User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Zubair Bin Shafi-SHAON

      13 Mar 2013 02:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গণিত ও বিজ্ঞানই মহাজাগতিক ভাষা । বিজ্ঞান লেখক আসিফের গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ক একটি অসাধারণ গ্রন্থ । গ্রন্থটিতে লেখক এই মহাজগত্ কে গণিত ও বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন । তার ধারাবাহিকতায় তিনি বইটির প্রথমেই তুলে ধরেছেন মিসরীয় হায়ারোগ্লিফিকের রহস্য উদ্ধারের আদ্যপান্ত । বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের অমর গণিতবিদ "রামানুজন" এর গণিতকীর্তি । চরম দারিদ্র্যতার মাঝে জীবনযাপন করেও গণিতে যিনি দেখিয়েছেন বিস্ময়কর প্রতীভা । যারা রামানুজনকে অনেকটাই জানতেন না বইটি তাদের সাথে বিশদভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে মহানগণিতবিদ রামানুজন কে । বইটিতে পাবেন "হেইকি কাঁকড়াদের" ইতিহাসের পাতায় উঠে আসার গল্প । বিবর্তনবাদের মূলমন্ত্র , মৃত্যু আর সময় নিয়ে আছে একটি বিশদ বিবরণ। আমাদের দেশের স্কুলগুলোর পাঠ্যবইয়ে জ্যামিতি শিক্ষার যে ফাঁক-ফোঁকর রয়েছে তারও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে । বিভিন্ন প্রাচীন গণিতজ্ঞ এবং তাঁদের বিভিন্ন স্বীকার্য- এসবের উপর আছে বিস্তারিত আলোচনা । প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান ও গণিতের ইতিহাসও উঠে এসেছে বইটির পাতায় । বহির্জাগতিক প্রাণ এবং সেটা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিরও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে বইটিতে । সর্বোপরি,বর্তমান যুগে গণিত ও বিজ্ঞান কতটা অপরিহার্য এবং এসবের প্রাচীনতম ইতিহাসের বিশদ বর্ণনা অজানা থেকে যাওয়া অনেক কিছুকেই জানতে সাহায্য করবে জ্ঞানপিপাসুদের ।

      By Not Buying Anything from Rokomari

      28 May 2014 11:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আসিফ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান-লেখক। প্রচুর প্রবন্ধ, নিবন্ধ এবং বিজ্ঞান-বিষয়ক রচনা তিনি পাঠকদেরকে উপহার দিয়েছেন যা তাদেরকে বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তুলেছে। একাধিক ম্যাগাজিন এবং পত্রিকার সাথে জড়িত ছিলেন এবং আছেন তিনি। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পেশাদার বিজ্ঞান-বক্তা হবার মতো আশ্চর্যজনক পেশা তিনি বেছে নিয়েছিলেন এবং নির্দ্বিধায় বলা যায়, তিনি সফল হয়েছেন। আসিফ গড়ে তুলেছেন ‘ডিসকাশন প্রজেক্ট’এর মতো প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের কাজ করে যাচ্ছে। তাঁর রচিত “গণিত ও বিজ্ঞানই মহাজাগতিক ভাষা” ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে। এটি মূলত বিভিন্ন সময়ে আসিফ কর্তৃক রচিত তেরোটি প্রবন্ধের সংকলন। বইয়ের শুরুতে আগ্রহোদ্দীপক ভূমিকা লিখেছেন বাংলাদেশের অন্যতম বিজ্ঞান-লেখক এবং প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা। বইয়ের রচনাগুলোর বিষয় পর্যবেক্ষণে বুঝা যায়, বিজ্ঞান-বক্তা আসিফের আগ্রহ বিজ্ঞানের নির্দিষ্ট কোনো অংশে নয়, বরং বিভিন্ন চমকপ্রদ বিষয়ের প্রতি তাঁর মনোযোগ রয়েছে। সাধারণভাবে দেখলে পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, বিবর্তন, গণিত, বিজ্ঞানের ইতিহাস এবং বিজ্ঞানের দর্শন নিয়েই বেশি লেখালিখি করেছেন তিনি। উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রায় সবগুলো নিয়ে লেখা প্রবন্ধ “গণিত ও বিজ্ঞানই মহাজাগতিক ভাষা” গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ‘মিসরীয় হায়ারোগ্লিফিক্সের রহস্য উদ্ধার’ এই বইয়ের প্রথম রচনা। মিসরীয় প্রাচীন লিখনপদ্ধতি হায়ারোগ্লিফিক্স নিয়ে আলোচনার আগে আসিফ পিরামিডের ইতিহাসে পরিভ্রমণ করেছেন। কীভাবে সেই অত্যাশ্চর্য স্থাপনাগুলো নির্মিত হলো তা নিয়ে মানুষের নানা জল্পনা-কল্পনার কথাও উঠে এসেছে এই লেখায়। লেখক গবেষকদের প্রদত্ত উপাত্তসমূহ দিয়ে পিরামিডের জন্মরহস্য তুলে ধরেছেন। একই সাথে হায়ারোগ্লিফিক্সের মতো প্রাচীন লিখনপদ্ধতি আবিষ্কারের পেছনের ইতিহাস এবং বিজ্ঞানও আলোচিত হয়েছে এই প্রবন্ধে। রোসেটা পাথরের থাকা খোদাই করা গ্রিক ভাষা থেকে কী করে গবেষকেরা এই প্রাচীন ভাষা উদ্ধারের চাবিকাঠি পেলেন তা জেনে সব পাঠকই রোমাঞ্চিত হবেন। এই প্রবন্ধের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো- এতে রোসেটা পাথরে হায়ারোগ্লিফিক্সের খোদাই থেকে কী করে অক্ষরগুলো গবেষকেরা বের করলেন তার একটা ছোট উদাহরণ দুই পৃষ্ঠা-ব্যাপী উদাহরণ চিত্রসহ দেখানো হয়েছে। হায়ারোগ্লিফিক্স নিয়ে এদেশে অনেকেই লিখেছেন, কিন্তু এভাবে গভীরভাবে আজ পর্যন্ত কোনো লেখক তুলে ধরেন নি। আগেই লিখেছি, গণিতের প্রতি লেখকের প্রচণ্ড আগ্রহ তাঁর রচনাসমূহ থেকে টের পাওয়া যায়। ‘বিজ্ঞান ও গণিতই হতে পারে মহাজাগতিক ভাষা’ তাঁর সেই আগ্রহেরই সফল প্রকাশ। বহির্জাগতিক প্রাণীদের সাথে মানবজাতির যোগাযোগের মাধ্যম কী হতে পারে- তা ভাবতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের মাথায় গণিতের কথাই সবার আগে এসেছে; কারণ গণিতের যে সার্বজনীনতা আছে তা মানুষের জ্ঞানের অন্য কোনো ক্ষেত্রের নেই। স্বাভাবিকভাবেই উন্নত কোনো প্রজাতি যদি মহাবিশ্বে বিরাজ করে তাহলে তারাও গণিতের মাধ্যমের আমাদের সাথে যোগাযোগে আগ্রহী হবে। এই কারণে বহির্জাগতিক প্রাণ অনুসন্ধানকারীরা মহাকাশের দিকে চেয়ে আছেন কোনো অনন্য প্যাটার্ন পাওয়া যায় কিনা, যা প্রাকৃতিক তরঙ্গগুলো থেকে ভিন্ন হবে। লেখক এই প্রবন্ধে ভয়েজারের মধ্যে রাখা বেতারবার্তা, বুদ্ধিমান প্রাণীদের সাথে যোগাযোগের উপযোগী বেতার তরঙ্গের দৈর্ঘ্য এবং এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্সি নিয়ে আলোচনা করেছেন। গণিতের প্রতি লেখকের ভালোবাসা আরো মূর্ত হয়ে উঠে যখন এই বইয়ের ‘জ্যামিতি কি ঠিকভাবে পড়ানো হচ্ছে?’ প্রবন্ধ পাঠ করি। এটি পুরোপুরি ট্যাকনিক্যাল একটি প্রবন্ধ। এটি বুঝতে হলে পাঠকের জ্যামিতির ওপর বেশ ভালো দখল থাকতে হবে। আমাদের পাঠ্যপুস্তক-গুলোয় এখনো দু’হাজার বছর আগের ইউক্লিডীয় জ্যামিতি হুবহু পড়ানো হয়। কিন্তু এই জ্যামিতির যে যৌক্তিক ফাঁক রয়েছে তা আর শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয় না। লেখক এই প্রবন্ধে ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতি সেই ফাঁকগুলো প্রমাণসহ দেখিয়েছেন। তিনি যৌক্তিক প্রমাণসহ দেখিয়েছেন যে ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির ফাঁকগুলো ব্যবহার করে বিষমবাহু ত্রিভুজকে সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ হিশেবে প্রমাণ করা যায়। এমনকি দেখানো যায়, ত্রিভুজের দু’টি কোণ সমকোণ হতে পারে কিংবা সামন্তরিকের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সম-দ্বিখণ্ডিত করে। আশা করি, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নকারী কর্তাব্যক্তিরা এই প্রবন্ধের উপসংহারটুকু আমলে নেবেন। আলোচ্য গ্রন্থের একটি বিচিত্র অধ্যায় ‘হেইকি কাঁকড়ারা কীভাবে ইতিহাসের পাতায় উঠের এলো’। শিরোনাম পড়ে প্রবন্ধের বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। প্রকৃতপক্ষে এটি বিবর্তনের প্রাকৃতিক নির্বাচন বিষয়ক একটি রচনা। লেখক শুরুতে ঐতিহাসিক উদাহরণের মাধ্যমে দেখান কীভাবে কৃত্রিম নির্বাচন জাপানের উপকূলে বসবাসকারী কাঁকড়াদের মধ্যে সামুরাইদের চেহারাযুক্ত কাঁকড়ার সংখ্যা বেড়ে যায় এবং আলাদা প্রজাতি হিশেবে চিহ্নিত হয়। যদি আমরা দেখতে পাই যে, কয়েকশ বছরে শিকারিদের কৃত্রিম নির্বাচন একটি কাঁকড়ার প্রজাতিতে এতোটা প্রভাব রাখতে পারে, তাহলে কোটি কোটি বছর ধরে প্রকৃতি বিদ্যমান প্রজাতিগুলোর ওপর যে প্রভাব রেখে আসছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না। লেখকের রচনাকৌশল চমৎকার। তিনি বিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন বিষয়ক তত্ত্বগুলো আউড়ে প্রবন্ধের শুরুতেই পাঠকের মাথায় বোঝা চাপাতে চান নি। তিনি ধীরে ধীরে পাঠককে তাঁর তত্ত্বের মধ্যে ঢুকিয়ে নেন, গল্প আর ইতিহাসের সাহায্যে। বিবর্তন বিষয়ক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা ঠাঁই পেয়েছে এই বইয়ে। ‘বিবর্তনের মূল মন্ত্র মৃত্যু ও সময়’ নামক প্রবন্ধে লেখক প্রায় চারশো কোটি বছর আগে আদিম পৃথিবীতে উদ্ভূত মাস্টার মলিকিউল থেকে যাত্রা শুরু করে প্রজাতির উদ্ভবের রূপরেখা বর্ণনা করেছেন। এটি বিবর্তনের ইতিহাসের বিশাল একটি ক্ষেত্র, তাই তিনি খুব সংক্ষেপেই সবকিছু বর্ণনা করেছেন। যদিও এই প্রবন্ধ পাঠ শেষে পাঠক অতৃপ্তিতে ভুগবেন, কেননা যথেষ্ট পরিমাণ তথ্যের সংযুক্তি এই রচনায় ঘটে নি। তবে উৎসাহী পাঠকের কৌতূহল বাড়িয়ে দেবে- তা নিশ্চিত। শুধু বিজ্ঞান ও গণিতই আসিফের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু নয়, ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য গণিতবিদ এবং বিজ্ঞানীও তাঁর কৌতূহলের উৎস। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান এবং গণিতবিদকে নিয়ে লেখা কয়েকটি রচনা এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড়ো গণিতবিদ রামানুজনকে নিয়ে রচিত ‘রামানুজন আয়েংগার: গণিতের অনন্তে যার বসবাস’ শীর্ষক প্রবন্ধটি লেখক আসিফের অসাধারণ একটি কীর্তি। একটু ঝুঁকি নিয়ে বলতে পারি- এই প্রবন্ধে রামানুজনকে যেভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে, তা আজ পর্যন্ত কেউই পারেন নি। এই অনুপ্রেরণাদায়ী প্রবন্ধটি স্কুলের পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। অত্যন্ত দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করা রামানুজনের মতো সামান্য কেরানি যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেন নি, তিনিই অল্প বয়সে মৃত্যুর পর তাঁর কীর্তির গুণে ‘গণিতবিদদের গণিতবিদ’ হিশেবে স্বীকৃত হয়েছেন- এই গল্প প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়াও রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে বিশ্বমানের গবেষণা করা পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর শ্রেষ্ঠতম কীর্তি ‘বোস-আইনস্টাইন স্ট্যাটিস্টিকস’এর ওপর রচিত একটি প্রবন্ধ। লেখক সত্যেন বোসের কোয়ান্টাম পরিসংখ্যান দিয়ে প্রবন্ধ শুরু করলেও অচিরেই পৌঁছে যান বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেশন বা পদার্থের পঞ্চম অবস্থায়। এদেরকে ছাড়াও ভারতের মধ্যযুগের গণিতবিদ ভাস্করাচার্য এবং আরবের দু’জন গণিতবিদ নাসিরউদ্দিন আল তুসি ও মুসা আল খোয়ারিজমিকে নিয়ে লেখা তিনটি ছোট ছোট জীবনী-ভিত্তিক রচনা এই গ্রন্থে সংযুক্ত হয়েছে। “গণিত ও বিজ্ঞানই মহাজাগতিক ভাষা” গ্রন্থের শেষ তিনটি রচনা ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর রচিত। ‘সময়ের ফাঁদের কিছু স্বপ্নময় উদ্যোগ’ প্রবন্ধে লেখক দেখিয়েছেন যে, মানুষের কিছু কিছু স্বপ্ন যা যথাকালের আগে উদ্যোগ নেয়ার কারণে কিংবা সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নি। লেখক লিওনার্দো ডা ভিঞ্চির উড়ুক্কু-যান নির্মাণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে আশির দশকের অরিয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে জানান যে, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এমন কিছু ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল যা মানব ইতিহাসের গতিপ্রকৃতিই পরিবর্তন করে দিতে পারত। যে ক্যালকুলাস সতেরো শতকে নিউটনের হাতে গড়ে উঠেছে সেটাই গড়ে উঠতে পারত খ্রিষ্টপূর্ব যুগে প্রখ্যাত গণিতবিদ আর্কিমিডিসের হাতে। শেষ দু’টো প্রবন্ধে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে হাজার বছর ধরে প্রচলিত নানা মিথ এবং সাম্প্রতিককালের ইউএফও বিভ্রান্তির উপর রচিত। এই রচনা দু’টো কলেবরে ছোট, তাই পাঠকেরা খুব বেশি কিছু জানতে পারবেন না। কৌতূহলোদ্দীপক এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখলে আলোচ্য বইয়ের সার্থকতা আরো বাড়ত- এতে কোনো সন্দেহ নেই। “খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ বছর পূর্বে পিথাগোরাসের কাছে আয়োনীয় বিজ্ঞানী অ্যানাক্সিমেনিস একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন- যখন চোখের সামনে দাসত্ব ও মৃত্যু বিরাজমান সে অবস্থায় নক্ষত্ররাজি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে কষ্ট করা কতখানি অর্থবহ?”- এ প্রশ্ন দ্বারা লেখক আসিফও তাড়িত হয়েছেন। আমরা সাধারণ মানুষেরা এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই করে থাকি যদি না জ্ঞানার্জনের সাথে জীবন ও জীবিকার সাথে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নির্ধারণ করতে পারি। লেখকের কাছে এর উত্তর হলো- “ প্রকৃতির ভারসাম্যের ব্যাপারটি বিজ্ঞান ও গণিতই আমাদের সবচেয়ে ভালোভাবে জানাতে পারে। জানাতে পারে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে, মহাবিশ্বের তুলনায় মানবজীবনের ক্ষুদ্র সময় অধিকার করে থাকার সম্পর্কে। আর এই বিজ্ঞান দিয়েই তুচ্ছসব কারণে বিভেদের প্রাচীর তুলে দেয়া, সামগ্রিক অবস্থান থেকে ব্যক্তি বা জাতি-স্বার্থকে আলাদা করে ফেলা মানবজাতির জন্য কতো বিপজ্জনক তা উপলব্ধি করতে পারব, অনুভব করতে পারব মানুষের সাথে মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কত গুরুত্বপূর্ণ”। আমি মনে করি, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা যে আবেগের সাথে মহাবিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এর বিশালতার সাথে তুলনা করে মানব প্রজাতির অস্তিত্বকে অনুভব করেন, সে আবেগ এবং দর্শন রাজনীতির কর্তাব্যক্তিদের মাঝে সঞ্চারিত করতে পারলে, আমরা একটি উন্নততর ও মুক্ত পৃথিবীতে শ্বাস নিতে পারতাম।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!