Our User Product Reviews

"ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস, কাজেই ধর্মগ্রন্থে যা লেখা থাকে সেটাকে কেউ কখনো প্রশ্ন করে না, গভীর বিশ্বাসে গ্রহণ করে নেয়। বিজ্ঞানের বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। বিজ্ঞানের যে কোনো সূত্রকে যে-কেউ যখন খুশি প্রশ্ন করতে পারে, যুক্তি-তর্ক, পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে সেই সূত্রের সত্যতা তখন প্রমাণ করে দিতে হবে। কাজেই কেউ যদি বিজ্ঞান ব্যবহার করে ধর্মচর্চা করে কিংবা ধর্ম ব্যবহার করে বিজ্ঞানচর্চা করার চেষ্টা করে তাহলে বিজ্ঞান বা ধর্ম কারোই খুব একটা উপকার হয় না।" লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা 'একটুখানি বিজ্ঞান' বইয়ে বিজ্ঞানের বেশ কিছু বিষয় সহজে এবং সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। যদিও কিছু বিষয় আমার কাছে মোটামুটি কঠিন মনে হয়েছে। বইটা শুরু হয়েছে বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাস থেকে; সেই ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক বিজ্ঞানীকে প্রাণ দিতে হয়েছে অথবা তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছিল শুধুমাত্র বিজ্ঞানচর্চা এবং বিজ্ঞান প্রচারের কারণে। আর বইটা শেষ হয়েছে মহাজগতে বুদ্ধিমান প্রাণীদের অস্তিত্বের আলোচনা দিয়ে। "বিজ্ঞানটা হচ্ছে জ্ঞান আর প্রযুক্তিটা হচ্ছে তার ব্যবহার, জ্ঞানটা কখনোই খারাপ হতে পারে না, কিন্তু প্রযুক্তিটা খুব সহজেই ভয়ংকর হতে পারে।" চিন্তার বিষয় হলো– আমরা আমাদের জীবন আরামদায়ক করার জন্য, সহজ করার জন্য প্রতিনিয়ত নানারকম প্রযুক্তি তৈরি করছি এবং ব্যবহার করছি। কিন্তু এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আমরা কতটুকু ভাবছি? এই বইয়ে আমার সবচেয়ে প্রিয় অধ্যায় হলো– পদার্থবিজ্ঞান। কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বিগ ব্যাং এবং থিওরি অব রিলেটিভিটি– এই অংশগুলো খুব ভালো লেগেছে এবং এইসব নিয়ে আরো পড়ার আগ্রহ জন্মেছে। এছাড়া মজা লেগেছে 'একটি জীবাণুর বক্তৃতা' পড়ে। তবে, একটি বিষয় ভালো লাগেনি। সেটা হলো– বইয়ে প্রচুর ভুল বানান এবং বিরামচিহ্নের ভুল ব্যবহার লক্ষণীয়। এছাড়া বইটার বাঁধাই কিছুটা দুর্বল। পৃষ্ঠাগুলো কেমন যেন খুলে আসছে। পরবর্তী মুদ্রণে এই সমস্যাগুলো সংশোধন করলে ভালো হয়। পরিশেষে, বইটা যে-কাউকেই বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তুলতে পারে।

just awesome

khubi valo ekta boi. pore moja paben.

বইয়ের নাম একটুখানি বিজ্ঞান, এর মানে এই নয় যে বিজ্ঞান একটু খানি। এখানে অনেকখানি বিজ্ঞানের একটুখানি ছোঁয়া।

Thank you rokomari for you good service.

রকমারি রিভিউঃ বইঃ একটুখানি বিজ্ঞান। লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। প্রকাশনীঃ কাকলী। মূল্যঃ ৪০০ টাকা। পৃষ্ঠাঃ ১৭৬। বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞান নিয়ে ভয় আর বিতৃষ্ণা আছে। সেজন্য বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার মাসিক ‘কালি ও কলম’ পত্রিকায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখা শুরু করেন। সেই লেখাগুলোর সংকলন ‘একটুখানি বিজ্ঞান’। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, অণুজীববিজ্ঞান, মহাকাশ, প্রযুক্তি, প্রাণীজগৎ ইত্যাদি সহ গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মোট ৩১টি পাঠ নিয়ে এই বই। বিভিন্ন জটিল বিষয় যত সহজে সম্ভব বোঝানো হয়েছে। যারা বিজ্ঞান শিখতে আগ্রহী ও নতুন, তাদের জন্য বইটি অনেক উপকারী হবে। বইটি পড়লে অন্যরকম এক আনন্দ পাওয়া যায়।

খুব ভা‌লো বই! অন্তত বিজ্ঞা‌নের প্র‌তি আগ্রহী ক‌রে তোলার জন্য‌তো অসাধারণ একখানা বই।

Nice

জাফর ইকবাল স্যারব্র বই এমনিতেই সব সময় পড়তে ভালো লাগে। আর যখন ছোট ভাইদের জিন্য বই কিনি তখন তো স্যারের বয়ের কোন তুলনায় হয়না।

very good for entry level science enthusiast

অনন্য এবং অসাধারণ। বিজ্ঞানের খুব কঠিন বিষয় গুলো অতি সহজ ভাষায় চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটি ছোটদের জন্য লেখা হলেও ছোটদের পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক যে কারো ভালো লাগবে।

আমার ছেলে ক্লাস সিক্সে ও মেয়ে ক্লাস এইটে পড়ে। আমি ওদেরকে বইটি পড়ে শোনাই এবং ওরা যথেষ্ট মজা পায়। বিজ্ঞানের যথেষ্ট জটিল বিষয়কে অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে বর্ণনা করা হয়েছে এই বইয়ে। বইটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। বাংলা ভাষায় এধরণের বিজ্ঞান বিষয়ক বই আরও প্রয়োজন।

Great book :)

So nice book. Everyone should read the book.

It,s Is Very Intersting Book..I Love "Mummed Jafor Iqbal Dadu".

good book

Love this book

বইটি খুব ভাল।পৃথিবী আর মহাকাশ নিয়ে অনেক তথ্য আছে বইটিতে। অনেক কঠিন কঠিন বিষয়গুলোকে এই বইটিতে সহজ ও যেকোনো পাঠকের জন্য বোধগম্য করে তোলা হয়েছে।কেউ যদি বিজ্ঞানকে অনেক কঠিন বিষয় বলে সরিয়ে রাখে, তাদের জন্য এটি ভাল হবে।

জাফর ইকবাল স্যারের এই বইটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিজ্ঞান বিষয়ক অনেক মজার কাহিনী রয়েছে এই বইটিতে

খুব সুন্দর একটা বই। আমার খুব ভালো লেগেছে ।আপনারা ও ট্রাই করতে পারেন।

Jafar Iqbal sir ekjon oshadharon manush.amar Mone hoy ei deshe shishu Kishor der jonno Jodi kono biplob hoy ta shudhu tar jonnoi hobe.amader deshe kono chele meye Jodi namkora biggani hoy tobe tar krititto shudhu onar.onar lekha ei boita amader gonit o bigganer aro govire jete utshahito korbe.

Zafar iqbal amar priyo lakhok. ai boite amake tar fan bania se. thank you sir

osadharon

An excellent book based on science...!

Nice

Jafor Iqbal sir er boi manei amar kase onno kisu. Onar hate jadu ase. uni ekta complex bisoy keo eto sohoj kore tulen, apnara tar lekha boi na pore thakle seta bujhte parben na. onar sob boi ei sera. amar Jafor Iqbal sir er boi porte khub val lage. ar onar lekha biggan boier to kono tulonai hoy na. jodio tini ektu nastik type er lok, tarporeo upay nai. karon Bangladesh e Jafor Iqbal sir er moto valo writer ar ekjon ke ami ekhon porjonto dekhi nai. jodi ei ta ekta boi er review, tareo ami writer er review korlam. ei boita asole amar kase valoi lagse. ei boite tini onek bisoy niye alochona koresen. biggan ke onek sohoy kore tulesen ei boite. apnara sobai boita try korte pare. amar kase khub valoi lagse. boi ta onek onek informative.

একটু খানি বিজ্ঞান আসলে একটু খানি নয় , অনেক খানি বিজ্ঞানের একটু একটু করে নেয়া আনন্দ । বিজ্ঞানের নানান শাখার নানান মজাদার , কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় নিয়ে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বইটি সাজিয়েছেন । বিজ্ঞানের পরীক্ষা পদ্ধতি , প্রানিবিজ্ঞান , পদার্থ ,রসায়ন , জ্যোতির্বিদ্যা কি বিষয়ে নেই......।। আমার বিজ্ঞান নিয়ে পরা অন্যতম সেরা বই একটুঁ খানি বিজ্ঞান।

Very nice.Dr. Zafor Iqbal has discussed about some Important topics of science.He has described very easily about the topics.All the topics Understandable . Everyone will be very helpful by reading this book,Children should read this book to gain knowledge about some important topics.

বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা জনপ্রিয়করণে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ভূমিকা প্রশংসনীয়।তবে তিনি যে পরিমান কল্পবিজ্ঞান লিখেছেন তার তুলনায় বিজ্ঞানের বই বেশ কম লিখেছেন এবং এ কথা বইয়ের ভূমিকাতেও স্যার স্বীকার করেছেন।তবে যে কটি বিজ্ঞান ও গনিতের বই লিখেছেন তার মধ্যে অন্যতম সেরা হল এই বইটি।৩১ টি শিরোনামে বিভক্ত বইটি এক কথায় অসাধারন।এ বইটিকে একটি বিশেষ কোন সাবজেক্টের আওতায় ফেলা যায় না কারন এতে যেমন মস্তিষ্ক,জীবানু নিয়ে লেখা আছে অপরদিকে ব্ল্যাক হোল,স্ট্রিং থিওরি নিয়েও আলোচনা রয়েছে।ফলে বইটি যেকোন বিজ্ঞানপ্রেমীর কাছে সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে। বইটির অন্যতম বিশেষত্ব হল এতে টিপিক্যাল বিজ্ঞানের বইয়ের মত ভারী ভারী কথা নেই।বরং সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ননা করা হয়েছে প্রতিটি বিষয় যা স্কুলে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের-ও বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না।বইটিতে আছে সেইসকল বিজ্ঞানীদের কথা যারা সত্য বলার জন্য দন্ডিত হয়েছিলেন।আছে প্রযুক্তির অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা।মস্তিষ্ক নিয়ে লেখাগুলো দারুন লেগেছে।থিওরি অফ রিলেটিভিটিকে সহজে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।বইয়ের পাতায় পাতায় আনন্দ,জ্ঞানের আনন্দ :) এখন কথা হল বইটা কেন সবার পড়া উচিত?কারন হল এই বইটি আপনাকে আরো বেশি বেশি জানার জন্য উদগ্রীব করে তুলবে।এমনভাবেই লেখা যে বইটি পড়ার পরে থেমে থাকা সম্ভব না।প্রতিটি বিষয় আরো জানতে ইচ্ছা করবেই,গ্যারান্টেড :D (By Shoaib Ahmed Shimul)

আধুনিক বিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো ধারনা পেলাম

অসাধারণ। জাফর ইকবাল স্যার বেস্ট

দারুন একটা বই আমি অর্ডার করছি আপনারা ও করেন...মজা আছে পড়তে... আমার অনেক ভাল লাগে........ জাফর ইকবালের লেখা আরো

বিজ্ঞান বললেই আমাদের কারও কারও মনে হয়তো একটা ভয়ের জায়গা তৈরি হয়ে যায় যে, "বিজ্ঞানের বই মানেই প্রচুর সমীকরণ আর গাণিতিক বিশ্লেষণের সংমিশ্রণ থাকবে ।আমি এগুলো গণিত-টণিত একটু কম বুঝি ।এ বিজ্ঞান আমার জন্য নয় ।" তাদেরকে বলছি মূলত আপনার জন্যই মনে হয় প্রখ্যাত লেখক জাফর ইকবাল তার এই বইটিতে কোন গণিত ব্যবহার করেন নি ।বরং তিনি অত্যন্ত সহজ ভাষায় অথচ বিজ্ঞানের প্রকৃত বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।তবে বইটি পড়ে আপনি বিজ্ঞানের অনেক বিষয়েরই মৌলিক ধারণাটুকু পাবেন ।যা বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে নয় ,বরং প্রতিটি মানুষেরই জানা একান্ত জরুরি বলে মনে করি । আপনি কি খেয়াল করেছেন আমি আগে একটা মিথ্যা কথা বলেছি ?আমি বলেছিলাম যে, এ বইয়ে কোন গণিত নেই ।কিন্তু একটি পরিচ্ছেদে কিন্তু আপনার সাথে গণিতের দেখা মিলবে ,বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ভাষা-গণিত নামক পরিচ্ছদে ।তবে আপনার হতাস হওয়ার কারণ নেই এটা কোন আহামরি গণিত নয় ।আর এ পরিচ্ছদেই জাফর স্যার গণিতটা বিজ্ঞানে কিভাবে কাজে লাগে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছেন ।আপনি যখন বইটি পড়বেন মনে হতে পারে আপনিও এই আলোচনায় সামিল হয়েছেন । । আপনি কি ঘুম পাগল ?আপনার জন্য বিশেষভাবে একটা পরিচ্ছদ রাখা হয়েছে এই বইয়ে ।এই পরিচ্ছদের একটা অভয়বাণী ফাঁস করে দিই ।আর সে বাণী কি আর যার তার ,এ হল স্যার আইনস্টাইনের বাণী ।যাক এসব বক বক বাদ দিয়ে বলি তাহলে ।আইনস্টাইন বলেছেন ,"রাতে আমি দশ ঘণ্টা না ঘুমালে ঠিক করে কাজ করতে পারি না ।"তাই বলে আপনিও দশ ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার আইনস্টাইন হওয়ার চেষ্টা করতে যাবেন না যেন । আপনি হয়তো টাইম মেশিনের কথা শুনে থাকবেন ,আর যদি মুভি পাগল হন তাহলে হয়তো এ সম্পর্কিত মুভিও দেখে থাকবেন ।তাহলে বলুন তো টাইম মেশিন কি বাস্তবে সম্ভব ?আর আপনার এ প্রশ্নের উত্তরসহ কিছু মজার খুঁটিনাঁটি আছে টাইম মেশিন পরিচ্ছদে । বইটির প্রতিটি পরিচ্ছেদ আমাকে এতটা আকর্ষণ করেছে যে ,আমার আসলে খুব ইচ্ছা করছে বইটির প্রতিটি অধ্যায় সম্পর্কেই আপনাদেরকে একটু করে বলি ।কিন্তু আপনারা সূচিটি দেখেই বুঝছেন ,এত বিশাল বর্ণনা আপনার ভালো লাগবে না ।তাই এখানেই থেমে গেলাম ।ভালো থাকবেন সবাই ।

"ঠিক দশ বছর বছর পর ৩০১০ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারিখ হঠাৎ দেখি গর্জন করে আকাশের মহাকাশযানটি আমার বৈঠকখানার কাছে নেমে এসেছে । আমি ছুটে গিয়েছি । দেখি মহাকাশযানের ভেতরে আকাশ একজনের হাত ধরে বসে আছে । আমার দশ বছর বয়স বেড়েছে কিন্তু আকাশের বয়স বেড়েছে মাত্র বারােঘণ্টা । আমি আকাশকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কার হাত ধরে রেখেছ ? সে বলল , কেন তােমার ? আমি মহাকাশযান উঠে তার ওয়ার্মহােলের মুখে উঁকি দিয়ে দেখি সত্যি সত্যি সে একজন মানুষের হাত ধরে রেখেছে । মানুষটি আর কেউ নয় , মানুষটি স্বয়ং আমি । দশ বৎসর আগে যেমন ছিলাম!" “আমি ওয়ার্মহােলের ভেতর দিয়ে বৈঠকখানায় এসে হাজির হয়েছি । আমি দেখছি আমার নিজেকে । দশ বৎসর আগে আমি ফিরে গেছি আমার নিজের কাছে ! ” আমি জানি পুরাে ব্যাপারটি একটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতো হলেও বাস্তবেও যে এটি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে তার একটি চমৎকার কিছু তত্ত্ব রয়েছে এ বইতে। তাছাড়াও এলিয়েন থাকার সম্ভাবনা কতটুকু? থাকলেও আমাদের সাথে দেখা না হওয়ার কারণ কি? মানুষের ভবিষ্যৎ পরিণতি কি হবে? নক্ষত্রেরও কি সন্তান হতে পারে? ঘুমের স্তর কয়টি ও কি কি? স্বপ্ন থেকে কি আবিষ্কার সম্ভব? আমাদের চোখ কত ডায়মেনশন পর্যন্ত দেখতে পারে এবং কেন? মানুষ কি তার অতীতে যেতে পারে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর আমাকে অবাক করে দিয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন প্রমানও রয়েছে। সাথে একজন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এবং আবিষ্কারের ফলে তার করুণ পরিণতির ইতিহাসও রয়েছে। বইটিতে বিজ্ঞান এর প্রায় সকল বিভাগই আলাদা আলাদা অধ্যায় হিসেবে রয়েছে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণিজগৎ, মস্তিষ্কসহ ১০টি অধ্যায় রয়েছে। এগুলোকে ৩১টি পাঠে ভাগ করা হয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবার, আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, থিওরি অফ রিলেটিভিটি, বিগ ব্যাং তত্ত্ব, স্ট্রিং থিওরি, মহাজাগতিক ক্যালেন্ডার, ব্ল্যাক হোল, টাইম মেশিন, এলিয়েন সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের রসালো ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বই এ আমার সব থেকে ভালো লেগেছে স্বপ্নের রহস্য, থিওরি অফ রিলেটিভিটি এবং ওয়ার্ম হোলের অকল্পনীয় বাস্তবতার রহস্য। এই বইয়ে এত বেশি বিষয় সম্পর্কে রয়েছে যে আমি বলে শেষ করতে পারছি না। বইয়ের নাম একটুখানি বিজ্ঞান হলেও এখানে এত বিজ্ঞান রয়েছে যে তা কল্পনাও করিনি। এই বইটিকে এক কথায় একের ভিতর সব বললেও ভুল হবে বলে মনে হয় না। শেষ কথা বইটি হয়তো কোন একটি বিষয়ের উপর বিস্তর জ্ঞান দিতে পারবে না কিন্তু একটা বিষয়ের মৌলিক বিষয়বস্তু এবং বিষয়টির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করতে অবশ্যই সক্ষম হবে বলে মনে করি। যারা বিজ্ঞান ভালোবাসেন যারা সায়েন্স ফিকশনের কিছু অংশ বাস্তবে রূপান্তর হওয়া সম্ভব সেটি দেখতে চান তাদের অবশ্যই এই বইটি পাঠ করা উচিত।

জাফর ইকবাল স্যারের পড়া প্রথম বই এটি। এই বইটির মাধ্যমেই আমি জাফর ইকবাল স্যার যে কোন ধরণের রাইটার, তা বুঝতে পারলাম।যেহেতু এটাই তাঁর লেখা প্রথম বই আমার, তাই একটু সংশয়ে ছিলাম। পরে যখন বই ডেলিভারি হলো, ব্যাস। হ্যে গেলাম জাফর ইকবাল স্যারের ফ্যান।

সবার প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিজ্ঞানের বই লিখছেন- অবশ্যই আনন্দিত এবং উত্তেজিত হবার মতো সংবাদ। কারণ বহুদিন যাবত তিনি সায়েন্স ফিকশন এবং কিশোর উপন্যাস লিখে গেলেও বিজ্ঞান নিয়ে খুব একটা বেশি লিখেন নি। তাই ভক্তদের মনে কিছুটা খেদ ছিলো। তবে তা ধীরে ধীরে দূর হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বেশ কিছু বিজ্ঞানের বই এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বই রচনা করেছেন। এর মধ্যে “একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থটি অবশ্যই বিশেষ জায়গা দখল করবে। এটি সাহিত্য পত্রিকা ‘কালি ও কলম’এ তিন বছর ধরে লেখা বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক রচনার সংকলন। প্রাঞ্জল ভাষা প্রয়োগে দক্ষ জাফর ইকবাল যা-ই লিখেন তা-ই তাঁর পাঠকেরা লুফে নেয়, এ এক বিরল সাফল্য। সায়েন্স ফিকশন এবং কিশোর উপন্যাসে ইতোমধ্যেই একজন কিংবদন্তী মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিজ্ঞান নিয়ে লিখছেন খুব বেশিদিন হয় নি। শূন্য দশকের গোঁড়ার দিকে ‘নিউরনে অনুরণন’, ‘আবারো নিউরনে অনুরণন’, ‘গণিত ও আরো গণিত’ এর মতো গণিতের বই লিখেছেন। এরপর অন্যান্য রচনার পাশাপাশি মনযোগী হয়েছেন বিজ্ঞানভিত্তিক রচনায়। আলোচ্য গ্রন্থটি ছাড়াও তিনি বিগত কিছু বছরে ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি, ‘কোয়ান্টাম মেকানিক্স’, ‘পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম পাঠ’-ইত্যাদি বিজ্ঞানের বই রচনা করেছেন যা বাঙালি পাঠকের জন্য বড়ো পাওয়া। বিজ্ঞানের প্রবন্ধ কিংবা রচনাগুলোও যে পাঠ-সুখকর হতে পারে তা যেন তিনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার পণ করেছেন। “একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত লিখেন নি তিনি, বরং ছোট ছোট কিছু রচনা লিখে বিজ্ঞানের আকর্ষণীয় অংশগুলোর প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলাই ছিলো তাঁর লক্ষ্য। বিষয় নির্বাচন নিয়ে লেখক নিজেই ভূমিকায় লিখছেন, ‘যেসব বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে পাঠকেরা সেখানে একবার চোখ বুলালেই বুঝতে পারবেন যে তার মাঝে খুব একটা মিল নেই, যে বিষয়গুলো আমার ভালো লাগে সেগুলোই বারবার উঠে এসেছে’। সায়েন্স ফিকশনে গোটা মহাকাশে বিচরণ করে বেড়ানো মুহম্মদ জাফর ইকবাল যখন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রবন্ধ রচনা করবেন তখন সেখানে মহাকাশ, মহাবিশ্ব, টাইম মেশিন, এলিয়েনের অস্তিত্ব, ব্ল্যাক হোল ইত্যাদি উঠে আসবে তা খুবই স্বাভাবিক। টাইম মেশিন এবং বহির্জাগতিক প্রাণীর অস্তিত্ব এখনো সায়েন্স ফিকশনের পাতায় থাকলেও তিনি এর পেছনের বিজ্ঞানটুকু সবার কাছে তুলে ধরেছেন। ব্ল্যাক হোল নিয়ে লেখা দু’টি রচনা সবাইকে বিস্মিত করবে। আবার মহাজাগতিক ক্যালেন্ডারে মানবজাতির অবস্থান জেনে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবনায় পড়ে যেতে হবে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছেন বিজ্ঞান নিয়ে কিন্তু এর মাঝেও রোমান্টিকতা বাসা বেঁধেছে। আমাদের পরিচিত সেই অক্সিজেন নিয়ে লিখতে গিয়ে যখন তিনি সেই গ্যাসকে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তখন চোখ কচলে তাকাতে হয়- এ কী সত্যিই বিজ্ঞানের প্রবন্ধ! তবে তাঁর রোমান্টিক ভাবনাগুলো পাঠকের মাঝেও তিনি ছড়িয়ে দেন যখন পাঠক জানতে পারে যে তারা সবাই আসলে একেকটি নক্ষত্রের সন্তান। তিনি প্রশ্ন রাখেন-‘ যে মানুষ নক্ষত্রের অংশ সে কি কখনও কোনো ছোট কাজ করতে পারে? করা কি উচিৎ?’ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পড়াশুনা করেছেন পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে এবং পরবর্তীতে গবেষণা ও শিক্ষকতা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে। এসব বিষয়ও “একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থে উঠে এসেছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং থিওরি অব রিলেটিভিটির মতো জটিল বিষয় অল্প কিছু পাতায় বুঝানো সম্ভব নয়, তবুও তিনি বিষয়গুলোর কিছু ধারণা দেবার চেষ্টা করেছেন (এই দু’টো বিষয় নিয়ে উনি পরবর্তীতে ‘কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ এবং ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি’ নামে দু’টো বই লিখেছেন)। স্ট্রিং থিওরির ওপর রচিত প্রবন্ধটি আলোচ্য গ্রন্থের সবচেয়ে দারুণ রচনাগুলোর একটি। এছাড়াও বিগ ব্যাং, ফাইবার অপটিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়েও গোটা কয়েক ছোট ছোট রচনা এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে লিখতে গিয়ে তিনি যখন বলেন, ‘পৃথিবীটাকে জঞ্জালমুক্ত করার জন্য আমাদের বিজ্ঞানী আর প্রযুক্তিবিদদের মুখের দিকেই তাকাতে হবে। কারণ শুধু তারাই পারবেন আমাদের সত্যিকারের পৃথিবী উপহার দিতে’- তখন আমাদেরও আশাবাদী হয়ে উঠতে ইচ্ছে করে। পাঠকের জন্য এই বইয়ের সবচেয়ে বড়ো চমক হলো যখন তারা দেখতে পাবে যে পদার্থবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী মুহম্মদ জাফর ইকবাল জীববিজ্ঞান নিয়ে লিখেছেন! হ্যাঁ, অত্যন্ত সাফল্যেই সাথেই তিনি কাজটি করতে পেরেছেন। মস্তিষ্ক নিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবালের আগ্রহ আমরা তাঁর সায়েন্স ফিকশনগুলো পড়লেই টের পাই। এই গ্রন্থে মস্তিষ্ক নিয়ে তাঁর রচিত কয়েকটি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অটিজম নিয়ে একটি রচনা, ডিএনএ নিয়ে একটি ছোট্ট প্রবন্ধ। এই অংশেই দেখা মিলবে এই গ্রন্থের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনাটি- ‘একটি জীবাণুর বক্তৃতা’। বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার সাথে কীভাবে সৃজনশীলতা মিশে কীভাবে অসাধারণ একটি সাহিত্যকর্ম হয়ে ওঠে তা উক্ত রচনাটি পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবে। সূচীপত্রের পেছনের দিকের লেখাগুলো নিয়ে আলোচনা করলেও প্রথমদিকের লেখাগুলো নিয়ে এতক্ষণ কিছু বলি নি। সত্যি বলতে, বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের নিয়ে লেখা এই প্রবন্ধ ক’টিই এই গ্রন্থের প্রাণ। এইসব রচনাগুলোয় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার আবির্ভাব, পর্যবেক্ষণের সূচনা, বিজ্ঞানের ভাষা গণিত, বিজ্ঞানীর গবেষণা প্রক্রিয়া ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পার্থক্য সম্বন্ধে আমাদের সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করেন । কারণ, তাঁর ভাষায়-‘ ভোগবাদী পৃথিবীতে এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে আলাদা করে দেখা- তা না হলে আমরা কিন্তু খুব বড়ো বিপদে পড়ে যেতে পারি’। বিজ্ঞানের বইয়ে প্রয়োজনীয় ছবি এবং আলোকচিত্রের সন্নিবেশ ঘটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ- যা আলোচ্য বইয়ে ঘটেছে। বইয়ের ইলাস্ট্রেশান দৃষ্টিসুখকর। সব মিলিয়ে “একটুখানি বিজ্ঞান” নান্দনিক একটি বিজ্ঞান গ্রন্থ হয়ে উঠেছে।

oneke jara boi poren exam pass korar jonno ami tader ai boi porte bolsi karon ai boi pore tara 100 percent sure thakben j tara mone santi paben...life ta ke mechine na make kore real human being make koren..sudhu academic boi pore life ke friendless na kore onnanno boi pore friend der sathe science niye fun kora sikhun....Be a Practical Dears....