User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলার বা গোয়েন্দা টাইপ উপন্যাস হিসেবে খুব ভালো। যেভাবে বহুবছর আগে ভ্যাঙ্গারের হারিয়ে যাওয়া ভাগনীর কেইসটা স্টেপ বাই স্টেপ সলভ করা হয়েছে তা খুবই প্রশংসনীয়। পাশাপাশি কেইসটার শেষটা খুবই খুবই অপ্রত্যাশিত এবং সরল। কিন্তু এর বাইরে দুটি বিষয় খুব খারাপ লেগেছে। ১. উপন্যাস টাকে অযথা অনেক বড় করা হয়েছে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক এবং জটিল জটিল বিষয় এনে। ২. বহুবার বহু জায়গায় যৌনতার উল্লেখ রয়েছে, যা টিপিক্যাল বিদেশি থ্রিলার উপন্যাসে তুলনামূলক কম থাকে।
Was this review helpful to you?
or
good novel . very mistrious story and crime invastigation .
Was this review helpful to you?
or
Tis a must read psychological thriller book.
Was this review helpful to you?
or
যারা থ্রিলার সিরিজ পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই মাস্টারপিস। পুরাই টান টান উত্তেজনা। এই বই এর উপর ভিত্তি করে মুভি ও সৃষ্টি করা হয়েছে। এক কথায় পুরাই আগুন
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সব থেকে ভালো সাইকোলজিকাল,রহস্য থ্রীলার।।বইটি পড়ার পর তার কাহিনীটা আমার মাথায় বেশ কিছুদিন ঘুরাঘুরি করছে।
Was this review helpful to you?
or
Name : The Girl with the Dragon Tattoo (Millennium #1). Author : Stieg Larsson. Genres : Mystery, Fiction, Thriller, Crime, Suspense. !!! আগে এই বইয়ের অনেক নাম শুনেছি, মুভিটার-ও অনেক নাক শুনেছি। কিন্তু বইটা পড়ার পড়ে অতোটা মজা পাইনি, মনে হল কাহিনী টেনেটুনে লম্বা করা হয়েছে!!!
Was this review helpful to you?
or
বইটির অনুবাদ পড়তে অনেক একঘেয়ে লেগেছে, অনুবাদক অনেক গম্ভীর ভাষায় অনুবাদ করেছেন, আরেকটু প্রাঞ্জল হলে ভালো লাগতো। বইয়ে অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক কথা রয়েছে, আর অনেক গালাগালি তা সত্ত্বেও বইটির কাহিনীর ধারাবাহিকতায় অনেক ভালো লেগেছে। বইটা পড়ে একদম বিরক্ত লাগেনি কারণ বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ থ্রিলারই হাজার বছরের পুরনো কোনো ইতিহাস নিয়ে যা মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে দিয়ে পারে এরকম টাইপ কিন্তু এই বইটির স্বকীয় প্লট আর অসম্ভব সাসপেন্স আমাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছে।
Was this review helpful to you?
or
Disgraced journalist Mikael Blomkvist is hired to solve the decades-old murder of Harriet Vanger, member of one of the wealthiest families in Sweden. Aided by a tattooed, antisocial hacker named Lisabeth Salander, Blomkvist unearths horrible skeletons lurking in the Vanger family closet... Larsson creates some memorable characters. We've got Mikael Blomkvist, the tarnished journalist, Lisabeth Salander, professional hacker, for the leads, both multidimensional characters. Neither are by any means perfect but I liked them just the same. The Vanger family and the staff of the Millennium aren't as well drawn as the leads but Ericka Berger and some of the Vangers are good characters in their own right. Grab the book if you haven't already!!!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন ট্যাটু (মিলেনিয়াম – ১) লেখকঃ স্টিগ লারসন অনুবাদকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৮০ মলাট মূল্যঃ ৪০০ টাকা মিকাইল ব্লমকভিস্ট, সুইডেনের বিখ্যাত ফিন্যান্সিয়াল সাংবাদিক এবং “মিলেনিয়াম’ নামক এক ফিন্যান্সিয়াল ম্যাগাজিন এর প্রকাশক ও একজন অংশীদারও বটে। সুইডেনের এক নামকরা ব্যাবসায়ি হান্স-এরিক ওয়েনারস্ট্রম এর বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করলে তার উপর মানহানির মামলা করা হয় এবং মামলায় সে হেরে যায়। তাকে শাস্তি হিসেবে ৩ মাসের জেল এবং টাকা জরিমানা করা হয়। এর ফলে তার ক্যারিয়ার এবং ব্যাক্তিগত জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। ফলশ্রুতিতে “মিলেনিয়াম’ ম্যাগাজিনের ভবিষ্যৎ ও হুমকির মুখে পরে। ম্যাগাজিনকে রক্ষা করার জন্য সে সাময়িক বিরতি নেয়। এই সময় ব্লমকভিস্ট হেনরিক ভ্যাঙ্গার নামের একজন খ্যাতনামা ব্যাবসায়ির কাছ থেকে একটি কাজের ডাক পান। কাজ ঠিক একটি না দুটি। প্রথম কাজ ভ্যাঙ্গার পরিবারের ইতিহাস লেখা এবং দ্বিতীয় কাজটি হলো ৪০ বছর আগে হেনরিক ভ্যাঙ্গার এর ভাতিজি হ্যারিয়েট এর অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনের। ব্লমকভিস্ট রহস্যের কথা শুনে কাজ করতে বারণ করে দেয়। কারন এই কাজটি প্রায় অসম্ভব! কারন এর আগেও পুলিশ সহ অনেকে কাজ করেও এই রহস্যের কোনো কিনারা করতে পারেনি। হেনরিক ভ্যাঙ্গার তাকে কাজের বদলে মোটা অঙ্কের টাকা এবং হান্স-এরিক ওয়েনারস্ট্রম এর কিছু গোপন তথ্য পারিশ্রমিক হিসেবে দিতে চায়। পরবর্তীতে চিন্তা ভাবনা করে ব্লমকভিস্ট কাজটি করতে রাজি হয়। কাহিনির আরেক অন্যতম চরিত্র লিসবেথ স্যালান্ডার নামের এক অল্পবয়স্কা তরুণী। লিসবেথ সালান্ডার-ই হলো আমাদের সেই “গার্ল উইথ দি ড্রাগন ট্যাটু”। লিসবেথ একজন অসামাজিক, সহিংস এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত এক তরুনী। কিন্তু লিসবেথ এর আছে ক্ষুরধার বুদ্ধি, ফটোগ্রাফিক ম্যামোরি এবং হ্যাকিং এ দক্ষতা । সে সুইডেনের এক নিরাপত্তা সংস্থার একটি অনুসন্ধানী গবেষক পদে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে চাকরি করে। পরবর্তীতে ঘটনাচক্রে ব্লমকভিস্ট এবং লিসবেথ সালান্ডার সেই অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে চেষ্টা করে। ব্লমকভিস্ট এবং লিসবেথ কি আদৌ পেরেছিলো রহস্যের সমাধান করতে? হ্যারিয়েট এর ই বা কি হয়েছিলো? ? জানতে অবশ্যই পড়ুন “দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন ট্যাটু”। ব্যাক্তিগত মতামতঃ আমার পড়া সবচেয়ে সেরা বইগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। এক কথায় মাস্টারপিস! নাওয়া-খাওয়া ভুলে এই বইটির ভিতর ডুবে ছিলাম তিন দিন। আর অনুবাদের ব্যাপারে বলার কিছু নেই। নাজিম উদ্দিন এর অনুবাদ সবসময়ই সেরা। ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ৪.৭/৫
Was this review helpful to you?
or
অনেকের কাছে সুইডিশ লেখক স্টিগ লারসনের বিখ্যাত "মিলেনিয়াম" ট্রিলজির কথা শুনে এর প্রথম দুইটি উপাখ্যান "দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন ট্যাটু" এবং "দ্য গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার" কিনে নেই (তখনও তৃতীয় বইটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয় নি)। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের অনুবাদ নাকি ভালো না এটা আগেই শুনেছি তাই সেটা নিয়েও খচখচানি ছিলো। শেষমেশ কিনে প্রায় দুই সপ্তাহ একটু একটু করে পড়ে ফেলি। বইয়ের নামকরণ করা হয়েছে অন্যতম একটা চরিত্র লিজবেথ সালান্ডার এর থেকে। বইয়ের প্লট অত্যন্ত চমৎকার। বলতে গেলে কাহিনীর ভেতরে আরো টুকরো টুকরো কিছু কাহিনী আছে। তবে দুইটা অংশ-ই মূল। এক. সাংবাদিক মিকাইল ব্লমকোভিস্ট ওয়েনারষ্ট্রম নামের এক অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মানহানীর মামলায় ফেসে যায়। এরপর নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য সে যা যা করে সেটা একটা অংশ। এই অংশটুকু অর্থনৈতিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে লেখা। আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে অনেক কিছু। দুই. জীবনের বিপর্যস্ত সময়ে মিকাইল ব্লমকোভিস্টকে সুইডেনের এককালের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী হেনরিক ভ্যাঙ্গার তাকে একটি অদ্ভুত প্রস্তাব দেই। যদি ব্লমকোভিস্ট প্রায় ৩৬ বছর ধরে নিখোঁজ ভ্যাঙ্গার পরিবারের এক সদস্য হ্যারিয়েটের হত্যা রহস্যের সমাধান করতে পারে, তাহলে হেনরিক মিকাইলকে এমন এক তথ্য প্রমাণ দেবে, যার মাধ্যমে ব্লমকোভিস্ট আদালতে ওয়েনারষ্ট্রমের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারবে। ব্লমকোভিস্ট রাজি হয়ে যায়। একসময় তদন্তে জড়িয়ে পড়ে এই বইএর মূল চরিত্র লিজবেথ সালান্ডার এবং ব্লমকোভিস্ট এবং লিজবেথের তদন্তে বের হয়ে আসে লোমহর্ষক সব ঘটনা। এই অংশ হেনরিক ভ্যাঙ্গার আর তার পরিবারকে নিয়ে। এছাড়া এই বইএ অনেক চরিত্র এবং প্রতিটা চরিত্রের আলাদা আলাদা ইতিহাস আছে। টেকনোলজি, হ্যাকিং, ভৌগোলিক বিচিত্রতা, ইতিহাস, মিস্ট্রি, অপরাধ, গোয়েন্দাগিরী, যৌনতা, কর্পোরেট জগত নিয়ে বিশাল কনসেপ্ট এর একটা বই। বইয়ে মারাত্মক আকারে যৌনতা আছে। এই ব্যাপারটা অনেককেই প্রচুর ভোগাতে পারে। তারপরও এই বইটি ওয়ান অফ দ্য বেস্ট থ্রিলার। বইটার আগা গোড়া থ্রিলে ভরপুর। এইবার আসি অনুবাদ নিয়ে। অনুবাদ আমার কাছে ভালো লাগে নাই তেমন। আর বানানের অবস্থা দেখে আমি ভাবছি, “নাজিম উদ্দিন কি নতুন বাংলা অভিধান লিখতেছেন নাকি!” উনি অনেক শব্দের আরো মার্জিত অনুবাদ করতে পারতেন, কিন্তু কেন করেন নাই ব্যাপারটা বুঝলাম না। নাজিম উদ্দিনের মৌলিক লেখা আমার ভালোই লাগছে, কিন্তু অনুবাদ আমার কাছে অতটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। প্রথম অর্ধের অনুবাদ পড়তে আমার কষ্ট হইছে। এরপর কাহিনীর ভেতর ঢুকে যাওয়ার ওর দেখলাম, বাকিটুকু অনুবাদ আগের চেয়ে ভালো। এমন না যে অনুবাদ বোঝা যায় না কিন্তু অনুবাদের ধরনটা আমার কাছে বিরক্তিকর লাগছে। ভালো বই হওয়ায় অনুবাদ নিয়ে খুব একটা রাগ আর শেষ পর্যন্ত থাকে নাই। তাছাড়া এই বইটির অবলম্বনে একই নামের দুইটি চলচ্চিত্র রয়েছে। যার মধ্যে একটি। সুইডিশ এবং অন্যটি ইংলিশ ভাষায় নির্মিত হয়েছে। শেষমেষ বলব এটা একটা অসাধারণ থৃলার, তাই সকল থৃলারপ্রেমিদেরই বইটা পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
Yeah It's good
Was this review helpful to you?
or
Amr life er best book
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা রিভিউ ০৩ লেখক: স্টিগ লারসন অনুবাদ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মিকাইল ব্লমকোভিস্ট, পেশায় সে একজন সাংবাদিক। বিয়ার গ্যাং নামক ডাকাত এর গ্যাং এর পতন তার মাধ্যমেই হয় যা তাকে রাতারাতি তাকে তারকা বানিয়ে ফেলে। সাংবাদিক জীবন এ চলতে গিয়ে হুট করে দেখা হয় পুরোনো এক বন্ধু লিন্ডবার্গের সাথে তার ই প্ররোচনায় ওয়েনারস্ট্রমের বিষয়ে উৎসাহী হয়। যা কাল হয়ে দাড়ায় তার সাংবাদিক জীবনে সব সত্য জানার পরও প্রমানের অভাবে কিছুই করতে পারেনা উল্টো একপর্যায়ে মানহানি মামলায় সব হারাতে বসে। ব্যাক্তিগত জীবনে প্রেমিকা এরিকা বার্গার, সাবেক স্ত্রী মনিকা, আর মেয়ে কে নিয়ে। লিসবেথ সালান্ডার, অসম্ভব প্রতিভা সম্পন্ন একটি মেয়ে। মিল্টন সিকিউরিটির মত সুইডেনের অন্যতম বিশ্বস্ত ফার্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে রিসার্চের কাজ করে। অদ্ভুত এই মেয়ের চালচলন থেকে শুরু করে সব ই আবেগহীন। ফ্যাকাশে চেহারা, ছেলেদের মত ছোটো করে ছাটা চুল,নাক আর ভুরতে রিং রোগাপটকা শরীর তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন এই মেয়েটি খুব সহজেই তার প্রতিভা দিয়ে কোম্পানির সিইও এর নজর কারে এবং পুরো কোম্পানি তে সবচেয়ে উজ্জল রিসার্চার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্লমকোভিস্ট যখন মামলায় সাজা পেয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তখনই অপ্রত্যাশিত ভাবে অন্য একটি কাজের প্রস্তাব সে পায়। হেনরি ভ্যাঙার বিরাশি বছর বয়সি এক বৃদ্ধ যে কিনা এককালের বিশাল জনপ্রিয় কোম্পানি ভ্যাঙার ইন্ড্রাস্টির মালিক। জীবনের এই শেষ বয়স টাও তার কাটে অসীম এক দোটানায়। তার সেই দোটানা আর তার পরিবারের অসমাপ্ত ইতিহাস এর কিনারা করার প্রস্তাব ই পেলো মিকাইল। সেই রহস্যের সমাধান করতে গিয়েই পরিচয় হয় লিসবেথ সালান্ডার এর সাথে। রহস্য ক্রমশ ই জটিল হয়...কেন হেনরি ভ্যাঙার এর ঠিকানায় প্রতিবছর তার জন্মদিনের দিন খুবি দুষ্প্রাপ্য ফুল রুবিনেট আসে ফেম করা? কোথেকে আর কে পাঠায় সেটা?!! আার কেন সেটা তখন থেকে আাসে ঠিক যখন থেকে তার নাতনি হ্যারিয়েট নিখোজ!!! তেতাল্লিশ বছর ধরে নাতনির খোজ করে যাচ্ছেন। আর ঠিক ততদিন ধরেই প্রতি জন্মদিন এ পাচ্ছেন প্রেসড করা এই একই ফুলের ফ্রেম! সে রহস্য ভেদ করতে গিয়েই অদ্ভুত এই মেয়ের সাথে পরিচয় হয় মিকাইল এর। তারা এক হয়ে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মিশন এ নামে! তারা কি শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল কিনা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত! অসম্ভব সাসপেন্স আর মাদকতা পুর্ণ আটকে রাখার মত একটি থৃলার এটি। বিশাল,বহুস্তর বিশিষ্ট স্বকীয় প্লট পাঠক কে বিমোহিত করতে বাধ্য।
Was this review helpful to you?
or
ব্লমকভিস্ট এক অনুসন্ধানি ফিনান্সিয়াল সাংবাদিক যে এক বিতর্কিত স্টোরি প্রকাশ করে মানহানির মামলায় পড়ে আর সেই মামলায় হেরে যার ক্যারিয়ার ও অর্থনৈতিক জীবন দুই-ই হুমকির মুখে পড়ে। তারচেয়ে বড় কথা, মিলেনিয়াম নামের যে ম্যাগাজিনে তার বিতর্কিত স্টোরিটি প্রকাশ হয়, সেটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক সে-ই। ফলশ্রুতিতে ঐ ম্যাগাজিনের ভবিষ্যতের সামনেও এসে দাঁড়ায় এক বিরাট জিজ্ঞাসাচিহ্ন। এমনই এক সময়ে ব্লমকভিস্টকে এক ফৃল্যান্সিং মিশনে নিয়োগ দিতে চায় এক সময়ের সফল শিল্পপতি হেনরিক ভ্যাঙ্গার। বিনিময়ে সে প্রতিশ্রুতি দেয় ব্লমকভিস্টকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করার এবং একইসাথে তার ম্যাগাজিনকে ফের বাঁচিয়ে তুলতে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকক্ষেত্রে সহযোগিতার। ব্লমকভিস্টকে দেয়া কাজটা খুব একটা সহজ না। হেনরিকের ভাতিজি, হ্যারিয়েট ভ্যাঙ্গারের মৃত্যু(?) রহস্যের জট ছাড়াতে হবে। এ এমনই এক কেস, যেখানে ভিক্টিম আসলেই খুন হয়েছে কিনা বা তার অন্যকিছু হয়েছিল কিনা, তার কোন প্রমাণ নাই। তারচেয়েও বড় কথা, ঘটনাটি ঘটেছে ৩৬ বছর আগে! ৩৬ বছর আগে অন্তর্ধান হওয়া তরুণীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হবার রহস্য কি আদৌ সলভ করা সম্ভব? আপাত দৃষ্টিতে সম্ভব না। কিন্তু সেই আপাত অসম্ভব কাজে নেমে পড়ল ব্লমকভিস্ট, কেননা ডুবতে থাকা অসহায় ব্যক্তি যে খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে! সমান্তরাল প্লটে দেখা মেলে সমাজচ্যুত এক তরুণীর। যেই তরুণীর পিঠে আছে একটা ড্রাগন ট্যাটু। কাহিনীর প্রবাহে একসময় ব্লমকভিস্ট আর ঐ তরুণী, স্যালান্ডারের দেখা হয়। এক পর্যায়ে তারা একসাথে কাজ শুরু করে। তাদের লক্ষ্য একই। হ্যারিয়েট রহস্যের শেষ দেখা। যে রহস্যের সমাধান আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হচ্ছিল, একসময় তা আরও বেশি জটিল হয়ে পড়ে ঐতিহাসিক কিছু ঘটনাপ্রবাহের সাথে বর্তমানের নানা ঘটনার জগাখিচুড়িতে। বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক ভয়ংকর সত্য। আভাস পাওয়া যায় এক মানসিকভাবে অসুস্থ সিরিয়াল কিলারের (কিংবা মর্ষকামি সিরিয়াল রেপিস্টের), যে কিনা কয়েকযুগ ধরে একের পর এক নারীকে হত্যা করে চলেছে বিদ্ঘুটে রকমের যৌন অত্যাচারের মাধ্যমে। কিন্তু কে সে? কেন সে এমনটা করছে? এর পেছনে কি কাজ করছে কেবলই ধর্মান্ধতা? এমন এক ব্যক্তির সাথে হ্যারিয়েট কিভাবে জড়িয়ে পড়ল যার কারণে তাকেও প্রাণ হারাতে হল বা গুম হতে হল? এইসব প্রশ্নের উত্তর তখনই মিলবে, যদি যাওয়া সম্ভব হয় হ্যারিয়েট অন্তর্ধান রহস্যের শেষ সীমানায়। কিন্তু সে অব্দি কি যাওয়া হবে? হদিস কি মিলবে জীবিত অথবা মৃত হ্যারিয়েটের? পাশাপাশি কাহিনীর শেষে কি হবে? ব্লমকভিস্ট কি সক্ষম হবে শেষ পর্যন্ত তার ম্যাগাজিন মিলেনিয়ামকে রক্ষা করতে? মিলেনিয়ামকে রক্ষা করতে সে আর দশটা অপরাধীর মতই বেপরোয়া হয়ে উঠবে? সবমিলিয়ে দারুণ এক যৌনতা আর ভায়োলেন্সে ঠাসা ক্রাইম থ্রিলার 'দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাটু' যার পরতে পরতে রয়েছে সাসপেন্স আর টুইস্টের ছড়াছড়ি। একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে ওঠা কষ্টকর। তবে মহাকাব্যিক এই ক্রাইম থ্রিলারের পরিধি এতটাই বিস্তৃত যে একবারে পড়ে শেষ করা অসম্ভব। তাই এক পর্যায়ে এসে আপনাকে থামতেই হবে। উঠে যেতে হবে নিজের অন্য কাজের জন্য। কিন্তু উপন্যাসটি পাঠকালীন আপনি যেমন হারিয়ে যাবেন অন্য এক দুনিয়ায়, অন্যান্য সময়ও সেখান থেকে বাস্তবে ফিরতে কষ্টই হবে। রাতের ঘুমও হারাম হয়ে যাবে! আর তাছাড়া এই একটা উপন্যাস শেষ করতে পারলেও রক্ষে নেই! পাগল হয়ে যাবেন পরের দুই পর্ব পড়তে। তো, সত্যিই যদি পাগল হতে চান তো পড়া শুরু করে দিন, 'দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাটু!'
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলারের মধ্যে এই সহস্রাব্দে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশী প্রথমে আলোড়ন তুলেছিল যে বই তা হল ২০০৩ এ প্রকাশিত ড্যান ব্রাউনের দ্য ডা ভিঞ্চি কোড। আর গত দশকের শেষের দিকে এসে পুরোপুরি নতুন একজন লেখক আবার আলোড়ন তুলল তাঁর রচিত থ্রিলার উপন্যাস নিয়ে। তাও আবার বইগুলা প্রকাশিত হয়েছে লেখকের মৃত্যুর পর। গত পাঁচ বছরের থ্রিলার ফিকশনের অন্যতম আলোচিত ট্রিলজি মিলেনিয়াম সিরিজ। লেখক স্টিগ লারসনের এই সিরিজের প্রথম বই ইন্টারন্যাশনাল সেনসেশন দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু নিয়েই এই রিভিউ। মিকাইল ব্লমকভিস্ট, সুইডেনের ফাইনান্সিয়াল ম্যাগাজিন মিলেনিয়ামের প্রকাশক এবং অন্যতম পার্টনার। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে ব্লমকভিস্ট সুইডেনের অন্যতম শিল্পপতি হান্স-এরিক বিরুদ্ধে রিপোর্ট লিখে মানহানির মামলায় হেরে যায়। তাঁর মাথার উপর শাস্তির খড়গ। সাংবাদিক সমাজে তাঁর সম্মান ধূলায় মিশে গেল। সে ম্যাগাজিনকে বাঁচানোর জন্য সাময়িক বিরতি নেয় এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে এই সম্মানহানির প্রতিশোধের নেয়ার। মামলার রায়ের দিনই ব্লমকভিস্ট সুইডেনের প্রত্যন্ত অঞ্চল হেডেফাস্ট থেকে ভ্যাঙ্গার কর্পোরেশনের সাবেক সিইও হেনরিক ভ্যাঙ্গারের ডাক পায়। ব্লমকভিস্ট হেডেফাস্টের দ্বীপ গ্রাম হেডেবিতে যেয়ে পৌছায়। ব্লমকভিস্টকে প্রস্তাব দেওয়া হল ৪০ বছর আগের এক হত্যা রহস্য উন্মোচনের। যেই রহস্য উন্মোচনের জন্য হেনরিক ভ্যাঙ্গার নিজেই গত ৪০ বছরের প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশ, প্রশাসন কারোরই সাহায্যের কোন কমতি ছিল না। কিন্তু কোন খেই তারা পাননি এই রহস্যের। ব্লমকভিস্টকে আরও প্রস্তাব দেয়া হল যদি সে এই রহস্যের উদ্গাঠন করতে পারে তবে হান্স-এরিকের মাথা হেনরিক ভ্যাঙ্গার উপহার হিসেবে দিবে। হান্স-এরিকের পতনের নেশায় উন্মত্ত ব্লমকভিস্ট ৪০ বছরের এই উদ্ভট কেস নিতে অবশেষে রাজি হয়। দৃশ্যপটে লিসবেথ সালান্দার। ছোটখাট গড়নের ২৪ বছরের এক অদ্ভুত তরুণী যে সমাজচ্যুত, যাকে সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে প্রবলেম চাইল্ড। কিন্তু তার গুপ্ত পরিচয় সে একজন অসাধারন প্রতিভাবান রিসার্চার। ব্লমকভিস্ট এবং সালান্দার জড়িয়ে পড়ল ৪০ বছরের পুরানো রহস্য উদ্গাঠনে। এই থ্রিলারকে আমি অন্য কোন কিছুর সাথেই তুলনা করতে পারছিনা। এতোটাই অসাধারন মাত্রার মিস্ট্রি-থ্রিলার ইদানীংকালের লেখকদের লেখায় অতটা পাওয়া যায় না। চরম বুদ্ধিদীপ্ত একটি প্লট। কাহিনী এতোটাই ভিন্ন মাত্রার যে বইটি শেষ হওয়ার পর খুব আশ্চর্য হতে হয়। মারাত্মক মাত্রার গতিশীল একটি কাহিনী। যখনই পাঠক কাহিনীর ভিতরে পুরোপুরি প্রবেশ করে যাবে তখন হাত থেকে আর বইটা নামিয়ে রাখতে ইচ্ছা হবে না। অসম্ভব মাত্রার এক সাসপেন্সে ভরপুর এই উপন্যাস । ক্রিস্টি যুগের সাসপেন্স এখন আর তেমন একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু সুইডিশ লেখক এতোটাই সুন্দর এবং অবিশ্বাস্যভাবে সাসপেন্স ঢেলে দিয়েছেন এই থ্রিলারে তাতে যে কেউই মুগ্ধ হতে বাধ্য। ৫০/৬০ এর দশকের ক্লাসিক মিস্ট্রি-সাসপেন্স এবং আধুনিক টুইস্টের এক অসাধারন মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন লেখক এই উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি কতবার পড়েছি, হিসেব নেই। লিসবেথ সালান্দার একজন সমাজ বহির্ভূত প্রফেশনাল হ্যাকার আর মিকাইল ব্লমকভিস্টের সুইডেনের বিখ্যাত ফিন্যান্সিয়াল সাংবাদিক এর এক অদ্ভুত যাত্রা হ্যারিয়েট ভ্যান্গারকে খুঁজে বের করার অনেকটা হ্যারিয়েটএর প্রিয় চাচার শেষ ইচ্ছার মোতাবেক। কিন্তু খুজতে খুজতে একই বেরিয়ে পরলো!! নারীবিদদেশি এক সিরিয়াল কিলার যে কিনা ষাটের দশক থেকে ক্যাথলিকদের নিষিদ্ধ স্ক্রিপটিক ফরচুনাকে অনুসরণ করে মেয়েদের খুন করে যাচ্ছে। এর মধ্যে হ্যারিয়েট এলো কোত্থেকে ? ব্লমকভিস্টের নিজের লড়াই অয়েনার্স্ত্রমের সাথে নিজের পত্রিকাকে বাচাতে ওই দিকে হ্যারিয়েটএর গায়েব হয়ে যাওয়া এত বছর ধরে। একে অপরকে ঘৃনা করা ভ্যানগার পরিবার। টান টান উত্তেজনার বই। শেষটা কি হয় ? কে খুনী, হ্যারিয়েটএর কি হয়েছিল , লিসবেথ কি পেয়েছিল নিজের স্বাধীনতা, মিকাইল কি পেরেছিল মাফিয়া সর্দার অয়েনার্স্ত্রমকে শিক্ষা দিতে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজতে পরে ফেলুন বইটি। সতর্কতা : বইটি একটু ভিন্ন ধাচের রহস্য সেই সাথে ভায়োলেন্সের পরিমানও একটু বেশি।
Was this review helpful to you?
or
লারসন এর মিলেনিয়াম সিরিজ এর প্রথম বই হিসাবে অসাধারন। শুরুতে গতি একটু স্লথ হলেও গল্প যত এগোতে থাকবে পাঠক এর আগ্রহ তত বাড়তে থাকবে। ছন্নছাড়া জীবনের মেয়ে লিসবেথ এর প্রতি কখন ও জন্মাবে সহানুভূতি আবার কখন ও বিরক্তি। প্রতিটি পাতায় প্রশ্ন জাগবে এর পর কি হবে। সাংবাদিক হিসাবে ব্লমকভিস্তকে মনে হবে যথাযথ যদি ও সে বহুগামী। রহস্য উন্মচনে সাংবাদিক ব্লমকভিস্ত অসাধারন মেধার পরিচয় দেয় এবং সে সফল। এই রহস্য উন্মচনে লিসবেথ তার যোগ্য সহযোগী রুপে আবির্ভূত হয় এবং সে ও তার আসাধারন মেধার দ্বারা ব্লমকভিস্ত কে পূর্ণ সহযোগীতা করে। কাহিনীর একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হবে ব্লমকবিস্ত যে তরুণী কে খুজছে তাকে পাওয়া বা এই রহস্য উন্মচন করা অসম্ভব। আর এখানে ই লেখক সফল। পাঠককে কাহিনীর শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে লেখক এর লেখার মুনশিয়ানা। গুল্পের শেষ পরিনতিতে পাঠক আভিভুত হবে...............।
Was this review helpful to you?
or
থ্রিলারের মধ্যে এই সহস্রাব্দে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশী প্রথমে আলোড়ন তুলেছিল যে বই তা হল ২০০৩ এ প্রকাশিত ড্যান ব্রাউনের দ্য ডা ভিঞ্চি কোড। আর গত দশকের শেষের দিকে এসে পুরোপুরি নতুন একজন লেখক আবার আলোড়ন তুলল তাঁর রচিত থ্রিলার উপন্যাস নিয়ে। তাও আবার বইগুলা প্রকাশিত হয়েছে লেখকের মৃত্যুর পর। গত পাঁচ বছরের থ্রিলার ফিকশনের অন্যতম আলোচিত ট্রিলজি মিলেনিয়াম সিরিজ। লেখক স্টিগ লারসনের এই সিরিজের প্রথম বই ইন্টারন্যাশনাল সেনসেশন দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু নিয়েই এই রিভিউ। মিকাইল ব্লমকভিস্ট, সুইডেনের ফাইনান্সিয়াল ম্যাগাজিন মিলেনিয়ামের প্রকাশক এবং অন্যতম পার্টনার। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে ব্লমকভিস্ট সুইডেনের অন্যতম শিল্পপতি হান্স-এরিক বিরুদ্ধে রিপোর্ট লিখে মানহানির মামলায় হেরে যায়। তাঁর মাথার উপর শাস্তির খড়গ। সাংবাদিক সমাজে তাঁর সম্মান ধূলায় মিশে গেল। সে ম্যাগাজিনকে বাঁচানোর জন্য সাময়িক বিরতি নেয় এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে এই সম্মানহানির প্রতিশোধের নেয়ার। মামলার রায়ের দিনই ব্লমকভিস্ট সুইডেনের প্রত্যন্ত অঞ্চল হেডেফাস্ট থেকে ভ্যাঙ্গার কর্পোরেশনের সাবেক সিইও হেনরিক ভ্যাঙ্গারের ডাক পায়। ব্লমকভিস্ট হেডেফাস্টের দ্বীপ গ্রাম হেডেবিতে যেয়ে পৌছায়। ব্লমকভিস্টকে প্রস্তাব দেওয়া হল ৪০ বছর আগের এক হত্যা রহস্য উন্মোচনের। যেই রহস্য উন্মোচনের জন্য হেনরিক ভ্যাঙ্গার নিজেই গত ৪০ বছরের প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশ, প্রশাসন কারোরই সাহায্যের কোন কমতি ছিল না। কিন্তু কোন খেই তারা পাননি এই রহস্যের। ব্লমকভিস্টকে আরও প্রস্তাব দেয়া হল যদি সে এই রহস্যের উদ্গাঠন করতে পারে তবে হান্স-এরিকের মাথা হেনরিক ভ্যাঙ্গার উপহার হিসেবে দিবে। হান্স-এরিকের পতনের নেশায় উন্মত্ত ব্লমকভিস্ট ৪০ বছরের এই উদ্ভট কেস নিতে অবশেষে রাজি হয়। দৃশ্যপটে লিসবেথ সালান্দার। ছোটখাট গড়নের ২৪ বছরের এক অদ্ভুত তরুণী যে সমাজচ্যুত, যাকে সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে প্রবলেম চাইল্ড। কিন্তু তার গুপ্ত পরিচয় সে একজন অসাধারন প্রতিভাবান রিসার্চার। ব্লমকভিস্ট এবং সালান্দার জড়িয়ে পড়ল ৪০ বছরের পুরানো রহস্য উদ্গাঠনে। এই থ্রিলারকে আমি অন্য কোন কিছুর সাথেই তুলনা করতে পারছিনা। এতোটাই অসাধারন মাত্রার মিস্ট্রি-থ্রিলার ইদানীংকালের লেখকদের লেখায় অতটা পাওয়া যায় না। চরম বুদ্ধিদীপ্ত একটি প্লট। কাহিনী এতোটাই ভিন্ন মাত্রার যে বইটি শেষ হওয়ার পর খুব আশ্চর্য হতে হয়। মারাত্মক মাত্রার গতিশীল একটি কাহিনী। যখনই পাঠক কাহিনীর ভিতরে পুরোপুরি প্রবেশ করে যাবে তখন হাত থেকে আর বইটা নামিয়ে রাখতে ইচ্ছা হবে না। অসম্ভব মাত্রার এক সাসপেন্সে ভরপুর এই উপন্যাস । ক্রিস্টি যুগের সাসপেন্স এখন আর তেমন একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু সুইডিশ লেখক এতোটাই সুন্দর এবং অবিশ্বাস্যভাবে সাসপেন্স ঢেলে দিয়েছেন এই থ্রিলারে তাতে যে কেউই মুগ্ধ হতে বাধ্য। ৫০/৬০ এর দশকের ক্লাসিক মিস্ট্রি-সাসপেন্স এবং আধুনিক টুইস্টের এক অসাধারন মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন লেখক এই উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনীর শুরু মাইকেল ব্লমকভিস্ত,মিলিনিয়াম নামের এক ইনভেস্টিগেটিভ পত্রিকার সম্পাদকের সুইডিশ আদালতে মানহানির মামলায় অপরাধী প্রমানিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে।অপরাধ এক অসৎ ব্যবসায়ীর সম্বন্ধে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা। বইয়ের প্রথম দিককার কাহিনী খুব ধীর গতিতে আগাতে থাকে। কিন্তু যখন কুটিল ও হিংশুটে অদ্ভুত এক মেয়ে লিসবেথ সালান্ডারের আগমন হয় গল্প যেন রকেটের গতিতে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে। সুইডিস প্রেস দ্বারা নিন্দিত ও উপহাসিত হওয়ার পর মাইকেল মিলিনিয়াম পত্রিকা থেকে সাময়িক ভাবে দূরে সরে থাকে।এই কর্মহীন সময়ে এরিক ভেনযার তাকে ভাড়া করে।প্রক্রিতপক্ষে এরিক এর লোভনীয় প্রস্তাবের কারনে মাইকেল রাজি হয়ে যায়।এরিক মাইকেল কে একটি রহস্য সমাধানের দায়িত্ব দেয় যা ঘটে প্রায় তিরিশ বছর পূর্বে। ষোল বছর বয়সী কিশোরী হারিয়েট ভেনযার এর অন্তর্ধান।কিশোরী হারিয়েট ছিল ভেনযার গ্রুপের আইনত উত্তরাধিকারী। মাইকেল কাজটি নেয় এবং রহস্য সমাধানের জন্য একজন সহকারী খুজতে থাকে। এই সময়ে কাহিনীতে অনুপ্রবেশ ঘটে বাজে চুল ও দেহের লিসবেথ সালান্ডারের।লিসবেথ সালান্ডার হল ড্রাগন ট্যাটু এর অধিকারী সেই মেয়ে।আস্থাহীন,অবিশ্বাসী,অসামাজিক ও সহিংস পচিশ বছর বয়স্ক তরুণী যে মানসিকভাবে অক্ষম ঘোষিত হয়েছে রাষ্ট্র দ্বারা সেই সাথে এক রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীকে তার অভিভাবক নিযুক্ত করে।কিন্তু রাষ্ট্র এটা জানত না সালান্ডার একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান এক ধরনের আশ্চর্য মেয়ে যে গোপনে সুইডেনে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংস্থার জন্য একটি অনুসন্ধানী গবেষক হিসেবে কাজ করে। মাইকেল লিসবেথ এর আস্থা অর্জন করে এবং তারা দুজনে শুরু করে এক অনুসন্ধানী যাত্রা পাপে পরিপূর্ণ ভেনযার পরিবার এর ইতিহাস উম্মোচন করার জন্যে... বইটি অত্যন্ত ভাল চরিত্র দ্বারা পরিপূর্ণ ও দ্রুত গতির।মাইকেল ও সালান্ড্রের সম্পর্ক একি সাথে আবেগপূর্ণ ও উত্তেজনাকর।সব মিলিয়ে বলা জায়...অনেক দিন পর এমন একটি লেখা পরলাম।