User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই ! সাইন্স ফিকশন এর অন্যতম সেরা একটি বই। অনেক সুন্দর লিখেছেন আইজ্যাক আসিমভ। এখন পরবর্তী পর্বগুলো পড়ব এই অসাধারণ গল্পের।
Was this review helpful to you?
or
Nice translation .
Was this review helpful to you?
or
প্রথম বার বইটা পড়তে অশেষ কষ্ট হয়েছিল, তবুও ধৈর্য ধরে পড়েছিলাম। প্রকৃত মজা পাই দ্বিতীয় বার পড়ার সময়। কাজেই কারো যদি পড়তে কষ্ট হয় একটু ধৈর্য ধরে পড়তে থাকুন একটি অসাধারন সিরিজের প্রথম বই। একটা বই পড়লেই নিঃসন্দেহে বুঝে যাবেন কেন আসিমভকে গ্রান্ডমাস্টার বলা হয়।
Was this review helpful to you?
or
আইজ্যাক আসিমভ এর সায়েন্স ফিকশন অনেক বেশি মজার হলেও, এই বইয়ে তিনি রাজনৈতিক কিছু কথাও সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাই এই ফিকশন অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।
Was this review helpful to you?
or
সায়েন্স ফিকশন জগতের অন্যতম বিখ্যাত লেখক আইজাক আসিমভ আর সায়েন্স ফিকশনের এই গ্র্যান্ডমাষ্টারের শ্রেষ্ঠতম কীর্তি “ফাউন্ডেশন” ।অসাধারন কল্পকাহিনী সমৃদ্ধ এই বইটি পড়তে আসাধারনই লাগে।জি এইচ হাবিবের অনুবাধ ও ভাল হয়েছে অনেক।বইটির মূল কাহিনী হল,সব গ্রহ মিলে গড়ে উঠেছে “এম্পায়ার”, যার শাসনকেন্দ্র “ট্র্যানটর” নামের গ্রহ । সভ্যতার চরম উৎকর্ষে মানুষ । কিন্তু এম্পায়ারের শাসকদের সীমাহীন লোভ আর অদূরদর্শিতার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এম্পায়ার । ট্র্যানটরের বিজ্ঞানী “হ্যারি সেলডন” এ সময় আবিষ্কার করেন সাইকোহিস্ট্রি বা মনো-ইতিহাস, উদ্ভাবন সাইকোলজি থেকে হলেও যা মূলত স্ট্যাটিসটিক্যাল সায়েন্স । সাইকোহিস্ট্রি গাণিতিক ভাবে বিশাল কোন জনগোষ্ঠির ভবিষ্যৎবানী করতে সক্ষম । মানবগোষ্ঠি যত বড় হবে, সাইকোহিস্ট্রি’র গনিতের ফলাফল (ভবিষ্যৎবানী) হবে তত নির্ভুল । তবে স্ট্যাটিসটিক্যাল সায়েন্স বলেই, কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা কয়েকজন ব্যাক্তি’র বেলায় কার্যকর নয় এই বিজ্ঞান । হ্যারি সেলডন সাইকোহিস্ট্রি’র সাহায্যে ভবিষ্যৎবানী করেন – আর পাঁচশ বছরের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে এম্পায়ার । সব গ্রহ এম্পায়ারের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে । এই বিদ্রোহ আর যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসভ্যতা । মানুষ আবার ফিরে যাবে বিজ্ঞানহীন বর্বর যুগে, যার ব্যাপ্তি হবে ত্রিশ হাজার বছর । সেলডনের এই মতবাদ খেপিয়ে দেয় এম্পায়ারের শাসকগোষ্ঠিকে । রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারের সম্মুখীন করা হয় তাকে । বিচারে প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে সেলডন বলেন – তিনি এবং তার প্রজেক্টে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ধ্বংস পরবর্তী ত্রিশ হাজার বছরের অন্ধকার যুগকে কমিয়ে এক হাজার বছরে আনতে কাজ করছেন । তারা চান, পৃথিবীর সব জ্ঞানকে একত্রিত করে এন্সাইক্লোপেডিয়া বানাতে এবং সব গ্রহে তার অনুলিপি সংরক্ষন করতে, যাতে অন্ধকার সেই যুগে মানুষ এই এন্সাইক্লোপেডিয়ায় সংরক্ষিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আবার নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে পারে । সেলডনের মতো এতো বিখ্যাত একজন বিজ্ঞানীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার সাহস পায়না শাসকগোষ্ঠি, আবার তাকে ট্র্যানটর-এ রাখাও বিপদজ্জনক । তাই সম্রাটের পক্ষ থেকেই তার কাজকে অনুমোদন ও পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় এবং কাজের সুবিধার্থে তাকে এবং তার প্রজেক্টে’র লোকদের পাঠানো হয় এম্পায়ার থেকে অনেক দূরে, গ্যালাক্সির অপর প্রান্তে “টার্মিনাস” নামের একটি জনবসতিহীন গ্রহে । মূলত – সেলডনকে দূরে রাখা এবং নির্বাসনে পাঠানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য । ছ’মাসের মধ্যে সেলডন ও তার প্রজেক্টে’র সব বিজ্ঞানীরা চলে যান টার্মিনাসে । এদিকে এই প্রোপাগান্ডা, বিচার এবং বিচারের ফলাফল ছিল সেলডনের দীর্ঘ দিনের সাইকোহিস্ট্রি’র চর্চা এবং এম্পায়ারের শাসকদের উপর তার পর্যবেক্ষনের উপর ভিত্তি করে পূর্বানুমিত এবং ক্ষেত্র বিশেষে সেলডনেরই পূর্ব পরিকল্পিত । প্রকৃত পক্ষে তিনিই আলাদা একটি গ্রহে যেতে চাইছিলেন তার প্রজেক্টে’র লোকদের,- তথা সেরা বিজ্ঞানীদের নিয়ে । তার আসল লক্ষ্য গ্যালাক্সির সেরা বিজ্ঞানীদের নিয়ে দুটি গ্রহে দুটি “ফাউন্ডেশন” স্থাপন করা, ধ্বংসত্তোর যুগে যাদের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে নতুন সভ্যতা এবং প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন এম্পায়ার । এর মধ্যে প্রথমটি হবে প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব, যার অবস্থান টার্মিনাসে । আর দ্বিতীয় ফাউন্ডেশন থাকবে সবার অগোচরে, অজ্ঞাত গ্রহে । প্রথম ফাউন্ডেশনের সাথে সাথে তিনি গোপন এক গ্রহে স্থাপন করেন দ্বিতীয় ফাউন্ডেশন, যার অবস্থান এবং কাজের ব্যপারে, এমনকি প্রথম ফাউন্ডেশন এরও কেউ কিছু জানে না । আর অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তিনি নিশ্চিত করেন, সাইকোহিস্ট্রি তো দূরের কথা এমনকি সাইকোলজিতে পন্ডিত কোন বিজ্ঞানী যাতে প্রথম ফাউন্ডেশনে না থাকে । মৃত্যুর আগে সেলডন তার কিছু বক্তব্য হলোগ্রাফিক ভিডিওতে রেখে যান, যেগুলো টার্মিনাসের এক কক্ষে রাখা হয় । বলা হয়, নির্দিষ্ট কিছু বিপর্যয়ের সময় ফাউন্ডেশনের জন্ম বার্ষিকীতে খুলে যাবে ভল্ট এবং আবির্ভূত হবে সেলডনের হলোগ্রাফিক ভিডিও, যাতে থাকবে তার বক্তব্য এবং পথ-নির্দেশনা । পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ বছর । মানব সভ্যতার চিরাচরিত নিয়মে আশেপাশের শক্তিশালী গ্রহগুলো দখল করতে চায় ফাউন্ডেশন । কিন্তু রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবিহীন বিজ্ঞানীরা এই দখলের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নারাজ । ফাউন্ডেশনের নতুন জেনারেশন, যাদের নেতা মেয়র “স্যালভর হার্ডিন”, ন্যুনতম আত্বরক্ষার জন্য হলেও সামরিক ক্ষমতা অর্জনের পক্ষে । অন্যদিকে এন্সাইক্লোপেডিয়া কমিটির প্রধানের বক্তব্য- তাদের কাজ শুধু “সেলডন প্ল্যান” অনুযায়ী এন্সাইক্লোপেডিয়া বানানো; সামরিক সক্ষমতা অর্জন নয় । এমনি বিপর্যয়ের সময়, ফাউন্ডেশন স্থাপনের পঞ্চাশতম বার্ষিকীতে খুলে যায় ভল্ট এবং আবির্ভূত হয় সেলডনের হলোগ্রাফিক ভিডিও । পূর্ব ধারণকৃত এই বার্তায় সেলডন প্রকাশ করেন ভয়ঙ্কর সত্য । তিনি বলেন- ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য কখনই এন্সাইক্লোপেডিয়া বানানো নয় বরং এম্পায়ারের শাসকদের এই অজুহাত দেখিয়ে তিনি ব্যবস্থা করেন ট্র্যানটর থেকে অনেক দূরে আলাদা একটি গ্রহের, যেখানে থাকবে তরুণ, উদ্যমী এবং মেধাবী কিছু বিজ্ঞানী । এই জনগোষ্ঠী ইম্পেরিয়াল সিভিলাইজেশন থেকে অনেক দূরে থেকে সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ ভাবে বেড়ে উঠবে এবং হাজার বছর পর তারাই গড়ে তুলবে বিজ্ঞান সমৃদ্ধ নতুন সভ্যতা তথা নতুন এম্পায়ার । সেলডন ফাউন্ডেশনের জনগনকে নিজেদের উদ্যোগেই বিপর্যয় থেকে পথ বের নিতে বলেন । সেদিনই মেয়র স্যালভর হার্ডিন ক্যু’এর মাধ্যমে এন্সাইক্লোপেডিয়া কমিটির প্রধানের কাছ থেকে দখল করেন ক্ষমতা, এন্সাইক্লোপেডিয়া কমিটিকে করা হয় অবলুপ্ত । জটিল থেকে জটিলতর দিকে মোড় নেয় কাহিনী । ফাউন্ডেশনের জনগন পা রাখে তাদের নতুন ইতিহাসের পথে । অস্ত্র নেই, শক্ত অর্থনীতি নেই, তারপরও তাদের মনে দৃঢ় বিশ্বাস – সেলডন প্ল্যান আছে তাদের রক্ষার জন্য । এই সেলডন প্ল্যান আর লুকিয়ে থাকা সেকেন্ড ফাউন্ডেশন রক্ষা করবে তাদের প্রতিটি বিপদে । ফাউন্ডেশন কি পারবে আশেপাশের শক্তিশালী গ্রহগুলোর আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ? কিভাবে তারা পাড়ি দেবে আরও ৯৫০ বছর ? আদৌ কি সেলডন প্ল্যান সঠিক ? সত্যিই কি তারা গড়ে তুলবে নতুন সভ্যতা ? সেকেন্ড ফাউন্ডেশন কোথায় ? তাদের অবস্থান কেউ জানেনা কেন? কি নেই এই বইতে ? পড়তে পড়তে পাঠকের মনে হবে, এ যেন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে মানব সভ্যতার উম্মেষ, উত্তরণ আর দীর্ঘ পথযাত্রার বর্ণনা’র ক্ষুদ্র সঙ্কলন । ভবিষ্যতের বিজ্ঞান নিয়ে কোন কল্প কাহিনী নয় – আমাদের বর্তমান পৃথিবী আর সমকালীন রাজনীতির কোন কাহিনী । দূর্বলকে সবলের গ্রাস করার আকাঙ্ক্ষা, অর্থনীতির মাধ্যমে সবল হয়ে ওঠা, অজানা জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি মানুষের ভয় এবং তার ব্যাখ্যার জন্য ধর্মকে টানা, অজ্ঞানতাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে শাসন, মোল্লাতন্ত্র, স্বৈরাচারী শাসকদের নিজেকে ধর্মীয় অবতার হিসাবে জাহির ও ধর্মকে ব্যবহার করে রাজ্যশাসন ইত্যাদি সব কিছুই যেন মানবসভ্যতার ইতিহাসের কোন না কোন সময়ের কাহিনীকে তুলে ধরে । তাই পাঠকদের বলব বইটি পড়তে মিস করবেন না।
Was this review helpful to you?
or
সায়েন্স ফিকশন হল আধুনিক যুগের রূপকথা।- সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই রূপকথার সবচেয়ে বড় কথক হলেন আইজ্যাক আসিমভ। বলা হয়ে থাকে আইজ্যাক আসিমভ হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট কল্পকাহিনী লেখক, 'গ্র্যান্ডমাস্টার অফ সায়েন্স ফিকশন।' সম্পূর্ণ অবাস্তব এক জগৎকেও পাঠকের কাছে বাস্তব করে তোলার এক অসামান্য দক্ষতা আছে আইজ্যাক আসিমভের। তার বইগুলোতে নতুন এক বাস্তবতা কল্পনা করা হয়, যেখানে আমাদের বর্তমান বাস্তব এর ছিঁটেফোটা খুঁজে পাওয়া গেলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে সেই নতুন বাস্তবেরই এক অবিচ্ছেদ্য উপকরন। আইজ্যাক আসিমভের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা হলো ফাউন্ডেশন সিরিজ। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে, সিরিজের প্রথম বই ফাউন্ডেশনের প্রকাশের মধ্য দিয়ে, এরপর ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়, ফাউন্ডেশন এন্ড দি এম্পায়ার ও দি সেকেন্ড ফাউন্ডেশন। এই তিনটি বইকে একত্রে বলা হয় ফাউন্ডেশন ট্রিলজী। এটিই অরিজিনাল ফাউন্ডেশন সিরিজ। পরবর্তীতে ৮০ এর দশকে এ সিরিজের আরো ৮টি বই বের হয় - ফাউন্ডেশন্স এজ, ফাউন্ডেশন এন্ড দি আর্থ, প্রিলিউড ট্যু ফাউন্ডেশন এবং ফরোয়ার্ড দি ফাউন্ডেশন। এ পর্বে মূলত আলোচনা করা হবে ফাউন্ডেশন ট্রীলজি নিয়ে। ফাউন্ডেশন সিরিজের পটভূমি হলো ফার্স্ট গ্যালাকটিক এম্পায়ার, যার ব্যপ্তি সৌরজগতের ন্যায় প্রায় ২৫ মিলিয়ন তারা নিয়ে, এর জনসংখ্যা কোয়াড্রিলিয়নে হিসাব করা হয়, যা একটি অকল্পনীয় বড় সংখ্যা। প্রায় ১২ হাজার বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত এ সাম্রাজ্যকে বলা হত মানবসভ্যতার সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন। মনে করা হত কোনো কিছুই এর পতন ঘটাতে সক্ষম নয়। কিন্তু বাস্তবতা এতটা মধুর ছিলো না। এম্পায়ার এর অকল্পনীয় উন্নত সভ্যতায় ধীরে ধীরে ঘুন ধরছিল। তার বাইরের জৌলুশ আর ক্ষমতায় সেই ক্ষয়কে দেখা না গেলেও ভিতরে ভিতরে তা ছড়িয়ে পড়ছিল, ধীরে ধীরে এগিয়ে আগিয়ে আনছিল এর ধ্বংসের সময়কাল। সত্যটি প্রথম উপলব্ধি করতে পারেন এম্পায়ার এর অত্যন্ত গুরুত্বহীন রাজ্য 'হ্যালিকন' এর একজন গণিতবিদ, তার নাম হ্যারী সেলডন। ৩০ বছর বয়সে ল্যাবটারীতে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে নেহাৎ মজা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইকুয়েশন নিয়ে একটি হাইপোথিসিস দাঁড়া করানর সময় তিনি একটি অদ্ভুত সামঞ্জস্য খুঁজে পান সমাজতত্ত্ব এবং গণিতের মধ্যে, যা তাঁর পরবর্তী জীবণকে সম্পূর্ণ বদলে দেয়। পরবর্তীতে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এই যোগসাজশকে একটি বিজ্ঞানে রূপান্তরিত করেন, যার নাম হলো সাইকোহিস্টোরী। তো সাইকোহিস্টোরী আসলে কি? সাইকোহিস্টোরি 'মব সাইকোলজী' বা সাধারণ মানুষের মানসিকতা এবং কর্মপ্রবৃত্তি গণনা করতে পারে। যার ফলে তারা ভবিষ্যতে কি করবে বা করতে যাচ্ছে তা আগে থেকেই জানা সম্ভব। আর সাধারণ মানুষ নিয়েই যেহেতু মানব সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, তাই মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ এর মাধ্যমে নিরুপণ করা সম্ভব। সাইকোহিস্টোরি দ্বারা সেলডন এম্পায়ারের আসন্ন পতন দেখতে পেলেন, তার গবেষণা এম্পায়ারের পতনের পরবর্তী প্রায় ৮০ হাজার বছর সম্পর্কেও একটি ধারণা দিল, যা হবে অরাজকতাময় এবং হানাহানিপূর্ণ। এম্পায়ারের পতনের ফলে জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতি পুরোপুরি থেমে যাবে, মানবসভ্যতা পেছনের দিকে চলতে শুরু করবে। ৮০ হাজার বছর পরে হয়ত আরেকটি সেকেন্ড গ্যালাকটিক এম্পায়ার তৈরি হবে, কিন্তু তার আগের সময়টি হবে এক অন্ধকার সময়। এ ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে সেলডন একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, যা 'সেলডন প্ল্যান' নামে পরিচিত। সাইকোহিস্টোরী দ্বারা চালিত এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হল অরাজক সময়টিকে ৮০ হাজার বছর থেকে কমিয়ে এনে মাত্র ১ হাজার বছরে নিয়ে আসা, তারপরেই দ্বিতীয় আরেকটি সাম্রাজ্যের সূচনা করা। এ কাজ করার জন্যে তিনি একটি সংগঠন গড়ে তোলেন, যা হল ফাউন্ডেশন। ট্রিলজীর প্রথম বই 'ফাউন্ডেশন' এ বর্ণিত হয়েছে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত। এনসাইক্লোপিডিয়া সৃষ্টির কথা বলে নিরীহ সংগঠন হিসাবে শুরু হওয়া এই ফাউন্ডেশন পতনশীল সাম্রাজ্যের দূরতম কোণের একটি গ্রহে অবস্থান নেয়। শুরু হয় ১০০০ বছরে পুরো গ্যালাক্সী দখল করার পরিকল্পনার। কিছুকাল পরে গ্যালাক্সীর দূরতম প্রান্তে এম্পায়ারের কতৃর্ত্বের অবসান ঘটলে শুরু হয় অরাজক অবস্থার।এই সময়ে ফাউন্ডেশনকে মুখোমুখি হতে হয় হাজারো বাধার, এবং তা মোকাবেলা করতে গিয়ে সৃষ্টি হয় কিছু মহান নেতার, যারা ফাউন্ডেশনকে পরিণত করেন একটি উল্লেখযোগ্য শক্তিতে। গ্যালাক্সীর প্রান্তে এম্পায়ার কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেললেও কেন্দ্রে তা এখনো অত্যন্ত ক্ষমতাশীল। এম্পায়ারের শেষ শক্তিশালী সম্রাট ক্লীয়ন দ্বিতীয় সুনিপুন দক্ষতায় এম্পায়ারকে আবারো সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন। এদিকে এককালের অজেয় ইম্পেরিয়াল নেভির জেনারেল বেল রায়োজ ফাউন্ডেশনের গ্যালাক্সীপ্রান্তে প্রভাব এবং গ্যালাক্সী দখলের আসল উদ্দেশ্য জানতে পেরে শংকিত হয়ে ওঠে। ফাউন্ডেশনকে থামানোর জন্য নেভির সবচেয়ে শক্তিশালী - টুয়েন্টিথ ফ্লিট নিয়ে রায়োজ যাত্রা শুরু করে ফাউন্ডেশন রাজধানী টার্মিনাস অভিমুখে। ফাউন্ডেশন এবং এম্পায়ারের মধ্যে শুরু হয় এক দীর্ঘ যুদ্ধের। এমন এক গল্প নিয়ে রচিত ট্রিলজীর দ্বিতীয় বই 'ফাউন্ডেশন এন্ড দি এম্পায়ার' এর প্রথম অংশ। কে জেতে সেই যুদ্ধে? তা আর নাই বা বললাম।