User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By [email protected]

      09 Sep 2024 12:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমাদের অনেকের মনে এখনও প্রশ্ন ভারত ভাগ কেন হয়েছিল?? পাকিস্তান আন্দোলন কেন হয়েছিল?? ভারত ভাগের প্রয়োজনীয়তা কী ?? তাদের প্রশ্নের উওর গুলি কিছুটা হলেও এই বইটিতে আছে । সত্য ইতিহাস জানার জন্য এই বইটার বিকল্প নেই

      By শুভাগত সাহা

      05 Aug 2022 11:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      উপমহাদেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলার রাজনৈতিক পটপরিবর্তন,স্বাধীনতা লাভ;ভারতবর্ষের,পাকিস্তানআমল এবং এদেশের রাজনীতি ও প্রেক্ষাপট ক্রমবিবর্তনের একটি অসাধারণ ক্যানভাস।

      By Kamal Uddin

      09 May 2022 09:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      The book is awesome

      By Md.Ashadul Habib (Al-Amin)

      28 Feb 2022 01:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice book

      By Md. Nazmul Ahassan Kabir

      25 Feb 2022 12:01 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Very good book

      By Saiful Baten Tito

      10 Feb 2022 07:01 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই বাজে বাইন্ডিং। এটা অবশ্যই নীলক্ষেতের ফটোকপি বলে মনে হচ্ছে।

      By MD Shohag

      09 Feb 2022 10:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice book

      By MD. FARUK HOSSAIN

      15 Nov 2021 03:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Captivating ?

      By Tawhidul Islam Sayem

      07 Nov 2021 07:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কিছু ভালো

      By Showmik Rohman

      28 Jul 2021 03:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আবুল মনসুর আহমদ উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক,সাংবাদিক ।কর্মমুখর এক জীবনের অধিকারী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থমন্ত্রী, অবিভক্ত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী,অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী,আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠিাতা ভাইস চেয়ারম্যান ইত্যাদি পরিচযই বলে দেয় তিনি কোন উচ্চতার রাজনীতিবিদ। তবে তার চেয়েও বড় পরিচয় হচ্ছে আবূল মনসুর আহমদ গণমুখী, নির্লোভ,অসামপ্রদায়িক, সৎ রাজনীতিবিদ ছিলেন।কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা,হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা দূরীকরণ, জমিদার প্রথা উচ্ছেদ,ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলনের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার রচয়িতা ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পশ্চিম পাকিস্তানীদের অন্যায়,অন্যায্য আচরণের বিরোধিতা করে গেছেন।লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসন ও পূর্ণ অধিকারের জন্য লড়াই করে গেছেন সরকার এবং বিরোধী দল উভয় অবস্থা্য়ই। ’সাংবাদিক’ আবুল মনসুর আহমদ এর আর একটি বড় পরিচয়।তিনি বিভিন্ন সময় কলকাতার খাদেম,দি মুসলমান,মোহাম্মদী প্রভৃতি সাপ্তাহিক ও দৈনিক কৃষক,নবযুগ ও ইত্তেহাদের সম্পাদক ছিলেন। সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি অনন্য ।ছোটবেলায় আমরা একটা গল্প পড়েছিলাম যেটা খুবই বিখ্যাত। গল্পটির নাম ‘আদুভাই’ ।এর রচয়িতা আবুল মনসুর আহমদ! সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি পদচারণা করেছেন। তবে ব্যঙ্গ সাহিত্যে তিনি উভয় বাংলায় অদ্বিতীয়।তাঁর প্রতিটি স্যাটায়ারই কালোত্তীর্ণ । বইয়ের প্রধান বিশেষত্ব এই একটি জায়গায় ।যেহেতু আবুল মনসুর আহমদ যেহেতু একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন বইটিতেও এই ‘তিন গুণ’ মিশ্রিত হয়েছে এবং বইটিকে রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি শ্রেষ্ঠ বইয়ে পরিণত করেছে । বইট ইতিহাসের প্রমাণ দলিল ।বইয়ের সূচনায় প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, “…আবুল মনসুর আহমদ-এর ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ উদীয়মান প্রজন্মের সামনে একটি জীবন্ত ইতিহাস।মূলত শুধু একখানি গ্রন্থ নয়; ইহা একটি জাতির জীবন্ত ইতিহাসবা রাজনৈতিক দলিল(পলিটিক্যাল ডকুমেন্ট)।…” যেহেতু আবুল মনসুর আহমদ নিজে মূলধারার রাজনীতিবিদ ছিলেন সেহেতু এই বইয়ে তৎকালীন ঘটনাবলীর সাথে আবুল মনসুর আহমদের বিশ্লেষণও পাওয়া যায় যা বইটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে । গত শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত প্রত্যেকটি রাজনৈতিক ঘটনার বর্ণনা দেয়া আছে বইটিতে।বিভিন্ন্ আন্দোলন,রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক আদর্শ,রাজনৈতিক ভুল, দ্বন্দ, মানুষের রাজনীতি সচেতনতা-অজ্ঞতা প্রভৃতির পাঁচ দশকের বর্ণনা থেকে আমাদের ভূখন্ডের গত শতাব্দীর রাজনীতি সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পাওয়া যায় বইটি থেকে। তৎকালীন আর্থ সামাজিক অবস্থা সম্পর্কেও সম্যক একটি ধারণা পাওয়া যায়। অবিভক্ত ভারতবর্ষের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কংগ্রেস-মুসলিম লীগের রাজনীতি-দ্বন্দ, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা, পাকিস্তান আন্দোলন ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রত্যক্ষ্ বর্ণনা এবং বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে। বইয়ে আপনি দেখতে পাবেন কিভাবে শাসকদের এবং আমলাতন্ত্রের স্বেচ্ছাচারিতায় কায়েদে আজম মোহাম্মদ আল্লী জিন্নাহর আদর্শ থেকে দীর্ঘ আন্দেলনের ফসল ‘পাকিস্তান’ সরে যায় এবং ভেঙে যায় । তৎকালীন পাকিস্তানের আমলাতন্ত্র, রাজনীতি,স্বৈরশাসনের আবির্ভাব প্রভৃতির বিশদ এবং কিছু ক্ষেত্রে গভীর বিশ্লেষণ। বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ আমাদের জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যক্তি যেমন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী , শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তৎকালীন রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা, রাজনিতক প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব সর্বোপরি তাঁদের রাজনীতি সম্পর্কে জানা যাবে।যেহেতু আবুল মনসুর আহমেদ উনাদের সবার সাথেই প্রত্যক্ষ্ রাজনীতি করেছেন।মন্ত্রী থাকা অবস্থায়ই প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করা তৎকালীন আমলাতন্ত্র,আমলাতন্ত্রের কূটকৌশল এবং স্বৈরতন্ত্র ও এর অভিলাষী ভয়ার্ত রূপ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। রাজনীতি এবং ইতিহাস আগ্রহী সবার জন্য বইটি পড়া আবশ্যক।

      By Ujjal Chandro Mondal

      17 Jun 2021 11:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

      By Mahbubul Haque

      17 Jun 2021 04:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই । সকলের পড়া উচিত যদি দেশের রাজনীতি ও আসল ইতিহাস জানার ইচ্ছা থাকে ।

      By Mohammed siddik

      12 Jun 2021 02:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ~ #Rolomari_Book_Club_Review_Competition পোস্ট :-১ প্রতিযোগির নাম :- Mohammed Siddik বাংলা সাহিত্যে ব্যঙ্গাত্মক ধারার একজন শক্তিমান লেখক আবুল মনসুর আহমেদ হাজার (১৮৯৮-১৯৭৯) ছিলেন একাধারে সাহিত্যি,সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ।তিনি জন্মগ্রহণ করেন মমিনসিংহের ত্রিশালে। ১৯১৭ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ১৯২৬-১৯২৯ সালে কলকাতায় রিপন কলেজে আইন বিযয়ে পড়াশোনা করে বি.এল পাশ করেন।এ বছরেই তিনি আইনব্যবসা শুরু করেন ময়মনসিংহে এবং সেখানে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তার পেশায় ছিলেন তিনি নিয়োজিত ছিলেন। আবুল মনসুর আহমদ একজন পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন।তিনি সুলতান, মোহাম্মদী,দি মুসলমান,ইত্তিহাদ পত্রিকায় কাজ করেন।১৯৩৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি দৈনিক কৃষক পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন।এসব কিছু ছাপিয়ে তিনি রাজনীতিসম্পৃক্ত জীবন ও দীর্ঘ ও বেশি উজ্জ্বল। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে শিশু মনসুর আহমেদের উপর ইসলাম ধর্মের প্রতি আকর্ষণ ও ইংরেজ বিদ্বেষ চেতনা বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের সরাসরি জড়িয়ে পড়েন।তারপর থেকে রাজনীতির সাথে পুরোপুরি ভাবে সম্পৃক্ত হন এবং ক্রমেই জড়িয়ে পড়েন জাতীয় রাজনীতির সাথে।রিপন ল'কলেজে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার সময় খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলন স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।যুক্ত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর কংগ্রেস আন্দোলনসমূহে।১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর মুসলিম লীগের সাথে যোগ দেন এবং ১৯৪০ সালে পাকিস্তান আন্দোলনসমূহ অংশগ্রহণ করেন।১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি ত্রিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রদেশিক শিক্ষা মন্ত্রী এবং ১৯৫৭ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন ১৯৫৪ সালের ২১ দফা অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।এছাড়া তিনি ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।মহাত্মা গান্ধী,কায়েদে আজম,মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর,পন্ডিত জহরলাল নেহেরু,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু,শেরে বাংলা একে ফজলুল হক,খাজা নাজিমুদ্দিন,মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ,মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সাথে তার হৃদ্যপূর্ণ সম্পর্ক। এই রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক সত্তা বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল মনসুরের জীবনঘনিষ্ঠ ঐতিহাসিক ব্যঙ্গাত্মক সব সৃষ্টি সমৃদ্ধ করেছে বাংলা সাহিত্যে খোরাক জুগিয়েছে বোদ্দা পাঠক মনে।তার রচিত "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর" বাংলা সাহিত্যে রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারা কে করেছে প্রসিদ্ধ পূর্ণ।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বইটি রচনা করেন।বইটি প্রথম প্রকাশিত ১৯৬৮ সালে পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের দ্বিতীয় সংস্করণে স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশের প্রেক্ষিতে পূর্বের তিরিশটি অধ্যায় সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্কিত অধ্যয়ন করেন।তাই বইটির নাম রাজনীতির পঞ্চাশ বছর কিংবা তার বেশি সময় রাজনৈতিক ইতিহাসের দলিল।আবুল মনসুর আহমেদ ব্যক্তিজীবনের রাজনীতির অঙ্গনে বিচরণ করেছেন কিংবা যে সব ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন সেসব ঘটনার বিবরণ হচ্ছে "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর"। আবুল মনসুর আহমেদর ক্লাসিক মর্যাদাপূর্ণ বই "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর" এত বৃহৎ পরিসরে ও তথ্যবহুল যে,শুধু ঘটনাসমূহ যদি পরপর বলা হয় তাহলে একটা মাঝারি আকারের বই হয়ে যেতে পারে। আরও বিভিন্ন ঘটনা তথ্য সম্পর্কে লেখকের এর অভিমত তুলে ধরতে গেলে রীতিমত গবেষণা সন্দর্ভ লেখা হয়ে যাবে। এই বইয়ে লেখক বর্ণনা করেছেন অখন্ড ভারতের রাজনীতি,সেই সময়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কার্যাবলী।তারপর ভারত খন্ডিত পাকিস্তানের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কার্যবলি,পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে হবার সূচনা লগ্ন ।মোটকথা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত সময়গুলো লেখক উল্লেখ করেছেন এরপর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। বইয়ের অধ্যায় গুলো সময়ের আবর্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বর্ণিত তুলে ধরা হয়েছে।বর্ণনার শুরু হয় খেলাফত আন্দোলন দিয়ে। তারপর একে একে বেঙ্গল প্যাক্ট, প্রজা সমিতি,মমিনসিংহ সংগঠন,প্ আইন পরিষদের প্রজা পার্টি,নির্বাচন, হক সাহেবের মন্ত্রিসভা,কৃষক প্রজা,পার্টি ভারত ভাগের আন্দোলন,পাকিস্তান সৃষ্টি,মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ,আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন,আওয়ামী লীগ গঠন,বাংলার জাতির অধিকার আদায়ে সচেষ্ট,যুক্তফ্রন্ট, চুক্তি,স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ,প্রথম জাতীয় সাধারণ নির্বাচন,নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা,পাকিস্তানের লুকোচুরি মনোভাব, বাংলার স্বাধীনতা,মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী নবাগত বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।এসকল বিবরনের সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমালোচনা।রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রান্তিক স্বার্থপরতা দুর্ভিক্ষ,হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা,সাম্প্রদায়িকতা এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মামলা মোকাদ্দমা,মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী রাজনৈতিক ভিন্ন কারণে দেশের বর্ণনা উঠে আসে লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে।এসব ঘটনার কার্যক্রম সমূহ বর্ণনা করেছেন ভবিষ্যতে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের কথা। লেখক এর মতে এই আন্দোলন হিন্দু-মুসলিম জাতির নিজ নিজ জায়গা থেকে ইংরেজ বিরোধিতার প্রতিফল।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর খেলাফত আন্দোলন স্তিমিত হয়ে থাকে।যার ফলে ধনবাড়ী জমিদার সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী নির্বাচনে একজন সাধারন নেতার কাছে পরাজিত হন।উল্লেখ্য আলোচ্য গ্রন্থে শুরুর কালসীমা উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের শেষ দিকে যখনই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাজনীতিতে হাতেখড়ি।রাজনীতির সেই চত্বরে দিনগুলো খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে।যেমন:- হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ছাড়া সম্ভব নয়।দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ বেঙ্গল প্যাক্ট চুক্তির উদ্যোগ নিলে হিন্দু সমাজে উত্তেজিত হয়ে পরে। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর সাম্প্রদায়িক তিক্ততা চরম ভাবে বেড়ে উঠে।১৯২৬ সালে কলকাতার বিধ্বংসী দাঙ্গা এর জ্বলন্ত প্রমাণ। সে সময় প্রজাস্বত্ব আইন এর প্রশ্নে হিন্দুদের জমিদার পক্ষ অবলম্বন মুসলিমদের প্রজাপক্ষ করায় আইনসভার দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় এবং এই সময় বেঙ্গল প্যাক্ট বাতিল করা হয়।এরপরে কংগ্রেস থেকে মুসলমানরা বের হয়ে এসে। মাওলানা আকরাম খান নেতৃত্বে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি গঠন করেন ১৯২৯ সালে।জমিদার বিঘ্ন ঘটায় পরে হাজার ১৯৩০ সালে মহাত্মা গান্ধী গ্রেফতার ১৯৩২ সালের কংগ্রেস বেআইনি ঘোষণা করা হয়।অপরদিকে ময়মনসিংহ জেলায় আন্দোলন বিস্তৃতি বাড়তে থাকে।এভাবে কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি প্রাদেশিক রাজনীতিক তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন রাজনৈতিক নানান কৌশল-অপকৌশল।যেমন-১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর কলকাতাকে পূর্ববাংলার সাথে একীভূত করার জন্য হক সাহেব সোহারাওয়ার্দী চেষ্টা করেন কিন্তু নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আসার পর সেই প্রচেষ্টা ভাটা পড়ে।এসময় লিয়াকত আলি খাঁ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং বলিষ্ঠ নেতা সোহরাওয়ার্দীকে কোণঠাসা করে বাংলার প্রদেশের মুসলিম লীগ বিলুপ্ত করেন।আবার ষড়যন্ত্র কিংবা অপকৌশল ও অপবর্ণনা করেছেন নির্ভীকভাবে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আক্রমণ প্রতিরোধ কৌশল হিসেবে খাদ্য মজুদ ও পরিবহন ধ্বংস করে ভারত সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে "৪৩ এর দুর্ভিক্ষের জন্ম দেয় বলে ধারণা করা হয়।বইটির বৃহত্তম অংশজুড়ে লেখক বলেছেন ফজলুল হকের কথা।বিশেষ করে ফজলুল হকের বহুমুখী রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা।লেখক কোন নেতার কার্যাবলী সম্পর্কে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক আলোচনা করেছেন।আবার কোন ঘটনার জন্য করেছে নিরপেক্ষভাবে।তার মধ্যে পূর্ববঙ্গবাসীর; মাতৃভাষা জাতিসত্তা রক্ষার জন্য রক্ত দেওয়ার শুভফল ছিল যে,তাদের পাকিস্তান রাষ্ট্রের সম্পর্ক চোখ খুলে গেল।এতদিন তাদের,বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের দৃষ্টি ঝাপসা হয়েছিল ধর্মীয় ভাবাবাগের কুয়াশায়।কুয়াশা কেটে গিয়ে সেখানে এল আর যুক্তি সেই যুক্তি তাদের পথ দেখাল। এই পথে হাঁটার প্রথম পদক্ষেপ বলা যায় '৫৪ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের জয়।কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিবাদের ফলে সরকার গঠন হয়না।এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের দমননীতি তে আগাতে থাকে ১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মির্জা মার্শাল ল' জারি করে ভাসানী,শেখ মুজিব,মুনসুর আহমেদ সহ অনেক জনপ্রিয় থেকে জেলে প্রেরণ করে।এর মাঝেই জেনারেল আইয়ুব খান রাষ্ট্রক্ষমতা নিজ হাতে তুলে নেয়। গ্রেফতার হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের মধ্যে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের। মুখে মার্চে এসে আইয়ুব খানের পতন ঘটে এবং ক্ষমতাসীন জেনারেল ইয়াহিয়া। শেখ মুজিবকে গণআন্দোলনের ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামীলীগ ও পশ্চিম-পাকিস্তান পিপলস পার্টির দুটি আলাদা রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জানান দেয়।এবং "৭১ এর "২৫ শে মার্চে।এ ভয়াল নির্মম হামলা জাতির মনে হয় যে ভয়াল সৃষ্টি করেছিল তা থেকে পাকিস্তান অক্ষুন্ন রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয়।পাকিস্তানের শাসন-শোষন যুগ শেষে স্বাধীনতার পরবর্তী রাজনৈতিক উত্থান-পতন নিয়েই আলোচনা কিছু আলোচনা করেছেন। মুসলমানরা গদ্য চর্চার শুরুর দিকে তাদের রচনা আরবি-ফারসি ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারের প্রবণতা লক্ষ করা যায়।আবুল মনসুর আহমেদের রচনায় প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তার রচনা "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর" বইয়ে মুদ্দত, ইন্তেজাম, পুস্ত প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করতে দেখা যায়। আবুল মনসুর আহমেদ এর "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর" আমাদের কাছে রাজনৈতিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য গ্রন্থ।স্মৃতিকথা আঙ্গিকে লেখা বইটির লেখক ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে পুরো পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী সময় পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাব্দী রাজনৈতিক ইতিহাস অত্যন্ত সরল অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন।লেখক নিজেও ছিলেন এ সময়ের অনেক ঘটনার সাক্ষী,কিছু ঘটনা সরাসরি অংশগ্রহণ পথ্য হিসেবে অভিজ্ঞতার বস্তুনিষ্ঠ বয়ান পাওয়া যায় বইটিতে।কৌতহুল পাঠক ইতিহাসবিদ গবেষকদের কাছে বহুদিন ধরে বইটি মূল্যবান ও নির্ভরযোগ্য তথ্য আকার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। _____________________________ বই:-আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর লেখক:- আবুল মনসুর আহমদ প্রকাশক:-খোশরোজ কিতাব মহল ধরন :-বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঘটনাবলি প্রথম প্রকাশ :- ১৯৬৯ ব্যক্তিগত রেটিং :-৪.৬০/৫.০০ __________________________________

      By Mohammad Ibrahim khalil

      26 May 2021 03:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক অনেক তথ্য বহুল একটি বই।ধন্যবাদ।

      By MD ABDUS SALAM

      24 May 2021 10:52 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice

      By ramesh

      30 Apr 2021 11:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent book. Good for history seekers.

      By Md. Aruiful Islam

      14 Jan 2021 08:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন একটি বই ছিলো, ভবিষ্যৎ ইতিহাস লিখতে এটা একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে থাকবে

      By Aumeo Mahfuj

      24 Dec 2020 01:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অবিশ্বাস্য তথ্যবহুল বই।। এই বই পড়লেই জানা যাবে ৭১ পুর্ববর্তী সকল রাজনৈতিক ঘটনা।।গবেষণা করার মত তথ্য সমৃদ্ধ। ।এই ধরনের বই আর নেই এটা বলা যায়

      By Ali Asif Shawon

      07 Aug 2020 12:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      very bad print , need to change

      By tasnim uzzaman

      29 Jul 2020 09:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই । এই বইটিতে রয়েছে রাজনীতির এমন ঘটনা যা পড়লে অবাক না হয়ে থাকে না।

      By Riyad Hasan

      11 Apr 2020 01:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      A masterpiece... by a legendary person

      By MD. MAHFUZUR RAHMAN

      15 Feb 2018 12:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent Book

      By Saroar

      28 Nov 2017 10:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে জানতে একটি নির্ভর যোগ্য বই।

      By Nira jahan

      18 Aug 2017 10:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারিরিভিউপ্রতিযোগিতা বই-আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর লেখক-আবুল মনসুর আহমেদ জনরা-বাংলাদেশ রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঘটনাবলি মূল্য-৬০০ পৃষ্ঠা-৬৬৪ খোশরোজ কিতাব মহল আবুল মনসুর আহমেদ পাক-ভারত সময়ের প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ। জন্ম ময়মনসিংহের ত্রিশালে। তিনি ১৯১৭ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইন পাশ করেন। সে সময় খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের সময় ছিলো। তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর কংগ্রেস আন্দোলনসমূহেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৩৭ সালে নির্বাচনের পর মুসলিম লীগের সাথে যোগ দেন।এবং ১৯৪০ সালে পাকিস্তান আন্দোলনসমূহেও যোগ দেন।১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি ত্রিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী হন।১৯৫৭ সালে সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বানিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীও ছিলেন। পূর্ববাংলার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন শিল্পায়নেও তার অবদান রয়েছে। ১৯৫৪ সালের ২১ দফার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। আওয়ামী মুসলিমলীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। রাজনৈতিক কারনে আইয়ুব খানের আমলে অনেকবার কারাবরণ করেন। আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর মূলত তার অভিজ্ঞতা সম্বলিত পুস্তক। লেখকের রাজনৈতিক জীবনের ঘটনাসমূহের বিবরণ রয়েছে এই বইয়ে। কিভাবে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, প্রবশের পর থেকে তার অবস্থান, তার সাথে সম্পৃক্ত ঘটনা সমূহের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন তিনি। বলা যায় রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ভ্রমণসমূহের বিবরণ ও অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছে তার লেখা এই বইয়ে। মুসলিম ধর্মে জন্মগ্রহনের ফলে ইসলাম ধর্মের প্রতি ছিলো অনুরক্ত। তার ফলশ্রুতিতে কিশোর বয়সের খেলাফত আন্দোলনেও ছিলো তাঁর পক্ষপাতিত্ব। আবুল মনসুর আহমেদের রাজনীতিতে পদার্পণ ছিলো অবচেতন ভাবে। ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়ায় সে সময় ইংরেজ বিরোধী প্রজা আন্দোলনে মাত্র নয় বছর বয়সেই সরাসরি জড়িয়ে পড়েন। তারপর থেকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন পুরোপুরি ভাবে। এই বইয়ে লেখকের বয়ানে বর্ণিত হয়েছে অখন্ড ভারতের রাজনীতি, সে সময়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কার্যবলি। তারপর ভারত খন্ডিত পাকিস্তানের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কার্যবলি। পূর্বপাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হবার সূচনালগ্নও । মোট কথা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তার সময় গুলো লেখক উল্ল্যেখ করেছেন। এবং তাতে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। যদিও এটি ৫০ বছর উল্ল্যেখ আছে তবে পটভূমি বিচারে সময়কাল ৫০ বছরের অধিক হবে। বইটি ৩১টি অধ্যায় এবং দশটি নতুন সংযুক্তিতে উপঅধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন। অধ্যায় গুলোতে একের পর এক সময়ের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বর্ণনার শুরু খেলাফত আন্দোলন থেকে তারপর, বেঙ্গল প্যাক্ট, প্রজা সমিতি, ময়মনসিংহ সংগঠন, প্রজা আন্দোলনের শুরু, আইন পরিষদে প্রজা পার্টি, নির্বাচন, হক সাহেবের মন্ত্রীসভা, কৃষক প্রজা পার্টি, ভারত ভাগের আন্দোলন, পাকিস্তান সৃষ্টি, মুসলীম লীগ থেকে আওয়ামী মুসলীম লীগ গঠন, আওয়ামীলীগ গঠন, বাংলা জাতির অধিকার আদায়ে সচেষ্ট, যুক্তফ্রন্ট, মারি প্যাক্ট চুক্তি, স্বাধীন সার্বোভৌম বাংলাদেশ, প্রথম জাতীয় সাধারণ নির্বাচন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা, পাকিস্তানিদের লুকোচুরি মনোভাব, বাংলার স্বাধীনতা উদয়ের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী নবাগত বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। এসকল বিবরণের সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গের সমালোচনা। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ভুল ভ্রান্তি, স্বার্থপরতা, দূর্ভিক্ষ, হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িকতা, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, মামলা মোকাদ্দমা, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি রাজনীতিতে বিভিন্ন কারনে ধস এসবের বর্ণনাও উঠে আসে। "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর" বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। এই বই পাক-ভারত সময়ের ইতিহাস। পুরো বই জুড়ে সে সসময়ের রাজনীতির অবস্থা বর্ণিত আছে। সে সময়ের রাজনৈতিক ইতিহাস জানতে পাঠক বর্গ অবশ্যই এই বই পড়ে দেখতে পারেন। এখানে লেখক ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই সম্পর্কেই আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে ফজলুল হকের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ। মাওলানা ভাসানী, শহীদ সাহেব, শেখ মুজিব প্রভৃতি ব্যক্তি বর্গের আলোচনা। জাতি গত বৈষম্য যে ধর্ম থেকেই পুরো ভারতে উঠে এসেছে তাও লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রথমে হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায় একত্র হয়ে ইংরেজ বিরোধীতা করলেও এক সময় তাদের দুই ধর্মের মাঝে সাম্প্রদায়িক সমস্যা দেখা যায়। তার মাঝে দুই সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গের কিছু ভুলের কারনে তা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। একসময় তা দেশ ভাগের কারন হয়ে দাড়ায়। এরপর যখন পাকিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায় সে সময়ের রাজনীতি অবস্থাতেও বিভিন্ন ঝামেলা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, স্বার্থপরতা, পূর্ব-পাকিস্থানের সাথে বৈরী ব্যবহার। এইসব সম্পর্কে লেখকের অভিজ্ঞতা সমূহ বর্ণিত হয়েছে। মূলত ৫০ বছরের পুরো রাজনীতির ইতিহাস না হলেও লেখকের অভিজ্ঞতালব্দ ৫০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসের দলিল। যে সব লেখক সরাসরি প্রতক্ষ বা স্পর্শ করে গেছেন। তবে নতুন প্রজন্মদের জন্য সে সময়ের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে বইটি সামগ্রিক ভাবে সাহায্য করবে। রাজনৈতিক আদর্শে উজ্জীবিত আবুল মনসুর আহমেদ ১৯৭৯ সালে মারা যান।

      By irina

      27 Mar 2022 05:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ধন্যবাদ রকমারি কে এটি সংগ্রহে রাখার জন্য। আমি চাই রকমারির বই তালিকা আরো সমৃদ্ধ হোক।

      By Md. Jakaria

      12 Oct 2019 09:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অামার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর বইটি অাবুল মনসুর অাহমেদ এর এক অনবদ্য সৃষ্টি। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ও বাংলাদেশের সৃষ্টির প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস জানতে চাইলে এই বইটিই অন্যন্য একটি বই৷ এই বইটি মূলত তার রাজনৈতিক জীবনেরই প্রতিফলন। তার জন্ম ১৮৯৮ ও মৃত্যু ১৯৭৯ সাল হওয়ায় তিনি বিশ্ব রাজনীতি ও উপমহাদেশের রাজনীতির উন্থান পতন দেখেছেন অনেক কাছ থেকে৷ তার এই বইতে সেই সকল বিষয়গুলোর বিবরণ নিপুনভাবে তুলে ধরেছেন।

      By Shahriar Kabir

      19 Oct 2022 01:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলা ভাষায় বাংলা রাজনীতির ইতিহাসের উপর এরকম তথ্যবহুল ও সাথে সাথে অসম্ভব রকম সুখপাঠ্য একটি বই আছে সেটি আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় একটি সম্পদ। প্রতিটি সচেতন নাগরিকের এই বইটি পড়া উচিৎ।

      By iqbal mahfuj

      06 Jun 2016 06:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আবুল মনসুর আহমদ দীর্ঘ আশি বছরের জীবনে ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ তাঁর দীর্ঘজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার ফসল। রাজনীতি সচেতন এবং আগামীর রাজনীতিবিদদের জন্য বইটি অবশ্যই পাঠ্য।এতে রয়েছে এদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস। শুনে বা পড়ে নয় বরং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে রচিত হয়েছে বইটি। মহাত্মা গান্ধী, কায়েদে আযম মোহম্মদ আলী জিন্নাহ, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, খাজা নিজামুদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ উপমহাদেশর প্রখ্যাত সকল রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবিদের সাথে তার ছিল হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক।

      By Wadud Faruk

      26 Mar 2021 07:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্বাধীনতাপূর্ব বাংলোদেশের ইতিহাস জানতে এবং সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছে কে বা কারা জানতে এই বইটির বিকল্প নেই । স্বাধীনতাপূর্ব এবং পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহসের অনন্য দলীল এই বই । কেউ যদি নিজেকে বাংলাদেশী দাবী করে তার প্রমাণ পেশ করতে চায় তাহলে এই বইটি পড়ে বলতে পারলেই হবে । এই বইটি পেয়ে আমরা ঋণী আবুল মনসুর আহমদ’র কাছে ।

      By Nakib Ahmed

      29 Nov 2016 05:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      In this book Abul Mansur Ahmed, gives us a glimpse through his political hurdles. As we see his journey, we also see our country's journey. An amazing book must read for history buffs.

      By MD. Moniruzzaman

      10 May 2016 12:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      its a wonderful political history book on that time... truth has been told in a drastic way

      By MD. Shoriful Islam

      03 Jan 2020 10:30 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস জানার জন্য একটি মূল্যবান বই আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর। এতে আবুল মনসুর আহমদ আজকের বাংলাদেশ নামে পরিচিত ভূখণ্ডটির ১৯২০ থেকে ’৭০ দশক অবধি প্রায় অর্ধশতাব্দীর রাজনৈতিক ইতিহাস তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে ও অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন। কৌতূহলী পাঠক, গবেষক ও ইতিহাসবিদদের জন্য এ বই পাঠের বিকল্প নেই। আবুল মনসুর আহমদের আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য গ্রন্থ। স্মৃতিকথার আঙ্গিকে লেখা এই বইটিতে লেখক ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে পুরো পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়-পরবর্তী সময় পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাব্দীর রাজনৈতিক ইতিহাস অত্যন্ত সরল ও অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন। লেখক নিজে ছিলেন এই সময়ের অনেক ঘটনার সাক্ষী, কিছু ঘটনায় তাঁর ছিল সরাসরি অংশগ্রহণ। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাঁর সে অভিজ্ঞতারই বস্ত্তনিষ্ঠ বয়ান পাওয়া যায় বইটিতে। কৌতূহলী পাঠক, ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কাছে বহুদিন ধরেই এ বই একটি মূল্যবান ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-আকর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

      By Mehedi Hasan

      29 Oct 2019 01:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর বইটি, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বই তা নয়,এটি তৎকালীন সময়ের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার একটি পান্ডুলিপিও বটে

      By ফয়সাল আহমেদ

      16 Oct 2019 10:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃআমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর লেখকঃআবুল মনসুর আহমদ প্রকাশনীঃখোশরোজ কিতাব মহল মূল্যঃ ৫১০টাকা "আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর"নাম শুনলেই বইটির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ধারণা করা যায়। ১৯ শতকের প্রথম দিকের গ্রামের জমিদারি প্রথার বর্ণনা দিয়ে বইয়ের শুরু আর শেষ হয়েছে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম সাধারন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে । আবুল মনসুর আহমদ শুধু একজন সফল রাজনীতিবিদই নন , বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যকও বটে । রাজনৈতিক স্যাটেয়ার লেখায় তার উপরে কেউ যেতে পারে নি তার প্রমাণ এ বই ।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কৃষক প্রজা পার্টি , কংগ্রেস , মুসলিম লীগ আর আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন । ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার রচয়িতা তিনি ।অনেক বিখ্যাত রাজনীতিবিদের কাছ থেকে দেখেছেন । তাদের কাজকে যেমন প্রশংসা করেছেন , তেমনি দরকার পড়লে সমালোচনা করতেও দ্বিধা করেনি । এই বইটা আসলে এই কারনে অন্য সকল রাজনৈতিক বই থেকে আলাদা । বইটা পড়ে যে কেউ শেরে বাংলা এবং সোহরাওয়ারদিকে নতুন ভাবে চিনেছি। বাংলার রাজনীতি যে তাদের কাছে কতভাবে ঋণী , এই বই না পড়লে তা চিন্তা করাও কঠিন ।দ্বিজাতি তত্ত্ব , লাহোর প্রস্তাব আর দেশভাগ সম্পর্কে জানার জন্য এই বইয়ের কোন বিকল্প নেই । আমাদের সমাজে দেশভাগ নিয়ে যে কত মিথ ছড়িয়ে আছে , তার একটা পর্যালোচনা পাওয়া যাবে । সমাজের পদে পদে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে যে বিরোধ আর অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে , দেশভাগ ছাড়া যে তা মিটানো সহজ ছিল না , বইয়ে তার অসাধারন বর্ণনা পাওয়া যায় । বইয়ের শেষ দিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার যে বিশ্লেষণ , এক কথায় মাস্টারপিস । বিশেষ করে কিছু উৎসাহী মানুষের কারনে যে , বাংলাদেশের সামনে বিপদ আছে , তারও উল্লেখ পাই বইটিতে।আমার পড়া রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সেরা বই।

      By Jahan-E-Noor

      10 Apr 2013 03:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর বইটি প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৬৮ সালে। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশের প্রেক্ষিতে কয়েকটি নতুন অধ্যায় সংযোজন করা হয় (১৯৭৫ সালে) বইটির তৃতীয় সংস্করনে। সুতরাং বইটির নাম আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর হলেও বইটি ষাট বছর কিংবা তারও অধিক সময়ের রাজনৈতিক প্রতিবিম্ব। লেখক আবুল মনসুর আহমদ ব্যক্তি জীবনে রাজনীতির যেসব শাখা প্রশাখায় বিচরণ করেছেন, যেসব ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িয়েছেন কিংবা ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়েছেন সেসব ঘটনার বিষদ বিবরণ নিয়েই মূলত রচিত হয়েছে আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর বইটি। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে লেখকের জন্ম বলে ফরায়েজী ও ওহাবী আন্দোলনের প্রতি বিশেষ ধরনের দূর্বলতা প্রকাশ করেই বইটির সূচনা। প্রধানত নিজ ধর্মের প্রতি বিশেষ দূর্বলতা ও ইংরেজ বিদ্বেষী জাগ্রত চেতনা শিশু মনসুর আহমেদ এর উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলশ্র“তিতে তিনি অল্প বয়সেই ইংরেজ মনোনীত নায়েব সাহেবের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। মাত্র নয় বছর বয়সে প্রজা আন্দোলনের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে ক্রমেই নিজের ভবিতব্যকে জড়িয়ে ফেলেছেন জাতীয় রাজনীতির সাথে। ধর্ম চেতনাকে রাজনীতির সাথে উপলব্ধি করে তৎকালীন সমাজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে মুসলমানদের (উনিশ শতকের প্রথম দিকে) অনগ্রসরতা ও বিভিন্নভাবে মুসলিম সাধারনকে হেনস্তা করা প্রভৃতি বিষয় সমূহ লেখককে আরো বেশি সক্রিয় করে তোলে। (একজন শিক্ষক ক্লাসে তাকে মিয়া সাব বলায় তিনিও শিক্ষককে বাবুজী সম্ভাষণ করেছেন। উল্লেখ্য যে, উভয় সম্বোধনই অপমানজনক)। ১৯১৪ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর প্রতি মুসলিম সমাজের অগাধ সমর্থনের প্রধান কারন দেখা যায় তুর্কি খলিফার জার্মান সমর্থন। হিন্দু ও মুসলিম জাতি উভয়েই ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, তবে নিজ নিজ ধর্মীয় আবেগকে বিন্দুমাত্র অবনমিত না করে। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন তারই প্রতিবিম্ব। স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা যতোটা প্রাধান্য পেয়েছে ধর্ম তার চাইতে কোন অংশে কম নয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানীর পরাজয়, তুরস্কের ক্ষমতায় এসে কামাল আততুর্ক খিলাফত রদ করলে ক্রমেই খিলাফত আন্দোলন স্থিমিত হয়ে আসে। তবে ইংরেজ ও জমিদার শ্রেণীর প্রতি বিদ্বেষ কমে না বরং তা আরো প্রকট হতে থাকে। যারফলে ধনবাড়ির বিখ্যাত জমিদার সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী নির্বাচনে একজন গরিব সাধারন নেতার কাছে পরাজিত হন। এমতাবস্থায় ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের উদ্যোগে হিন্দু-মুসলিম স¤প্রীতি স্থাপনের জন্য বেঙ্গল প্যাক্ট চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। যার ফলে মুসলমানরা কর্মক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পায় এবং এই চুক্তির কারনে হিন্দু সমাজ উত্তেজিত হয়ে চুক্তি ভন্ডুল করার চেষ্টা করে। অবশেষে দেশবন্ধু ও মওলানা আকরাম খাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সিরাজগঞ্জের এক সম্মেলনে বেঙ্গল প্যাক্ট গৃহীত হয়। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনদাশ উপলব্ধি করেন হিন্দু মুসলিম স¤প্রীতি ছাড়া স্বরাজ সম্ভব নয়। কিন্তু ১৯২৫ সালে দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর সা¤প্রদায়িক তিক্ততা চরমভাবে বৃদ্ধি পায়। ১৯২৬ সালে কলকাতার বিধ্বংসী দাঙ্গা এর জ্বলন্ত প্রমাণ। এসময় হিন্দুনির্ভর কংগ্রেস নিরব ভূমিকা পালন করে কিন্তু মোঃ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ স¤প্রীতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যার ফলে ইংরেজদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। জিন্নাহ বিরোধী এই ষড়যন্ত্র পরে অবশ্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও জিন্নাহর প্রচেষ্টায় মিটে যায়। পরে ১৯২৮ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের বর্ষিক অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা বিধানরায় মুসলমানদেরকে কটূক্তি করলে হিন্দু-মুসলিম সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা ব্যহত হয়। সেসময় প্রজাসত্ত্ব আইনের প্রশ্নে হিন্দুদের জমিদার পক্ষ অবলম্বন ও মুসলিমদের প্রজাপক্ষ অবলম্বন করায় আইন সভা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় এবং এসময়েই বেঙ্গলপ্যাক্ট বাতিল করা হয়। এরপর কংগ্রেস থেকে মুসলমানরা বের হয়ে এসে মওলানা আকরাম খাঁর নেতৃত্বে নিখিল বঙ্গঁ প্রজা সমিতি গঠন করে ১৯২৯ সালে। এসময় কংগ্রেস নেতৃত্বের জমিদার প্রীতি প্রজা আন্দোলনে বিঘœ ঘটায়। পরে ১৯৩১ সালে মহাত্মা গান্ধী গ্রেফতার ও ১৯৩২ সালে কংগ্রেসকে বেআইনি ঘোষনা করা হয়। অপরদিকে ময়মনসিংহ জেলায় প্রজা আন্দোলনের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে। এসময় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সিরাজগঞ্জে প্রজা সম্মিলনী আহ্বান করেন। মূলত এই সম্মেলনের উপর ভিত্তি করেই ১৯৩৬ সালে বঙ্গীয় কৃষি খাতক আইন ও ১৯৩৭ সালে ঋণ সালিশী বোর্ড স্থাপিত হয় এবং এর মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ক্ষমতার প্রশ্নে মুসলিম সমাজ অর্ন্তদ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তা প্রশমিত করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এছাড়া বাঙ্গালী হিন্দুরা মেজরিটি শাসন ও পূর্ন স্বায়ত্তশাসন উভয়ের বিরুদ্ধে থাকায় এই দুই অধিকারের জন্য আন্দোলনও খুব একটা জমে ওঠেনি। এর মাঝেই ফজলুল হক মন্ত্রীসভা গঠন করেন কিন্তু মন্ত্রীদের অর্š—দ্বন্দ্বের ফলে হক মন্ত্রীসভার পতন হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় হক মন্ত্রীসভার বিরোদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু হক সাহেব ততদিনে জাতির কাছে খাঁটি বাঙ্গালি ও খাঁটি মুসলিমের সংমিশ্রনে এক নতুন নেতৃত্বের স্বপ্নের দুয়ার উম্মোচন করেন। যার ফলে এই মন্ত্রীসভার (১৯৩৮-৪০) সময়টা বাংলার মুসলমান ও কৃষকপ্রজা খাতকের জন্য বিশেষ সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের পর জিন্নাহ ও সুভাষবাবু হিন্দু মুসলিম ঐক্যের আরেকটি উদ্যোগ নিলে তাও বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি মাহাত্মা গান্ধীর বিরূপ আচরনের কারনে। এরপর বাঙ্গালি জাতীয়তাবোধে শুরু হয় সত্যাগ্রহ আন্দোলন কিন্তু আন্দোলনের একপর্যায়ে সুভাষবাবুর অন্তর্ধানে বাঙালী স্বাতন্ত্র্যের সংগ্রাম অনেকটাই স্থিমিত হয়ে পরে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে ফজলুল হক সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার উদ্দেশ্যে কাজী নজরুল ইসলামকে নামে মাত্র সম্পাদক করে আবুল মনসুর আহমদের সম্পাদনায় নবযুগ পত্রিকার প্রচলন করেন। এরপর জিন্নাহ-হক দ্বন্ধে মুসলিম লীগ থেকে ফজলুল হক প্রত্যাবর্তন করেন ও শ্যামপ্রসাদকে নিয়ে প্রগ্রেসিভ কোয়ালিশন পাটি গঠন করেন। এসময় ২য় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ভাগ্যগুনে হকসাহেব আবারো মন্ত্রীসভা গঠন করেন এবং নানাবিধ কারনে মুসলিম সমাজে অজনপ্রিয় হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ১৯৪৩ সালে নাযিমুদ্দিন মন্ত্রীসভা গঠন করে এবং তার সময়েই (বাংলা ১৩৫০ সাল) ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ দেখা দেয় বাংলায়। ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আক্রমন প্রতিরোধের কৌশল হিসাবে খাদ্য মজুদ ও পরিবহন ধ্বংস করে ভারত সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবেই এ দূর্ভিক্ষর জন্ম দেয় বলে ধারনা করা হয়। ১৯৪৬ সালে খাজা নাযিমুদ্দিন হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলে সা¤প্রদায়িকতা নৃসংশ আকার ধারন করে এবং অবশেষে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়। এসময় কলকাতাকে পূর্ববাংলার সাথে একীভূত করার জন্য হকসাহেব ও সোহরাওয়ার্দী বেশ চেষ্টা করেন কিন্তু পরে নাযিমউদ্দিন নেতৃত্বে আসার পর সে প্রচেষ্টায় ভাটা পড়ে। এসময় লিয়াকত আলী খাঁ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং বলিষ্ট নেতা সোহরাওয়ার্দীকে কোনঠাসা করে বাংলা প্রদেশে মুসলিম লীগ বিলুপ্ত করেন। তখন থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন শুরু করা হয়। ১৯৪৮ সালে গান্ধীর মৃত্যুর পর ভারতের মুসলমানরা শংকিত হয় ও জিন্নাহ সাহেবের বক্তব্যে স¤প্রদায়িকতা ঝড়ে পড়ে (তিনি বলেছিলেন ভারত একজন মহান হিন্দুকে হারালো)। ঠিক এসময়েই পাকিস্তানের গভর্নর জিন্নাহ সাহেব উর্দূকেই একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষনা করেন এবং তার প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে বাংলার ছাত্রসমাজ। ১৯৫০ সালে মওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দী সাহেব মুসলীম লীগের একক আধিপাত্যের বিপরীতে আওয়ামীলীগ এর ব্যানারে আরেকটি সংগঠন বেগবান করতে চাইলে নানাভাবে তাদেরকে বিব্রত করা হয়। ১৯৫১ সালে নাযিমুদ্দিনও মাতৃভাষা হিসেবে উর্দূকে ঘোষনা করলে পূর্ববাংলার মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা নিরব ভুমিকা পালন করে। পক্ষান্তরে সাধারণ ছাত্র সমাজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মুসলীম লীগের উপর গনমানুষের তিক্ততা উপলব্ধি করে ১৯৫৪ সালে নির্বাচন দেয়া হয়। এসময় ফজলুল হক রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। এসময়ই নির্বাচনী ইশতেহার হিসাবে ২১ দফা প্রণয়ন হয় ও নির্বাচনে ২৩৭ টি আসনের ২২৮ টি নিয়ে যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়। কিন্তু মন্ত্রীত্বের ভাগাভাগি নিয়ে হক-সরোয়ার্দী বিবাদের ফলে যুক্তফ্রন্টে ফাটল দেখা দেয়। যার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ববাংলায় ৯২ক ধারা প্রয়োগ করে গভর্নর রুপে শাসন ক্ষমতা ইস্কান্দার মির্যাকে প্রদান করে এবং আওয়ামীলীগের উপর দমননীতি চালানো হয় সেক্রেটারী শেখ মুজিব সহ অন্যান্য নেতাদেও হয়রানি ও গ্রেফতারের মাধ্যমে। পরে প্রধানমন্ত্রী মোঃ আলীর ষড়যন্ত্রে যুক্তফ্রন্ট বিলুপ্ত হয়ে যায় ও আওয়ামীলীগ দূর্বল হয়ে যায়। পরে মওলানা ভাসানীকে গ্রেফতার ও আওয়ামীলীগ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র এবং ভাসানী কর্তৃক ন্যাপ গঠন তৎকালীন চলমান রাজনীতিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মির্যা মার্শাল ল জারি করে ভাসানী, মুজিব, মনসুর আহমদ সহ অনেক জনপ্রিয় নেতাকে জেলে প্রেরন করে। এর মাঝেই জেনারেল আইয়ুব রাষ্ট্রক্ষমতা নিজ হাতে তুলে নেয়। গ্রেফতার, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের মধ্যে ১৯৬৯ সালে গনআন্দোলনের মুখে মার্চে এসে আইয়ুব খানের পতন ঘটে এবং ক্ষমতায় আসেন জেনারেল ইয়াইয়া। মূলতঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখমুজিবকে গ্রেফতার-ই গনআন্দোলনে জোয়ার এনে দেয়। পরে ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে পূর্বপাকিস্তানে আওয়ামীলীগ ও পশ্চিমপাকিস্তানে পিপলস পার্টির একচেটিয়া জয় দুটি আলাদা রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জানান দেয়। কেন্দ্রীয় পরিষদে ৩১৩ আসনের ১৬৭ টি জিতে আওয়ামীলীগ একক মেজরিটি দল হিসাবে সরকার গঠনের দাবীদার হয়ে উঠলে পশ্চিমারা ছয়দফা বাতিলের অজুহাতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। এসময় ভূট্টো-ইয়াইয়া যোগসাজসে ঢাকায় বৈঠক স্থগিত করে এব; বাঙ্গালীর ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনের উপর পুলিশ গুলিবর্ষন করে। অতঃপর ৭ মার্চ জনতার সামনে শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ভাষন এবং সেদিন সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষনা করা ও না করা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক, এসব ব্যাপারে লেখকের অভিমত স্থান পেয়েছে বইটির অনেক জায়গায় জুড়ে। ক্রান্তিকালে সিদ্ধান্ত দিতে মুজিবের দ্বিধাদ্বন্ধ ও ঘটনাকে নিয়ন্ত্রন না করে বরং ঘটনার দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়েও একজন ভাগ্যবান নেতা হিসেবে মুজিবের অভূতপূর্ব সাফল্য - এসব বিষয় বেশ আলোচিত হয়েছে এখানে। অবশেষে শেখ মুজিব পাকিস্তানের নেতৃত্বে এককভাবে না নিয়ে পশ্চিমপাকিস্তান ভূট্টোর হাতে ছেড়ে দেয়ার পর মুজিবের ভাগ্য নির্ধারিত হয় ভূট্টো-ইয়াইয়ার সিদ্ধান্তের উপর। (এক্ষেত্রে মুজিবের অদূরদর্শীতার কথা বোঝানো হয়েছে এখানে)। যার ফলে, ২৫ শে মার্চ ৭১, জাতির জীবনে নেমে আসে কালোরাত। অতঃপর শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। প্রথম দুই মাস কোনঠাসা বাঙালি জাতির উপর চলে অমানুতিক নির্যাতন, পরের পাঁচমাস চলে দখলদার বাহিনীর বিরোদ্ধে বাঙালির জনযুদ্ধ, শেষের দুইমাস জনসমর্থনহীন পাকবাহিনী ও জনমসর্থিত বাঙালী ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে একটা আন্তর্জাতিক যুদ্ধ। অতঃপর নয় মাসের ব্যবধানে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভুদয়। মূলতঃ ২৫ মার্চের নির্মম হামলা জাতির মনে যে বেগ সৃষ্টি করেছিল তা থেকে পাকিস্তান অখন্ডরাখা কোন ভাবেই সম্ভব হয় নাই। দেশস্বাধীনের পর বিভিন্ন নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে লন্ডন ও দিল্লী হয়ে ১০ জানুয়ারী ১৯৭২, শেখ মুজিবের ঢাকা প্রত্যাবর্তনে স্বাধীন বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় দুষ্টচক্রের খেলার অবসান ঘটে। অতঃপর ভারত-বাংলাদেশ স¤প্রীতি, সমাজতন্ত্র-গনতন্ত্র বিতর্কের একপর্যায়ে ১৮ বছরে ভোটাধিকারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমাদের সংবিধান রচিত হয়। এর মাধ্যমে জাতীয় অধিকারের আন্দোলনে নিবেদিত ছাত্রসমাজের মূল্যায়ন করা হলো। কিন্তু সংসদে শেখ মুজিব “অপযিশন লিডার” পদ বিলুপ্ত করায় তা সংগ্রামী বাঙালী জাতির জন্য লজ্জ্বাজনক ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। স্বাধীনতার পর আওয়ামীলীগ ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে বলে লেখক যে ভবিষ্যতবানী করেছিলেন তা আওয়ামী নেতাদের ক্ষমতালিপ্সতা ও অগনতান্ত্রিক আচরনের কারনে অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। বইটির বৃহত্তর অংশ জুড়ে পরিস্থিতির সাথে লেখকের অঙ্গাঅঙ্গি পদচারনায় বারবার দিয়ে এসেছে ফজলুল হকের বহুমুখী রাজনৈতিক মতাদর্শ। কখনো ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক রুপে উঠে এসেছে পূর্ববাংলার নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র। তবে দেশ ভাগের (১৯৪৭ সালের পূর্বে) পূর্ব পর্যন্ত ধর্মই অধিকাংশক্ষেত্রে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ করত। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। আর বইটির শেষ অংশে রাজনীতির অবস্থা স¤পর্কে লেখকের পর্যবেক্ষন গুলোই এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি কোন সময়ের বা জাতির ৫০ বছরের সামগ্রিক ইতিহাস নয় ইতিহাসের অংশ মাত্র। শুধুমাত্র সেই সময়ে লেখক যে ঘটনাগুলোকে ছুঁয়ে গেছেন তারই বহিঃপ্রকাশ আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর বইটি।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!