User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
টম ভীষণ দুষ্ট ছেলে। তার জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। শহরের দুষ্টতম ছেলে সে। সে তার পলিখালার সাথে থাকে। টমের সৎভাই সিড টমের সকল কাজের খবর দেয় খালাকে। আর ফলাফলে শাস্তি পায় টম। টম ও সিডের সম্পর্ক অনেকটা সাপে-নেউলে। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? টমকে দমিয়ে রাখা এত্ত সোজা? সে তার কার্যকলাপ অবাধে চালিয়ে যায়। টম ভীষণ পছন্দ করে তারই সহপাঠিনী বিচারক জেফি থ্যাচারের মেয়ে বেকিকে। বেকি একটু পাত্তা না দিলেই তার মন ভেঙে যায়। বেকিকে অন্য কারও সাথে দেখলে রাগে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। অথচ বেকির সাথে তার খুঁটিনাটি নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে। টমের উপযুক্ত সঙ্গী হাক্লবেরী ফিন্, একজন ভবঘুরে ছেলে, যার বাবা মাতাল। টমের বয়সীর সবার চোখে হাকলবেরী ঈর্ষার পাত্র। কারণ তাকে অন্যদের মত পড়াশোনা করতে হয় না, গীর্জায় গিয়ে প্রার্থনা করতে হয় না। টমের সকল কুকর্মের সাথী এই হাকল্বেরী। রাতের বেলায় গুপ্তধন খুঁজতে যাওয়া, কিংবা নৌকা নিয়ে অজানা দ্বীপের উদ্দেশ্যে ভেসে যাওয়া। টম আর বেকি ঘটনাচক্রে হারিয়ে গেল! পথ খুঁজে পাচ্ছে না ওরা, যে গুহায় দিনেও রাতে অন্ধকার। ওদের মোমও ফুরিয়ে গেছে। এদিকে খাবারও নেই। একদিন পর ওরা গলার আওয়াজ শুনল, ভাবল সার্চপার্টি এসেছে। কিন্তু ওরা দেখল যে সার্চপার্টি নয়, ভয়ংকর খুনী জো! কোনমতে পালাল ওরা। এদিকে বেকি আর চলতে পারছে না। কিন্তু টমের দুর্দান্ত বুদ্ধির কারণে ওরা বেরোতে পারল। ওদেরকে সুস্থ দেখে সবাই-ই খুশি। এদিকে বেকির বাবা গুহার মুখ বন্ধ করে দিল, যেন আর কেউ ঐ ভয়ংকর গুহায় ঢুকতে না পারে। শুনে অজ্ঞান হয়ে গেল টম। গুহায় যে ইনজুন আছে!। গুহার মুখ ভাঙা হল, পাওয়া গেল মৃত জোকে! কিন্তু তার কাছে তো গুপ্তধন নেই! কোথায় গেল? টম আর হাক আবার ঢুকল সেই ভয়ংকর গুহায়! টম আর হাক্ কি গুপ্তধন খুঁজে পাবে?? ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ টম সয়্যার’ সব সময় সকল মানুষের প্রিয় হবে থাকবে। এটা নিয়ে একটা গল্পও বহুল প্রচলিত আছে, সোভিয়েট ইউনিয়নের সাথে তখন আমেরিকার শত্রুতা চলছিল। এক সময় সোভিয়েটে ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিল নিকিতা ক্রুশ্চেভ। একবার নিকিতা ক্রুশ্চেভকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিল, আপনি কি কখনও আমেরিকায় পারমানবিক বোমা মারার কথা ভাবেন। ক্রুশ্চেভ জবাব দিয়েছিল, “পাগল হয়েছেন। ওখানে টম সয়্যার আছেন না।”
Was this review helpful to you?
or
বই : দুঃসাহসী টম সয়্যার লেখক : মার্ক টোয়ে কাহিনী সংক্ষেপ : দুরন্ত এক কিশোর টম সয়্যার। এতই দুরন্ত যে নিজের পোষা বিড়ালকে মাথা ব্যাথার ওষধ খাইয়ে দেয়। টমের দুরন্তুপনার কোন শেষ নেই। দুরন্ত হলেও টম প্রচণ্ড দুঃসাহসী। টমের সহপাঠী বান্ধবি বেকি। বেকির সাথে ঝগড়ার পর হঠাৎ নিরুদ্দেশ হলো টম। বেকি টম কে খুঁজে না পেয়ে কান্না শুরু করে। ওদিকে টমের সাথে দেখা হয় আরেক বখাটে কিশোর হাকলবেরি ফিনের। দুই দুরন্ত কিশোর একত্রে শুরু করে নানান দুঃসাহসিক অভিজান। গোরস্থানে গিয়ে টম আর হাক ঘটিয়ে আসে দূর্ঘটনা। বিড়ালকে মাথা ব্যাথার ওষধ খাইয়ে দেয়া থেকে শুরু করে জলদস্যু অভিজান কী করেনি টম। টম আর হাকের সবচাইতে দুঃসাহসিক অভিযান ছিল, গুপ্তধনের খোঁজে বের হওয়া। টম আর হাক কি শেষ পর্যন্ত গুপ্তধন খুঁজে পায়? আর কী কী দুঃসাহসিক দুরন্তপনা করল টম সয়্যার আর হাকলবেরি ফিন? ভয়ংকর খুনি ইনজুন জো এর এক খুনের সাক্ষী টম। কী হবে এখন টমের? টম কি বাঁচতে পারবে জো এর হাত থেকে? জানতে হলে যে, এক্ষুনি পড়ে ফেলতে হবে দুঃসাহসী টম সয়্যার। পাঠ আলোচনা : মার্ক টোয়েন কে নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে বইটির কিছু কিছু জায়গায় ঘটনাগুলো অতিরঞ্জিত লেগেছে। টমের জীবনের ঘটনাপুঞ্জ আসলে লেখকের শৈশবেরই নানান ঘটনার প্রতিচ্ছবি। কিশোরদের জন্য মার্ক টোয়েন বইটি লিখলেও আমার মত বড় কিশোররাও পড়তে পারেন। পুরো বইটিতে টম সয়্যার আর হাকলবেরি ফিনের দুরন্তপনা আর দুঃসাহসের গল্পই তুলে ধরা হয়েছে। আমার কাছে ভাল লেগেছে দুঃসাহসী টম সয়্যার। আপাদেরও ভাল লাগবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
মার্ক টোয়েন বই নিয়ে আর কি বলবো।তার প্রতিটি বইই উত্তেজনা ও শিহরণ জাগাতে বাধ্য।তার সৃষ্ট চরিত্র টম সয়্যার রোমাঞ্চপ্রিয় প্রতিটা মানুষের মনে আলাদা জায়গা নিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত দুষ্টু ছেলে টম।তার জ্বালায় এলাকাবাসী অতিষ্ট।সে থাকে তার পলিখালার কাছে।টমের এক সৎ ভাইও আছে যার নাম সিড।তার সাথে সিডের সম্পর্কও অনেকটা সাপে-নেওলে।টমের সকল কাজের খবর তাদের খালাকে সেইই দেয়।তার একটা বন্ধুও আছে নাম হাকলবেরী।যার সাথে সে সারাদিন টই টই করে ঘুরে বেড়ায়।একরাতে তারা ভেলা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল মিসিসিপি নদীতে।এক দ্বীপে গিয়ে উঠলো।সেখানে আবিষ্কার করলো এক গুহা।মাথায় চাপলো গুপ্তধন খোঁজার নেশা।কি হবে এখন?তারা কি পাবে সেখানে গুপ্তধন?নাকি কোন বিপদ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য?ওদিকে তার খালাই বা কি করে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য?জানতে হলে পড়তে হবে মার্ক টোয়েনের এই রোমাঞ্চকর বইটি।
Was this review helpful to you?
or
রোমাঞ্চকর উপন্যাস তো অনেকেই লেখে। কিন্তু মার্ক টোয়েনের মত সত্যিকারের রোমাঞ্চকর বই-যা পড়লে শরীরের প্রতিটি অংশে শিহরণ হয়- তেমন উপন্যাস ক’জনে লিখতে পারেন? মার্ক টোয়েন পেরেছেন। আর তাই আজ পৃথিবীজোড়া তাঁরই সৃষ্ট চরিত্র-টম সয়্যারের জয়ধ্বনি। টম ভীষণ দুষ্ট ছেলে। তার জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। শহরের দুষ্টতম ছেলে সে। সে তার পলিখালার সাথে থাকে। টমের সৎভাই সিড টমের সকল কাজের খবর দেয় খালাকে। আর ফলাফলে শাস্তি পায় টম। টম ও সিডের সম্পর্ক অনেকটা সাপে-নেউলে। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? টমকে দমিয়ে রাখা এত্ত সোজা? সে তার কার্যকলাপ অবাধে চালিয়ে যায়। টমের উপযুক্ত সঙ্গী হাক্লবেরী ফিন্, একজন ভবঘুরে ছেলে, যার বাবা মাতাল। টমের বয়সীর সবার চোখে হাকলবেরী ঈর্ষার পাত্র। কারণ তাকে অন্যদের মত পড়াশোনা করতে হয় না, গীর্জায় গিয়ে প্রার্থনা করতে হয় না। টমের সকল কুকর্মের সাথী এই হাকল্বেরী। রাতের বেলায় গুপ্তধন খুঁজতে যাওয়া, কিংবা নৌকা নিয়ে অজানা দ্বীপের উদ্দেশ্যে ভেসে যাওয়া- সব কাজেই আছে সে। টম ভীষণ পছন্দ করে তারই সহপাঠিনী বিচারক জেফি থ্যাচারের মেয়ে বেকিকে। বেকি একটু পাত্তা না দিলেই তার মন ভেঙে যায়। বেকিকে অন্য কারও সাথে দেখলে রাগে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। অথচ বেকির সাথে তার খুঁটিনাটি নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকে। একরাতে টম-হাকলবেরী আর জো গঠন করল “জলদস্যুর দল”। রাতের বেলায় ভেলা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল মিসিসিপি নদীতে। এক দ্বীপে গিয়ে উঠল। প্রায় ছয়দিন ওখানে কাটাল। ওদিকে টম আর জো’কে না পেয়ে তাদের পরিবার তো কেঁদেকেটে শেষ। তারা ভেলার হদিশ না পেয়ে ধরে নিল, টম-জো মারা গেছে। যে শহরের মানুষ তাদের উপস্থিতির যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ, সেই শহরের অধিবাসীরাই সবচে’ বেশি কাঁদল। রবিবার, শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল টম-জো। ওরাও বুঝতে পারল, শহরের মানুষ আসলে ততটা খারাপও নয়! কিন্তু ঘটনাক্রমে টম আর হাক্ রাতের আঁধারে ইনজুন জো’কে দেখে ফেলল ডাক্তার রবিনসনকে খুন করতে। ইনজুন জো দোষটা চাপাল মাতাল মাফ পটারের ওপর। বেচারী পটারকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। টম আর হাক ভয় পেয়ে গেল। ওরা প্রতিজ্ঞা করল, ওরা কাউকে কিছু বলবে না। কিন্তু অপরাধবশত টম কোর্টে সত্যি কথা বলে দিল। পটার মুক্তি পেল। কিন্তু পালিয়ে গেল ভয়ংকর প্রতিহিংসাপরায়ণ খুনী ইনজুন জো! সে প্রতিশোধ নিতে চায়। তাকে ধরার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কেই তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। এদিকে ‘গুপ্তধন’ খোঁজা খেলা খেলতে যেয়ে পুরানো ভাঙা আর ভূতুড়ে ঘরে ইনজুন জো আর ওর সহকারীকে দেখল ওরা। সাবধান থাকিল, যেন খুনী জোও ওকে দেখে না ফেলে। ওরা দেখল যে ইনজুন জো সত্যিকার গুপ্তধন খুঁজে পেয়েছে। ওরা পিছন পিছন গেল। খুনীরা এক হোটেলে উঠল। হাক্ ওদেরকে অবিরাম ফলো করল। কিন্তু এক পর্যায়ে সে হারিয়ে ফেলল ওদের। এদিকে টম আর বেকি সহ অন্যরা পিকনিক করতে এক দ্বীপের গুহায় ঢুকল। টম আর বেকি ঘটনাচক্রে হারিয়ে গেল! পথ খুঁজে পাচ্ছে না ওরা, যে গুহায় দিনেও রাতে অন্ধকার। ওদের মোমও ফুরিয়ে গেছে। এদিকে খাবারও নেই। একদিন পর ওরা গলার আওয়াজ শুনল, ভাবল সার্চপার্টি এসেছে। কিন্তু ওরা দেখল যে সার্চপার্টি নয়, ভয়ংকর খুনী জো! কোনমতে পালাল ওরা। এদিকে বেকি আর চলতে পারছে না। কিন্তু টমের দুর্দান্ত বুদ্ধির কারণে ওরা বেরোতে পারল। ওদেরকে সুস্থ দেখে সবাই-ই খুশি। এদিকে বেকির বাবা গুহার মুখ বন্ধ করে দিল, যেন আর কেউ ঐ ভয়ংকর গুহায় ঢুকতে না পারে। শুনে অজ্ঞান হয়ে গেল টম। গুহায় যে ইনজুন আছে!। গুহার মুখ ভাঙা হল, পাওয়া গেল মৃত জোকে! কিন্তু তার কাছে তো গুপ্তধন নেই! কোথায় গেল? টম আর হাক আবার ঢুকল সেই ভয়ংকর গুহায়! টম আর হাক্ কি গুপ্তধন খুঁজে পাবে??