User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
কয়েকদিন আগে একটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমন্ত্রিত দর্শক হিসেবে দর্শক সারির এক কোনায় চুপচাপ বসে পড়লাম। কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরনের পর এবার কৃর্তিমান ব্যক্তিদের বক্তৃতা প্রদানের পালা। পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে, এসব অনুষ্ঠানে বক্তরা গতানুগতিক কোনো বক্তব্য প্রদান করেন না। এসব অনুষ্ঠানে তাঁরা বেশ শিক্ষণীয় এবং মজাদার বক্তৃতা প্রদান করেন। আর সেই লোভেই দেড় ঘন্টা জ্যামে অপেক্ষা করেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া। প্রধান বক্তা বক্তব্যের শুরুতেই বললেন, আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু বলতো কেন জ্ঞান অর্জন করতে হবে? হলে পিনপতন নীরবতা। আমিও ভাবতে লাগলাম, কেন জ্ঞান অর্জন করতে হবে! তিনি পুরো হলটার দিকে একবার তাকিয়ে বললেন, চিন্তার দৈন্যতা থেকে মুক্তির জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে। মুক্ত চিন্তার জন্য এবং মুক্ত বুদ্ধির চর্চার জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর মুক্ত বুদ্ধির চিন্তা আর জ্ঞান চর্চাই পারে, ধর্মের সকল কুসংস্কারময় শিকল ভেদ করে নতুন পৃথিবীর জন্ম দিতে। তাঁর বক্তব্যের এতোটুকু শুনেই আমার মাথাটা ভনভন করতে লাগল। কিছুদিন আগে একটি প্রবাদ শুনলাম, ‘শুধু জ্ঞানহীনতাই মানুষকে দেউলিয়া করে না, কখনো কখনো অতিরিক্ত জ্ঞানও মানুষকে দেউলিয়া করে দেয়।’ আমি দেউলিয়া বা মুক্তচিন্তার চর্চার দিকে যাবো না। আমি যাবো অপর একটি বক্তৃতার দিকে। এই বক্তৃতার বিষয় বস্তুও ছিল, জ্ঞান অর্জন করতে হবে কেন? আর এই বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন, হযরত মুহাম্মাদ সা.। আল্লাহর রাসূল বলেছিলেন, ‘তোমরা জ্ঞান অর্জন করো, কারণ- ১/ জ্ঞানাঅর্জন দ্বারা অন্তরে আল্লাহভীতি সৃষ্টি হয়। ২/ জ্ঞানান্বেষন একটি ইবাদত। ৩/ জ্ঞানচর্চা একটি তাসবীহ। ৪/ জ্ঞান গবেষণা একটি জিহাদ। ৫/ যার জ্ঞান নেই তাকে তা শিক্ষা দেওয়া একটি দান। ৬/ উপযুক্তকে জ্ঞানদান করা একটি আত্মিয়তা। তাছাড়া, ৭/ জ্ঞান হালাল-হারামের নির্ণায়ক। ৮/ জ্ঞান জান্নাত প্রত্যাশীদের পথের প্রদীপ। ৯/ জ্ঞান নির্জনে বন্ধু। ১০/ জ্ঞান পথ চলার সাথি। ১১/ জ্ঞান একাকিত্বে আলোচক। ১২/ জ্ঞান সুসময় ও দুঃসময়ের পথপ্রদর্শক। ১৩/ জ্ঞান শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র। ১৪/ জ্ঞান বন্ধু মহলের অলংকার। ১৫/ জ্ঞানীদের আল্লাহ উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। ১৬/ জ্ঞানীরা কল্যাণের কাজে নেতৃত্ব দেয়। ১৭/ জ্ঞানীদের কর্ম অনুসরণ করা হয়। ১৮/ জ্ঞানীদের মতামত মেনে নেওয়া হয়। ১৯/ ফেরেশতারা জ্ঞানীদের বন্ধুতার প্রত্যাশী হয়। ২০/ ফেরেশতারা জ্ঞানীদের শরীরে ডানার পরশ বুলিয়ে দেয়। ২১/ জ্ঞানীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে সকল তাজা ও নিরস বস্তু, পানির মাছ, স্থলের হিংস্র জানোয়ার আর নিরীহ পশু-পাখি। ২২/ জ্ঞান হৃদয়কে অজ্ঞতার মৃত্যু থেকে জীবন্ত করে তোলে। ২৩/ জ্ঞান অন্ধকারে দৃষ্টির আলো। ২৪/ জ্ঞান ব্যক্তিকে ইহকাল-পরকালে মহত ব্যক্তিদের মর্যাদায় সমাসীন করে। ২৫/ জ্ঞান নিয়ে ভাবনা সাওমের সমতুল্য। ২৬/ জ্ঞান বিনিময় সালাতের সমতুল্য। ২৭/ জ্ঞান আত্মিয়তার সম্পর্ক মজবুত করে। ২৮/ জ্ঞান চিনিয়ে দেয় বৈধ আর অবৈধ। ২৯/ জ্ঞান কর্মের পথপ্রদর্শক। ৩০/ সৌভাগ্যবানরাই জ্ঞান অর্জন করে। (সূত্রঃ ইসলামে জ্ঞানচর্চা- আবদুস শহীদ নাসিম) সব জ্ঞানই মানুষকে চিন্তার দৈন্যতা থেকে মুক্তি দিতে পারে না। বরঞ্জ কখনো কখনো জ্ঞানই মানুষকে চিন্তার দিক থেকে পঙ্গু করে দেয়। সেই জ্ঞানই অর্জন করতে হবে, সে জ্ঞান সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করতে শেখায়। যে জ্ঞান মহান স্রষ্টাকে চিনতে শেখায়। তাই সব জ্ঞানই জ্ঞান নয়। @সায়মুম ফারাবি
Was this review helpful to you?
or
I Need this book. But how can i ordar? I don't see any "buy" option. Plz help me.
Was this review helpful to you?
or
অত্র গ্রন্থের মূল বক্তব্য হচ্ছে, জ্ঞানার্জনের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ইসলামে একে ফরজ করা হয়েছে। নবীজী (সা.) এর বিবিধ হাদীস থেকেও এ কথা প্রমানিত। এমনকি পবিত্র কুরআনের প্রথম আয়াতই হচ্ছে, ‘পড়, তোমার প্রভুর নামে’। এ থেকেই জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব সহজেই উপলদ্ধি করা যায়। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে জ্ঞানার্জনের আগ্রহ ততই বিলুপ্ত হচ্ছে। কর্মব্যস্ত জীবনে জ্ঞানার্জনের জন্য সময় বের করাটা যেন বেশ দূরূহ হয়ে পড়েছে। অথচ জ্ঞানার্জন ব্যতীত ইসলামকে সঠিকভাবে উপলদ্ধি করা এবং সঠিকপথে সোজা হয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সা.) আমাদের জন্য যেসকল আদেশ, নির্দেশ ও বিধান প্রদান করেছেন, জ্ঞানার্জন ব্যতীত সেগুলো আয়ত্ত করা এবং পালন করা দুষ্কর। এছাড়াও নবীজী (সা.) এর ভাষ্যমতে আমলের পূর্বে ইলম জরুরী। সুতরাং জ্ঞানার্জন করা নেক আমল, ইবাদাত এবং আমাদের উপর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সা.) এর পক্ষ হতে ফরজ করা হয়েছে- এ উপলদ্ধি আমাদের অন্তরে আনতে হবে এবং আমৃত্যু জ্ঞানার্জনের জন্য চেষ্টা করতে হবে। যা আমাদের আল্লাহ্ প্রদত্ত সরল-সোজা পথে দৃঢ় থাকতে সহায়তা করবে (ইনশাআল্লাহ্)। এছাড়াও, অত্র গ্রন্থে ডা. জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠিত স্কুল ‘ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ কিভাবে পরিচালিত হয় তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণত আমাদের সমাজে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো থেকে ব্যতিক্রম ধারার শিক্ষা চালু করার চিন্তা-ভাবনা থেকেই এই স্কুলের যাত্রা শুরু। এই স্কুলে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উভয় বিষয়গুলোকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। যার ফলে একজন স্টুডেন্ট একদিকে যেমন বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস জানতে পারে তেমনি কুরআন-হাদীস সম্পর্কেও সে সমভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।