User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সক্রেটিস লিখেছেন, যে জীবন মূল্যায়ন করা হয় না, সেই জীবন অর্থহীন। জীবনের মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন মাপকাঠি। এই মাপকাঠির সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন পাওয়া যায় হজরত মোহাম্মদ স. এর জীবনী ও বাণীতে। তাঁর নিজের জীবন, তাঁর প্রচারিত মহান আদর্শের মূর্ত প্রতীক। তাঁর বাণীতে বাঙময় হয়ে উঠেছে জীবনের বড় বড় প্রশ্নের সমাধান। জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স. এর বাণী গ্রন্থে তাঁর মহান অবদানসমূহ অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থ পাঠ করলে শুধু বিশ্বাসীরাই উপকৃত হবেন না, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও জীবনের নতুন মর্ম খুঁজে পাবেন। ড. আকবর আলী খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা কোরআন হাদিসের বাণী জীবনের সাথে কিভাবে প্রয়োগ হবে জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স. এর বাণী গ্রন্থে তা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। নবীজী স. এর বাণীর সাথে আমাদের বাস্তব জীবনের যোগাযোগ করার জন্য সংকলিত হাদিসের নিচে ছোট্ট করে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। যে কোনো বিদ্যা প্রচার করলেই বিদ্বান হওয়া যায় না। সেই বিদ্যা মানব সমাজে প্রয়োগ করতে হবে। মানুষের সাথে, মানুষের চিন্তার সাথে এর যোগসূত্র স্থাপন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ ঈমান প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক ব্যাখ্যাটি উল্লেখযোগ্য। স্বাধীতার পরে গত চল্লিশ বছরে হাদিসের উপস্থানায় এ বিষয়ে বাংলাদেশের আলেম সমাজ যে প্রয়োজনীয় কাজটি করেননি বা করতে পারেননি, আবু সুফিয়ান সেই কাজটি করেছেন। এ কারণেই বইটি সর্ব মহলে সমাদৃত হয়েছে। কবি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মহাপুরুষদের বাণী দেশে দেশে কালে কালে মানুষকে কৌতুহলী করেছে, আকৃষ্ট করেছে। রসুলুল্লাহ স. এর হাদিস মুসলমানের জন্য আবশ্যক ও অনুসরণীয়। কিন্তু অমুসলিমরাও ইসলামকে জানতে রসুলুল্লাহ স.কে বুঝতে এই বাণী পাঠ করে। জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স. এর বাণী গ্রন্থে সংকলিত হাদিসগুলোকে ৫৮ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমরা এগুলো পড়ব এবং এখান থেকে রসুলুল্লাহ স. এর নির্দেশ জানব, জীবনের রহস্য উপলদ্ধি করার চেষ্টা করব। কোনো সন্দেহ নেই লেখক কঠিন পরিশ্রম করেছেন। আমি আবু সুফিয়ানকে অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি এই বইটি সমাদৃত হবে। ড. আনিসুজ্জামান, লেখক, গবেষক ও চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমি এবং প্রফেসর ইমেরিটাস, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমি দির্ঘদিন মনে মনে ভেবেছি জ্ঞান শুধু মস্তিষ্কের হতে পারে না, জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী গ্রন্থটি থেকে জানলাম হজরত মোহাম্মদ স. জানিয়ে দিয়েছেন জ্ঞান দুই প্রকার-মস্তিষ্কজাত জ্ঞান এবং হৃদয়জাত জ্ঞান। নবীর বাণীর এই বইটি পাঠ করলে বোঝা যায় আসলে এই জীবনের কর্মকা- সবকিছুই ধর্মের অন্তর্গত। ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, লেখক এবং প্রফেসর ইমেরিটাস, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবু সুফিয়ানের ভেতর সৃষ্টিশীলতা আছে। অনেক সৃষ্টিশীল কাজ করেছে। তার সাহিত্যকর্মের সাথে আমি সম্পৃক্ত হয়েছিলাম একেবারে শুরুর দিক থেকে। সে সমাজের অসংগতি নিয়ে নাটক লিখেছে, সমাজের অসংগতি নিয়ে সাহিত্য লিখেছে এবং তার পেছনের লক্ষ্য সমাজকে সুস্থ্য এবং সুন্দর করা; আমি তার এই উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছি। উৎসাহ দিয়েছি। তাকে পছন্দ করি কারণ তার কথা এবং কাজের মধ্যে সাজুয্য রয়েছে, যা আমাদের অনেকের ভেতরে নেই। আমরা অনেকে অনেক ভালো কথা বলি কিন্তু আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনে আমরা খুব সৎ থাকতে পারি না। নির্লোভ থাকতে পারি না। আমি তাকে দেখেছি খুব পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করতে। নির্লোভ এবং সৃষ্টিশীল কাজে নিয়োজিত থাকতে। আমি লক্ষ্য করেছি তার ভেতর একটি আধ্যাতিœক চিন্তা বিকশিত হচ্ছে। এই আধ্যাতিœক বিষয়গুলো মানুষের ভেতর যদি জায়গা করে নিতে পারে, তাহলে সেই ব্যক্তির জীবন অনেক অর্থপূর্ণ হয়ে যায়। সেই মানুষ লোভ সংবরণ করে এবং মানুষের ভালো করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে। তার জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স. এর বাণী গ্রন্থে’ জ্ঞান ও বিদ্যা, বিয়ে ও পারিবারিক জীবন, দাম্পত্য, হিংসা, বিদ্বেষ, রাগ, পরনিন্দা, অহংকার মৃত্যুসহ নিত্য জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে খুব সুন্দরভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে, কিছু টীকা ভাষ্যও রয়েছে। আমি মনে করি বইটির ইংরেজি অনুবাদ হওয়া প্রয়োজন। সারা বিশ্বে মুসলমানদের সম্পর্কে খুব নেতিবাচক ধারণা চলছে । যারা সভ্যতাকে ধ্বংস করছে তারাতো করছেই, কিন্তু ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে সাধারণ মুসলমানদের সম্পর্কে। এই ধরনের একটি বই অন্য ভাষায় অনুদিত হয়ে সবখানে গেলে তাদের ভুল ধারণা ভেঙ্গে অন্তত বুঝতে পারবে ইসলাম আসলেই কী সুন্দর ও শান্তির জীবন ব্যবস্থা! মানুষে মানুষে বিরোধ, হানাহানি ও উগ্রতা, নানা কূপম-ুকতা এবং সহিংসতার এই সময়ে জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী পাঠকদের সত্য ও সুন্দর চিনে নিতে সাহায্য করবে। আবু সুফিয়ানকে একটি কারণে আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই, কারণ সে নিজের প্রতিদিনকার জীবন চর্চায় তার কথা ও বিশ্বাসের মিল রাখতে পেরেছে, মানুষ হিসেবে এটি তার বিরাট অর্জন । ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, লেখক ও অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবু সুফিয়ান আমার অত্যন্ত ¯েœহভাজন। তার জীবনের যে কোনও উপলক্ষে আমি হাজির থাকার চেষ্টা করি। এটা আমার জন্য একটি আনন্দের কাজ বলে আমি মনে করি। জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স. এর বাণী বইয়ের মাধ্যমে তার লেখালেখির জীবনে আরেকটি গূরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ সৃষ্টি হয়েছে। বইটি পড়ে আমি প্রায় বিস্মিতই হয়েছি। বহু কিছু জানতাম না, এই বইটি পড়ে জেনেছি। এই বইয়ের যে কোনও হাদিস যে কোনো সময়ে যে কেউ পড়লে উপকৃত হবেন। আনিসুল হক, লেখক, কবি ও সাংবাদিক, উপ-সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো জন্মসূত্রে আমি অমুসলমান। কিন্তু কোনো ধর্মতন্ত্রের আচার অনুষ্ঠান পালনেই আমার আগ্রহ নেই। তবে সাধ্যানুযায়ী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মশাস্ত্র অধ্যায়ন করে প্রত্যেক ধর্ম প্রবর্তক মহামানবের প্রতি আমার মনে প্রগাঢ় শ্রদ্ধার সঞ্চার ঘটেছে। মহানবী হজরত মোহাম্মদের জীবনচরিত পাঠ করে আমার প্রত্যয় জন্মেছে যে তিনি রাহমাতুল্লিল আলামীন। কবি নজরুল যে বলেছিলেন, কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনিকো ইসলাম- সেকথাও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমার সেই বিশ্বাসের পালেই আরো জোড় হাওয়া লেগেছে আবু সুফিয়ান সংকলিত ও সম্পাদিত জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স. এর বাণী বইটি পাঠ করে। আবু সুফিয়ানের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। অধ্যাপক যতীন সরকার, লেখক ও প্রাবন্ধিক আবু সুফিয়ান একজন সাহিত্যক, একজন কলামিষ্ট, একজন ভ্রমণ সাহিত্য লেখক, উপন্যাসিক এবং আমার দিক থেকে তিনি একজন নাট্যকার। তার জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স. এর বাণী শুধুমাত্র একটি সংকলন নয়, এটির সাথে তার আত্মার, বিশ্বাসের এবং চেতনার সম্পর্ক রয়েছে। হাদিসের সংকলন বা সংগ্রহ নতুন কিছু নয়। বহু শত বছর ধরে এটা হচ্ছে। আমাদের ভাষায় হয়েছে, অন্যান্য ভাষায় হয়েছে। আমরা বাংলা ভাষায় অনেকেই পড়েছি। ইংরেজি ভাষায়ও অনেকে পড়েছি। সেসব ভাষায় চিরাচরিত যে পদ্ধতিতে আমরা হাদিসের সংকলন দেখি আবু সুফিয়ান সেই পদ্ধতি এখানে অনুসরণ করেননি। একজন মানুষ যেভাবে পড়লে বুঝতে পারবে, যেভাবে পড়লে মনে দাগ কাটবে, বিশ্বাসটা প্রগাঢ় হবে এখানে সেইভাবেই হাদিসগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আমরা আজকাল ভালো কথা থেকে দূরে সরে গেছি। ভালো কথা আমরা শুনিনা। ভালো কাজের সঙ্গেও আমাদের পরিচয় কম হয়। আমরা প্রতিনিয়তই খারাপের দিকে যাচ্ছি এবং খারাপের মধ্যেই বসবাস করছি। এখন এই রকমের কথা এই রকমের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আমাদের সমাজে খুব বেশি দেখা দিয়েছে। এই পুস্তকটি যে জন্যে আমার কাছে রাখতে চাই তা হলো এতে শান্তির বাণী আছে, শিক্ষার বাণী আছে, মানুষ হবার বাণী আছে; জীবনে কোথায় কি করতে হবে তার ইঙ্গিত রয়েছে, নির্দেশনা রয়েছে। সেইটা যদি আমরা ভালো মতো করতে পারি, তাহলে আমাদের সমাজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে এবং মুসলমানদের যে দুঃসময় যাচ্ছে সেখান থেকে হয়তো বেরিয়ে আসতে পারি। আবু সুফিয়ান যে গভীর বিশ্বাস ও ভালবাসায় কাজটি করেছেন তার সে ভালোবাসা ও বিশ্বাস আরো দৃঢ় হোক। আবু সুফিয়ান ও তার পরিবারের সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। নওয়াজীশ আলী খান, উপদেষ্টা এবং হেড অফ প্রগ্রাম, এটিএন বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী গ্রন্থখানি আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করেছি। এই বইটি সর্বসাধারণসহ সর্ব মহলে তথা স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ছাত্রছাত্রী এবং বুদ্ধিজীবি-কবি-সাহিত্যিক ও সুশীল সমাজের জন্য এক জ্ঞানের খোরাক; সুপ্ত চিন্তা বিকাশে এবং এর আমলে ইহ ও পরকালে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং মুক্তি ও নিরাপত্তা বিধানে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাঠকবৃন্দ এর পাঠে ভ্রান্তপথ-মত থেকে ফিরে আসবে ও সঠিক আদর্শ ও পথের সন্ধান পাবে ইনশাআল্লাহ্। অন্যান্য ভাষায়ও এর সঠিক অনুবাদ করে প্রকাশের জন্য অনুরোধ রইলো। আল্লাহ্তায়ালা লেখকের এই মহান খেদমতটুকু কবুল করুন। আমীন। মুফতী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিক্রমপুরী, মোফাছছেরে কোরআন ও হেড মুহাদ্দিস, নাজমুল হক মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, গোরান এবং খতিব, হজরত বেলাল রা. মসজিদ, বাসাবো, ঢাকা পবিত্র হাদিস শরিফ অনেক পড়েছি। দেখেছি উপাত্ত এক কিন্তু উপস্থাপনা ও ব্যখ্যা ভিন্নতর। আবু সুফিয়ান সংকলিত ও সম্পাদিত জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী ব্যতিক্রমি ও গুণগত মানসম্পন্ন বলে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই কিতাবটি পড়ে মনে হয়েছে নবিজী স. আমার খুব কাছের, খুব আপন, সবচাইতে মানবতাবাদি, সবচাইতে আধুনিক, সবচাইতে উদার, সবচাইতে জীবনঘনিষ্ঠ, সবচাইতে বিজ্ঞানমনস্ক, সবচাইতে সুস্পষ্ট, সবচাইতে স্বচ্ছ, সবচাইতে পরিশীলিত, সবচাইতে পরিমার্জিত, সবচাইতে পবিত্র ও সবচাইতে অগ্রগণ্য। অলহামদুলিল্লাহ! আমরা এই নবী স. এর উম্মত। এর চাইতে ভাগ্যবান আর কে? সুবহান-আল্লাহ্্! আবু সুফিয়ন একজন আধুনিক চেতনাসম্পন্ন শিক্ষিত ব্যক্তি। আমাদের ধর্ম ও জীবনবোধকে আমাদের বর্তমান প্রজন্মের তরুণতরুণীদের কাছে সহজবোধ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য করে উপস্থাপন করার জন্য এই শ্রেণীর জ্ঞানীদের আমাদের সমাজে খুবই দরকার। বেশ-ভূষণ সর্বস্ব মাওলানা-মৌলবীরা কঠোর তাত্ত্বিকতার মধ্যে শৃঙ্খলিত, যান্ত্রিক ও সংকীর্ণ। তাদের কাছে নিয়ম বড়, মানুষ গৌণ। তাদের চিন্তাশক্তি সীমিত-উন্মুক্ত জগতে ওরা তথাকথিত জাগতিক এলেমের নাগপাশে আবদ্ধ করে ইসলামকে একটি অবাস্তব ধর্মের আবহ দিয়ে দুর্বোধ্য ও দুরের করে ফেলেছে। আল্লাহ্ আবু সুফিযানের মতো প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিন, আমিন। সুম্মা আমিন। আসিফ আলী, প্রাক্তন কম্পট্রোলার এ- অডিটর জেনারেল অফ বাংলাদেশ বাংলা ভাষায় হাদিস সংকলন আর যে নেই, তা নয়। কিন্তু তথাকথিত ইরেজি শিক্ষিত পাঠককে তা ততটা আকৃষ্ট করে না-প্রধানত ভাষার গাম্ভির্যের কারণে, বৃহদাকার কলেবরের কারণে এবং বিষয় ভিত্তিক অনভ্যস্ততার কারণে। আধ্যাতিœকতায় মোড়া পুস্তকটিকে তাই ভক্তিভরে দুরে রেখে দেন তারা। আবু সুফিয়ান এবং আবু সুফিয়ানের বই জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী আমার মতো এই শ্রেণীর পাঠককে খুবই আকৃষ্ট করবে। হাদিসটিকে আরো ভালো করে জানার জন্য আবু সুফিয়ানের টীকা এতই সহজ সরল সুন্দর যে সেই হাদিসটি চোখের ভেতর দিয়ে মরমে পশে এবং আকুল করে প্রাণকে। ব্যাকুল প্রাণ পাঠককে সেই আপনজনকে আরও আপন করে পেতে সাহায্য করে। তাওহিদের মুরশিদ আমার মোহাম্মদ যাঁর নাম। আল্লাহ্ আবু সুফিয়ানকে কবুল করুন। অধ্যাপক ডা: হোসেন রেজা, ভাইস চ্যান্সেলর, খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল বিশ্বাবদ্যালয়, এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ মহান সৃষ্টিকর্তা অল্পকিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে পৃথিবীতে তাঁর আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করতে বিশেষ দায়িত্বসহ পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম হচ্ছেন মোহাম্মদ স.। আল্লাহ্্ বারবার যাঁর সম্পর্কে বলেছেন, কেউ যদি রসুলুল্লাহ, স. এর জীবনযাপনকে অনুসরণ করে, তাঁর নির্দেশনা মেনে চলে, সেই ব্যক্তি যথার্থভাবে নিজের জীবনযাপনে সক্ষম হবে। রসুল স. এর খাদ্যাভ্যাস, মানসিকতা, ব্যবসায়িক মতাদর্শ, নেটওয়ার্কিং, ধৈর্য্য, নীতি-নৈতিকতা, বিনয় সবকিছুই সহজ বাস্তবতা এবং স্বাভাবিকতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যেকোনও ধর্মবিশ্বাসী মানুষের জন্য মোহাম্মদ স. উপযুক্ত আদর্শ, বিশ্বমানবতার জন্য তিনি মডেল। জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ্ স. এর বাণী গ্রন্থটিতে সেই চিত্র সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এমডি সবুর খান, চেয়ারম্যান, ট্রাস্টিবোর্ড, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হজরত মোহাম্মদ স. আল্লাতালার নির্দেশে কথা বলতেন। তিনি নিজস্ব চিন্তায় যা বলতেন, তাও ঐশী প্রেরণাদীপ্ত। কাজেই তাঁর অমূল্য বাণী মানবজাতির জন্য মনিমঞ্জুষা। তিনি সমগ্র সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার রহমত। তাই তিনি রাহমাতুল্লিল আলামীন। তাঁর বাণী হৃদয়ঙ্গম করে ও অনুসরণ করে মানবজাতি উপকৃত হতে পারে। আবু সুফিয়ানের হাদিস সংকলন জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী বাংলাভাষী মানুষের জন্য হৃদয়গ্রাহী গ্রন্থ হিসাবে সমাদৃত হবে। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, চেয়ারম্যান, কৃষি ব্যাংক এবং সাবেক ডেপুটি গভর্ণর, বাংলাদেশ ব্যাংক জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী গ্রন্থে আবু সুফিয়ান হাদিস শরিফ থেকে বাছাইকৃত অল্প সংখ্যক হাদিস তুলে ধরে মানবতার কল্যাণে ইসলামের মাহাতœ্য দেখিয়েছেন। আমি আল্লাহ্ রাব্বুল ইজ্জতের ওপর ভরসা রেখে বলতে পারি এই গ্রন্থটি থেকে যেকোনো চারটি হাদিসও কোনো ব্যক্তি যদি তার নিজের জীবনে আমল করার চেষ্টা করেন, তবে মানবতার মজলিশে তার স্থান হবে অনেকের চেয়ে উপরে। এটিএম শামসুজ্জামান, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সুফিয়ান নবীপ্রেমিক মানুষ। মহান আল্লাহ্তায়ালার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি আমাদের রসুল স.। তাঁর জীবনে ও বাণীতে আমাদের জন্য রেখে গেছেন নিদর্শন। আধুনিক জীবনে সেই নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের অনাগ্রহ ও অবহেলাকে অনেকে প্রগতিশীল হবার উপায় বলে মনে করেন। অথচ হাদিস কেবল আধুনিক ও সমসাময়িক-ই নয় বরং ভবিষ্যতের জন্যও একইভাবে কার্যকর। আমাদের জীবন ধারণের মৌলিক বিষয়গুলো একই আছে, কেবল উপকরণ ও উপায় বদলে গেছে। আবু সুফিয়ান অনেক পরিশ্রম করে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু হাদিস সংকলিত করেছে জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী বইটিতে। বইটি পড়লে বোঝা যায় ইসলাম ধর্ম হিসাবে কতটা উদার, সুন্দর ও মানবিক। শুধু তাই নয়, কত সহজে রসুলের সুন্নতের অনুসরণ করা যায়, সেটাও বোঝা যায়। আবু সুফিয়ানকে ধন্যবাদ। আমাদের হয়ে সে একটি বড় কাজ সম্পন্ন করেছে। এই বইটি নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়া আমাদের কর্তব্য। আব্দুন-নূর-তুষার, চিকিৎসক, লেখক ও প্রধান পরিচালনকর্মকর্তা, নাগরিক টিভি পরশ পাথরের স্পর্শে সবকিছু স্বর্ণে পরিণত হয়, সেই পরশ পাথর হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ নবী হজরত মোহাম্মদ স.। আরব দেশের সর্ব শ্রেণীর খারাপ চরিত্রের লোকেরা তাঁর সংস্পর্শে এসে যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হয়েছিলেন, এবং এখনও হওয়া সম্ভব। কেউ জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী গ্রন্থখানি থেকে একটি হাদিসও নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করলে অবশ্যই তার জীবন আলোকিত হবেই। মাওলানা এ.বি.এম মঈনুল ইসলাম এম.এম. হাদিস, এম.এস.এস রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অনুবাদক: তাফসীরে মাযহারী প্রতিভাবান তরুণ লেখক আবু সুফিয়ান তার অন্যান্য লেখালেখির পাশাপাশি মহানবী স. এর বাণীসমূহের আলোকে মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা একত্রিত করত: পুস্তক জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী প্রকাশ করে নিঃসন্দেহে একটি মহৎ কাজ আনজাম দিয়েছেন। মহান আল্লাহ্তায়ালা লেখক ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম প্রতিদানে ধন্য করুন। মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান, মুহাদ্দিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী বইয়ের একেকটি পাতা উল্টে পড়ছি আর বিবেকের তাড়নায় আমার মনে হচ্ছে শরীর থেকে যেন মাংস পঁচে খসে পড়ছে, একের পর এক পৃষ্ঠা উল্টে পড়ছি, মাংসগুলো খসে চামড়াটাও যেন খসে যাচ্ছে। এভাবে যখন ১০৩ পৃষ্ঠায় এলাম তখন মনে হলো মানুষ হিসাবে লজ্জায় অপমানে আমার আঙ্গুলের মাথার নখগুলোও যেন পঁচে খসে যাচ্ছে.....এমনই অবস্থায় বইটির প্রকাশনা সংস্থায় ফোন করি লেখকের সাথে কথা বলার জন্য। মেজর (অবঃ) আরেফিন, ঢাকা ক্যাণ্টনমেণ্ট, ঢাকা জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ স.এর বাণী বইটি পড়ে মনে হলো একজন প্রবল তৃষ্ণার্ত মানুষের মুখে যেন এক ফোটা শীতল পানির ফোটা এসে পড়লো, যে ব্যক্তি পৃথিবীর জাগতিকতার মোহে তার পথ হারিয়েছে। এম মঈনুদ্দীন মঈন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মান বাংলাদেশ লিমিটেড জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো নিয়ে নবীজীর বাণীর এক চমৎকার গ্রন্থ উপস্থাপনা করেছেন লেখক আবু সুফিয়ান। বইটি পড়বার সুযোগ আমার হয়েছে। লেখার ভাষা সুন্দর, মলাট ও প্রচ্ছদ দৃষ্টিনন্দন। ব্যস্ততার মাঝে, ভ্রমণে, সুযোগ পেলেই হাতে নিয়ে পড়ার মতো সুন্দর এক বই জীবনযাপনে রসুলুল্লাহ্ স.এর বাণী। নিঃসন্দেহে এটি এক মহৎকর্ম। এরকম মহৎকর্মের মধ্য দিয়ে লেখক বেঁচে থাকুন, এই দোয়া থাকলো। ড. মোঃ আবদুল কাদির, অধ্যাপক, আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Was this review helpful to you?
or
জীবনযাপনে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর বাণী গ্রন্থটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন আবু সুফিয়ান এবং গ্রন্থটি জলরং প্রকাশনা থেকে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। রাসূল (সা.) এর অসংখ্য হাদীস থেকে অতুলনীয়, অসাধারণ এবং দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় ৪৯৯টি হাদীস বাছাই করে তিনি অত্র গ্রন্থে সেগুলো স্থান দিয়েছেন। অত্র গ্রন্থের মূল বাণী হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে নিদ্রা যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথেই আমরা সুকর্ম করতে পারি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রতিটি দৃষ্টি, শ্রবণ, ভাবনা, বাক্য, আচরণ, কর্ম সবকিছুকেই কীভাবে আমলে পরিণত করা যায় তার সহজতম ও শ্রেষ্ঠতম দিক নির্দেশনা জীবনযাপনে রাসূূলুল্লাহ (সা.) এর বাণী গ্রন্থটি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য জীবনযাপনে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর বানী গ্রন্থটি শুধুমাত্র ইসলাম ধ্মাবলম্বী বা মুসলমানদের জন্য সংকলিত কোনো গ্রন্থ নয়। সার্বজনীন বিশ্বমানবতার কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মহানবীর ৪৯৯ টি সুনির্বাচিত হাদিস এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। কেননা, হজরত মুহাম্মদ (সা.) কোনো বিশেষ গোত্র বা জাতির জন্য নবী হিসাবে প্রেরিত হননি। তিনি এসেছেন কেয়ামত বা মহাপ্রলয় পর্যন্ত আগত বিশ্ব মানবতার নবী হিসাবে। তাই তো তিনি বিশ্বনবী। যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র উনারই ইবাদাত করার জন্য এবং আমাদের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের জন্য পরীক্ষা, সুতরাং আমাদের প্রতিটি কাজকেই যাতে আমরা ইবাদতে বা সৎকর্মে পরিণত করতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অত্র গ্রন্থটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারি, কেননা এতে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় হাদীসগুলোই কেবল স্থান দেওয়া হয়েছে এবং খুবই ্বল্প পরিসরে সেগুলোকে স্থান দিয়ে গ্রন্থটিকে সহজে বোধযোগ্য ও বহনযোগ্য করা হয়েছে।