User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ রাজসাহীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং রাজশাহী পরিচিতি। লেখকঃ শ্রী কালীনাথ চৌধুরী এবং অন্যান্য। সম্পাদনাঃ ড. তসিকুল ইসলাম। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪১৫ প্রচ্ছদ শিল্পীঃ সিকদার আবুল বাশার। প্রকাশকঃ গতিধারা। গোটা বঙ্গদেশেরই অন্যতম প্রাচীন জনপদ বরেন্দ্রভূমি। সমুদ্র সমতল থেকে বেশ খানিকটা উঁচু প্রাচীন এই জনপদের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। মৌর্য থেকে শুরু করে শুঙ্গ, কুষাণ, গুপ্ত, পাল, সেন, সুলতান, মোগল, এবং ইংরেজদের দ্বারা শাসিত এই জনপদের পূর্ব পরিচয় ছিল বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী। অসংখ্য ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সমৃদ্ধ এই অঞ্চল শুধু বাংলাদেশেরই নয়, গোটা ভারতবর্ষের ইতিহাসকেই সমৃদ্ধ করেছে। আর এই বরেন্দ্র অঞ্চলেরই একটি বৃহৎ অংশ বর্তমানে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। অথচ অসংখ্য স্মৃতিবিজড়িত, নদী বিধৌত এই অঞ্চলের লিখিত প্রামাণ্য ইতিহাস খুব বেশি নেই। ১৯০১ সালে শ্রী কালীনাথ চৌধুরী বিরচিত ‘রাজসাহীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ (১৯৪৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত রাজশাহীর বানানে ‘শ’ এর পরিবর্তে ‘স’ ব্যবহার করা হত ) গ্রন্থটি বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস দর্পণ হিসেবে ১০০ বছর ধরে সর্বমহলে বহুল পঠিত ও সমাদৃত হয়েছে। এরপর ১৯৮০ সালে ‘বরেন্দ্র একাডেমী’র সম্পাদনা পরিষদের পক্ষ হতে ‘রাজশাহী পরিচিতি’ নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি আসলে ১২ টি প্রবন্ধের সংকলন, যার সম্পাদনায় ছিলেন প্রখ্যাত প্রস্তরলিপি বিশারদ মৌলভী শামসুদ্দীন আহমদ সাহেব। পরবর্তীতে ড. তসিকুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর সম্পাদনায় গতিধারা প্রকাশনী থেকে উপরিউক্ত গ্রন্থদ্বয়কে অপরিবর্তিত রেখে একত্রে দুই মলাটের মধ্যে আবদ্ধ করে অপর একটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হয় যার নাম ‘রাজসাহীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং রাজশাহী পরিচিতি’। বইটিতে বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রামপুর বোয়ালিয়া (রাজশাহী সদর) অঞ্চলের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। উপরিউক্ত মূল গ্রন্থদ্বয় প্রকাশের সময়কালে এসকল অঞ্চল রাজশাহী জেলার অধীনে মহকুমা শহর হিসেবে স্বীকৃত ছিল। তাই রাজশাহী জেলার পরিচিতিতে এসকল এলাকার কথাও উঠে এসেছে। এসকল এলাকার প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক পরিচয়, ভাষা, ধর্ম, লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি, রাজা ও জমিদার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প, নদী-নালা, জীব-জন্তু ইত্যাদির বর্ণনা ফুটে উঠেছে এই বইটিতে। বইটি ইতিহাস পিয়াসী পাঠকদের রাজশাহী সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য সরবরাহ করবে বলে আমার ধারণা। যে অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় জাদুঘর (বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর) রয়েছে, সেই সমৃদ্ধ অঞ্চলের ইতিহাস বিষয়ক কোনও বই থাকবেনা- তা কি হয়? এই অভাব পূরণের অন্যতম একটি প্রয়াস এই বই। এমন একটি বই সংগ্রহ করতে পেরে আমি নিজেও গর্বিত। বইটির একটি দৃষ্টিকটু দিক হল ছাপাখানার ভূতের কারসাজি – ছাপার ভুল। এমন একটি প্রামাণ্য দলিল স্বরূপ বইতে এমন ভুল বোধ হয় আশা করা যায় না। সংগ্রহে রাখার এবং পড়ার মত একটা বই। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে আমার মত যাদের নাড়িপোঁতা, তাদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।