User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Mow

      28 Jun 2019 12:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_জুন পালোমিনো মোলেরোকে খুন করল কে? লেখকঃমারিয়ো বার্গাস য়োসা অনুবাদঃরফিক-উম-মুনীর চৌধুরী কাহিনী সংক্ষেপঃ পেরুর বিভাগীয় শহর পিউরাতে হঠাৎ করেই নৃশংসভাবে খুন হয় এক যুবক।মাঠে ছাগল চরাতে গিয়ে এক ছোট বালকের চোখে পরে গাছের সাথে ঝুলে আছে বিভৎস সেই লাশ,সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেয় পুলিশ অফিসার লিতুমাকে। লাশটি দেখেই লিতুমার মুখে বিশ্রী কিছু গালি চলে আসে,গালি দিতে দিতে গলা ঠেলে উঠে আসা বমিটা কোন রকমে চেপে ধরে। এরকম বিভৎসভাবে কেউ কাউকে খুন করে? তদন্তে নামে লেফটেন্যান্ট সিলবা আর সার্জেন্ট লিতুমা। জানা যায় ছেলেটি কিছুদিন আগে বিমানবাহিনীতে যোগদান করেছিলো,সাধাসিধে ধরনের একটি ছেলে ছিল,ভাল গান গাইতো। এরকম একটি ছেলের জীবনে হঠাৎ কি ঘটেছিলো যে তাকে এভাবে নৃশংসভাবে খুন হতে হলো? সারা শহরে গুঞ্জন কেন খুন হয়েছে পালোমিনো? একেকজনের একেক রকম ধারনা, কেউবা বলছে প্রেমের কারনে,কেউবা উপরের মহলের গুরুত্বপূর্ণ কোন খবর জেনে গিয়েছিল সে,কিংবা চোরাচালানের সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল বা সে সম্পর্কে কিছু জেনে গিয়েছিল। আসলেই কেন খুন হয়েছে পালোমিনো? শেষপর্যন্ত কি সমাধান হবে এই খুনের নাকি উপরের মহলের নির্দেশে খুনের তদন্ত মাঝপথেই থেমে যাবে শেষপর্যন্ত কি এই প্রশ্নটা রয়েই যাবে যে পালোমিনো মোলেরোকে খুন করল কে? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ লেফটেন্যান্ট সিলবা যেভাবে রহস্যের সমাধান করতে চেয়েছেন,যেরকম তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তা যেকোন পাঠকের নজর কাড়বে,যারা গোয়েন্দা কাহিনী পড়ে অভ্যস্ত তাদের এই ধরনটা ভাল লাগবে। তাছাড়া,রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে লেখক একে একে পেরুর দুর্নীতি,হিংস্রতা, কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শেতাঙ্গদের আচরণ,ধারনা, নীচুস্তরের মানুষদের প্রতি উঁচুস্তরের মানুষদের প্রভাব অনেককিছু তুলে ধরেছেন।যেকোন পাঠক আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের সাথে সহজেই এই বিষয়গুলো রিলেট করতে পারবে। বইটির মোটামুটি সবকিছুই ভালো লেগেছে,শুধু ভাষার ব্যবহারটা আমার কাছে একটু খারাপ লেগেছে। খুব বেশি গালাগালি, আর খারাপ ভাষার ব্যবহার যার জন্য পড়তে একটু অস্বস্তি হয়েছে। হতে পারে এরকম ভাষা ব্যবহার না করলে তীক্ষ্ণতা বা গভীরতা সেভাবে বোঝা যেত না তাই ব্যবহার করা।কিন্তু আমার মনে হয়েছে যেন কিছু কিছু জায়গায় অন্য শব্দ ব্যবহার করলেও হতো।এই একটি ব্যাপার ছাড়া সম্পূর্ণ বইটিই বেশ উপভোগ্য।

      By Mohammed Mahtab Alam

      20 Mar 2013 05:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      I think its the best book in my life . I like Mario vergus llosa for his brave and straightforward writing. I hope rest of the books of this writer will be translated very soon & I will have been waiting for it .

      By Jahan-E-Noor

      23 Apr 2013 04:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঘটনাটি খুনের। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে পেরুর উত্তরাঞ্চলে মরু এলাকার উপকূলবর্তী শহর পিউরার বিমানঘাঁটির কাছে পালোমিনো মোলেরো নামের একজন তরুণ বিমান সেনার লাশ পাওয়া যায়। খুব নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাকে, সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ, এমনকি তার অণ্ডকোষ দুটোও থেঁতলানো। মারিয়ো বার্গাস য়োসার গোয়েন্দা উপন্যাস পালোমিনো মোলেরোকে খুন করল কে? আরম্ভ হয় ‘খানকির পুতেরা’ গালি দিয়ে, যেটা বের হয়েছে এ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র সিভিল গার্ড বাহিনীর সার্জেন্ট লিতুমার মুখ থেকে। আমরা দেখব য়োসা তাঁর উপন্যাসটির সমাপ্তিও টানেন একই গালি দিয়ে এবং এবারও সেই লিতুমার কণ্ঠে। খানিকটা কাব্যভাবাক্রান্ত, উদাসী, কল্পনাপ্রবণ, ভীতু আর সিভিল গার্ডের চাকরিতে বেমানান লিতুমার দৃষ্টিভঙ্গির আবহেই মূলত বর্ণিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনি। প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠার মতো সক্রিয় নয় সে, পুরো উপন্যাসে কোথাও তেমন ঘটনা লক্ষ করা যায় না। লেফটেন্যান্ট সিলবার সহকারী হয়ে কাজ করে সে এবং বেশির ভাগ সময়ই কিছু করে না। তবু তৃতীয় পুরুষে বর্ণিত উপন্যাসটিতে মারিয়ো বার্গাস য়োসার দেখার ধরন প্রধানত লিতুমার মতো বলেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চরিত্রটি। বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীময় প্রভাব বিস্তার করা লাতিন আমেরিকার জাদুবাস্তব সাহিত্যগুলোর সঙ্গে মারিয়ো বার্গাস য়োসার সাহিত্যকর্মের স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, কার্লোস ফুয়েন্তেস, হুলিয়ো কোর্তাসার এবং সমসাময়িক অন্যান্য ঔপন্যাসিকের মতো জাদুবাস্তবতার ঘরানায় না গিয়ে য়োসা বেছে নেন বাস্তববাদী ভঙ্গি। ২০১০ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়া এ ঔপন্যাসিক বর্তমান সময়ে স্প্যানিশ ভাষার একজন শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক। ম্যাজিক রিয়ালিজমের ঠিক উল্টো পথে গিয়ে তিনি নির্মাণ করেন তাঁর উপন্যাসের কাঠামো ও শরীর। প্রবলভাবে ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী য়োসা অন্যায়, অবিচার আর দুর্নীতিকে সরাসরি এবং স্পষ্টভাবে আক্রমণ করেন। পালোমিনো মোলেরোকে খুন করল কে? উপন্যাসে পেরুর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজকে তুলে ধরেন তিনি, যেখানে বর্ণপ্রথার মতো সামাজিক বিভাজনও ভয়ানকভাবে উপস্থিত। সাহিত্যের বিচারে গোয়েন্দা উপন্যাসকে প্রথম সারির উপন্যাসের মর্যাদা দেওয়া হয় না। তবে মারিয়ো বার্গাস য়োসা যখন গোয়েন্দা উপন্যাস লেখেন, তখন সেটা আর শুধু ওই মানদণ্ডে বিবেচিত হয় না। খুব রহস্যযুক্ত বা টানটান উত্তেজনাময় পরিস্থিতি থাকলেও এ ধরনের অন্যান্য উপন্যাসের মতো নয় এটি। উপন্যাসের মাঝ বরাবর গেলেই হত্যারহস্যের বিষয়টা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে পাঠকের কাছে। যদিও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পাঠককে যেতে হয় শেষ পৃষ্ঠা অবধি। গোয়েন্দা উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য ছাপিয়ে এটিকে বাস্তববাদী এবং চিরন্তন প্রেমের এক বিচ্ছেদময় আখ্যান হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। পালোমিনো মোলেরো, যে কিনা স্থানীয় নিম্নবর্ণ ‘চোলো’ সম্প্রদায়ের এক তরুণ, প্রেমে পড়ে বিমানবাহিনীর বড় কর্তা এবং অভিজাত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত কর্নেল মিন্দ্রাউয়ের মেয়ে আলিসিয়া মিন্দ্রাউয়ের। ভদ্র, বিনয়ী এবং সহূদয় ছেলেটার গানের গলা ছিল চমৎকার। প্রতি রাতে প্রেমিকার জন্য গান গাইত সে। প্রেমিকার জন্যই সে বিমানবাহিনীতে যোগ দেয়। পালোমিনোর সঙ্গে ঘর ছাড়ে আলিসিয়া। নানা শ্রেণী ও পেশার চরিত্রের মানুষের আনাগোনা দেখা যায় উপন্যাসটিতে। বেশ্যালয়ের মালিক চীনা লিয়াউ, খাবারের দোকানের মালিক দোনঞা লুপে, ট্যাক্সিচালক দোন হেরোনিমো, লেফটেন্যান্ট দুফো—এ রকম সব চরিত্রকে তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে জীবন্ত করে তুলেছেন য়োসা। লেফটেন্যান্ট সিলবা, যে কিনা লিতুমার বস, প্রেমে পড়ে এক স্থূলদেহী মহিলা জেলেপত্নী আদ্রিয়ানার। আদ্রিয়ানা প্রায় সিলবার মায়ের বয়সী, যেকোনো মূল্যে সিলবা তাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সমাপ্তিটা খুব মজার। পুরো উপন্যাসে তুখোড় তদন্তকারীর ভূমিকায় থাকা সিলবাকে হাস্যকরভাবে নাস্তানাবুদ করে আদ্রিয়ানা। যদিও কাহিনির আরম্ভই হয় পালোমিনোর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে, কিন্তু সারাক্ষণই তার আশ্চর্যজনক আর সজীব উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। খুনের রহস্য উদ্ধারকারী দুই অফিসারকে শেষ পর্যন্ত দুর্গম এলাকায় বদলি করে কর্তৃপক্ষ; যা কিনা পেরুর সরকারে থাকা লোকদের দুর্নীতিকে স্পষ্ট করে তোলে। মারিয়ো বার্গাস য়োসার বয়ানভঙ্গি বেশ জটিল। একই সমান্তরালে বেশ কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। পাশাপাশি চলতে থাকে চরিত্রগুলোর সংলাপ। প্রচুর আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করেন য়োসা। মূল স্প্যানিশ ভাষা থেকে উপন্যাসটি অনুবাদ করেছেন রফিক-উম-মুনির চৌধুরী। তবে অনুবাদে সেই আঞ্চলিক ভাষার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। প্রথম দুই পৃষ্ঠায় আঞ্চলিক কথার মেজাজ থাকলেও পরে সেটি আর রক্ষিত হয়নি।

      By Rokomari Editor

      04 May 2012 10:36 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঘটনাটি খুনের। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে পেরুর উত্তরাঞ্চলে মরু এলাকার উপকূলবর্তী শহর পিউরার বিমানঘাঁটির কাছে পালোমিনো মোলেরো নামের একজন তরুণ বিমান সেনার লাশ পাওয়া যায়। খুব নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাকে, সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ, এমনকি তার অণ্ডকোষ দুটোও থেঁতলানো। মারিয়ো বার্গাস য়োসার গোয়েন্দা উপন্যাস পালোমিনো মোলেরোকে খুন করল কে? আরম্ভ হয় ‘খানকির পুতেরা’ গালি দিয়ে, যেটা বের হয়েছে এ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র সিভিল গার্ড বাহিনীর সার্জেন্ট লিতুমার মুখ থেকে। আমরা দেখব য়োসা তাঁর উপন্যাসটির সমাপ্তিও টানেন একই গালি দিয়ে এবং এবারও সেই লিতুমার কণ্ঠে। খানিকটা কাব্যভাবাক্রান্ত, উদাসী, কল্পনাপ্রবণ, ভীতু আর সিভিল গার্ডের চাকরিতে বেমানান লিতুমার দৃষ্টিভঙ্গির আবহেই মূলত বর্ণিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনি। প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠার মতো সক্রিয় নয় সে, পুরো উপন্যাসে কোথাও তেমন ঘটনা লক্ষ করা যায় না। লেফটেন্যান্ট সিলবার সহকারী হয়ে কাজ করে সে এবং বেশির ভাগ সময়ই কিছু করে না। তবু তৃতীয় পুরুষে বর্ণিত উপন্যাসটিতে মারিয়ো বার্গাস য়োসার দেখার ধরন প্রধানত লিতুমার মতো বলেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চরিত্রটি। বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীময় প্রভাব বিস্তার করা লাতিন আমেরিকার জাদুবাস্তব সাহিত্যগুলোর সঙ্গে মারিয়ো বার্গাস য়োসার সাহিত্যকর্মের স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, কার্লোস ফুয়েন্তেস, হুলিয়ো কোর্তাসার এবং সমসাময়িক অন্যান্য ঔপন্যাসিকের মতো জাদুবাস্তবতার ঘরানায় না গিয়ে য়োসা বেছে নেন বাস্তববাদী ভঙ্গি। ২০১০ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়া এ ঔপন্যাসিক বর্তমান সময়ে স্প্যানিশ ভাষার একজন শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক। ম্যাজিক রিয়ালিজমের ঠিক উল্টো পথে গিয়ে তিনি নির্মাণ করেন তাঁর উপন্যাসের কাঠামো ও শরীর। প্রবলভাবে ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী য়োসা অন্যায়, অবিচার আর দুর্নীতিকে সরাসরি এবং স্পষ্টভাবে আক্রমণ করেন। পালোমিনো মোলেরোকে খুন করল কে? উপন্যাসে পেরুর দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজকে তুলে ধরেন তিনি, যেখানে বর্ণপ্রথার মতো সামাজিক বিভাজনও ভয়ানকভাবে উপস্থিত। সাহিত্যের বিচারে গোয়েন্দা উপন্যাসকে প্রথম সারির উপন্যাসের মর্যাদা দেওয়া হয় না। তবে মারিয়ো বার্গাস য়োসা যখন গোয়েন্দা উপন্যাস লেখেন, তখন সেটা আর শুধু ওই মানদণ্ডে বিবেচিত হয় না। খুব রহস্যযুক্ত বা টানটান উত্তেজনাময় পরিস্থিতি থাকলেও এ ধরনের অন্যান্য উপন্যাসের মতো নয় এটি। উপন্যাসের মাঝ বরাবর গেলেই হত্যারহস্যের বিষয়টা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে পাঠকের কাছে। যদিও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পাঠককে যেতে হয় শেষ পৃষ্ঠা অবধি। গোয়েন্দা উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য ছাপিয়ে এটিকে বাস্তববাদী এবং চিরন্তন প্রেমের এক বিচ্ছেদময় আখ্যান হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। পালোমিনো মোলেরো, যে কিনা স্থানীয় নিম্নবর্ণ ‘চোলো’ সম্প্রদায়ের এক তরুণ, প্রেমে পড়ে বিমানবাহিনীর বড় কর্তা এবং অভিজাত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত কর্নেল মিন্দ্রাউয়ের মেয়ে আলিসিয়া মিন্দ্রাউয়ের। ভদ্র, বিনয়ী এবং সহূদয় ছেলেটার গানের গলা ছিল চমৎকার। প্রতি রাতে প্রেমিকার জন্য গান গাইত সে। প্রেমিকার জন্যই সে বিমানবাহিনীতে যোগ দেয়। পালোমিনোর সঙ্গে ঘর ছাড়ে আলিসিয়া। নানা শ্রেণী ও পেশার চরিত্রের মানুষের আনাগোনা দেখা যায় উপন্যাসটিতে। বেশ্যালয়ের মালিক চীনা লিয়াউ, খাবারের দোকানের মালিক দোনঞা লুপে, ট্যাক্সিচালক দোন হেরোনিমো, লেফটেন্যান্ট দুফো—এ রকম সব চরিত্রকে তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে জীবন্ত করে তুলেছেন য়োসা। লেফটেন্যান্ট সিলবা, যে কিনা লিতুমার বস, প্রেমে পড়ে এক স্থূলদেহী মহিলা জেলেপত্নী আদ্রিয়ানার। আদ্রিয়ানা প্রায় সিলবার মায়ের বয়সী, যেকোনো মূল্যে সিলবা তাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সমাপ্তিটা খুব মজার। পুরো উপন্যাসে তুখোড় তদন্তকারীর ভূমিকায় থাকা সিলবাকে হাস্যকরভাবে নাস্তানাবুদ করে আদ্রিয়ানা। যদিও কাহিনির আরম্ভই হয় পালোমিনোর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে, কিন্তু সারাক্ষণই তার আশ্চর্যজনক আর সজীব উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। খুনের রহস্য উদ্ধারকারী দুই অফিসারকে শেষ পর্যন্ত দুর্গম এলাকায় বদলি করে কর্তৃপক্ষ; যা কিনা পেরুর সরকারে থাকা লোকদের দুর্নীতিকে স্পষ্ট করে তোলে। মারিয়ো বার্গাস য়োসার বয়ানভঙ্গি বেশ জটিল। একই সমান্তরালে বেশ কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। পাশাপাশি চলতে থাকে চরিত্রগুলোর সংলাপ। প্রচুর আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করেন য়োসা। মূল স্প্যানিশ ভাষা থেকে উপন্যাসটি অনুবাদ করেছেন রফিক-উম-মুনির চৌধুরী। তবে অনুবাদে সেই আঞ্চলিক ভাষার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। প্রথম দুই পৃষ্ঠায় আঞ্চলিক কথার মেজাজ থাকলেও পরে সেটি আর রক্ষিত হয়নি।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!