User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
A super thrill book of the beast.
Was this review helpful to you?
or
ড্যান ব্রাউন বরাবরই আমার প্রিয় লেখকদের মধ্যে অন্যতম। 'দি লস্ট সিম্বল' তার রচিত বিশ্ববিখ্যাত থ্রিলার। বলা যায়, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন তথ্যের সমন্বয় এই বই। ড্যান ব্রাউনের 'রবার্ট ল্যাংডন' সিরিজের আমার পড়া প্রথম বই হচ্ছে 'দ্য দা ভিঞ্চি কোড'। দ্বিতীয়টি হচ্ছে 'দা লস্ট সিম্বল'। 'দ্য দা ভিঞ্চি কোডে'র মতই এটিও আমার জীবনে পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ থ্রিলার গুলোর একটি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। তবে বইয়ের অনুবাদের কিছু ভাষা একটু জটিল। তাই বইটি নেওয়ার পূর্বে কয়েক পাতা পড়ে দেখা উচিত যে এটি আপনি পড়তে পারবেন কিনা
Was this review helpful to you?
or
Fine
Was this review helpful to you?
or
good quality
Was this review helpful to you?
or
Wrapping er jonno payment korechilm but wrapping kre dai ni
Was this review helpful to you?
or
good novel by Dan Brown
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
অনেক মজার ছিল। রহস্যে ভরপুর এই বইটি আমার অন্যতম পছন্দের বই।
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো লেগেছে। সিম্বলিজম নিয়ে পড়া এটা আমার প্রথম বই।
Was this review helpful to you?
or
দ্য লস্ট সিম্বল -ড্যান ব্রাউন বই টার শেষের কতক পেইজ বাদ দিলে আগা গোড়া একটা তুখোড় থ্রিলার| ওভার নাইট থ্রিলার গুলা বেশ জমজমাট হয়| বড় কেলিভারের বই না হলে পড়ে আর ও মজা পাওয়া যেত!! ভিঞ্চি কোড থেকে এইটাই বেশি থ্রিল ছিল বোধয় :3 অসাধারণ একটা টুইস্ট বই টাকে পরিপূর্ণতা দিলো যেন ? রেটিং: 7/10
Was this review helpful to you?
or
it was good
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো রকমের একটা থ্রিলার উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়
Was this review helpful to you?
or
Reader will feel the same thrill as The Da Vinci Code
Was this review helpful to you?
or
দারুণ বই। পৃষ্ঠার মান উন্নত। ডেলিভারি দ্রুত পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
ধন্যবাদ সেলার সুন্দর করে পড়ার মত একটা বই
Was this review helpful to you?
or
প্রচুর বানান ভুল!! অপ্রত্যাশিত
Was this review helpful to you?
or
Robert langdon strikes again in this novel 'The lost Symbol'.Heart touching thrillin.
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের অনুবাদ দ্য ভিন্চি কোডের উপর প্রভাবিত হয়ে উনার আরেকটি অনুবাদ দ্য লস্ট সিম্বল কিনলাম। ৫৫৯ পৃষ্ঠার একটা বইয়ে সামান্য কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকাটা অস্বাভাবিক কিছুই না। বরং সম্পূর্ন অনুবাদটি আমার কাছে ভাল লেগেছে এবং বুঝতেও সহজলভ্য। এইবার আসি ড্যান ব্রাউনের রবার্ট ল্যাংডনের তৃতীয় সিরিজে। বাকি দুইটি বইয়ের মত এইখানেও আছে জানা না জানা অনেক তথ্য যা ড্যান ব্রাউন তার গল্প আর চমকের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কাহিনীটি বাস্তব। ওয়াশিংটন ডিসিতে লুকিয়ে আছে এমন একটি সিক্রেট যা যুগের পর যুগ গোপন করে গেছেন একটি সিক্রেট সোসাইটি, যে সিক্রেটটা জেনে গেলে বদলে যাবে সম্পূর্ন পৃথিবী। এই সিক্রেটটি কিভাবে উদঘাটন করবে রবার্ট ল্যাংডন তার জন্য সবাইকে বইটি পড়ে দেখতে হবে।
Was this review helpful to you?
or
GOOD
Was this review helpful to you?
or
Os3r
Was this review helpful to you?
or
রোমাঞ্চ আর হাড় কাপনো রহস্য এই ভরা বই টি খুব মজাদার। যার প্রতিকটি লেখা অনুভব করা মত
Was this review helpful to you?
or
Dan Brown has made millions upon millions of dollars writing the same Robert Langdon book approximately five times. I can set my watch by their plot beats, see their twists coming a mile away, and pretty much tell you how each one ends before I even crack the book open.
Was this review helpful to you?
or
দ্য লস্ট সিম্বল , নামটার মাঝেই এমন কিছু আছে যেটা আপনাকে থ্রিলারের ভাব এনে দেবে । হারানো প্রতীক, যেটার খোঁজে নেমে যাচ্ছে গল্পের নায়ক , তার সাথে আপনি , হ্যা , আপনিও ছুটবেন, মাথা খাটাবেন, চোখ বন্ধ করে সমাধান খুঁজবেন এখানে না ওখানে । মোটকথা আপনি হয়ে যাবেন প্রধান চরিত্র । দ্য ডা ভিঞ্চি কোড এর পর আর একটা মাস্টার ক্লাস উপন্যাসের সাথে আপনি পরিচিত হবেন ।
Was this review helpful to you?
or
vallaglo
Was this review helpful to you?
or
Name : The Lost Symbol (Robert Langdon #3). Author : Dan Brown. Genres : Fiction, Thriller, Mystery. !!!অসাধারণ একটি বই। কাহিনীর সুবিধার্থে অনেক ছবি যুক্ত করা হয়েছে। লেগে থাকার মতো একটি বই!!!
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস প্রেমীদের জন্য এই বইয়ের কোনো তুলনা হয় না। ওয়াশিংটন ডিসি এর এত কিছু জানতে পেরে চমৎকার লাগছে। বইটি চমক দেওয়ার মত এই কারণে যে এই বই এ যেই সংস্থা, ইতিহাস,সিম্বল,মেসন দের কথা বলা হয় সব সত্য। কিন্তু আমি মনে করি এতে একটু কম উত্তেজনা আর বেশি গোলক ধাঁধা রয়েছে। আমার কাছে শুধু মাঝের এক পার্ট এ উত্তেজনা লেগেছে। বাকি সব শুধু কিভাবে লেংডন আর ক্যথারিন সিম্বল ত সলভ করবে তার বর্ণনা, যা অবশ্যই মজার কিন্তু উত্তেজনা মূলক নয়। তবে আমি বলবো এটা কিনলে আপনাদের টাকা নষ্ট হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য লস্ট সিম্বল’ বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম বেস্টসেলার বই । মুল বইটির লেখক ড্যান ব্রাউন । ড্যান ব্রাউন সম্বন্ধে বলার কিছু নেই । বিশ্বের অন্যতম থ্রিলার লেখক ড্যান ব্রাউন । তিনি তার লেখা দ্য দা ভিঞ্চি কোড এর জন্য বিখ্যাত যা বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম বেস্ট সেলার বই । তিনি আমেরিকাতে জন্মগ্রহন করেন । তিনি আমহাস্ট থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন চাকরি করেছেন । । বর্তমানে তিনি আর্ট হিস্টোরিয়ান এবং স্ত্রী কে নিয়ে আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ডে বসবাস করছেনবইটির অনুবাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন । তার জন্ম ঢাকায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা ইন্সটিটিউট ও পরে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন । তিনি বহু জনপ্রিয় বিদেশী উপন্যাস অনুবাদ করে প্রকাশ করার পাশাপাশি কিছু মৌলিক বই ও লিখেছেন । বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে এবং বইটির প্রকাশক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন । প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান । এ উপন্যাসের পটভূমি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। উপন্যাসের শুরুতে রবার্ট ল্যাংডনকে অনুরোধ করা হয় স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার জন্য। খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হতে হলেও ল্যাংডন এই অনুরোধ ফেলতে পারে না, কারণ এ অনুরোধ এসেছে তার পুরনো বন্ধু এবং মেন্টর স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের প্রধান পিটার সলোমনের পক্ষ থেকে। যারা ড্যান ব্রাউন এর উপন্যাস পড়েছেন তাদের সকলের কাছেই রবার্ট ল্যাংডন পরিচিত নাম । তো ল্যাংডন কথামত সেখানে পৌছে বিশাল এক বিপদে পড়ে যার জন্য সে কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলো না । কি সেই বিপদ ? কিভাবে সে মুক্ত্ হবে ঐ বিপদ থেকে ? জানতে হলে পড়তে হবে দ্য লস্ট সিম্বল বইটি । ড্যান ব্রাউন এর লেখা পড়ার পাঠকদের এইবার ও হতাশ হতে হবে না , মুলত সম্পুর্ন বইটিই পাঠকরা উপভোগ করবেন এইটা নির্দিধায় বলে দেওয়া যায় ।
Was this review helpful to you?
or
boi ta k ami 5 star dibo.......durdanto thrilling.......but onubad e onek printin mistake ace..........200-400 page er modhe ei mistake gula beshi.........tanahole one of the best books.
Was this review helpful to you?
or
এটি মুলত মোঃ নাজিম উদ্দিনের অনুবাদ করা বইয়ে আমার পড়া প্রথম বই। ড্যান ব্রাউনকে নিয়ে আসলে বলার মত কিছুই বাকি নেই। তবে অনুবাদককে ধন্যবাদ দিতেই হয় অতি সুন্দরভাবে অনুবাদটি করার জন্য।যারা বইটি পড়েন নি তাদের বলছি ... বিশ্বাস করুন এই বইটি আপনার দুনিয়া সম্পর্কে ধারনা পালটে দিবে। নাজিম উদ্দিন যেভাবে অনুবাদটি করেছেন তাতে প্রতিটা শব্দ আপনাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে। যদি ড্যান ব্রাউনের আগের বইগুলো পরে থাকেন তাহলে দ্রুত এটা শেষ করুন এবং এরপর 'ইনফার্নো' তো আছেই :)
Was this review helpful to you?
or
ড্যান ব্রাউন কে লিখা নিয়ে আসলে কোন সন্দেহ থাকা উচিত না। সে বরাবরই অসাধারণ। এই বইয়ের অনুবাদ বেশ ভালো ছিলো কিন্তু এতো বানান ভুল যে বইটা তার নিজস্ব ছন্দ হারিয়েছে। ভবিষ্যতে বইয়ের বানানের দিকে নজর রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
Angles and Demons, Da Vinci Code পড়ার পর লস্ট সিম্বল থেকে আরও আশা ছিল। কিন্তু একবারেই হতাশ। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ থ্রিলিং কিন্তু শেষটা একবারেই সাধারণ। শেষে তেমন কোন টুইস্ট নেই, আগে থেকেই মোটামুটি অনুমান করা যায়। শেষটা পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যারা বইপোকা তারা পড়তে পারেন নাহলে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
Was this review helpful to you?
or
'রবার্ট ল্যাংডন' সিরিজের ৩য় বই এটি। সিরিজের ১ম বই 'অ্যান্জেলস এন্ড ডেমনস' এবং ২য় বই 'দা ভিঞ্চি কোড' পড়ে অনেক রোমাঞ্চকর অনুভূতি পেয়েছিলাম। তবে সিরিজের এই বইটি পড়ে রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাওয়া গেলেও গল্পটি কেমন যেন ভালো লাগেনি। সিরিজের প্রতিটি বইতে টুইস্ট রয়েছে। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু টুইস্টটা আগে থেকেই অনেক ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছিল। গল্পের শেষ অংশও তাই ভালো লাগেনি। তবে গল্প যে একদমই খারাপ তা নয়। বইয়ের পেজের মান অনেক ভালো। সিরিজের সবগুলো বইয়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে মোটা। বুকমার্কও দেওয়া আছে। অনুবাদ অনেক সহছ ও উচ্চ মানের, পড়তে কোনো বেগ পেতে হয়নি। যাই হোক, বইটি কিনে এবং পড়ে আমি অনেক খুশি! ?
Was this review helpful to you?
or
ড্যান ব্রাউন এর বই নিয়ে দ্বিতীয় কিছু বলার নাই। জাস্ট অস্থির। থ্রিল আর রোমাঞ্চ পরিপূর্ন একটা মাস্টারপিস।
Was this review helpful to you?
or
josss
Was this review helpful to you?
or
এই বই যদি না পরে থাকেন তাহলে বলব এখনি কিনে পরে না পরলে বুঝতে পারবেন না কি না পরে বসে আছেন
Was this review helpful to you?
or
অতিরিক্ত অসাধারণ কিছু। একবার হলেও সকলের এটি পড়া উচিত।প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম উত্তেজনায় ভরা বই
Was this review helpful to you?
or
দ্যা লস্ট সিম্বল! পুরো কাহিনী একটি প্রাচীন রহস্য কে নিয়ে। ফ্রিমেসনরি একটা সোসাইটি অথবা বলা যায় ইন্সটিটিউশন। এর সদস্যরা হলেন মেসন, যারা বছরের পর বছর ধরে পাহারা দিয়ে আসছেন সেই রহস্য। পৃথিবী বদলে দিতে পারে সেই রহস্য। আর সেটা যদি পড়ে কোন খারাপ মানুষের হাতে, সে এই রহস্যের শক্তি ব্যবহার করে ধরণীতে নিয়ে আসতে পারে চরম বিশৃঙ্খলা। টু কাট দ্যা লং শর্ট :p ফ্রিমেসনরির একজন প্রভাবশালী মেসন পিটার সলমন, যিনি ছিলেন ল্যাঙডন এর বন্ধু ও মেন্টর। পিটার এতদিন রক্ষা করে আসছিলেন দুটো পিরামিড। সেই পিরামিড দুটোকে ঘিরেই শুরু হয় প্রাচীন রহস্যের সন্ধান। রহস্যের সমাধানেই দেখা মিলবে শত বছর আগে লুকিয়ে রাখা লস্ট সিম্বলের। পিটারকে কিডন্যাপ করে গল্পের ভিলেন মাল'আখ। মাল'আখ চরিত্রটিও রঙচঙে। তার মাথায় একটা ছোট্ট গোল জায়গা ছাড়া সারাদেহে শুধু ট্যাটু আর ট্যাটু। সমাজে সাধারণ মানুষের মত চলাফেরা করার জন্য তাকে সেই ট্যাটু ঢাকতে করতে হয় পুরু মেকাপ। মাল'আখ রবার্ট ল্যাংডন কে বাধ্য করে সেই রহস্যের সমাধান করতে। পিটার যে তার হাতে বন্দী সেটা প্রমানের জন্য সে পাঠিয়ে দেয় পিটারের ডান হাতের কাটা কবজি। নিজের শিল্পের ছোঁয়া রাখতে আর সিম্বলজিস্ট রবার্টকে পথ দেখাতে কব্জির আঙুলে ট্যাটু করে দেয় কিছু সিম্বল। এরপরই শুরু হয় পিরামিডের রহস্য সমাধানের দৌড়াদৌড়ি। CIA ও জড়িয়ে পড়ে এতে। কারণ এই ভিলেনের কর্মকাণ্ডের কারণে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তাও আজ হুমকির মুখে! ড্যান ব্রাউনের ধৈর্যের তারিফ করতে হয়। প্রত্যেকটা মুহূর্তের ডিটেইলস আর মুহূর্তের মধ্যে মানুষের ভাবনা আর স্মৃতিচারণ লিখেই তিনি ২৪ ঘন্টার কাহিনীকে টেনে ফেলেছেন ৫০৯ পৃষ্ঠা। মাঝে মাঝে আজাইরা প্যাঁচাল বিরক্ত (বুঝিনি বলে হয়তো? :p ) লাগলেও বইটা ভালো লেগেছে। শেষে একটা ছোট্ট টুইস্ট আছে ভিলেনকে নিয়ে, যেটা গল্পের ধারাবাহিকতায় আশা করছিলাম না। গল্প যা-ই হোক, ড্যন ব্রাউনের ভোকাবুলারি ব্যাবহার ভালো! নতুন ভোকাবুলারির সাথে অনেক কিছু জেনেছি। যেমন, নোয়েটিক সাইন্স ( পিটারের ছোটবোন ক্যাথরিন সলমন একজন নোয়েটিক বিজ্ঞানী। মানুষের চিন্তার কিছু ভর বা শক্তি আছে, তাই নিয়ে তার গবেষণা চলছে), School of fish, অ্যানাগ্রাম, Apotheosis, US Capitol (আমেরিকার সংসদ ভবন :D ), Talisman এবং ইত্যাদি ^_^ A very good entertainment indeed. Happy Reading!
Was this review helpful to you?
or
There is nothing new to describe the writings about Dan Brown. He is a genius in one word. Like all other 4 books, 'The Lost Symbol' is also awesome. You can not move anywhere without finishing the book, if you already start reading it.
Was this review helpful to you?
or
অতি সামান্য কিছু স্পয়লার আছে, খুব বেশি খুঁতখুঁতে না হলে পড়তে পারেন। অন্যথায় না পড়াই উত্তম। ড্যান ব্রাউন ঠিক প্রিয় লেখক না হলেও বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে পড়তে, যতটা না তার কাহিনী বা লেখার শৈলীর জন্য, তার চেয়ে অনেক বেশি যে তথ্যগুলো পাওয়া যায় তার বইয়ে সেই জন্য। স্বীকার করতেই হবে, দ্য ভিঞ্চি কোড বা অ্যান্জেলস অ্যান্ড ডিমনস বইদুটোতে যে পরিমাণ অদ্ভুত ব্যাপার-স্যাপার জানার আছে, অতটা অনেক গবেষনা বইয়েও পাওয়া যা্য না। অবশ্য তাই বলে ব্রাউন যে সবই ঠিকঠিক লিখছেন তাও না, তবে মুদ্রার একটা পিঠ জানতেও নেহায়েত মন্দ লাগে না। এছাড়াও আরো একটা ব্যাপার আছে, রবার্ট ল্যাঙডনকে নিয়ে বইদুটোতে সেখানে খুব ইন্টারেস্টিং কিছু পাজল ছিলো, আমার কাছে তো খুবই আকর্ষণীয় লাগে। অ্যাম্বিগ্রাম, এরপর দ্য ভিঞ্চি কোডের কিউরেটর সাহেবের দেয়া ধাঁধা - চমৎকার লেগেছিলো। সেই তুলনায় ডিসেপশন পয়েন্ট আর ডিজিটাল ফোর্ট্রেস ভালো লাগে নি, সেরকম কোন চমক নেই বলে। কাজেই ল্যাঙডনকে নিয়ে লেখা লস্ট সিম্বল নিয়ে আগ্রহ ছিলো বেশ। বের হবার সাথে সাথেই ডাউনলোড করে ফেল্লাম, এরপর একদিনেই বই খতম। কিন্তু লাগলো ক্যামন? ((আগেই বলে নিয়েছি, হালকা কিছু স্পয়লার আছে,তবে আসলেই হালকা। নিজ ঝুঁকিতে অগ্রসর হউন! )) বইয়ের কাহিনী এবার আমেরিকায়, ওয়াশিংটন ডিসিতে।আগের দুটো বইয়ে ইউরোপ ঘোরাঘুরি করলেও এবার হোমল্যান্ডেই রবার্ট ল্যাঙডন। ঘটনার সূত্রপাত হয় ওয়াশিংটন ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে এক পুরনো বন্ধু / মেন্টর পিটার সলোমনের দাওয়াতে একটা বক্তৃতা দেয়ার জন্য ল্যাঙডনের যাত্রা দিয়ে। এই পিটার সলোমন আবার স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর, আর তার সাথে ফ্রিমেসন সোসাইটিরর ওয়ারশিপফুল মা্স্টার, মানে সর্বোচ্চ নেতা। ঠিকই ধরেছেন, ইলুমিনাটি, ভ্যাটিকান আর ওপাস ডেই এর পর এবারকার কাহিনী ফ্রিমেসন সোসাইটি নিয়ে। মেসনদের নিয়ে প্রথম পড়েছিলাম শার্লক হোমসে, সেখানে অবশ্য মেসনদের দেখানো হয়েছিলো বেশ মন্দ হিসেবেই। পরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রেফারেন্সে পেয়েছিলাম, কিন্তু তেমন কিছু জানতাম না, শুধু এটুকুই যে মেসনরা অ্যামন মন্দ কিছু না। এমনকি তারা সিক্রেট সোসাইটিও ঠিক না। ড্যান ব্রাউনই সুন্দর বলেছেন, They are not a secret society, rather a society with secrets. মেসনদের নিয়ে আমি না কচকচাই, এখানে উইকির এন্ট্রিটা আছে, আগ্রহীরা ওয়েবসার্চ দিলেই আরো হাজার হাজার লিন্ক পেয়ে যাবেন। বইয়ের নাম শুনেই বুঝতে পারছেন কোন একটা হারিয়ে যাওয়া সিম্বল খোঁজাই আমাদের সিম্বোলোজিস্ট রবার্ট সাহেবের এবারের কাজ। এর সাথে এসেছে আমেরিকার জন্মলগ্নে মেসনদের ভূমিকা আর প্রভাব। মেসন সোসাইটি এমন একটা রহস্য রক্ষা করে আসছে যা সাপোজেডলি মানুষকে গডলাইক ক্ষমতা দিতে পারে, আর এই রহস্যের পিছনে নেমেছে এক ম্যানিয়াক। বলে দিতে হবে না, শেষ পর্যন্ত ম্যানিয়াক হারে, আর রহস্য নিরাপদেই অনাবৃত হয় আমাদের নায়কের কাছে। যেটা মিসিং সেটা হলো আগের দুটো বইয়ের চমৎকার পাজলস। এই বইয়েও পাজল আছে, কিন্তু সেটা সমাধানে এমন কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেননি ল্যাঙডন, বরং জায়গায় জায়গায় তাকে নেয়াহেতই উল্লুক মনে হয়েছে। আমার কাছে এই বইয়ের সবচেয়ে খারাপ লেগেছে এই ব্যাপারটাই, ল্যাঙডন গট আ লট স্টুপিডার। যত যাই বলুন না কেন ভাই, আমি বই-সিনেমার নায়কদের কাছ থেকে লার্জার দ্যান লাইফ ব্যাপার-স্যাপার না দেখতে পেলে একটু হতাশই হই। আর পাজলগুলোও আগের মতো এত নেই, যা আছে তাও আগের মতো আকর্ষণ করেনি। অ্যাকশন আছে মোটামুটি, জায়গায় জায়গায় বেশ রোমাঞ্চও আছে। কিন্তু বইয়ের সবচেয়ে ভালো পয়েন্ট কিছু থিওলোজিকাল আলোচনা। যারা গডস ডেব্রি বা রিলিজয়ন ওয়ার পড়ে মজা পেয়েছেন, তাদের বইটা ভালোই লাগার কথা। আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে, বেশ একটা অনন্য পার্সপেক্টিভ আছে স্রষ্টা-সৃষ্টি নিয়ে। শুধু এটুকুর জন্যও পড়তে পারেন, খারাপ লাগার কথা না। আর মেসনদের ভূমিকা ও প্রভাব নিয়ে খুব ইন্টারেস্টিং কিছু তথ্য আছে, সেগুলোও ভালো লেগেছে খুব। যেমন ইলুমিনাটি আর টেম্পলার নাইটসের নিয়ে বেশ চমৎকার অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম, সেজন্য এ বইয়ের কাছেও আশা ছিলো অনেক। সেদিক দিয়ে অন্তত হতাশ করেনি বইটা। সবমিলিয়ে দ্য লস্ট সিম্বল পড়লে হতাশ হবেন না, তবে আগের বই দুটোর মতো ভালো হয়তো লাগবে না।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা বই
Was this review helpful to you?
or
বানানে অনেক ভুল আছে।
Was this review helpful to you?
or
অনেকের কাছেই শুনলাম বইটির স্টোরি লাইন অথবা অনুবাদ খুব একটা ভালো লাগে নি। কিন্তু এনজেলস এন্ড ডেমনস, দা দ্যা ভিনচি কোড, অরিজিন পরে এতোটাই ভালো লেগেছে যে কালেকশনে থাকা বইটি হাতে না তুলে পারলাম না। শুরুতে একটু ঢিল দিলেও অধ্যায় ৮/৯ এ এসে শুরু হলো কাহিনী। তারপর আর কি বলতে এক টানে শেষ। খুবই ভালো লেগেছে । চমৎকার ইনফরমেটিভ। অতপর ইংরেজিটা পড়ার পর দেখলাম অনুবাদও চমৎকার। সব শেষে যারা থ্রিলার ভালোবাসে তাদের জন্য চমৎকার একটা অপশন।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভুল বানান রয়েছে বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
দ্যা ভিঞ্চি কোড' এর বিখ্যাত লেখক ড্যান ব্রাউন আবারো মাত করলেন তার লেটেস্ট বই 'দ্যা লস্ট সিম্বল' দিয়ে। টানা দু'সপ্তাহ নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার (১ নম্বরে), আরো কতদিন থাকবে আল্লাহই জানে। ব্রাউনের প্রতিটা বইই পেজ টার্নার, মানে রুদ্ধশ্বাসে পড়তে হয়। কিন্তু শেষ করার পর মোটামুটি একই অনুভূতি জাগে মনে- ওহ, এই! ধুর!! সোজা বাংলায় শেষটা পাংখা হয়না, বড্ড অর্ডিনারি। লস্ট সিম্বলের ব্যাপারটা আরেক ধাপ এগিয়ে, শুধু অর্ডিনারি বললে কম বলা হয়- বলা উচিত 'যাচ্ছে তাই'। বইয়ের শুরু থেকেই প্রাচীণ গোপন কিছু দলিলপত্র নিয়ে হাউকাউ শুরু হইলো। এইসব দলিল শত শত বছর ধরে নিজেদের মধ্যে সংরক্ষণ করে আসছে 'মেসন' নামের এক ব্রাদারহুড। লিউনার্দো দ্যা ভিঞ্চি থেকে শুরু করে নিউটন, জর্জ ওয়াশিংটন সবাই নাকি এই মেসন গোষ্ঠির সদস্য। ব্রাউন সাহেবের পুরনো রোগ এইটা, দুনিয়ার তাবড় তাবড় যত বৈজ্ঞানিক আছেন সবাইরেই উনি কোন না কোন ব্রাদারহুডের সদস্য বানাইছেন। এরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাইকা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ কেমনে রক্ষা করতো? মোবাইল দিয়া? ;) কী জানি, হয়ত ব্রাউন সাহেবের আগামী বইতেই থিউরী বাইর হইবো ঐ সময় খু্ব 'সিক্রেট' ভাবে বিনা তারে কথা বলতেন কোন এক অজানা ব্রাদারহুডের সদস্যরা। তৎকালীন সমস্ত বড় বড় বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, চিত্রকর সবাই এই ব্রাদারহুডের সদস্য আছিলেন। :P যাক সেই কথা, যা কইতেছিলাম। তো এই প্রাচীণ 'সিক্রেট' দলিলপত্র হাতানোর জন্য ওয়ান ম্যান আর্মি নিয়া মাঠে নামে মালাক নামের এক ম্যানিয়াক। তার বিশ্বাস এই দলিল হাতাইতে পারলেই সে 'খোদা' হইয়া যাইবো। আর এই জন্য তার সাহায্য দরকার প্রাচীণ দলিল-দস্তাবেজ, চিহ্ন ইত্যাদি বিশেষজ্ঞ রবার্ট ল্যাংডনের। কিন্তু পুরা বিষয়টা এক সময় আমেরিকার 'ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইস্যু'। যেকারণে দৃশ্যপটে আসে মহাক্ষমতাধর সিআইএ এবং অন্যান্য বাহিনী। মালাক একাই বইয়ের শেষ পাতা পর্যন্ত সবাইরে ঘোল খাওয়াইতে থাকে। সাবাশ মালাক!!! সবশেষে প্রাচীণ 'সিক্রেট' এর নামে যা বাইর হয়..............থাক কমুনা, পড়েন নিজেই বাইর করেন। তবে বইটা একটা রিয়েল 'পেজ টার্ণার', শুরু করলে আর থামাথামি নাই।
Was this review helpful to you?
or
খ্রিষ্ট ধর্মের বিকল্প ইতিহাস নিজের থ্রিলার ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’এ উপস্থাপন করা ড্যান ব্রাউন যা লেখেন তার সাথে একমত না হলেও তা ফেলে দেয়া কিংবা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়, এমনই তাঁর কলমের জাদু। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যে জাদুতে মজে আছে পুরো বিশ্ব। সাম্প্রতিক সময়ে একমাত্র জে কে রাউলিং ছাড়া আর কোনো উপন্যাসিক বিশ্বজুড়ে এমন আলোড়ন তুলতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই ড্যান ব্রাউনের থ্রিলার ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ প্রকাশের আগেই আলোড়ন তুলেছিল। তা বোঝা যায় কয়েকটি পরিসংখ্যানেই। ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ এর প্রথম মুদ্রণে ছাপা হয়েছিল ৬৫ লক্ষ, আর প্রকাশের প্রথম দিনেই বিক্রি হয়ে যায় ১০ লক্ষ কপি। নিউইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার এই বই মনোযোগের দাবি রাখে বৈকি! ড্যান ব্রাউন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ভিন্ন এক জগত তৈরি করেছেন যাকে অনেক আলোচক ‘ব্রাউনিভার্স’ বা ‘ব্রাউনিয় বিশ্ব’ নামে অভিহিত করছেন। এ বিশ্বে ঘটে অভাবনীয় সব ঘটনা। এ জগত কোনো ঘটনাই কাকতালীয় নয়, কোনো কিছুই নির্ভর করে না শুধু চান্সের ওপর; বরং সবকিছুর পেছনেই আছে সুনির্দিষ্ট কারণ এবং হতবুদ্ধিকর পরিকল্পনা। ‘ব্রাউনিয় জগত’এ সত্য প্রকাশিত হয় প্রতীকরূপে, আবার প্রতীক থেকেই খুঁড়ে বের করা হয় অপ্রকাশিত সত্য। এ জগতে- কোলাহল আসলে গুপ্ত সংকেত, বিশৃঙ্খলায় লুকানো আছে শ্বাসরুদ্ধকর বিন্যাস। ড্যান ব্রাউনের উপন্যাসের নায়ক ‘রবার্ট ল্যাংডন’। ল্যাংডনের সাথে আমাদের প্রথম পরিচিত হই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস’ উপন্যাসে। এরপর ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’এর মাধ্যমে সারা পৃথিবীতেই হইচই ফেলে দিয়েছিল সে। রবার্ট ল্যাংডন একজন সিম্বলজিস্ট, হার্ভার্ডে পড়ায়। তবে মজার বিষয় হলো হার্ভার্ড কেন, দুনিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিম্বলজি’ নামে কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই, কিংবা নেই ‘সিম্বলজিস্ট’ নামে কোনো পদ; ব্যাপারটা পুরোটাই ব্রাউনের সৃষ্টি। ল্যাংডন বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে সংশয়বাদী, কিন্তু তার মন খুঁজে বেড়ায় রহস্য। একাডেমিক ক্যারিয়ারে সফল ল্যাংডন নানাভাবে জড়িয়ে পড়ে বিপজ্জনক সব ঘটনায়। ফিরে আসা যাক ‘দ্য লস্ট সিম্বল’এ। এ উপন্যাসের পটভূমি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। উপন্যাসের শুরুতে রবার্ট ল্যাংডনকে অনুরোধ করা হয় স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার জন্য। খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হতে হলেও ল্যাংডন এই অনুরোধ ফেলতে পারে না, কারণ এ অনুরোধ এসেছে তার পুরনো বন্ধু এবং মেন্টর স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের প্রধান পিটার সলোমনের পক্ষ থেকে। সলোমনের এসিস্টেন্ট তাকে সব বিষয়ে জানায় এবং যথাসময়ে ল্যাংডন ওয়াশিংটন ডিসিতে তার বক্তব্য রাখার স্থান ক্যাপিটাল রটুন্ডায় পৌঁছয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই হতভম্ব হয়ে পড়ে ল্যাংডন, কারণ সেখানে চলছিল না কোনো সভা। বরং উপহার পায় পিটার সলোমনের কাটা কব্জি, আঙ্গুলে আঁকা অদ্ভুত সব ট্যাটু। আতংকিত ল্যাংডন বুঝতে পারে যে সে ফাঁদে পড়ে গেছে। সে জানতে পারে যে, পিটার সলোমনের অপহরণকারীই কৌশলে তাকে রাজধানীতে নিয়ে এসেছে। অপহরণকারী ল্যাংডনকে ওয়াশিংটনে লুকানো শত বছরের পুরনো কোনো এক প্রবেশদ্বার খুঁজে বের করতে বলে এবং তাকে জানায় যে কথামতো কাজ করা না হলে পিটার সলোমনকে হত্যা করা হবে ঠিক মধ্যরাতে। এভাবে ল্যাংডন জড়িয়ে পড়ে বিপজ্জনক এক ইঁদুর-বিড়াল দৌড়ে। একে একে নানাভাবে তার সাথে যোগ দেয় সিআইএ, সলোমনের ছোট বোন বিজ্ঞানী ক্যাথরিন সলোমন, আর্কিটেক্ট ওয়ারেন বেলামি, অফিস অব সিকিউরিটির প্রধান ইউনো সাটো। ল্যাংডন কি পেরেছে অপহরণকারীর দাবীকৃত দ্বারের রহস্য উন্মোচন করতে? অপহরণকারীর আসল পরিচয়ই বা কী? সলোমন পরিবার কি অবশেষে জানতে পারবে তাদের পরিবারে নেমে আসা দুর্যোগের আসল কারণ? সিআইএ কেন অপহরণকারীকে সাহায্য করতে চায়? ল্যাংডন কি পারবে মানব ইতিহাসের কোনো এক বাঁকে হারিয়ে যাওয়া সেই অসামান্য সিম্বল খুঁজে পেতে? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে ‘দ্য লস্ট সিম্বল’। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অবশ্যই রবার্ট ল্যাংডন। কিন্তু ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ এ সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র এর ভিলেন মালাখ। মালাখের প্রসঙ্গ যতবারই আসবে ততবারই পাঠকের মনে হবে ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন প্রাচীন এক ভীতিকর সংগীত বেজে চলছে। সারা দেহে টাট্টু করা এই অদ্ভুত চরিত্র পেতে চায় অমরত্ব, তাই সে খুঁজে ফিরছে এক প্রাচীন প্রতীক। এ কথা স্বীকার না করলেই নয় যে ড্যান ব্রাউন তাঁর ভিলেন চরিত্র তৈরির ক্ষেত্রে অসাধারণ মুনশিয়ানার পরিচয় দেন। এটা আমরা ‘এঞ্জেলস এন্ড ডেমসনস’ এবং ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’এও দেখতে পাবো। উপন্যাস নির্মাণে ব্রাউনের কিছু কৌশলের দিকে তাকানো যাক- প্রথমত, ব্রাউনের সব উপন্যাসের মতোই ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ও সময়ের ক্ষেত্রে একটানা এবং অবিচ্ছিন্ন। ওয়াশিংটন ডিসিতে ল্যাংডনের প্রায় ১০ ঘণ্টার অভিযানে বর্ণনা উঠে এসেছে আলোচ্য উপন্যাসে। ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’এ ছিল ২৪ ঘণ্টার উপাখ্যান এবং ‘এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস’এ ছিল ৮ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য ভ্রমণ। দ্বিতীয়ত, ব্রাউনের উপন্যাসে একটি শক্তিশালী নারী চরিত্রের উপস্থিতি অবশ্যই থাকে। ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ এ যেমন নোয়েটিক সায়েন্টিস্ট ক্যাথরিন সলোমন। ক্যাথরিন বয়সে ল্যাংডনের চেয়ে কয়েক বছরের বড়ো। সম্ভবত ব্যাপারটা ব্রাউনের নিজের স্ত্রী কেইট ব্লাইথের (যিনি ব্রাউনের চেয়ের বয়সে বড়ো) প্রতি একটি উপহার। তৃতীয়ত, ব্রাউন তাঁর পাঠককে প্রাচীন সব নৃশংস আচার-অনুষ্ঠান আর রিচুয়ালের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভড়কে দিতে ভালোবাসেন। ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ এর ভৌতিক চরিত্র ‘মালাখ’ যখন প্রাচীন আচার পালন করে তখন ভয়ের একটি অনুভূতি পাঠক অনুভব করতে পারেন। চতুর্থত, ব্রাউনের প্রতিটি বইয়ে থাকে অসাধারণ সব রিসার্চের ছাপ। প্রতিটি স্থানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এবং এর ইতিহাস থাকে বইয়ের পাতায় পাতায়। আর ব্রাউনের গল্পের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক পটভূমি এবং তথ্যাদি একেবারে সঠিক। তিনি সত্যের সাথে ফিকশনকে এমনভাবে মিশিয়ে ফেলেন যে মনযোগী পাঠকও অনেক সময় বিভ্রান্ত হতে বাধ্য হয়। অবশ্য অনেক সমালোচক ব্রাউনকে অভিযুক্ত করেন ঠিক এই কারণেই। বিশাল সংখ্যক পাঠক ‘ব্রাউনিয়’ গল্পকে সত্যি ভেবে থাকে যা অনেকটাই বিপজ্জনক। কিন্তু এতে করে আমরা ঔপন্যাসিক ড্যান ব্রাউনের সাফল্যের দিকটাই আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করি। থ্রিলার সাহিত্যের নতুন রাজা ড্যান ব্রাউনের উপন্যাসের সাসপেন্স, বাঁকে বাঁকে রোমাঞ্চকর সব ঘটনা আমাদেরকে তাঁর পরবর্তী বইয়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রাখে। আর ব্রাউন সেই অপেক্ষার দাম তাঁর অসাধারণ গল্পের মাধ্যমেই দিয়ে যান। আরো বহুদিন চলুক তাঁর জাদুকরী কলম- এটাই এখন থ্রিলার-প্রেমীদের প্রত্যাশা। সাজেদুল ওয়াহিদ ১৮/০৫/২০১৩