User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By mam****com

      09 Feb 2025 05:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ভালো মানের একটা কাব্যগ্রন্থ।

      By 880****451

      10 Jan 2025 08:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই এটি ? অনেক ভালো লেগেছে বইটি ??

      By MD Rashedul Haque

      23 Dec 2024 10:55 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      So elegant ?

      By MD. Shihab uddin sakib

      16 Dec 2024 12:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      i'm wonder that i've got two books within one day from Redx delivery. It’s really surprise that i didn’t accepte,overall books condition are very well.Thanks again to rokomari.com & delivery man

      By Masum Zulkar Nyne

      14 Dec 2024 11:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আল্লাহ কবিকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। তাঁর মৃত্যুতে বুকটা ভারী হয়ে উঠেছে। টিভি চ্যানেলে ওনাকে নিয়ে যখনই কোন নিউজ দেখি খুব কষ্ট হয়। সকল কষ্টকে বুকে ধারণ করে কবি পরোপারে চলে গেলে। ৩ বছর বয়সে মাকে হারিয়েছেন। বেদনার নীল যেন তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

      By Dipto Hossain

      14 Dec 2024 04:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা বই। কবিতা গুলো সত্যি মুগ্ধ করে।

      By Dutta Rikkha

      13 Dec 2024 09:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অগ্রহায়ণের শেষবেলায় পৌষের শুরুর আগে; আজ শুক্রবার কবি চলে গেলেন না ফেরার দেশে, হিমশীতল অজানায় একাকী নীরবে। বিদায় কবি।।।

      By Nure Alam Siddiki Shanto

      06 Oct 2024 05:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হৃদয়ে দ্রোহ সঞ্চারী অসাধারণ কাব্যগ্রন্থ। চিরকাল বাংলার বুকে গেঁথে থাকবে যে জলে আগুন জ্বলে কাব্যের শব্দমালা।

      By saim hossan

      04 Oct 2024 10:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা খুব একটা কাজে লাগার মতো না।Loss project

      By Md. Nazmul Islam

      01 Apr 2023 04:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice...

      By Kazi Muhammad Joynal Abedin

      03 Nov 2022 10:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কী অসাধারণ লেখনী ??

      By Md. Tahmidul Islam

      31 May 2022 09:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent book

      By Md. Nahid Mahmud

      14 May 2022 06:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি অসাধারণ ছিলো। প্রত্যেকটি কবিতা মন ছুয়ে গেছে। কবিতা প্রেমীদের জন্য এই বইটি যথাযথ।

      By Istiyak Amin

      29 Apr 2022 11:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন

    • Was this review helpful to you?

      or

      GREAT book

      By Mazharul Islam Sojib

      16 Apr 2022 04:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Milon Chandra Sarker

      10 Apr 2022 12:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      khub valo

      By Salman Mahin

      10 Apr 2022 12:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আলহামদুলিল্লাহ

      By Mosaddek Billah

      29 Mar 2022 01:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেরা কবিতার বই

      By Md Asaduzzaman

      25 Mar 2022 12:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কবিতা প্রেমিদের জন্য এই বইটি অনেকটা আনন্দের খোরাক হবে আশা করছি।

      By Shawon Ahmed

      26 Feb 2022 10:32 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই ভালো। চমৎকার সব কবিতা। নতুন করে ভাবতে শিখায়

      By R.H. Protik

      17 Feb 2022 10:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent

      By SAD VERSION

      16 Feb 2022 12:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent

      By Zobayer hasan

      24 Nov 2021 07:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      darun

      By Al Walid

      04 Nov 2021 10:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Noyon Hosen

      18 Oct 2021 11:46 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Book was good but Delivery man not good

      By Mohammad Sohel Shomik

      21 Feb 2022 09:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এককথায় কালজয়ী।

      By MD. Nahid Khan

      02 Sep 2021 03:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Muhammad Shehab Mirza

      15 May 2021 07:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Awesone

      By Arafat Samir Abir

      25 Apr 2021 04:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      কালজয়ী!

      By Md. Moktarul Islam Bappy

      09 Mar 2021 11:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লেগেছে ....

      By Md.Riaz Morshed

      02 Mar 2021 07:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ ডেলিভারি।

      By Nakib Ali

      01 Mar 2021 11:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই ভালো ছিলো সবকিছু,ধন্যবাদ রকমারি

      By সুমন

      11 Feb 2021 12:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      best

      By Alfee

      06 Feb 2021 08:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কবি নিজেই কোনদিন মিছিলে যাননি। আবার লিখেছে এখন যার যৌবন মিছিলে যাবার তার সময়??

      By MD. Muazzem Akondo Mishuk

      24 Dec 2020 09:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Best

      By Mohammad Angkon

      16 Nov 2020 03:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      valo

      By Afzal Shueb

      31 Aug 2020 06:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সব কয়টি কবিতাই অনন্য সুন্দর।

      By Mohammad Rana Khan

      07 Aug 2020 09:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নিউটন বোমা বোঝে মানুষ বোঝে না। যাস্ট অসাধারন।

      By Shahir Khan

      28 Jun 2020 04:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলা সাহিত্যে কেবল একটি বই লিখে এমন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা তিনি পেয়েছেন এমনি এমনিই না। মানুষকে তিনি ছুঁতে পেরেছেন, ছঁতে পেরেছেন তাদের আবেগকে ঐ মাত্র ৫৬ টি কবিতা দিয়ে। কবির উপর আমার অনেক অভিমান। প্রিয় কবি যখন ৩৪ বছর পর তার দ্বিতীয় বই প্রকাশ করেন তখন রাগ না হয়ে পারে। "বেদনা কে বলেছি কেঁদো না " তার দ্বিতীয় বই। তবু প্রথমটি অমর, অদ্বিতীয়। অন্য অনেক কবি লিখে গেছেন বইয়ের পর বই, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা, পাঠক কে ছুঁতে পারেননি। অথচ হাফিয সাহেব এই বইয়ের দুই মলাটে বেধে ফেলেছেন আমাদের অনুভূতি, যত আবেগ!

      By Marjana Badhon

      25 May 2020 10:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ৫৬ টি অনতিবৃহৎ কবিতা নিয়ে সাজানো হেলাল হাফিজের প্রথম প্রকাশিত বই “যে জলে আগুন জ্বলে”।প্রেম ও দ্রোহের এই কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে ১৯৭১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত লেখা কবিতা। যুদ্ধ,নারী,প্রেম,হতাশা,সুখ-দুঃখ এবং সভ্যতার উপাদানে প্রতিটি কবিতা হয়ে উঠেছে সহজ অথচ ধারালো সৃষ্টি।‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতায় “এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়” এই পঙক্তির মাধ্যমে কবি তরুণদের প্রতি মিছিলে যাবার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।‘অগ্ন্যুৎসব’, ‘অস্ত্র সমর্পণ’, ‘ইদানীং জীবন যাপন’, ‘একটি পতাকা পেলে’, ‘ঘরোয়া রাজনীতি’ কবিতায় উঠে এসেছে সমাজ, দেশ ও রাজনীতি নিয়ে গভীর অনুভূতি, দেশপ্রেমের প্রকৃত স্বরূপ।স্বদেশপ্রেমের সমান্তরালে এ বইয়ের কবিতাতে উঠে এসেছে নারীর প্রতি বন্দনা।প্রিয়তমার সতীন হিসেবে স্বাধীনতাকামী স্বদেশকে কবি কল্পনা করেছেন যেমন, তেমনি নারীকে একইভাবে বর্ণনা করেছেন প্রেমের প্রতিমা, প্রণয়ের তীর্থ হিসেবে। দুঃখবিলাসী কবি ‘দুঃখের আরেক নাম’ কবিতায় লিখেছেন “দুঃখের আরেক নাম হেলাল হাফিজ”।“পৃথিবীর তিনভাগ সমান দুচোখ যার/তাকে কেন একমাস শ্রাবণ দেখালে” ‘তীর্থ’ কবিতার এই চরণের মাধ্যমে সুতীব্রভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দহনের সৌন্দর্য।“কোনো প্রাপ্তিই পূর্ণ প্রাপ্তিই নয়” এর মতন পঙক্তি খুব সাবলীলভাবে প্রকাশ করে মানবের চিরায়ত মনস্তত্ত্ব।‘কোমল কংক্রিট’, ‘ক্যাকটাস’, ‘নিখুঁত ট্রাজেডী’, ‘ভূমিহীন কৃষকের গান’, ‘উপসংহার’ নাম্নী এই বইয়ের কবিতাগুলো আধুনিক কাব্যধারার যোগ্য প্রতিনিধি।‘সম্প্রদান’, ‘হিরণবালা’, ‘তুমি ডাক দিলে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘পৃথক পাহাড়’, ‘প্রস্থান’ কবিতায় মানসীর প্রতি কবি তার প্রেমের সাক্ষর রেখেছেন শব্দের পর শব্দ বুনে।এই বইতে “হেলেন” নামের এক তরুণীকে পাঠক পেয়েছে রহস্যে মোড়া এক মানবী হিসেবে, কবির চিত্রপটে যাকে নিয়ে কবি খেলতে চেয়েছেন আগুনের হোলি খেলা।বিচ্ছেদের সাথে সন্ধি করা মানুষ এই বইটিতে নিজের অনুভূতিকে খুঁজে পাবে “ ভালবাসা যাকে খায়,এইভাবে সবটুকু খায়” এর মত অসংখ্য লাইন। সভ্যতার বিধ্বংসী রূপকে হেলাল হাফিজ এঁকে ফেলছেন মাত্র ছয় শব্দে।“নিউট্রন বোমা বোঝ/মানুষ বোঝ না” এর মত আরও অসাধারণ কিছু লাইন এই বইয়ে পাঠকের অনুভূতিকে কম্পিত করবে সহজেই।নিজের কাব্য প্রতিভা আর আবেগের বিশুদ্ধতম পরিস্ফুটন থেকে উৎসারিত এই কবিতাগুলোতে পাঠক কে কবি কতখানি দিয়েছেন তা হেলাল হাফিজের লেখা দুটি লাইন দিয়ে বলে এইরকম অসাধারণ একটি বইয়ের রিভিউ লেখার ইতি টানব- “আমি আর কতটুকু পারি? এর বেশি পারেনি মানুষ”। পৃথিবী বইয়ের হোক,বই পাঠকের হোক।

      By Dipankar Mallick

      04 Feb 2020 02:18 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় এতো সুন্দর বই বলা যাবে না

      By Nadim Nazmul

      18 Jan 2020 02:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ ভালো একটি বই। এ জন্যই হয়তো হেলাল হাফিজ আর কোনো গ্রন্থ বের করেনি,এটির মতো জনপ্রিয় হবে না ভেবে। এ বইটিতে কবি তার ভালোবাসার মানুষ হেলেন কে নিয়েও লিখেছেন আবার অন্যান্য বিষয় নিয়েও লিখেছেন। কবি কিছু শব্দ ব্যাবহার করেছেন যা এ যুগের পাঠকরা হুট করে অর্থ বুঝে উঠতে পারবেনা,আমিও যেমনটি প্রথমে বুঝিনি। এই হৃদয়স্পর্শী বইয়ের জন্য হেলাল হাফিজকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ রকমারিকেও কারন বইটি সাধারণ পাঠাগারে নেই। হেলাল হাফিজ আমার পছন্দের লেখকের একজন আর উনার লেখা আমার প্রিয় বই এটি, যে জ্বলে আগুন জলে। আসলে কোন জলে আগুন জ্বলে? চোখের জলে? নাকি? যে জলেই জলুক না জলুক মানুষের মনে প্রতিনিয়তই জ্বলে। তা এ বইটিতে ও ফুটে উঠেছে। ফুটে উঠেছে ভালোবাসা,বিষ্ময়!

      By Fazal Mahmud Hassan

      11 Jan 2020 08:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      I have read other books of this author before. I found all of them to be very much meaningful. This book was not different in this case. All poems compiled in this book are enriched with meaningful thoughts. The portrayal of which have been done very beautifully

      By Farhan Mahin

      25 Dec 2019 09:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কবি হেলাল হাফিজ এর প্রথম কবিতার বই "যে জলে আগুন জ্বলে" এই বইটি বলে দেয় কতটা শক্তিশালী তার লেখা। প্রতিটা কবিতাই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। "নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়" তার কালজয়ী কবিতা। আর আমার প্রিয় "অশ্লীল সভ্যতা" নামক মাত্র দুই লাইনের কবিতা। প্রেম বিরহ আর আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি এই বইটি।

      By Adnan

      25 Nov 2019 03:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলা কবিতার প্রাণ পুরুষ হেলাল হাফিজ , সেই উত্তাল সময়ের এইসব নির্ভয় স্বতস্ফূর্ত উচ্চারন ' এখন যৌবন যার মিছিলে যাওয়ার শ্রেষ্ট সময় তার ' বাঙালীর মুখে আজো অক্ষয়, মিছিলের শ্লোক এর মতন এই উচ্চারণ দশকে দশকে প্রতিবাদী মানুষকে জুগিয়েছে বাড়তী প্রেরণা প্রেমের কবি হিসেবেও তিনি বাংলা কবিতায় চির অমর থেকে যাবেন

      By Sultan

      01 Nov 2019 10:54 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      "যৌবনে এই তৃষ্ণাকাতর লকলকে জিভ এক নিশীথে কুসুম গরম তোমার মুখে কিছু সময় ছিল বলেই সভ্য হলো মোহান্ধ মন এবং জীবন মুক্তি পেলো।" প্রথম যৌবনে প্রত্যেক ছেলেমেয়েই প্রেমে পড়ে। আসলে, পড়া উচিত। অল্পবয়সের সেই প্রেম বেশিরভাগ সময়ই দীর্ঘস্থায়ী হয় না, ভেঙে যায় কিছু মাস বা কিছু বছরের মধ্যেই। একসময় যে প্রেম হৃদয়ে চিরসবুজ বৃক্ষের সুশীতল ছায়া হয়ে মায়ার আবেশ ছড়িয়ে দিতো, সেই প্রেমই একটু একটু করে ছিঁড়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের অণু-পরমাণু অবধি। অপূর্ণ ভালোবাসারা হৃদয় পোড়ায় খুব করে, পুড়িয়ে খাক করে দেয় হৃদয়ের অলি-গলি-তস্যগলি পর্যন্ত। অথচ এই ক্ষণস্থায়ী প্রেমের আনন্দ-বেদনার রেশ হৃদয়ের অন্তঃপুরে থেকে যায় একটা মানবজনম থেকে আরেকটা মানবজনমে। কবি-সাহিত্যিকদের প্রেম আবার খানিকটা আলাদা। কোনো এক বিচিত্র কারণে এই শ্রেণির মানুষ প্রেমে পড়েন বারবার। একের পর এক প্রেম তাদের হৃদয়রাজ্য দখল করে নেয় প্রবল বিক্রমে। শক্ত কোনো প্রেমের অবলম্বন শুরু থেকেই আঁকড়ে ধরতে না পারলে, তাদের পুরো জীবনটাই কেটে যায় নষ্ট প্রেমের কষ্ট বইতে বইতে। প্রেমে পড়েছিলেন হেলাল হাফিজও। বাংলাদেশের কবিতার রাজ্যে এক অঘোষিত সম্রাট। মাত্র একটি কবিতার বই দিয়ে বাংলা ভাষাভাষী কবিতাপ্রেমীদের হৃদয় দখল করে নেয়ার কৃতিত্ব হেলাল হাফিজের। 'যে জলে আগুন জ্বলে' সেই অমর কাব্যগ্রন্থ। মাত্র ৫৬টি কবিতা দিয়ে যুগের পর যুগ পাঠকদের কবিতার তৃষ্ণা আরো বাড়িয়ে দেয়া কবি হেলাল হাফিজ। উনসত্তরের উত্তাল সময়। কবি লিখলেন তার 'নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়' কবিতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে চিকামারা হয়েছিলো তার অমর দুটো চরণ, "এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।" পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কবি। তার নিজের ভাষায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পরেই জনপ্রিয়তায় ছিল তার অবস্থান। অনেক শিক্ষককেই হয়তো ছাত্ররা চিনতো না, তবে হেলাল হাফিজ তাদের কাছে ছিল অতি পরিচিত একটি নাম। হেলাল হাফিজের সারা জীবনের অমর সৃষ্টি হলো ‘যে জলে আগুন জ্বলে‘। সতেরো বছর কবিতার লেখার পর ১৯৮৬ সালে এই বইটি তিনি প্রকাশ করেন। বইয়ের প্রায় সবগুলো কবিতাই তিনি লিখেছেন ঢাকা প্রেস ক্লাব লাইব্রেরিতে বসে। লেখার ব্যাপারে তিনি খুবই খুঁতখুঁতে। প্রায় তিনশ’ কবিতা থেকে মাত্র ৫৬টি কবিতা তিনি বাছাই করেন ‘যে জলে আগুন জ্বলে’র জন্য। কবিতাগুলো বাছাই করতেই তিনি সময় নেন ছয় মাস। এই বইটির প্রায় একত্রিশটি সংস্করণ বের হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তুমুল জনপ্রিয় এই কবিতাগুলো মুখে মুখে ফেরে কবিতাপ্রেমীদের। হেলাল হাফিজের কবিতায় প্রেমিকার কথা এসেছে বারবার। কখনো হেলেন, কখনো হিরণবালা, কখনো সাবিতা মিস্ট্রেস হয়ে প্রেমিকারা ধরা দিয়েছে তার কবিতায়। কবি তার 'উৎসর্গ' কবিতায় উৎসর্গ করে গেছেন তাই এভাবে, "আমার কবিতা আমি দিয়ে যাবো আপনাকে, তোমাকে ও তোকে।" প্রেমের পাশাপাশি কষ্টও তার কবিতাকে বেঁধে রেখেছে পরম মমতায়। 'ফেরিওয়ালা' কবিতায় লিখে গেছেন, "কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন আমার মত ক'জনের আর সব হয়েছে নষ্ট, আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট।" কখনোবা ভালোবাসার তীব্র দোটানার মধ্যে ভুগেছেন কবি। সীমাহীন অস্থিরতা গ্রাস করেছে তার কবি সত্তাকে। কবি লিখেছেন তার সেই বিখ্যাত দুই লাইন, "নিউট্রন বোমা বোঝো, মানুষ বোঝো না!" 'যাতায়াত' কবিতায় অস্থির কবি লিখেছেন, "কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো। কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না রাত কাটে তো ভোর দেখি না কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানেনা।" কবি যখন দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত, নিজেকে হারিয়ে যখন তিনি দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়ান পাপ-পঙ্কিলতার পথে; তার 'দুঃখের আরেক নাম' কবিতার ভাষায়, নারীই তখন তার উদ্ধারের পথ। "আমাকে স্পর্শ করো, নিবিড় স্পর্শ করো নারী। অলৌকিক কিছু নয়, নিতান্তই মানবিক যাদুর মালিক তুমি তোমার স্পর্শেই আমার উদ্ধার।" নারীর স্পর্শে তার সৃষ্টিশীলতার চূড়ান্ত উৎকর্ষের সাক্ষ্যও তিনি দিয়ে গেছেন। "আঙুল দিয়ে তোমার আঙুল ছুঁয়েছিলাম বলেই আমার আঙুলে আজ সুর এসেছে, নারী-খেলার অভিজ্ঞতার প্রথম এবং পবিত্র ঋণ তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখে সত্যি কি আর শোধ হয়েছে?" তাই বলে তিনি যে কেবল সাধারণ প্রেম করে যাবার বন্দনা করে গেছেন, তা নয়। তাই তো তিনি লিখেছেন, “মানব জন্মের নামে হবে কলঙ্ক হবে এরকম দুঃসময়ে আমি যদি মিছিলে না যাই, উত্তর পুরুষে ভীরু কাপুরুষের উপমা হবো আমার যৌবন দিয়ে এমন দুর্দিনে আজ শুধু যদি নারীকে সাজাই।" কখনো বা দারুণ বিরহে কবি গেয়েছেন অভিমানী গান। "আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতটাই বা কষ্ট দেবে!" বস্তুত, তার ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটির কবিতাগুলো যেন একেকটি প্রেম আর দ্রোহের খনি। ভাষার এমন সুন্দর ব্যবহার, শব্দের এমন চমৎকার চয়ন, বিমোহিত করে তাবৎ কাব্যপ্রেমীদের। বইটির প্রতিটি কবিতার চরণে চরণে কখনো প্রকাশ পেয়েছে মমতা কিংবা ভালোবাসা, কখনো বা হাহাকার, কখনো আবার লাঞ্চনা-বেদনার অনন্য কথকতা। কবিতার প্রতিটি পর্বে তিনি করেছেন কষ্টের চাষাবাদ, বিনিময়ে কবিতাগুলোর প্রত্যেক অক্ষর হয়ে উঠেছে অনিমেষ নয়নের অনিরুদ্ধ দুঃখবিলাসের প্রতিচ্ছবি। কবির গভীর জীবনবোধ যেন সংবেদনশীল মনের স্পর্শে বদলে গেছে মর্মস্পর্শী সব ছন্দে, মাত্রায় মাত্রায় ফুটে উঠেছে অপার্থিব সব অনুভূতি - যেগুলো এক হয়ে জন্ম দিয়েছে কালজয়ী একেকটি কবিতা। বিদ্রোহ আর প্রেমকে তিনি মিলিত করেছেন এক বিন্দুতে, বিরহ আর অপূর্ণতাকে দিয়েছেন অতলস্পর্শী আবেশ। হৃদয়ের অব্যক্ত সকল অনুভূতির এক কাব্যিক মিলনস্থল এই বইটি। আর তাইতো 'দুঃখের আরেক নাম হেলাল হাফিজ।' আপনি যদি কবিতাপ্রেমী হয়ে না থাকেন, তবু বইটি পড়ুন। বইটির কবিতাগুলো আপনার বুকে তৃষ্ণার ভয়াবহ আগুন জ্বালবে, চোখের জলে এঁকে দেবে শুভ্রতা-স্বচ্ছতার অগ্নিশিখা। আচ্ছা, অগ্নিশিখা কি শুভ্র-স্বচ্ছ হয়? সবার হয় না, কারো কারো হয়। যাদের হয়, তাদের বুকের আগুন জলরাশি হয়ে ঝরে পড়ে চোখের কোণা বেয়ে। জলের আগুনে ভিজে ভিজে অদ্ভুতভাবে পুড়তে থাকে হৃদয়, মনকে গ্রাস করে জলের আগুন, কিংবা আগুনের জল - যে জলে আগুন জ্বলে!

      By Abubakar

      12 Sep 2019 01:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হেলাল হাফিজ বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি ৭ অক্টোবর ১৯৪৮নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন , ১৯৮৬ সালে তাঁর কবিতা সংকলন যে জলে আগুন জ্বলে প্রকাশিত হওয়ার পর অসংখ্য সংস্করণ হয়েছে। তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’;- এ কবিতার দুটি পংক্তি ‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’’ বাংলাদেশের কবিতামোদী ও সাধারণ পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে থাকে। এ দুটি লাইন শোনেনি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে চিকামারা হয়েছে কবিতার এ দুটি লাইন। এই কবিতা দিয়েই বাংলা সাহিত্যে হয়েছেন অমর। নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। তার ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটির কবিতাগুলো যেন একেকটি প্রেম আর দ্রোহের খনি। ভাষার এমন সুন্দর ব্যবহার, শব্দের এমন চমৎকার চয়ন, বিমোহিত করে তাবৎ কাব্যপ্রেমীকে।

      By Tazrian Alam Ayaz

      29 Jul 2019 06:26 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই "যৌবনে এই তৃষ্ণাকাতর লকলকে জিভ এক নিশীথে কুসুম গরম তোমার মুখে কিছু সময় ছিল বলেই সভ্য হলো মোহান্ধ মন এবং জীবন মুক্তি পেলো।" প্রথম যৌবনে প্রত্যেক ছেলেমেয়েই প্রেমে পড়ে। আসলে, পড়া উচিত। অনেকের ক্ষেত্রেই অল্পবয়সের সেই প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয় না, ভেঙে যায় কিছু মাস বা কিছু বছরের মধ্যেই। একসময় যে প্রেম হৃদয়ে চিরসবুজ বৃক্ষের সুশীতল ছায়া হয়ে মায়ার আবেশ ছড়িয়ে দিতো, সেই প্রেমই একটু একটু করে ছিঁড়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের অণু-পরমাণু অবধি। অপূর্ণ ভালোবাসারা হৃদয় পোড়ায় খুব করে, পুড়িয়ে খাক করে দেয় হৃদয়ের অলি-গলি-তস্যগলি পর্যন্ত। অথচ এই ক্ষণস্থায়ী প্রেমের আনন্দ-বেদনার রেশ হৃদয়ের অন্তঃপুরে থেকে যায় একটা মানবজনম থেকে আরেকটা মানবজনমে। কবি-সাহিত্যিকদের প্রেম আবার খানিকটা আলাদা। কোনো এক বিচিত্র কারণে এই শ্রেণির মানুষ প্রেমে পড়েন বারবার। একের পর এক প্রেম তাদের হৃদয়রাজ্য দখল করে নেয় প্রবল বিক্রমে। শক্ত কোনো প্রেমের অবলম্বন শুরু থেকেই আঁকড়ে ধরতে না পারলে, তাদের পুরো জীবনটাই কেটে যায় নষ্ট প্রেমের কষ্ট বইতে বইতে। প্রেমে পড়েছিলেন হেলাল হাফিজও। বাংলাদেশের কবিতার রাজ্যে এক অঘোষিত সম্রাট। মাত্র একটি কবিতার বই দিয়ে বাংলা ভাষাভাষী কবিতাপ্রেমীদের হৃদয় দখল করে নেয়ার কৃতিত্ব হেলাল হাফিজের। 'যে জলে আগুন জ্বলে' সেই অমর কাব্যগ্রন্থ। মাত্র ৫৬টি কবিতা দিয়ে যুগের পর যুগ পাঠকদের কবিতার তৃষ্ণা আরো বাড়িয়ে দেয়া কবি হেলাল হাফিজ। উনসত্তরের উত্তাল সময়। কবি লিখলেন তার 'নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়' কবিতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে চিকামারা হয়েছিলো তার অমর দুটো চরণ, "এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।" পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কবি। তার নিজের ভাষায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পরেই জনপ্রিয়তায় ছিল তার অবস্থান। অনেক শিক্ষককেই হয়তো ছাত্ররা চিনতো না, তবে হেলাল হাফিজ তাদের কাছে ছিল অতি পরিচিত একটি নাম। হেলাল হাফিজের সারা জীবনের অমর সৃষ্টি হলো ‘যে জলে আগুন জ্বলে‘। সতেরো বছর কবিতার লেখার পর ১৯৮৬ সালে এই বইটি তিনি প্রকাশ করেন। বইয়ের প্রায় সবগুলো কবিতাই তিনি লিখেছেন ঢাকা প্রেস ক্লাব লাইব্রেরিতে বসে। লেখার ব্যাপারে তিনি খুবই খুঁতখুঁতে। প্রায় তিনশ’ কবিতা থেকে মাত্র ৫৬টি কবিতা তিনি বাছাই করেন ‘যে জলে আগুন জ্বলে’র জন্য। কবিতাগুলো বাছাই করতেই তিনি সময় নেন ছয় মাস। এই বইটির প্রায় একত্রিশটি সংস্করণ বের হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তুমুল জনপ্রিয় এই কবিতাগুলো মুখে মুখে ফেরে কবিতাপ্রেমীদের। হেলাল হাফিজের কবিতায় প্রেমিকার কথা এসেছে বারবার। কখনো হেলেন, কখনো হিরণবালা, কখনো সাবিতা মিস্ট্রেস হয়ে প্রেমিকারা ধরা দিয়েছে তার কবিতায়। কবি তার 'উৎসর্গ' কবিতায় উৎসর্গ করে গেছেন তাই এভাবে, "আমার কবিতা আমি দিয়ে যাবো আপনাকে, তোমাকে ও তোকে।" প্রেমের পাশাপাশি কষ্টও তার কবিতাকে বেঁধে রেখেছে পরম মমতায়। 'ফেরিওয়ালা' কবিতায় লিখে গেছেন, "কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন আমার মত ক'জনের আর সব হয়েছে নষ্ট, আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট।" কখনোবা ভালোবাসার তীব্র দোটানার মধ্যে ভুগেছেন কবি। সীমাহীন অস্থিরতা গ্রাস করেছে তার কবি সত্তাকে। কবি লিখেছেন তার সেই বিখ্যাত দুই লাইন, "নিউট্রন বোমা বোঝো, মানুষ বোঝো না!" 'যাতায়াত' কবিতায় অস্থির কবি লিখেছেন, "কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো। কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না রাত কাটে তো ভোর দেখি না কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানেনা।" কবি যখন দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত, নিজেকে হারিয়ে যখন তিনি দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়ান পাপ-পঙ্কিলতার পথে; তার 'দুঃখের আরেক নাম' কবিতার ভাষায়, নারীই তখন তার উদ্ধারের পথ। "আমাকে স্পর্শ করো, নিবিড় স্পর্শ করো নারী। অলৌকিক কিছু নয়, নিতান্তই মানবিক যাদুর মালিক তুমি তোমার স্পর্শেই আমার উদ্ধার।" নারীর স্পর্শে তার সৃষ্টিশীলতার চূড়ান্ত উৎকর্ষের সাক্ষ্যও তিনি দিয়ে গেছেন। "আঙুল দিয়ে তোমার আঙুল ছুঁয়েছিলাম বলেই আমার আঙুলে আজ সুর এসেছে, নারী-খেলার অভিজ্ঞতার প্রথম এবং পবিত্র ঋণ তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখে সত্যি কি আর শোধ হয়েছে?" তাই বলে তিনি যে কেবল সাধারণ প্রেম করে যাবার বন্দনা করে গেছেন, তা নয়। তাই তো তিনি লিখেছেন, “মানব জন্মের নামে হবে কলঙ্ক হবে এরকম দুঃসময়ে আমি যদি মিছিলে না যাই, উত্তর পুরুষে ভীরু কাপুরুষের উপমা হবো আমার যৌবন দিয়ে এমন দুর্দিনে আজ শুধু যদি নারীকে সাজাই।" কখনো বা দারুণ বিরহে কবি গেয়েছেন অভিমানী গান। "আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতটাই বা কষ্ট দেবে!" বস্তুত, তার ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটির কবিতাগুলো যেন একেকটি প্রেম আর দ্রোহের খনি। ভাষার এমন সুন্দর ব্যবহার, শব্দের এমন চমৎকার চয়ন, বিমোহিত করে তাবৎ কাব্যপ্রেমীদের। বইটির প্রতিটি কবিতার চরণে চরণে কখনো প্রকাশ পেয়েছে মমতা কিংবা ভালোবাসা, কখনো বা হাহাকার, কখনো আবার লাঞ্চনা-বেদনার অনন্য কথকতা। কবিতার প্রতিটি পর্বে তিনি করেছেন কষ্টের চাষাবাদ, বিনিময়ে কবিতাগুলোর প্রত্যেক অক্ষর হয়ে উঠেছে অনিমেষ নয়নের অনিরুদ্ধ দুঃখবিলাসের প্রতিচ্ছবি। কবির গভীর জীবনবোধ যেন সংবেদনশীল মনের স্পর্শে বদলে গেছে মর্মস্পর্শী সব ছন্দে, মাত্রায় মাত্রায় ফুটে উঠেছে অপার্থিব সব অনুভূতি - যেগুলো এক হয়ে জন্ম দিয়েছে কালজয়ী একেকটি কবিতা। বিদ্রোহ আর প্রেমকে তিনি মিলিত করেছেন এক বিন্দুতে, বিরহ আর অপূর্ণতাকে দিয়েছেন অতলস্পর্শী আবেশ। হৃদয়ের অব্যক্ত সকল অনুভূতির এক কাব্যিক মিলনস্থল এই বইটি। আর তাইতো 'দুঃখের আরেক নাম হেলাল হাফিজ।' আপনি যদি কবিতাপ্রেমী হয়ে না থাকেন, তবু বইটি পড়ুন। বইটির কবিতাগুলো আপনার বুকে তৃষ্ণার ভয়াবহ আগুন জ্বালবে, চোখের জলে এঁকে দেবে শুভ্রতা-স্বচ্ছতার অগ্নিশিখা। আচ্ছা, অগ্নিশিখা কি শুভ্র-স্বচ্ছ হয়? সবার হয় না, কারো কারো হয়। যাদের হয়, তাদের বুকের আগুন জলরাশি হয়ে ঝরে পড়ে চোখের কোণা বেয়ে। জলের আগুনে ভিজে ভিজে অদ্ভুতভাবে পুড়তে থাকে হৃদয়, মনকে গ্রাস করে জলের আগুন, কিংবা আগুনের জল - যে জলে আগুন জ্বলে! বই: যে জলে আগুন জ্বলে লেখা: হেলাল হাফিজ প্রকাশনা: দিব্যপ্রকাশ মলাটমূল্য: ১২০ টাকা রেটিং: ১০/১০

      By Al Mamun Sany

      10 Feb 2019 02:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      tnx for delivery in time

      By Tasnim Rime

      29 Dec 2018 03:34 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই: যে জলে অাগুন জ্বলে জনরা: কবিতা লেখক: হেলাল হাফিজ প্রকাশনী: দিব্যপ্রকাশ প্রকাশ কাল: দ্বাবিংশ মুদ্রণ, অক্টোবর ২০১৩ পৃষ্ঠা: ৬৪ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ মুদ্রিত মূল্য: ১০০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: কবিতার বই সম্পর্কে অাসলে বলে বোঝানো যায় না বা এর কোন সারাংশ হয় না। কবিতার পুরোটাই নিজের উপলব্ধির ব্যাপার যা নিজে ধারণ বা লালন করে মানুষ, মনের গহীন কোনে। কখনো ক্লান্ত মন অাবার কখনো তীব্র প্রতিবাদের অনুভুতির নামই কবিতা। হেলাল হাফিজ তার যে জলে অাগুন জ্বলে কাব্যগ্রন্থে একদিকে যেমন রাজনৈতিক জীবনের চিত্র এঁকেছেন তেমনি তুলে ধরেছেন পরিশুদ্ধ প্রেমের কাহিনী। কবি অাকুল হয়ে কখনো ফিরে পেতে চেয়েছেন প্রেমিকের ভালোবাসা, অাবার অপেক্ষায় প্রহরগোনা প্রেমিকার প্রতি ছিল তার তীব্র নিষেধাজ্ঞা। মনের সুপ্ত কোনে রাণীর জন্য সম্রাজ্য স্থাপন করে, তার সুন্দর বর্ণনা তিনি কবিতায় ফুটিয়ে তোলেন। দীর্ঘ প্রতিক্ষায় থাকা প্রেমিকের কাছে চিঠির জন্য তার অাকুলতার কবিতা 'প্রস্থান' যেখানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রতিদিনকার খুঁটিনাটি জানতে চায় কবি। অবশেষে যদি কিছুই সম্ভব না হয় তবে অাক্ষেপ করে তাকে ভুলে যাওয়ার জন্য বলে। কেবল প্রেম বিরহই নয় তার ছোট পরিসরের এসব কবিতায় অাছে বিদ্রোহী চেতনা। রাজপথ কাপানো স্লোগানের মত কবিতা যা উজ্জীবিত করে সৈনিকের মন। 'নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়' কবিতায় তিনি অাহ্বান করেন তরুণদের, "এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠা সময়।" ব্যক্তিজীবনের প্রেম অার দুঃখ কষ্টের এক মিশ্রণ হচ্ছে 'যে জলে অাগুন জ্বলে' যেখানে কবি কষ্টের ফেরীওয়ালা, অাবার কখনোবা ভূমিহীন কৃষক। নিজস্ব মতামত : ৫৬ টি ভিন্ন স্বাদের প্রেম, দ্রোহের কবিতার সংকলন হচ্ছে যে জলে অাগুন জ্বলে কাব্যগ্রন্থ। কবিতাগুলো পড়তে গিয়ে প্রথমে রাজনৈতিক কবিতা মনে হলেও পরক্ষণেই মনে হয় কবিতা গুলো যেন একান্তই প্রেমের, বিরহের। অনেকগুলো কবিতা অাগে থেকে অালাদা অালাদা ভাবে শোনা বা পড়া থাকলেও প্রতিটা কবিতা যেন অাবার নতুন করে উপলব্ধি করেছি এ বইয়ে। একসাথে যেমন স্থান পায়নি রাজনৈতিক বা বিদ্রোহের কবিতা তেমনি অাসেনি একঘেয়েমি বিরহ বা প্রেমের সুর। তাই কবিতা প্রেমীদের অবশ্য পাঠ্য এক বই হওয়া উচিত এ বইটা।

      By Nur banu

      15 Jul 2017 02:17 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      nyc

      By Arafat Ahmad Azad

      13 Mar 2022 07:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো জিনিস কম হলেও ভালো । এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে জলে আগুন জ্বলে র মধ্য দিয়ে । প্রত্যেকটা কবিতাই মন ছুঁয়ে যায় ।

      By Ifsad Shadhin

      20 Apr 2021 09:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন, আগামী মিছিলে এসো স্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন।’ এতো মায়া নিয়ে আর কে পারে লিখতে? শুধু মায়া কেন, অদ্ভুত সুক্ষ্ম জীবন চাহিদা-ও বা কার আছে এমন? ‘বোকা উদ্ভিদ তবে কি মানুষের কাছে প্রেম চেয়েছিলো? চেয়েছিলো আরো কিছু বেশি!’ অমর এই বই নিয়ে কিছু বলা কি বাদ আছে আর?

      By Md. Nazmul Hossain

      04 Dec 2020 10:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কবিতাগুলো রক্তের সাথে মিশে থাকবে আজীবন।

      By Md. Abid Nuri

      21 Oct 2019 08:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      “এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়” এ দুটি লাইন শোনেনি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে চিকামারা হয়েছে কবিতার এ দুটি লাইন। কবিতার নাম ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’। কবির নাম হেলাল হাফিজ। একটি মাত্র কবিতার বই দিয়ে বাংলা সাহিত্যে হয়েছেন অমর। নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। তার ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটির কবিতাগুলো যেন একেকটি প্রেম আর দ্রোহের খনি। ভাষার এমন সুন্দর ব্যবহার, শব্দের এমন চমৎকার চয়ন, বিমোহিত করে তাবৎ কাব্যপ্রেমীকে।

      By Supriya dey

      01 Nov 2016 04:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কাব্যগ্রন্থ-যে জলে আগুন জ্বলে রেটিং: ৫/৫ প্রেক্ষাপট: কবির কবিতার বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে।ঐ সময়টা ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক সময়ের চরম ক্রান্তিকাল।যুদ্ধপরবর্তী দেশের নড়বড়ে রাজনৈতিক সংঘাতের সময়ে লেখা কবির প্রতিটি কবিতাই ডাক দিয়েছে মিছিলের,নতুন সূচনার। পাঠ প্রতিক্রিয়া: "যে জলে আগুন জ্বলে"-গ্রন্থের নামেই কবি বুঝিয়ে দিলেন যে কেন তিনি দ্রোহের কবি হিসেবে সমাদৃত।জলের মাঝে আগুন তো একমাত্র কবিই জ্বালাতে পারেন,কবিই পেরেছেন তুমুল মিছিলের মধ্যেও ধ্রুপদী প্রেমের ঝড় তুলতে। কবি তাঁর "নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়" কবিতায় যুবকদের যুদ্ধে আহবান জানিয়ে বললেন- "এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।" আবার কবিই তাঁর "অশ্লীল সভ্যতা" অনুকাব্যে মানুষের শান্তি খুঁজে লিখলেন- "নিউট্রন বোমা বোঝ মানুষ বোঝ না।" অথবা "প্রস্থান" কবিতায় কবি তাঁর প্রেমিকার কাছে পত্র চাইলেও শেষ লাইনে কবির কণ্ঠে সেই বিদ্রোহ উন্মোচিত হলো- "এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটাই বা কষ্ট দেবে!" রোমান্টিকতাকে ছাড়িয়ে কবি তাঁর "ঘরোয়া রাজনীতি" কবিতায় তাঁর প্রেমিকাকে লাল শাড়ি পরে রাজপথে স্লোগানের মধ্যে দিয়ে ভালোবাসতে চাইলেন,আবার কবি তাঁর "ক্যাকটাস" কবিতায় নিজেকে ক্যাকটাস নামক বোকা উদ্ভিদের জায়গায় দেখেছেন। কখনো কবি হয়েছেন লাল,নীল কষ্টের "ফেরিওয়ালা",কখনো বা "কোমল কংক্রিট" অনুকাব্যে লিখেছেন- " জলের আগুনে পুড়ে হয়েছি কমল, কী দিয়ে মুছবে বলো আগুনের জল।" আবার কখনো কবি ভূমিহীন কৃষকের মতো সুখের চাষাবাদ করতে প্রেমিকার কাছে দুই ইঞ্চি জায়গা চেয়েছেন। এক কথায় "যে জলে আগুন জ্বলে" প্রেম ও সংঘাতের এক মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বী যেন,এই প্রেম হতে পারে দেশপ্রেম,এই সংঘাত হতে পারে নতুন নেতৃত্বের সংঘাত।কবি,লেখক,গীতিকার,শিল্পীরাই পারেন যুব সমাজকে প্রলয়ে উদ্ভুদ্ধ করতে।সেইক্ষেত্রে কবি হেলাল হাফিজ সফলতম। (পরিশেষে,কবির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।)

      By Rahman Ferdinand

      15 Jul 2017 03:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা RF-07 সমকালীন বাংলা কবিতায় হেলাল হাফিজ যেন এক দুঃখের রাজকুমার। বাংলা কবিতার অঙ্গনে হেলাল হাফিজের নাম অনেকটা বিস্ময়ের সঙ্গে উচ্চারিত হয়। তিনি ভেতরে-বাইরে নিপাট কবি। নিজের অস্থিমজ্জায় যেভাবে কবিতাকে রাখেন, সেভাবে কবিতার অস্থিমজ্জায়ও তাঁর অবাধ বিচরণ। তিনি ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। ওই শহরেই কাটে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও প্রথম যৌবন। নেত্রকোনায় স্কুল ও কলেজজীবন শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিচিত্র এক জীবনযাপন তার, যার প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে বেদনা, দুঃখ কিংবা বিস্ময়ের ছড়াছড়ি...! ১৯৮৬ সালে, যখন অর্থলোভী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের হাতে বিশ্বের মানবতা বিপন্ন, মারণাস্ত্রের নির্লজ্জ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় ধনী দেশগুলো অধিকতর ব্যস্ত, নৈতিকতা এবং বিবেক বোধ ক্ষতবিক্ষত তখনি প্রকাশিত হয় হেলাল হাফিজের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র কাব্যগ্রন্থ 'যে জলে আগুন জ্বলে' (১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর অসংখ্য সংস্করণ হয়েছে। ওই গ্রন্থটির ১২টি সংস্করণ প্রকাশিত হলেও এরপর গ্রন্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে তার নিস্পৃহতা দেখা যায়। ২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। নতুন কিছু কবিতা আর "যে জলে আগুন জ্বলে"র কবিতাগুলো নিয়ে বইটি প্রকাশিত হয়।)। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রীত এই কাব্যগ্রন্থ হেলাল হাফিজকে এনে দেয় তুঙ্গস্পর্শী কবিখ্যাতি আর ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা। এমন অসংখ্য পাঠক রয়েছেন যাদের কবিতার দিকে টেনে এনেছে এই বই। এমনি এর আকর্ষণ। 'যে জলে আগুন জ্বলে'র মোহ এতটাই প্রবল যে আজীবন তা মানুষকে টানবে। আর টানবে নাই বা কেন? মাত্র দু'লাইনের একটা কবিতা- অশ্লীল সভ্যতা। 'নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না।'- এত কম কথায় এত বিশাল ভাব বোঝাতে আর কোন কবি কি পেরেছিলেন? ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতার ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ লাইনগুলো প্রয়োগ বিবেচনায় প্রায় ঈর্ষণীয় পর্যায়ে চলে গেছে। মানুষকে জাগিয়ে তোলার আকুণ্ঠ নিয়ামক হিসেবে এ বিখ্যাত লাইনগুলো ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান থেকে আজ পর্যন্ত অসংখ্যবার ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘বল বীর বল উন্নত মম শির’-এর পর জাতিকে আলোড়িত করেছিল ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতার লাইনগুলো। মুঠোফোন সরিয়ে দিয়েছে চিঠি। কেউ আর এখন চিঠি লেখেন না। এ সময়েও ‘এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো পত্র দিও’ (প্রস্থান) কবিতাটি পাঠকনন্দিত। আবেগ কেড়ে নিয়ে বেগ দেয়ার প্রযুক্তিও কবিতাটির ভেতরের আবেগটুকুকে পাঠকের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারছে না। ‘ফেরিওয়ালা’, ‘তৃষ্ণা’, ‘অমীমাংসিত সন্ধি’, ‘কে’, ‘কবুতর’, ‘তোমাকেই চাই’, ‘যাতায়াত’সহ বইটির প্রায় সব কবিতা পাঠকনন্দিত যারা পিগম্যালিয়ন, ভুল-শুদ্ধ,পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব বাদ দিয়ে যারা শুধু ভালবেসে যান একজনকেই, সর্বোচ্চ শুভ্রতা দিয়ে যারা ভালবাসাকে বুকে লালন করেছেন তাদের ভালবাসাটুকু কি সুন্দরভাবেই না তিনি প্রকাশ করেছেন- তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো ? পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাব ইচ্ছে হলে দেখতে দিয়ো, দেখো হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিয়ো, রেখো . (অমীমাংসিত সন্ধি) হেলাল হাফিজ নিপুণ দক্ষতায় তুলে এনেছেন ভুল রমণীর ভালোবাসা থেকে শুরু করে ভুল নেতার জনসভার কষ্টের তীব্রতা পর্যন্ত! রাজনৈতিক কবিতা আর প্রেমের কবিতার এক অসাধারণ সংমিশ্রণ! তার কবিতার আমরা পেয়েছি প্রেম আর দ্রোহের অপূর্ব মিলন! তার রাজনৈতিক কবিতাগুলোও আমাদের চেতনাকে আবেশিত করে কেমন যেন এক প্রেমের কবিতা হয়ে যায়! এই যেমন 'দুঃসময়ে আমার যৌবন’ কবিতায় প্রেমিকার প্রেম থেকেও কবির দেশপ্রেম রয়ে গেছে উর্ধে - মানুষ জন্মের নামে কলঙ্ক হবে এরকম দুঃসময়ে আমি যদি মিছিলে না যাই, উত্তম পুরুষে ভীরু কাপুরুষের উপমা হব আমার যৌবন দিয়ে এমন দুর্দিনে আজ শুধু যদি নারীকে সাজাই। হেলাল হাফিজের কবিতা থেকে আমার অসম্ভব প্রিয় কিছু লাইন- আমি আর কতটুকু পারি? এর বেশি পারেনি মানুষ। (পৃথক পাহাড়) কষ্ট কেবে কষ্ট হরেক রকম কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট! ..... ..... ..... ..... .... আর কে দেবে আমি ছাড়া আসল শোভন কষ্ট, কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন আমার মত ক'জনের আর সব হয়েছে নষ্ট, আর কে দেবে আমার মত হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট (ফেরীঅলা) আগুন আর কতোটুকু পোড়ে? সীমাবদ্ধ ক্ষয় তার সীমিত তার বিনাশ। মানুষের মত আর অতো নয় আগুনের সোনালী সন্ত্রাস। (মানবানল) কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালবাসি। (যাতায়াত) এক জীবনের সব হাহাকার বুকে নিয়ে অভিশাপ তোমাকে দিলাম, তুমি সুখী হবে, খুব সুখী হবে। (এক জীবনের সব হাহাকার) একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল, কতো হুলুস্থুল অনটন আজন্ম ভেতরে আমার | (তুমি ডাক দিলে) ইচ্ছে ছিল রাজা হব, তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বানাবো, আজ দেখি রাজ্য আছে, রাজা আছে ইচ্ছে আছে শুধু তুমি অন্য ঘরে। (ইচ্ছে ছিল) আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেও, আপত্তি নেই। গিয়ে থাকলে আমার গেছে, আর কী তাতে? আমি নাহয় ভালবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে! পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ “ জলের আগুনে পুড়ে হয়েছি কমল, কী দিয়ে মুছবে বলো আগুনের জল ” রেটিংঃ এই বইকে রেটিং দেয়ার মতো ক্ষমতা আমার মতো মেকি পাঠকের নেই। যেই বইয়ের প্রতিটি কবিতার ব্যাখ্যাই এক একটা সুবিশাল উপাখ্যান হয়ে যাবে তার রিভিউ লিখে আমি যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছি, তা আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা রাখি...

      By Ihsanul Haque

      14 Aug 2023 02:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।

      By Anisur Rahman

      26 May 2016 04:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ এবং কালজয়ী।

      By Tasfia Promy

      05 Jul 2017 06:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ যে জলে আগুন জ্বলে লেখকঃ হেলাল হাফিজ প্রকাশনীঃ দিব্য প্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ৬৪ মূল্য: ১০৬৳(রকমারি) ধরণ: কাব্য সংকলন কাহিনী ঃ**********★ কিছু সংগ্রহীত তথ্য শেয়ার করছি প্রথমে। ★ কবি হেলাল হাফিজের ছোটবেলার প্রেম ছিলো হেলেন। হেলেনকে তিনি কতোটা ভালোবাসতেন তা কোন নিক্তি দিয়ে পরিমাপ করা যাবেনা। আর সেকারনে তাঁর কবিতায় হেলেন উঠে এসেছে অনেকবার। একটা সময় হেলেনের বিয়ে হয়ে যায় ঢাকার এক সিনেমা হল মালিকের সঙ্গে। প্রেমিকার বিয়ে সহ্য করতে পারেনি হেলাল হাফিজ। মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর যখনই হেলাল হাফিজের ভাবী দেবরের বিয়ের জন্য মেয়ের ছবি দেখাতেন তখনই হেলাল শুধু একটি কথাই বলতেন,'মেয়েটি আমার মায়ের মতো দেখতে'। অথচ কি আশ্চর্য্য! হেলেন একদিন স্মৃতিশক্তি হারিয়ে পাগল হয়ে যায়। হেলেন পাগল হয়ে যায় হেলালের লেখা 'যে জলে আগুন জ্বলে' কবিতার বইটি পড়ে। যে বইয়ের প্রতিটি পাতায় ছিলো হেলেন-হেলালের প্রেমের কাহিনী। বইটি হেলেনের স্বামীই কিনে এনেছিলো বইমেলা থেকে। স্মৃতিশক্তি হারানোর পর অনেক চিকিৎসার পর ভালো না হলে স্বামী হেলেনকে তালাক দেয়। হেলেন আজও বদ্ধ উন্মাদ। শেকল দিয়ে বেধে রাখা হয়। হেলাল হাফিজ আজও বিয়ে করেন নি। এভাবে কিছু ব্যর্থ প্রেম স্মৃতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুঁকে দেয়।!.... এখন আআমার কাছের কয়েকটি ভাল লাগার লাইন... ১)নিউট্রন বোমা বোঝ মানুষ বোঝ না। ২) আমি আর আহত হব না, কোন কিছুতেই আমি আর আহত হব না। বইটা তে বেশ কিছু কবিতা আছে। * অস্ত্র সমর্পণ * বেদনা বোনের মতো * ইচ্ছে ছিলো * প্রতিমা * অন্যরকম সংসার * নিখুঁত স্ট্র্যাটেজি * আমার সকল আয়োজন * হিরণবালা * দুঃখের আরেক নাম * প্রত্যাবর্তন * তীর্থ * অনির্ণীত নারী * অশ্লীল সভ্যতা * কবিতার কসম খেলাম * পরানের পাখি * বাম হাত তোমাকে দিলাম * উপসংহার * শামুক * আমার কী এসে যাবে * ইদানীং জীবন যাপন * পৃথক পাহাড় * অহংকার * কোমল কংক্রিট * নাম ভূমিকায় * সম্প্রদান * একটি পতাকা পেলে * মানবানল * যার যেখানে জায়গা * কবি ও কবিতা * ফেরীঅলা * উৎসর্গ * অগ্ন্যুৎসব * যেভাবে সে এলো * রাডার * যাতায়াত * যুগল জীবনী * লাবণ্যের লতা * তোমাকেই চাই * ভূমিহীন কৃষকের গান * কবুতর * নেত্রকোনা * তুমি ডাক দিলে * হিজলতলীর সুখ * রাখাল * ব্যবধান * কে * অমীমাংসিত সন্ধি * ক্যাকটাস * তৃষ্ণা * হৃদয়ের ঋণ * রস্থান * ঘরোয়া রাজনীতি * ডাকাত এইগুলো কবিতার নাম। প্রতি পেজ এ একটা করে কবিতা। পাঠ-প্রতিক্রিয়া:সপ্তাহের সেরা রিভিউ বিজয়ী হবার পর, এই বইটি অর্ডার করি। বইটা পড়ে আমি মুগ্ধ। খুব ভালো লেগেছে। কবিতার লাইন গুলো মাথায় ঘুরে যাচ্ছে। যে পড়েনি সে মিস যে কত সুন্দর জিনিস মিস করেছে সেটা তারা জানেন না। শব্দচয়ন নিখুঁত, সাবলীল। আর কবিতার দৈর্ঘ্য খুব বেশি না। কিন্তু অল্প শব্দে নিজের প্রতিটা অনুভূতি প্রকাশ করা। রেটিং : কিছু মানুষ কে, কিছু লেখা কে রেটিং এ মাপা যাবে না।। রকমারি: https://www.rokomari.com/book/39406/যে-জলে-আগুন-জ্বলে-(রকমারি-বেস্টসেলার)

      By Farid

      24 May 2016 02:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Osadharon......

      By Hanif

      01 Oct 2016 04:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      তুমি জানো, পাড়া-প্রতিবেশী জানে পাইনি তোমাকে, অথচ রয়েছো তুমি এই কবি সন্নাসীর ভোগে আর ত্যাগে।

      By Mutasim Uddin

      25 May 2014 10:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হেলাল হাফিজ আমার প্রিয় কবিদের মধ্যে অন্যতম। আর তাঁর লেখা ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটিকে কবির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলা যায়। এই বইয়ে সর্বমোট ৫৬টি কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক কবিতা যেমন আছে, তেমনি আছে নিখাঁদ প্রেমের কবিতা। লেখকের লেখা কবিতাগুলো আয়তনে বেশ ছোট প্রকৃতির, কিন্তু এগুলোতে ভাবের গভীরতা অনেক বেশি। প্রত্যেকটি পঙক্তিই অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। আর লেখকের কবিতাগুলোর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি রাজনৈতিক কবিতাগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যে, হঠাৎ করে সে কবিতাগুলোকে প্রেমের কবিতা বলে ভুল হয়। হেলাল হাফিজের লেখা কবিতার চরণে, দেশপ্রেম আর নারীপ্রেম আশ্চর্য সাবলীলতায় যুগপৎ উপস্থাপিত হয়। এই দুই প্রেমের মাঝের বিভাজন রেখাকে হেলাল হাফিজ খুব অস্পষ্ট করে তোলেন অনায়াসে। হেলাল হাফিজের কবিতার আয়তনিক ক্ষুদ্রতার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল, তাঁর লেখা ‘অশ্লীল সভ্যতা' কবিতাটি। ছয় শব্দের এই কবিতাটি নিচে দেয়া হল : নিউট্রন বোমা বোঝ মানুষ বোঝ না। এই অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত কবিতাটি একই সাথে বহু মাত্রার অর্থ বহন করে। মোটা দাগে বিবেচনা করলে, এই কবিতায় মূলত আধুনিক সভ্যতার ধ্বংসাত্মক রূপকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। আবার একটু অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে বলা যায়, আলোচ্য পংক্তিদ্বয়ে এক অসহায় প্রেমিক হৃদয় তার প্রেমিকার কাছে একটি প্রশ্ন রেখেছে। যে প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যে পৃথিবীর শত-সহস্র প্রেমিক আজন্ম ব্যাকুল হয়ে থাকে। ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইয়ের আরেকটি অসাধারণ কবিতা হল ‘ঘরোয়া রাজনীতি’। এই কবিতাটি আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব পছন্দের। কবিতাটি নিচে দেয়া হল : ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন, আগামী মিছিলে এসো স্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন। আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালবেসো, ধ্রুপদী পিপাসা নিয়ে আসো যদি লাল শাড়ীটা তোমার পড়ে এসো। আলোচনার শুরুতেই বলেছিলাম, হেলাল হাফিজ প্রেম আর রাজনীতিকে মিলেমিশে একাকার করে ফেলার অসাধারণ ক্ষমতা রাখেন। এই কবিতা তার আরেকটি দৃষ্টান্ত। আমার এই কবিতা এতো ভালো লাগে অবশ্য আরেকটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। আর তা হল, এই কবিতার বক্তব্যে যে এক দৃঢ়, বলিষ্ঠ অভিমান মিশে আছে তার কারণে। ‘...আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালবেসো...’, কতটা অভিমান পুঞ্জীভূত হয়ে এই রকম একটি চরণ সৃষ্টি করতে পারে, তা ভাবলেই অবাক লাগে। এই অভিমান একাধারে দেশের প্রতি, দেশের রাজনীতির প্রতি এবং কোন কোন সময় রূপকার্থে প্রেমিকার প্রতিও। ‘...লাল শাড়ীটা তোমার পড়ে এসো...’, এই চরণটির মাধ্যমে আমরা লেখকের অসাধারণ চিত্রকল্প তৈরির ক্ষমতার পরিচয়ও পাই এই কবিতায়। আবার ‘তোমাকেই চাই’ কবিতায় আমরা কাম কাতরতাকে মুখ্য হয়ে উঠতে দেখতে পাই। আসলে একই সংকলনে অসাধারণ বৈচিত্র্যময় কবিতার আস্বাদ পাওয়া যাবে ‘যে জলে আগুল জ্বলে’ বইটিতে। ‘দুঃসময়ে আমার যৌবন’ কবিতায় আমরা দেখতে পাই, কবি শেষ পর্যন্ত তাঁর দেশের প্রতি দায়িত্ববোধকেই নারীপ্রেমের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। কবিতাটি নিচে দেয়া হল : মানুষ জন্মের নামে হবে কলঙ্ক হবে এরকম দুঃসময়ে আমি যদি মিছিলে না যাই, উত্তম পুরুষে ভীরু কাপুরুষের উপমা হব আমার যৌবন দিয়ে এমন দুর্দিনে আজ শুধু যদি নারীকে সাজাই। সবশেষে বলতে হয়, হেলাল হাফিজের লেখা কবিতাগুলো সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। কবিতাপ্রেমীদের জন্যে কবির লেখা ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটি অবশ্যপাঠ্য।

    • Was this review helpful to you?

      or

      ঊনসত্তরের আইয়ুব বিরোধী গণঅভ্যূথান হতে মধ্য আশির দশকের স্বৈরশাসনের মাতাল হাওয়ায় লেখা কবি হেলাল হাফিজের ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইয়ে সংকলিত হয়েছে ৫৬টি কবিতা। রাজনৈতিক যাতাকলের স্রোতে লেখা হলেও রাজনীতির পাশাপাশি এই বইয়ে স্থান পেয়েছে পরিশুদ্ধ প্রেম, চিরায়ত নারী, ব্যক্তিগত হতাশা, স্বপ্নকাতুরতা, গ্রামীণ ও নগর জীবনের স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ এবং স্বপ্ন ফিরিয়ে আনার আহবান। স্বচ্ছ দীঘির জলের মতো টলটলে কিন্তু ফাগুনের আগুন শিখার মতোই তেজস্বী কবিতাগুলোতে কবিকে পাওয়া যায় একই সাথে রাজপথের স্লোগান-যুবক, বিনীত বিদ্রোহী, কষ্টের ফেরীঅলা কিংবা কিশোরী হেলেনের প্রেমিক রূপে। রাষ্ট্রীয় দ্রোহ, মানবিক প্রেম আর ব্যক্তিগত আকাঙ্খার অপূর্ব মিশেল ঘটেছে এই বইয়ের অধিকাংশ কবিতায়। মিছিলে যাবার উদাত্ত আহবান জানানো জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ তে কবি নিখাদ প্রেমিকদেরও আহবান করেছেন নিম্নোক্ত পংক্তিমালায়ঃ “যদি কেই ভালোবেসে খুনী হতে চান/ তাই হয়ে যান/ উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়।” ‘নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙ্গুল’ কবিতায় কিশোরী হেলেনের প্রতি কবির অসহায় প্রেমের দৃপ্ত উচ্চারণ অনুরণিত হয় পাঠকের হ্রদয়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত সময়ে রচিত ‘দুঃসময়ে আমার যৌবন’ কবিতায় কবি যৌবনকে সাবধান করেছেন শুধু নারীকে না সাজানোর জন্য। মরণাস্ত্রের সাথে প্রণয় করা কবি আগুনের হোলি খেলার মুহূর্ত ১৯৭১ কে ফিরিয়ে এনেছেন ‘অস্ত্র সমর্পণ’, ‘অগ্ন্যুৎসব’ এবং ‘অন্যরকম সংসার’ কবিতাগুলোতে। পাঁচ দুপুরের নির্জনতার খুনী কবি হেলাল হাফিজ ‘বেদনা বোনের মত’, ‘ইচ্ছে ছিলো’, ‘প্রতিমা’, ‘হিরণবালা’, ‘তুমি ডাক দিলে’, ‘অমীমাংসিত সন্ধি’, ‘হ্রদয়ের ঋণ’ ‘প্রস্থান’ ইত্যাদি প্রেমের কবিতাগুলোতে এঁকেছেন শর্তহীন প্রেমের পবিত্র জলছবি, মৌনতাগ্রাসী পাখির প্রেমাকুলতা, অষ্টপ্রহরের খামখেয়ালী ভালোবাসা সমাচার আর নারী খেলার প্রথম ও পবিত্র ঋণ শোধাবার অব্যর্থ প্রয়াসের ছবি। শৈল্পিক তাবিজ কিংবা নিমীলিত লীলা নারী কে নির্ণয় করার চেষ্টা করেছেন ‘দুঃখের আরেক নাম’ আর ‘অনির্ণীত নারী’ নামক কবিতায়। স্বাধীনতার অপ্রাপ্তি আর স্বপ্নভঙ্গের অনুপম পান্ডুলিপি ‘যেভাবে সে এলো’, ‘নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী’, ‘ব্যবধান’, ‘একটি পতাকা পেলে’ ইত্যাদি কবিতা পাঠকমনকে বিষন্ন করে তোলে কিন্তু হতাশ করে না। ‘ইদানিং জীবন যাপন’ কবিতায় ফুটে উঠেছে নাগরিক জীবনের তথাকথিত ভালো থাকার বয়ান আর ঠিক বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে ‘যার যেখানে জায়গা’-এ যেন এক বিদ্রোহী গ্রামীণের আঞ্চলিক ভাষার স্লোগান। কেবল কবি আর কবিতাকে ঘিরে লেখা ‘কবি ও কবিতা’, ‘উৎসর্গ’, ‘যুগল জীবনী’ সহ বেশ কয়েকটি কবিতায় কবি দু’হাত ভরে তাঁর কবিতার ঋণ শোধ করেছেন। ‘অশ্লীল সভ্যতা’, ‘কোমল কংক্রিট’, ‘উপসংহার’, ‘ঘরোয়া রাজনীতি’ ইত্যাদি কবিতাসমূহে গোটা কয়েক চরণে এতো বৃহৎ পরিসরে ভাববার অবকাশ একই সাথে কবির মুন্সিয়ানা ও দূরদর্শীতার পরিচয় পাওয়া যায়। সর্বাধিক জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত কবিতা ‘ফেরীঅলা’ কবিতায় মালটি-কালার কষ্টের ফেরীওয়ালা হেলাল হাফিজ নিপুণ দক্ষতায় তুলে এনেছেন ভুল রমণীর ভালোবাসা থেকে শুরু করে ভুল নেতার জনসভার কষ্টের তীব্রতা পর্যন্ত- এ যেন এক সামগ্রিক কষ্টের তৈলচিত্র। ‘সম্প্রদান’ কবিতায় চতুর আষাঢ়ে ক্ষিপ্ত কবির দৃপ্ত উচ্চারন, “এই নে হারামজাদী একটা জীবন।” পরক্ষণেই ‘লাবণ্যের লতা’ কবিতায় স্বপ্নবাজ কবির স্বাপ্নিক বয়ান, “ভালোবাসাবাসিহীন এই দিন সব নয়-শেষ নয়/ আরো দিন আছে,/ ততো বেশি দূরে নয়/ বারান্দার মতো ঠিক দরোজার কাছে।” এতকিছুর পরেও কয়েকটি কবিতায় সরল, নিখাঁদ হেলাল হাফিজ অনেকটাই অনুজ্জ্বল ও নিষ্প্রভ। সাথে আছে ‘বাম হাত তোমাকে দিলাম’ এর মতো ভাবনাকে নাড়িয়ে দেবার মতো কিংবা ‘রাডার’, ‘শামুক’ এর মতো ধোঁয়াশে কিছু কবিতা। আধুনিক বাংলা কবিতায় প্রেম আর দ্রোহের অপূর্ব মিলন উদ্ভাসিত হয়েছে হেলাল হাফিজের হাতে যা বর্ণবন্দী হয়েছে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইয়ে। কাব্যপিয়াসীদের তিয়াস কবি অনেকটাই সফলতার সাথে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন একই সাথে প্রণয়ের স্লোগানে আর দ্রোহের ভালোবাসায়।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!