User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Shahrear

      09 Jul 2023 06:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ লেখা

    • Was this review helpful to you?

      or

      পড়ে ভালো লেগেছিলো!

      By Fahad

      10 Nov 2022 05:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেরা

      By Najifa

      14 Jun 2022 05:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It was good

      By Abdullah AL Mamun

      06 Feb 2022 03:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ,,

      By Omar Elahi

      03 Aug 2020 08:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো

      By Taohida Kabir

      28 Jun 2020 09:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It would be OK if it hadn't been so wonderful

      By আরিফুল ইসলাম

      06 Jan 2020 01:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জসিম উদ্দিনের লেখা চলে মুসাফির বইটা অনেক দারুণ। বাংলা সাহিত্যের এক অমুল্য সম্পদ।।প্রিয় পাঠকরা, বইটি একবার হলে পড়বেন। এটি মূলত, ভ্রমন কাহিনী।

      By Md.tareq-ul-hasan

      30 Dec 2019 12:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পল্লীকবি জসীম উদদীন। আমাদের সকলের কাছেই উনি কবি হিসেবে পরিচিত। অধিকাংশই উনার কবিতা পড়েছেন পাঠ্য হিসেবে বা কবিতা ভালোবেসে। আমি আজ উনার একটি বই সম্পর্কে বলবো, তবে সেটি অবশ্যই কবিতার বই নয়, উনার লেখা একটি ভ্রমণ কাহিনী। বইটির নাম চলে মুসাফির। ভ্রমণ কাহিনী হচ্ছে, আপনি কোথাও ঘুরতে গেলে কিভাবে গেলেন, কি কি দেখলেন, সেই স্থানের ক্রিস্টি-কালচার, মানুষের জীবন যাত্রা সম্পর্কে গল্প আকারে তুলে ধরাই হল ভ্রমণ কাহিনী। সাল ১৯৫০। সরকারী সহায়তায় কবি জসীম উদদীন মার্কিনমুলুকে ঘুড়তে গিয়েছিলেন। যাত্রাপথে তিনি বাহরাইন, লন্ডন এবং আইসল্যান্ডে অল্প সময়ের জন্য থেমেছিলেন। সেখানে থেকে আমেরিকা গিয়ে আবারও ফিরে এসেছিলেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। সেই সময় তার যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা গুলোই অত্যন্ত সরল ভাষায় তিনি তার ‘চলে মুসাফির’ গ্রন্থে তুলে ধরেছেন। মাত্র ১২৮ পৃষ্ঠার এই বইটিতে তিনি অধিবাসীদের গল্প বলেছেন, সাথে ঐ অঞ্চলের বর্ণনা যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। কবি ছিলেন জ্ঞান পিপাসু। নতুন জায়গা, নতুন মানুষ সম্পর্কে জানার আগ্রহ বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় প্রতিফলিত হয়েছে। বইটি পড়লে তাঁর ভ্রমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সাম্যক ধারণা লাভ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। কিছু বাঙ্গালী বন্ধুদের বাসায় উনার থাকার বন্দোবস্ত করা হলেও উনি বৃটিশ বন্ধুদের বাসায় থাকতে চেয়েছিলেন। এর কারন হলো বৃটিশদের সাথে থাকলে তিনি তাদের দৈনন্দিন জীবন, ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন, আর এটাই ছিলো তার ভ্রমনের মূল উদ্দেশ্য। তিনি পুরোপুরি ভাবে সেই সমাজের সাথে মিশে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন আমি এই সমাজ, এই খাবার, এই মানুষ গুলোকে দেশে গেলেও পাবো, তাই আপাতত বিদেশীদের সাথে নিজেকে মিশিয়ে ফেলতে চাই, তাদের সমাজ, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার এর থেকে ভালো সুযোগ আর দ্বিতীয়বার পাবো না। কবির এই অজানাকে জানার এডভেঞ্চার আমাকে মুগ্ধ করে। তিনি অজানাকে জানার জন্য এলিস নামের এক মেয়ের সাথে প্রথম পরিচয়েই বেরিয়ে পড়েন অজানা শহরের সৌন্দর্য দেখতে। সেখানে লেখকদের আড্ডায় প্রতিনিধিত্ব করেন বাংলা ভাষার, বাংলা ছড়ার। সেখানে অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তির সাথে কবির আলাপ হয়। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো কবি এজরা পাউন্ডের সাথে তাঁর সাক্ষাতটি। দুঃখজনক হলেও যখন তাঁদের এই সাক্ষাতটি হয় তখন এজরা পাউন্ড ছিলেন বদ্ধ উন্মাদ, তাই তাদের দেখাটি পাগলা গারদেই হয়েছিলো। এজরা পাউন্ড বাংলার পল্লীকবিকে বেশকিছু বই উপহার দিয়ে বলেছিলেন “বইগুলি তো বন্ধুবান্ধবদের দেওয়ার জন্যই। তারা যখন সচল তখনই জীবন্ত। অচল বই তো মৃত। এগুলো বিতরণ করিয়া দেওয়াতেই আনন্দ”। আমাদের পল্লীকবি অত্যন্ত রসিক মানুষ ছিলেন। লেখার ধাপেধাপে তার সেই রসিকতর প্রমান মেলে। তিনি তার ভ্রমনকৃত সব দেশের তরুণীদেরই সৌন্দর্য বর্ননা করেছেন। আইসল্যান্ডের তরুনীদের সম্পর্কে কবি বলেন “যেসব মেয়ে আমাদের খাবার পরিবেশন করিলো, তাহারা সকলেই যেনো ডানাকাটা পরী। তাহাদের মধ্যে কে কাহার চেয়ে বেশী সুন্দরী নির্ণয় করা যায় না”। সবশেষে একটি কথাই বলবো, আমাদের কবির চোখে বিদেশকে দেখতে, জানতে বইটি পড়ে দেখতে পারেন। মনে হবে যেনো নিজেই দেখছেন।

      By farhad ahmed

      07 Mar 2020 11:54 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      জসীমউদ্দীনের 'চলে মুসাফির' বইটি বেশ কিছুদিন ধরেই আমার সংগ্রহে আছে। কিন্তু পড়ার জন্য তেমন আগ্রহ জন্মায়নি। কয়েকদিন আগে বইটি চোখে পড়ায় একটু পাতা উল্টিয়ে দেখি। প্রথম পৃষ্ঠাতেই 'চলে মুসাফির' বইটিতে জসীমউদ্দীন যেসব দেশে গিয়েছিলেন সেসব দেশের মানুষের জীবনযাত্রা, সমাজ ইত্যাদির সজীব চিত্র এঁকেছেন। তাঁর এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ার সময় আমার কাছে মনে হচ্ছিলো যেন তিনি নকশী কাঁথায় নকশা বুনে যাচ্ছেন আর আমি তা দেখছি! মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং মানুষের সাথে তাঁর সহজে মেশার যে অপূর্ব দক্ষতা দেখেছি তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। পল্লীকবির লেখায় এতোই আবেগ যে, তাঁর আবেগে আমিও আপ্লুত হয়ে গেছি। কবি এই সফরে বাহরাইন, মিশর আর ইংল্যান্ড গেলেও তাঁর সফরের সিংহভাগ হচ্ছে আমেরিকায়। বইটিতে জসীমউদ্দীনের মুগ্ধতার চোখে দেখা বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের আমেরিকা চমৎকার প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তখনকার মার্কিন সমাজ আর বর্তমান মার্কিন সমাজের মধ্যে কতোটা তফাৎ আর কতোটা ভিন্নতা তা এই বইটি পড়ে দারুণভাবে উপলব্ধি করেছি। বইটি পড়ে আমার কখনো মনে হচ্ছিল যেন আমি নিজেই ভ্রমণ করছি অথবা কবি নিজ মুখেই আমাকে তাঁর ভ্রমণ কাহিনী শোনাচ্ছেন। চাইলে আপনারাও বইটি পড়তে পারেন।

      By Mohammad shah hafez kabir

      22 Nov 2019 10:11 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এটি জসিম উদ্দিনের আমেরিকায় ভ্রমন বিষয়ক বই। ১৯৫০ সালে তিনি পূর্ববঙ্গ সরকারের অর্থায়নে আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা কনফেরেন্স এ আসেন এবং প্রায় এক মাস থাকেন। এই সময়ের বিভিন্ন ঘটনা ও তার অভিজ্ঞতা এই ভ্রমন কাহিনিতে বর্ণিত হয়েছে। লেখকের সরলতা এবং জানার অদম্য আগ্রহ এই বইয়ের বর্ণনা থেকেই বোঝা যায়। আমি নিজে এই ভ্রমন কাহিনি পড়ার পর ইন্ডিয়ানা তে যায় এবং লেখকের বর্ণনার অনেক কিছুই মিলাতে পারি। বাংলা সাহিত্তের এক অমূল্য ভ্রমন কাহিনি হচ্ছে এই "চলে মুসাফির"।

      By Fardeen Bin Abdullah

      02 Nov 2019 01:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "ঘরে ঘরে আছে পরমাত্মীয় সেই ঘর লব চিনিয়া।" রবীন্দ্রনাথের এই লাইন দুইটির মাধ্যমেই আসলে পুরা বইয়ের মর্মার্থ প্রকাশ করা যায়! জসীম উদ্দীন ছোটবেলা থেকেই শুধু একজন কবি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।এত সুন্দর ভ্রমণ কাহিনীও যে আছে তা ভাবা হয়নি।অত্যন্ত সহজ,সরল ভাষায় জাতি,ধর্ম,বর্ণ উপেক্ষা করে তিনি সবার "মানুষ" পরিচয়টি তুলে ধরেছেন।সবাইকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন।পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের উদারতার কথা তুলে ধরেছেন।এই একটি বইয়ের মধ্য দিয়েই অনেক অসাধারণ মানুষের সাথে পরিচয় হয়ে গেলো। অসাধারণ বই!

      By ফয়সাল আহমেদ

      16 Oct 2019 11:51 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃচলে মুসাফির লেখকঃজসীম উদদীন প্রকাশনীঃপলাশ প্রকাশনী মূল্যঃ১৭৬টাকা জসীম উদদীন রচিত "চলে মুসাফির" শিশুর সারল্য নিয়ে লেখা এক অপূর্ব বর্ণনীয় ভ্রমণ কাহিনী। জসীম উদ্দীন ছোটবেলা থেকেই শুধু একজন কবি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।এত সুন্দর ভ্রমণ কাহিনীও যে আছে তা ভাবা হয়নি।অত্যন্ত সহজ,সরল ভাষায় জাতি,ধর্ম,বর্ণ উপেক্ষা করে তিনি সবার "মানুষ" পরিচয়টি তুলে ধরেছেন এ বইটিতে। সবাইকে ভালোবাসতে শেখানোর চেষ্টা করেছেন ।পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের উদারতার কথা তুলে ধরেছেন। লেখায় অন্তত একটি জিনিস সবসময়েই দেখেছি - কীভাবে দেশ-কাল-জাতি-ধর্ম সবকিছুর ঊর্ধে গিয়ে মানুষকে ভালোবাসা যায়, তাদের সহমর্মী হওয়া যায়। এই বিষয়ের উপর বই যে সকল পড়েছি, কিন্তু সেসব নিছক উপদেশের মত কিন্তু এ বইটি আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন পেয়েছি। মানুষের দৃষ্টিকোন যে কতরকম হতে পারে তা এ বই না পড়লে বুঝতে পারতাম।নিজের কাজ আর মানুষের সাথে সৌহার্দ্যর গল্প দিয়ে কীভাবে 'সবার উপরে মানুষ সত্য' কথাটিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যায় তার নিদর্শন জসীম উদদীন এর বইটি। তাঁর ভাষাতেই বলা যায়, 'বইটা পুরোটাই যেন একটা কবিতা। এই একটি বইয়ের মধ্য দিয়েই অনেক অসাধারণ মানুষের সাথে পরিচয় হয়ে গেলো আমার।অসাধারণ বই।

      By TUHIN MOLLA

      30 Jan 2022 03:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে চাইনা, তবে একটি কথা বলতে চাই, লেখক পুরোই নারী আসক্ত ??..

      By Md. Mahmud Alam

      05 Aug 2019 05:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানুষ হিসেবে কতটা সরল হলে এমন করে লেখা যায় না পড়লে বোঝা যাবে না। পৃথিবীর যেখানে যত মানুষ আছে সবাই যে মানুষ, মানুষের জন্যই যে মানুষ না পড়লে বোঝা যাবে না। আমরা শুধু জসীম উদ্দিন এর নকশী কাথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট সম্পর্কে জানি, এমন একটি চমৎকার ভ্রমণ কাহিনীও উনি লিখছেন জানতাম না। অসাধারণ............................................. ❤

      By Rubel Ahsan

      01 Jul 2019 04:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইটি পড়ে ইউরোপ আমেরিকা সম্পর্কে আমার ধারণা কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।

      By Jahan-E-Noor

      09 Apr 2013 04:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের লেখা এই বইটি ভ্রমণ কাহিনী ভিত্তিক। দেশ কাল জাতির সীমানা ভুলে যারা মানুষকে চিনতে চায় ভালবাসতে চায় তাদের জন্য মূলত বইটি।তাই বইয়ের ভুমিকায় কবির মতামতঃ”মানুষকে যাঁহারা ভালোবাসেন,পরিচয়ের সীমার বাহিরে শত শত মানুষের সঙ্গে যাঁহারা মনের মিতালী গড়িতে চান আমার এই পুস্তক পড়িয়া তাহাঁরা কিছুটা মনের তৃপ্তি পাইবেন।“ পল্লীকবির চোখ দিয়ে দেখা হয়ে যায় পঞ্চাশের দশকের মার্কিন মুল্লক-পাতাল পুরীর দেশ, শেক্সপিয়ার,শেলি কিটসের দেশ লন্ডন,জাজিরাতুল আরব-রসূলের দেশ ও তৎকালীন পাকিস্তান।প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে ভরপুর ছোট দেশ বাহরাইনে আরব বাসীদের দুঃখ দুর্দশার চিত্রও ফুটে উঠে। লন্ডনে টেনিসন পত্নীর সন্তান লালন পালন পদ্ধতি ও আমাদের দেশের নারীদের এ ক্ষেত্রে অসচেতনতা আমাদের সজাগ করে তোলেঃ ”শিশু লালন পালনের সব কিছু না জানিয়া আমরা শিশুর মা হই না।ম্যাগেট হাসিয়া উত্তর করিলেন।“ পথিমধ্যে মিসেস মিলফোর্ড,কুমারী আগাথা হেরিসন,চার্লি সিগার,এলেন লুমাক্স,সেই বৃদ্ধ দম্পতি,এজরা পাউন্ড,মিস এলিজাবেথ,হাজি সাহেব কিনবা সেই সাধারণ হকারকে আত্মীয়ার মত মনে হবে। ট্রেনে একজন মা তার ছেলেকে বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত নিত্য নতুন সৃষ্টি সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করাতে দেখে কবির অত্যুক্তিঃ“একটি জাগ্রত জাত কিভাবে তার ভবিষ্যৎ বংশধরকে জগতের বিভিন্ন সমস্যার সামনে দাঁড় করাইবার জন্য আগে হইতেই প্রস্তুত করাইয়া লইতেছে,তারই সামান্য কিছু আভাস পাইলাম এই মা ও ছেলের মধ্যে।“ সেই গায়ক দুখাই খন্দকারের মেয়ে- যার গান গান নয় যেন কিন্নরী কণ্ঠের করুণ কান্না,যার গান শুনে সাত সাগরের কান্না কবির দুচোখ বেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছে,আরব্য রজনীর হাজার এক রাত্রির একটি শ্রেষ্ঠ রাত্রির মত করে পাঠকের মনও পেতে চাইবে অমন একটি রাত। “সোনা বন্ধু রে!তোর সাথে মোর ভাব রাখা দায় তোর সাথে মোর প্রেম রাখা দায়। সোনা বন্ধু রে! তোর সাথে মোর ভাব রাখা দায় ও বন্ধু রে!…………” কবি লোক সাহিত্য বিষয়ক আমাদের দেশের উদাসীনতা বরাবরের মত আঙ্গুল তুলে দেখান,অস্তিতের শেকড় সম্পর্কে ভাবিয়ে তুলেন,আমরা কতটা সচেতন আমাদের সাহিত্য শক্তি নিয়ে?“ফুলের বাগান করিতে গেলে উপযুক্ত মালির প্রয়োজন, গাছের গোঁড়া হইতে আগাছা নিড়াইয়া তাহাতে সার নিক্ষেপ করিয়া পানি ঢালিতে হয়।দেশের বনে জঙ্গলে ত কত ফুল ফুটিয়া আপনা হইতে সৌরভ বিস্তার করে কিন্তু সেই ফুলের সন্ধান জানে কয়জন?আমাদের দেশে কত লালন ফকির, কত পাগলা কানাই জন্মিয়াছে,কে তাহাদের সন্ধান রাখে?দেশের সত্যকার সাহিত্য গড়িয়া তুলিতে হইলে, সাহিত্যদিগকে তেমনি সুযোগ সুবিধা করিয়া দিবার প্রয়োজন। আমেরিকা জাগ্রত জাতি। তার সাহিত্য শক্তি তার জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে নানা ধারায় ফুটাইয়া তুলিতে এই জাত তার সাহিত্যিক সমাজকে উপযুক্ত মর্যাদা দান করে।“ ফোকলোর সোসাইটি বা লোকসাহিত্য সভার মাধ্যমে ইউরোপ তার লোকসঙ্গীত,লোকনৃত্য,ইত্যাদি তার ভবিষ্যতের উত্তরসূরিদের জন্য অখণ্ড দলিল স্বরূপ রেখে যাচ্ছে।শুধু তাই নয়,বুদ্ধিহীন অপরিণত মস্তিষ্কের ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুল যেখানে সুদক্ষ শিক্ষক দিয়ে তাদের শক্তির ব্যবহার করা হয় এবং যারা সেখানে চাকরী করেন তারা মাসিক বেতনের জন্য নয়,অন্তরের স্নেহ মমতা দিয়ে কাজ করেন। এর মাঝে আমাদের গ্রাম বাংলার বিবাহ উৎসব কাহিনী ও চলে আসে। বর কিনবা কনে বাড়ির জন্য একজন পাকান পিঠা বানায় তো আরেকজন সেমাই কাটে,কেউ মিঠাই তৈরি করবে ডালিম কিংবা লিচুর মত করে,কেউ সুপারি কাটবে তো কেউ পান বানাবে। শুধু তাই নয় নকশী কাঁথা তৈরি করে বর কিংবা কনের বাড়ি পাঠান হয়। এইভাবে একটা বিবাহকে অবলম্বন করে এ গাঁয়ের মেয়েদের গুনপনার সঙ্গে ও গাঁয়ের মেয়েদের গুনপনার সুন্দর প্রতিযোগিতা হয়। যদিও নগরায়নের যুগে এই ধরনের আনন্দ উৎসব এখন বিলুপ্তির পথে।কল্পনায় ও তা ছোঁয় না। :( আমাদের সাহিত্যকৃষ্টির প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের উদাসীনতা ও এখানে কবি উল্লেখ করেন,” পশ্চিম পাকিস্তান হইতে পূর্ব পাকিস্তানে যাইয়া সেই আলাদা রীতিনীতি দেখিয়া আমাদের কোন কোন ভাই মনে করেন,এই পার্থক্য হিন্দু প্রভাবের ফল।তাহারা আশা করেন এইসব পার্থক্য ভাঙ্গিয়া আমরা আপনাদের সঙ্গে আসিয়া এক হই………পার্থক্যের জন্যই মানুষ মানুষের বন্ধু হয়।আমার ভিতরে যাহা নাই তাহা আমরা অপরের নিকটে পাইয়া তাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব করি……।“ সবশেষে বলবো ১৪২ পৃষ্ঠার এই বইটি অবসরে কিংবা ভ্রমণে পড়বার মত দারুণ একটা বই।প্রতিটি লেখা আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে পল্লীকবির দেখানো সেই “সোনার পাতায় ছাওয়া ছোট কুটির খানি” তে,স্বপ্নিল হয়ে উঠবে আপনার যাত্রাটাও-“সরষে খেতের বনে মটর শিমের লতা তার শাড়ির আঁচল টানিয়া ধরিতে চায়,দু’ধার হইতে সরষে ফুলের গুচ্ছগুলি ঈষৎ হেলিয়া পড়িয়া তার সরষে ফুলের মত রঙ্গিন অঙ্গে সুগন্ধের রেণু মাখাইয়া দেয়,নদীর ঘাটে যাইয়া শূন্য কলশীতে জল ভরিতে সে অবাক হইয়া চাহিয়া দেখে;দেখে কোন উদাস রাখাল সামনে হিজল গাছটির উপর বসিয়া তার বাঁশের বাঁশিতে সুর পুরিয়া সমস্ত আকাশে বাতাসে ছড়াইতেছে আর হিজল গাছ হইতে রাশি রাশি রাঙা ফুল ঝড়িয়া নদীর পানিকে রাঙা করিয়া দিতেছে, এমনি একটি দৃশ্যের জন্য যদি তোমার মন কোনদিন লালায়িত হয় তবে একবার আমাদের পাকিস্তানে তুমি আসিও।“

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!