User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এক-কথায় অসাধারণ। স্যার যদি আরো কিছু স্মৃতিচারণামূলক বই লিখতেন তবে নিঃসন্দেহে তা চমৎকার হত!
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
It's very beautyful book. জাফর ইকবাল একজন অসাধারন লেখক।
Was this review helpful to you?
or
একজন সফল মানুষ হতে হলে কতটা উৎসর্গ করতে হয় তা জাফর ইকবাল স্যারের বইয়ে পেয়েছি।তার জীবনের শুরুর দিকটা যে এখনকার মতো এত সুখময় ছিলনা সেটির বর্ণনা রয়েছে এই বইয়ে।
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর অসাধারণ আত্মজীবনীমূলক একটি বই রঙ্গিন চশমা যেখানে তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কথা অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। তাঁর জীবনের সাথে সাথে যুদ্ধের সময় তাঁর বাবার মৃত্যু, তাঁর বোনের কথা বলার অক্ষমতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। যুদ্ধের সময় বাবার মৃত্যুশোক, মাকে সামলানো সহ পুরো পরিবার এর সদস্যদের সামলানো সব সামলিয়েছেন সাহসীকতার সঙ্গে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা জানুয়ারি রিভিউ ১ বইয়ের নাম : রঙিন চশমা লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৬ মূল্য: ১৫৪ টাকা (১২% ছাড়ে) কোনো এক নিস্তব্ধ রাতে পড়তে চাইলে কেটে যাবে অনায়াসে সবটুকু সময়। নিঝুম রাতের খোরাক হতে আত্মজীবনী কখন আপনাকে হাসাবে, কখনও আপনাকে কাঁদাবে। মূলত কারো আত্মজীবনীর কোনো এককথায় সংজ্ঞা হয়না, হয়না সারমর্ম। জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহকে আমরা বেশিরভাগই চেপে রাখি। কিন্তু অব্যক্ত কথাগুলো মনকে পাথর করে দেয়, আবার প্রচন্ড আবেগে আপনাকে উঠে দাঁড়াতেও শেখায়। হ্যা। আজকে এমনি একটি আত্মজীবনীর কথা বলছি। লেখকের প্রতি আমাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে। কিন্তু তার জীবনীতে হয়তো এমন কিছু রয়েছে যা আপনাকে ভাবতে শেখাবে তার জায়গায় আপনি থাকলে কি করতেন। এরকমই ছোট -বড় ঘটনার মালা গেথেই বইটি রচিত।বন্ধুদের সাথে নানা ঘটনা নিয়ে লেখা অংশগুলোই ‘রঙিন চশমা’ বইয়ের মুল অংশ, আর এইটাই বইটির নামের স্বার্থকতা। জীবনটাই যে এমন। রঙিন চশমাটা না চোখে দিলে বোধ হয় জীবন নামের সমুদ্র পাড়ি দেয়া বেশ কঠিন ছিল। রঙিন চশমা গল্পটির শুরু হয় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষে, যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে জাফর ইকবালকে নেহাৎই একজন কিশোর। তারপর তার বেড়ে ওঠা, মায়ের ইচ্ছা পূরণে যুদ্ধে মৃত বাবার কবর খুঁড়ে দেখা সিগারেট খাওয়ার উঠতি ভাব, কলেজে থাকাবস্থায় পাগলামী, কার্টুন একে নিজের খরচ চালানো, সিল্ভার নাইট্রেট দিয়ে হাতে মাছ আঁকতে গিয়ে মরতে বসা, আর অ্যামেরিকায় পড়তে যাওয়া – আর অনেক কিছু নিয়েই একটি হাল্কা স্মৃতিচারণা। আজকের লেখক জাফর ইকবালকে অনেকটুকুই বোঝা যায় এই লেখাটি পড়লে। মানুষের ব্যক্তিজীবন আর তার লেখকজীবনের আছে নানান তফাৎ। আদতে কি মানুষ মানুষকে এতো সহজে চিনতে পারে কাছ থেকে গভীর ভাবে না বুঝে, না দেখে? আপনাদের কাছেই রইলো প্রশ্ন।
Was this review helpful to you?
or
"প্রথমবার ক্লাসে যাবার আনন্দটাই অন্যরকম। আমি ক্লাসে যেতে পারছিনা, মাকে নিয়ে পিরোজপুর যাচ্ছি। সেখানে একটি নদীতীরে আমার বাবার কবর খুঁড়ে তার দেহাবশেষ বের করতে হবে। কাজটা কি করে করব চিন্তা করলেই আমার বিচলিত হবার কথা ছিল, কিন্তু আমি সেটা নিয়ে এতটুকু বিচলিত ছিলাম না ।কারণ এর চাইতেও কঠিন কাজ করা আমার বাকি ছিল।" মুহাম্মদ জাফর ইকবালের জীবনের ঘটে যাওয়া, হাসি কান্না কষ্টের কথা তিনি এই বইয়ে লিখেছেন। বইয়ের নাম রঙ্গিন "চশমা" বইয়ে তার ছোটবেলার ছবি পরিবারের ছবি রয়েছে। এছাড়া স্কুল কলেজের মজার ঘটনা,তার কৈশোরের দিনগুলি অনেক সুন্দর করে ফুটে উঠেছে এই বইয়ে। যুদ্ধের পরে তার পরিবারের অবস্থান বেশ ভাল ভাবেই ফুটে উঠেছে এতে। বইয়ের প্রচ্ছদে তার দুরন্ত কৈশোরের একটি ছবি রয়েছে, যা তার ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে। তার সম্পর্কে জানতে হলে সব থেকে ভাল বই এটি
Was this review helpful to you?
or
রঙিন চশমা জাফর ইকবাল স্যারের একটি অসাধারণ এবং অসাধারণ আত্মজৈবনিক স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ । বইটিতে তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এবং সে সময়ের "রঙিন" কিছু কথা এবং কিছু কিছু দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরেছেন । সে কারণে বেশ কিছু পারিবারিক স্মৃতিকথাও বইটিতে চলে এসেছে । অনন্য অসাধারণ এ বইটির শুরুটাই হয়েছে এক হৃদয় বিদারক নির্মম সত্য দিয়ে । দেশ স্বাধীন হবার পর কিভাবে শহীদ বাবার কবরের সন্ধান পেয়ে তিনি ছুটে গেছেন আর কিভাবে নিজ হাতে কবর থেকে বাবার দেহাবশেষ তুলেছেন বইটিতে আছে তার হৃদয় নিংড়ানো এক হৃদয় বিদারক বর্ণনা । যুদ্ধের পর বাবা হারা সন্তানেরা কিভাবে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে আর স্বামীহারা দুখিনি মা কিভাবে জীবন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন আছে সেসব কথাও । তবে বইটিতে মূর্ত হয়ে উঠেছে স্যারের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মজার আর অমোচনীয় সব স্মৃতি । বন্ধুদের সাথে অনেক খুনসুঁটি আর জম্পেশ আড্ডাবাজির গল্প । আছে তাঁর শিক্ষাজীবনে নিজের একটা ভাল অবস্থান গড়ে নেবার গল্প । আছে লেখক হওয়ার শুরুর দিনগুলোর সংগ্রামী গল্প । বইটির অন্যতম আকর্ষণ স্যারের কিছু পারিবারিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সাদাকালো পুরনো ছবি । তবে এক কথায় পুরো বইটিই জাফর ইকবাল স্যারের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন এবং সে সময়ে তাঁর জীবনকথার এক স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবি ।
Was this review helpful to you?
or
স্যারের এখন আত্মজীবনী লেখায় মন দেওয়া দরকার। এমন ভাবনা থেকে যদি ভালো কোন ব্যাপার ঘটনা আমাদের শেয়ার করা যায় তবে ভালোই লাগবে। রঙ্গিন চশমাতে স্যার তার জীবনের যতটুকুর ভাঁজ খুলে পেরেছেন তাতে হাসির পরে তার বাবার শহীদ হওয়ার ঘটনাও এসেছে। স্যার অনেক অসাধারন কিছু লিখে দিয়ে আমায় চোখের জলে ভাসিয়েছেন, এভাবেই ভাসতে চাই আরও কোন ভালো লেখা উপহার দিক আমাদের।
Was this review helpful to you?
or
১. জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখার সাথে বাংলাদেশী পাঠকের পরিচয় প্রায় চার দশক। তারপরও তাঁর যেকোনো নতুন লেখার প্রতি মানুষের আগ্রহে ভাটা পড়ে নি কখনো। বিভিন্ন ধরনের রচনায় তিনি সিদ্ধহস্ত; শিশু-কিশোর সাহিত্য, সায়েন্স ফিকশন, ছোট গল্প, বড়োদের উপন্যাস, এমনকি দৈনিক পত্রিকার কলাম লিখে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। তাঁর যে গ্রন্থটি নিয়ে এই আলোচনা সেটি উপরোক্ত কোনো ক্যাটাগরির সাথে যায় না, তবে যেহেতু লেখকের তরুণ বয়সের বিভিন্ন বিষয়ের স্মৃতিচারণা বইটিতে রয়েছে সেহেতু একে অনায়াসে আত্মজৈবনিক রচনা বলা যেতে পারে। কিন্তু এর কিছু রচনা আবার আলাদাভাবে গল্পের মর্যাদাও পেতে পারে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রঙিন চশমা’ নিয়ে এই গ্রন্থালোচনা। ২. সাহিত্য-ভুবনে আত্মজৈবনিক রচনা একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। আত্মজৈবনিক রচনা ব্যক্তি বিশেষের জীবনের নানা ঘটনার কথাই শুধু বলে না, সার্থক রচনা তুলে আনে তৎকালীন সমাজের নানা দিক, উঠে আসে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার সত্যাসত্য। সর্বোপরি একটি আত্মজৈবনিক রচনা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে। যেমন- জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরে দিনগুলি’একটি অনন্যসাধারণ দলিল যা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনার ঊর্ধ্বে উঠে এসে জাতিগত আবেগ এবং বেদনা তুলে ধরেছে, যে কারণে বইটি আমাদের সকলের প্রিয়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রঙিন চশমা’ সে তুলনায় ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্নার আখ্যান, যে কারণে এটি সার্বজনীনতা অর্জন করতে পারেনি; কিন্তু আমরা এই স্মৃতিকথার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ঢাকার চিত্র আংশিক উপলব্ধি করতে পারি। ৩. এই আত্মজীবনীর প্রায় পুরোটাই লেখা হয়েছে লেখকের তরুণ বয়স তথা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অংশটুকু নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই বইয়ের বড়ো অংশজুড়ে আছে লেখকের বন্ধু-সহপাঠীরা। বন্ধুদের সাথে ঘটা নানা ঘটনা নিয়ে লেখা অংশগুলোই ‘রঙিন চশমা’ বইয়ের সবচেয়ে উপভোগ্য অংশ। এসব ঘটনা পড়তে পড়তেই আমাদের ফিক করে হেসে ফেলতে হয়। বন্ধুদের নিয়ে নানান রসিকতার যে ছোট ছোট গল্পগুলো আছে এই গ্রন্থে, তাতে আমরা মাঝেমধ্যেই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠি। ফজলুল হক হল ও শহীদুল্লাহ হলের মধ্যে গালাগালির প্রতিযোগিতা, মাঘ মাসের শীতের রাতে পুকুরে সাঁতার দেয়া, প্ল্যানচেটে বসে মৃত আত্মা ডেকে এনে বিপদে পড়া, শিক্ষা সফরে লাগামহীন ফুর্তি- ইত্যাদি নানা ঘটনার সাথে তরুণেরা খুব সহজেই নিজেকে একাত্ম করতে পারবে। বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনায় আমাদের কাছে এটুকু পরিষ্কার হয় যে লেখক তাঁর বন্ধুদের কাছে ছিলেন বিশেষ সমাদৃত। ৪. আত্মজৈবনিক রচনায় স্বাভাবিকভাবেই আসে পরিবার এবং তার সদস্যদের কথা। এই গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সেই কঠিন সময়ে একটি শহীদ পরিবারকে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে দেখি। যদিও লেখক বেশ ঢেকেই রাখতে চেয়েছেন তখনকার আর্থিক কষ্টগুলো, তবুও নানা ঘটনায় তা বেরিয়ে এসেছে যা আমাদের সুযোগ করে দেয় সেই সময়কার পারিবারিক দুর্যোগগুলো সম্পর্কে কিছুটা জানার। পরিবারের অর্থকষ্টের ভার লাঘব করার জন্য লেখক হন্যে হয়ে খুঁজেছেন অর্থ আয়ের সম্মানজনক উপায়। কখনো টিউশনি, কখনো বা পত্রিকায় কার্টুন এঁকে, আর কখনো টিভিতে উপস্থাপনা করে নিজের খরচ চালিয়ে গেছেন তিনি। এতো অর্থকষ্টের মধ্যেও পারিবারিক সংস্কৃতি চালু রেখেছিলেন লেখকের মা। লেখকের অন্যান্য আত্মজৈবনিক রচনার মাধ্যমে আমরা জানি যে তাঁর পরিবারে বইপড়ার একটি চমৎকার অভ্যাস চালু রেখেছিলেন তাঁর শহীদ পিতা। একাত্তর পরবর্তী কঠিন সময়ে মানিক রচনাবলীর জন্য অনেকগুলো টাকা খরচ করে লেখকের মা যেন সেই পরম্পরাই ধরে রাখতে চাইলেন। এতে করে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘লেখক’ হিসেবে বেড়ে ওঠার কারণগুলোও আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়। ৫. একাত্তর পরবর্তী ঢাকার সমাজ এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবন সম্পর্কে যে পাঠকেরা জানতে আগ্রহী তাদের জন্য এই বইটি একটি দারুণ সুযোগ। স্বয়ং মুহম্মদ জাফর ইকবালের চশমা দিয়ে তাঁর আশপাশ এবং তৎকালীন সমাজ দেখতে পারার সুযোগ তো হেলাফেলায় নেয়া চলে না! সাজেদুল ওয়াহিদ
Was this review helpful to you?
or
বইটি লেখা জাফর ইকবাল স্যার এর মূলত বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে কেন্দ্র করে। ( আত্মজীবনী )। আমরা অনেকেই জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা পড়ি। অনেকেই হয়ত জানি যে তার বাবা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু অনেকেই হয়ত জানি না যে, যুদ্ধের সময় তিনি তার শহিদ বাবাকে মাতি খুঁড়ে বের করে এনে কবর দেন। ব্যাপার টি যে কি পরিমাণ কষ্টদায়ক তা একমাত্র তার পক্ষেই অনুভব করা সম্ভব। এছাড়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তার এবং তার পরিবারের জীবন কিভাবে কেটেছিল, এবং তরুন বয়সে তিনি কি রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন, তার খুটি নাটি বর্ণনা দিয়েছেন এই বইয়ে। বিদ্রঃ বইটিতে জাফর ইকবাল স্যার এর তখনকার অনেক ছবি, বন্ধুবান্ধবদের ছবি, তার পরিবারের ছবি সহ ছোট খাট একটি অ্যালবাম দেয়া আছে। তবে যেই জিনিসটি একদম বিশ্বাসযোগ্য নয় তা হল তার চেহারা। আজকে তার চেহারা আর তখনকার চেহারা তুলনা করলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে "এই ছিলেন আমাদের প্রিয় জাফর ইকবাল স্যার?"
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের একটি অসাধারণ এবং অসাধারণ আত্মজৈবনিক স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ রঙিন চশমা। লেখকের তরুণ জীবন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অংশটুকু নিয়ে এই আত্মজীবনীর প্রায় পুরোটাই লেখা হয়েছে। বইয়ের বড়ো অংশজুড়ে আছে লেখকের বন্ধু-সহপাঠীরা। কারন সময় গুলো কাটিয়েছেন লেখক তাদের সাথেই। বন্ধুদের সাথে নানা ঘটনা নিয়ে লেখা অংশগুলোই ‘রঙিন চশমা’ বইয়ের মুল অংশ। ফজলুল হক হল ও শহীদুল্লাহ হলের মধ্যে গালাগালির প্রতিযোগিতা, মাঘ মাসের শীতের রাতে পুকুরে সাঁতার দেয়া, প্ল্যানচেটে বসে মৃত আত্মা ডেকে এনে বিপদে পড়া, শিক্ষা সফরে লাগামহীন ফুর্তি- ইত্যাদি নানা ঘটনার সাথে আজকাল কার তরুণেরা খুব সহজেই নিজেকে একাত্ম করতে পারবে।এছাড়া স্বাভাবিকভাবেই আসে পরিবার এবং তার সদস্যদের কথা। এই গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সেই কঠিন সময়ে একটি শহীদ পরিবারকে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে দেখি। যদিও লেখক বেশ ঢেকেই রাখতে চেয়েছেন তখনকার আর্থিক কষ্টগুলো, তবুও নানা ঘটনায় তা বেরিয়ে এসেছে যা থেকে প্সরিষ্কার হয়ে যায় সেই সময়কার তাঁদের পারিবারিক দুর্যোগগুলো সম্পর্কে কিছুটা জানার। পরিবারের অর্থকষ্টের ভার লাঘব করার জন্য লেখক হন্যে হয়ে খুঁজেছেন অর্থ আয়ের সম্মানজনক উপায়। যখন যা পেরেছেন। কখনো টিউশনি, কখনো বা পত্রিকায় কার্টুন এঁকে, আর কখনো টিভিতে উপস্থাপনা করে নিজের খরচ চালিয়ে গেছেন তিনি। অনন্য অসাধারণ এ বইটির শুরুটাই হয়েছে এক হৃদয় বিদারক নির্মম সত্য দিয়ে।দেশ স্বাধীন হবার পর কিভাবে শহীদ বাবার কবরের সন্ধান পেয়ে তিনি ছুটে গেছেন আর কিভাবে নিজ হাতে কবর থেকে বাবার দেহাবশেষ তুলেছেন বইটিতে আছে তার এক হৃদয় বিদারক বর্ণনা । যুদ্ধের পর বাবা হারা সন্তানেরা কিভাবে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে আর স্বামীহারা দুখিনি মা কিভাবে জীবন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন আছে সেসব কথাও । তবে বইটিতে মূর্ত হয়ে উঠেছে।একটা ভাল অবস্থান গড়ে নেবার গল্প । আছে লেখক হওয়ার শুরুর দিনগুলোর কাহিনী। যার পথ মসৃণ ছিলনা। পথ ছিল সংগ্রামী। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তার এবং তার পরিবারের জীবন কিভাবে কেটেছিল, এবং তরুন বয়সে তিনি কি রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন, তার খুটি নাটি বর্ণনা দিয়েছেন এই বইয়ে। এছাড়া বইটিতে জাফর ইকবাল স্যার এর তখনকার অনেক ছবি, বন্ধুবান্ধবদের ছবি, তার পরিবারের ছবি সহ ছোট খাট একটি অ্যালবাম দেয়া আছে।