User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ডা. জাকির নায়েকের বক্তৃতা অবলম্বনে রচিত অত্র গ্রন্থের মূল বক্তব্য হচ্ছে, বর্তমানে মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন দল বা মতে বিভক্ত হয়ে আছে, যা ইসলাম ধর্মে আদৌ স্বীকৃত নয়। ইসলাম ধর্মে এর অনুসারীদের ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় সূরা আলে ইমরান এর ১০৩ নং আয়াতে বর্ণিত আল্লাহ্র বাণী থেকে, ‘আর তোমরা সকলে আল্লাহ্র রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ করো; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’। এই আয়াতে যে রজ্জুর কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে মহিমান্বিত আল-কুরআন। আল্লাহ্ পাক সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে আরো বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্র আনুগত্য কর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা দয়িত্বশীল তাদের’। সুতরাং সব মুসলমানের উচিত আল-কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুসরণ করা এবং তাদের নিজেদের মধ্যকার পার্থক্য বিদূরিত করে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। প্রসঙ্গত, আমাদের নবীজী (সা.) যখন বেঁচে ছিলেন পবিত্র কুরআন তখন সম্পূর্ণভাবে লিপিবদ্ধ ছিলো; আর একাজের তদারকি নবীজী (সা.) নিজেই করেছিলেন। তাঁর পূর্ণ তদারকিতেই এই পবিত্র কুরআন লিপিবদ্ধ হয়েছিলো। আর পবিত্র কুরআন নিয়ে আমাদের কারো কোন মতভেদ নেই। তবে নবীজী (সা.) তাঁর কথাগুলো অর্থাৎ হাদীস লিপিবদ্ধ করতে উৎসাহিত করেননি এ কারণে যে, তাহলে কুরআনের সাথে হাদীসগুলো মিশে যেতে পারে। পরবর্তীতে যখন তিনি ইনতিকাল করলেন আর লোকজন যখন তাঁর কথাগুলো উদ্বৃতি দিতে শুরু করলো এবং কেউ কেউ এমন কথাও বলতে শুরু করলো যা নবীজী (সা.) হয়তো বলেননি, তখন সাহাবীগণ হাদীস সংকলেন গুরুত্ব অনুধাবন করেন। তাই হাদীস লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়েছে নবীজী (সা.)-এর ইনতিকালের পরে। চার ইমামের (ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল) সময়েও হাদীস লিপিবদ্ধ হচ্ছিলো, তখনো সেটা শেষ হয়নি। পরবর্তীতে ইমাম বুখারী আসলেন, ইমাম মুসলিম আসলেন, ইমাম আবু দাউদ আসলেন, তিরমিযী আসলেন- এভাবে হাদীসের সংগ্রহ আরো সমৃদ্ধ হলো। যা ছিলো উল্লেখিত চারজন ইমামের অনেক পরের ঘটনা। তাই তারা সে সময়ে যতটুকু জানতে পেরেছেন সেটার উপরেই মতামত দিয়েছেন। আর এভাবেই শুরু হয় মতভেদের। সুতরাং, একজন সত্যবাদী মুসলমানের উচিত আল-কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুসরণ করা। যে কোন পন্ডিত ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে একজন ব্যক্তি একমত হতে পারে, যতক্ষণ উক্ত ব্যক্তি আল-কুরআন ও হাদীসের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। তার দৃষ্টিভঙ্গি আল-কুরআন ও হাদীসের বিপক্ষে চলে গেলে তিনি যত বড় পন্ডিতই হোন না কেন, তার কথা অগ্রাহ্য করতে হবে। সব মুসলমান কুরআন ও হাদীস বুঝে পাঠ করলে, আশা করা যায়, আল্লাহ্র অশেষ রহমতে মুসলমানদের মধ্যে বিদ্যমান অনেক ফেরকা দূর হয়ে যাবে, প্রতিষ্ঠিত হবে ঐক্য।