User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার ছোটবেলায় পড়া পছন্দের গল্পের বইগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা বই।??
Was this review helpful to you?
or
Its is very nice book
Was this review helpful to you?
or
Great Book
Was this review helpful to you?
or
This book is awesome.
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_বুক_রিভিউ মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা অন্যতম সেরা কিশোর উপন্যাস 'রাশা'।গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্র কিশোরী 'রাশা'।ছোট থেকেই শহরে বেড়ে ওঠা রাশা কিভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে গহীন গ্রামের পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয় তা তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসটিতে।রাশা তার মা-বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। গ্রামে সে তার মানসিকভাবে অনেকটা ভারসাম্যহীন নানির সঙ্গে থাকে। গ্রামে জিতু,জয়নব,সানজিদা, মতি এদের অনেকের সাথে রাশার ভালো বন্ধুত্ব হয়।তাদের সাহায্যে সে গাছে উঠা, সঁাতার কাটা,মাছ ধরা ইত্যাদি শিখতে লাগলো। রাশা যে স্কুলে ভর্তি হয়, সে স্কুলটির নাম রাশার বীর মুক্তিযোদ্ধা নানাকে হত্যাকারী রাজাকারের নামেই রাখা। স্কুলটিতে আবার এক অত্যাচারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাশাদের নেওয়া পদক্ষেপ কি সফল হয়েছিল? রাশা কি লড়াই করে অবশেষে পেরেছিল তাদের স্কুলের নাম একজন অমানুষ রাজাকারের নামের পরিবর্তে তার নানা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে রাখতে? রাজাকারের আক্রমণে তাকে এর জন্য কিসের মধ্য দিয়েই বা যেতে হয়েছিল? অঅন্যদিকে রাশার নানি যে যুগ যুগ আগে তঁার একজন আপনজনকে হারিয়েছেন, যার কষ্ট এতবছর পর তঁার এতটুকুও কমেনি,সে কি একটু সান্ত্বনা পেয়েছিলেন রাশার নানার কবরটি কোনভাবে পাওয়ার মাধ্যমে? একজন কিশোর পাঠক হিসেবে আমি বলব,গল্পটি খুব অনুপ্রেরণাদায়ক।কিভাবে জীবনের বঁাধা-বিপত্তি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে, জীবনের সত্যিকার সৌন্দর্য প্রাণবন্তভাবে উপভোগ করা যায় সে শিক্ষা আমরা নিতে পারি। -নুসরাত জাহান ফাতিহা৷
Was this review helpful to you?
or
আপনার কেমন জীবন পছন্দ, শহরের আধুনিকতা আর জীবনের কোলাহল, নাকি গ্রামে প্রকৃতিকে ভালোবেসে আর সংগ্রাম করে বেচেঁ থাকা? মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের রাশা বইটা দিয়েই মূলত আমার বই পড়ার নেশা শুরু হয়, সেই ক্লাস ফোর এ। শহরের সুন্দর গোছানো পরিবেশে বড় হওয়া একটি মেয়ে যখন পরিস্থিতির কারণে অজ পাড়াগাঁয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন নানীর কাছে চলে আসে, তখন কেমন হতে পারে তার জীবন? কিভাবে রাশা তার নতুন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে? এই গল্পটিতে সমাজের বেশ কিছু প্রিয় - অপ্রিয় সত্য তুলে ধরা হয়েছে, খুবই সাবলীল ভঙ্গিতে। গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের অবহেলা, বাল্যবিবাহ, নানারকম কুসংস্কার, সহপাঠীদের মধ্যে বন্ধুত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার, আর অবশ্যই জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য বইয়ের মত মুক্তিযুদ্ধ প্রেক্ষাপট তো রয়েছেই। প্রথম যখন পড়েছিলাম, এতকিছু আসলে ছোট্ট মস্তিষ্কে ধরতে পারিনি, তাই বুঝিও নি। কিন্তু এই বইটা এরপর অনেক বার পড়া হয়েছে, এবং প্রতিবারই নতুন নতুন বিষয় অবাক করেছে। বরাবরই জাফর ইকবাল স্যারের ভক্ত, বইয়ে কোনো খুঁত পাইনি, না পড়ার কোনো কারণও পাইনি। " সব বইই এক রকম হয়" কথাটার সঙ্গে আমি কখনোই পুরোপুরি একমত হতে পারিনি। এখনো না পড়ে থাকলে, অবশ্যই পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই । আমি ভালোভাবে ডেলিভারি পেয়েছি । ধন্যবাদ রকমারি ।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Extraordinary ????
Was this review helpful to you?
or
This book was amazing. I loved it so much. Want more books like this.
Was this review helpful to you?
or
'রাশা' উপন্যাসটি অপূর্ব ও অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
Onk sundor golpo ta
Was this review helpful to you?
or
Awesome book indeed
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ রাশা। লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৪০ প্রচ্ছদ শিল্পীঃ ধ্রুব এষ। প্রকাশকঃ তাম্রলিপি। রাশা মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর একটি জনপ্রিয় কিশোর উপন্যাস। বাল্যবিবাহ, স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সাথে শিক্ষকের সম্পর্ক, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম ইত্যাদি এই উপন্যাসে উঠে এসেছে। একটি শহুরে আধুনিক ছোট পরিবারের মেয়ে রাশা। তার নাম আগে ছিল রাইসা পরে ছোট করে সে তার নাম রাখে রাশা। লেখাপড়ায় রাশা অনেক ভাল। কিন্তু তার পারিবারিক সমস্যার কারনে সে লেখাপড়া খারাপ করতে থাকে। শহুরে জীবনের এই বাস্তব চিত্র দিয়েই উপন্যাসটি শুরু। রাশার বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এবং তার আম্মু অন্য একজনকে বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়া চলে যায়, আব্বু চলে যায় কানাডা। যাবার আগে তার আম্মু রাশাকে তার মাথা খারাপ নানির কাছে রেখে যায়। তার নানি থাকে প্রত্যন্ত গ্রামে। যেখানে সন্ধা হলেই গ্রামের মানুষজন ঘুমিয়ে পরে। রাতে শেয়াল ডাকাডাকি করে। শহুরে একটা মেয়েকে গ্রামে এসে খাপ খাইয়ে নিতে তাকে প্রচন্ড কষ্ট করতে হয়। গ্রামে গিয়ে প্রথমে রাশার সাথে বন্ধুত্ব হয় জিতু মিয়ার সাথে। যদিও জিতু মিয়া রাশার থেকে ছোট এবং রাশাকে ডাকে রাশাপু। জিতু মিয়া ছাড়াও গ্রামে তার সাথে পরিচয় হয় জয়নব ও মতির সাথে। জয়নব পড়ে আহাদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে। এই আহাদ আলী ছিলেন একজন বিখ্যাত রাজাকার। আর রাশার নানা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। রাশা এই আহাদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যায়। হেডমাস্টার সাহেব ভর্তি করতে চাইলেও রাজ্জাক নামে শিক্ষক তাকে ভর্তি করছিলেন না। কারন আগের স্কুলের টিসি, পরীক্ষার রেজাল্ট, হেডমাস্টার সাহেবের টেস্টিমনিয়াল আর ফটো আই.ডি ছাড়া নাকি ভর্তি করা ঠিক হবে না। তাই রাশা আর আগের স্কুলের জাহানারা ম্যাডামের কাছে ফোন করলো। স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে আসার সময় জাহানারা ম্যাডাম তাকে তার ফোন নাম্বারটা দিয়েছিলেন। সেটা রাশার মুখস্ত আছে। রাশার কাছ থেকে সবকিছু শুনে জাহানারা ম্যাডাম সবকাগজ ফ্যাক্স করে পাঠিয়েছেন। তখন হেড মাস্টার সাহেব কাগজ গুলো দেখে জানতে পারলেন এই মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী একটি ছাত্রী। গণিত অলিম্পিয়াডে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। খুব ভাল ডিবেট এবং আবৃত্তি করতে পারে। সব দেখে শুনে হেডমাস্টার সাহেব রাশাকে স্কুলে ভর্তি করে নিলেন। স্কুলে রাশার অনেক বন্ধু হতে লাগলো এদের মধ্যে গাজী সুন্দর পল্লীগীতি গাইতে পারে। ক্লাসে রাশার আরেকজন ভাল বন্ধু হল সানজিদা। রাশার মা যাবার সময় রাশাকে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিল সেই টাকা থেকে রাশা তার স্কুলের বই কিনলো। বই কিনতে গিয়ে রাশা জানেতে পারলো গাইড বই না কিনলে বোর্ড বই বিক্রি করা হয়না। তাই রাশা বাধ্য হয়ে গাইড বই কিনে কাঁচি দিয়ে বই গুলো কুচিকুচি করে কেটে চানাচুরওয়ালাকে দিয়ে দিল। রাশার কাছে জাহানারা ম্যাডাম কিছু বই স্কুলে ভর্তি হবার জন্য অরিজিনাল কাগজপত্র আর একটা চিঠি কুরিয়ার করে পাঠিয়েছেন। ম্যাডামের চিঠিতে কিছু উপদেশ দেয়া আছে। তিনি লিখেছেন- “লেখাপড়া নিজের উপর। আমি বিশবছর ধরে শিক্ষকতা করছি কিন্তু আমি জীবনে কখনো কাউকে কিছু শিখাইনি, আমার ছাত্রছাত্রীরা যা শিখেছে সব নিজে নিজে শিখেছে। আমি শুধু তাদের শিখতে উৎসাহ দিয়েছি। আমি তোমাকে তিনটি বই পাঠাচ্ছি। প্রথম বইটা গণিতের বই- ইউনিভারর্সিটেতে লেখাপড়া করতে যাওয়ার আগে যেটুকু গণিত জানা দরকার তার পুরোটুকু আছে। তুমি নিজে নিজে এই বই এর চ্যাপ্টারগুলো পড়বে উদাহারন গুলো দেখবে আর চ্যাপ্টারের শেষের অঙ্কগুলো করবে। যেদিন তুমি নিজে নিজে এই বই শেষ করবে সেদিন তুমি নিজে তোমার পিঠ চাপড়ে বলবে “রাশা ! তুমি সত্যিকার জীবনে ঢোকার জন্যে প্রয়োজনীয় গনিত শিখে ফেলেছো”। রাশাদের স্কুলে একজন খুব খারাপ স্যার আছে। সে শুধু শুধু ছাত্রছাত্রীদের মারধোর করে। এই স্যারের নাম রাজ্জাক। যারা স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ে শুধু তারাই স্যারের হাত থেকে বেঁচে যায়। একদিন রাশাদের ক্লাসের একজনকে রাজ্জাক স্যার মারতে এলে রাশা তার প্রতিবাদ করে। তাই তাকেও মার খেতে হয়। তখন রতন নামের একটি ছেলে তার মামার মোবাইল দিয়ে পুরো ঘটনাটা ভিডিও করে রাখে। পরে সেটি সিডি করে স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে এস.পি এবং ডি.সি সাহেবের সামনে দেখানোর ব্যবস্থা করে। রাজ্জাক স্যারের উচিত শিক্ষা হল। গ্রামে এসে রাশা গাছে চড়া শিখল, সাঁতার শিখল, বক আর মাছ ধরা শিখল। তাছাড়াও সে গ্রামের গাছগাছালিও চিনতে শিখল। এ ব্যাপারে তার নির্দিষ্ট কোন শিক্ষক নেই সবই কম বেশি তার শিক্ষক। যেমন তার নানি হঠাৎ করে পুকুর পাড় থেকে কোনো এক ধরনের লতাপাতা ভেঙে এনে রেঁধে ফেলেন সেগুলো নাকি কলমি শাক। কিংবা জয়নব ছোট ছোট এক ধরনের গাছ তার সাদা ফুল আর ফল দেখিয়ে বলে, এই গাছ থেকে খুব সাবধান। এটা হচ্ছে ধুতুরা গাছ। ধুতুরার সবকিছু হচ্ছে বিষ। এভাবে শহরের সেই ছোট্ট রাশা গ্রামের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে শেখে। রাশা তখন তার অতীত আর মনে রাখেনা। রাশা প্রচন্ড বুদ্ধিমতি একটা মেয়ে। তার বন্ধু সানজিদার যখন বিয়ে ঠিক হয় তখন রাশা আর তার বন্ধুরা মিলে ভয় দেখিয়ে সেই বিয়ে ভেঙে দেয়। কারন সানজিদা একটা ছোট মেয়ে। এই বয়সে বিয়ে দেয়া আইনত দন্ডনীয়। এখানে লেখক বাল্যবিবাহের বিষয়টি তুলে এনেছেন। গ্রাম অঞলে বাল্যবিবাহের প্রচলনটা একটু বেশি। বর্ষাকালে গ্রামের পথঘাট পানিতে ডুবে যায়। গৌরাঙ্গ ঘরামি তাদের জন্য একটি নৌকা বানিয়ে দেয়। এই নৌকা দিয়ে রাশারা স্কুলে যাতায়াত করে। রাশা একদিন একটা পত্রিকার পাতা হাতে পায়। সেখানে সায়েন্স অলিম্পিয়াডের দশটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। রাশা সেগুলোর উত্তর লিখে পাঠায়। অনেক দিন পর রাশা সায়েন্স অলিম্পিয়াডে ডাক পায়। তাকে ঢাকা যেতে হয় অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে। রাশা সে অলিম্পিয়াডে সর্বোচ্চ নাম্বর পেয়ে প্রথম হয় কিন্তু তাকে প্রথম করা হল না। কারন সে তার খাতায় স্কুলের নাম লেখেনি। সে একজন রাজাকারের নাম তার স্কুলের খাতায় লিখবেনা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাকে কথা দেয় তার স্কুলের নাম বদলে রাখা হবে। কোনরকম অনুষ্ঠান ছাড়াই একদিন স্কুলের পুরোনো সাইনবোর্ড নামিয়ে নতুন একটা সাইনবোর্ড লাগানো হলো, সাইনবোর্ডে বড় বড় করে লেখা শহীদ রায়হান উচ্চ বিদ্যালয়। রায়হান পাশের গ্রামের ছেলে, একাত্তরে কলেজে পড়ত, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতেই সে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। ট্রেনিং শেষে আবার এখানেই ফিরে এসে মিলিটারির সাথে সামনাসামনি যুদ্ধে মারা গেছে। তখন তার বয়স বিশ বছরও হয়নি। আরো নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে উপন্যাসটি। এর মাঝে রাশাকে আহাদ আলী ধরে নিয়ে যায়। রাশা কৌশলে তার হাত থেকে পালিয়ে আসে। আহাদ আলী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। রাশা আহাদ আলীর সব কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেয়। রাশা তার নানার হত্যাকারী রাজাকারকে বিচারের সম্মুখীন করে।
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় উক্তিঃ রাশা হ্যারিকেন-এর ম্লান আলোতে দেখতে পেল নানির চোখ থেকে সরু দুটো পানির ধারা নেমে আসছে। কত যুগ আগে এই মানুষটি তার একজন আপনজনকে হারিয়েছে, এত দিন পরেও মনে হয় দুঃখ এতটুকু কমেনি। রাশা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তার সামনে একজন মানুষ। একজন মানুষের দুঃখ। এই দেশে এরকম তিরিশ লক্ষ মানুষ আছে। তাদের তিরিশ লক্ষ দুঃখ। এত দুঃখ এই দেশের মাটি কেমন করে সইতে পারল? প্রতিক্রিয়াঃ অসাধারণ একটা কিশোর উপন্যাস। মুল চরিত্র রাশা যার আসল নাম রাইসা। বাবা মায়ের ডিভোর্স এর পর বাস্তবতা মেনে তাকে চলে যেতে হয় তার পাগলাটে নানীর কাছে। সেখানে রাশা প্রকৃতির সান্নিধ্যে নতুন করে নিজেকে চিনতে শুরু করে। সেরকমই অনেক ঘটনাবলি নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে৷
Was this review helpful to you?
or
বাবা মা থাকা সত্ত্বেও পিতা মাতার ভালোবাসা বঞ্চিত একটি কিশোরী মেয়ের প্রতিকূলতা দিয়েই উপন্যাসের শুরু । কিন্তু মেয়েটি কীভাবে প্রতিকূলতাকে তার অনুকুলে নিয়ে আসে তা অসাধারনভাবে ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে । শহুরে জীবনের একটি মেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত গ্রামীণ পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার বিষয় ও দেখা যায় উপন্যাসটিতে । উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র রাশার সাহসী,দেশপ্রেমিক এবং দৃঢ়চেতা মনোভাব গল্পটিকে করেছে আকর্ষণীয় ।
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
encouraging for every teen
Was this review helpful to you?
or
the book is an element of inspiration!
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু আমাকে এই বইটি উপহার দিয়েছিল।আমি বইটি পড়ে অনেক প্রেরণা পেয়েছি।একটি মেয়ে কিভাবে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবেশে কিভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয় তার কথা লেখা আছে। বইটি পড়লে অনেক ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
বইটির মূল চরিত্র রাইসা নামের এক মেয়ে। তার নাম নিয়ে ক্লাসে তার সহপাঠিরা তাকে খেপায়, "আমাদের রাইসা, মাছের কাটা খায় বাইছা বাইছা'' বলে। শহুরে পরিবেশে বেড়ে ওঠা রাইসার বাবা মার ডিভোর্স হয়ে যায় হঠাত করেই। বাবা মা কেউ তার দায়িত্ব নিতে না চাইলে তার জায়গা হয় গ্রামের বাড়িতে নানীর কাছে। গ্রামের নতুন পরিবেশে কীভাবে বেড়ে ওঠে শহুরে মেয়েটি তা নিয়েই এই উপন্যাসটি। এছাড়া একদিন ঘটনাচক্রে ছেলেধরা চক্রের হাতে পরে যায় রাইসা ও তার বন্ধুবান্ধবেরা। তারা কি পারবে ছেলেধরার হাত থেকে রক্ষা পেতে? জানতে হলে পড়তে হবে অসম্ভব সুন্দর রোমাঞ্চে ভরা এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
Rasha tells the story of Raisa, who identifies as Rasha, through her struggles of settling into a new place, accepting the turbulences of life, and fighting the obstacles to contributing to society. It is very disconcerting to read about a mother sending her child away so that she can spend her life with her new husband. Rasha faces the changes bravely and reaches out to other unfortunate teenage girls around her. Like his many other books, M Z I presents the superstitious, stubborn people who resist development and shows how fresh blood can fight for freedom. I would not call it a remarkable book but it is really a significant one.
Was this review helpful to you?
or
"রাশা" নামক একটি ১৪ বছরের মেয়ের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু দুঃখ, আনন্দ আর সাহসীকতা মিশ্রিত কাহিনি জাফর ইকবাল স্যার তার "রাশা" নামক বইয়ে সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। রাশা তার বুদ্ধি, সাহসিকতা আর মনের জোরে অসাধু শিক্ষক আর তার মুক্তিযোদ্ধা নানার হত্যাকারী রাজাকার কে কি শাস্তি দেয় তা জানতে পড়তে হবে রাশা, একটি ১৪ বছরের শহুরে মেয়ে কিভাবে গ্রাম্য পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে জয় করে তার জীবন জানতে পড়তে হবে রাশা। বইটি পড়ে আমার রাইসা ওরফে রাশার জন্য যতটা মায়ায় ভালো লেগেছে, আশা করি আপনাদেরও ততটা ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো লেগেছে বইগুলো আমার
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
NICE BOOK!!
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের বেশ কিছু বই রয়েছে, যেগুলোতে মা-বাবার সাথে সন্তানের দূরত্ব থাকে। যেমন- আমি তপু, দীপু নাম্বার টু, বৃষ্টির ঠিকানা, রাশা। মা-বাবার ভালোবাসা না পেয়ে বড়ো হওয়ার যেন একটা বিষণ্ণ গল্প। 'রাশা' বইটার মূল চরিত্র হলো ক্লাস এইটে পড়ুয়া মেয়ে রাশা। বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর তারা আবার নতুন করে বিয়ে করে দুইজন দুই দেশে চলে যান। রাশার আশ্রয় হয় এক গহীন জঙ্গলে আচ্ছন্ন গ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে স্বামীকে হারানো পর মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ নানির কাছে। বাবা-মায়ের ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন শহরের মেয়ে গ্রামীণ জীবনে পা দেয়। বইটিতে ফুটে উঠেছে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য- ঝড়, বৃষ্টি, জ্যোৎস্না, নদী। রাশার সাথে গ্রামের বেশ কিছু ছেলে মেয়ের বন্ধুত্ব হয়। তাদের থেকে সাঁতার কাটা, মাছ ধরা, গাছে উঠা, পাখি শিকারসহ অনেক কিছু শিখতে পারে রাশা। এছাড়া বইটিতে বিভিন্ন রকম শিক্ষামূলক দিক উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, বাল্যবিবাহ, বিজ্ঞানচেতনা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধে ছাড় পাওয়া হিংস্র রাজাকারসহ আরো কিছু প্রতীয়মান হয়েছে রাশা ও তার বন্ধুবান্ধবদের কেন্দ্র করে। বই: রাশা, লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার, পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০।
Was this review helpful to you?
or
onk valo ekta boi. sobay porun.
Was this review helpful to you?
or
রাশা এক কিশোরী মেয়ের নাম। মেয়েটির বাবা-মা থেকেও নেই। মূল নাম রাইসা।ক্লাসের সবাই ব্যাঙ্গাত্বক করে ডাকে 'রাইসা মাছ খায় বাইছা বাইছ।'তাই রাগ করে নাম পাল্টে রাখে রাশা। বাবা মা'র একমাত্র মেয়ে রাশা। মেয়েটি ইচ্ছাকৃত ভাবে নাম পাল্টালেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে তার জীবনটাই পাল্টে যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতে বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে যায়। তার বাবা আরেকটি বিয়ে করে কানাডা চলে যায়। রাশা থাকতে লাগলো তার মায়ের সাথে। একটাসময় রাশা নিজেই বুঝতে পারলো, মা তাকে আগের মতো আর আদর করে না। কেমন যেন হয়ে গেছে। সেই পরিবর্তনের কাহিনী বুঝতে পারলো সেদিন। যখন মা এসে বলল, তিনি আরেকজনকে বিয়ে করে দেশের বাইরে চলে যাবেন। কিন্তু রাশাকে সাথে নেয়া যাবে না। রাশাকে বলেন তার বাবার কাছে চলে যেতে। রাশার বাবা রাশাকে তার কাছে ফিরিয়ে নিতে রাজি হন না। তখন মা বাধ্য হয়ে রাশার নানীর কাছে রেখে আসে ওকে। রাশা বড় হতে থাকে ওর নানীর কাছে। নানী যাকে রাশা ছোটবেলা থেকে পাগল হিসেবে জানে। বাধ্য হয়ে সেই নানীর কাছেই ঠিকানা হলো রাশার। শুরু হলো এক অন্য জীবন। মুক্তিযুদ্ধে স্বামী হারাবার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে রাশার নানী।নানীর কাছে রাশা শুরু করে জীবনের নতুন অধ্যায়।শহরে বড় হওয়া কিশোরী একটি মেয়ে গ্রাম্য প্রকৃতিতে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে শুরু করে। নানীর কাছে সে মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনে। তার মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বৃদ্ধী পায়। নানীর কাছ থেকে জানতে পারে রাশা তার মুক্তিযোদ্ধা নানার গল্প। যার নানা একজন মুক্তিযোদ্ধা সে কি রাজাকারের স্কুলে পড়তে পারে? কিন্তু চাইলেই কি আরর রাশা পারবে স্কুলের নাম বদলে দিতে? সে যেই বিদ্যালয়ে পড়ে তা এক রাজাকারের নামে স্থাপিত। রাশা কি পাড়বে তার পড়ালেখা চালাতে? শুধু তাই নয় রাশাকে সম্মমুখীন হতে হয় বাল্যবিবাহসহ নানা সামাজিক সমস্যারর। পাঠ প্রতিক্রিয়া: বর্তমান আমাদের দেশের কিশোর কিশোরীদের জন্য বইটির মধ্যে কিছু মেসেজ দেয়া আছে। যা তাদের মাঝে বাল্যবিবাহ, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং তার পরিবেশ, দেশপ্রেম, বিজ্ঞানচেতনা বৃদ্ধি করবে। প্রতিটা উপন্যাসে শিক্ষা মূলক মেসেজ থাকা প্রয়োজন। তবে অনেক বেশি শিক্ষণীয় উপাদান চলে আসলে উপন্যাসকে পাঠ্যবই পাঠ্যবই মনে হয়। এই উপন্যাসটা শিক্ষামূলক উপাদান টইটুম্বুর হয়ে আছে। রাশা এক সাহসী মেয়ের গল্প। কেন জানি বইটা পড়তে খুব বেশি ভালো লাগে! বইটা খুব প্রিয় বইয়ের মধ্যে একটি। প্রায় ২/৩ বার পড়া হয়ে গেলেও বইটা এখনো পড়ার সময় নতুনই মনে হয়। রাশার জীবনের কষ্টের সময়গুলো পার করে আসার গল্পগুলো আসলেই খুব দারুণভাবে লেখেছেন লেখক। বিশেষ করে রাশার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙার কাহিনীটা খুবই ভালো লাগে। সবমিলিয়ে বলা যায়, খুবই সুন্দর একটি বই। ধ্রুব এষ্ এর প্রচ্ছদ আমার বরাবরই পছন্দ তবে এই প্রচ্ছদটা ভালো লাগেনি। প্রচ্ছদের কোন আকর্ষণ কাজ করে না। যাই হোক আমি মনে করি, সকলের এই উপন্যাসটি পড়া প্রয়োজন। সর্বোপরি উপন্যাসটা আমার খুব ভালো লেগেছে। জাফর স্যারকে ধন্যবাদ এমন একটি উপন্যাস রচনা করার জন্য। বইয়ের নাম:রাশা লেখক:মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনি:তাম্রলিপি প্রকাশক:এ কে এম তরিকুল ইসলাম রনি প্রথম প্রকাশ:ফেব্রুয়ারি ২০১০ পৃষ্ঠা সংখ্যা:২২৪ মূল্য:৩৬০ টাকা (মুদ্রিত) লেখক পরিচিত : ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২ জন্ম সিলেট শহরে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স।যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচডি।বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালেয়ে অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ অবসর গ্রহণ করেন। বইয়ের রেটিং: ৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
মাস্টারপিস ! এই বই অসাধারণ ।তাই দেরি না করে বইটা তোমার কার্টে(cart) add করে ফেলল
Was this review helpful to you?
or
কিশোরদের জন্য অসাধারণ একটা বই। পড়লে অন্যরকম একটা প্রশান্তি আসে। Thank you Dr. Zafar Iqbal Sir.
Was this review helpful to you?
or
আমি মনে করি এটা আমার পড়া সেরা বই।?? শহুরে কেউ যদি গ্রামের পরিবেশটা একটি অসহায় মেয়ের মাধ্যমে বুঝতে চাও তাহলে রাশা বইটি পড়তে পার।
Was this review helpful to you?
or
রাশা – মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা একটি বাংলা কিশোর সাহিত্য এর বই। এটি একটি ভঙ্গুর পরিবারের মেয়েকে কেন্দ্র করে। যখন তার মা তাকে গ্রামে রেখে আসে এবং গল্পটি তার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে এবং কীভাবে সেগুলি অতিক্রম করেছে তা বর্ণনা করে ।
Was this review helpful to you?
or
রাশা ক্লাস এইটে পড়ে। তার বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিলো না। আব্বু আম্মু প্রায়ই ঝগড়া করত যা রাশার মনে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় তার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। একসময় তার আব্বু আম্মুর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তারা দুজনেই আরেকটি বিয়ে করে বিদেশে চলে যায়। অবশেষে তার ঠাঁই হয় গ্রামের বাড়িতে তার পাগলী নানীর কাছে। শুরু হয় রাশার নতুন জীবন। মুক্তিযুদ্ধে স্বামী হারানো বৃদ্ধা নানীও নতুন করে বেঁচে থাকার প্রেরণা খুঁজে পান। প্রথম দিকে গ্রামের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা হলেও রাশা একসময় খাপ খাইয়ে নেয়। নিজের প্রচেষ্টায় সে গ্রামের স্কুলে ভর্তি হয়। হঠাৎ একদিন জানতে পারে যে স্কুলটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন রাজাকারের নামে। রাশার বিদ্রোহটা এখান থেকেই শুরু।”রাশা” উপন্যাসের কয়েকটি মূল চরিত্র- রাশা/ জাহানারা ম্যাডাম (স্কুলের শিক্ষিকা/নিলু (রাশার মা)/জয়নব, মতি,জিতু (রাশার বন্ধু)/আজিজ মাষ্টার (রাশার নানা)/নানী(আজিজ মাষ্টারের বউ)/সালাম নানা, গৌরাঙ্গ ঘরামি (সালাম নানার বন্ধু)/আহাদ আলী (রাজাকার এবং রাশার নানার খুনি)।/লেখক পরিচিতি:মুহম্মদ জাফর ইকবাল একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখালেখি করেন।
Was this review helpful to you?
or
আমি আসলে এই বই টা পড়ি ই নাই, ভালো লাগে নাই
Was this review helpful to you?
or
It was sooo goood!!!??? Now I just want to go to the village of Rasha, I wanna see her, her friends, her grandma, her grandfather's grave, her school, her teachers and everything.??
Was this review helpful to you?
or
আমি ভেবেছিলাম স্যার জাফর ইকবালের "আমি তপু" বইটি সেরা, কিন্তু এই বইটি পড়ে তার থেকেও বেশি ভালো লেগেছে... এক কথায় রাশার প্রেমে পড়ে গেলাম।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভাল লাগল উপন্যাসটি পড়ে। রাশা তার জীবনে সর্বোচ্চ কষ্টদায়ক মুহূর্তে কীভাবে বেচে ছিল,কীভাবে নতুন করে সব শুরু করল তা প্রতিটা কিশোর কিংবা কিশোরীর জানা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
The story is kind of different yet draws inspiration from the author's previous works also. I liked how the author portrayed the transformation of Rasha from a city dwelling timid girl to a confident village girl. She leads a revolution and changes the lives of the village people. At first her family problems were a big part of the story, but gradually it becomes a minor point. Even though her family is broken and she is betrayed by both her parents, she finds solace in the company of her supposedly crazy Grandmother. Education system and its faults, the abusive teachers - all of these came into focus. The freedom fight of Bangladesh was again a driving plot in this novel. Still it felt weak compared to the authors previous works. I guess he was trying something different with a village setting - and he was almost successful with it too. I guess I have grown out of the age group Zafar sir writes for. I am guessing most of the story was based upon the letters/emails he receives from teenagers all over the country sharing their experience. Just thinking about it makes the story all the more real.
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবার স্যারের সবচেয়ে প্রিয় বই 'রাশা'।অসাধারণ লেখনী।মেয়েটির আসল নাম রাইসা।তাকে আগে তার বন্ধুরা ক্ষেপাতো,রাইসা,মাছের কাটা খায় বাইছা "। রাশা একটি ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ে।ব্রোকেন ফ্যামিলির নিষ্ঠুর বাস্তবতা ফুটে উঠেছে এই গল্পে।সেই সাথে এই গল্পে আপনারা দেখতে পাবেন রাশা মেয়েটির দেশপ্রেম,মেধা ও সাহসিকতা।বইটি পড়তে পড়তে একসময় আপনার চোখ ভিজে যাবে,সেই সাথে ভেতর থেকে প্রচন্ড অনুপ্রেরণা অনুভব করবেন।
Was this review helpful to you?
or
এমনটা শুধু মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল সারের কাছে সম্ভব । দাম তুলনামুলক বেশি কিন্তু পড়ে দেখবেন ঠকবেন না। রাশার বাবা মার তালাকের পর উল্টো পাল্টা হয়ে গিয়েছিল রাইসা বা রাশার। ভাল হলেও জনপ্রিয়তা কম রাশা বইটার। তবে মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল সারকে ধন্যবাদ ।
Was this review helpful to you?
or
খুব পছন্দের একটি বই। এক ই বইয়ে সুখ-দুঃখ মিলেমিশে একাকার। ?
Was this review helpful to you?
or
"মুহম্মদ জাফর ইকবাল" নামেই পরিচয় বিশেষ কিছু বলার প্রয়োজন নেই তবুও বলছি - মুহম্মদ জাফর ইকবাল হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। রাশা মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একটি কিশোর উপন্যাস যা ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় । "রাশা" বই সম্পর্কে বলি - মূল চরিত্র হচ্ছে রাশা যার নাম একময় রাইসা ছিল , নাম পরিবর্তন করার কাহিনীটা মজার । ছোট একটা মেয়ে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে আর তার সাথে সাথে জগৎটাও পাল্টাতে থাকে । নানী আর নাতনী দুজন দুজন কে শেষ সম্বলের মতো আঁকড়ে ধরে নতুন করে বেঁচে উঠে ।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠা একজন যে কোন অন্যায় মেনে নেয় না কোন কিছুতেই , বাঁধা বিপতি যাই আসুক না কেন! সে মনে সাহস রেখে লড়াই করে যায় । একটা নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কোথাও হার না মেনে জীবনে কীভাবে জয়ী হওয়া যায় তা রাশা খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়ে দিয়েছে এই গল্পে । শেখার কোন বয়স নাই - শহুরের এক মেয়ে গ্রামের মানুষদের মতো মাছ ধরা , পাখি শিকার করা , গাছে উঠা, সাতার কাটা ইত্যাদি কীভাবে হেসে খেলে শিখতে থাকে তা বর্ণনা করা আছে এই গল্পে । একমাত্র রাশার আত্মবিশ্বাসের জন্যই সে নিজের এবং তার স্কুলের উন্নতি করে। অপর দিকে তার নানী , এখন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, যিনি অকালে স্বামী হারিয়ে প্রায় পাগল অবস্থায় থাকে ; তার জীবনে রাশার আগমনে সে আবার নতুন করে বেঁচে উঠে । একসময় দেখা যায় বুদ্ধির জোরে রাশা তার নানার হত্যাকারী রাজাকারকেও বিচারের সম্মুখীন করে। আমার কাছে মনে হয়েছে বইটা শুধুমাত্র কিশোর - কিশোরীদের জন্য নয় কারণ মা - বাবা দুজনের জন্যই বাচ্চাদের জগৎ কতোটা রংহীন হয়ে পরে তা ছোট করে বোঝার জন্য হলেও সবার এই বইটা পড়া প্রয়োজন । তিনি বইটির মাধ্যমে শিক্ষাপদ্ধতি ও সমাজ সংস্কার এবং মুক্তিযুদ্ধের মাহাত্ম্যর বিষয়টি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি বই। বইটি সংগ্রহ করুন এবং নিজেও পড়ুন ছোট ভাই বোনদের পড়তে উৎসাহিত করুন । শুভ হোক আপনার পাঠ্য কার্যক্রম।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:- রাশা লেখক:- মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ঘরানা:-শিশু কিশোর উপন্যাস প্রকাশক:- তাম্রলিপি পৃষ্ঠা:- ২১৬ রকমারি মূল্যঃ২৩০ টাকা উপন্যাসটির কেন্দ্রিয় চরিত্র রাইসা। তার বয়স দশ। একদিন স্কুলে এক ত্যাদর টাইপ একটা ছেলে রাইসার নামে কবিতা বানায় "রাইসা, মাছের কাঁটা খায় বাইছা বাইছা"। এর পরে রাইছা নিজের নাম পাল্টে রাখে রাশা। বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে রাশা। মেয়েটি ইচ্ছাকৃত ভাবে নাম পাল্টালেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে তার জীবনটাই পাল্টে যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতে বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে যায়। তার বাবা আরেকটি বিয়ে করে কানাডা চলে যায়। তখন সে মায়ের সাথে থাকেন। কিছু দিন পরে মা রাশাকে বলে সেও রাশার বাবার মতো একটা বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবেন। এবং রাশাকে বলেন তার বাবার কাছে চলে যেতে। রাশার বাবা রাশাকে তার কাছে ফিরিয়ে নিতে রাজি হন না। তখন মা বাদ্ধ হয়ে রাশার নানীর কাছে রেখে আসে ওকে। রাশা বড় হতে থাকে ওর নানীর কাছে। মুক্তিযুদ্ধে স্বামী হারাবার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে রাশার নানী। এই নানীর কাছে রাশা শুরু করে জীবনের নতুন অধ্যায়।শহরে বড় হওয়া কিশোরী একটি মেয়ে গ্রাম্য প্রাকৃতিতে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে শুরু করে। নানীর কাছে সে মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনে। তার মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বৃদ্ধী পায়। অপর দিকে সে যেই বিদ্যালয়ে পড়ে তা এক রাজাকারের নামে স্থাপিত। রাশা কি পাড়বে তার পড়ালেখা চালাতে???? শুধু তাই নয় রাশাকে সমূখ্যিন হতে হয় বাল্যবিবাহসহ নানা রকম সামিজিক সমস্যার সাথে। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- বর্তমান আমাদের দেশের কিশোর কিশোরীদের জন্য বইটির মধ্যে কিছু মেসেজ দেয়া আছে। যা তাদের মাঝে বাল্যবিবাহ, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং তার পরিবেশ, দেশপ্রেম, বিজ্ঞানচেতনা বৃদ্ধী করবে। প্রতিটা উপন্যাসে শিক্ষা মূলক মেসেজ থাকা প্রয়োজন। তবে অনেক বেশি শিক্ষণীয় উপাদান চলে আসলে উপন্যাসকে পাঠ্যবই পাঠ্যবই মনে হয়। এই উপন্যাসটা শিক্ষামূলক উপাদান টইটম্ভর হয়ে আছে। ধ্রুব আ্যাশ্ এর প্রচ্ছদ আমার বরাবরই পছন্দ তবে এই প্রচ্ছদটা ভালো লাগেনি। প্রচ্ছদের কোন আকর্ষণ কাজ করে না। আমি মনে করিছি সকলের এই উপন্যাসটি পড়া প্রয়োজন। সসর্বোপরি উপন্যাসটা আমার খুব ভালো লেগেছে। জাফর স্যারকে ধন্যবাদ এমন একটি উপন্যাস রচনা করার জন্য। স্যারের কাছে আবেদর করা প্রয়োজন "স্যার এমন উপন্যাস আরো আরো চাই"। রেটিং ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা --- এই পৃথিবীতে একটি শিশুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্থান হলো তার পরিবার। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্বজন হচ্ছে তার বাবা মা। কিন্তু একটি শিশু যখন আবিষ্কার করে পৃথিবীর পরম নির্ভরযোগ্য আশ্রয়ইটিই সে হারাতে যাচ্ছে চিরতরে, তখন সে দুশ্চিন্তা এবং ভয়ের এক মহাসমুদ্রে পড়ে যায়। রাশা নামের মেয়েটিও এমন এক মহাসমুদ্রে আবিষ্কার করে নিজেকে। বাবা মার ডিভোর্স হয়ে যাবার পর তাকে রেখে আসা হয় তার আধপাগলা নানির কাছে গহীন এবং অখ্যাত এক গ্রামে। যে গ্রামে ইলেকট্রিসিটি নেই, নেই কোনো ভালো স্কুল। রাশা আত্মহত্যার যত উপায় থাকে সব জড়ো করতে থাকে সময় এলে কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু তার আত্মহত্যা করাটা পিছিয়ে যায়। আস্তে আস্তে এমনকিছু ঘটনা ঘটতে থাকে যখন তার বেঁচে থাকাটা অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে থাকে। এবং শেষে যখন তার ভুবন ভরে ওঠে সফলতায়, তখনই তার ওপর আসে এক রাজাকারের মরণ আঘাত। তারপর? তারপরেরটুকু জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। (কাহিনী সংক্ষেপ) একটা কথা বলতেই হবে যে জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইতেও কিছু ব্যাপার ছিলো গতানুগতিক। কিন্তু তবু কাহিনীর ভিন্নতা এবং উপস্থাপনার গুণে উপন্যাসটি হয়েছে উপভোগ্য। কিছু কিছু জায়গার বর্ণনা এত্ত মজার যে শব্দ করে হেসেছি। কিছু জায়গা পড়ে গর্ব অনুভব করেছি। আর আরেকটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এটাতে পরিবার, এ্যাডভেঞ্চার এবং দেশপ্রমের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছে। (প্রতিক্রিয়া) ... এক বসাতে পড়ে ফেলবার মতো একটি বই-- রাশা। ... বইয়ের নামঃ রাশা ধরণঃ কিশোর উপন্যাস লেখকঃ জাফর ইকবাল প্রকাশনঃ তাম্রলিপি পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৪০ দামঃ ২৭০/- (মলাটমূল্য) রেটিংঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
রাশা এক কিশোরী মেয়ের নাম। মেয়েটির বাবা-মা থেকেও নেই। বলা যায়, সে একাই! সেই মেয়েটির গল্প নিয়েই লেখা "রাশা" বইটি। রাশা বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। রাশার আসল নাম রাইসা। স্কুলে ওর ক্লাসের ছেলে-মেয়েরা ওর নাম নিয়ে কবিতা বানায়। তাই রাগে-দুঃখে নিজের নামটাই বদলে রাশা করে দিলো। রাইসা থেকে রাশা নামে পরিবর্তন হতে হতে রাশার জীবনেও বেশ পরিবর্তন ঘটে গেলো। বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো, বাবা আরেকটা বিয়ে করে বাইরে চলে গেলো। রাশা থাকতে লাগলো তার মায়ের সাথে। একটাসময় রাশা নিজেই বুঝতে পারলো, মা তাকে আগের মতো আর আদর করে না। কেমন যেন হয়ে গেছে। সেই পরিবর্তনের কাহিনী বুঝতে পারলো সেদিন। যখন মা এসে বলল, তিনিও আরেকজনকে বিয়ে করে দেশের বাইরে চলে যাবেন। কিন্তু রাশাকে সাথে নেয়া যাবে না। তাই রাশাকে গ্রামের বাড়িতে তার নানীর সাথে থাকতে হবে। নানী যাকে রাশা ছোটবেলা থেকে পাগল হিসেবে জানে। বাধ্য হয়ে সেই নানীর কাছেই ঠিকানা হলো রাশার। শুরু হলো এক অন্য জীবন। শহুরে মেয়ে হলেও বেশ ভালোভাবেই গ্রামীণ পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিলো রাশা। ভর্তি হলো আহাদ আলী স্কুলে। এই স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে এই আহাদ আলী রাজাকারের নামে। নানীর কাছ থেকে জানতে পারে রাশা তার মুক্তিযোদ্ধা নানার গল্প। যার নানা একজন মুক্তিযোদ্ধা সে কি রাজাকারের স্কুলে পড়তে পারে? কিন্তু চাইলেই কি আরর রাশা পারবে স্কুলের নাম বদলে দিতে? রাশার সেইসব দিনগুলোর গল্প নিয়েই লেখা এই বই "রাশা"!
Was this review helpful to you?
or
লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ধরনঃ কিশোর উপন্যাস প্রচ্ছদ ঃ ধ্রুব এষ প্রকাশকঃ তাম্রলিপি মূল্যঃ২৩০৳ কাহিনী : রাইসা ১০ বছরের মেয়ে। স্কুলে নিজের নাম এ ছড়া শুনে খেপে গিয়ে মা কে বলে নাম বদলে দিতে। মা বিষয় টাকে গুরুত্ব না দিলেও মেয়ে টা একসময় নিজের নাম বদলে ফেলে। রাইসা থেকে রাশাতে কনভার্ট হল সে হাসিখুশি পরিবারের এই মেয়েটির জীবন হঠাত ওলটপালট হয়ে গেল। তার বাবা আরেকটা বিয়ে করে চলে যায়। রাশা মায়ের চোখের বিষ। এভাবে যেতে যেতে একদিন রাশা কে তার মাথা খারাপ নানীর কাছে রেখে আসে রাশার মা। বিদ্যুৎহীন অজপাড়াগাঁ। মানিয়ে নেয়া শুরু করে রাশা। রাশার সাথে দেখা হবার প্রথম দিন রাশার নানী রাশা কে একটা ছোট্ট গিফট দেয়। সেটাকে আঁকড়ে ধরে রাশা। রাশার মা রাশা কে ফেলে চলে যায় যে নানী কে রাশা কোনদিন দেখেইনি সেই নানী তার একমাত্র আশা ভরসার কেন্দ্র। ধীরে ধীরে রাশার সাথে পরিচয় হয় জিতু, মতি এদের বেশ দূরের এক স্কুলে রাশা ভর্তি হয়, এক রাজাকারের নামে সেই স্কুল। নিমরাজীর হলেও বাধ্য হয় সেই স্কুলে পড়তে।পায়ে হেটে সে স্কুলে যায় রাশা, তার দলবল নিয়ে। বেশ কিছু ঘটনা ঘটে স্কুলে। রাশা প্রতিজ্ঞা করে স্কুলের নাম বদলে দেবে, সে কি পারবে বদলে দিতে?? একদিন রাশার গণিত অলিম্পিয়াডে পৌঁছে। সেদিন থেকে তার জীবনে বিপদের শুরু। আহাদ আলী রাজাকারের হাতে বন্দী হয় সে, জীবন বাঁচাতে পারবে রাশা নিজের?? ফিরতে পারবে অসহায় নানীর কাছে, যে কিনা রাশা কে পেয়ে নিজের জীবন এ বাঁচার তাগিদ পেয়েছে। পাঠ-প্রতিক্রিয়া: রাশা বইটা কলেজে থাকাকালীন কেনা আর পড়া। রাশার জন্য ভালো লাগা কষ্ট লাগা সব আছে। আমরা হয়ত পারব না এই শহুরে জীবন ছেড়ে গ্রামে গিয়ে বাঁচতে। কিংবা রাশার মত সাহসিকা হয়ে উঠতে। স্যার এর অনেক গল্পে বাবা মা আলাদা হওয়া এরকম কাহিনী খুব কমন মূল চরিত্র কে স্ট্রাগল করা লাগে, তবু স্যার এর সব গল্পই আমার প্রিয় রাশার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙারর অংশ টা আমার সব থেকে প্রিয়। রেটিং ঃ ৫/৫ রকমারি
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ রাশা লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ধরনঃশিশু কিশোর উপন্যাস প্রচ্ছদ শিল্পীঃ ধ্রুব এষ প্রকাশকঃ তাম্রলিপি মূল্যঃ২৭০ টাকা বইটির মূল চরিত্র রাশা নামের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া একটি মেয়ে। অসম্ভব রকমের মেধাবী এই মেয়েটির আসল নাম ছিল রাইসা। রাইসার বয়স যখন দশ তখন তার ক্লাসের একটা ফাজিল ছেলে তাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখে।কবিতাটির শুরু এভাবেঃ রাইসা মাছের কাঁটা খায় বাইছা বাইছা। ক্লাসের কোন ছেলেমেয়ে এই কবি বা কবিতায় পাত্তা দেয়নি।কিন্ত রাইসা তবুও কান্নাকাটি করল।বাসায় এসে সে ঘোষনা করল সে এই নাম আর রাখবে না।রাইসা অনেক চিন্তা করে নিজের জন্য নাম ঠিক করে। রাইসার 'ই'বাদ দিয়ে সে তার নাম দিল রাশা।প্রথম প্রথম সবাই ঠাট্রা করলেও রাইসা হাল ছাড়ল না। তিন বছর পর তার বয়স যখন তেরো তখন সত্যি তার নাম হল রাশা।রাইসা যখন রাশাতে পাল্টে গেল তখন সে আবিষ্কার করল নামের সাথে তার চারপাশের পৃথিবীটাও পাল্টে গেছে। তার আব্বু আম্মু প্রায়ই ঝগড়া করত । । একসময় তার আব্বু আম্মুর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তারা দুজনেই আরেকটি বিয়ে করে বিদেশে চলে যায়। এই অবস্থায় রাশার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে তার ঠাঁই হয় গ্রামের বাড়িতে তার পাগলী নানির কাছে। এই নানীর কাছে রাশা শুরু করে জীবনের নতুন অধ্যায়। জন্মাবধি শহরে বড় হওয়া মেয়ে রাশা প্রাকৃতিক সান্নিধ্যে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে শুরু করে।প্রথম দিকে গ্রামের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা হলেও রাশা একসময় খাপ খাইয়ে নেয়। নিজের প্রচেষ্টায় সে গ্রামের স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলে ভর্তি হবার পর সে জানতে পারে যে স্কুলটির নাম একজন রাজাকার এর নামে"আহাদ আলী স্কুল"।তখনই রাশা ঠিক করে এই নাম সে নিজের মুখে কখন ও বলবে না। আর সে এ ও বলে যে একদিন সে এই স্কুলের নাম পাল্টে দিবি কিভাবে?? সেইটা নাহয় পড়েই জানবেন। তার কিছু বন্ধুও তৈরি হয় গ্রামে- জয়নব, মতি, জিতু, আর বন্ধুসম মুক্তিযোদ্ধা সালাম নানা। গ্রামে এসে সে অনেক কিছু শিখে যা আগে তার কল্পনার বাইরে ছিল। #সাতার_কাটতে_পারে। #নৌকা_বাইতে_পারে #গাছে_উঠতে_পারে এমনকি #একটু_একটু_রান্না_করতে পারি #সায়েন্স_অলিম্পিয়াড নামে একটা প্রতিযোগিতা অংশ নেয় রাশা।সেখানে তাকে স্কুলের বাম লিখতে বলা হলে সে লিখ না।সে জানায় তাদের স্কুলটা একজন রাজাকার এর নামে তাই সে এর নাম কোনদিন লিখবে না। আর সে জন্যই স্কুল পড়ুয়া রাশা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের চাইতে বেশি নম্বর পেয়েও বিজয়ী হতে পারেনি। রাশা নামে এই ছোট মেয়েটিকে নিয়ে সেখানে হৈচৈ পরে যায় বিভিন্ন চ্যানেল এর সাংবাদিকরা তার সাথে কথা বলেন। রাশার এই সব কাজে ক্ষিপ্ত হয় রাজাকার আহাদ আলী।সে রাশা কে তুলে নিয়ে যায় মারার জন্য। রাশা কি তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারবে? এই রাজাকার এর হাত থেকে নাকি তার মুক্তিযোদ্ধা নানার মতো থাকে ও প্রাণ হারাতে হবে? জেনে নিতে পড়ে ফেলুন সুন্দর এই বইখানা। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ বিজ্ঞানমনস্ক এই গুনী লেখকের অসামান্য একটি উপহার এই কিশোর সাহিত্যখানা। জাফর স্যরের কিশোর উপন্যাসগুলো আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। এ উপন্যাসটিও অনেকটা সেরকম। নতুন পরিবেশ এসে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করা রাশাকে অসম্ভব ভাল লাগেছে।চমৎকার একটা বই। পড়ে দেখতে পারেন আশা করি ভাল লাগবে আপনাদেরও। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
Another great novel by Muhammad Zafar Iqbal. Rasha used to live with his parents in Dhaka City until her parents split up, both moved to different countries ( leaving her behind) and got married to a different person. Rasha was coping with the rural environment of the village home... But suddenly her life was in danger!
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটির শুরু এবং শেষটা ছিল এক কথায় অসাধারণ! তবে এর মাঝখানের কাহিনী ভিন্ন। কাহিনীর মাঝ পর্যায়ে অনেকবার মনে হয়েছে এটাকে টেনেটুনে বড় করা হচ্ছে। জাফর স্যার অত্যন্ত সুন্দরভাবে গ্রামীণ জীবন এবং মানুষের আচার আচরণ ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা যারা গ্রামীণ পরিবেশে বড় হয়েছি এর সাথে রিলেট করতে পারবো। এর বেশ কয়টি ঘটনা আমাদের নস্টালজিক করে ফেলবে। যাইহোক বইটি পড়ার জন্য রিকোমেন্ড করবো। সহজ সরল উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে জাফর ইকবাল স্যারের এই বইটা সবচেয়ে ভালো। আমি এই বইটা দুই দিনে পড়েছি ।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ রাশা। লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৪০ প্রচ্ছদ শিল্পীঃ ধ্রুব এষ। প্রকাশকঃ তাম্রলিপি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কাছে যেমন লেখা আশা করা হয় ঠিক তেমনি একটি বই। বিজ্ঞানমনস্ক এই গুনী লেখকের অসামান্য একটি উপহার এই কিশোর সাহিত্যখানা। শুধু শিশু-কিশোরদের জন্যই নয়, বইটিতে বড়দের জন্যও কিছু শিক্ষণীয় বিষয় আছে যা বর্তমান সমাজকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটির মূল চরিত্র রাশা নামের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া একটি মেয়ে। অসম্ভব রকমের মেধাবী এই মেয়েটির আসল নাম ছিল রাইসা। পড়ত ঢাকার একটা নামকরা স্কুলে। মুখস্থ বিদ্যার চেয়ে বুঝেশুনে পড়াতেই তার বেশি আগ্রহ। তার এক সহপাঠী (রাশার ভাষায় ‘পাঁজি ছেলে’) তাকে নিয়ে একটি কবিতা লেখে যার শুরু ছিল এরকম- ‘রাইসা, মাছের কাঁটা খায় বাইছা বাইছা।’ এরপর সে নিজেই তার নাম পরিবর্তন করে রাশা রেখে ফেলে। মেধাবী এই ছাত্রীর বাসার পরিবেশ খুব একটা ভাল ছিল না। তার আব্বু আম্মু প্রায়ই ঝগড়া করত যা রাশার মনে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় তার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। একসময় তার আব্বু আম্মুর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তারা দুজনেই আরেকটি বিয়ে করে বিদেশে চলে যায়। এই অবস্থায় রাশার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে তার ঠাঁই হয় গ্রামের বাড়িতে তার পাগলী নানির কাছে। শুরু হয় রাশার নতুন জীবন। নানিই এখন তার একমাত্র সম্বল। মুক্তিযুদ্ধে স্বামী হারানো বৃদ্ধা নানিকে নিয়েই শুরু হয় তার নতুন সংসার। তাকে পেয়ে তার নানিও নতুন করে বেঁচে থাকার প্রেরণা খুঁজে পান। প্রথম দিকে গ্রামের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা হলেও রাশা একসময় খাপ খাইয়ে নেয়। তার কিছু বন্ধুও তৈরি হয় গ্রামে- জয়নব, মতি, জিতু, আর বন্ধুসম মুক্তিযোদ্ধা সালাম নানা। আব্বু-আম্মুর বিচ্ছেদে বিধ্বস্ত রাশা নতুন করে জীবন কে সাজিয়ে নেয়। নিজের প্রচেষ্টায় সে গ্রামের স্কুলে ভর্তি হয়, যে স্কুলটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন রাজাকারের নামে। যার নানা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সে কেমন ব্যাপারটি মেনে নিবে? তাই সায়েন্স অলিম্পিয়াডে স্কুলের নাম লিখতে বলা হলেও সে লিখেনি। আর সে জন্যই স্কুল পড়ুয়া রাশা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের চাইতে বেশি নম্বর পেয়েও বিজয়ী হতে পারেনি। কিন্তু এতে সে বিন্দুমাত্র পরাজিত বোধ করেনি। বরং নিজেকে মূল্যবোধের পরীক্ষায় জয়ী হিসেবেই প্রমাণ করেছে। অবশ্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত মন্ত্রী মহোদয় তাকে যথাযোগ্য পুরষ্কার দেন- তার স্কুলের নাম পরিবর্তনের ব্যবস্থা করে দেন। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজাকার আহাদ আলী রাশার উপর প্রতিশোধ নিতে যায়। সে রাশাকে ধরে নিয়ে যায় পানিতে ডুবিয়ে মারার জন্য। কিন্তু রাশা তার বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পালিয়ে যায় এবং পুলিশের কাছে আহাদ আলীর সকল কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেয়। এভাবেই বুদ্ধির জোরে রাশা তার নানার হত্যাকারী রাজাকারকে বিচারের সম্মুখীন করে। দেশের নামকরা শিক্ষাবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধে পিতাকে হারানো লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বইটির মাধ্যমে শিক্ষাপদ্ধতি ও সমাজ সংস্কার এবং মুক্তিযুদ্ধের মাহাত্ম্যর বিষয়টি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বইটাতে মূল চরিত্র একটি মেয়ে যার নাম রাইসা। রাইসা থেকে রাশাতে রূপান্তর ঘটে। বাবা-মার ডিভোর্সের পর মেয়েটিকে জীবনের চরম সব বাস্তবতা স্বীকার করে নিতে হয়। রাশার বাবা বিয়ে করে কানাডা প্রবাসী হন, অপরদিকে মা মেয়েকে ফেলে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমায়। রাশা বড় হতে থাকে ওর নানীর কাছে, মুক্তিযুদ্ধে স্বামী হারাবার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এক পর্যায়ে বিকারগ্রস্হ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এই নানীর কাছে রাশা শুরু করে জীবনের নতুন অধ্যায়। জন্মাবধি শহরে বড় হওয়া মেয়ে রাশা প্রাকৃতিক সান্নিধ্যে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে শুরু করে। উপন্যাসটার মধ্যে শিক্ষামূলক উপাদান খুব বেশি চলে এসেছে, যদিও আমি মনে করি বর্তমান বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে মেসেজগুলো পৌছে দেওয়া খুব প্রয়োজন ছিলো। ঘটনাচক্রে বাল্যবিবাহের প্রসংগ এসেছে , আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার পরিবেশ, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশপ্রেম, বিজ্ঞানচেতনা অনেক কিছুই আবর্তিত হয়েছে রাশা চরিত্রকে কেন্দ্র করে। আমি জানি না অন্যদের কেমন লাগবে, জাফর স্যরের কিশোর উপন্যাসগুলো আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। এ উপন্যাসটিও অনেকটা সেরকম। এদেশের নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানমনষ্ক, অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে ওঠার আশা আমরা সবাই করতে পারি।