User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং নিয়ে সুন্দর আলোচনা সাপেক্ষে বইটি,যেখানে বিশদ ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানের এ শাখাটি তুলে ধরা হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
'জলজ' বইটির প্রথম গল্প 'ডক্টর ট্রিপল-এ' মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ইউনিক গল্পগুলোর মাঝে একটি। ছোটোবেলায় পড়া ছিল। কুকুরের করোটিতে মানবশিশুর মস্তিষ্ক ট্রান্সপ্লান্ট করার মত অপরাধে লিপ্ত পেট ওয়ার্ল্ড নামক টঙ্গীর একটি প্রতিষ্ঠান। মেয়ে নীলার জন্য কুকুর কিনতে গিয়ে বিদেশী অর্থায়নের এই শক্তিশালী অর্গানাইজেশনের সাথে পরিচয় হয় সফটওয়্যার কোম্পানির চাকরিজীবী আবিদ হাসানের। আস্তে আস্তে কুটিল সত্যটা প্রকাশ পায়। সাধারণ একজন মানুষ আবিদ হাসান কি পারবেন এই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করতে? বইয়ে আছে আরো তিনটি গল্প - "দ্বিতীয় জীবন" যা মৃত্যুপরবর্তী জীবন নিয়ে লেখা। "সোলায়মান আহমদ ও মহাজাগতিক প্রাণী" - এক ভন্ড ব্যক্তির এলিয়েন এবডাকশনের কাহিনী ফাঁস। আর "মহাজাগতিক কিউরেটর" - ভিনগ্রহ থেকে আসা দুজন কালেকটরের পিঁপড়া সংগ্রহের কাহিনী। এগুলো চলনসই গল্প বইয়ের টাইটুলার গল্প 'জলজ'। পৃথিবী থেকে ক্রসিয়াস গ্রহপুঞ্জে গিয়ে বসতি স্থাপন করা মানব সভ্যতা থেকে য়ুল নামের এক যুবক তার বায়োবট কীশকে নিয়ে এসেছে পৃথিবী ভ্রমণে। বারো বছরের জার্নি শেষে পৃথিবীতে যখন নামতে যাবে - তখনই তারা জানতে পারে পৃথিবীতে এখন আর একটিও মানুষ বেঁচে নেই, সবকিছু ধ্বংসপ্রায়, বাতাস প্রবল বিষাক্ত। বড়জোর কিছু কীট আর সরীসৃপ টিকে আছে। য়ুলের যাবতীয় আশা আগ্রহ ধূলিসাৎ হলেও এক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তারা জানতে পারে মানুষ জেনেটিক পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজের শরীরকে পানিতে বসবাসের উপযুক্ত করে তুলেছে। তাই এখন পানির নীচে গড়ে উঠেছে নতুন এক মানব সভ্যতা। যদিও তারা তেমন উন্নত নয়। গল্পটি শেষ হয় য়ুলের পৃথিবীতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। তেমন ইমপেক্ট/সাসপেন্সের কিছু নেই। বেশ সাধারণ একটি গল্প। রেটিং ৩/৫।
Was this review helpful to you?
or
GD
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
good one
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
"জলজ" মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের অন্যতম সেরা বিজ্ঞান ফিকশন সংকলন। পাঁচটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকে এই বইটয়ের মাধ্যমে এক মলাটে নিয়ে আসা হয়েছে। সায়েন্স ফিকশন গুলো হল : 'ডক্টর ট্রিপল এ', 'দ্বিতীয় মানব', 'সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণী', 'মহাজাগতিক কিউরেটর' ও 'জলজ'। বিজ্ঞান কল্পকাহিনী পাঁচটি তে কল্পনার আশ্রয় নিয়ে লেখক ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছেন রহস্য, ভিনগ্রহের প্রাণীর চিন্তা, ভবিষৎ পৃথিবী, প্যরালাল ইউনিভার্সের মতো বিষয় গুলো।
Was this review helpful to you?
or
The best part of this book is its little parts .every part is so different from others and even one part of this book is included in nctb curriculam.so proud of you jafar iqbal sir,you are my favourite
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ২ বইঃ জলজ লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনীঃ তাম্রলিপি মুল্যঃ১৪১ টাকা (রকমারি মুল্য) ধরনঃসায়েন্স ফিকশন লেখক পরিচিতিঃ শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, কলামিস্ট, গল্পকার, ঔপনাসিক, বিজ্ঞান লেখক স্যার মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলাদেশের ছোট বড় প্রায় সব বয়সি মানুষের কাছে এক জনপ্রিয় নাম। তিনি শিশু-কিশোরদের জন্য প্রতি বছরই নতুন নতুন গল্প নিয়ে হাজির হন। যার মাঝে বেশি গল্পই থাকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে। গল্পগুলো সত্যিই কল্পনা জগত কে প্রসস্থ করে দিতে টনিকের মতো কাজ করে। সাথে নতুন জ্ঞান মস্তিষ্ককে উৎজীবিত করে। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধ, গনিত অলিম্পিয়াড নিয় বই লিখে থাকেন। কাহিনী সংক্ষেপেঃ জাফর ইকবালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞান ফিকশন সংকলন। পাঁচটি গল্পে পুরো বইটিকে এক মলাটে নিয়ে আসা হয়েছে। গল্পগুলো যথা: ডক্টর ট্রিপল এ, দ্বিতীয় মানব, সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণী, মহাজাগতিক কিউরেটর ও জলজ। গল্প পাঁচটি তে কল্পনার আশ্রয় নিয়ে লেখক ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছেন রহস্য, ভিনগ্রহের প্রাণীর চিন্তা, ভবিষৎ পৃথিবী, প্যরালাল ইউনিভার্সের মতো বিষয় গুলো। নিচে ডক্টর ট্রিপল এ এবং জলজ গল্পের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো: ডক্টর ট্রিপল এ: ডক্টর ট্রিপল এ গল্পে দেখা যায় এক ছোট বাচ্চা কুকুর ছানা পালার শখ জাগে। তার বাবা কুকুর ছানা খুঁজার সময় রহস্যময় এক ব্যক্তি ট্রিপল এ এর সাথে দেখা হয়। রহস্যময় ব্যক্তিটি তার ফার্ম থেকে একটি কুকুর ছানা দেয়। পরবর্তীতে নীলা বুঝতে পারে এটি কোনো সাধারণ কুকুর ছানা নয়। এই নিয়েই গল্পের রহস্য সৃষ্টি হতে থাকে। জলজ: জলজ গল্পের পটভূমি ধ্বংস হয়ে যাওয়া পৃথিবীতে। তখন মানুষ অন্য গ্রহে বসবাস করে। এই সময় পৃথিবীতে মানুষের সন্ধানে এক মহাকাশচারী আসে। কিন্তু সে জানতে পারে পৃথিবীর অক্সিজেন মানুষের জন্য উপযোগী নয়। তারপরেও সে পৃথিবীতে নামে এবং মৃত্যু মুখোমুখি হয়। কিন্তু কেউ একজন তাকে বাঁচিয়ে দেয়। তবে সে কি মানুষ? মানুষ হলে কি করে এই পরিবেশে বেঁচে আছে? সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণী- সোলায়মান আহমেদ নামে একজন দাবি করে, ভিন গ্রহের প্রাণী তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এবং খ্যাতি অর্জনের জন্য সে সারা দেশ থেকে সাংবাদিকদের নিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করে। কিন্তু যখন বড় বড় মানুষেরাও তার এ মিথ্যা ধরতে পারে না, তাহলে কে ধরে?? মহাজাগতিক কিউরেটর- ভিনগ্রহের প্রানিরা পৃথিবীতে আসে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রানিটিকে নিয়ে যেতে। শেষ পর্যায়ে গিয়ে তাহলে কি হয়?? পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বিবর্তন তত্ত্বানুযায়ী প্রাণের উদ্ভব হয়েছে জল থেকে। এই বইতে দেখানো হয়েছে, আবার তারা জলেই ফিরে গেছে। সেই সাথে একটু খানি রোমান্স... খারাপ না, ভালোই। অন্য গল্পগুলোও চমৎকার। সব মিলিয়ে উপভোগ্য একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
No great
Was this review helpful to you?
or
রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত_ও_রকমারি_ডট_কম_আয়োজিত_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগীতা নামঃ জলজ লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাম্রলিপি প্রকাশনী ১. ডক্টর ট্রিপল এ , ২. দ্বিতীয় জীবন, ৩. সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণী, ৪. মহাজাগতিক কিউরেটর, ৫. জলজ এই ৫ টা গল্পের সমগ্র #জলজ বইটি। **ডক্টর ট্রিপল এ তে দেখানো জয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর নামে কিভাবে মানুষের মস্তিস্ককে কুকুরের মস্তিস্কে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ** দ্বিতীয় জীবন এর কাহিনী নিজে পড়লেই বুঝবেন :p ** সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণী তে সোলায়মান নামে একজন নিজের খ্যাতি বাড়ানোর জন্য মিথ্যা কাহিনী বলা শুরু করে যে তাকে নাকি ভিনগ্রহের প্রাণি ধরে নিয়ে গেছে। পরে কি হয়েছে!!! ইহ!! আমি বললে বই পড়বে কে? :3 ** মহাজাগতিক কিউরেটর- পিপড়ার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষের হার!!! ** জলজ-- মূলত শেষ গল্প দিয়েই বইয়ের নাম শুরু!! ইয়ুল নামের একটি তরুন পৃথিবীতে ফিরে আসে। কিন্তু এসে দেখতে পায়, অনেক আগেই সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরক্ষনেই তার ধারনা পাল্টে যায়। সে দেখে, মানুষ অভিযোজিত হয়ে জলজ প্রানিতে পরিণত হয়েছে। এবং সে পৃথিবীতে থেকে যাবার জন্য ঠিক করে। সব মিল্লিয়ে বইটা খারাপ না। রকমারি থেকে বিনা পরিশ্রমে কিনে পড়ে ফেলুন তো !!! :D :D By Rehnuma Rubayat Prapty
Was this review helpful to you?
or
#রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত_ও_রকমারি_ডট_কম_আয়োজিত_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগীতা জলজ বইটি মূলত পাঁচটি গল্পের সংকলন। গল্পগুলো হচ্ছে- * ডক্টর ট্রিপল এ * দ্বিতীয় জীবন * সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণি * মহাজাগতিক কিউরেটর * জলজ পাঁচটি গল্পেরই সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ আমি উল্লেখ করবো এখানে। ১| ডক্টর ট্রিপল এ:- আবিদ হাসানের মেয়ে নীলা তার বাবার কাছে আবদার করলো একটি কুকুরছানা পোষার জন্য। আপত্তি সত্বেও আবিদ হাসান এতে রাজি হলেন। বহু খোজাখুজির পর টঙ্গীর কাছে এক ফার্মের সন্ধান পেলেন তিনি। আমেরিকান কোম্পানি 'পেট ওয়ার্ল্ড' নামে এখানে গড়ে তুলেছে এক কুকুরের ফার্ম। আবিদ হাসান ভেতরে গিয়েই বুঝতে পারলেন এটা কোনো নিছক ফার্ম নয়, এটা একটা গবেষণাগার। যারা মূলত জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে কুকুরের বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর উপর কাজ করে, আর এ কুকুরগুলো এক্সপোর্ট করা হবে ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডে। এর সামগ্রিক দায়িত্বে আছেন ডক্টর আসিফ আহমেদ আজহার। শর্তসাপেক্ষে আবিদ হাসান একটি কুকুরছানা আনলেন, মূলত মানুষের সাথে এটির আচার আচরণ প্রত্যক্ষ করার জন্যই তারা এটি দিয়েছে। কিছুদিন পর আবিদ হাসান দেখলেন কুকুরছানাটি তার মেয়ের সাথে যেভাবে খেলা করে তা সাধারণ কুকুরের পক্ষে সম্ভব না। এমনকি এটি কিছু সংখ্যাও বুঝতে পারে। তিনি আবিষ্কার করলেন মূলত জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নয় মানবশিশুর মস্তিষ্ক ট্রন্সফার করা হয়েছে কুকুরছানাটির স্কালে। সাধারণ মানুষকে ভুলিয়ে গোপনে এত জঘন্য অমানবিক। একটি কাজ করে যাচ্ছে পেট ওয়ার্ল্ড। এবার এদের আইনের আওতায় আনার প্রতিজ্ঞা নিলেন আবিদ হাসান। কিন্তু এদের মুখোশ উন্মোচন করার আগে তিনি নিজেই আটকা পড়ে গেলেন পেট ওয়ার্ল্ডে। আবিদ হাসান কি পারবেন এই জাল ভেদ করে বেরিয়ে আসতে? পেট ওয়ার্ল্ডর আসল রুপ ফাঁস করতে? যারা অমানবিকভাবে করে যাচ্ছে জঘন্য কাজগুলো। ২| দ্বিতীয় জীবন:- এটি খুবই সংক্ষিপ্ত গল্প। রিভলবারের মুখোমুখি একজন মানুষের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এ গল্পটিতে। এর চেয়ে বেশী বললে গল্পটি পড়ে আর মজা পাবেন না, তাই বাকিটা জানতে গল্পটি পড়তে হবে। ৩| সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণি:- এ গল্পটিও ছোটগল্প, যে কিছু বললে গল্পটিই বলা হয়ে যাবে। তবুও সামান্য বলি। দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি সোলায়মান সাহেব। প্রেস কনফারেন্সে বলছেন যে তাকে একটি মহাজাগতিক প্রাণি ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু তারপর কি হলো? তা আর বলতে পারছিনা, বইটি পড়লেই উত্তরটা পেয়ে যাবেন। ৪| মহাজাগতিক কিউরেটর:- মহাজাগতিক কাউন্সিল দুজন কিউরেটরকে দায়িত্ব দিয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঘুরে গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিগুলোর নমুনা সংগ্রহ করার। এবার কিউরেটররা এসে পৌছুলেন সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে, কিন্তু কোনো প্রাণিই তাদের মনমতো হচ্ছে না। তাহলে তারা কোন প্রাণিকে নিয়ে যাবেন? সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ নাকি অন্য কিছু? ৫| জলজ:- বইয়ের মূল গল্পই বলা যেতে পারে এটি। দুই শতাব্দী আগে রোবটদের নিয়ে ক্রসিয়াস গ্রহপুঞ্জে বসতি স্থাপন করেছে মানুষ। তাদেরই এক উত্তরপুরুষ য়ূল মহাকাশযানে চড়ে দেখতে এসেছে তাদের পূর্বপুরুষের জন্মভূমি পৃথিবীকে। কিন্তু আল্ট্রাভায়োলেট রে আর পারমানবিক রিঅ্যাকশানের ফলে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক আগেই। বিষাক্ত গ্যাসে ভরা এই গ্রহে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। বিষণ্ণ মনে মনুষ্যবিহীন এ পৃথিবীতে নামলো য়ূল। কিন্তু সমুদ্রে সে মানুষের মতোই কিছু একটার সন্ধান পেলো। তাহলে পৃথিবীতে মানুষ আছে?? কিন্তু তারা পানিতে গেলো কিভাবে? গেলেও জলজ প্রাণির মতো বেঁচে আছে কিভাবে? য়ূল কি পারবে তা বুঝে উঠতে? বা এই মানুষগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে?? রহস্যঘন এইসব প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হলে পড়ে ফেলুন জলজ বইটি। ******* বইটি আমার কাছে সামগ্রিকভাবে ভালোই লেগেছে। প্রথম গল্পটি ভালো লেগেছে, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ গল্পগুলো বড্ড ছোট হওয়াতে আমার কাছে তেমন ইন্টারেস্টিং লাগেনি। (এর মধ্যে মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পটি আবার নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে স্থান করে নিয়েছে। গল্পটিতে একটি সূক্ষ্ম বার্তা দেয়া আছে)। আর শেষের গল্প তথা জলজ অসাধারণ লেগেছে। অন্তত এ গল্পটি পড়ার জন্য হলেও বইটি পড়ে ফেলুন। ব্যক্তিগত রেটিং- ৬/১০ তো আজই পড়ে ফেলুন মজার কিছু গল্প সাজানো জলজ বইটি। এটি রকমারিতে ১২% ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। By: M R Bijoy
Was this review helpful to you?
or
পাঁচটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে এ বইটি। আর বইয়ের শেষ গল্পের নাম অনুসারে দেয়া হয়েছে বইয়ের নাম – জলজ। এখানে আমি প্রতিটি গল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছিঃ ডক্টর ট্রিপল-এ: পেট ওয়ার্ল্ড নামের আমেরিকান কোম্পানিটি টঙ্গীর কাছাকাছি জায়গায় একটি কুকুরের ফার্ম চালু করে। আবিদ হাসান তার একমাত্র মেয়ের জন্য একটি কুকুরছানা কিনতে যোগাযোগ করেন পেট ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে। এই ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আসিফ আহমেদ আজহার, বন্ধুমহলে যিনি ট্রিপল এ নামেই পরিচিত। তার কাছ থেকেই জানা যায় যে তারা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে অসাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি কুকুর প্রজাতি দাড় করিয়েছে যার একেকটির দাম প্রায় সাড়ে সাত হাজার ডলার। তবে ফ্যামিলির সাথে রেখে এগুলোকে টেস্ট করতে হবে, সেই সুবাদে নীলার বাসায় আসে একটি চমৎকার আইরিশ টেরিয়ার কুকুরছানা। কুকুরছানা পেয়েতো নীলা দারুণ খুশি, সে এর একটা নামও দিয়ে দিল - টুইটি। কিন্তু কিছুদিন পরেই টুইটিকে ঘিরে এক গভীর নৃশংস ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয় আসিফ হাসানের সামনে। দ্বিতীয় জীবন: কৃষ্ণপক্ষের রাত, চারদিকে হেমন্তের হালকা কুয়াশা, জোসনার নরম আলো। অসম্ভব সুন্দর একটি দৃশ্য। কিন্তু কয়েসকে এসব কিছুই স্পর্শ করছে না, কারণ সে দাড়িয়ে আছে জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। মাজহার নামের এক ভাড়াটে খুনি মাত্র দুই হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে খুন করতে এসেছে, বেধেঁ রেখেছে নাইলনের সস্তা দড়ি দিয়ে। কয়েসের অনেক অনুনয় বিনয়ও থামাতে পারেনা মাজহারের রিভলবারের ট্রিগার, সবকিছু স্তব্ধ করে দেয় একটিমাত্র বুলেট। তারপর??? তারপরেও আরো কিছু বাকি থেকে যায়। সোলায়মান আহমদ ও মহাজাগতিক প্রানী: খুবই ছোট এই গল্পে হালকাভাবে সায়েন্সের ছোঁয়া আছে। সোলায়মান আহমদ নামক এক বিশিষ্ট শিল্পপতির দাবি - তাকে মহাজাগতিক প্রাণীরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি ভরশূন্য অবস্থায় থেকেও একটা প্রমাণ নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন, আর সেখানেই যত বিপত্তি। মহাজাগতিক কিউরেটর: সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ ঘুরে ঘুরে গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী সংগ্রহের অভিযানে নেমেছে দুই মহাজাগতিক কিউরেটর। কিন্তু পৃথিবী নামক গ্রহে এত বিপুল সংখ্যক প্রাণের বিকাশ দেখে তারা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে, কোন প্রানী সংরক্ষণ করা উচিত আর কোনটি উচিত না সেটা বুঝতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অবশেষে তারা নিতে পারে সঠিক সিদ্ধান্ত; কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কি মানুষের পক্ষে যথেষ্ট অপমানজনক নয়? জলজঃ দুই শতাব্দী আগে পৃথিবী নামক ছোট্ট নীল গ্রহের কিছু মানুষ রোবটদের সাথে নিয়ে পাড়ি জমায় ক্রসিয়াস গ্রহপুঞ্জে। সেই ক্রসিয়াস গ্রহপুঞ্জ থেকে য়ুল ফিরে যাচ্ছে তার পূর্বপুরুষদের জন্মস্থানে, সূর্যের কক্ষপথে আটকে থাকা তৃতীয় গ্রহটিতে, পৃথিবীতে।দীর্ঘ এক যুগের এই মহাকাশ অভিযানে তার সাথে এসেছে রোবট ক্রন ও বায়োবট কীশ। কিন্তু পৃথিবীর কছে আসার পর প্রচন্ড আশাহত হতে হয় য়ুলকে, যখন সে জানতে পারে এই পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব বিলুপ্ত, বিষাক্ত এই গ্রহে কোন প্রানীর বেচেঁ থাকা অসম্ভব। একরাশ হতাশা নিয়ে পূর্বপুরুষদের জন্মস্থানে পা রাখে য়ুল, কিন্তু সে কি জানত এখানে কি বিস্ময় অপেক্ষা করে আছে তার জন্য। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ লেখকের অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইটি আমার কাছে অতটা ভাল লাগেনি। তবে বইয়ের প্রথম গল্পটা (ডক্টর ট্রিপল-এ) ছিল অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ : জলজ জলজ কে মোটামটি science fiction সমগ্রই বলা চলে। মোটমাট ৫ টি ছোট- বড় গল্প রয়েছে যার প্রতিটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অলমোস্ট সব গল্পই কম বেশি ভাল লেগেছে তাই প্রতিটি গল্প আলাদা আলাদা ভাবে উপস্থাপন করাই ভালো মনে করছি। ট্রিপল এ : এক লাইনে বলতে গেলে এনিম্যানের ছোট সংস্করণ। এক ছোট বাচ্চা নীলার হঠাৎ কুকুরছানা পালার শখ জাগে। সে আর তার বাবা কুকুরছানা খোঁজার সময় এক রহস্যময় ব্যক্তি ট্রিপল এ এর সাথে দেখা হয়। তারপর সে তার কুকুর পালার ফার্ম থেকে একটি কুকুরছানা তাদের দেয়। কিন্তু কয়েকদিন যাবার পরেই তারা বুঝতে পারে এটি সাধারণ কোন কুকুরছানা নয় ,এখন কুকুরছানা আর ফার্মের রহস্য নিয়েই গল্পের ক্লাইমেক্স। দ্বিতীয় মানব : প্যারালাল ওয়ার্ল্ড নিয়ে কাহিনী। Cause and effect নিয়ে লিখা একটি গল্প যার কাহিনী নাম থেকেই বেশ বোঝা যায়। তারপরেও গল্পের আরেকটু এক্সপ্লেনেশন আশা করেছিলাম ,যেন হঠাৎ করেই শুরু হয়েই শেষ হয়ে গেলো । সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণী : আমাদের আশপাশে অনেক ধরণেরই হোয়াক্স হচ্ছে। তেমনি একটি হোয়াক্স আর তার পরিণতি নিয়ে লেখা একটি ছোটগল্প, বেশ উপভোগ্য। মহাজাগতিক কিউরেটর : এটা মূলত এলিয়েনদের চোখে আমাদের সমাজের অবস্থা নিয়ে লিখা , finishing unexpected ছিল , ভালো লেগেছে। জলজ : জাফর ইকবাল স্যারের টিপিক্যাল science fiction গল্প। গল্পের প্লট এমন সময়ে যখন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মানুষ অন্য গ্রহে বসবাস করছে। এ সময় একজন মহাকাশযাত্রী পৃথিবীতে এসেছে মানুষের খোঁজে। কিন্তু সে জানতে পারে পৃথিবীর অক্সিজেন মানুষের উপযোগী নয়। তারপরে ও সে পৃথিবীতে নামে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। কিন্তু কেউ একজন তাকে বাঁচায়। এখন সে কি মানুষ ? আর মানুষ হলে কিভাবে বেঁচে আছে? এ নিয়েই মূলত " জলজ " গল্পটি। মোটকথা এক মলাটের ভিতরেই পরিপূর্ণ এক সাইন্স ফিকশন সমগ্র যা আমার দৃষ্টিতে স্যারের এখনকার আমলের সায়েন্স ফিকশন গুলোর থেকে বেশ উন্নতমানের।বইমেলাতে কেনার পরে এক বসায় এটি পড়ে ফেলেছিলাম। এখনো মোটামুটি আনন্দ পাওয়ার আশায় বেশি এক্সপেকটেশন ছাড়াই বইটি পড়লে কেউ হতাশ হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
Good book.But 3rd One was bad
Was this review helpful to you?
or
জলজ বইটি অনেক ভালো ও সুন্দর একটি বই। এই বইটি বিজ্ঞানের কল্প কাহিনি নিয়ে লেখায় এটি খুবই ভালো লেগেছে। ড. জাফর ইকবাল এর এই বইটি অনেক অসাধরন একটি বই
Was this review helpful to you?
or
জলজ বইটি মূলত একটি গল্প সমগ্র। তবে আশ্চর্যের বিষয়, প্রতিটা গল্পই একে অপরের থেকে আলাদা। প্রত্যেকটি সায়েন্স ফিকশন। জেমনঃ ১. ডক্টর ট্রিপল এ - এই গল্পে দেখানো হয়েছে যে, একজন নিউরো সার্জন কিভাবে মানুষকে হত্যা করে তার মস্তিষ্ক কুকুর জাতীয় প্রাণীর মধ্যে প্রতিস্থাপন করে শুধুমাত্র উন্নত জাতের কুকুর তৈরির জন্য। কিন্তু সে ভুলে যায়, দেহ কুকুরের হলেও মস্তিষ্ক মানুষের, যা পরবর্তীতে তার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। এবং এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় ছোট একটি মেয়ে ও তার বাবা। ২. দ্বিতীয় জীবন- গল্পটি ভৌতিক। এবং প্রতিশোধ নিতে এক বাক্তির পুনরায় আবির্ভাব হয় মৃত্যুর পর। ৩. সোলায়মান আহমেদ ও মহাজাগতিক প্রাণী- সোলায়মান আহমেদ নামে একজন দাবি করে, ভিন গ্রহের প্রাণী তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এবং খ্যাতি অর্জনের জন্য সে সারা দেশ থেকে সাংবাদিকদের নিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করে। কিন্তু যখন বড় বড় মানুষেরাও তার এ মিথ্যা ধরতে পারে না, তার এ মিথ্যা ধরে দেয় ছোট একটি ছেলে। ৪.মহাজাগতিক কিউরেটর- ভিনগ্রহের প্রানিরা পৃথিবীতে আসে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রানিটিকে নিয়ে যেতে। শেষ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ, একটি সামান্য পিপ্রার কাছে পরাজিত হয়। ৫. জলজ- ইয়ুল নামের একটি তরুন পৃথিবীতে ফিরে আসে। কিন্তু এসে দেখতে পায়, অনেক আগেই সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরক্ষনেই তার ধারনা পাল্টে যায়। সে দেখে, মানুষ অভিযোজিত হয়ে জলজ প্রানিতে পরিণত হয়েছে। এবং সে পৃথিবীতে থেকে যাবার ইচ্ছা পোষণ করে। তাই একসাথে এতগুল সায়েন্স ফিকশন পড়ার জন্য বইটি অবশ্যই পড়তে হবে।