User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Just awesome
Was this review helpful to you?
or
রূপকথার গল্পে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুড়ি নেই। সুয়োরানী দুয়োরানীর এই গল্পও রুপকথার গল্প। শাড়ি, গহনা নিয়ে উত্তোরত্তোর বিলাসে ভাসা সুয়োরানী আর এক মায়া বানর নিয়ে তুষ্ট থাকা দুয়োরানী মানুষের দুটো আলাদা সত্ত্বাকে প্রকাশ করে। রূপকথার গল্প হলেও ক্ষীরের পুতুল তাই বাস্তবতার এক চিত্র আঁকার চেষ্টা করে যা বিদ্গ্ধ পাঠকের চোখেই ধরা দেবে। ক্ষিরের পুতুল একদিকে ছোটদের জন্য রূপকথা আর বড়দের জন্য ভাষা এবং প্রকাশের এক অনবদ্য সাহিত্য হয়ে টিকে আছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ ক্ষীরের পুতুল (পেপারব্যাক) লেখকঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স বইয়ের ধরনঃ শিশু-কিশোর বই প্রচ্ছদঃ আশিস সেনগুপ্ত পৃষ্ঠাঃ ৫৪ মুদ্রিত মুল্যঃ ৫০৳ (ভারতীয়) #রিভিউঃ এক রাজার দুই রানী। দুয়ো আর সুয়ো। রাজবাড়িতে সুয়োরানীর কত আদরযত্ন! সাতশো দাসী সেবা করে, পা ধোয়, আলতা পরায়, চুল বাঁধে, সাত সিন্ধুক ভরা সাত হাজার ধন-মানিকের গহনা। রাজার একেবারে প্রাণ সুয়োরানী। আর বড়রানী- দুয়োরানীর বড় অনাদর, অযত্ন, অবহেলা। রাজার দু’চক্ষের বিষ। থাকেন ভাঙ্গা ঘরে, পড়েন জীর্ণ শাড়ি, শুতে দিয়েছেন ছেঁড়া কাঁথায়। রাজা একদিন রাজমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে বললেন জাহাজ সাজাতে, তিনি দেশ-বিদেশ ভ্রমনে বের হবেন। রাজা বিদেশ যাবার আগে সুয়োরানীর সাথে দেখা করলেন এবং জানতে চাইলেন কিছু আনবে কিনা। সুয়োরানী সাথে সাথে বললেন তাঁর জন্যে আট গাছা মানিকের চুড়ি, আগুন বরণ সোনার দশগাছা মল, পায়রার ডিমের মত মুক্তোর হার, জলের মত চিকন শাড়ি আনতে। এদিকে দুয়োরানীর কাছে জানতে চাইলে সে বলে রাজা ভালোয় ভালোয় ফিরুক এই কামনা সে করে আর সাথে করে আনতে বলে একটা পোড়ামুখো বানর। দীর্ঘ ছ’মাস পর রাজা দেশ-বিদেশ ঘুরে এলেন। রাজা ছোটরানীকে তাঁর জন্যে আনা সকল উপহার দিলেন। কিন্তু দিলে কি হবে কিছুই যে মাপমতো হয়নি! রাগে-অভিমানে রানী ঘরের দরজায় খিল দিলেন। আর বড়রানী বানরকে পেয়ে সানন্দে গ্রহণ করলেন। লালন-পালন করতে লাগলেন বানরকে। এভাবেই কাটছিল সবার দিন। সুয়োরানী সাতশো দাসীর মাঝে সুখ করে, ওদিকে দুয়োরানী শুধু ছোটরানীর সুখ দেখে হা-হুতাশ করে। এসবতো তারই প্রাপ্য ছিল। অথচ আজ সে পথের ভিকিরি। চোখের জল ফেলতে ফেলতে সে পোড়ামুখো বানরকে নিজের দুঃখের কথা সব খুলে বলে। বানর প্রতিজ্ঞা করে সে যে করেই হোক দুয়োরানীর সবকিছু তাঁকে ফিরিয়ে দিবে। কিন্তু বানর কিভাবে দূর করবে রানীর সব দুঃখ? পারবে কি সব ফিরিয়ে দিতে? কি করেই বা শাস্তি পাওয়ায় হিংসুটে সুয়োরানীকে? হ্যাঁ, রানী সবই ফিরে পায়। স্বামী-সন্তান, রাজবাড়ির আরাম-আয়েশ। কিন্তু কিভাবে তা জানতে হলে পড়তে হবে “ক্ষীরের পুতুল”। আর যিনি এ-গল্প লিখেছেন তিনি হলেন এক-অবাক করা জাদুকর। তাঁর হাতের ছবি কথা বলত, কথা হয়ে উঠত ছবির মতন। তিনি হলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। #বিখ্যাত_লেখকের_পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ “বইটার নাম 'ক্ষীরের পুতুল'। লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পাতায় পাতায় ছবি। 'ক্ষীরের পুতুল' হচ্ছে আমার প্রথম-পড়া 'সাহিত্য'। ...বাসায় এসেই বসেছি ক্ষীরের পুতুল নিয়ে। এই বই নিয়ে বসলেই ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন ফিরে আসত। মূহুর্তে চলে যেতাম অন্য কোনো পৃথিবীতে। কি অদ্ভুত পৃথিবীই-না ছিল সেটি! ....'ক্ষীরের পুতুল' বইটি আমার জীবনধারা অনেকখানি পালটে দিল। এখন আর দুপুরে ঘুরতে ভালো লাগে না। শুধু গল্পের বই পড়তে ইচ্ছে করে। কুয়োতলার লাগোয়া একটা ঘর, দুপুরের দিকে একেবারে নিরিবিলি হয়ে যায়। দরজা বন্ধ করে জানালায় হেলান দিয়ে গল্পের বই নিয়ে বসি। জানালার ওপাশে কাঁঠালগাছের গুচ্ছ। সেই কাঁঠালগাছে ক্লান্ত ভঙ্গিতে কাক ডাকে। এ ছাড়া চারদিকে কোনো শব্দ নেই। অদ্ভুত নৈঃশব্দের জগৎ। এটা যেন চেনা-জানা পৃথিবী নয়, অন্য কোনো ভুবন”। -হুমায়ুন আহমেদ। সূত্র: আমার ছেলেবেলা। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/42753/ক্ষীরের-পুতুল-
Was this review helpful to you?
or
বইটার নাম 'ক্ষীরের পুতুল'। লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পাতায় পাতায় ছবি। 'ক্ষীরের পুতুল' হচ্ছে আমার প্রথম-পড়া 'সাহিত্য'। সাহিত্যের প্রথম পাঠ আমি আমার বাবা-মা'র কাছ থেকে পাইনি। বাবার বিশাল লাইব্রেরি ছিল। সেই লাইব্রেরির পুস্তকসংখ্যা মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো। সমস্ত বই তিনি তালাবদ্ধ করে রাখতেন। বাবার লাইব্রেরির বই আমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের নাগালের বাইরে ছিল। বাবা হয়তো ভেবেছিলেন, এসব বই পড়ার সময় এখনও হয়নি। শুক্লাদি তা ভাবেননি। তিনি অসাধারণ একটি বই একটি বাচ্চা-ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে তার স্বপ্নজগতের দরজা খুলে দিলেন। স্বপ্নজগতের দরজা সবাই খুলতে পারে না। দরজা খুলতে সোনার চাবির দরকার। ঈশ্বর যার-তার হাতে সেই চাবি দেন না। সে চাবি থাকে অল্পকিছু মানুষের কাছে। শুক্লাদি সেই অল্পকিছু মানুষদের একজন। ...বাসায় এসেই বসেছি ক্ষীরের পুতুল নিয়ে। এই বই নিয়ে বসলেই ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন ফিরে আসত। মূহুর্তে চলে যেতাম অন্য কোনো পৃথিবীতে। কি অদ্ভুত পৃথিবীই-না ছিল সেটি! শুক্লাদির দেয়া ক্ষীরের পুতুল বইটি উনিশশো একাত্তর পর্যন্ত আমার সঙ্গে ছিল। একাত্তরের অনেক প্রিয় জিনিসের সঙ্গে বইটিও হারিয়েছি। কিন্তু সত্যি কি হারিয়েছি? হৃদয়ের নরম ঘরে যাদের স্থান দেয়া হয় তারা কি কখনো হারায়? কখনো হারায় না।... 'ক্ষীরের পুতুল' বইটি আমার জীবনধারা অনেকখানি পালটে দিল। এখন আর দুপুরে ঘুরতে ভালো লাগে না। শুধু গল্পের বই পড়তে ইচ্ছে করে। কুয়োতলার লাগোয়া একটা ঘর, দুপুরের দিকে একেবারে নিরিবিলি হয়ে যায়। দরজা বন্ধ করে জানালায় হেলান দিয়ে গল্পের বই নিয়ে বসি। জানালার ওপাশে কাঁঠালগাছের গুচ্ছ। সেই কাঁঠালগাছে ক্লান্ত ভঙ্গিতে কাক ডাকে। এ ছাড়া চারদিকে কোনো শব্দ নেই। অদ্ভুত নৈঃশব্দের জগৎ। এটা যেন চেনা-জানা পৃথিবী নয়, অন্য কোনো ভুবন।