Our User Product Reviews

অত্র গ্রন্থের প্রথম অংশে আল-কুরআনের তথ্যাবলি, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, আল-কুরআনের আদাব, নামসমূহ, পরিভাষা, সব কিতাবের ওপর আল-কুরআনের বৈশিষ্ট্য, পরিচয় ও কুরআন মাজীদের ব্যাপারে অমুসলিমদের সাক্ষ্য- এসব ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এসব বিষয় থেকে আমরা আমাদের হেদায়াতের পথ দেখিয়ে নাযিলকৃত সর্বশেষ আসমানী কিতাব কুরআন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব, ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে, কুরআন পাঠের আদাব বা শিষ্টাচারগুলো আমাদের সবসময় মনে রাখা দরকার এবং কুরআন পাঠের সময় খেয়াল রাখা দরকার। আল-কুরআন যে শুধু একটি গ্রন্থ নয়, এর যে অন্যান্য উপকারীতা বা ফযীলাত রয়েছে তা আমরা এর বিভিন্ন নাম থেকে জানতে পারি। এছাড়ও আমরা অত্র গ্রন্থ থেকে আল-কুরআন কিভাবে সংকলন করা হয়েছে এবং কিভাবে তা সংরক্ষিত হয়েছে সে ব্যাপারেও জানতে পারি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি জানা যায় তা হচ্ছে কুরআনের অলৌকিকত্ব সম্পর্কে অমুসলিম পণ্ডিতদের সাক্ষ্য, যা থেকে সহজেই প্রমাণ হয় যে কুরআন এক অলৌকিক গ্রন্থ, এ মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়, যা শুধু মুসলমানরা নয় অমুসলিমরাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। পরবর্তী অংশে, চাঁদ সম্পর্কে কুরআনের ভাষ্য তুলে ধরা হয়েছে, এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এছাড়াও চাঁদের দৈর্ঘ্য বা গুরুত্ব, চাঁদের বিভিন্ন প্রকাশ সবন্ধেও আলোচনা করে চাঁদ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরো স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ অংশে, কুরআন যে প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহ তায়ালার বাণী তার গাণীতিক প্রমান দেখানো হয়েছে। অত্র অংশের সব বিশ্লেষণ থেকে একথা প্রমাণ হয় যে, কুরআন মাজীদের হিসাবী ব্যবস্থাপনা এত পেঁচানো অথচ সুশৃঙ্খল যে, মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির বাইরে নয়। ইলাহী হিকমতের দ্বারা এর এক এক শব্দ নিয়ন্ত্রিত। বাস্তবে এ সব গাণিতিক ধারা হতভম্বকারি এবং নিঃসন্দেহে সব জিন এবং ইনসান মিলেও এ ধরনের জ্ঞানকে হতভম্বকারি কিতাব লেখা সম্ভব নয়।