Our User Product Reviews

সামাজিক অনেক অসুস্থতা,সমস্যা এবং বৈরিতা আজ নারী সমাজ মোকাবিলা করছে এবং আমাদের আন্তরিকভাবেই তাদের জন্য টেকসই শছস ও মানবিক সমাধানের প্রয়োজন। এ কারণে বলতেই হয় নারী অধিকার হচ্ছে অধিকতর সমসাময়িক বিশ্লেষণযোগ্য, প্রাসঙ্গিক এবং মানবীয় আকর্ষণীয় বিষয়। অত্র গ্রন্থে ড. জাকির নায়েক উক্ত বিষয়েই জ্ঞানগর্ভ ও দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেছেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অনেক অজানা ও কৌতুহল উদ্দীপক প্রশ্নের যুক্তিসংগত উত্তর দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের প্রতি পশ্চিমা ভাবধারার আধুনিক নারী-পুরুষ সকলের একটি কমন অভিযোগ হচ্ছে এতে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়নি। কিন্তু অত্র গ্রন্থে ড. জাকির নায়েক চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন যে কুরআনে নারীদেরকে মর্যাদাপূর্ণ আসনই দিয়েছে। বাস্তব সমস্যা হলো একটি, সেটা হলো আমাদের অজ্ঞতা, কুরআনের মূল বিষয় বুঝার ব্যাপারে। এ কারণেই তিনি জনগণকে শিক্ষিত ও আলোকিত করার প্রয়াসেই অত্র গ্রন্থ রচনা করেন এবং এ বিষয়ে জনগণের সামনে লেকচার প্রদান করেছেন। অত্র গ্রন্থে তিনি নারীদের অধিকারসমূহকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন, যথা- আত্মিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, আইনগত ও রাজনৈতিক অধিকার এবং সেগুলো নিয়ে কুরআন-হাদীসে আলোকে যুক্তিনির্ভর ও তথ্য-উপাত্তমূলক আলোচনা করা দেখিয়েছেন যে কুরআন নারী-পুরুষের সমঅধিকার যেমন নিশ্চিত করে, তেমনি পুরুষকে নারীর উপর মর্যাদাও দেয়। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ও বুঝজ্ঞানের। এর প্রমান্সরুপ সূরা বাকারার ২২৮ নং আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন, তাদের মতো নারীদেরও একই ন্যায়সঙ্গত অধিকার, তবে পুরুষের মর্যাদা এক স্তর ওপরে। এবং সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে বলেন, পুরুষেরা নারীদের সংরক্ষক এবং ব্যবস্থাপক, কেননা আল্লাহ্‌ একজনের চেয়ে অন্য জনকে বেশী (শক্তি) দান করেছেন, আরো কারণ এই যে, পুরুষের তাদের সম্পদ ব্যয় করে তাঁদের পেছনে।

জাকির নায়েকের বইগুলো যদি কাইন্ডলি এভেইল এবল করতেন তাহলে অনেক উপকৃত হতাম...