User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
????
Was this review helpful to you?
or
গ্রামের এক দুরন্ত চমৎকার মেয়ে বকুল।সে গাছে ওঠে,,উঁচু গাছ থেকে পানিতে ঝাঁপ দেয়,সাঁতার কাটে।এই মেয়েটাই বকুল আপু থেকে বকুলাপ্পু হিসেবে পরিচিত গ্রামের ছোটদের কাছে।গাছপালা,,পশুপাখি খুব প্রিয় তার।এই গল্পে গ্রামের বকুলের সাথে বন্ধুত্ব হয় শহরের নীলার এবং একটি শুশুকের।নানা ছোট বড় দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে গল্প।
Was this review helpful to you?
or
গ্রামের নাম পলাশপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যায় চন্দ্রা নামের একটি নদী। ভারী সুন্দর গ্রাম পলাশপুর। ঠিক তেমনি সুন্দর চন্দ্রা নামের নদীটি। পলাশপুর গ্রামের শেষ প্রান্ত যেখানে এসে চন্দ্রা নদী থেমেছে ঠিক সেখানে আছে এক বড় হিজলগাছ। গ্রামের মানুষ গাছটিকে অভিশপ্ত বললেও ছোটদের বিনোদনের বস্তু এই গাছ। কখনো তারা এই গাছে উঠে লাফিয়ে পড়ে পানিতে, কখনো বা পাগলা ঘোড়া ভেবে গাছটিকে দোলায়। দূর থেকে দেখে মনে হয়, যেন কেউ ঘোড়ায় চেপে বসেছে। গ্রামের সেই বাচ্চাদের দলের নেতা ছিলো আমাদের গল্পের "বকুলাপ্পু"। আসলে ওর নাম বকুল। ছোটরা বকুল আপু বলে ডাকার থেকে বকুলাপ্পু বলে ডাকতে বেশি ভালবাসে। বকুল মেয়েটা খুব সাহসী আর স্বাধীনচেতা। সারাক্ষণ গ্রামে ঘুরে বেড়ায়, যা খুশি করে। কাউকে ভয় পায় না। তবে ভীষণ পরোপকারীও সে। গ্রামের পশুপাখি, গাছপালা সবার জন্য তার মায়া। তবে একটু ডাকাবুকো হওয়ায় গ্রামের মানুষ খুব বেশি পচ্ছন্দ করে না তাকে। এমনকি তার বাড়ির লোকজনও সবসময় তাকে শাসনের উপর রাখে। তবে গ্রামের বাচ্চারা তাকে খুব ভালবাসে। বকুলকে পচ্ছন্দ করা মানুষের তালিকায় আরো একজন যোগ হলো। তার নাম নীলা। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। এক দূর্ঘটনায় মাকে হারিয়েছে নীলা। মাকে হারিয়ে মানসিকভাবে দারুণ অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে। তাকে হাসি-খুশি রাখতে প্রায়ই তার বাবা লঞ্চে করে ঘুরতে বের হয়। প্রায় সময়ই লঞ্চে বসে দেখে একটা মেয়ে গাছের সবচেয়ে উচুঁ ডাল থেকে লাফ দিচ্ছে পানিতে। সেই মেয়েটিই বকুল। একসময় বকুল হয়ে যায় নীলার প্রাণের বন্ধু। একদিন ঘটনাক্রমে এক শুশুককে প্রাণে বাচাঁয় বকুল। সেই শুশুক, প্রাণের বন্ধু নীলা আর গ্রামের বাচ্চাদের নিয়ে দারুণ কাটতে থাকো বকুলের দিন। গড়ে উঠে বকুলের ভালবাসার জগৎ।
Was this review helpful to you?
or
চন্দ্রা নদী তীর ভাঙতে ভেঙতে ঠিক পলাশপুর গ্রামের হিজল গাছের নিচ পর্যন্ত এসে হঠাৎ করেই থেমে গেল। আর তখনই জমিলা বুড়ি তার বিখ্যাত ভবিষ্যতবাণীটা দিল। তারপর থেকে হিজল গাছের আশে পাশে আর কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু না সবাই তো আর জমিলা বুড়িকে ভয় পায় না।।। কাজীবাড়ির মেঝোছেলের ছোট মেয়ে বকুলকে ঠিকই হিজল গাছে উঠতে দেখা গেল। বকুলকে চেনো তো? বছর বারোর একটা মেয়ে যার মধ্যে মেয়েসুলভ কোন আচরণই নাই। তারমত ফুটবল খেলতে, মারবেল খেলতে কেউ পারেনা। এলাকার ছেলেপিলেদের সে হচ্ছে লিডার। সবাই তাকে বকুলাপ্পু বলে ডাকে। সেই হিজল গাছ থেকে ঝাপ দিয়ে চন্দ্রা নদীতে পরে, এমনকি জমিলা বুড়ি অভিশাপ দিয়েছে যে আগামী চাদের আগে হিজল গাছ একটা জান কবজ করে পানিতে পরে যাবে। ঝাপ দেয়ার আগে বকুল নদীতে সাদা রাজহাসের মত একটা লঞ্চে একটা পরীর মত ফুটফুটে মেয়েকে দেখতে পায়, মেয়েটা অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। নীলা হঠাৎ সোজা হয়ে চিৎকার করে তার বাবা ইশতিয়াক সাহেবকে বলে গাছ থেকে নদীর পানিতে ঝাপ দেয়া মেয়েটার কথা। গ্রানাইট পাথর থেকে যেন মেয়েটা তৈরি, কি এনার্জিটিক, কি গ্রেসফুল। সে কখনোই মেয়েটার মত হতে পারবে না। তার যে অসুখ। এক্সিডেন্টে মা মারা যাবার পর থেকে বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই তার মরে গেছে। বাবা কতকিছু করে তার জন্য, কত জায়গায় নিয়ে যায়। কিন্তু নীলার কিছুই ভাল লাগে না। এদিকে বকুল বাড়ির সবার সিরিজ বকা খেয়ে মন খারাপ করে নদীর তীরে চলে এলো। সেখানে হঠাৎ সে একটা শুশুক দেখতে পেল। শুশুকটা আহত। তাই সেবা শুশ্রূষা করে শুশুকটাকে সারিয়ে তুলল। শুশুকটা একদম ন্যাওটা হয়ে গেল বকুলের। ওর নাম দিল টুশকি। একদিন হঠাত করেই নীলা এলো বকুলকে দেখতে। কিছুক্ষণ আগেই যে মেয়েটা প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে ছিল, দেখতে দেখতে গ্রামের একদঙ্গল ছেলেমেয়ে আর টুশকির সাথে মিশে সে কি সুন্দর আনন্দ করছে। ইশতিয়াক সাহেবের বুক ভরে উঠল আশায় তার মেয়ে কি ভাল হয়ে যাবে এবার।।। এদিকে আস্তে আস্তে নীলার শরীর ভাল হয়ে উঠতে লাগল আর তার সাথে বকুলের প্রাণের বন্ধু হয়ে উঠল নীলা। কয়েকদিন ধরেই টুশকিকে দেখতে না পেয়ে চিন্তিত বকুল জানতে পারল টুশকিকে শহরের লোকেরা ধরে নিয়ে গিয়ে ঢাকায় খেলা দেখাচ্ছে। এদিকে ইশতিয়াক সাহেব দেশে নেই। তাই বকুল আর নীলা নিজেরাই টুকশিকে উদ্ধার করবে ঠিক করল।।। কিন্তু ছোট্ট দুটি মেয়ে কিইবা করতে পারে? কারো সাহায্য ছাড়া ওরা কি করে উদ্ধার করবে টুশকিকে? আমার কথা : এক ছটফটে ও দুরন্ত কিশোরীর উপাখ্যান হল 'বকুলাপ্পু' কিশোর উপন্যাসটি। তার দুরন্তপনার কোন সীমা নেই। মাছ ধরা, সাঁতার কাটা, গাছে ওঠা, এমনকি প্রয়োজনে মারপিটও করাও, ফল স্বরূপ বড়দের বকুনি খেতে হয় তাকে। এই গল্পে গ্রামে প্রচলিত কুসংস্কার আর বাল্য বিবাহের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অল্প বয়সেই লেখাপড়া, খেলাধুলা বিসর্জন দিয়ে বিয়ের জন্য তৈরি হতে হয় কিশোরীদের। মাত্র বার বছর বয়সেই নাকি তাদের বিয়ের বয়স হয়ে যায়। আর এখন থেকেই নাকি ঘর সংসার শেখার বয়স। কি ভয়ঙ্কর কথা? একটা শিশুর শৈশবের আনন্দ মুখর দিন শেষ হবার আগেই শুরু হয়ে যায় তাকে নারী বানানোর চেষ্টা। এর মাঝেই নদীতে সাদা রাজহাঁসের মত ভেসে চলা সুন্দর সুন্দর লঞ্চে সুখি মানুষজন দেখে একটু হলেও ভাবিত হয় বকুলের মন। মানুষগুলো কত আরামে আছে, আর তাকে বাবা, মা আর বড়চাচার বকুনি খেয়েই যেতে হয়। অন্যদিকে প্রাচুর্যের মাঝে জন্ম নিয়েও নীলা কতটা অসুখী। বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই তার মরে গেছে। তবুও বকুল আর বকুলের পোষ মানা শুশুকের মাঝেই নীলা খুঁজে পায় বেঁচে থাকার অদম্য বাসনা। মৃত্যুকে হার মানিয়ে সে আবার বাঁচতে শেখে। টুশকি নামক শুশুকটার জন্য তার গভীর ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। আর বকুল হয়ে ওঠে প্রানের বন্ধু। আর এই টুসকি যখন চুরি হয়ে যায় তখন টুসকিকে বাঁচানোর জন্য দুই বান্ধবীর প্রানের আকুতি নিয়েই মুহম্মদ জাফর ইকবালের অনবদ্য কিশোর উপন্যাস “বকুলাপ্পু”। পড়তে ভুলবেন না যেন।।। হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমে পরিচয় করিয়ে দেই বকুলাপ্পুর সাথে। এ হচ্ছে গ্রামের সবচেয়ে সাহসী মানুষ। কোন কাজে তার ভয় নেই, দিন ভর ছুটোছুটি করা আর আর বাচ্চাকাচ্চাদের হল নিয়ে গ্রাম টহল দেওয়া তার কাজ। সে জমিলা বুড়ির অভিশাপ দেওয়া হিজল গাছে উঠতেও ভয় পায়না। বিনিময়ে সে প্রতিনিয়ত বাসার বকা খায়, তার মনে হয় যে তার মেয়ে হুয়াটাই একমাত্র অপরাধ। বকুলের একদল ফ্যান আছে যারা তার সাথে সাথে ঘুরে এবং তারা বকুল ও আপু এ দুইটি শব্দ এক সাথে মিলে বকুলাপ্পু করেছে। এই হচ্ছে বকুল ও তার নামের ইতিহাস। একদিন সে নদীর এক পাশে একটা শুশূককে দেখতে পায়, দেখে শুশুকটি আহত হয়ে পারে শুয়ে আছে, বকুল সবার কাছ থেকে লুকিয়ে খুব যত্ন নিয়ে শুশুকটিকে সুস্থ করে তুলে। এভাবে শুশুকটি তার বন্ধু হয়ে যায়। তার নাম দেয় টুশকি, সে নদিতে ওটার সাথে খেলেও যায়। বকুল নদিতে প্রায় একটা জাহাজ দেখতে পায়, অনেক সুন্দর ধপধবে সাদা এক জাহাজ। সেটিতে সে একটি মেয়েকে দেখতে পায় যাকে কিনা তার পরীর মত লাগে। বকুল ভাবে মেয়েটি স্বপ্নের জগতে থাকে। কিন্ত্য আসলে তা না, নীলা এমন এক রোগে আক্রান্ত যা কিনা কোনও ডাক্তার ঠিক করতে পারে না। সে বেশিক্ষণ কোনও কাজ করতে পারে না, তার কোনও কিছুতে আকর্ষণ নেই। নীলাও বকুল কে দেখতে পায়, সেও ভাবে সে ওরকম বকুলের মত জীবন যদি পেতো! ঘটনাক্রমে বকুলের সাথে নীলার পরিচয় হয়, তারা একে অপরের খুব কাছের বন্ধু হয়ে যায়। এবং চিঠিতে তাদের প্রতিনিয়ত কথা হয়। বকুলের সাথে পরিচয় হবার পরে নীলাও আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠে। একদিন বকুল দেখে টুশকি কে আর পাওয়া যাচ্ছে না, পড়ে জানতে পারে তাকে ধরে নিয়ে গেছে শহর থেকে আশা এক দল। বকুল প্রথমে ঠিক করে নীলার সাথে দেখা করবে এর জন্য একা একা চলে যায় শহরে। কিন্তু তার পড়ে? ? মতামতঃ বইটি জাফর ইকবাল স্যারের মোটামুটি সব বাচ্চাদের উপন্যাসের মতোই, সাধারণ কিছু কাহিনী বাচ্চাদের উপযোগী করে লিখা। কিন্তু লিখনী গুনে বাচ্চা বড় সকলের কাছেই স্যারের বই গুলো অনেক প্রিয়। তবে সাধারণ কাহিনী হলেও গভীর একটা জিনিশ আছে এখানে। বকুল একটা সাধারন মেয়ে, সে মনে করে নীলা মেয়েটা বুঝি কত ভাল আছে। আবার অনেক টাকা পয়সার মাঝে থেকেও নীলা মনে করে বকুল জীবনই কত ভাল। এ রকম জিনিশ গুল খুব ভাল লেগেছে। আর বাকি ঠিকঠাক। স্যারের বর্তমান লিখা গউলোর মাঝে আগের সেই ফিলটা পাইনা, এটাই খারাপ লাগে।আর স্যারের লিখা গুলো বাচ্চাদের পড়তে দেওয়া উচত, তাহলে নিজের অনেক কিছু তারা নিজেরাই শিখতে পারবে যা বড় হয়ে কাজে দিবে। যাইহোক অনেক গম্ভীর কথা বলে ফেললাম, শেষ কথা সময় হলে বইটি পড়ে নিতে পাড়েন। ভাল সময় কাটবে, লস যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:- বকুলাপ্পু লেখক:- মোহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী:- অনন্যা প্রকাশনী ধরন:- কিশোর উপন্যাস রকমারি মূল্যঃ ১৩২ টাকা ভারী সুন্দর গ্রাম পলাশপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলে চন্দ্রা নদী । গ্রামের মতোই সুন্দর নদীটি। পলাশপুর গ্রামের শেষ প্রান্ত চন্দ্রা নদীর তীরে এক বড় হিজলগাছ আছে। গ্রামের মানুষ গাছটিকে অভিশপ্ত গাছ বলেই জানে। ছোটদের বিনোদনের বস্তু এই গাছটি। কখনো তারা এই গাছে উঠে লাফিয়ে পড়ে পানিতে, কখনো বা পাগলা ঘোড়া ভেবে গাছটিকে দোলায়। গ্রামের সেই বাচ্চাদের দলের নেতা ছিলো বকুল। ছোটরা বকুল আপু থেকে সংক্ষিপ্ত করে বকুলাপ্পু করেছে। ওরা বকুল আপু ডাকার চেয়ে বকুলাপ্পু বলে ডাকতে বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে। বকুল মেয়েটা খুব সাহসী আর স্বাধীনচেতা। সারাক্ষণ গ্রামে ঘুরে বেড়ায়, যা খুশি করে। কাউকে ভয় পায় না। তবে ভীষণ পরোপকারীও বটে। গ্রামের পশুপাখি, গাছপালা সবার জন্য তার মায়া। তবে একটু ডানপিঠে হোয়াতে গ্রামের মানুষ খুব বেশি পচ্ছন্দ করে না ওকে। তবে গ্রামের বাচ্চারা তাকে খুব ভালবাসে। বড়লোক বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে নীলা। এক দূর্ঘটনায় মাকে হারিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মন ভালো করতে বাবা প্রায়সী তাকে নিয়ে লঞ্চে করে ঘুরতে বের হয়। প্রায় সময়ই নীলা দেখে তার বয়সী একটি মেয়ে গাছের মগডাল থেকে পানিতে লাফ দিচ্ছে। একসময় বকুল হয়ে যায় নীলার প্রাণের বন্ধু। নীলাকি মান পারবে বকুলের মতো একজন ভালো বন্ধুর সঙ্গ পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে??? বকুল গ্রামের মেয়ে। সে কি পারবে তার চারদিকে ছরিয়ে থাকা গ্রামের গাছ-পালা, পশু-পাখি নিয়ে গড়ে উঠা তার পরিবেশকে বাঁচাতে নাকি আর দশটা মেয়ের মতো তাঁর পায়েও শিকল পড়বে। কোন বাঁধনে জরিয়ে পড়বে সে???? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- একটাই প্রতিক্রিয়া আমি পলাশপুর যাবো। রেটিং:- ৩/৫
Was this review helpful to you?
or
বকুল নামের গ্রাম্য এক ছটফটে ও দুরন্ত কিশোরীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে 'বকুলাপ্পু' কিশোর উপন্যাসটির কাহিনী। কিশোরী বকুলের দুরন্তপনার কোন সীমা নেই। সারাদিন পুরো গ্রাম চষে বেড়ায়, মাছ ধরে, সাতার কাটে, গাছে ওঠে এবং প্রয়োজন হলে হালকা মারপিটও করে, ফল স্বরূপ বড়দের বকুনি খায়। তবুও কোন কিছু দমিয়ে রাখতে পারে না তাকে। এমনকি সকলে যে জমিলা বুড়ীকে যমের মত ভয় পায়, বকুল তাকে নিয়েও মজা করে এবং অভিশপ্ত বিপদজনক হিজল গাছে ওঠে , যা কেউ কল্পনা পর্যন্ত করতে পারে না। 'বকুলাপ্পু' গল্পটির মধ্য দিয়ে গ্রামে প্রচলিত কুসংস্কার ও বাল্য বিবাহের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। গ্রামীণ সমাজে বারো বছরেই মেয়েদের বিয়ের বয়স হয়ে যায় এবং পড়াশোনা বাদ দিয়ে তারা সংসারের হাল ধরতে শেখে। বকুলের গ্রামের মত বর্তমান গ্রামীন সমাজেও এই বাল্য বিবাহের প্রভাব দেখা যায়। বকুলের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এক শুশুকের সাথে, যাকে সে মৃত্যুর হাত থেকে বাচিয়ে তোলে। টুশকি নামক শুশুকটির সাথে এক পর্যায়ে তার গভীর ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। এরপর বকুলের সাথে পরিচয় হয় তার স্বপ্নলোকের মেয়ে নীলার। দুর্ঘটনায় মাকে হারিয়ে যার জীবন প্রায় নৈঃশব্দের মত হয়ে গিয়েছিল, বকুলের প্রাণ উচ্ছলতায় উদ্দীপ্ত হয়ে সেও নতুন করে বাচার প্রেরণা পায়। মৃত্যুকে হার মানিয়ে সে আবার বাচতে শেখে। টুশকীর চুরি হয়ে যাওয়া আর তাকে উদ্ধারের ঘটনায় এক দিকে যেমন প্রাণীদের নিরাপত্তাহীনতার কথা উঠে এসেছে, তেমনি পাঠক উপভোগ করতে পারে বকুল ও নীলার টুশকিকে উদ্ধার করার অভিযান। 'বকুলাপ্পু' এক গ্রাম্য কিশোরীর জীবনের ছোট খাট ঘটনার মধ্য দিয়ে গ্রামীণ জীবনের এক সাদামাটা চিত্র তুলে ধরেছে। বইটি পড়তে গিয়ে পাঠক বকুলের সাথে হারিয়ে যাবে তার দুরন্ত কৈশোর এ।