User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের শ্রেষ্ঠ বই।
Was this review helpful to you?
or
fine
Was this review helpful to you?
or
❤️
Was this review helpful to you?
or
অস্থির একটা বই
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
তের বছরের ছোট্ট মেয়ে টুম্পা, ছবি আঁকতে ভীষণ ভালোবাসে। অসাধারণ সব ছবি আঁকতে পারে। মা এবং সৎ বাবার সাথে আমেরিকায় থাকে। তার নিজের বাবা পাগল হওয়ায় টুম্পা খুব ছোট থাকতে তার মা তাকে নিয়ে আমেরিকায় চলে আসে। তার সৎ বাবা তাকে মোটেও পছন্দ করেন না। কথায় কথায় তাকে তার বাবার মতোই পাগল বলেন। ছোট্ট এই মেয়েটার জীবন তিনি স্কুল আর বাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখেন। তার একটা ছোট ভাই জন্মানোর পরে তার মাও তার কথা প্রায় ভুলেই যায়। ছবি আঁকা নিয়ে ব্যস্ত থেকে টুম্পা তার কষ্টগুলো ভুলে থাকে। কিন্তু এটাও তার সৎ বাবা পছন্দ করেন না। তার খুব ইচ্ছা করে তার নিজের বাবাকে দেখতে, ইচ্ছা করে তার বাবা কেমন তা জানতে। ইচ্ছা করে তার নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশকে দেখতে। ইন্টারনেট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। জানতে পারে বাংলাদেশে নাকি অনেক সুন্দর বৃষ্টি হয়.. সে বাংলাদেশ দেখতে চায়।বাংলাদেশের বৃষ্টিতে ভিজতে চায়। কিন্তু তার সৎ বাবা বাংলাদেশের মতো দেশের টিকেট কিনে টাকা নষ্ট করতে ইচ্ছুক না। টুম্পা আর্ট কম্পিটিশনে দ্বিতীয় হয়ে দেড় হাজার ডলার পুরষ্কার পায়। এই টাকা দিয়ে সে বাংলাদেশের টিকেট কিনে। অবশেষে বাবা-মাকে রাজী করিয়ে একা একা চার সপ্তাহের জন্য চলে আসে সবুজের দেশে, বৃষ্টির দেশে। তার জন্মভূমিতে। বাংলাদেশে এসে সে তার হারিয়ে যাওয়া বাবা বুলবুল রায়হানকে খুঁজে পায়। টুম্পা জানতে পারে তার বাবা মোটেও পাগল না। তিনি ছিলেন এক সময়কার জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী। কিন্তু পরে তিনি স্কিৎজোফ্রেনিয়া নামক এক ভয়াবহ মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এই রোগে আক্রান্ত লোক অবাস্তব জিনিস দেখে ভয় পায়। সবাইকে সন্দেহ করে। যেটা নিয়ে ভয় পায় সেটা অবাস্তব, কিন্তু ভয়টা পুরোপুরি বাস্তব। তিনি নিজেকে অন্ধকার ঘরে আবন্ধ করে রাখেন। টুম্পা তার বাবাকে আগের মতোই স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে শেখায়। আগের মতো ছবি আঁকতে অনুপ্রেরণা দেয়। কিন্তু চার সপ্তাহ যে খুব অল্প সময়, খুব দ্রুতই চলে যায়। টুম্পার আমেরিকায় চলে যাওয়ার সময় চলে আসে। .... অসম্ভব সুন্দর একটি উপন্যাস। পুরো বই জুড়ে রয়েছে এক ধরনের অদ্ভুত অনুভূতি।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর বই
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া বেস্ট বইগুলোর মধ্যে একটা
Was this review helpful to you?
or
আমি এই বই থেকে একটি মেয়ের বাংলাদেশের কৃত্রিম ভালোবাসা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
Was this review helpful to you?
or
Best book for daddy loving daughter
Was this review helpful to you?
or
Amazing book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই। অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই। আমার পড়া শ্রেষ্ঠ বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ খুবই ভালো
Was this review helpful to you?
or
বইঃ বৃষ্টির ঠিকানা লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনাঃ পার্ল পাবলিকেশন্স প্রকাশনী হতে প্রকাশিত । দামঃ ১৯১ টাকা খুবই ভাল বই। এটি টুম্পা নামক একটি বাংলাদেশী মেয়ের গল্প ,যে তার মা, সৎ বাবা এবং সৎ ভাইয়ের সাথে আমেরিকায় থাকেন। এই গল্পটি টুম্পাকে নিয়ে, টুম্পা বাংলাদেশে এসে তাঁর প্রকৃত বাবাকে খুজে বের করে ।
Was this review helpful to you?
or
Brishtir thikana is a book that make me realize the love between a father and daughter and also about love for your country. In the story a girl name tumpa live in America, her mother left her father because of his mental problem. But her was a famous artist in Bangladesh. After some year she come back to Bangladesh to find her father,when she come back to Bangladesh she found her father but he was so ill because of scothjofrinia. Tumpa try her best to cure her father illnesses, will she be able to make her father normal again and turn him into a great artist again . All of this things I have known from the book.
Was this review helpful to you?
or
বাবা মেয়ের ভালোবাসার অসাধারণ কাহিনী।দেশের নামকরা একজন চিত্রশিল্পী বুলবুল রায়হানের মেয়ে টুম্পা রায়হান।ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ে টুম্পা।বাবা দেশে থাকলেও টুম্পা মা আর সৎ বাবার সাথে আমেরিকায় থাকে।তার মন শুধু দেশের জন্য টানে।নিজেই টাকা জমিয়ে সে দেশে আসে।খুঁজে পায় নিজের বাবাকে,,খুঁজে পায় বৃষ্টির ঠিকানা ♥
Was this review helpful to you?
or
বৃষ্টির ঠিকানা খুবই অদ্ভুত একটা বই। গল্পের টুম্পা নামের মেয়ের চরিত্রটি খুব অদ্ভুত ও অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ১৪ বইয়ের নামঃ বৃষ্টির ঠিকানা লেখকঃজাফর ইকবাল প্রকাশনীঃপার্ল পাবলিকেশন্স ধরনঃশিশু-কিশোর উপন্যাস মূল্যঃ২০০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপেঃ উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র 'টুম্পা' নামের ১৩-১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে। সে তার মা, সৎ বাবা আর সৎ ভাই লিটনের সাথে আমেরিকায় থাকে। সে ছোটবেলায় মায়ের সাথে আমেরিকা চলে আসলেও শুধুমাত্র বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছে বলেই সে বাংলাদেশে আসতে চায়। সে বাংলাদেশকে ভালবাসে। তেরো বছরের একটা ছোট্ট মেয়ে টুম্পা । সে ছবি আঁকতে ভালবাসে । অসম্ভব সুন্দর ছবি আঁকে। কিন্তু তার মনটা যেন সবসময় পড়ে থাকে বাংলাদেশে । সে ইন্টারনেটে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছু পড়ে , চেষ্টা করে অনেক কিছু জানার । একটা আর্ট কম্পিটিশনে বি ক্যাটাগরিতে সেকেন্ড হয়ে প্রাইজ পেল দেড় হাজার ডলার । সেই ডলার খরচ করে সে বাংলাদেশে আসার বিমান টিকেট কাটল ।এখানে এসে টুম্পা তার সত্যিকারের বাবার খোঁজ পায় যিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। টুম্পা বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এখানে একটা মেয়ে যে কিনা কখোনো তার বাবাকে দেখেওনি তার বাবার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা সত্যি অভূতপূর্ব।এর দ্বারা বাবা মেয়ের মাঝে যে নীবিড় সম্পর্ক রয়েছে যা অবিচ্ছেদ্য তাই ফুটে উঠেছে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ এই বইটি পড়ে নিজের দেশের প্রতি এক অদ্ভুত ধরনের ভালবাসা জন্মে। টুম্পার সাহসিকতা আর নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টার কথা চিন্তা করলে নিজেরও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। এই বইটি থেকে আমরা এমন অনেক জিনিস শিখতে পারি যা আমাদের কাজে লাগবে। আমি মনে করি সবার এই বইটি অন্তত একবার পড়া উচিত।অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইটি একদমই আলাদা।উপন্যাসটি পাঠকের চোখে যেমন অশ্রু এনে দেয় তেমনি অজানা এক ভালোলাগায় ভরিয়ে দেয় হৃদয় কে । লেখক পরিচিতিঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃবৃষ্টির ঠিকানা লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরনঃ শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনীঃ পার্ল পাবলিকেশন্স মুল্যঃ ২০০ টাকা জাফর ইকবাল স্যার এর পড়া প্রথম কিশোর উপন্যাস,, এই বইটির মাধ্যমে আমি তার মতো এক বড় মাপের লেখকের সাথে পরিচিতি লাভ করি,, অসাধারন বই।। তার লেখা কিশোর উপন্যাসগুলো পড়ার সময় মনে হয় যাদুর বাগিচাতে আছি,, তাই নতুন করে কিছু বলবোনা।। এই বইটির মুল চরিত্রের নাম টুম্পা। সে বড় হয় আমেরিকায়। সে অনেক ভালো ছবিও আকে,, একবার ছবি আকার প্রতিযোগিতায় অনেক গুলো ডলার জিতে নেয়,, এখন কি করবে টুম্পা এতোগুলো ডলার দিয়ে?? টুম্পার বাবা অনেক বড় মাপের শিল্পি ।সে তার বাবাকে দেখেনি কখনও।তার বাবা থাকেন বাংলাদেশে কিন্তু সে কি কখনো তাকে খুজে পাবে??? আসতে পারবে বাংলাদেশে?? টুম্পা এটাও জানে বাংলাদেশে ভালো বৃষ্টি হয়,,বৃষ্টি দেখার তার অনেক শখ।। বইটি পড়ে তখন ভেবেছিলাম, অন্যদেশে থেকেও নিজের দেশের প্রতি টুম্পার কতোটাই না টান ছিল,, তাহলে যারা সত্যিই জিবিকার তাগিদে বাইরে কাজের খোজে যায় না জানি রাতজাগা কত মনে পড়ার স্মৃতি তাদের মনে নিজের দেশকে নিয়ে,, একদিকে যেমন বইটাতে দেশপ্রেম ছিল অন্যদিকে বাবা মেয়ের সম্পর্ক টাও ছিল,, আবার বাংলাদেশকে কিছু মানুষ অনেক নিচু চোখে দেখে এরকম মানুষের কথাও উপন্যাসটিতে আছে আচ্ছা যে কখনো বাবাকে দেখেয়নি সেই সন্তান যদি কখনও জানে বাবার বর্তমান কোন বড় রোগ নিয়ে তার রি একশন টা কেমন হবে?? বাবার পাশে কি সে সত্যিই থাকবে?? দিতে চাইবে তার মুল্যবান সময়?? জানতে হলে চোখ বন্ধ করে পড়ে ফেলুন উপন্যাসটি।। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ কিছু মানুষের স্বার্থপরতা,,কিছু মানুষের আথিতেয়তা,, কিছু মানুষের ভালোবাসা,,, এই সবকিছু মিলে আমার কাছে উপন্যাস টি পরিপুর্ন মনে হয়েছে।। প্রিয় গুলোর মধ্যে একটি।। আশা করি নিরাশ হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমার অসাধারণ লেগেছে । যারা বই এর পোকা তারা বইটি পরে দেখবেন , আশাকরি টাকা এবং সময় জলে যাবে না ।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : বৃষ্টির ঠিকানা
Was this review helpful to you?
or
মেয়েটার নাম টুম্পা রায়হান। সে আমেরিকাতে তার মা, ভাই আর বাবার সাথে থাকে। তার সৎ বাবা। তার সৎ বাবা তাকে মোটেও দেখতে পারে না। সারাক্ষণ তাকে ঘরে বন্দি করে রাখে। তার যাতায়াত শুধু স্কুল থেকে বাসা পর্যন্ত। টুম্পা মেয়েটি ছবি আকঁতে খুব পচ্ছন্দ করে। তার যখনই মন খারাপ থাকে তখনই সে ছবি আকেঁ। কিন্তু তার সৎ বাবার এই ছবি আকাঁ নিয়েও অভিযোগ। টুম্পার বাংলাদেশে আসার ভীষণ ইচ্ছা। সে ইন্টারনেট ঘেটে বাংলাদেশ সম্পর্কে পড়ে, জানে অনেক তথ্য। টুম্পা একদিন বাংলাদেশে আসার একটা বড় ধরনের সুযোগ পায়। এক আর্ট কম্পিটিশনে যোগ দিয়ে সেকেন্ড প্রাইজ পায় দেড় হাজার ডলার। কিন্তু তার সৎ বাবা কিছুতেই আসতে দিবে না। টুম্পার মা অনেক কষ্টে বাবাকে রাজি করিয়ে টুম্পাকে বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থা করে দেন। টুম্পা পাড়ি দেয় তার মাতৃভূমির উদ্দ্যেশ্যে। আসলে টুম্পা এদেশে আসে তার বাবাকে খুজঁতে। তার বাবা একজন নামকরা চিত্রশিল্পী। বুলবুল রায়হান। তার বাবা স্কিৎজোফ্রোনিয়া রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সবাই ভাবে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। এমনকি টুম্পার মাও তাই ভেবেই টুম্পাকে নিয়ে বিদেশ চলে গেছেন টুম্পার বাবাকে রেখে। কিন্তু টুম্পা এসে খুজেঁ বের করে তার বাবাকে। তেরো বছরের এই ছোট্ট মেয়েটিই তার বাবাকে আবার নতুন করে বাচাঁর আশা জাগায়। নতুন করে আবার জেগে উঠেন তিনি। আর এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে জাফর ইকবাল স্যারের "বৃষ্টির ঠিকানা" উপন্যাসটি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ বৃষ্টির ঠিকানা লেখকঃজাফর ইকবাল প্রকাশনীঃপার্ল পাবলিকেশন্স ধরনঃশিশু-কিশোর উপন্যাস মূল্যঃ২০০ টাকা (রকমারি মূল্যঃ১৫০ টাকা) . উপন্যাসের কাহিনীটা ছোট মেয়ে টুম্পাকে ঘিরে।তেরো বছরের ছোট একটি মেয়ে টুম্পা।মা এবং সৎ বাবার সাথে সে আমেরিকাতে থাকে।টুম্পার আসল বাবা পাগল তাই টুম্পার মা তাকে ছেড়ে চলে এসেছেন।টুম্পার নতুন বাবা টুম্পাকে একদম পছন্দ করেন না। তেরো বছর বয়সী এই কিশোরীর জীবনটাকে তিনি সিমাবদ্ধঙ্করে রাখেন মেয়েটির স্কুল আর বাসার মাঝে । ছবি আঁকা নিয়ে ব্যাস্ত থেকে সে তার কষ্টগুলোকে নিজে থেকে দূরে সরিয়ে দিত । কিন্তু নতুন বাবার এই ছবি আকা নিয়েও ছিল অভিযোগ । প্রায়ই টুম্পাকে তার নতুন বাবা থেকে একটা কথা শুনতে হতো, টুম্পাও তার বাবার মতই পাগল, তার আসল বাবার মত । . একদিন টুম্পার স্কুলের এক টিচার আমেরিকা টিচারের কাছে বাংলাদেশ প্রশংসা শুনি টুম্পার ইচ্ছা হয় বাংলাদেশ দেখার।টুম্পা অনেক ভাল ছবি আঁকতে পারতো। একটা আর্ট কম্পিটিশনে বি ক্যাটাগরিতে সেকেন্ড হয়ে প্রাইজ পেল দেড় হাজার ডলার । সেই ডলার খরচ করে সে বাংলাদেশে আসার বিমান টিকেট কাটল । তারপর পা বাড়ালো বাংলাদেশের পথে । একা বাংলাদেশে সে তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজতে এসেছে । বুলবুল রায়হান । নামকরা একজন চিত্রশিল্পী । পাগল বলে টুম্পার মা টুম্পাকে নিয়ে বহুদিন আগেই সব ছেড়েছুড়ে আমেরিকা চলে গেছেন । তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে বের করে টুম্পা । স্কিত্জফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত পাগল হয়ে যাওয়া মানুষটিকে একটা নতুন জীবন দিল তার ছোট্ট মেয়েটি । . টুম্পা তার বাবাকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে এটা তার ভয়ংকর একটা অসুখ তাকে এই অসুখ নিয়েই বাঁচা শিখতে হবে । একসময় টুম্পা তার বাবাকে নিয়ে বাইরে বের হয় । তখনই ছিনতাইকারীরা এসে তাদের সব কিছু নিয়ে যায় । টুম্পার বাবা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে । টুম্পার বাবার ডাক্তার এজন্য টুম্পাকে দায়ী করে । টুম্পা অনেকটা বাবার উপর অভিমান করে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । এভাবেই কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে । সবশেষে বলা যায় মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা বৃষ্টির ঠিকানা চমৎকার একটি বই। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ জাফর ইকবাল স্যারের সেরা কিশোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। “বৃষ্টির ঠিকানা” নামটার মাঝে যেন প্রকৃ্তির এই আশ্চর্য সৌন্দর্য ও একে ধারণকারী একটি প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ দেশের বিবরণ চলে আসে।বইটির কাহিনীও চমৎকার একটা মেয়ের তার বাবার প্রতি ভালোবাসা চমৎকার ভাবে প্রকাশ পেয়েছে বইটাতে
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের সেরা কিশোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি।
Was this review helpful to you?
or
একটা বইয়ের কথা বলতে গেলে শুরুই হয় তার নাম দিয়ে আর এই বইটার নামের প্রশংসা না করে পারছিনা,“বৃষ্টির ঠিকানা” নামটার মাঝে যেন প্রকৃ্তির এই আশ্চর্য সৌন্দর্য ও একে ধারণকারী একটি প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ দেশের বিবরণ চলে আসে।বইটির কাহিনীও চমৎকার একটা মেয়ের তার বাবার প্রতি ভালোবাসা।সাধারণত বাবার শুন্যতা চরমভাবে অনুভব করে পিতহীন বা বিচ্ছিন্ন পরিবারের সন্তানেরা।কিন্তু এখানে একটা মেয়ে যে কিনা কখোনো তার বাবাকে দেখেওনি তার বাবার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা সত্যি অভূতপূর্ব।এর দ্বারা বাবা মেয়ের মাঝে যে নীবিড় সম্পর্ক রয়েছে যা অবিচ্ছেদ্য তাই ফুটে উঠেছে।প্রবাসীদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা বাংলাদেশকে তুচ্ছ করে দেখে,টুম্পার সৎ বাবার মাধ্যমে তাদের পুরোটাই ফুটে উঠেছে।আর দেশের বাইরে থেকেও যে দেশের প্রতি টান থাকা সম্ভব তা প্রমান করেছে টুম্পা।অনেক বাংলাদেশী বাইরের মানুষের কাছে নিজের পরিচয় দিতে ভয় পায়,কিন্তু তারাযে বাংলাদেশীদের সম্পর্কে ভাল ধারণাও রাখতে পারে তার প্রমান মিসেস হেরিকসন।টুম্পার বাবা মুখে বড় বড় কথা বল্লেও হেরিকসনের এক ধমকেই কুপোকাত,এর থেকে প্রমান হয় স্বার্থান্বেষী মানুষদের স্বভাব।টুম্পার খালার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশীদের আতিথীথেয়তা।আর সবচেয়ে বড় যে জিনিষটা এখানে ষ্পষ্ট তা হচ্ছে,মানুষ চাইলে সবই পারে।আর এখানে কিছুটা বিজ্ঞানও রয়েছে।এই যে টুম্পা ওর বাবার মত ছবি আকতে পারে তা সম্পূর্ণ জেনেটিক।আরেকটা জিনিষ সবচেয়ে সুন্দর তা হচ্ছে লেখকের কল্পনা,একজন স্ক্রীতজোফেনিয়ার রোগীর সামনে বন্দুকধারী পড়লে কি হবে তা চিন্তা করা আসলেই প্রশংসনীয়।তবে এই কাহিনীতে কিছু অসম্ভব জিনিষও রয়েছে যেমন সর্বপ্রথমে ১৪বছরের একটা মেয়েকে তার মা কখোনোই একা দূরে যেতে দিবেনা।তারপর ওর খালা,একটা মানুষ এতো কথা সাধারণত বলেনা!আর খেজুর গাছের ছায়া ঠান্ডা দেখে রাস্তায় লাগানো হয়,অন্য কারনে না!আর শুরুতেই বলা যে টুম্পার বাবার মাথা খারাপ,আর তার খালা এতো সহজে তার বাবার সাথে দেখা করতে দিলো?আর একটা কথা,১৪ বছরের মেয়ে হাউমাউ করে কাদলে খুবই খারাপ দেখায়!এই গল্পে সবচেয়ে সুন্দর দিকটি হচ্ছে বৃষ্টির সাথে আমাদের সম্পর্ক...আমরা দুঃখেও বৃষ্টিতে ভিজি,সুখেও।আর অনেকে মনে করেন যে বাবা মেয়ের সম্পর্ক থাকবে ভয়ের।কিন্তু তা যে অনেক বেশী বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুন্দর হতে পারে তা বলা হয়েছে এখানে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা আমার পড়া অন্যতম সুন্দর ভালোবাসার গল্প।একজন মেয়ে আর তার বাবার মাঝে চলা টানা-পোঁড়েনের কাহিনী।বাবা আর মেয়ের মধ্যে যে অসম্ভব স্বর্গীয় ভালোবাসার বন্ধন এই বই তা ফুটে ওঠে।আমার পড়া জাফর ইকবাল স্যার এর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। বই পড়তে পড়তে বারবার চোখে জল চলে এসেছে।যা আমার সাথে খুব কম হয়।বইটা শেষ করে তো ঝরঝর করে কেঁদেই ফেললাম।খুব খুব খুব ভালো বই।বইটা পড়ুন। ভালো লাগবে।???
Was this review helpful to you?
or
আমি, ক্লাস এইটে পড়ি, বাসার সবার চোখে আমি বইপোকা ?। কিন্তু কোনোদিন কোন বই পড়ে আমি কান্না করিনি, কিন্তু "বৃষ্টির ঠিকানা "বইটি পড়ার পর আমি কেদেছি?।আমার এই ছোট্ট জীবনের সাথে প্রায় পুরোটাই মিলে গিয়েছিল.....। কারণ আমার বাবাকেও আমি অনেকদিন দেখিনা?,,টুম্পা যখন বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেদেছিল, তখন আমি নিজেকে টুম্পার জায়গায় দাড়া করিয়ে ভেবেছিলাম, আমার বাবাকে পেলে আমি তাই করতাম??,,,।যারা বাবার কাছ থেকে দূরে থাকো,আর বাবাকে অনেক অনেক ভালবাসো তাদের জন্য এই বই?
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: বৃষ্টির ঠিকানা লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বইয়ের ধরণ: কিশোর উপন্যাস বইয়ের নামটা প্রথমবার দেখে অন্য কারো কী মনে হয়েছিলো বা হচ্ছে জানিনা, আমার কেন জানি মনে হয়েছিলো গল্পের মূল চরিত্রটির নামই হবে বৃষ্টি!! কিন্তু আমার ধারণাটি লেখক সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে দিলেন গল্পের শুরুতেই! গল্পটি শুরু হয়েছে সুদূর আমেরিকার মাটিতে, একটি ক্লাসরুম থেকে। এবং গল্পের মূল চরিত্র টুম্পার সাথে আমাদের পরিচয় ঘটবে এখানেই, যে কিনা খুব ভালো ছবি আঁকে। ভুল করে জ্যামিতি ক্লাসে জ্যামিতি টিচারের পরিবর্তে ভুগোল টিচার মিসের হ্যানরিকসনকে দেখে স্টুডেন্টস যতখানি হতাশ হয়েছিলো তার চেয়ে বেশি চমৎকৃত হয়েছিলো তার কথাবার্তায়! যেখানে প্রতিটি মানুষ সবসময় আমেরিকাকে মহান মনে করে বাংলাদেশকে সবসময় ছোট করছে, সবসময় প্রতিটি দেশকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে আসছে, সেখানে মিসেস হেনরিকসনের সবগুলো কথা ছিলো ইতিবাচক। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত টুম্পা প্রথমবারের মতো তার জন্মভুমি সম্পর্কে ইতিবাচক কথা শুনে আগ্রহ অনুভব করে। এমনকি বাংলাদেশ নিজের চোখে দেখার প্রয়োজন অনুভব করে। কিন্তু এটা তার জন্য মোটেও সহজ ছিলোনা। কারণ সে বড় হয়েছে সেপারেটেড ফ্যামিলিতে। টুম্পা তার নিজের বাবা সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানেনা। শুধু জানে, তার বাবার মাথায় সমস্যা ছিলো বলে তার মা আরেকটি বিয়ে করে টুম্পাকে নিয়ে আমেরিকা চলে আসেন। আর নতুন বাবা টুম্পাকে একদমই সহ্য করতে পারেননা। সারাক্ষণ বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলেন। তাই টুম্পাও সহজে বাংলাদেশে যাওয়ার পারমিশন পায়নি। তবে টুম্পা শেষ পর্যন্ত একদিন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। টুম্পা একদিন তার নিজের বাবাকে খুঁজে পায়। জানতে পারে তার বাবা একজন অনেক বড় আর্টিস্ট ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। টুম্পা আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকতে তার বাবাকে সুস্থ করে তুলতে। সে কি তার বাবাকে শেষ পর্যন্ত সুস্থ করে তুলতে পারে? পুরো ঘটনাটা জানতে পড়ে ফেলতে হবে গতানুগতিক কাহিনীগুলোর চেয়ে অনেকখানি ভিন্ন ধরণের এই বইটি, যেটির সূচনা আমেরিকার মাটিতে হলেও শেষ হয়েছে বাংলাদেশ নামক সুন্দর একটি দেশে সুন্দর একটি বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে♥
Was this review helpful to you?
or
কাকতালীয়ভাবে, আমার বয়সও তখন তেরো, এই বই প্রথম যখন পড়া হয়। দেশের বাইরে থাকার কারণে, আমি তখনও চিনতাম না জাফর ইকবাল নামের এই গুনী লেখককে। "বৃষ্টির ঠিকানা" পড়া শুরু করার পর যখন এই বয়স, সীমাবদ্ধ জীবনের প্রতি একঘেয়েমি এবং বাবার প্রতি তৈরি হওয়া অগাধ ভালোবাসার সাথে পরিচিত হতে থাকলাম, লেখক এবং তাঁর লেখনীও হয়ে উঠতে থাকে আমার প্রিয়। এখানে ঠিকানাটা মূলত বাংলাদেশ, বৃষ্টির অপূর্ব নিদর্শনসমৃদ্ধ এ দেশ। টুম্পার বেড়ে ওঠা দেশের বাইরেই এবং অঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কারে বিজিত অর্থ দিয়ে সে ঘুরে দেখতে চায় তার মাতৃভূমি এবং দেশে তার জন্মদাতা বাবার সাথে সম্পর্কের উত্থান- তা লেখকের শব্দে এক অনন্য রূপায়ণ! বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং মোড় ঘুরে টুম্পার তেরো বছর বয়সে যেই অভিজ্ঞতাটা তৈরি হয়েছিলো, তা পড়ে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
Was this review helpful to you?
or
দেশকে ভালোবাসার প্রথম হাতেখড়ি হতে পারে বৃষ্টির ঠিকানা গল্পটি। খুব ছোটছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছোটছোট শিশু কিশোরদের মাঝে দেশাত্মবোধের বীজ বুনে দিয়েছেন এই বইয়ের মাধ্যমে। মানুষকে বিশ্বাস করার শেকড় গড়ে দিয়েছেন ধন্যবাদ লেখক।
Was this review helpful to you?
or
বৃষ্টির ঠিকানা মুহম্মদ জাফর ইকবাল *********************************************** "বৃষ্টির ঠিকানা" মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি কিশোর উপন্যাস যা ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি টুম্পা নামের আমেরিকা প্রবাসী তেরো বছরের এক কিশোরীকে নিয়ে। সে যখন খুব ছোট ছিল, তখন তার স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বাবাকে ফেলে তার মা তাকে নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। তার সৎ বাবাও একজন বাংলাদেশি। তার কাছ থেকে টুম্পা বাংলাদেশ সম্পর্কে নেগেটিভ আইডিয়া পেয়ে এসেছে ছোট থেকেই। হঠাৎ টুম্পাদের ক্লাসে সাবস্টিটিউট টিচার হিসেবে ক্লাস নিতে আসেন মিসেস ক্রিস্টিনা হেনরিকসন। টুম্পার জন্ম বাংলাদেশে জেনে তিনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা এলেন গিন্সবার্গের 'সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড' কবিতার কথা, জর্জ হ্যারিসনের 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশের' কথা বলেন। শুনে টুম্পা মুগ্ধ হয় আর সুযোগ খুঁজতে থাকে বাংলাদেশে আসার জন্য। সেই সুযোগও পেয়ে যায় টুম্পা। ছবি আঁকার কম্পিটিশনে ২য় হয়ে ১৫০০ ডলার প্রাইজমানি পায় সে। সেই টাকায় টিকেট কিনে টুম্পা চার সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে আসে এবং নাটকীয়ভাবে খুঁজে পায় তার জন্মদাতা বাবাকে... ♦ উপন্যাসটিতে টুম্পা ও তার বাবার কেমেস্ট্রি আমাকে মুগ্ধ করেছে। একজন মেয়ের সান্নিধ্যে তার বাবা কতটা মোটিভেটেড হতে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত "বৃষ্টির ঠিকানা" উপন্যাসটি। ♦ আরেকটি বিষয় খুব ভাল লেগেছে। সেটা হল উপন্যাসটিতে দেশপ্রেমকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জাফর ইকবাল স্যারের এ দিকটি আমার বেশ ভালো লাগে। তিনি তাঁর লেখায় বাংলাদেশকে সব সময় পজিটিভ দিক থেকে দেখান। এজন্য তাঁর লেখার প্রতি আলাদা টান অনুভব করি ছোটবেলা থেকেই। ভিন্নধর্মী এই উপন্যাসটি পড়ার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে শেষ করছি। ধন্যবাদ :)
Was this review helpful to you?
or
তেরো বছরের একটা ছোট্ট মেয়ে । টুম্পা । সে ছবি আঁকতে ভালবাসে । অসম্ভব সুন্দর ছবি আঁকে । মায়ের সাথে সে আমেরিকায় থাকে । কিন্তু তার মনটা যেন সবসময় পড়ে থাকে বাংলাদেশে । সে ইন্টারনেটে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছু পড়ে , চেষ্টা করে অনেক কিছু জানার । একটা আর্ট কম্পিটিশনে বি ক্যাটাগরিতে সেকেন্ড হয়ে প্রাইজ পেল দেড় হাজার ডলার । সেই ডলার খরচ করে সে বাংলাদেশে আসার বিমান টিকেট কাটল । তারপর পা বাড়ালো বাংলাদেশের পথে । একা । বাংলাদেশে সে তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজতে এসেছে । বুলবুল রায়হান । নামকরা একজন চিত্রশিল্পী । পাগল বলে টুম্পার মা টুম্পাকে নিয়ে বহুদিন আগেই সব ছেড়েছুড়ে আমেরিকা চলে গেছেন । তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে বের করে টুম্পা । স্কিত্জফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত পাগল হয়ে যাওয়া মানুষটিকে একটা নতুন জীবন দিল তার ছোট্ট মেয়েটি । বাবাকে কাছে টেনে সে তার বুকের ভেতর জমে থাকা ভালবাসাটুকু উজার করে দিল । যে মানুষটি মরে গেছে বলে সবাই জানত সেই মানুষটিকে নতুন করে বাহিরের দুনিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ছোট্ট মেয়েটির নাম টুম্পা । পুরো উপন্যাস যেন হারিয়ে যাওয়া বাবা আর মেয়ের মহা মিলনের হৃদয়বিদারক এক জীবন্ত উপাখ্যান !
Was this review helpful to you?
or
তেরো বয়সের মেয়ে টুম্পা । থাকে মা আর সৎ বাবার সাথে আমেরিকায় । বাংলাদেশের বৃষ্টিতে তার ভেজার শখ । কিন্তু তার বাবা মা কিছুতেই তাকে বাংলাদেশে পাঠাবে না । শেষ পর্যন্ত টুম্পা তার বাবা মাকে রাজি করাতে পারে । চলে আসে সবুজের দেশ, বৃষ্টির দেশ বাংলাদেশে । দেশে এসে টুম্পা তার আপন বাবা সম্পর্কে ভয়ানক সত্য কথা জানে । তার বাবা স্কিৎজোফ্রেনিয়া রোগী । এটা এমন একটা রোগ যেখানে রোগী অবাস্তব একটা জিনিষ নিয়ে ভয় পায় । যে জিনিষটা নিয়ে ভয় পায় সেটা অবাস্তব হতে পারে কিন্তু ভয়টা পুরোপুরি বাস্তব । একটি প্রায় অন্ধকার ঘরে নিজেকে আটকে রাখে টুম্পার বাবা । সবাইকে সন্দেহ করে । টুম্পা তার বাবাকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে এটা তার ভয়ংকর একটা অসুখ তাকে এই অসুখ নিয়েই বাঁচা শিখতে হবে । একসময় টুম্পা তার বাবাকে নিয়ে বাইরে বের হয় । তখনই ছিনতাইকারীরা এসে তাদের সব কিছু নিয়ে যায় । টুম্পার বাবা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে । টুম্পার বাবার ডাক্তার এজন্য টুম্পাকে দায়ী করে । টুম্পা অনেকটা বাবার উপর অভিমান করে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । এভাবেই কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে । সবশেষে বলা যায় মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা সব বইয়ের মধ্যে বৃষ্টির ঠিকানা বইটি শ্রেষ্ঠ ।
Was this review helpful to you?
or
অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইটি একদমই আলাদা। যে কারনে আলাদা কিছু বলার নেই। এক কথায় অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
মেয়েটির নাম টুম্পা । অনেক ছোটবেলায় সে তার মায়ের হাত ধরে বাংলাদেশ ছেড়ে, তার বাবাকে ছেড়ে চলে আসে আমেরিকায় । সেসবের কিছুই টুম্পার মনে নেই । এর পর টুম্পার মায়ের যে মানুষটার সাথে বিয়ে হয় তিনি হন টুম্পার নতুন বাবা । কিন্তু মানুষটা টুম্পাকে পছন্দ করতেন না মোটেও । বিশ্বাস করতোনা মেয়াটাকে । তেরো বছর বয়সী এই কিশোরীর জীবনটাকে তিনি সিমাবদ্ধঙ্করে রাখেন মেয়েটির স্কুল আর বাসার মাঝে । অনেক সুন্দর ছবি আঁকতে পারে টুম্পা । ছবি আঁকা নিয়ে ব্যাস্ত থেকে সে তার কষ্টগুলোকে নিজে থেকে দূরে সরিয়ে দিত । কিন্তু নতুন বাবার এই ছবি আকা নিয়েও ছিল অভিযোগ । প্রায়ই টুম্পাকে তার নতুন বাবা থেকে একটা কথা শুনতে হতো, টুম্পাও তার বাবার মতই পাগল, তার আসল বাবার মত । টুম্পা তার আসল বাবা, তার দেশ সম্পরকে বলতে গেলে কিছুই জানে না । তার খুব জানতে ইচ্ছে করে তার বাবা কেমন ছিলেন, তার নিজের বাবা ।আর ইন্টারনেট ঘেঁটে ঘেঁটে বাংলাদেশের নানা রকম তথ্য জানতে জানতে তার মনে ইচ্ছে জন্ম নেয় তার মাতৃভূমি বাংলাদেশ এ যাওয়ার । সেই দেশে, যে দেশে পৃথিবীর মাঝে সব থেকে সুন্দর বৃষ্টি হয় , যে দেশে তার নিজের বাবা থেকে । তার নতুন বাবা তাকে যতই নিরুৎসাহিত করতে চান টুম্পার বাংলাদেশে যাবার জেদ যেন ততটাই বাড়তে থাকে । একদিন টুম্পা তার স্বপ্ন পূরণে সফল হয় । ছবি আঁকার একটা প্রতিযোগিতা থেকে ২য় পুরস্কার হিসেবে পাওয়া অর্থ দিয়ে সে পাড়ি জমায় তার মাতৃভূমির উদ্দেস্যে । নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে খুঁজে পায় তার বাবা কে । স্কিৎজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগে আক্রান্ত তার বাবা কে সে আবার আগের মত করে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে শেখায় । সবাই যে মানুষটাকে মৃত বলে জানত সেই মানুষটা তার তেরো বছরের মায়াবতি মেয়েটার হাত ধরে নতুন ভাবে বাঁচতে শুরু করে্ন, আবার আগের মতই হয়ে ওঠেন বিখ্যাত শিল্পী বুলবুল রায়হান । আর এভাবেই এগিয়ে যায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত "বৃষ্টির ঠিকানা " কিশোর উপন্যাস এর কাহিনী । উপন্যাসটি তেরো বছর বয়সী এক কিশোরীর বাবার প্রতি ভালোবাসার, তার দেশের জন্য মমতার । উপন্যাসটি পাঠকের চোখে যেমন অশ্রু এনে দেয় তেমনি অজানা এক ভালোলাগায় ভরিয়ে দেয় হৃদয় কে । উপন্যাস টি পড়তে পড়তে আমি নিজেই যেন এক মুহূর্তের জন্য টুম্পা হয়ে উঠেছিলাম এবং আমার বিশ্বাস "বৃষ্টির ঠিকানা" উপন্যাসটি পড়ে পাঠক হারিয়ে যাবেন মায়াবতী সেই কিশোরী টুম্পার স্নেহ ভালোবাসায় ঘেরা ছোট্ট জগতটাতে ।
Was this review helpful to you?
or
এই পর্যন্ত আমার পড়া জাফর ইকবাল এর শ্রেষ্ঠ বই!!! একবার একটু কষ্ট করেই পড়ে দেখুন, আপনাকে এই আশশস্ত-ই দিতে চাই যে আপনি নিরাশ হবেন নাহ!
Was this review helpful to you?
or
টুম্পা । সে ছবি আঁকতে ভালবাসে । অসম্ভব সুন্দর ছবি আঁকে ।তেরো বছরের একটা ছোট্ট মেয়ে । মায়ের সাথে সৎ বাবার সে আমেরিকায় থাকে । টুম্পার নতুন বাবা । মানুষটা টুম্পাকে পছন্দ করতেন না মোটেও। তেরো বছর বয়সী এই কিশোরীর জীবনটাকে তিনি সিমাবদ্ধঙ্করে রাখেন মেয়েটির স্কুল আর বাসার মাঝে । ছবি আঁকা নিয়ে ব্যাস্ত থেকে সে তার কষ্টগুলোকে নিজে থেকে দূরে সরিয়ে দিত । কিন্তু নতুন বাবার এই ছবি আকা নিয়েও ছিল অভিযোগ । প্রায়ই টুম্পাকে তার নতুন বাবা থেকে একটা কথা শুনতে হতো, টুম্পাও তার বাবার মতই পাগল, তার আসল বাবার মত । কিন্তু তার মনটা যেন সবসময় পড়ে থাকে বাংলাদেশে । সে ইন্টারনেটে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছু পড়ে , চেষ্টা করে অনেক কিছু জানার । একটা আর্ট কম্পিটিশনে বি ক্যাটাগরিতে সেকেন্ড হয়ে প্রাইজ পেল দেড় হাজার ডলার। ড্যানিয়েল জিজ্ঞেস করল, “ঠোম্পা! তুমি কী করবে দেড় হাজার ডলার দিয়ে?” “ বাংলাদেশে যাবার জন্য প্লেনের টিকেট কিনব!” বাংলাদেশের বৃষ্টিতে তার ভেজার শখ । কিন্তু তার বাবা মা কিছুতেই তাকে বাংলাদেশে পাঠাবে না । শেষ পর্যন্ত টুম্পা তার বাবা মাকে রাজি করাতে পারে ।পাড়ি জমায় তার মাতৃভূমির উদ্দেস্যে । চলে আসে সবুজের দেশ, বৃষ্টির দেশ বাংলাদেশে। বাংলাদেশে সে তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজতে এসেছে । বুলবুল রায়হান । নামকরা একজন চিত্রশিল্পী । পাগল বলে টুম্পার মা টুম্পাকে নিয়ে বহুদিন আগেই সব ছেড়েছুড়ে আমেরিকা চলে গেছেন । তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে বের করে টুম্পা । টুম্পা তার আপন বাবা সম্পর্কে ভয়ানক সত্য কথা জানে । তার বাবা স্কিৎজোফ্রেনিয়া রোগী । এটা এমন একটা রোগ যেখানে রোগী অবাস্তব একটা জিনিষ নিয়ে ভয় পায় । যে জিনিষটা নিয়ে ভয় পায় সেটা অবাস্তব হতে পারে কিন্তু ভয়টা পুরোপুরি বাস্তব । একটি প্রায় অন্ধকার ঘরে নিজেকে আটকে রাখে টুম্পার বাবা । সবাইকে সন্দেহ করে । টুম্পা তার বাবাকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে এটা তার ভয়ংকর একটা অসুখ তাকে এই অসুখ নিয়েই বাঁচা শিখতে হবে ।তার বাবা কে সে আবার আগের মত করে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে শেখায় । সবাই যে মানুষটাকে মৃত বলে জানত সেই মানুষটা তার তেরো বছরের মায়াবতি মেয়েটার হাত ধরে নতুন ভাবে বাঁচতে শুরু করে্ন, আবার আগের মতই হয়ে ওঠেন বিখ্যাত শিল্পী বুলবুল রায়হান ।