User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি অসম্ভব সুন্দর, কিন্তু অনুবাদকের অনুবাদে কিছুটা ঘাটতি আছে। জানি না কেন আমার কাছে অনুবাদটা ছাড়া ছাড়া লেগেছে, ইমোশনকে ভালো মতো আঁকড়ে ধরতে পারেনি।
Was this review helpful to you?
or
❤️
Was this review helpful to you?
or
স্নাতকে পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের আওতায় চার্লস ডিকেন্সের বেশ কিছু উপন্যাস পড়েছিলাম তন্মধ্যে Oliver Twist, A Christmas Carol, David Copperfield, A Tale of Two Cities, Great Expectations ইত্যাদি। ,মানুষের জীবনের গভীরে প্রবেশ করে বাস্তবতার কঠিন সত্য কে তুলে ধরার মুন্সীয়ানা ভালোভাবে রপ্ত করেছিলেন ডিকেন্স। তাই তো সেইসময় পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ডিকেন্সকে প্রতিটি শব্দের জন্য গুনে গুনে টাকা দিতে হতো প্রকাশককে। "অলিভার টুইস্ট", ইংল্যান্ডের লন্ডনে অপরাধীদের মধ্যে বেড়ে উঠছে অনাথের গল্প। ডিকেন্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় রচনাগুলির একটি যা সে সময় লন্ডনের বস্তিতে দারিদ্র্য, শিশু শ্রম ও জীবন সম্পর্কে তার কঠোর চিত্রনাট্যের জন্য পরিচিত।
Was this review helpful to you?
or
bad translation.
Was this review helpful to you?
or
চার্লস ডিকেন্সের অলিভার টুইস্ট সবচেয়ে প্রিয় একটা বই। একজন এতিম ছেলের জীবনের নানা ঘটনা লেখক অসাধারনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রিয় লেখক আর প্রিয় বইয়ের তালিকায় সবার উপরেই থাকবে চার্লস ডিকেন্স আর তাঁর সৃষ্টি অলিভার টুইস্ট।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসিক শেষে এত সুন্দর করে মিলিয়ে দিয়েছেন, সত্যিই অভাবনীয়। উপন্যাসের প্রত্যেক টা লাইন মনোযোগ দিয়ে পড়লে উপভোগ করা যাবে। পুরোটা না পড়লে মজাটাই পাওয়া যাবে না। প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়তে হবে গভীর মনোযোগ দিয়ে। অনুবাদক এবং ঔপন্যাসিকের প্রশংসা না করে পারা যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
অলিভার টুইস্ট হলো চার্লস ডিকেন্স এর লেখা অন্যতম সেরা গল্পের মধ্যে একটি । যা শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়া অনুবাদ করেছেন। এই অনুবাদটি পড়ে পাঠক অবশ্যই অনুবাদকের প্রশংসা না করে পাবরেন না। অলিভার টুইস্ট পৃথিবীর অন্যতম সেরা কিশোর ক্লাসিক। চিরায়ত সাহিত্যের এক অনবদ্য অংশ । যারা কিশোর ক্লাসিক পড়তে ভালোবাসেন বইটি তাদের নিরাশ করবে না। অলিভার নামক এক শিশুর অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে বেড়ে ওঠা নিয়ে গল্প । যার জীবন শুরু হয় এতিমখানা থেকে । এখানে গল্পের আকার নয় বরং ঘটনা প্রবাহকেই লেখক প্রাধান্য দিয়েছেন ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম: অলিভার টুইস্ট লেখক:চার্লস ডিকেন্স রূপান্তরঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রকাশন: অবসর প্রকাশনী ধরণ: শিশুতোষ প্রকাশকাল: ১৮৩৮ সাল . অলিভার টুইস্ট। এক দরিদ্র অনাথ বালক। যার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা অনাথাশ্রমে। জীবনের নোংরা আর বিভৎস দিকের দৃশ্যপট অলিভার টুইস্টকে করে তোলে বিষন্ন। চার্লস ডিকেন্স এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠকদের নিয়ে যান লন্ডনের এক আঁধারময় যুগে। যেখানে কিছু অসৎ লোক জীবিকার জন্য চুরি করতে বাধ্য করত অলিভার টুইস্ট এর মত নিষ্পাপ শিশুদের...... অলিভারের শৈশবের প্রথম ভাগটা কাটে মিসেস মান নামে এক প্রৌঢ়ার কাছে। এই মহিলাও খুব নির্দয়ী! শিশুদের রাখতেন ঠিকই নিজের কাছে কিন্তু কি অসীম কষ্টের মধ্যে যে রাখতেন তার বর্ণনা দেয়া যাবেনা! ন'বছর পূর্ণ হওয়ার পর মিসেস মানের কাছ থেকে অনাথ আশ্রমের লোক মি. বাম্বল এসে নিয়ে যায় অলিভারকে। তারপর... শুরু হয় অলিভারের আরেক দুঃসহ জীবন! কোন এক পাকচক্রে অলিভার গিয়ে পড়ে ফ্যাগিন নামের এক দাগি অপরাধীর হাতে! আহ! শুরু হয় আরেক যন্ত্রনার জীবন! ফ্যাগিন নামের এই দাগি অপরাধীর ধরাবাঁধা কুৎসিত কাজ গুলো করতে করতে ক্লান্ত অলিভার!.... তারপর... আবার আগমন আরেক শয়তানের! বিল সাইকস! বিল সাইকস আর ফ্যাগিনের অত্যাচারে জীবনের বাঁচার শেষ ইচ্ছাটুকুও যেন ফুরিয়ে যাচ্ছে অলিভারের। ঘটনার পাকচক্রে মি. ব্রাউন নামের এক দয়ালু লোক অসুস্থ অলিভারকে পেয়ে যান। নিয়ে যান নিজ বাড়িতে। বেশ ক'টা দিন ভালই কাটল অলিভারের। সেখানেই একটা ছবির এক অচেনা মহিলাকে দেখে চমকে ওঠে অলিভার! কেন?? আবার..... আবার সেই কুৎসিত জায়গায় ফিরে যেতে হয় অলিভারকে! আসে ন্যান্সি! ন্যান্সি নিয়ে যায় অলিভারকে..... আবার সেই জঘন্য কাজ! জঘন্য জায়গা! জঘন্য মানুষের দল! এই জঘন্য অপরাধের জগৎ থেকে কিভাবে আলোর মুখ দেখবে অলিভার? আর কিভাবে জানবে নিজের এক অজানা ইতিহাস.... এই দুর্ভোগের কি শেষ হবে অলিভার টুইস্ট আর তার মত নিষ্পাপ শিশুদের? ফ্যাগিন, সাইকসদের মত ভয়ংকর অপরাধীরা কিভাবে নিজ কৃতকর্মের জন্য শাস্তি পাবে? . শিশুতোষ একটা বই #অলিভার_টুইস্ট। শিশুতোষ বই হলেও পড়তে পড়তে যে কখন বইয়ের পাতায় ঢুকে যাবেন বুঝতেও পারবেননা :)
Was this review helpful to you?
or
অলিভার টুইস্ট বিশ্ববরেণ্য লেখক চার্লস ডিকেন্সের লেখা একটি বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস। এই উপন্যাসে তৎকালীন সময়ের অনাথ শিশুদের অবস্থা এক অনন্য ও চোখে পানি আসার মত বর্ণনায় মাধুর্যমন্ডিত করেছেন। এটি শুধুমাত্র একটি উপন্যাসই নয়, এক বিদ্রোহী মানবদলিলও বটে। অলিভার উনবিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে ‘মাডফগ’ নামক ইংল্যান্ডের এক পুরাতন কর্মশালায় জন্মগ্রহণ করে। তার জন্মের সময়ই তার মা মারা যায়। তার পিতা তাকে ছেড়ে চলে যায়। ফলশ্রুতিতে তাকে অনাথ আশ্রমে পাঠানো হয়, যেখানে সে অন্যান্য বাচ্চাদের মতই অকারণে শাস্তি পেত এবং অখাদ্য খাবার খেত। তাকে সারাদিন কাজ করতে হত। কিন্তু কৃত কাজের পরিমাণের ছিঁটেফোঁটা খাবারও সে পেত না। একদিন সে ঐ আশ্রমের পরিচালক মি. বাম্বলের কাছে গিয়ে সেই বিখ্যাত উক্তি করে, “স্যার, দয়া করে আমাকে আরেকটু দেবেন?” এর শাস্তিস্বরূপ তাকে ঐ আশ্রমে বন্দী করা হয় এবং ৫ পাউন্ডে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মি. সাওয়ারবেরি তাকে নিয়ে যায় এবং অন্য যেকোন কারও চেয়ে ভাল ব্যবহার করে। কিন্তু তাঁর স্ত্রী অলিভারকে দু’চোখে দেখতে পারে না এবং প্রায়শই তাকে অভুক্ত রাখত। অলিভার ক্রমশই তার কাজ দেখিয়ে উন্নতি করছিল। তাই অলিভারের মতই যে ঐ বাড়িতে কাজ করত, সেই নোয়া তার প্রতি ঈর্ষাগ্রস্ত হয় এবং অলিভারের মাকে নিয়ে উল্টো-পাল্টা কথা বলে। অলিভার নোয়াকে মারধোর করে। তাকে বন্দী করা হয় এবং মি. বাম্বল ও সাওয়ারবেরীকে বলা হয় যেন তারা অলিভারকে মারে। অলিভার ঠিক করে, সে পালিয়ে যাবে। অলিভার ভাগ্যান্বেষণে লন্ডনে যায়। কিন্তু সেখানে সে তার বন্ধু জ্যাক-এর পাল্লায় পড়ে এক পকেটমার সংস্থার সাথে যুক্ত হয়, যার মালিক ফ্যাগিন। অলিভারকে পকেটমারের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যখন তাকে তার প্রথম অভিযানে পাঠানো হয়, সে এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং তাকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু এই ঘটনা যে দেখেছে সে সাক্ষী দেয়, যে অলিভার নির্দোষ, ছিনতাই অন্য একজন করেছিল। যার পকেটমার হতে যাচ্ছিল, সেই মি. ব্রাউনলো’র দয়ায় সে মুক্তি পায় এবং তাদের বাড়িতে ওঠে। বাড়িতে ব্রাউনলোর বোনের ছবির সাথে অলিভারের অদ্ভুত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যখন সে থিতু হতে শুরু করে, তাকে সাইক্স ও ন্যান্সি নামের ঐ দলের দুজন চাতুরী করে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এবার তাকে সাইক্সের সাথে এক বার্গলারী ব্যবস্থা ভাঙার জন্য সহায়তা করতে হবে। কাজটি ভন্ডুল হয়ে যায় এবং অলিভার গুলিবিদ্ধ হয়। এবার যাদের বাসায় চুরি হতে যাচ্ছিল, তারা (মায়ালিন) অলিভারকে আশ্রয় দেয়। এদিকে ন্যান্সি, ফ্যাগিনের দলের একজন, অলিভারের জন্য চিন্তায় পড়ে যায়, এবং অলিভারের আশ্রয়দাতাকে সব খুলে বলে। যখন ফ্যাগিন এই বিশ্বাসঘাতকতার কথা জানতে পারল, সে ন্যান্সিকে খুন করে। এদিকে মায়ালিন অলিভারের আগের আশ্রয়দাতাকে খবর দেয়। জানা যায়, অলিভারের আঙ্কেল হচ্ছেন ব্রাউনলো। তিনি পুনরায় তাকে নিজবাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে ফ্যাগিন ধরা পড়ে এবং তার কুকর্মের জন্য তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। অলিভার তার নিজ পরিবারের সাথে মিলিত হল, তাদের শান্তিময়-আনন্দময় জীবন শুরু হল। চার্লস ডিকেন্স উনবিংশ শতাব্দির শিল্পায়নের অপকারিতাকে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন। শিল্পায়নের ফলে অলিভারের মত ছোট নিষ্পাপ শিশুদের কঠিন কাজ করানো হত। তাদের মত দরিদ্র শিশুদের পথ তখন দুটোঃ হয় এইসব কাজে যোগ দেয়া, নতুবা পকেটমারের মত কাজে যোগ দিয়ে নিজের মৃত্যুকে স্বাগত জানানো। তিনি তীব্র সামাজিক বৈষম্যেরও প্রতিবাদ করেছেন। তিনি ঘৃনা প্রকাশ করেছেন ঐ সব ধনীদের প্রতি, যারা এই ছোট্ট শিশুদের দিয়ে কঠিন কাজ করায়। সামাজিক শ্রেণি যে কতটা নিষ্ঠুর, ভয়ানক রুপ ধারণ করতে পারে, তার বাস্তব প্রমাণ অনবদ্য এই মানবদলিল। প্রিয় পাঠক, পড়ার সময় আপনিও এই শাশ্বত মানবতার যাত্রী হয়ে উঠবেন।