User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Overall A good thriller. But the story is very fast paced. Even though the plot is simple but the representation is the key that makes it more interesting. Minus the sexual connotations would have given 5 star.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ কাহিনি।
Was this review helpful to you?
or
#Book_Insights 32 পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় দেশের জনপ্রিয় এক লেখক নিজ অ্যাপার্টমেন্টেই মারা গেলেন। প্রাথমিকভাবে, ন্যাচারাল ডেথ মনে হলেও, মুখের উপর বালিশ চাপা থাকায় কেসটা চলে আসে হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগের কাছে। • গল্পটা শুরুতে সাধারণ একটা খুনেরই মনে হয়েছিলো। তদন্তও সেভাবেই এগোচ্ছে, প্রোটোকল ফলো করে। কিন্তু একসময় সন্দেহভাজনের স্বীকারোক্তির পর এর অগ্রগতি কীভাবে হবে, তা নিয়ে ভাবতে লাগলাম। পাঠক হিসেবে একদম 'ক্লুলেস' থাকা যাকে বলে। যদিও লেখক একেবারেই 'ক্লু' দেননি, তা বললে ভুল হবে। বরং সেই ক্লু যেভাবে সাজানো হয়েছিলো, সেটা অনেকেরই ধরতে পারা মুশকিল। • এখানে ইতিবাচক দিক হলো, প্রোটোকল ফলো করা, জেফরি বেগের প্রফেশনাল আচরণ করা। কিছু বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ করা যেতে পারে, তবে এসবের ফাঁকে ফাঁকে বেগ চরিত্রের দক্ষতা, অর্জন, ব্যাক স্টোরিও মাঝে মাঝে টেনে আনা হয়েছে। যদিও ইনভেস্টিগেশনের এক পর্যায়ে, প্রাইমারি সাসপেক্ট ধরার আগে একটু অধৈর্য হয়ে পড়েছিলাম। • চরিত্র বলতে জেফরি বেগই এখানে ফোকাসে। বেগের পরিচয় পর্ব থেকে শুরু করে প্রেম পর্ব, সবটাই পেয়ে যাবেন এখানে। বার্স্টার্ড এর দেখা এই উপন্যাসে খুব বেশি পাবেন না। তাই বেগ আর বাস্টার্ড এর ইঁদুর-বিড়াল খেলা সিরিজের প্রথম উপন্যাসেই দেখার আশা রাখবেন না। তবে এইটুক বলতে পারি, যতটুক ঝলক দেখানোর প্রয়োজন ততটুকু এই বইয়ে দেয়া হয়েছে। • উপন্যাসে উল্লিখিত লেখকের বেশ মিল পাওয়া যাবে আমাদের দেশের একজন নামকরা লেখকের জীবনের সাথে। বাস্তবের সাথে অনেক কিছুই মিল রেখে লেখতে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু উক্ত লেখক চরিত্রকে যেভাবে নেতিবাচকরূপে দেখানো হয়েছে, সেটা ঠিক মনঃপূত হয়নি। নেমেসিস গ্রীক পুরাণের এক দেবীর নাম, প্রতিশোধের দেবী। বইটির নামকরণ কেনো এ নামে করা হলো, স্পয়লারের জন্য তা আর উল্লেখ করবো না। তবে নামকরণের বিষয়টা ইন্টারেস্টিং লেগেছে। একটা সিরিজের প্রথম উপন্যাস হিসেবে যেমনটা থাকা উচিত, নেমেসিস তার প্রায় সবটাই পূর্ণ করেছে। সিরিজের পরবর্তী উপন্যাস হিসেবে আগ্রহ ধরে রাখার কাজটাও উপন্যাসের সমাপ্তিতে পাওয়া যাবে। • ব্যাক্তিগত রেটিং: ৩.৫/৫ (বইটার প্রোডাকশন বেশ ভালো লেগেছে। প্রচ্ছদটাও চমৎকার। অবশ্য এই সিরিজের সবগুলো বইয়ের প্রচ্ছদই সুন্দর।) এক নজরে, • বই: নেমেসিস (বেগ বাস্টার্ড:- ১) • লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন • ধরণ: থ্রিলার উপন্যাস • প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী • প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১০ • প্রচ্ছদ: সিরাজুল ইসলাম নিউটন • পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩০৪ ~ ইয়াসির আল সাইফ
Was this review helpful to you?
or
গোলনূর আফরোজ, ১৭ বছর বয়সে বিয়ে, পরকীয়ায় সংসার ভেঙে যাওয়া ..... rings bell for sure. একটু এডাল্ট উপন্যাস এটা, কিন্তু গোয়েন্দা উপন্যাস হিসেবে এটা আসলেই ভালো হয়েছে। ৩০৪ পৃষ্ঠার বইটি চুম্বকের মত আকর্ষণ করে রেখেছিল।
Was this review helpful to you?
or
oshadaton ... ar pore kon ta Porte hobe list ta Amy kau dite parben
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
this book
Was this review helpful to you?
or
লেখকের কয়েকটি বই পড়া হয়েছে। গল্পের মান ভালো। কিন্তু, লেখক বাজে শব্দ ব্যবহার, গালিগালাজ, এবং ভাল্গার বর্ণনা দিয়ে নিজের মনোভাবের খারাপ দিকটাকেই প্রকাশ করলেন। অন্য একটি বইয়ে মনে হলো ধর্মের সঙ্গেও ওনার একটু সমস্যা রয়েছে (লেখকদের অনেকেই এটাকে একটা পশ আইডিওলজি মনে করেন)। শেষে এটাই বলবো : লেখাটাকে একটু রুচিশীল করুন। ভালো লেখক হতে গেলে গালিগালাজ, খারাপ শব্দ, ভাল্গার বর্ণনা দেয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই!!
Was this review helpful to you?
or
বইটা শুরু হয় পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক বিখ্যাত লেখকের হত্যাকাণ্ড দিয়ে! পড়া যত এগোবে পাঠক তত দ্বিধায় পড়বে এই কাহিনি কি দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখকের কি না! আমিও দ্বিধান্বিত হয়ে তখন বইয়ের প্রকাশকাল আর বিখ্যাত লেখকের মৃত্যুর সময়টা দেখলাম, সময় যথাক্রমে ২০১০ এবং ২০১২! বিখ্যাত লেখক কি এই বইটা পড়েছিলেন? আমার কাছে অবাক লাগছে ডুব চলচ্চিত্রের সময় এরকম একটা বিষয় নিয়ে হইচই হয়েছিল অথচ নেমেসিস নিয়ে সম্ভবত সেরকম কিছু হয় নি! যাই হোক আবার লেখায় ফিরে যাই। হত্যাকান্ডের শুরুতেই হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের চৌকস গোয়েন্দা সন্দেহভাজন দুই আসামিকে লেখকের এপার্টমেন্ট থেকে আটক করে, লেখকের দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষা আর তার প্রেমিক! কিন্তু তদন্ত যত এগোয় গোয়েন্দার তত মনে হতে থাকে খুনি অন্য কেউ! কাহিনির মোড় ঘুরে যায় যখন লেখকের পাঠানো এক ইমেইলে। খুন হওয়ার আগে ইমেইলে লেখক এক পান্ডুলিপি পাঠান প্রকাশকের কাছে যার সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক নেই লেখকের! লেখায় অনেক বিতর্কিত বিষয় লিখে যান লেখক এবং তার জন্য ক্ষমা চান সবার কাছে যা ছিল তার স্বভাববিরুদ্ধ! আবার এই বইয়ের স্বত্ব দিয়ে যান প্রথম স্ত্রীকে যাকে তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন! প্রথম স্ত্রীর নাম দেখে ভিরমি খেয়েছি, গোলনূর আরা তরফদার। কিছু কি মিল পাওয়া যায়? প্রথম স্ত্রীর সাথে দেখা করে গোয়েন্দা জেফরি বেগ আবিষ্কার করে সদ্য খুন হওয়া লেখকের নোংরা অতীত! সেই অতীত ঘেঁটে গোয়েন্দা ঘটনার জন্য সন্দেহ করে এক প্রভাবশালী শিল্পপতিকে যার ছেলের সাথে মিসকন্ডাক্ট করেছিলেন লেখক। শিল্পপতি খুনের কথা স্বীকার করলেও গোয়েন্দার জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তা প্রমাণ করা। শিল্পপতিকে ধরতে না পারলেও গোয়েন্দা জেফরি খুনিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু তাকে ধরার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজে মারা যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়! বাকিটা পাঠকদের পড়ে নিতে হবে! থ্রিলারটিতে বেশ কিছু বিষয় দেখানো হয়েছে যা লেখকের সাহসিকতার পরিচয়! ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, প্রভাবশালী শিল্পপতি এবং মন্ত্রীর চাপে পুলিশের আসামি ছেড়ে দেয়া, ঘুষ লেনদেন, শিল্পপতির অসীম প্রভাব, খুন করানো, দম্ভভরে খুনের কথা স্বীকার করা, প্রিন্ট আর ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনৈতিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি! আমার স্কোরঃ ৭.৫/১০!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Balo, pore onek valo lagse.
Was this review helpful to you?
or
Average. Though my expectation was high seeing the good reviews of this book.
Was this review helpful to you?
or
awesome
Was this review helpful to you?
or
Absolutely loved it
Was this review helpful to you?
or
মোঃ নাজিম উদ্দীন আমার প্রিয় একজন লেখক।উনার লেখনি আর কাহিনী বিন্যাস এককথায় অসাধারণ।দ্যা ভিঞ্চি কোড,ইনফার্নো এই দুইটা অনুবাদগ্রন্থ পড়ার পর তার মৌলিক থ্রিলার হিসেবে আমি প্রথম বইটা পড়ি ১৯৫২:নিছক কোনো সংখ্যা নয়।এই বই পড়ার পর থেকেই আমি লেখকের ভক্ত হয়ে যাই।অতঃপর লেখকের জাল গ্রন্থটি পড়ি।বেগ বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই নেমেসিস দোকানে এভেইলেবল না।তাই রকমারি থেকে অর্ডার দেই।এবং যথারীতি বইটি পড়ে আমি মুগ্ধ।এক কথায় উত্তেজনায় ঠাসা একটি থ্রিলার উপন্যাস এবং প্রতি মুহুর্তে মনে হবে আপনি কাহিনী স্পটে সরাসরি উপস্থিত আছেন।আমার তরফ থেকে এটি একটি মাস্ট রিড ক্যাটেগরির বই।পড়লেই বুঝতে আপ্রবেন যে আপনার টাকা এক বিন্দুও নষ্ট হয়নি।শুভ কামনা রইলো লেখক সহ সকল পাঠকের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
good thriller ........
Was this review helpful to you?
or
বইঃ নেমেসিস লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৬৯ ????? নেমেসিস মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই। নেমেসিস শব্দের অর্থ প্রতিহিংসা। গ্রিক মাইথোলজি অনুযায়ী, নেমেসিস হলো প্রতিহিংসার দেবী। বইটার কাহিনীও কিছুটা প্রতিহিংসাকে কেন্দ্র করেই। দেশের স্বনামধন্য লেখক জায়েদ রহমান পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন। সিটি হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ খুব সহজেই ধরে ফেললো সম্ভাব্য খুনিকে। কিন্তু লেখকের ঘরে গিয়ে জেফরি বেগ আবিষ্কার করলো নতুন এক সত্য। শুরু হয় নতুন করে তদন্ত। কাহিনী যতোই এগোতে থাকে গল্পের মোড় ঘুরতে শুরু করে। বেরিয়ে আসে অজানা সব তথ্য। গল্পের শেষে রয়েছে চমকপ্রদ এক তথ্য যা শুরুতে কল্পনা করাও মুশকিল। আমি কখনোই থ্রিলারপ্রেমী ছিলাম না।তবে নাজিম উদ্দিন এর বই পড়ে যে কেউ থ্রিলারপ্রেমী হয়ে উঠবে। গল্পের কাহিনী খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন উনি। বইয়ের মেইন ভিলেন চরিত্রটিকে উপস্থাপন করার বিষয়টা খুবই ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে নেমেসিস এমন একটি বই যা পাঠককে এক অধ্যায় শেষ করার পর পরের অধ্যায় পড়তে বাধ্য করবে।
Was this review helpful to you?
or
A must read revenge thriller .
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে লেখক টানটান উত্তেজনা ধরে রাখতে পেরেছেন। ভাল একটি থ্রিলার ছিল। বাংলা ভাষায় এমন মৌলিক থ্রিলার কমই পড়েছি। তবে বেশ কিছু বানান ভুল ছিল, যেগুলো চোখে লেগেছে। কভারটা ভাল ছিল।
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
joss ekta book
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর দুটো বই, এমনিতেই। তবে তাদের কাজের দ্রুততাটাই মুগ্ধ করেছে। মানে যেন আগেরদিন অর্ডার করেছিলাম,পরেরদিন পেয়ে গেছি। ব্যস্ততার মাঝেই এমন ফিল, ইনটারেস্টিং!
Was this review helpful to you?
or
বাঙালি রাইটারদের মাঝে নাজিমুদ্দিন স্যারের ডিটেকটিভ রিলেটেড বই আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। খুবই ভাল লাগলো বইটি বিশেষ করে শেষের অংশটি যেদিকে মোড় নিলো সেটা ছিল অকল্পনীয়। লেখকের অনেক অনুবাদ আমি পড়েছি তবে স্যারের নিজস্ব লেখা বই এই প্রথম পরলাম। এইবার নেক্সট বই কন্ট্রাক্ট পড়ার পালা…
Was this review helpful to you?
or
আগুন ?????
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি পড়ার আগেই বইয়ের বেশকিছু রিভিউ পড়ে ফেলেছিলাম। যে রিভিউগুলো জুড়ে অবশ্য সমালোচনাই বেশী ছিলো। লেখক হুমায়ুন আহমেদের সাথে মিল এবং অশ্লীলতা ছিলো সমালোচনার মূল অংশ। আমার কাছে অশ্লীলতা খুব একটা বেশী মনে হয়নি। খুবই সামান্য যেটুকু আছে সেটা একেবারেই কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ। মানে অতোটা খারাপ লাগার মতো নয়, যতোটা অনেকেই বলেছেন। আর লেখক হুমায়ুন আহমেদের সাথে মিলের যে ব্যাপারটা সেটা আসলেই একটু বেশীই মিল হয়ে গেছে। তবে পুরো বই পড়ার পর আবার জায়েদ রহমানের চরিত্রের অংশটুকু মাথায় নিলে সেখানে আর হুমায়ুন স্যারের সাথে মিল পাওয়া যায় না। তবুও বিষয়টাকে নিতান্তই কাকতলীয় বলেও উড়িয়ে দেয়াও যায় না। আক্ষরিক অর্থেই মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ের এই সামান্য অংশটুকু না থাকলেই হয়তো আর এই বিষয়টা নিয়ে খচখচানির জায়গাটা থাকতো না। তবে লেখকের প্রথম মৌলিক থ্রিলার হিসাবে এই বইটা খুবই চমৎকার একটা বই। পক্ষাঘাতগ্রস্ত একজন লেখকের খুনের তদন্তের অংশটুকু জেফরি বেগের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা খুবই উপভোগ্য ছিলো৷ নিত্য নতুন রহস্য আর সেই রহস্যের উদঘাটন করার বিভিন্ন কৌশল একটা রহস্য থ্রিলারের যা যা দরকার তার সবই এই বইতে আমি পেয়েছি। সাথে একজন সাংবাদিকের রহস্য, জেফরির সহকারী জামানের কারেক্টার, অমল্য বাবুর রহস্যময় উপস্থিতি, জেফরি বেগের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন এবং "এপ্রিল ফুল" বইয়ে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। খুবই সুপাঠ্য ছিলো আমার জন্য। রেটিংঃ ০৮/১০
Was this review helpful to you?
or
ভালো লিখেছেন। কাহিনির মধ্যে একটা আকর্ষণ ভাব আছে যেটা পাঠককে ধরে রাখতে যথেষ্ট শক্তিশালী। লেখনীও ভালো।
Was this review helpful to you?
or
ভালো । কিন্তুু আরো ভালো হতে পারত। সবার জন্য নয় । মৌলিক লেখা হিসেবে ছায়ার ছাপ একটু বেশীই পাওয়া যায় ।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর নয় তবে দাগ কাটার মতো।
Was this review helpful to you?
or
সম্ভবত এটা আমার পড়া প্রথম দেশি মৌলিক থ্রিলার। প্রত্যেক অধ্যায় এর শেষে যে টুইস্টগুলা দেয় ঐগুলা পুরাই "ওরে বাপ্ রে" টাইপ। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো লেখা। মাঝে মাঝে একটু স্লো মনে হচ্ছিলো গল্পটা। ফান ফ্যাক্ট : গল্পে যে লেখক খুন হয় তার সাথে কোন লেখকের জানি মিল খুঁজে পাচ্ছি ?
Was this review helpful to you?
or
Another master piece of beg-bastard series.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি থ্রিলার।
Was this review helpful to you?
or
Such an amazing thriller
Was this review helpful to you?
or
nice Book
Was this review helpful to you?
or
Love this.
Was this review helpful to you?
or
অন্যতম মৌলিক উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
Interesting!
Was this review helpful to you?
or
Nazimuddin at it's best
Was this review helpful to you?
or
Outstanding
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
wow
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষার এতো সুন্দর থ্রিলার! অনবদ্য লেখনী।
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন আবারো ভালো লেখার পরিচয় দিলেন। বাংলা থ্রিলারের ফ্যান না হয়ে উপায় নেই। অন্যান্য থ্রিলার গুলোর মতো এবারেও কমতি রাখেননি।
Was this review helpful to you?
or
good online e-commerce
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালো মানের একটি থ্রিলার ।
Was this review helpful to you?
or
ভালই
Was this review helpful to you?
or
দুটো ঘন্টা পড়লো রাতের ঘড়িতে। টহলরত পুলিশের গাড়ি আটক করলো এক তরুণকে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, কেমন অপ্রকৃতস্থ। ইন্সপেক্টর এলাহী নেওয়াজের অভিজ্ঞ চোখ অবশ্য নিমিষেই বুঝে গেল - নেশাগ্রস্ত ছেলেটা। একটাই খটকা, ছেলেটা তাকিয়েছিল ধানমন্ডির ভিটা নুভার ছ' তালার ফ্ল্যাটের বেলকনির দিকে। আর কারোরই যেটা অজানা নেই - এই ফ্ল্যাটেই থাকেন দেশবরেণ্য লেখক জায়েদ রেহমান, বর্তমানে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। পুলিশি দায়িত্ববোধ থেকে লেখকের ফ্ল্যাটে ফোন করলো ইন্সপেক্টর। লেখকের দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষার সাথে কথোপকথনের ফাঁকেই এলাহী নেওয়াজের কানে এলো নারীকণ্ঠের চিৎকার! খুন করা হয়েছে লেখককে, মুখের ওপর চাপা দেওয়া ছিল একটি বালিশ। চাঞ্চল্যকর খুনের কিনারা করতে এলো হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। খুব দ্রুতই অভাবনীয় সাফল্যের দেখা পেল গোয়েন্দা। সকালের মধ্যে রহস্যের সমাধান করে ফেলল, খোদ হত্যাকারীকেও ধরে ফেলল ঘটনাস্থল থেকেই। সমীকরণ সরল - খুনটা করেছেন লেখকের স্ত্রী ও তার প্রেমিক, সে রাতে পাশের ঘরেই অভিসারে লিপ্ত ছিলেন দুজনে। মিডিয়া তোলপাড়, জোর আলোচনা চললো পাঠক সমাজে। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের প্রধান ফারুক আহমেদ যখন পিঠ চাপড়াচ্ছেন, জেফরির কপালের ভাঁজ বেড়েই চলেছে। খটকাগুলো যে মিটছে না। তবে কি নিরপরাধ কাউকে ফাঁসিয়ে দিল সে? প্রকাশক আবেদ আলীর কাছে মৃত্যুর আগে কেন ইমেইল করলেন জায়েদ রেহমান, পাঠালেন এমন এক বিধ্বংসী আত্মজীবনী? সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল জেফরি, গোড়া থেকে শুরু করবে। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের প্রথম মৌলিক উপন্যাসটি বাংলাদেশের থ্রিলার ধারায় জনপ্রিয় নাম। লেখকের অন্যান্য বই পড়া হলেও, বেগ - বাস্টার্ড সিরিজটি শুরু করতে একটু দেরি হয়ে গেল। বিদেশী থ্রিলারের ছায়া থেকে বেরিয়ে এই উপন্যাসটির পটভূমি এবং কাহিনীতে ছিল সম্পূর্ণ দেশী আমেজ। লেখক যে কেবল অনুবাদেই নন, মৌলিক লেখাতেও দক্ষ তার সাক্ষর রয়েছে বইটিতে। প্রতি পাতায় পাতায় উত্তেজনায় ভরা ছিল বইটি, যে জন্য কিছু দুর্বলতা থাকলেও তা এড়িয়ে যেতে পেরেছি। জেফরি বেগের চরিত্রটি বেশ রক্তমাংসের মনে হয়, যার জীবনে প্রেম - ভুল - ভাবাবেগ সবই রয়েছে। ব্যক্তিজীবনের অস্থিরতার ছাপ তার তদন্তে পড়েছে, যে কারণেই হয়তো সহজ কিছু বিষয় প্রথম থেকে তার দৃষ্টিগোচর হয়নি। অন্যতম প্রধান চরিত্র 'বাস্টার্ড' গুরুত্ব কম পেয়েছে বলে মনে হয়েছে। তাকে ভয়ংকর এবং বুদ্ধিমান বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও, তার নমুনা সেভাবে পাওয়া যায় না। দেশীয় প্রেক্ষাপট আনতে গিয়ে যে পক্ষাঘাতগ্রস্ত লেখক চরিত্রটির অবতারণা, তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। জনপ্রিয় লেখক ও চলচ্চিত্রকার জায়েদ রেহমান, যিনি মেয়ের বান্ধবী বর্ষাকে বিয়ে করেছেন প্রথম স্ত্রী 'গোলনূর'কে তালাক দিয়ে, তাকে লেখক হুমায়ূন আহমেদের আদলে উপস্থাপন করতে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন কোনো লুকোছাপা করেননি। পাশাপাশি সেই লেখককে দুশ্চরিত্র, উভকামী এবং কপিবাজ উপস্থাপন করাটা পাঠককে কষ্ট দিবে। তাতে বইটি হয়তো 'নেগেটিভ পাবলিসিটি' পেয়েছে, কিন্তু একজন লেখক অপর লেখককে এভাবে অসম্মান করার প্রয়োজন ছিল না বলে মনে হয়েছে। বইটির যে সংস্করণ সংগ্রহ করেছি, তা একেবারেই নতুন, এবছরে মুদ্রিত। দ্বাদশ সংস্করণে এসেও বইটিতে এতো বানান এবং মুদ্রণের ভুল থাকাটা হতাশাজনক। বইয়ের বাঁধাইও প্রথম পড়াতেই খুলে এসেছে। প্রতিশোধের দেবী নেমেসিসের অমোঘ শাস্তির টানটান উপন্যাসটি পড়ে নিতে পারেন থ্রিলারপ্রেমী পাঠকরা। বই: নেমেসিস লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনায়: বাতিঘর প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ: ২০১০ প্রচ্ছদ: সিরাজুল ইসলাম নিউটন পৃষ্ঠাসংখ্যা: ২৭২ মুদ্রিত মূল্য: ৩২০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলার জনরার গল্পের প্রতি বরাবরই আমার আকর্ষণ বেশি। কিন্তু এই গল্পে আকর্ষণটা অন্যান্যবারের চেয়ে আরও বেশি ছিল। নেমেসিস নামটা শুনেই বইটা পড়ার আগ্রহ জন্মে গিয়েছে। শুরুটা দেখে প্রথমে একটু অলসতা লাগছিল, ভেবেছিলাম হয়তো এই বই পড়াতে মনোযোগ দিতে পারবো না। হঠাৎ করেই পড়ার জোশটা পেয়ে গেলাম গল্পের মোড় দেখে। লেখক কী সুন্দর একটা থ্রিলার লিখেছেন সেটা আমার মতো পাঠক বাড়িয়ে বললেও কম হয়ে যাবে। প্রতিটা চিত্র চোখ বন্ধ করে কল্পনা করার মতো অবস্থা ছিল আমার। মনে হচ্ছে যেন, দৃশ্য গুলো আমার সামনে ঘটছে। আমি কাছ থেকে সেটাকে অনুভব করছি এতটা গুছানো আর গভীর ব্যাখ্যা। যা যেকোনো পাঠককে এই বই পড়তে আগ্রহী করে তুলবে।
Was this review helpful to you?
or
দুটো ঘন্টা পড়লো রাতের ঘড়িতে। টহলরত পুলিশের গাড়ি আটক করলো এক তরুণকে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, কেমন অপ্রকৃতস্থ। ইন্সপেক্টর এলাহী নেওয়াজের অভিজ্ঞ চোখ অবশ্য নিমিষেই বুঝে গেল - নেশাগ্রস্ত ছেলেটা। একটাই খটকা, ছেলেটা তাকিয়েছিল ধানমন্ডির ভিটা নুভার ছ' তালার ফ্ল্যাটের বেলকনির দিকে। আর কারোরই যেটা অজানা নেই - এই ফ্ল্যাটেই থাকেন দেশবরেণ্য লেখক জায়েদ রেহমান, বর্তমানে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। পুলিশি দায়িত্ববোধ থেকে লেখকের ফ্ল্যাটে ফোন করলো ইন্সপেক্টর। লেখকের দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষার সাথে কথোপকথনের ফাঁকেই এলাহী নেওয়াজের কানে এলো নারীকণ্ঠের চিৎকার! খুন করা হয়েছে লেখককে, মুখের ওপর চাপা দেওয়া ছিল একটি বালিশ। চাঞ্চল্যকর খুনের কিনারা করতে এলো হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। খুব দ্রুতই অভাবনীয় সাফল্যের দেখা পেল গোয়েন্দা। সকালের মধ্যে রহস্যের সমাধান করে ফেলল, খোদ হত্যাকারীকেও ধরে ফেলল ঘটনাস্থল থেকেই। সমীকরণ সরল - খুনটা করেছেন লেখকের স্ত্রী ও তার প্রেমিক, সে রাতে পাশের ঘরেই অভিসারে লিপ্ত ছিলেন দুজনে। মিডিয়া তোলপাড়, জোর আলোচনা চললো পাঠক সমাজে। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের প্রধান ফারুক আহমেদ যখন পিঠ চাপড়াচ্ছেন, জেফরির কপালের ভাঁজ বেড়েই চলেছে। খটকাগুলো যে মিটছে না। তবে কি নিরপরাধ কাউকে ফাঁসিয়ে দিল সে? প্রকাশক আবেদ আলীর কাছে মৃত্যুর আগে কেন ইমেইল করলেন জায়েদ রেহমান, পাঠালেন এমন এক বিধ্বংসী আত্মজীবনী? সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল জেফরি, গোড়া থেকে শুরু করবে। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের প্রথম মৌলিক উপন্যাসটি বাংলাদেশের থ্রিলার ধারায় জনপ্রিয় নাম। লেখকের অন্যান্য বই পড়া হলেও, বেগ - বাস্টার্ড সিরিজটি শুরু করতে একটু দেরি হয়ে গেল। বিদেশী থ্রিলারের ছায়া থেকে বেরিয়ে এই উপন্যাসটির পটভূমি এবং কাহিনীতে ছিল সম্পূর্ণ দেশী আমেজ। লেখক যে কেবল অনুবাদেই নন, মৌলিক লেখাতেও দক্ষ তার সাক্ষর রয়েছে বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
ধরুন আপনি কোনাে হােমিসইড় বিভাগের তরুন অফিসার কোনাে রাতে ঢাকা শহরে বসবাসকারি কোনও জনপ্রিয় লেখকের হঠাৎ মৃত্যু হল তার কিছুদিন আগেই হার্টের বাইপাস সার্জারি হয়েছে । বুকের সেলাই এর পাশে একটা নীলচে দাগ রয়েছে। মৃত্যুর কারন হয়তাে হার্ট অ্যাটাক | মুখে অবশ্য বালিশ চাপা দেওয়া রয়েছে। আপনি জানতে পারলেন মৃত্যুর সময় পাশের ঘরে লেখকের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এবং তার প্রেমিক গভীর। প্রণয়ে ডুব দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই তাদের পাকড়াও করলেন। তারই খুনি। নিজের স্বার্থে পথের কাঁটাকে উপড়ে দিয়েছে | জলের মতাে সােজা কেস। জেফরি বেগও তাই। ভেবেছিলেন। কিন্তু তার খটকা লাগে কিছু জায়গায় সাধে কি তিনি এফ.বি.আই এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ অফিসার ! যার ট্রাক রেকর্ড প্রায় একশাে শতাংশ। লেখক ঐ রাতেই তার একটা বই ইমেল করলেন। বিতর্কিত লেখা। লেখকের জীবনের অন্ধকার দিকগুলাে তাতে তিনি তুলে ধরেছেন। কিন্তু লেখক তাে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ! ডান। হাতের কিছু আঙ্গুল বাদে শরীরের কোনাে অঙ্গই তার কথা শােনে না টাইপ করতে পারেন। তবে নাগালের বাইরে থাকা ল্যাপটপ থেকে ইমেলটা কে পাঠাল? | লেখক যেদিন খুন হলেন, সেদিন তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে আছে একটি ছেলে। মায়াবী চেহারা নেশাগ্রস্থ। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে লেখকের ঘরের দিকে । ইনি কি তিনি? ঢাকা শহরের এক আধাে-আলাে ঘর। একটি লােক চেয়ারে বসে আছে। সামনে টিভি চলছে। অ্যানিমেল প্ল্যানেট বাঘের কাছে হরিণ আত্মহত্যা করছে । লােকটার সঙ্গে জেফরির চেহারার নাকি ভীষণ সাদৃশ্য রয়েছে | কাকতালীয়? শিকারি | কি শিকার নাকি অন্যকিছু। প্রসঙ্গত কাহিনীর একটি চরিত্রের সংলাপ বলা যেতে পারে - "...আপনি নিশ্চয়ই জানেন, অন্যায়ের প্রতিরােধের জন্য গ্রিকদের এক দেবী পর্যন্ত রয়েছে... নেমেসিস ।" বইটিতে লেখক এমন এক কাহিনীর ফঁাদ পেতেছেন, যে ফঁাদে আপনি পড়বেন এবং বন্দী হয়ে আনন্দ পাবেন। কাহিনী বলার কৌশল এবং ঘটনার গতিময়তা আপনাকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আটকে রাখবে। পাশ্চাত্য সাহিত্যের ছায়া অবলম্বন না করেও যে বাংলার নিজস্ব প্রেক্ষাপটে বাংলা ভাষায় এরুপ মৌলিক থ্রিলার রচনা করা সম্ভব, তা এই রচনা না পড়লে জানতাম না ! পার্থপ্রতিম দাসের প্রচ্ছদটিও থ্রিলারের সঙ্গে মানানসই। অনেক পাঠক উপন্যাসের প্লটের সঙ্গে সমকালীন জনপ্রিয় এক লেখকের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়ার কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে থ্রিলারের লেখক স্বয়ং একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি কাহিনীর প্লটটিকে সম্পূর্ণ 'দেশি' একটা প্রেক্ষাপটে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। তাই অন্যান্য রচনাগুলাের মতাে এই রচনাতেও জায়গা হিসেবে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, টি.সি.এস , ধানমন্ডি উঠে এসেছে তেমনি চরিত্রগুলােকেও তিনি সেই আদলেই সৃষ্টি করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
একটা বিচার করতে হবে। কিন্তু তথা কথিত নিয়মে করা যাবে না। দেশের বিচারালয়েও করা যাবে না। ভিক্টিমের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়। অপরাধী একজন সুনামধন্য লেখক। দ্বিতীয় বিবাহ করেছে। পক্ষাঘাত অবস্থায় বিছানাধীন। এমন ভাবে খুন করা হয় কেউই সহজেই খুনিকে ধরতে পারে না। লেখকের খুন হবার পরই তার আত্মজীবনী বের হয়। যেসব কথা লেখা হয়েছে তাতে পাঠকমহলে বেশ সমালোচিত হচ্ছে। জেফরি বেগ-বাষ্টার্ড সিরিজের এই বইটি অসাধারন মৌলিক থ্রিলার। অনেকে অনুবাদ বলে ভুল করেন। লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দীন এর মাধ্যমে নতুন ধারার মৌলিক থ্রীলারের ধারা শুরু করেন।
Was this review helpful to you?
or
নেমেসিস ছিলেন প্রাচীন গ্রীকের প্রতিশোধ এর দেবী। সেই হিসেবে এই বইয়ের নামকরণটি সার্থক। বইটি পড়লেই নামকরণের যথার্থটা বুঝতে পারবেন। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনের বেগ- বাস্টার্ড সিরিজ এর প্রথম বই এই নেমেসিস। টানটান উত্তেজনার একটা থ্রিলার। পড়তে বসলে শেষ না করে উঠতে মন চাইবে না৷
Was this review helpful to you?
or
বইটির নাম নেমেসিস। যে নামে এক গ্রিক দেবতা আছে। যে প্রতিশোধ দেবতা হিসেবে পরিচিত। ধানমন্ডির এক বিলাসবহুল ভবন ভিটা নুভার একটি এপার্টমেন্টে খুন হন দেশের জন্যপ্রিয় লেখক জায়েদ রেহমান। খুনের তদন্তের ভার পরে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের কাছে। খুব স্বল্প সময়ে দক্ষ তরুণ অফিসার জেফরি বেগ সম্ভাব্য খুনি হিসেবে লেখকের দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষা রেহমান ও তার প্রেমিককে আটক করেন। কিন্তু তদন্তের এক পর্যায়ে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।বেরিয়ে আছে এক অচিন্তনীয় ঘটনা। পাঠপ্রতিক্রিয়া: এমনিতেই থ্রিলার পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। তবে আমার পড়া লেখক নাজিম উদ্দিনের প্রথম বই এটি। এর আগে তার অনুবাদ করা বিভিন্ন বইয়ের সুনাম শুনে।বিশেষত রবীন্দ্রনাথ সিরিজ আর বাস্টার্ড সিরিজ এই দুইটার আলোচনা শুনেই এই বইটা পড়া শুরু করি। সত্যি বলতে লেখকের প্রথম বই পড়ে তার ভক্ত হয়ে গেছি। শুধু লেখক নয় একইসাথে বাস্টার্ড সিরিজেরও ভক্ত। এই বইয়ের রেটিং হিসেবে 4.8/5 দেব।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষার মৌলিক থ্রিলারের জাগরন ঘটেছিলো এই বইটার মাধ্যমে। খুবই দারুন একটা মার্ডার মিস্ট্রি। জেফরি-বাস্টারদ এর লড়াই শুরু হলো এই বইয়ের মাধ্যমে। পরের বইগুলো পড়ার অপেক্ষায়। ক্লাইমেক্সটা দারুন। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। পড়ে উপভোগ করেছি। টুইস্টে ভরপুর একদম। যারা থ্রিলার প্রেমি তারা পড়ে দেখতে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
যদিও আমার শুরুটা হয়েছিল এই সিরিজের "করাচি" উপন্যাসটির মধ্য দিয়ে। নেমেসিস পড়া হয়েছে পরে। সিরিজের প্রথম বই হিসাবে একেবারে খাসা! চমৎকার গল্প। চরিত্রগুলোও বেশ চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। সিরিজের প্রথম বই হিসেবে এক কথায় অসাধারণ। বেগ-বাস্টার্ডের দৌড়ত আরও অনেক দূর পর্যন্ত যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। বাকি বইগুলোও সময় সুযোগ করে পড়ে ফেলার প্রত্যাশা রাখি। পাঠক চাইলে স্বাদ নিতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
Very Good
Was this review helpful to you?
or
নেমেসিস শব্দের অর্থ প্রতিহিংসা। গ্রিক মাইথোলজী অনুযায়ী নেমেসিস হলো প্রতিহিংসার দেবী। প্রখ্যাত লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেমেসিস বইয়ের কাহিনীও কিছুটা ওই প্রতিহিংসাকেই কেন্দ্র করে। গল্পের শুরুতে দেখা যায় এক প্রখ্যাত পক্ষাঘাতগ্রস্থ লেখকের বর্তমান স্ত্রী অন্য একজনের সাথে লীলাখেলায় ব্যস্ত। অন্য দিকে সেই লেখক খুন হয়ে পড়ে থাকেন অন্য এক রুমে। সারারাত পর সকালে তার স্ত্রী দেখতে পান সেই লাশ। পুলিশ আসে বাসায়। আসে হোমিসাইড (বিশেষ পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থা। অনেকটা সি আই এ, এফবিআই এর মত) ডিপার্টমেন্টের তরুণ অফিসার জেফরি বেগ। গোটা ডিপার্টমেন্টে তার সুনাম খুব! তরুণ সেই অফিসার নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ধরে ফেলেন সম্ভাব্য আসামীকে। রিমান্ডে নেন তাকে। ঠিক তখনই ঘুরে যায় গল্প। জেফরি বেগ বুঝতে পারে যে তার ভুল হয়েছে। গল্পটা আসলে অন্যরকম। এরপর শুরু হয় গতি। তবে বইয়ের শেষে জেফরি সম্মুখিন হয় এক অদ্ভুত সত্যের, যা সে আশাও করেনি। কী সেই সত্য? জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি!
Was this review helpful to you?
or
উনার লেখা আমার ১ম পড়া বই এটি.. চমৎকার থ্রিলার.. exciting sure
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ নেমেসিস লেখকের নামঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরনঃথ্রিলার ব্যক্তিগত রেটিং:-৪.৫/৫ জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন তার নিজের ফ্ল্যাটে। তাকে খুন করা হয়েছে সন্দেহে তদন্ত শুরু করেন হোমিসাইডের তরুন অফিসার জেফরি বেগ। আর এই খুনের সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেফতার হয় লেখকের ২য় স্ত্রী। তার সাথে তার প্রেমিককেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তদন্তের শেষ হয়ে যাওয়ার পরও জেফরি বেগের বেশ কিছুটা সন্দেহ হয়। আর এই সন্দেহ নিয়ে তিনি এই খুনের রহস্যের নতুন অধ্যায় উম্মেচন করেন। আর তাতে খুনি বের হয়ে আসে অপ্রত্যাশিত একজন। দায়িত্বের খাতিরে জেফরি বেগ কে ছুটতে হয় সেই খুনীর পিছু পিছু। ঘটতে থাকে বার বার বদলে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা। ব্যক্তিগত মতামতঃ নেমেসিস অর্থ প্রতিহিংসার দেবী। আত্মা প্রতিশোধ। আবার অনেকটা কাল নিয়তি। যা খন্ডিত করবার কোন উপায় নেই। আর এই গল্পের সাথে নামকরনের বেশ ভালো একটা সামাঞ্জস্য রয়েছে। থাক, সে কথা। তবে প্রথমে বলতে হয় এই গল্পের প্লট, এই প্লটটা বেশ পরিচিত অবশ্য ভিন্ন কারনে। তা হলো ছবিটা পরিচিত একজনের সাথে মিলে যায় খুব। এটা তো গেলো চরিত্রের বিচারে জেফরি বেগ এবং খুনি চরিত্রের দৌড় খেলা বেশ দেখিয়েছেন। প্রতিহিংসার রূপ দিতে, প্রেম, পরকীয়া, হত্যা, প্রতিশোধ, ক্ষমতার বাড়াবাড়ি, বিভিন্ন নেশার বস্তু ড্রাগ মিলে মিশে একাকার অবস্থা। সব কিছু মিলে একটা দূর্দান্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আর তাই গল্প শেষ করার প্রতি আগ্রহ ছিলো খুব। বই শেষ করতে বিরক্তি নয় উপরন্তু দুটি চরিত্রকেই সমান ভাবে ভালো লাগে। আর এই ভালোলাগা বৃদ্ধি করেছে মূলত লেখকের লেখনি। এসবের বাইরে সমালোচনা করা যায়, প্লটের সাথে এদেশের বিখ্যাত এক ব্যক্তির সাদৃশ্য যা বেশ কিছুটা দৃষ্টিকটু। আর একটা বিষয় হলো তিনি বেশ কিছুটা ওপেনলি কিছু বিষয় দেখিয়েছেন । তবে এসব কিছু ছাপিয়ে গেছে গল্পের প্রতি আগ্রহ। যা পাঠককে একবারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। নেসেসিস মূলত লেখকের বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই। এটা ছাড়াও আরো ৪ টি বই আছে এ সিরিজে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ নেমেসিস লেখকের নামঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ঘরানারঃথ্রিলার ব্যক্তিগত রেটিং:-৪.৫/৫ রিভিউঃ জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন তার নিজের ফ্ল্যাটে। তাকে খুন করা হয়েছে সন্দেহে তদন্ত শুরু করেন হোমিসাইডের তরুন অফিসার জেফরি বেগ। আর এই খুনের সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেফতার হয় লেখকের ২য় স্ত্রী। তার সাথে তার প্রেমিককেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তদন্তের শেষ হয়ে যাওয়ার পরও জেফরি বেগের বেশ কিছুটা সন্দেহ হয়। আর এই সন্দেহ নিয়ে তিনি এই খুনের রহস্যের নতুন অধ্যায় উম্মেচন করেন। আর তাতে খুনি বের হয়ে আসে অপ্রত্যাশিত একজন। দায়িত্বের খাতিরে জেফরি বেগ কে ছুটতে হয় সেই খুনীর পিছু পিছু। ঘটতে থাকে বার বার বদলে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা। প্রকাশনীঃবাতিঘর পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ২৬৮ মূল্যঃ২৪০ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর জন্ম ঢাকায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বমানের বিভিন্ন বই অনুবাদের সাথে সাথে তিনি অনেক গুলো মৌলিক থ্রিলার রচয়িতা। ব্যক্তিগত মতামতঃ নেমেসিস অর্থ প্রতিহিংসার দেবী। আত্মা প্রতিশোধ। আবার অনেকটা কাল নিয়তি। যা খন্ডিত করবার কোন উপায় নেই। আর এই গল্পের সাথে নামকরনের বেশ ভালো একটা সামাঞ্জস্য রয়েছে। থাক, সে কথা। তবে প্রথমে বলতে হয় এই গল্পের প্লট, এই প্লটটা বেশ পরিচিত অবশ্য ভিন্ন কারনে। তা হলো ছবিটা পরিচিত একজনের সাথে মিলে যায় খুব। এটা তো গেলো চরিত্রের বিচারে জেফরি বেগ এবং খুনি চরিত্রের দৌড় খেলা বেশ দেখিয়েছেন। প্রতিহিংসার রূপ দিতে, প্রেম, পরকীয়া, হত্যা, প্রতিশোধ, ক্ষমতার বাড়াবাড়ি, বিভিন্ন নেশার বস্তু ড্রাগ মিলে মিশে একাকার অবস্থা। সব কিছু মিলে একটা দূর্দান্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আর তাই গল্প শেষ করার প্রতি আগ্রহ ছিলো খুব। বই শেষ করতে বিরক্তি নয় উপরন্তু দুটি চরিত্রকেই সমান ভাবে ভালো লাগে। আর এই ভালোলাগা বৃদ্ধি করেছে মূলত লেখকের লেখনি। এসবের বাইরে সমালোচনা করা যায়, প্লটের সাথে এদেশের বিখ্যাত এক ব্যক্তির সাদৃশ্য যা বেশ কিছুটা দৃষ্টিকটু। আর একটা বিষয় হলো তিনি বেশ কিছুটা ওপেনলি কিছু বিষয় দেখিয়েছেন । তবে এসব কিছু ছাপিয়ে গেছে গল্পের প্রতি আগ্রহ। যা পাঠককে একবারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। নেসেসিস মূলত লেখকের বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই। এটা ছাড়াও আরো ৪ টি বই আছে এ সিরিজে। https://www.rokomari.com/book/33654/নেমেসিস?ref=srbr_pg0_p4
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-নেমেসিস লেখক-মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরন-থ্রিলার পৃষ্ঠা-২৬৮ মূল্য-২৪০ প্রকাশনী-বাতিঘর উপন্যাসের কাহিনীর শুরু এক জনপ্রিয় লেখকের মৃত্যু দিয়ে। দেশের জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রেহমান প্যারালাইজড অবস্থায় মাঝরাতে নিজের ফ্ল্যাটে মারা যান। স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি প্ল্যান করে খুন করা হয়েছে তা ঠিক বুঝা যাচ্ছিলো না। তদন্তে নামলেন সিটি হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ । তদন্তের শুরুতেই খুব স্মার্টলি কাজ করে বেশ তাড়াতাড়ি খুনীদের গ্রেফতার করলেন। তারা হলেন লেখকের ২য় যুবতী স্ত্রী ও তার প্রেমিক এক উঠতি অভিনেতা আলম শফিক। কাহিনী এখানেই শেষ হয়ে যাবার কথা। গেছিলোও। ঝামেলা বাদলো অন্য জায়গায়। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্বেও এফ বি আই ট্রেনিং প্রাপ্ত জেফরি বেগ তার এই তদন্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার মনে দেখা দিলো এলোমেলো কিছু প্রশ্ন। যার উত্তর না মিলাতে পেরে খুঁজে পান আরো কিছু অসংগতি ! সব কিছুই যখন একই সরলরেখায় রেখে ভাবনা চিন্তার রেখা টানছেন ঠিক তখনি ফাঁক টা বুঝতে পারলেন। মনে উঁকি দিলো সংশয়, পর্দার আড়াল থেকে যাচ্ছে নাতো কেউ! কৌতুহল মেটাতে এগিয়ে গিয়ে, শেষ পর্যন্ত জেফরি বেগ যা জানতে পারেন তা ছিলো একেবারেই অপ্রত্যাশিত। পড়ার পর কাহিনীর প্লট একেবারেই বিতর্কিত মনে হয়েছে। গল্পে খুন হয়ে যাওয়া জায়েদ রেহমান এর সাথে আমাদের দেশের একজন জনপ্রিয় লেখকের জীবনচারিত পুরোই মিলে যায়। তা একটু আধটু নয়। যার প্রমান পাঠক পড়তে গেলেই বুঝবেন। এবং সেটা অনিচ্ছকৃত নয় এটাও বেশ ভালো ভাবে বুঝা যায়। তাছাড়া সরাসরি বললে লেখক তাকে সম্মান নয় অপদস্তই করতে চেয়েছেন। কারন টা বুঝা গেলো না। পাঠক হিসেবে পছন্দের লেখককে এভাবে তুলে আনাটা মন থেকে সায় মেলেনি। মেলার কথাও না। এভাবে হুবুহু মিল না দিলেও পারতেন। এই মিল টা বাদ দিলে, কাহিনীর প্লট থ্রিলারের প্লট হিসেবে পারফেক্ট বলা চলে। যাইহোক, কাহিনীর দুই মূল চরিত্র জেফরি বেগ ও বাস্টার্ড দুটোই বেশ ভালো লেগেছে। জেফরি বেগের বুদ্ধি, চিন্তা ভাবনা তাকে ওভার হিরো না করে স্বাভাবিক ভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্য অতিমানবীয় ব্যপার লেখক ফুটিয়ে তুলেন নি। যদিও কিছু অংশে তার বুদ্ধির ঢিলা প্রকাশ পেয়েছে। তবে জেফরি বেগ যতোটা কাহিনীর খাতিরে যতোটা প্রকাশিত হয়েছে বাস্টার্ড চরিত্র ততোটা প্রকাশ পায়নি। নেমেসিস অর্থ প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ। হিংসায় চারিত হয়ে কিছু সম্পাদন করা। বইয়ের কাহিনীর সাথে নামকরনের বেশ ভালো মিল আছে। নেমেসিস মূলত নাজিম উদ্দিনের বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই। সে ক্ষেত্রে বাস্টার্ড চরিত্রটাও কিছুটা আড়াল রেখেছেন লেখক। নাজিম উদ্দিনের লেখনী বেশ চমৎকার। নেমেসিসেও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। ঘটনা বা কাহিনীর ধারাবাহিকতা বেশ ভালো ছিলো। এক পৃষ্ঠার পর অন্য পৃষ্ঠাতে যাবার যে তাড়াহুড়া তা ঠিকই পাঠকের মধ্যে বিরাজ করবে। এদিক থেকে ভাবলে আকর্ষণের কোন কমতি ছিলো না। বলা চলে বাকি সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে উপস্থিত ছিলো নেমেসিসে। আর একটা ব্যপারে বেশ কিছুটা বিরক্ত লেগেছে তা হলো, নগ্নতার বিবরণ। এসব ব্যপারে এতোটা খোলাখুলি ভাবে ঠিক বাংলা সাহিত্যে একটু বেমানান। বিদেশী সাহিত্য অনুকরনে এসব ফুটে উঠলেও ততটা সহজে হজম হয় না। তা ছাড়া আমাদের সংস্কৃতির দিকে ঝুকলে এসব কিঞ্চিত এড়িয়ে বেশ ভালো কিছু উপস্থাপন লেখকের পক্ষে সম্ভব। দু চার পয়েন্ট বাদ দিলে নাজিম উদ্দিনের প্রথম মৌলিক হিসেবে নেমেসিসের পজেটিভ গ্রেডই বেশি থাকবে। রেটিং-৪.৫/৫ রকমারি লিংক- https://www.rokomari.com/book/33654/নেমেসিস
Was this review helpful to you?
or
বইঃ নেমেসিস লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরণঃ থ্রিলার প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ২৭২ মূল্যঃ ২০০ টাকা প্রিভিউঃ জনপ্রিয় লেখক পক্ষাঘাতগ্রস্থ অবস্থায় নিজের ফ্ল্যাটে খুন হলেন। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়লো তার যুবতী স্ত্রী আর প্রেমিকের ওপর। বেরিয়ে এলো নানান কাহিনী। একে একে চলে গেলো অনেকের নাম। হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ শুরুতে সফলতা পেলেও এক পর্যায়ে ঘটোনার কুলকিণারা করতে গিয়ে হিমশিম খায়। পর্দার আড়াল থেকে একটি শক্তিশালী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে তদন্তে বাধা দেবার জন্যে। শেষ পর্যন্ত জেফরি বেগ যা জানতে পারে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কী সেই ঘটনা জানতে হলে পড়ুন নেমেসিস। পাঠকমহলে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর নেমেসিস বাংলা সাহিত্যে মৌলিক থৃলারের সূচনা করেছে। ---------------------------------------------------------------- নিজস্ব মতামতঃ বইটি নানা কারণেই বিতর্কিত, সমালোচিত। “নেমেসিস”র কাহিনীতে যে লেখকের কথা বলা হয়েছে, তাঁর সাথে বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের অপ্রত্যাশিত মিল লক্ষ্য করা গেছে। ঝেড়েই কাশি বরং, এই থ্রিলারের পক্ষাঘাতগ্রস্থ লেখকের বর্ণনার সাথে আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা আলোচিত ঘটনার প্রায় হুবহু মিল। এটা নিছকই কাকতাল না উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা জানিনা। তবে, এ বিষয়টা খারাপ লেগেছে। প্রত্যেক লেখকেরই বাকি লেখকদের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। সে বিষয়টির অভাব দেখলাম এখানে। বাদবাকি ঘটনা, কাহিনীর ধারাবাহিকতা, টানটান সাসপেন্স... সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে উপস্থিত ছিলো নেমেসিসে। জেফরি বেগ- বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম উপন্যাস, এককথায় দুর্দান্ত। লেখক যে থৃলার লেখায় বেশ সিদ্ধহস্ত, সেটি উপলব্ধি করা গেছে। পাঠক, এবার বইয়ের প্রিভিউ’র শেষ প্যারা টা খেয়াল করুন। বাংলা সাহিত্যে মৌলিক থৃলারের সূচনা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন কীভাবে করলেন, আমার বোধগম্য হয়নি। এটা একেবারেই বানোয়াট, ভ্রষ্ট তথ্য। প্রিভিউ’র এই শেষ অংশ পড়ে তীব্র বিরক্তিবোধ করেছি। বইয়ের মুদ্রণ, প্রচ্ছদ সবই সুন্দর ছিলো। এগুলো নিয়ে অভিযোগের কোনো সুযোগ পেলাম না। সবমিলিয়ে, বইটি নিয়ে আমার মিশ্র অনুভূতি। কাহিনী ভালো লেগেছে, তবে বইয়ের যে অংশগুলোর কথা রিভিউতে বললাম, সেগুলোর কারণে আবার খারাপও লেগেছে। আমি আলোচিত, সমালোচিত সব ধরণের বই-ই পড়ি। যাদের এসব বিষয়ে গাত্রদাহ আছে, তারা নেমেসিস এড়িয়ে গেলেই মঙ্গল। আর যারা আমার মত বইয়ের ব্যাপারে সর্বভুক, তারা বইটি পড়ে দেখতে পারেন। Happy Reading :D রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/33654/নেমেসিস
Was this review helpful to you?
or
বইঃ নেমেসিস। লেখকঃ মোঃ নাজিমুদ্দিন প্রকাশনীঃ বাতিঘর। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ একজন প্যারালাইজড লেখক, সেই সাথে দেশের অন্যতম লেখক ও বটে, হুট করেই মারা গেলেন মাজরাতে। আর ঠিক সে সময় তার পাশের ঘরেই তার প্রিয় তরুনী স্ত্রী লিলাখেলা করে চলেছেন অন্য একজনের সাথে। এভাবেই ঘটে গল্পের বিস্তার। লেখক কে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবেই চালিয়ে দেয়া যেতো যদি খুনী সামান্য একটা ছোটো ভুল না করতেন, সেটা কি ভুল ছিলো নাকি এর পিছনেও অন্য কোনো কারণ ছিলো তা জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। সকালের জগিং থেকেই সহকর্মী জামান তার বস জেফরি বেগ কে এই সম্পর্কে জানান, খুব দ্রুতই ফ্রেশ হয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান দেশের সবচেয়ে বিতর্কিত সিটি হোমিসাইড এর ইনভেষ্টিগর জেফরি বেগ। যিনি নিজেও সম্পর্কের টানাপোড়েনে দগ্ধ। জামান লক্ষ্য করছিলো তার বসের কার্যক্রম। সেই সাথে লেখক এর স্ত্রীর ঘরে পাওয়া যায় কনডম যা অনেকটা জট খুলে দেয়, আর সিটি হোমিসাইডের মোবাইল ভ্যান আদতে একটি ল্যাবের সাহায্যে খুব দ্রুতই মিলে যায় আঙুলের ছাপ, আর ইয়েলো পেজ সাহায্য করে সম্ভব্য তথ্যের ক্ষেত্রে। দ্রুততার সাথেই গ্রেফতার হয় লেখক এর স্ত্রী ও তার প্রেমিক নাট্যকার। যদিও সিটি হোমিসাইড এর পলিগ্রাফ টেষ্ট ভিন্ন কথা বলে, কিন্তু সমস্ত প্রমান বলে এ ঘটনার পিছনে রয়েছেন লেখকের স্ত্রী এবং তার প্রেমিক। এফ বি আই ট্রেনিং প্রাপ্ত জেফরি বেগ এর কিছুই মনপুত হয়না, অফিসিয়াল তদন্তের কাজ তার শেষ হয়ে গেলেও তিনি শুরু করেন আনোফিসিয়ালি তদন্তের। মন বিক্ষিপ্ত থাকার কারণে পুরোপুরি সেদিকে মনোযোগ না দিতে পারায় কেসের সমাধান হয়ে গেলেও পাকিয়ে থাকে রহস্যের জট। ধীরে ধীরে চষে বেড়ান সাম্বাভ্য জনপথ। এর মাঝেই পাওয়া যায় বাষ্টার্ড নামের একজন কে। যার নামের সাথে কর্মের কোনো মিল না থাকলেও, সামান্য গ্যাস আর ম্যাচের কাঠি সাথে একটা সিগেরেট নিয়ে তৈরী করে ফেলেন প্রায় এক ভয়ানক বোমা। সেই ফাকেই পালিয়ে যান তিনি। যদিও এই রহস্য মানবের সাথে আরো আবার দেখা হয় জেফরি বেগ এর। সহকারি জামান প্রথম দিকে বসের ২য় তদন্ত গুরুত্ব না দিলেও কিছু পরেই নড়েচড়ে বসেন। লেখক মৃত্যুর আগে একটি পান্ডুলিপি সহ মেইল করেন তার এক বন্ধুর কাছে, যার সাথে প্রায় দু বছর যাবত লেখকের কোনো যোগাযোগ নেই। কি ছিলো সেই পান্ডুলিপিতে, যার জন্য প্রকাশক ভয়ানক সিটি হোমিসাইডের অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রকাশ করেন সেই বই। আর কি ই বা ছিলো লেখকের মৃত্যুর কারণ, কে ছিলো সে, যে গার্ড বদলির আগেই প্রবেশ আর ভোর সকালে গার্দ বদলির আগেই বের হয়ে যায়? সর্বোপরি বলা যায়, মৌলিক থ্রীলার এই বইটি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এরকম গল্প হয় তা যেনো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন নাজিমুদ্দিন। মন্তব্যঃ আমি রিভিউ পারিনা, তাই লেখিনা, উপরে কি লেখলাম আমি জানিনা। তবে এ বইটি পড়ে কিছু কথা বলি, যারা নাজিম উদ্দিনের বাপ মা তুলে গালি দেন, কিংবা গালি না দিয়েও বলেন হুমায়ুন কে বলা হয়েছে, অথবা যারা হুমায়ুন বিরোধী রা বলেন জুমায়ুন উভগামী বা পেডেরাষ্ট তাদের জন্য এ বইটিতে যথেষ্ট ধোয়াশা রয়েছে। ধরলাম আপনি হুমায়ুন হেটার, এখন হুমায়ুন রে আরো বেশি গালি দিতে এটা পড়বেন, বা আপনি হুমায়ুন লাভার, নাজিমুদ্দিন রে গালি দিতে এটা পড়বেন, আপনারা তাইলে খলি গালি ই দিতে পারবেন আর কিছুনা। আমার দৃষ্টিতে বই টি উঠতি লেখক দের জন্য অনুপ্রেরণা ও হয়, কালের বিবর্তনে একটি ঘটনা কে কল্পনা করে এত সুন্দর একটি বই লিখে ফেলা যায়। হ্যা প্রকাশক, আগের স্ত্রী বা এমন কিছু কমন জিনিস লেখক এমন ভাবে উল্লেখ করেছেন যা কল্পিত বাস্তব। তা সত্য হতে পারে নাও হতে পারে। সেটা লেখার প্রয়োজনে লেখক করতেই পারবেন। রেটিং ৮/১০ অসঙ্গতিমুলক কথাবার্তা রয়েছে তবে তা সামান্যই।
Was this review helpful to you?
or
"মিঃ জেফরি বেগ আপনি নিশ্চয় জানেন অন্যায়ের প্রতিশোধের জন্য গৃকদের একজন দেবতা আছেন... নেমেসিস!" . সাম্প্রতিক সময়ে পড়া বইয়ের মাঝে বেস্ট দু-চার লাইন যদি বেছে নেয়ার কথা বলা হয় তবে নেমেসিস বইয়ের এই বাক্যটা অবশ্যই আমার লিস্টে থাকবে। একটা খুনের আড়ালের সবচে বড় সত্য ছিল প্রতিশোধ। আর নেমেসিস হয়ে তা বাস্তবায়ন করেন বাস্টার্ড। . ভিটা নুভা এপার্টমেন্টের ছয়তলায় খুন হন বরেণ্য লেখক জায়েদ রেহমান। পুলিশ অফিসার এলাহী নেওয়াজের খুঁতখুঁতে মন আর ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ এর ক্ষিপ্র মেধার সাহায্যে এপার্টমেন্টের ভেতরেই আটক করা হয় লেখকের ২য় স্ত্রীর প্রেমিক আলম শফিককে। দ্রুত সময়ে সাফল্য পাওয়ার পরেও জেফরি বেগ নিশ্চন্ত হতে পারেননি। ছয় ফুট দূরে থাকা ল্যাপটপ থেকে প্যারালাইজড একজন লেখকের ই-মেইল, এপার্টমেন্টের ভিতরের পরিবেশ সবমিলিয়ে জেফরি বেগ নিশ্চিত হতে থাকেন আসল খুনি এখনো পর্দার আড়ালে। শুরু হয় কোন একজন অজ্ঞাত খুনে ছায়ামানবের পিছে ছোটা। শুরু হয় দুজন অসাধারণ মানুষের স্নায়ুযুদ্ধ। যার শেষ হয় অর্থের বিলাসিতা আর ব্যবহৃত একটি বুলেটের সাথে। মাঝে থেকে যায় একজন নেমেসিসের উত্থানের গল্প, একজন সার্থক নেমেসিসের অসাধারণ যাত্রার সবকিছু... . পাঠ প্রতিক্রিয়া - ঠিক এই পর্যায়ে এসে আমার কলমের গতিসীমা একেবারেই কমে এসেছে। এত দারুণ এবং গোছানো বই খুব কমই পেয়েছি। লাস্ট শব্দ পর্যন্ত উপভোগ করার মত বই। রাজনীতি, খুন, সামাজিক হালচাল, ব্যবসায়ীবুদ্ধি সবমিলিয়ে জম্পেশ একটা বই। এখানে উঁচুতলার সিদ্দিকী আর চায়ের দোকানের তালেবর সবক্ষেত্রেই লেখক চরিত্রের বিশুদ্ধতা রক্ষা করেছেন। অতিরঞ্জন, বাহুল্য দোষ একেবারেই অনুপস্থিত। নতুন করে বইপ্রেমী হতে চাচ্ছেন? তাহলে একবার ঘুরে আসুন 'নেমেসিস'র পৃথিবী থেকে। . এক নজরে বই - নেমেসিস লেখায় - মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশে - বাতিঘর প্রকাশনী দাম - ২০০/- রেটিং - ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পের শুরু হল দেশের সবচে জনপ্রিয় লেখক খুন হওয়ার মধ্যে দিয়ে।খুনের দায়ে ফেঁসে যাএ লেখকের স্ত্রী ও তার প্রেমিক।তখন তদন্তে নামে investigator জেফ্রি বেগ। তখন দেখা যায় খুন করেছে অন্য কেউ। তখন আবিরভাব হয় এক ঠানডা মাথার খুনির। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ঘটনা ভিন্ন। এক প্রতিশধের কাহিনি। এই বইটি জুড়ে রয়েছে টান্টান উত্তেজনা।এই বইটি আপনাদের অবশই পরা উচিত। এটি একটি আন্তর্জাতিক পরজাএর থ্রিলার।
Was this review helpful to you?
or
this book is just amazing
Was this review helpful to you?
or
লেখকের ঝরঝরে লেখনী ও কাহিনীর গতিময়তা আসলেই অসাধারণ। দারুণ লেগেছে বইটি। সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো। তবে ত্রয়োদশ মুদ্রণের পরেও বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বানানের ভুল আমার কাছে একটু দৃষ্টিকটু লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি এক কথায় অসাধারণ।লেখক অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।বেগ,বার্স্টার্ড নিয়ে পড়া আমার প্রথম বই এটি।প্রথমে বাস্টার্ড নিয়ে যেভাবে ঘটনা আগাতে থাকে তার সাথে শেষের দিকের ঘটনায় তেমন মিল নেই। ভিলেন চরিত্রটিকে অসাধারণভাবে লেখক উপস্থাপন করেছেন।সবশেষে বলব বইটি পরে অবশ্যই আপনার টাকা উশুল হবে। happY readin!!
Was this review helpful to you?
or
প্রায় মাঝরাতের দিকে ভিটা নুভা অ্যাপার্টমেন্টের সামনের রাস্তার ফুটপাতে অল্পবয়সী একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে। তার দৃষ্টি ছয় তলার কর্ণার ফ্ল্যাটের দিকে। স্থানীয় থানার টহল গাড়িতে বসা ইনস্পেক্টর এলাহী নেওয়াজের সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাওয়ায় ভড়কে গিয়ে ছেলেটা পালায়। কিছুক্ষণ পর বিখ্যাত শিল্পপতি সি ই এ সিদ্দিকী সাহেবের কাছে ফোন যায় তার ছেলের গ্রেফতার হওয়ার ব্যাপারে। নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন ছেলেকে আর রাতারাতি বিদেশে পাঠিয়ে দেন। অন্যদিকে ইন্সপেক্টর এলাহীর সন্দেহ হওয়ায় ভিটা নুভা অ্যাপার্টমেন্টের ছয়তলার কর্ণার ফ্ল্যাটে খোঁজ নিতে পুলিশ পাঠান। জানতে পারের সেটা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক জায়েদ রেহমানের ফ্ল্যাট। পক্ষাঘাতগ্রস্থ পঙ্গু লেখক সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষা আর শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকেন। খোঁজ নিতে গিয়ে প্রকাশ পায় লেখক জায়েদ রেহমান মারা গেছেন। মারা গেছেন না খুন হয়েছেন ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। লেখকের মুখে বালিশ চাপা দেয়া ছিল। এছাড়া তার দেহে এমন কোন চিহ্ন নেই যা দেখে খুন হয়েছেন এটা ধারনা করা যায়। অন্যদিকে মৃত্যুর আগে লেখক তার একসময়কার প্রিয় প্রকাশক বন্ধু অবয়ব এর মালিক আবেদ আলীকে তার শেষ লেখার তার জবানবন্দী আকারে রচিত অটোবায়োগ্রাফির পান্ডুলিপি ইমেইলে দিয়ে গেছেন। এবং এই পান্ডুলিপির স্বত্বাধীকারিনী করেছেন তার প্রথম স্ত্রীকে। এখন কথা হলো ইমেইলটা লেখক কি করে পাঠালেন। ল্যাপটপতো লেখকের হাত থেকে দূরে টেবিলের উপর রাখা। তদন্তে নামলেন সিটি হোমিসাইডের উদীয়মান ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ । তদন্তের শুরুতেই দারুণ পারফরমেন্স দেখিয়ে গ্রেফতার করলেন লেখকের তরুণী স্ত্রী ও তার প্রেমিক আলম শফিক নামক এক উঠতি অভিনেতাকে । লেখকের মৃত্যুর সময় পাশের কামরাতেই প্রেমে মত্ত ছিল তারা। কিন্তু জেফরির কেমন যেন একটা সন্দেহ হচ্ছে। আদৌ কি এরা আসল অপরাধী? নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কেউ? আমার কথা : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেমেসিস উপন্যাসের হাত ধরে বেশ কয়েকবছর পর আমার বাংলা সাহিত্যে ফিরে আসা। লেখক আন্তর্জাতিক মানের থ্রিলার লিখেছেন বলে আমার মনে হয়েছে। কিন্তু সমসাময়িক জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকের আদল দিয়ে লেখার আইডিয়াটা আমার একদমই ভাল লাগেনাই। এটা না করলেও পারতেন। এতে আমার কাছে অন্ততঃ এই লেখার গ্রহণযোগ্যতা কমেছে।।। হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ বই : নেমেসিস লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনী : বাতিঘর প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন পৃষ্টা সংখ্যা : ২৬৯ মূল্য : ৩০০ টাকা রেটিং : ৫/৫ ভিটা নুভা অ্যাপার্টমেন্টের ছয় তলার দুটো ইউনিট নিয়ে থাকেন জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রহমান। হেনরি ওয়ার্ডসওর্থ লংফেলোর কাব্যগ্রন্থ 'ভিটা নুভা'র নামানুসারে এ নাম দিয়েছেন লেখক নিজেই। কয়েক বছর আগে লেখক তার প্রথম স্ত্রী গোলনূর আফরোজ তরফদার (গ্যাট) কে তালাক দিয়ে এই বাড়িতে উঠেন। দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষাকে বিয়ে করার আগে এক বছর লিভ টুগেদার করেছেন এই ফ্ল্যাটেই। দু'বছর বয়সী এক ছেলে আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে বসবাস করে আসছেন কয়েক বছর ধরে। আজ পূর্ণিমা। ঘরে কোনো বাতি জ্বলছে না। দক্ষিণের বেলকনির স্লাইডিং ডোরটা খোলা থাকায় বাইরের জ্যোৎস্না ঘরে ঢুকে পড়েছে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত লেখক শুয়ে আছেন তার নিজের ঘরে। পাশের ঘরে দ্বিতীয় স্ত্রী তার বয়ফ্রেন্ড আলমে শফিকের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত। অপরিচিত পুরুষ মানুষ আর নিজের স্ত্রীর ফিসফিসানির আওয়াজটা লেখকের স্বীয় কর্ণযুগলকে আড়াল করতে পারে নি। রাত প্রায় দুটো। জ্যোৎস্নার মৃদু আলোয় আবছায়া এক মূর্তি হঠাৎ লেখকের সামনে এসে দাঁড়ালো। কালো পোশাকের কারণে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। তিন সেকেন্ডের মাথায় আবছায়া মূর্তিটি লেখকের মুখ চেপে ধরলো। একটা হাত দিয়ে অজ্ঞাত লোকটি সজোরে লেখকের বুকের বাম দিকে, যেখানে ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল সেখানে ঘুষির পর ঘুষি দিতে লাগলো। অবশেষে মৃত্যুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলেন লেখক জায়েদ রহমান। ঠিক একই সময়ে ভিটা নুভার সামনের রাস্তার ফুটপাতে অল্পবয়সী এক ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। তার দৃষ্টি ভিটা নুভার ছয় তলার কর্ণার ফ্ল্যাটের বেলকনির দিকে। গভীর মনযোগের সাথে কি যেন দেখছে সে। চার্লি ফোরের দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর এলাহী নেওয়াজ বিষয়টি লক্ষ্য করলেন। কিন্তু কে এই ছেলে? লেখককে যখন খুন করা হচ্ছিল তখন এই ছেলেটা কি দেখছিলো লেখকের ফ্ল্যাটের দিকে তাকিয়ে? অজ্ঞাত খুনির সাথে এই ছেলেটির কি সম্পর্ক? সিটি হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগের ডাক পড়লো। ভার্জিনিয়া থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত এই তরুণ ইনভেস্টিগেটর খুবই সুদক্ষ আর বিচক্ষণ। লেখক জায়েদ রহমানের হত্যা রহস্য উদঘাটনের জন্য ডিপার্টমেন্ট একমাত্র উপযুক্ত মনে করছেন জেফরি বেগকে। অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত মোবাইল এভিডেন্স ভ্যান নিয়ে পুরো টিমসহ ভিটা নুভায় হাজির জেফরি বেগ। গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই জব্দ করা হলো। জব্দ করা হলো সিলভার রঙের কাগজের টুকরো স্বদৃশ্য দুটো বস্তু, যা লেখকের স্ত্রী বর্ষা তার প্রেমিকের সাথে গোপন অভিসারের সময় ব্যবহার করেছিল। মোবাইল এভিডেন্স ভ্যানের দায়িত্বে থাকা অল্পবয়সী সুশ্রী মেয়ে এডিলিন জব্দ করা বস্তু দুটো থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে ডাটা ব্যাঙ্কে সার্চ দিতেই সার্চবারে দেখা গেলো আলম শফিক নামে একজনের সমস্ত বায়োডাটা। ভিটা নুভার ফায়ারএস্কেপ সিঁড়ির ল্যান্ডিং থেকে গ্রেফতার করা হলো আলম শফিককে, সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষাকে। নেওয়া হলো ইন্টেরোগেশন সেলে। কিন্তু তারা দু'জনের কেউই মুখ খুলছে না। বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে জেফরি বেগকে। বিচক্ষণ ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ এখানে অন্য কিছুর গন্ধ অনুভব করছেন। তিনি সন্দেহ করছেন লেখকের প্রথম স্ত্রী গ্যাটকে। আবার লেখকের মৃত্যুর ঠিক পূর্ব মুহূর্তে অবয়ব প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আবেদ আলীকে লেখকের আত্মজীবনী মেইল করা হয়েছিল। আবেদ আলীও সন্দেহের বাইরে নন। লেখককে যে রাতে খুন করা হয়েছিল সে রাতে একটা অল্প বয়সী ছেলেকে ভিটা নুভার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন ইন্সপেক্টর এলাহী নেওয়াজ। এই মুহূর্তে সেই ছেলেটিও সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। সন্দেহের তালিকায় রয়েছে অভিনেত্রী পমিও। যে কিনা সাইন মানি নিয়েও লেখকের ছবিতে অভিনয় না করায় খারাপ সম্পর্ক তেরি হয়েছিলো লেখকের সাথে। জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রহমানের হত্যাকান্ডের রহস্য নিয়ে যখন কোনো কূল কিনারা পাচ্ছিলেন না তুখুর, মেধাবী ও বিচক্ষণ ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ, ঠিক তখনই ঘটে গেলো এক হেলুসিনেশন ঘটনা। লেখকের প্রকৃত খুনির সন্ধান পেয়ে গেলো জেফরি বেগ। কে এই আসল খুনি? কোন রহস্য জেফরি বেগকে এই আসল খুনির সন্ধান দিলো? এই আসল খুনি কি লেখকের সন্দেহের তালিকার কেউ? নাকি অন্য কোনো অজ্ঞাত মানুষ? এরকম টান টান উত্তেজনা আর টুইস্টে ভরপুর এই "নেমেসিস" থৃলারটি। লেখক নাজিম উদ্দিনের অনুবাদ করা থৃলার আমি পড়েছি, কিন্তু তাঁর লেখা এই মৌলিক থৃলার পড়ে সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি। বইয়ের প্রতিটি লাইন যেন একেকটা থৃল। কিন্তু বইটির কাহিনীটা জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে অনেকটা মিলে যাওয়ায় আমি ভেতরে ভেতরে একটু হোঁচটও খেয়েছি। আমি জানি না লেখক এই বিষয়টি এখানে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে এনেছেন। যদি হুমায়ূন স্যারের বিষয়টিই সত্য হয় তবে পাঠকহৃদয় নিঃসন্দেহে কষ্ট পাবে। ঘটনা যাই হোক, থৃলারটি ছিল সত্যিই অসাধারণ। 'নেমেসিস' নামকরণের যথেষ্ট স্বার্থকতা রয়েছে বইটিতে। নেমেসিস (Nemesis) ছিলেন গ্রিক পুরাণের প্রতিশোধ'এর দেবী। প্রতিশোধে নির্মম, ন্যায়বিচার আনয়নে কৃপাহীন। দেবতাদের বিরুদ্ধে মানুষের ঔদ্ধত্যের শাস্তি দিয়ে থাকেন তিনি। নেমেসিস যাদেরকে অভিশাপ দেন তারা জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায় শাস্তি ভোগ করে। বাঁধাই আর ছাপাও ছিল যথেষ্ট প্রশংসার দাবীদার। একটু আশ্চর্য্য হয়েছি, বইটির দশম সংস্করণ বের হওয়ার পরও অনেকগুলো প্রিন্টিং মিসটেক নিজের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি। সব মিলিয়ে পড়তে পারেন এই থৃলারটি। আশা করি আপনারও ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
যারা থ্রিলার লাভার তারা সাধারণত বিদেশী থ্রিলারের বঙ্গানুবাদ পড়ে থাকে। আমাদের দেশের থ্রিলার বইগুলোও এখন দিন-দিন খুব ভালো করছে.... ➡️সার-সংক্ষেপঃ- দেশ বিখ্যাত লেখক জায়েদ রহমান খুন হয়েছেন! ঐদিনেই বুদ্ধিদীপ্ত এবং এফবিআই থেকে ট্রনিংপ্রাপ্ত ইনভেস্টিগেটর মি.বেগ বিভিন্ন প্রমাণসহ গ্রেফতার করেন লেখক রহমান সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী বর্ষা রহমান ও তার অবৈধ প্রেমিক শফিক আলমকে।পুরোদেশ ব্যাপী শুরু হয় সমালোচনা, সবাই নিশ্চিত ধরে নেয় এ খুনের মুলহোতা তারা দুজনই।কিন্তু কিছু অসংগতি লক্ষ্য করেন ইনভেস্টিগেটর মি.বেগ! দিন যত বাড়তে থাকে গোলকধাধাও তত বাড়তে থাকে।নানা চড়াই-উৎরাই মধ্য দিয়ে চলতে থাকে এ খুনের রহস্য ......................অবশেষে সব রহস্যভেদ করে মি.বেগ ও তার সহযোগী জামান আবিষ্কার করে আসল খুনিকে! ➡️কিছু তথ্যঃ- #যারা কমবেশি আমাদের দেশী বই পড়েন তারা ভালোভাবে অনুধাবণ করলে বুঝতে পারবেন এ গল্পের লেখক চরিত্রের সাথে আমাদের দেশের একজন বিখ্যাত লেখকের অনেক কিছু মিলে যায়! #এই নেমেসিস মূলত বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম গল্প।দ্বিতীয় গল্প হলো কন্ট্রাক্ট যার কাহিনী নিয়ে Zee5 একটি ওয়েবসিরিজ নির্মাণ করেছে (যেখানে বাস্টার্ড চরিত্র অভিনয় করেছে আরিফীন শুভ আর রঞ্জু চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী)।এসিরিজের অন্যান গল্পগুলো হলঃ-কনফেশন,নেক্সাস এবং করাচি। ➡️গল্পের ধরণঃ- রহস্য, থ্রিলার। ➡️বইয়ের বিবরণঃ- বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৬৯। এপুরো গল্পটাকে ৫৬টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে আর শেষে "খুন রহস্য"এবং "উপসংহার" নামের দুটি পার্ট রয়েছে। ➡️ভালো-মন্দ দিকঃ- এগল্প পড়তে বোরিং ফিল হওয়ার সম্ভাবনা কম।তবে শেষ পার্ট নিয়ে আরও বেশী আশা ছিল যা মনমত হয়নি তবে চলনসই বটে।একটা লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে প্রচুর বানান সংক্রান্ত ঝামেলা আছে!আশা করি নেক্সট এডিশনে এগুলো থাকবেনা। ➡️রেটিংঃ৩.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের মৌলিক উপন্যাস হিসেবে লেখক প্রশংসার দাবি রাখে।কিন্তু কিছু বিষয় যেমন নগ্নতার মতো বিষয় গুলো। এগুলো সব বয়সি পাঠকের সাথে যায় নাহ। তবে দেশি ট্রিলার হিসেবে এক কথায় ভালো।
Was this review helpful to you?
or
I think writer Nazimuddin has been influenced by the western culture.The book nemesis is totally filled with nudity,wine,violence & its not suitable for Bangladesh.
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় মৌলিক থ্রিলার গোছের সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিরাট পটপরিবর্তনের সূচনা বোধ হয় এই বইয়ের মাধ্যমে ঘটেছে। থ্রিলার তো এদেশে অনেকেই লেখেন। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার, তাদের বেশিরভাগই হয় বিদেশী থ্রিলারের কিঞ্চিত বা সামগ্রিক ছায়া অবলম্বনে রচিত। ফলে সেগুলোর আর মৌলিকত্ব থাকে না। সেগুলো হয়ে যায় রুপান্তর বা অনুবাদেরই নামান্তর। কিন্তু সেদিক থেকে নেমেসিস সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ এটির কাহিনী ও কাঠামো একেবারেই মৌলিক এবং লেখকের নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত। এই বইয়ের মাধ্যমেই মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রথম জানান দিয়েছিলেন যে তিনি শুধু থ্রিলার অনুবাদেই নয়, বরং মৌলিক থ্রিলার রচনায়ও সমান পারদর্শী। তিনি বেশ সার্থকতার সাথেই দেখিয়েছেন যে বাংলাদেশের চিরচেনা প্রেক্ষাপট আর কমন কিছু লোকেশনের মাধ্যমেও থ্রিলার উপন্যাসের রহস্যের জাল বোনা সম্ভব। জেফরি-বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম পর্ব হল নেমেসিস। এই নেমেসিসের মাধ্যমেই বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের সাথে প্রথম পরিচয় ঘটেছে জেফরি ও বাস্টার্ড নামক দুই অসাধারণ চরিত্রের যারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই থ্রিলার ভক্তদের মনে একটা নিজস্ব ভালোলাগার জায়গা তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই থ্রিলারের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে দেশের অতি বিখ্যাত এক লেখকের মৃত্যু রহস্যকে কেন্দ্র করে, আপাত দৃষ্টিতে যার সহজ সমাধান অনায়াসেই করে ফেলে জেফরি। কিন্তু এক পর্যায়ে কাহিনী নতুন দিকে মোড় নেয়। নানা ঘটনা প্রবাহে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। আর এক পর্যায়ে জেফরির সামনে উন্মোচিত হয় অচিন্তনীয় কিছু সত্যের, যা বলতে গেলে গোটা হত্যা রহস্যেরই গতিপথ বদলে দেয়। জেফরি দেখা পায় বাস্টার্ড নামক এক হত্যাকারীর। ..................... কেন খুন হল লেখক? তার খুনের সাথে বাস্টার্ডের যোগসূত্র কি? লেখকের হত্যাকান্ড কেনই বা অভিহিত হবে 'নেমেসিস' বলে? জানতে হলে এই বইটা পাঠককে পড়তেই হবে। সবমিলিয়ে নেমেসিস হতে পারে থ্রিলার পাঠকদের জন্য এক অসাধারণ বই। এই বই যে পড়বে, লেখকের অসামান্য লেখনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তো হবেই, পাশাপাশি জেফরি-বাস্টার্ডকে নিয়ে লেখা অন্যান্য লেখা পড়তেও উন্মুখ হয়ে উঠবে।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপঃ পক্ষাঘাতগ্রস্ত দেশের সব চাইতে জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রহমান নিজের অ্যাপার্টমেন্টে খুন হলেন। সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার হলো লেখকের স্ত্রী বর্ষা এবং তার বর্ষার প্রেমিক আলমকে। তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই আলমকে খুঁজে পায় জেফরি বেগ এবং গ্রেফতার করে। সন্দেহ করা হয় তারা একসাথে খুনটা করেছে। কেস ক্লোজ হয়ে যায় তবে একটা খটকা জেফরি বেগকে নতুন চিন্তা করতে বাধ্য করে। লেখকের ল্যাপটপ। তার ল্যাপটপকে লেখকের হাতের নাগালের বাহিরে রাখা হয়েছে অথচ সেটা তার মৃত্যুর সময় ব্যবহার করা হয়েছে। ওদিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত লেখকের সম্ভব নয় সেটা ব্যবহার করা। খটকা থেকে পুনরায় তদন্ত শুরু করলো জেফরি বেগ আর ঘটনা মোড় নিতে থাকলো ভিন্ন দিকে। পাঠ-পর্যালোচনাঃ নেমেসিস শব্দের অর্থ প্রতিহিংসা। গ্রীক মাইথোলজী অনুযায়ী নেমেসিস হলো প্রতিহিংসার দেবী। প্রখ্যাত লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেমেসিস বইয়ের কাহিনীও কিছুটা ওই প্রতিহিংসাকেই কেন্দ্র করে। গল্পের শুরুতে দেখা যায় এক প্রখ্যাত পক্ষাঘাতগ্রস্থ লেখকের বর্তমান স্ত্রী (!) অন্য একজনের সাথে লীলাখেলায় ব্যস্ত। অন্য দিকে সেই লেখক খুন হয়ে পড়ে থাকেন অন্য এক রুমে। সারারাত পর সকালে তার স্ত্রী দেখতে পান সেই লাশ। পুলিশ আসে বাসায়। আসে হোমিসাইড (বিশেষ পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থা। অনেকটা সি আই এ, এফবিআই এর মত) ডিপার্ট্মেন্টের তরুণ অফিসার জেফরি বেগ। তরুণ হলেও তার ১০০ ডিসকাউন্ট ট্রাকরেকর্ড! গোটা ডিপার্ট্মেন্টে তার সুনাম খুব! তরুণ সেই অফিসার নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ধরে ফেলেন সম্ভাব্য আসামীকে। রিমান্ডে নেন তাকে। ঠিক তখনই ঘুরে যায় গল্প। জেফরি বেগ বুঝতে পারে যে তার ভুল হয়েছে। গল্পটা আসলে অন্যরকম। এরপর শুরু হয় গতি। তবে সে যেন তেন গতি না। একেবারে রোলার কোস্টার গতিতে চলতে থাকে থ্রিলার। ঘটনার পর ঘটনা ঘটতে থাকে। তবে বইয়ের শেষে জেফরি সম্মুখিন হয় এক অদ্ভুত সত্যের, যা সে আশাও করে নি। কি সেই সত্য? জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি! লেখক নাজিম উদ্দিনের মৌলিক বই কখনও পড়িনি আগে। তবে অনুবাদ পড়েছি অনেক। অনুবাদ মোটামুটি লাগলেও মৌলিক থ্রিলারে মন ভরে গেছে! এছাড়া বইয়ের আরো কিছু জায়গা ভালো লেগেছে... ১. বইয়ের লেখনি ধরণ। এত দিন শুধু এডাপ্টেশানের বই পড়তাম। বাইরের মাটিতে নিজেদের চরিত্র। তবে এই বার নিজের দেশের মাটিতে বিশ্বমানের থ্রিলার লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে। ২. বইয়ের ক্যারেক্টারাইজেশনটা ভালো ছিল। ৩. বইয়ের মেইন ভিলেন বাস্টার্ড চরিত্রটিকে বেশ ছায়াময় আবহাওয়ায় রাখা হয়েছে... যেটা বেশ ভালো লেগেছে। ৪. পাঠককে ধরে রাখতে বেশ ভালোই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন লেখক। বিশেষ করে প্রতিটি অধ্যায় শেষে যে তিনি পরের অধ্যায়টি পড়তে পাঠকদের বাধ্য করেছেন... এই ব্যাপারটা বেশ প্রসংশনীয়। তবে বইটির কিছু জায়গায় খারাপ না লাগলেও খটকা লেগেছে... ১. বইয়ের মেইন টপিক। অর্থাৎ লেখক এখানে কিছুটা হুমায়ুন আহমেদ স্যারের জীবনের একটি দিক তুলে এনেছেন। বাংলাদেশি পাঠক হিসেবে ব্যাপারটা অনেকের কাছেই মনক্ষুণ্ণের কারণ হতে পারে। তবে যদি থ্রিলার টপিকের দিক থেকে লক্ষ্য করি... তাহলে এটাকে থ্রিলার গল্পের প্লট হিসেবে খুব সুন্দর ভাবেই কাজে লাগাতে পেরেছেন লেখক। ২. বইয়ে লেখক "থ্রিলার" বানানটি "থৃলার" লিখেছেন। যদিও বাংলাভাষায় বিদেশি শব্দ হিসেবে এই ধরণের শব্দের কোন নির্দিষ্ট ভাষারীতি নেই, তবুও অধিকাংশের কাছে "থ্রিলার" বানানটি এভাবেই পরিচিত। লেখক হয়ত তার মত করে বানান দিয়েছেন নিজস্ব স্টাইল হিসেবে। ৩. বইয়ে এলান্ডটেরি দিকটা বেশ চোখে পড়ার মত। বিদেশী সাহিত্যে ব্যাপারটা নরমাল হলেও আমাদের সাহিত্যে এখনও এই জায়গাটা এলে সবাই একটু উসখুস করে। লেখক কিছুটা বিদেশি ট্রেন্ড ফলো করায়, উপন্যাসটি ছোটদের না পড়াই ভালো। বইটির প্রচ্ছদটি বেশ আকর্ষনীয়। থ্রিলার বই হিসাবে পারফেক্ট। এছাড়া বাইন্ডিং, কাগজের মান, ছাপা সবই বেশ পরিষ্কার ও উন্নতমানের। বইটির আরো একটি ভালো দিক হচ্ছে, মানের তুলনায় দাম যথেষ্ঠ কম। খুব সহজেই সাধ্যের ভেতরে পড়ে বলে কিনতেও সমস্যা হয় না! আর হ্যাঁ... অনেকেই হয়ত জানেন না... এটি একটি সিরিজ। সেই ২০১০ সাল থেকে চলে আসছে। নেমেসিস সিরিজটির প্রথম বই। এরপরে আরো ৪টি বই আছে (যদিও আমি পড়িনি)। সেগুলো হলো... ১. নেমেসিস। ২. কন্ট্রাক্ট। ৩. নেক্সাস। ৪. কনফেশন। ৫. করাচি। সবশেষে বলতে চাই... কোন কিছুই দোষের উর্ধে না। ভালো মন্দ মিলিয়েই একটি বই। তবে নেমেসিস বইটির ভালোর দিকটিই বেশী। বিশেষ করে একজন থ্রিলার পাঠকের নিকট এটি একটি আদর্শ বই হতে পূর্নাংগ ভাবেই সক্ষম! ধন্যবাদ!
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে এক কথায় বলা যায়, এটা বাইরের কোন উপন্যাস এর কপি, নিদেনপক্ষে ছায়া অবলম্বনে লেখা একটি উপন্যাস। আমাদের দেশে ছায়া অবলম্বনে উপন্যাস লেখা হয় এবং সেটা স্বীকারও করা হয় এবং তারপরেও সেটা পাঠকের কাছে উপভোগ্য হয়। এর সেরা উদাহরণ সেবা প্রকাশনীর বইগুলো। লেখক বই হয়ত লিখেছেন, কিভাবে তা তিনিই জানেন, কিন্তু তিনি হয়ত ভুলে গিয়েছিলেন এর পাঠক কোন দেশের। সাধারনত কেউ অন্য দেশের লেখায় প্রভাবিত হয়ে বা ছায়া অবলম্বনে লিখলে তার চেষ্টা থাকে সেটাকে নির্দিষ্ট পাঠক এর কাছে গ্রহন যোগ্য করে তুলবার, সেই পাঠকদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে এবং তাদের রুচি অনুসারে সাজাতে। তিনি তাও করেন নি। আবার কিন্তু লেখক স্বীকার করেন নিই যে এটা অনুবাদ বা কপি বা ছায়া উপন্যাস, তিনি দাবিও করেছেন এটা তারই লেখা। যে কোন পাঠক, যার কি না দেশের বাইরের বই পড়ার অভিজ্ঞতা আছে, তিনিই বইটির কয়েক পাতা উল্টেই বুঝতে পারবেন কপি বা ছায়া অবলম্বন বিষয়টা কতটা সত্য। আর এর পাশাপাশি এতে যে পরিমানে ভায়োলেন্স, নগ্নতা, এবং অন্যান্য বিষয় উঠে এসেছে, সেটাও আমাদের দেশের একজন লেখক এর কাছ থেকে আশা করা হয় না। একজন লেখককের দায়বদ্ধতা থঅকে সমাজের ওয়েলফেয়ারের কাছে। তিনি চাইলেই কোন কিছুকে আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। তাকে এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়েও চিন্তা করতে হয়। তবে তার লেখা বা অনুবাদ দক্ষতা খারাপ নয় এবং একটু কষ্ট করলেই তিনি একজন ভাল অনুবাদক হতে পারবেন এটা বলাই যায়। তাই তার কাছে একজন পাঠক হিসেবে অনুরোধ, আপনি ভাল বই অনুবাদ করুন এবং মুল লেখককে তার প্রাপ্য কৃতিত্বটুকু দিন। তাতে আপনার জাত চলে যাবে না, সন্মানের হানি হবে না। পাঠকও আপনাকে কোনদিন দুষবেন না। শুভেচ্ছা আপনাকে।