User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে লেখকঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম রিভিউঃ গ্রন্থকার রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সেনা বাহিনীর সেই অফিসারদের মধ্যে একজন ব্যক্তি যিনি তাঁর অধীনস্থ ইপিআর সৈন্যদের নিয়ে চট্টগ্রামে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরের ঘটনাবলী তুলে ধরার জন্য তাঁর মত একজনের লিখা সত্যিই মহামূল্যবান। ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার বর্ণনায় সমৃদ্ধ একঐতিহাসিক দলিল। গ্রন্থে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের অনিশ্চিত, দুঃস্বপ্নের ন’মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধসমূহের বিবরণ স্থান পেয়েছে, অন্যদিকে বর্ণিতদ হয়েছে বাঙালি হত্যায় উন্মক্ত পাকিস্তানী সৈন্যদের নৃশংসতার বিবরণ : কীভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করেছে, এক কোটি বাঙালিকে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। গ্রন্থকার নিজে এ যুদ্ধ প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী। ১নম্বর সেক্টর কমান্ডার হিসাবে দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি একদিকে যেমন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছেন প্রতি মুর্হর্তে; তেমনি গভীরভঅবে অনুভব করেছেন এ যুদ্ধের নৃশংসতা, ভয়াবহতা, সাধারণ মানুষের বেদনার্ত আহাজারি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এ গ্রন্থে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ মহান গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনাই আমাদের অজানা। গ্রন্থকার মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা, অস্পষ্ট দিকগুলো জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নিপুণ কলমের আচরে ফুটিয়ে তুলেছেন নির্ভয়ে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ এবং যুদ্ধের নৃশংসতা ও ভয়াবহতা অনুভবের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে এ বইটিতে। ঘটনার বর্ণনার সাথে ঘটনার যথার্থতা ও সত্যতা সম্পর্কে তিনি সচেতন, সত্যনিষ্ঠ বস্তুনিষ্ঠ থেকেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস বিকৃত, অস্পষ্ট ও ঝাপসা হয়ে যাওয়ার পূর্বেই মুক্তিযুদ্ধের এক অগ্রণী সৈনিকের সচেতন প্রয়াসে রচিত এই গ্রন্থ মহান মুক্তিসংগ্রামের এক বিশ্বস্ত দলিল। পাদটীকাঃ ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ লেখকের মূল গ্রন্থ A Tale of Millions-এর অনুবাদ। A Tale of Millions ইংরেজীতে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। ইংরেজী গ্রন্থের পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ এবং বাংলায় অনূদিত ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’-র প্রথম সংস্করণসমূহে যে-সব যুদ্ধের ঘটনা বর্ণিত হয়নি, নতুন সংস্করণে সে-সব ঘটনা সংযুক্ত হয়েছে। (তথ্য ও কথা সংগ্রহীত)
Was this review helpful to you?
or
স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম রচিত লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গ্রন্থটি ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয়। তবে এর ইংরেজি সংস্করণ (A Tale of Millions) প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। বাংলা সংস্করণটি মূল ইংরেজি সংস্করণের বর্ধিত সংস্করণ। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা লেখক সন্নিবেশিত করেছেন, যা আগের ইংরেজি সংস্করণে ছিল না। এর আগে স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ প্রকাশিত হলেও সশস্ত্র যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এই গ্রন্থটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। এ গ্রন্থের আগে যুদ্ধসংক্রান্ত প্রকাশিত বেশির ভাগ গ্রন্থই স্মৃতিকথা হিসেবে লিখিত। আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে এটিই কোনো সেক্টর কমান্ডারের লিখিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রথম গ্রন্থ। বেশির ভাগ সেক্টর কমান্ডার যুদ্ধের বিবরণ গ্রন্থিত করেননি, যে দু-একজন করেছেন তাঁরা তা করেছেন অনেক পরে। বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখক ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন, ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গ্রন্থটির মূল অংশে সামরিক ও গেরিলা তৎপরতার বিবরণ এবং রাজনৈতিক অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।’ বইয়ের প্রথম প্রায় ৫০ পৃষ্ঠায় লেখক স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। এতে নতুন কোনো তথ্য না থাকলেও যুদ্ধের আবশ্যকতা প্রমাণ এবং পরবর্তী অধ্যায়গুলো বুঝতে সাহায্য করে। এরপর বাকি বইয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর উল্লেখ আছে। লেখক নিজে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব থেকে সংযুক্ত থাকা ও একটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন, তাই যুদ্ধের অনেক কিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন। যুদ্ধের নীতিনির্ধারণ ও সম্পাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে তাঁর বর্ণনাকে অনেকটাই বস্তুনিষ্ঠ মনে করা যায় এবং দলিল হিসেবে গ্রহণ করা যায়। তবে কোথাও কোথাও সহনশীল পর্যায়ের আমিত্বও নজরে পড়ে। যুদ্ধের নয় মাসে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে তিনি যেভাবে দেখেছেন, গ্রন্থে তার মূল্যায়ন আছে, যা মুক্তিযুদ্ধের গবেষকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। যেমন শরণার্থী শিবিরের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে খুব বেশি যোগ দেননি, ক্ষমতাসীন দল মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে, যা যুদ্ধের সফলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যুদ্ধের ময়দানে আদেশ-নির্দেশ অস্পষ্ট বা দ্বিধান্বিত হলে জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। অথচ কখনো কখনো বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দপ্তর এবং ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যকার আদেশ-নির্দেশ পরস্পরবিরোধী হতো। কিছু পরিশিষ্ট একান্তই ব্যক্তিগত, যা গ্রন্থের জন্য প্রয়োজনীয়তা মনে হয়নি এবং বইয়ের সঙ্গে খুব একটা সংশ্লিষ্টও মনে হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশীদার হওয়ার কারণে গ্রন্থটি শতভাগ নিরপেক্ষ হয়নি বা আত্মজীবনীর ছাপ লক্ষ করা যায় বলে লেখক নিজেই স্বীকার করেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে আমি গভীরভাবে সম্পৃক্ত ও একাত্ম থাকার কারণে ইতিহাস রচনার নৈর্ব্যক্তিক ভঙ্গিতে বইটি লেখা হয়ে ওঠেনি। তাই বইটির কোনো কোনো অংশে জীবনচরিত বা আত্মকথার ছোঁয়া অনুভূত হতে পারে।’ গ্রন্থটি প্রশংসনীয় উল্লেখ করার পর শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মেজর রফিকুল ইসলাম তাঁর স্মৃতিকথায় অন্য সব প্রসঙ্গ উত্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিলেও জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে যে তিনি কাল ও প্রেক্ষিতের সুযোগ গ্রহণ করেছেন—এ কথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে।’ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতাযুদ্ধবিষয়ক একটি মৌলিক গ্রন্থ এবং ইতিহাসের ছাত্রের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারিরিভিউপ্রতিযোগ বই-লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে লেখক-রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস আমাদের। এই ইতিহাস সম্পর্কে কতো কতো পুস্তক রচিত হয়েছে তার কোন ইয়াত্তা নেই। কতো কতো কাহিনী! কতো কতো মুক্তিযোদ্ধার অভিজ্ঞতার এই মুক্তিযুদ্ধ । কতো কতো ত্যাগ ধংস্ব, কতো নির্যাতন! কতো অপেক্ষার পর আমাদের এই স্বাধীনতা। "লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে" মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আরো একটি রচনা। লিখেছেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তিনি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। নিজে যুদ্ধ অংশগ্রহন করেছেন। দেখেছেন, জেনেছেন তখনকার সময়ের মানুষের অবস্থা। আর সে সব কঠিন দিনের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন এই বইয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুদ্ধের প্রথমদিকে ১ নং সেক্টরের সাব কমান্ডর ছিলেন। এরপর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের বাকি সময় । বইয়ে তিনি উল্ল্যেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের এবং দেশের অবস্থা। পুরো নয় মাসের রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধের খন্ড খন্ড চিত্র। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকান্ডের বিবরণ। একের পর এক মানুষের মৃত্যু। দেশে থাকা মানুষদের কি নিদারুণ অবস্থা। দেশ থেকে শরণার্থী হয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর কথাও বলেছেন। যুদ্ধের বিভিন্ন সময়ের নিজ অভিজ্ঞতার প্রতিটা গতি প্রকৃতি বর্ণনা করেছেন তিনি । দ্বায়িত্বরত ১ নং সেক্টর সহ বিভিন্ন সেক্টরের বর্ণনা দিয়েছেন। ৩৯ টি অধ্যায়ে সেই বিবরণ লেখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতাহাস। বস্তু সম্পর্কে লেখক ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন, ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গ্রন্থটির মূল অংশে সামরিক ও গেরিলা তৎপরতার বিবরণ এবং রাজনৈতিক অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।’ বইয়ের প্রথমে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন কারন বিশ্লেষণ করেছেন। সেইই পূর্ব পাকিস্তান সময়ের নাশকতা। কি করে বাধ্য করেছিলো আমাদের মুক্তি যুদ্ধ করতে। এছাড়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীদের যুদ্ধের অংশগ্রহনের বিভিন্ন ঘটনা, নিজে সশস্ত্র ভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহন থেকে শুরু করে একটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকা, সব বর্ণনা করেছেন। লেখক নিজে যুদ্ধের এই অবস্থানে যুক্ত ছিলেন বলে তাঁর বর্ণনাকে যুদ্ধের দলিল মনে হলেও ঠিক তা নয়। কেন না বর্ণনা টা তিনি সংযুক্ত থেকে করেছেন। আর এই কারনে অনেকটা আত্মজীবনীর মতো মনে হয়। তাঁর নিজের যা অভিজ্ঞতা। যা তার মনে হয়েছে। যা তিনি উপলব্ধি করেছেন তাই বর্ণনা করেছেন।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানে হত্যাকান্ডের বিশাল বিবরণ। অগনিত মানুষের আত্মত্যাগ, হত্যাযজ্ঞের বিনিয়ময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছ। লেখক বেশ সাবলীল ভাবে লিখে গিয়েছেন সে সময়ের স্মৃতি কথা। যেহেতু তিনিও ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী। আর তাই ঘটনার সততা যাচাইয়ের কোন রকম সন্ধেহের অবকাশ নেই।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম-লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। লেখক- রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। পৃষ্ঠা-৪৬৩ মূল্য-৫৫০ ১৯৭১। নয় মাস। মুক্তিযুদ্ধ। বিশাল একটা অধ্যায়! বিশাল একটা ইতিহাস! আমরা আসলে কতোটুকু জানি? কতোটুকু হিসেবে রেখেছি এই দিনগুলোর? কি ভয়াবহ কতো গুলো দিন পাড়ি দিতে হয়েছিলো ৭১ এর মানুষগুলোর। কয়টা হত্যাকান্ড? কতজন শহীদ? কতজন মুক্তিযোদ্ধা দের পরিচয় আছে আমাদের কাছে? নতুন প্রজন্ম হিসেবে আমাদের অতীত ইতিহাস কয়টা ধারণ করেছি নিজেদের মাঝে? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কি পরিমাণ সাহসে কতোটা আত্মত্যাগের ফসল আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা! কতোটুকু হিসেব মিলিয়েছি তার? কখনো জানতে চেয়েছি? খোঁজ নিয়েছি কি হয়েছিলো? কেন হয়েছিলো? কারা করেছিলো? কাদের জন্য এলো এই রক্তরঙা ইতিহাস! বই আলোচনাঃ ২০১৭ স্বাধীনতার ৪৬ বছর চলছে। এই কতোশত মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বই প্রকাশিত হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। কিন্তু, ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ বইটি এমন একজন লিখেছেন তিনই প্রথম ব্যক্তি যে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাত ০৮:৪০ মিনিটে তাঁর অধীনস্থ ইপিআর সৈন্যদের নিয়ে চট্টগ্রামে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপের জন্যই মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চট্টগ্রাম শহর বেশ কিছুদিন পাক হানাদারদের দখলমুক্ত ছিল। তিনি হলেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এছাড়াও তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথমে কিছুদিন ১ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার এবং পরে ১ নং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ এমন এক সময় যখন আসন্ন বিপদে রুখে দাড়াবার কোন শক্তি বা সামর্থ্য বাঙালির ছিলোনা। ছিলোনা মাথার উপর কোন নির্দেশনা। একরকম নিজের বুদ্ধি আর সাহসিকতায় কেউ কেউ ঝাপিয়ে পড়েছেন কিছু না বুঝেই লক্ষ ছিলো শুধু মাত্র প্রতিহত করতে হবে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনাবলির বিববরণ সমৃদ্ধ এক ঐতিহাসিক দলিল। বইয়ের এক পাঠে যেমন আছে মুক্তিযুদ্ধের অনিশ্চিত সময়ের বর্ণনা, তেমনি স্থান পেয়েছে দুঃস্বপ্নের ন’মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধসমূহের বিবরণ। অন্যদিকে বর্ণিত হয়েছে বাঙালি হত্যায় উম্মত্ত পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতার বিরল বিবরণ! অপরেশন জ্যাকপট বলে কীভাবে বাঙালি নিধন করেছে।! কীভাবে হত্যা করেছে ৩০ লক্ষ বাঙালিকে, নিজের দেশ থেকে হঠিয়ে দিয়েছে এক কোটি বাঙালিকে, মানুষ গুলো দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য একরকম বাধ্য করেছে। গ্রন্থকার নিজে এ যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী। ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার হিসাবে দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষায়ী মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি একদিকে যেমন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছেন প্রতিটা মুহূর্তে, তেমনি গভীরভাবে অনুভব করেছেন এ যুদ্ধের নৃশংসতা, ভয়াবহতা, সাধারণ মানুষের বেদনার্ত আহাজারি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এ গ্রন্থে। লেখক ১ নং চট্টগ্রাম সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় বইটিতে বর্ণিত বেশির ভাগ ঘটনা চট্টগ্রাম অঞ্চলের । একদিকে বলা যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংঘটিত মুক্তিসংগ্রামের একটি প্রামাণ্য দলিল এটি। এছাড়াও যুদ্ধকালীন আরো ১১টি সেক্টর সম্পর্কে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুদ্ধের বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। পরিশিষ্টতে রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন সামরিক অফিসার, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের তালিকা। ব্যক্তিগত মতামতঃ মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করবার জন্য অসাধারণ এক উপন্যাস। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব বিষয়ে পাঠককে অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন লেখক। পড়ার সময় মনে হবে, আমি সেই অবস্থাটা দেখতে পাচ্ছি। আমি দেখছি ভয়াবহ সেই দিনগুলোর প্রতিলিপি! দিনকে দিন শুকিয়ে যাওয়া বুলেটে রক্তের গ্রাণ! সব কিছু যেন একটু আগেই ঘটল। একটু আগেই যেন হয়েছে, বা হচ্ছে। এভাবেই একের পর এক কাহিনী বর্ণিত হয়েছে পুরো বই জুড়ে।বর্ণিত কাহিনী গুলো লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার প্রতিলিপি। তাই মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা বা সততা নিয়ে কোন সংসয় নেই। https://www.rokomari.com/book/3875/লক্ষ-প্রাণের-বিনিময়ে
Was this review helpful to you?
or
স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম রচিত লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গ্রন্থটি ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয়। তবে এর ইংরেজি সংস্করণ (A Tale of Millions) প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। বাংলা সংস্করণটি মূল ইংরেজি সংস্করণের বর্ধিত সংস্করণ। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা লেখক সন্নিবেশিত করেছেন, যা আগের ইংরেজি সংস্করণে ছিল না। এর আগে স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ প্রকাশিত হলেও সশস্ত্র যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এই গ্রন্থটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। এ গ্রন্থের আগে যুদ্ধসংক্রান্ত প্রকাশিত বেশির ভাগ গ্রন্থই স্মৃতিকথা হিসেবে লিখিত। আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে এটিই কোনো সেক্টর কমান্ডারের লিখিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রথম গ্রন্থ। বেশির ভাগ সেক্টর কমান্ডার যুদ্ধের বিবরণ গ্রন্থিত করেননি, যে দু-একজন করেছেন তাঁরা তা করেছেন অনেক পরে। বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখক ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন, ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গ্রন্থটির মূল অংশে সামরিক ও গেরিলা তৎপরতার বিবরণ এবং রাজনৈতিক অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।’ বইয়ের প্রথম প্রায় ৫০ পৃষ্ঠায় লেখক স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ বিশ্লেষণ করেছেন। এতে নতুন কোনো তথ্য না থাকলেও যুদ্ধের আবশ্যকতা প্রমাণ এবং পরবর্তী অধ্যায়গুলো বুঝতে সাহায্য করে। এরপর বাকি বইয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর উল্লেখ আছে। লেখক নিজে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব থেকে সংযুক্ত থাকা ও একটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন, তাই যুদ্ধের অনেক কিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন। যুদ্ধের নীতিনির্ধারণ ও সম্পাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে তাঁর বর্ণনাকে অনেকটাই বস্তুনিষ্ঠ মনে করা যায় এবং দলিল হিসেবে গ্রহণ করা যায়। তবে কোথাও কোথাও সহনশীল পর্যায়ের আমিত্বও নজরে পড়ে। যুদ্ধের নয় মাসে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে তিনি যেভাবে দেখেছেন, গ্রন্থে তার মূল্যায়ন আছে, যা মুক্তিযুদ্ধের গবেষকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। যেমন শরণার্থী শিবিরের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে খুব বেশি যোগ দেননি, ক্ষমতাসীন দল মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে, যা যুদ্ধের সফলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যুদ্ধের ময়দানে আদেশ-নির্দেশ অস্পষ্ট বা দ্বিধান্বিত হলে জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। অথচ কখনো কখনো বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দপ্তর এবং ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যকার আদেশ-নির্দেশ পরস্পরবিরোধী হতো। কিছু পরিশিষ্ট একান্তই ব্যক্তিগত, যা গ্রন্থের জন্য প্রয়োজনীয়তা মনে হয়নি এবং বইয়ের সঙ্গে খুব একটা সংশ্লিষ্টও মনে হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশীদার হওয়ার কারণে গ্রন্থটি শতভাগ নিরপেক্ষ হয়নি বা আত্মজীবনীর ছাপ লক্ষ করা যায় বলে লেখক নিজেই স্বীকার করেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে আমি গভীরভাবে সম্পৃক্ত ও একাত্ম থাকার কারণে ইতিহাস রচনার নৈর্ব্যক্তিক ভঙ্গিতে বইটি লেখা হয়ে ওঠেনি। তাই বইটির কোনো কোনো অংশে জীবনচরিত বা আত্মকথার ছোঁয়া অনুভূত হতে পারে।’ গ্রন্থটি প্রশংসনীয় উল্লেখ করার পর শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মেজর রফিকুল ইসলাম তাঁর স্মৃতিকথায় অন্য সব প্রসঙ্গ উত্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিলেও জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রে যে তিনি কাল ও প্রেক্ষিতের সুযোগ গ্রহণ করেছেন—এ কথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে।’ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতাযুদ্ধবিষয়ক একটি মৌলিক গ্রন্থ এবং ইতিহাসের ছাত্রের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
Rafiqul Islam (Bir Uttam), boiti likhe proman kore diechen je, Bangladesher muktijodhara khub bhalo lekhok chilen. Tini, jevabe biotite judher bornona diechen, pathok ta pore upokrito hoben.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। লেখকঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৬৩ প্রচ্ছদ শিল্পীঃ দেবদাস চক্রবর্তী। প্রকাশকঃ মনিরুল হক, অনন্যা। আমরা অনেকেই আছি যারা বিদেশী যুদ্ধের কাহিনী পড়তে বা চলচিত্রে দেখতে পছন্দ করি। অনেকে আবার নিজেকে সেই যুদ্ধের সাথে একাত্ম করে তুলি- নিজেকে কাহিনীর চরিত্রগুলোর একজন হিসেবে কল্পনা করে। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধও যে সেই চিত্রনাট্যের চেয়ে কোনও অংশে কম না সে কথা কি আমরা কি জানি? কত যে সাহসিকতা, আত্মত্যাগ, আর নাটকীয় পট পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তা আজও আমাদের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। তথাপি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কোনও কল্পকাহিনী নয়, বরং চিরন্তন সত্য ও বাস্তব। মুক্তিযুদ্ধের এই স্বরূপ তুলে ধরার জন্যই ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ বইটি রচিত। গ্রন্থকার রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সেনা বাহিনীর অফিসারদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাত ০৮:৪০ মিনিটে তাঁর অধীনস্থ ইপিআর সৈন্যদের নিয়ে চট্টগ্রামে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এবং তিনি তা করেছিলেন তাঁর সিনিয়র বাঙালি অফিসারদের কোনও রকম নির্দেশ ও সহযোগিতা ছাড়াই। তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপের কারণেই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চট্টগ্রাম শহর কিছুদিন পাক হানাদারদের দখলমুক্ত ছিল। এছাড়াও তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথমে কিছুদিন ১ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার এবং পরে ১ নং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এবং যারা সশরীরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তাদের কাছে সম্মুখ সমরের ঘটনাবলী তুলে ধরার জন্য তাঁর মত একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার গুরুত্ব অনেক। বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে বিদ্রোহ করার মত প্রশিক্ষিত জনবল এবং সমরাস্ত্র- কোনটিই বাঙালির পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল না। এর প্রভাবও পড়েছে মুক্তিযুদ্ধের উপরে। এছাড়াও রাজনৈতিক ও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে কোনরূপ পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই যুদ্ধ শুরু হয়। এসকল ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের জন্য একদমই অনুকূল ছিল না। একটা উদাহরন দেওয়া যাক। পশ্চিমাদের এদেশে প্রবেশের একমাত্র পথ হওয়ায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। লেখক নিজে যখন চট্টগ্রামে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং শহরের দখল নেন, তখন তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথাযথ মহলের সহযোগিতার অভাব বোধ করেন এবং একসময় শহরের দখল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কিছু ক্ষেত্রে আবার গুটিকয়েক বাঙালির স্বার্থান্বেষী মনোভাবের জন্য অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরি হয় যা মুক্তিযুদ্ধে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এভাবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ এবং যুদ্ধের নৃশংসতা ও ভয়াবহতা অনুভবের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে এ বইটিতে। লেখক নিজে ১ নং সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় বইটিতে বর্ণিত বেশির ভাগ ঘটনাবলীই চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। বলা যায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংঘটিত মুক্তিসংগ্রামের একটি প্রামাণ্য দলিল এই গ্রন্থটি। অবশ্য যুদ্ধকালীন ১১তি সেক্টর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুদ্ধের বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে এতে। মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাসের বিভ্রান্তি দূর করা এবং কিছু অপ্রিয় সত্য ঘটনা সকলের কাছে তুলে ধরার নিমিত্তে একজন অগ্রনী বীর সেনানীর এই প্রয়াস সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে বলেই আমার বিশ্বাস। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী লক্ষ লক্ষ শহীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যেই বইটির নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত ‘A Tale of Millions’ বইটির বাংলা সংস্করণ ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’। অসাধারণ, প্রাঞ্জলতা পরিপূর্ণ একটি গ্রন্থিত দলিল হিসেবে বইটি মূল্যায়নযোগ্য।