পীর শেষ তুলির আচড় ছিল এই লেখাটিই। আত্মজৈবনিক রচনা সত্যজিৎ রায়ের এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একটা লিখেছিলেন। নাম 'যখন ছোট ছিলাম'। সেটি যদিও একটি অসামান্য রচনা ছিল তবু সেটা ছিল নিছকই তার ছোটবেলার স্মৃতি। পরবর্তি জীবনে তার যেই সত্তা 'সত্যজিৎ রায়' হয়ে ঘরে ঘরে পরিচিতি লাভ করেছিল, সেই সত্তা সম্পর্কে, নিজের কর্মজীবন ও তদসংস্লিষ্ট দর্শন সম্পর্কে সত্যজিৎ রায়ের নিজের লেখা ডিটেইল ওয়ার্ক ছিল এই 'My Years With Apu'। তারপরও এটিকে ফুল ডিটেইল বলা চলে না কারণ এখানে শুধু তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে গড়ে ওঠা জীবনের কথাই আছে। লেখম সত্যজিৎ রায়ের কথা খুব একটা নেই। যাইহোক, এই বইতে আটটি আলাদা আলাদা ভাগ রয়েছে। এই আলাদা আলাদা ভাগ বা পরিচ্ছেদের মাধ্যমে ক্রমশ সত্যজিৎ রায়ের একজন চিত্র নির্মাতা হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে পথের পাঁচালি ও পরবর্তি ছবিগুলোর নির্মাণের পেছনের খুঁটিনাটি অনেক স্মৃতি, অনেক ঘটনা এবং এসব ছবি মুক্তির পর তাঁর জীবন কিভাবে বদলে যায়, ব্যক্তি সত্যজিতের মধ্যে কতটা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে শুরু করে তার সবই অকপটে বলে গেছেন সত্যজিৎ রায়। আফসোস শুধু একটাই, যেই লেখাটি পাঠক পড়বে সেটি কেবলই একটা খসড়া বা ড্রাফট। নিজ হাতে লেখক লেখাটি শেষ করতে পারলে পরবর্তিতে হয়ত আরও অনেক সংযোজন বিয়োজনের মাধ্যমে লেখাটি একটি অন্য মাত্রা লাভ করতে সমর্থ হত। পাশাপাশি আরেকটি কথা বলা আবশ্যক, নীরেন্দ্রনাথ রায় খুবই কৌশলী ও সামর্থ্যবান একজন অনুবাদক তারপরও এই অনূদিত সংস্করণটির ভাষা যেহেতু স্বয়ং সত্যজিৎ রায়ের নিজের নয়, তাই নিয়ে পাঠকের মনে একটা অপূর্ণতা ও অপ্রাপ্তির অনুভূতি তৈরি হতে পারে যেমনটা আমার নিজের বেলায় হয়েছিল।
Was this review helpful to you?
or
ফ্ল্যাপ থেকেঃ সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ যে শুধু বাংলা চলচ্ছবি নয়, গোটা ভারতীয় চলচ্ছবিকেই রাতারাতি বয়স্ক করে তুলেছিল, এবং তার সামনে এঁকে দিয়েছিল এক নূতন পথের নিশানা, তা আমরা সবাই জানি। কীভাবে, কত বিঘ্ন-বিপদ তুচ্ছ করে তোলা হয়েছিল এই ছবি, তারও কিছু না কিছু খবর রাখি আমরা। কাহিনী সংক্ষেপঃ ‘সিনেমা এত অসাধারণ কি করে হয়?’আমরা যারা পথের পাঁচালী সিনেমাটা দেখেছি তাদের সবার ভিতরেই একবার না একবার হলেও এই প্রশ্নটা আসবে।একটা সিনেমা তৈরির পিছনের গল্প আমরা অনেকেই জানি না। কি পরিমাণ ত্যাগ, ভালোবাসা দিয়ে একটা সিনেমা বানানো হয় তার অনেক খানিই আমাদের অজানা থেকে যায়। সত্যজিৎ রায় ‘অপুর পাঁচালি’ বই এ এই সিনেমার সাথে জড়িত সব কাহিনী বর্ননা করেছেন। ১৯৫২ সালের শরৎকালের এক বিকেলবেলায়, দীর্ঘ সাদা কাশফুলে ছাওয়া এক মাঠের মধ্যে তিনি শুরু করেছিলেন ‘পথের পাঁচালি’র শুটিং। এর আগে তিনি কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে, ছবি আঁকানো শিখেছেন শান্তি নিকেতনে, পড়েছেন ইকোনমিক্স নিয়ে। কিন্তু কোথাও তিনি যেন থিতু হতে পারছিলেন না। এক সময় তিনি বিজ্ঞাপনের লে আউট আর বুক ডিজাইন দুটো নিয়েই কাজ করেছেন। এরই মাঝে তার সুযোগ এসে যায় ‘পথের পাঁচালি’ বইটি পড়ার। পরবর্তীতে এই বই এর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের চিত্রনাট্য তিনি করেন। ‘পথের পাঁচালি’ সিনেমাটির জন্য প্রথমেই যেটি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তা হচ্ছে অর্থ। কোনো প্রযোজক টাকা দিতে রাজি ছিলেন না। শুরুতে প্রযোজক দের আস্থা অর্জন করার জন্য পরিচালক নিজের জমানো টাকা এবং অনেকের কাছ থেকে ধার করে সিনেমার শুটিং এর কাজ করেন। সিনেমার প্রধান চরিত্র অপু আর দুর্গাকে খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাকে। ছোট শিশুদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর কখনোই ছিল না। কিন্তু তিনি ঠিকই উপায় বের করে ফেলেছিলেন। বুড়ি পিসির চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন তাঁর নাম ছিল চুনিবালা। সিনেমায় আমরা তাঁর অসাধারণ অভিনয় দেখেছি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পথের পাঁচালি গল্পে যে নিশ্চিন্দপুর গ্রামের কথা বলেছেন তার মেজাজ সত্যজিৎ রায় খুঁজে পেয়েছিলেন লেখকের শেষ জীবনের শিক্ষকতা করার গ্রামে যার নাম ছিল গোপালনগর। গল্পের শেষ এখানেই নয়। আরও অনেক না জানা অধ্যায় আছে এই সিনেমার পথচলা জুড়ে। সেইসব জানতে হলে পড়তে হবে সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘অপুর পাঁচালি’ বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব প্রিয় বই পথের পাঁচালি। সাথে সিনেমাটিও। যখন ‘অপুর পাঁচালি’ পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল প্রতিটি দৃশ্য আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। লেখক নানা জায়গায় কাজ করেছেন, নানা বিষয় সম্পর্কে জেনেছেন- প্রতিটি বিষয় যেন একদম আমার সামনে তুলে ধরা ছিল। কোথায় তিনি কোন ক্যামেরা কীভাবে বসিয়েছেন, কোন দৃশ্য কীভাবে নিয়েছেন সব যেন একদম জীবন্ত! এক ধরণের রোমাঞ্চকর অনুভূতি হয়েছে বইটি পড়ার সময়। যেন স্বয়ং সত্যজিৎ সামনে বসিয়ে তার জীবনের গল্প শোনাচ্ছেন। সত্যিকারের লেখক হয়ত একেই বলে!
Was this review helpful to you?
or
This is a book, which is a must read for every film director, specially the younger ones. I want to pay utmost respect to Sattajit Roy for inventing the way of "Bangla Cinema". After reading this book, you will surely dream to make your very own "Pother Pachali" & not only that this book will give you the required courage to start your journey as a film director. He described his personal experience here. You will know how bravely he fought against every odd to make arguably the greatest bangla film "Pother Pachali" & what it takes to win an Academy Award!!