User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By HASAN AHMED SHAHAN

      10 Nov 2024 08:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় অসাধারণ। বইটির মুদ্রণ অনেক ভালো।

      By Romario Das

      02 Apr 2024 04:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুণ অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস।

      By Md. Nazmul Haque

      09 Feb 2023 05:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় অনেক অনেক ভালো ছিল?

      By Humayun Raihan

      22 Aug 2022 11:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice

      By shahriar ISlam

      09 Jun 2022 04:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Very Nice book

      By Mohammad Faisal

      07 Mar 2022 08:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন বই

      By Farjana yasmin bithi

      25 Feb 2022 08:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By siam

      28 Nov 2021 08:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      boi ta darun, printing quality awesome . sera bangla adventure golpo chander pahar . great

      By Limon Hasan

      28 Nov 2021 08:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      no

      By Nur Hosain Mahmud

      29 Sep 2021 10:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার বই, অামর পড়া সেরা বই

      By Towsef Hassan Nafe

      01 Jul 2021 10:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুন

      By Mahmudul Hasan shetu

      10 Mar 2021 10:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ!!!

      By Safayatur Rahman

      02 Sep 2020 08:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Not so bad.

      By Ariyan Rahman Rashfi

      18 Aug 2020 09:18 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Khob valo legece amr boita pore, Thriller ar Adventure ar vorpor.. Everybody must read it.

      By Fatima

      26 May 2020 02:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ বই।অনেক সুন্দর।???

      By MD : Foysal Akram

      05 Feb 2020 05:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুপ ভালো বই সবারই একবার পড়া উচিত

      By MD. Shoriful Islam

      03 Jan 2020 01:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক এই বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। যিনি তাঁর অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তাঁর অসাধারণ সেইসব সাহিত্যকর্মের মধ্যে 'চাঁদের পাহাড়' অন্যতম। আমিতো বলব, এটিই বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় রোমাঞ্চকর উপন্যাস। আর হ্যাঁ, এই উপন্যাসের কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে কলকাতায় পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এর পরিচালনায় ২০১৩ সালে একটি চলচিত্র নির্মিত হয় যেখানে 'শঙ্কর' চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক দেব। চলচিত্রটিও সে বছর বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

      By Md. Jakaria

      30 Dec 2019 04:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর চাঁদের পাহাড় বইটি এমনিতেই বিখ্যাত। তার পরও এর উপর যখন দেবের মুভিটি বের হয় তখন এর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এটা মূলত কিশোর উপন্যাস এবং এর ভাষা সহজ সরল। এখানে তিনি আফ্রিকার প্রাকৃতিক বর্ণনা তুলে ধরেন। একটা তরুণ ডায়মন্ডের খোজে কিভাবে এই প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করেছে তা তুলে ধরেন। এডভেঞ্চার প্রিয় পাঠকদের জন্য বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ বইটি এডভেঞ্চার এ ভরপুর।

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      14 Dec 2019 04:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বিভূতিভূষণ বন্দোপধ্যায় তার শব্দশৈলী ও জীবন্ত বর্ননার মুন্সিয়ানায় এতো চমৎকার ভাবে এই অ্যাডভেঞ্চার জাতীয় উপন্যাসটি লিখেছেন যা কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। বইটি লাইনের পর লাইন শুধু আমাকে রোমাঞ্চিতই করে গেছে। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমি আর ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি নেই।আফ্রিকার এই গহীন অরণ্যে যেনো শঙ্কর নয় আমি নিজেই চলে গেছি। একজন লেখকের বর্ণনা আর বইয়ের পাতার উপর ভর করে যখন পাঠক সেই জায়গাটাতে নিজেকেই কল্পনা করে নিতে পারে তখনই সে লেখার সার্থকতা ঘটে। সেদিক থেকে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় সার্থক হয়েছেন। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে রোমাঞ্চকর এক অভিযানের যাত্রী হয়ে যেতে হয়।

      By Mehedi

      03 Dec 2019 01:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গ্রামের ছেলে সংকরের গ্রাম্য পরিবেশ ও বাঁধাধরা বইয়ের পড়াশোনার বাইরে ছিলো প্রবল বিশ্ব জয়ের ইচ্ছা। তেমনই এক ইচ্ছার প্রতিফলনে হীরার সন্ধানে যাত্রা শুরু হলো। সেই যাত্রায় কত বাধা বিপত্তি, পশুদের হঠাৎ করেই আক্রমণ। দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর কিছু মুহূর্তের বর্ণনা আছে এ বইটিতে। সব কিছুর পর জিম কার্টার, আলভারেজ, আত্তিলিও গ্যাত্তি, শংকর ওরা যারাই হীরার সন্ধানে এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে। কি হলো তাদের শেষ মুহূর্তে? জীবিত ফিরে এলো নাকি পশুদের আক্রমণে করতে হয়েছে মৃত্যুকে বরণ? বৈচিত্র্যময় কাহিনীর স্বাদ পেতে বইটি পড়তে হবে

      By আরিফ সন্ধি

      31 Oct 2019 02:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অপু ট্রিলজির বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এইরকম রোমাঞ্চকর কাহিনী লিখতে পারবেন, তা হয়তো আমাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে বইটি পড়ার আগ পর্যন্ত।সাধারণ মধ্যবিত্ত জীবন থেকে হুট করেই চৌকস শিকারী হবার দৌড়-এই বইটির বড় বিষয়।একটি অসামঞ্জস্য থেকে যায়-বাঙালি ছেলে শংকর আফ্রিকায় কীভাবে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠে? এটাকে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের নায়কের মতোই মনে হয়েছে কিছুটা! তবে, এডভেঞ্চার ও আফ্রিকার অরণ্য কূল সম্বন্ধে ধারণা পেতে বইটটি অবশ্যপাঠ্য

      By Sultan

      27 Oct 2019 09:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো, পোষ-মানা এ প্রাণ… বোতাম - আঁটা জামার নীচে শান্তিতে শয়ান’ কবিগুরু তার এই কবিতাটি দিয়ে সমস্ত বাঙালীদের এক অন্যরকম ভাবে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গেছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে সকল বাঙালীই কি এইরকম? এর উত্তর হবে ‘নাহ!’ সব বাঙালীই এইরকম না! তাদের সবাই হয়তো স্বপ্ন দেখে।কিন্তু এর মধ্যে কিছুমাত্র সংখ্যাই শুধু মাত্র স্বপ্ন দেখেই স্থির থাকে না। স্বপ্নটাকে বাস্তবেও রূপান্তরিত করে। এতে যতো বাঁধাই আসুক না কেনো।আর এরকম এক স্বপ্নাতুর যুবকেরর গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “চাঁদের পাহাড়”।১৯৩৭ সালে রচিত এই অ্যাডভেঞ্চার জাতীয় ভ্রমণোপন্যাস আজও অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের মনে দোলা দিয়ে যায়। কাহিনী সংক্ষেপঃ শঙ্কর রায় চৌধুরী এক বাঙালী নিম্ন মধ্যবিত্ত যুবক। নিম্ন মধ্যবিত্ত হলেও রক্তে তার অ্যাডভেঞ্চারের নেশা। সে স্বপ্ন দেখে আফ্রিকার গহীন অরণ্যের মাঝে ঘুরে বেড়ানোর। আফ্রিকার সুউচ্চ পর্বত জয় করার। কিন্তু এইসবকিছুর মধ্যেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সেই নিম্ন মধ্যবিত্ততা।কিন্তু কেউ কেউ আছে যারা শুধু মাত্র স্বপ্ন দেখেই স্থির থাকে না। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে যা যা করার সব কিছুই করে। শঙ্কর ও ঠিক সেরকম। নিম্ন মমধ্যবিত্ততার কাছে নিজের স্বপ্নকে হার না মানিয়ে রেলে চাকরি নিয়ে সে চলে যায় তার সেই স্বপ্নের রাজ্য আফ্রিকায়। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় দিয়েগো আলভারেজের নামক এক ভবঘুরে ভাগ্যান্বেষীর সাথে। তার মুখ থেকেই শঙ্কর শোনে এক আশ্চর্য হীরার খনির কথা।আর সেই খনির পাহারাদার বুনিক নামের এক দানবের কথা। শঙ্কর এই দুঃসাহসী ভাগ্যান্বেষীর সঙ্গ ধরে মহাদুর্গম চাঁদের পাহাড়ে অজ্ঞাত সেই হীরের খনির সন্ধানে চলে যায়।এরপর রুদ্ধশ্বাস অভিযান, রোমহর্ষক ঘটনাক্রম, কষ্ট, সাহস, বীরত্ব আর বন্ধুত্বের অবিস্মরণীয় এক কাহিনি যা যে-কোনো পাঠককে রোমাঞ্চিত আর উত্তেজিত করবে! পাঠ পতিক্রিয়াঃ বিভূতিভূষণ বন্দোপধ্যায় তার শব্দশৈলী ও জীবন্ত বর্ননার মুন্সিয়ানায় এতো চমৎকার ভাবে এই অ্যাডভেঞ্চার জাতীয় উপন্যাসটি লিখেছেন যা কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। বইটি লাইনের পর লাইন শুধু আমাকে রোমাঞ্চিতই করে গেছে। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমি আর ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি নেই।আফ্রিকার এই গহীন অরণ্যে যেনো শঙ্কর নয় আমি নিজেই চলে গেছি। একজন লেখকের বর্ণনা আর বইয়ের পাতার উপর ভর করে যখন পাঠক সেই জায়গাটাতে নিজেকেই কল্পনা করে নিতে পারে তখনই সে লেখার সার্থকতা ঘটে। সেদিক থেকে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় সার্থক হয়েছেন। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে রোমাঞ্চকর এক অভিযানের যাত্রী হয়ে যেতে হয়। এই বই নিয়ে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যপার হল, লেখক বিভূতিভূষণ স্বশরীরে কখনো আফ্রিকা যাননি।আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বিস্তারের বহু বছর আগে তিনি উপন্যাসটি লিখেছিলেন কেবলই মাত্র কয়েকটি বিখ্যাত ভ্রমণকারী গ্রন্থের সাহায্যে।কল্পনার চোখ দিয়ে তিনি যে আফ্রিকাকে দেখেছিলেন তাই অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে পাঠকের কাছে বর্ননা করে গেছেন। সবশেষে বলবো,"চাঁদের পাহাড়" বাংলা সাহিত্যের একটা সার্থক অ্যাডভেঞ্চার গল্পের বই। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী সবাই এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন।

      By Md. Rafikul Islam

      17 Oct 2019 11:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ২০১৩ সালে যখন প্রথম চাঁদের পাহাড় সিনেমার ট্রেইলার দেখি তখন খুব অধীর আগ্রহ নিয়ে ছিলাম সিনেমাটা কবে রিলিজ হবে কবে দেখতে পাব এই নিয়ে। গুগলে সার্চ করে একটা বিষয় দেখতে পেলাম যেটা আমাকে খুব অবাক করল। ১৯৩৭ সালে সাহিত্যরাজ বিভূতিভূষণের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। সেই সার্চেই একটা সাজেশন ছিলো আর সেটা হল উপন্যাসটির পিডিএফ ভার্সন। স্থানীয় কোন লাইব্রেরীতে বইটা খুজে পাইনি। তখন সবে একটা ৩.৫ ইঞ্চি পর্দার একটা এন্ড্রয়েড ফোন কিনেছি। আর পিডিএফ টা হল ডাবল পেজ স্কানের। মানে একসাথে দুইটা পেজ স্ক্যান করে একটি ইলেকট্রিক পেজ করা হয়েছে। সেই ছোট স্ক্রিনেই পড়তে শুরু করে দিলাম। শংকর অজপাড়াগায়ের ছেলে। তার স্বপ্ন পৃথিবীর দূর দুরান্তে পাড়ি দেওয়ার। কিন্তু সংসারের দারিদ্রতায় মায়ের অনুরোধ সে যেন পাটকলে চাকরী নেয়। তার সকল স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে? না স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন কখনো পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় না। সৌভাগ্যক্রমে শংকর আফ্রিকার উইগান্ডায় রেলওয়েতে চাকরি পায়। সেই চাকরি জীবনেই ঘটতে থাকে লোমহর্ষক সব ঘটনা। প্রথমে যেখানে নিযুক্ত হয় সেখানে সিংহ এর নরমাংস ভক্ষণের দৃশ্য দিয়ে শুরু হয়। তারপর তাকে যেখানে স্টেশনমাষ্টার হিসেবে নিযুক্ত করা হয় সেখানে সিংহ এর সাথে সাপের উপদ্রবও রয়েছে। আফ্রিকান ব্ল্যাক মাম্বা তার বিছানার পাশে ফণা তুলে রয়েছে। তিয়াগো আলফারেজ এর সাথে শংকরের পরিচয় হয়। তিনি বাংলা জানেন। গল্পের মূল কাহিনী শুরু এখান থেকেই। পড়তে পড়তে মনে হয়েছিল যে লেখক হয়ত আফ্রিকা ঘুরে এসেছেন। কিন্তু আসলে তিনি শুধু বই আর ম্যাপ ঘেটে বইটি লিখেছেন এবং তিনি আপনাকে আফ্রিকার গভীরে, সাভানা আর নিঝুম অরণ্যের গোলক ধাধার ভিতরে। বইটা আপনাকে মুগ্ধ করবে এই বিশ্বাস রাখি।

      By Md. Emran Hasan

      09 Aug 2019 03:20 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #BookReview বইঃ চাঁদের পাহাড় ধরনঃ অ্যাডভেঞ্চার লেখকঃ বিভূতিভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৭৯ প্রকাশকঃ জয় প্রকাশন ভারত বাংলার এক নিভৃত পল্লী গাঁয়ের সহজ সরল প্রাণোচ্ছ্বল ছেলে সঙ্কর । এফ.এ পাশ করা গাঁয়ের ফুটবলের নামকরা সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড, নামজাদা সাঁতারু সঙ্করের দিনগুলো কাটছিল বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে, ঘুমিয়ে আর বাঁওড়ে মাছ ধরে । এমন সময় সঙ্করের মা একদিন তাকে বলেন যে, তার বাবার শরীর ভালো নয় কাজেই সঙ্করকে একটা চাকরীর চেষ্টা করতে হবে । মায়ের কথাটা সঙ্করেকে ভাবিয়ে তুলেছে । কে তাকে চাকরি দেবে ? সে চেনেই বা কাকে ? সঙ্করদের গ্রামের এক ভদ্রলোক পাটকলে চাকরি করতেন তার বিশেষ সুপারিশে সঙ্কর পাটকলের কেরানির পদে চাকরি পায় কিন্তু সঙ্করের মন উড়ে যেতে চায় পৃথিবীর দূর, দূর দেশে শত শত দুঃসাহসিক কাজের মাঝখানে । লিভিংস্টোন, স্ট্যানলির মতো, হ্যারি, জনস্টন মার্কো পোলো, রবিনসন ক্রুসোর মতো । আসলে বাঙালী যে সৃষ্টিই হয়েছে কেরানী, স্কুলমাষ্টার, ডাক্তার বা উকিল হবার জন্য । অজ্ঞাত অঞ্চলের অজানা পথে পাড়ি দেওয়ার আশা তাদের পক্ষে নিতান্তই দুরাশা । কাজেই সঙ্কর নিজের নিয়তিকে মেনেই নিয়েছিল পাটকলের কেরানি হিসেবে । তারপর দৈববলে একদিন সঙ্কর তার স্বপ্নের দেশ আফ্রিকায় একটি রেলওয়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ পেয়ে যায় । উগান্ডার মোম্বাসা থেকে রেলপথ গিয়েছে কিসুমু-ভিক্টোরিয়া নায়ানজা হ্রদের ধারে-- তারই একটা শাখা লাইন তৈরি হচ্ছিল আর সঙ্কর সেখানেই একটি কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পের কেরানি ও সরকারি স্টোরকিপার হয়ে এসেছে । উগান্ডার এই অঞ্চল সিংহের রাজ্য । সিংহের লোলুপ রক্তক্ষুধায় প্রান হারায় আফ্রিকায় সঙ্করের একমাত্র বাঙালি বন্ধু তিরুমলসহ ক্যাম্পের কয়েকটি আফ্রিকান কুলি । সিংহের উপদ্রব আর বর্ষাকালের আগমনে সেখান থেকে ক্যাম্প সরিয়ে নেয় কনস্ট্রাকশন বোর্ড । এখান থেকে ৩০ মাইল দূরে একটি ছোট্ট স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কাজ পেয়ে জিনিসপত্র নিয়ে সঙ্কর সেখানে চলে গেল । এই স্টেশনে সেই একমাত্র কর্ম্মচারী । আফ্রিকার গহীন মরু অঞ্চলের সেই একমাত্র মানুষ। দিনে একটিমাত্র ট্রেন সেটি চলে গেলেই গহীন মরুর বুকে সঙ্করের সঙ্গী বিপদ আর ভয় । হিংস্র সিংহ আর আফ্রিকার সবচেয়ে বিষধর সাপ ব্লাক মাম্বার হাতে প্রাণ হারাতে বসেছিল সঙ্কর কিন্তু তবুও সঙ্করের কোন ভাবান্তর নেই কেননা এই জীবনই যে সঙ্কর চেয়েছিল । বিপদসংকুল মরুর বুকেও সঙ্কর রাইফেল হাতে ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়ায় যেন বিপদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় । একদিন মরুর বুকে মুমূর্ষু অবস্থায় ডিয়াগো আলভারেজ নামের এক পর্তুগিজ প্রসপেক্টরকে খুঁজে পায় সঙ্কর যা পরবর্তীতে সঙ্করের জীবনকে আমূল পাল্টে দেয় । অসুস্থ আলভারেজকে চিকিৎসা করে সারিয়ে তুলে সঙ্কর জনমানবহীন মরুভূমিতে একজন সঙ্গী পেয়ে যায় । গল্পে গল্পে সঙ্কর জেনে ফেলে আলভারেজ একজন দক্ষ অনুসন্ধানী । আফ্রিকার মরু, অরণ্য, পাহাড়-পর্বত সবকিছুই তার নখদর্পণে । হঠাৎ করেই একরাতে আলভারেজ সঙ্করকে প্রস্তাব দেয় তার সঙ্গে হীরার খনি "মাউন্টেন অব দি মুন" এর খোঁজে যাবার জন্য । সঙ্করও কালবিলম্ব না করে আলভারেজের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় । পরদিনই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে সঙ্কররা বেড়িয়ে পরে তাদের অভিযানে । বিপদ সংকুল অরণ্য মাড়িয়ে দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ পেড়িয়ে সঙ্কর ও ডিয়াগো আলভারেজ এগিয়ে চলে তাদের স্বপ্নের "মাউন্টেন অব দি মুন"-এর খোঁজে । পথে আফ্রিকার আদিম উপজাতি মাসাইদের এলাকা জুলু ভিলেজে আতিথিয়তা গ্রহণ করে সঙ্কর ও আলভারেজ । গোত্র প্রধানকে তারা তাদের অনুসন্ধানী উদ্দেশ্যের কথা বলতেই তিনি তার ঘোর বিরোধীতা করে জানান যে, যারা "মাউন্টেন অব দি মুন" এর খোঁজে যায় তারা আর কখনো ফিরে আসে না । বুনিপ নামের এক অপদেবতা আছে ঐ এলাকার রক্ষি হিসেবে, বুনিপের এলাকা থেকে কেউ ফিরে আসতে পারে না । কিন্তু স্বপ্নের আস্বাদ পেতে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নানান বিপদ সংকুল পথে দিনরাত তারা এগিয়ে যায় রত্নের খোঁজে । দিনের পর দিন মাসের পর মাস আফ্রিকার অজানা অরণ্যে চলতে চলতে ফুরিয়ে যায় তাদের রসদ সামগ্রী- খাদ্য, বন্দুকের টোটা । এভাবে একদিন তারা পৌঁছে যায় বুনিপের এলাকায় । সঙ্করের জীবনের বিপত্তি ঘটে এখানেই । সারা জীবনের হীরার খনি আবিষ্কারের স্বপ্নকে অসম্পূর্ণ রেখে বুনিপের হাতে প্রাণ হারায় ডিয়াগো আলভারেজ ।। আলভারেজকে হারিয়ে সঙ্কর গুপ্তধনের সন্ধান করা ছেড়ে দিয়ে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল । সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে অরণ্য পেরিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর কালাহারি মরুভূমি, মরুভূমির পর চিমানিমানি পর্বত পেরোলেই দঃ রোডেসিয়া এমনটাই এক রাতে ম্যাপ দেখার সময় আলভারেজ সঙ্করকে বলেছিল । একটি বন্দুক এবং অবশিষ্ট অল্প কিছু সংখ্যক টোটা নিয়ে সঙ্কর ফিরে যাওয়ার পথ ধরল ।। শেষ পর্যন্ত সঙ্করের পরিনতি কি হয়েছিলো ?? সঙ্কর কি পেরেছিল সভ্য জগতে ফিরে যেতে ?? মরুভূমি ও পাহাড়ের পথে সঙ্করের কি হয়েছিলো, সে কি পাহাড় ও মরুভূমি পেরোতে পেরেছিল ?? এসব প্রশ্নের উত্তর "চাঁদের পাহাড়" বইটির কাছ থেকে জেনে নিবেন । ♥️??

      By Prantik Shanto

      21 Apr 2019 01:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      রিভিউঃ চাঁদের পাহাড়। লেখকঃ বিভূতিভূষণ বন্দোপধ্যায়। প্রকাশকালঃ ১৯৩৭। ধরনঃ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাসিক। রেটিংঃ ৫/৫ "ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো, পোষ-মানা এ প্রাণ…বোতাম - আঁটা জামার নীচে শান্তিতে শয়ান" কবিগুরু তার এই কবিতাটি দিয়ে সমস্ত বাঙালীদের এক অন্যরকম ভাবে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গেছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে সকল বাঙালীই কি এইরকম? এর উত্তর হবে ‘নাহ!’ সব বাঙালীই এইরকম না! তাদের সবাই হয়তো স্বপ্ন দেখে।কিন্তু এর মধ্যে কিছুমাত্র সংখ্যাই শুধু মাত্র স্বপ্ন দেখেই স্থির থাকে না। স্বপ্নটাকে বাস্তবেও রূপান্তরিত করে। এতে যতো বাঁধাই আসুক না কেনো।আর এরকম এক স্বপ্নাতুর যুবকেরর গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “চাঁদের পাহাড়”।১৯৩৭ সালে রচিত এই অ্যাডভেঞ্চার জাতীয় ভ্রমণোপন্যাস আজও অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের মনে দোলা দিয়ে যায়। কাহিনী সংক্ষেপঃ শঙ্কর রায় চৌধুরী এক বাঙালী নিম্ন মধ্যবিত্ত যুবক। নিম্ন মধ্যবিত্ত হলেও রক্তে তার অ্যাডভেঞ্চারের নেশা। সে স্বপ্ন দেখে আফ্রিকার গহীন অরণ্যের মাঝে ঘুরে বেড়ানোর। আফ্রিকার সুউচ্চ পর্বত জয় করার। কিন্তু এইসবকিছুর মধ্যেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সেই নিম্ন মধ্যবিত্ততা।কিন্তু কেউ কেউ আছে যারা শুধু মাত্র স্বপ্ন দেখেই স্থির থাকে না। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে যা যা করার সব কিছুই করে। শঙ্কর ও ঠিক সেরকম। নিম্ন মমধ্যবিত্ততার কাছে নিজের স্বপ্নকে হার না মানিয়ে রেলে চাকরি নিয়ে সে চলে যায় তার সেই স্বপ্নের রাজ্য আফ্রিকায়। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় দিয়েগো আলভারেজের নামক এক ভবঘুরে ভাগ্যান্বেষীর সাথে। তার মুখ থেকেই শঙ্কর শোনে এক আশ্চর্য হীরার খনির কথা।আর সেই খনির পাহারাদার বুনিক নামের এক দানবের কথা। শঙ্কর এই দুঃসাহসী ভাগ্যান্বেষীর সঙ্গ ধরে মহাদুর্গম চাঁদের পাহাড়ে অজ্ঞাত সেই হীরের খনির সন্ধানে চলে যায়।এরপর রুদ্ধশ্বাস অভিযান, রোমহর্ষক ঘটনাক্রম, কষ্ট, সাহস, বীরত্ব আর বন্ধুত্বের অবিস্মরণীয় এক কাহিনি যা যে-কোনো পাঠককে রোমাঞ্চিত আর উত্তেজিত করবে! পাঠ পতিক্রিয়াঃ বিভূতিভূষণ বন্দোপধ্যায় তার শব্দশৈলী ও জীবন্ত বর্ননার মুন্সিয়ানায় এতো চমৎকার ভাবে এই অ্যাডভেঞ্চার জাতীয় উপন্যাসটি লিখেছেন যা কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। বইটি লাইনের পর লাইন শুধু আমাকে রোমাঞ্চিতই করে গেছে। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমি আর ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি নেই।আফ্রিকার এই গহীন অরণ্যে যেনো শঙ্কর নয় আমি নিজেই চলে গেছি। একজন লেখকের বর্ণনা আর বইয়ের পাতার উপর ভর করে যখন পাঠক সেই জায়গাটাতে নিজেকেই কল্পনা করে নিতে পারে তখনই সে লেখার সার্থকতা ঘটে। সেদিক থেকে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় সার্থক হয়েছেন। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে রোমাঞ্চকর এক অভিযানের যাত্রী হয়ে যেতে হয়। এই বই নিয়ে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যপার হল, লেখক বিভূতিভূষণ স্বশরীরে কখনো আফ্রিকা যাননি।আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বিস্তারের বহু বছর আগে তিনি উপন্যাসটি লিখেছিলেন কেবলই মাত্র কয়েকটি বিখ্যাত ভ্রমণকারী গ্রন্থের সাহায্যে।কল্পনার চোখ দিয়ে তিনি যে আফ্রিকাকে দেখেছিলেন তাই অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে পাঠকের কাছে বর্ননা করে গেছেন। সবশেষে বলবো,"চাঁদের পাহাড়" বাংলা সাহিত্যের একটা সার্থক অ্যাডভেঞ্চার গল্পের বই। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী সবাই এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন।

      By Shams-E-Tabriz

      25 Mar 2019 07:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      The perfect Bengali Adventure

      By Tasnim Ara Mim

      18 Nov 2018 03:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃ চাঁদের পাহাড় লেখকঃ বিভূতিভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশনীঃ প্রগতি পাবলিশার্স ধরনঃ শিশু কিশোর উপন্যাস মুল্যঃ ১৫০ টাকা শঙ্কর গল্পের মুল চরিত্র।। যার বেড়ে ওঠা কলকাতার একটি অসচ্ছল পরিবারে,, পড়াশোনার সুবাদে কলকাতায় বসবাসরত জীবন যাপন করলেও কিছুদিন পরে, ভাটা পড়ে জীবনযাত্রায়।। পরিবারের আয়ের উৎস হওয়ার কারনে পরিচিত হতে হয় নতুন চাকরির সাথে।। কিছু কিছু মানুষ থাকে,, যাদের ধরন টা এরকম,, যেটা হতে থাকবে নিয়্যতি ভেবে সেটাই মেনে নিয়ে সামনে এগোতে থাকবে।। হাজার স্বপ্ন থাকলেও সেগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়।। কিন্তু এদের মধ্যেও কিছু জাতিকে পাওয়া যায়, যারা শত ব্যস্ততার মাঝে, বাধাবিপত্তির মাঝে থাকলেও স্বপ্ন পুরনের ব্যাপার গুলোতে পুরোপুরি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে।। খুজতে থাকে শুধু মাত্র একটা সুযোগের।। শঙ্কর ও ব্যাতিক্রম নয়,, ছোটবেলা থেকে তার মনেও গড়ে উঠেছে অনেক স্বপ্ন,,আর স্বপ্ন হলো ভ্রমন পিপাসুর,, বই পড়ে তার ও জানতে ইচ্ছে হয় অনেক কিছু,, হাত বাড়াতে ইচ্ছে করে অজানার দিকে,, আগ্রহ যেন তাকে প্রতিমুহূর্তে কুড়ে কুড়ে খায়,তাহলে শঙ্করের জীবন কি আটকে যাবে ঐ বাধা ধরা চাকরি জীবনের মাঝে?? বিসর্জন দিতে হবেনা তো অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন কে??? হঠাৎ একদিন বাড়ির পাশের পরিচিত মহেন দাস শঙ্কর কে অফার করে নতুন চাকরি, আর সেটাও আফ্রিকাতে।। এ যেন মেঘ না চাইতে বৃষ্টি, তাই আর লোভ সামলাতে না পেরে সাথে সাথেই সুযোগ লুফে নেই শঙ্কর।। কখনো কন্সট্রাকশন সাইটে, আবার কখনো রেলে কাজ নিতে হয় শঙ্করকে,, কাজগুলোর মাঝে শঙ্কর পরিচিত হয় মানুষখেকো সিংহ, আর বিষাক্ত সাপের উপদ্রবের সাথে,,এই সিংহ সাপের ভয় উপেক্ষা ককরে এগিয়ে যাবে শঙ্কর?? না কি ফিরে যাবে তার ছোট্ট গায়ে?? হঠাৎ করেই একদিন পরিচিত হলো শঙ্কর ালফার্ড নোবেলের সাথে,, অসুস্থ আলফার্ড কে মানবতার খাতিরে সেবা করে সুস্থ করে তুললো,, কিন্তু সুস্থ অবস্থায় তার মুখ থেকে আফ্রিকার যে বিস্ময়কর বর্ননা শুনলো, সেটা শুনে চোখে মুখে অন্যকম অনুভুতির জন্ম নিলো।। অবশেষে শঙ্কর পাড়ি জমালো সেই লোমহর্ষক জঙ্গলে, যেখানে প্রতি পদে পদে মৃত্যুরা ওৎ পেতে থাকে, কখনো বাঘের ডাক, কখনো নাম না জানা প্রানীর গর্জন,, খুজতে থাকে শঙ্কর অমুল্য সম্পদ,,গল্প এগিয়ে যায়।।। আসলেই কি পারবে শঙ্কর শেষ পর্যন্ত সব বাধা উপেক্ষা করে রহস্য গুলো জানতে, নাকি সে হারিয়ে যাবে আফ্রিকার সেই বিশাল মরুভুমিতে??? জানতে হলে পড়তে হবে আপনার চাঁদের পাহাড় বইটি।। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ আ্যাডভেন্ঞ্চার মুলক বইগুলো অনেক কম পড়া হইছে, কিন্তু সেগুলোর মাঝে এটা ছিলো অন্যতম।। যতক্ষন পড়েছি মনে হয়েছে আফ্রিকার জঙ্গলে আছি,, একটু ভয় একটু আনন্দ সব মিলিয়ে অনেক ভালো লেগেছে,,সহজ ভাষায় লেখকের লেখনী অনেক প্রানবন্ত ছিলো। কিছু তথ্য পেয়েছি বইটিতে যেগুলো বেশীরভাগই অজানা ছিল :) সব থেকে বড় কথা বিভুতিভূষনের লেখা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।তাই যাদের এখনো পড়া হয়নি পড়ে ফেলুন বইটি নিঃসন্দেহে।। :) :)

      By Israt Jahan

      02 Nov 2017 12:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      great.....,.

      By Amit

      14 May 2016 04:01 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      A great read for adventure lovers.

      By Junaid Habib

      10 Apr 2022 12:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি সবদিক থেকেই ভালো। গুণগত মান, ফন্টসাইজ, পেপারব্যাক। আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট ☺️

      By Abir hossen

      24 Oct 2021 12:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি অত্যন্ত মানসম্মত

    • Was this review helpful to you?

      or

      আমি আমার কৈশোরে পড়েছিলাম। বইটা ফের নতুন করে কিনলাম ছেলের জন্য। ওর বয়স ১১। ভেবেছিলাম এই কিশোর উপন্যাসটা তাকে আরও পরে কিনে দিলেও চলতো। কিন্তূ সত্যি এ এক অসাধার উপন্যাস। তার ভাল লেগেছে।

      By Ahmed Fayaj

      16 Jan 2020 11:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Book review- Best adventure book for teenagers.. বিভূতিভূষণের অন্যতম সেরা বই যা পড়ার সময় পাঠক নিজেকে আবিষ্কার করেন ভারতবর্ষের রোমাঞ্চপ্রিয় যুবক শঙ্করের জায়গায় যে এই গল্পের মূল চরিত্র। দূর্গম আফ্রিকার বিপদসংকুল অঞ্চলে হীরে অন্বেষণকারী শঙ্কর ও আলভারেজের চূড়ান্ত পরিণতি অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছন লেখক। মোটকথা বইপোকাদের জন্য এটি একটি মাস্ট ট্রাই বই ।

      By arefin

      24 Oct 2019 11:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল বই

      By Farhana akter

      03 Oct 2019 02:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চাঁদের পাহাড়, রোমাঞ্চকর একটা বই! পুরা গল্পে লেখক শংকর নামের এক বাঙালির অদম্য সাহসের বর্ননা দিয়েছেন! যে গভীর অরেন্যে কেউ বেচে ফিরতে পারেনা....সেখানেই শংকর গিয়েছে হিরার খোজে! পদে পদে কিভাবে সে বিপদ থেকে উদ্ধার হয়েছে....তার মজা বই টা না পড়লে কখনোই বুঝা যাবেনা!!! অনেক ভালো একটা কিশোর উপন্যাস..

      By Tasfia Promy

      12 Mar 2017 07:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চাঁদের পাহাড় ঃ বিভূতিভূষণ আর সত্যজিত রায় ইনাদের লেখা পেলে আমি গিলে খাই………………। উনাদের লেখাতে কোন জায়গার বর্ননা এতই নিখুঁত এত নিখুঁত যে কেউ বলবে এতা উনাদের নিজেরদের ঘটনা!!!!! কারো কথা শুনে আর খারাপ রিভিউ দেব না :D আমার ভাল লাগলে সেটাই দেব ! অপু ট্রিলজী , আদর্শ হিন্দু হোটেল এর পরে আমার পছন্দের তালিকাতে আসে চাঁদের পাহাড়! আমার বিশ্বাস শুধু আমার না সবাই এই মতই দেবে চাঁদের পাহাড় এর মত থ্রিলার আর এডভ্যাঞ্চার মুলুক উপন্যাস কম ই পাওয়া যায় ! চাঁদের পাহাড়-এর কাহিনী এক বাঙালি অভিযাত্রী শঙ্কর এর, শঙ্কর রায় চৌধুরী। অজ পাড়াগায়ের ছেলে শঙ্কর । আত্র স্বপ্ন রবিনসন ক্রুসো আর লিভিংস্টোন স্টানলির মত হওয়ার। সাহস আর শক্তি কিংবা দুরন্তপনা কোনকিছুতেই তার কমতি নাই। সাঁতার অথবা খেলাধুলা কিংবা গাছে ওঠা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই পারদর্শী সে, তার জীবনীর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে উপন্যাসটি।শঙ্কর পড়ালেখা শেষ করে পাটকলে চাকরি পায়, কিন্তু এই গৎবাঁধা জীবনে জড়াত চায়নি নিজেকে,সে চাইত অভিযান, রোমাঞ্চকর জীবন । অবশেষে ১৯০৯-১৯১০ সাল নাগাদ তার গ্রামের এক ব্যাক্তির সাহায্যে , যে আফ্রিকায় কাজ করে, তার সহায়তায় সে প্রথমে আফ্রিকায় ক্লার্ক হিসেবে কাজ পায় এবং পরে উগান্ডা রেলওয়েতে চাকরি পায়। কিন্তু সেখানে মানুষখেকো সিংহমামার সাথে তার যুদ্ধ হয়। লড়াই করত্তে হয় বিষধর মাম্বা সাপের সাথে। পর্তুগিজ অভিযাত্রীক ও স্বর্ণসন্ধানী ডিয়েগো আলভারেজ-এর দেখা পায় শঙ্কর এইখানেই। আলভারেজ তাকে তার সময়ের ঘটনা বলে, কিভাবে সে এবং তার সঙ্গী জিম কার্টার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরক খনীর কিংবা চাঁদের পাহাড়ের সন্ধান পায় আর কেমন করেই বা ভয়ংকর জন্তু বুনিপ জিমকে মেরে ফেলে??? যার কারনে আলভারেজ পিছু হঠতে বাধ্য হয়! রোমাঞ্চপ্রেমী শঙ্কর ক্লার্কের চাকরি ছেড়ে দিয়ে আলভারেজের সাথে খনী অনুসন্ধানে বের হয়, তার রক্তে শিকারীর নেশাশ। পদে পদে বিপদ, ক্ষুধা, তৃষ্ণা,জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি তাদের পথে বিরাট বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এমনি এক পর্যায়ে আলভারেজকেও সেই খুনি বুনিপ মেরে ফেলে। শঙ্কর একা হয়ে যায়। নানা অলিগলি পথ পেরিয়ে, নানা বাঁধা পেরিয়ে সে নিজের অজান্তেই হীরকের খনী খুঁজে পায়।কিন্তু আবার সেই গুহায় সে পথ হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে সে গুহা থেকে বের হয়। সে সাথে করে কিছু পাথর নিয়ে আসে।সে ইতালীয় অভিযাত্রীক আত্তিলীয় গাত্তির নোট থেকে জানতে পারে, সে যেই গুহায় পৌছেছিল, সেই গুহায়ই বিখ্যাত হীরক খনী, সে যে পাথর এনেছে আসলে সেই পাথরগুলো আর কিছুই নয়, হীরা, কাচা হীরা। এবং এই সেই হীরা যার জন্য জন ও আলভারেজ তাদের জীবন হারিয়েছে। কিন্তু আবার আবার সে কালাহারি মরুভূমিতে পথ হারিয়েছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত শেষে অবশেষে এক সার্ভে টিম তাকে খুঁজে পায় এবং মুমূর্ষু শঙ্করকে শৈলেশবাড়ি, রোডেশিয়ায় নিয়ে যায়, প্রাণ বাঁচে তার। শঙ্কর প্রতিজ্ঞা করে আবার সে ফিরবে এই বনে, অনেক বড় দল নিয়ে এসে এই হীরক খনীর সন্ধান করবে আবার, যার জন্য আলভারেজ, কার্টার ও আত্তিলীয় জীবন দিয়েছে। রেটিং এর বাইরে এই বই! রেটিং দেয়ার সাহস আমার অন্তত নাই।! এই বই পড়ে আমি এতটাই মুগ্ধ এতটাই যে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে নাঃ)

      By Muhammad Moshiur

      12 Dec 2019 06:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া বাংলা ভাষায় লিখা সেরা Adventure উপন্যাস এটি। বলা বাহুল্য আমাদের উপমহাদেশে ভৌতিক এবং Adventure লিখা গুলো আগে সাহিত্যের কাতারে পড়তো না। বিভূতিভূষণ এবং হুমায়ুন আহমেদ এমন এক ধরনের লেখক যারা এই জনরার লিখা গুলোকে টেনে সাহিত্যের কাতারে এনে দাড় করিয়েছেন। চাদের পাহাড় এমন একটি উপন্যাস যেটা হাজার বার পড়েও খায়েস মিটবে না। এই বইয়ের মধ্যে আফ্রিকার অরণ্যের বর্ণনা এমন ভাবে দিয়েছেন, আপনার পড়ে মনে হবে যেন আপনিই এই গল্পের নায়ক, হারিয়ে গেছেন আপনি আফ্রিকার জঙ্গলে, বেচে কি ফিরে আসতে পারবেন। বইয়ের পাতা থেকে পাতা, প্যারা থেকে প্যারায় রোমানচে ঠাসা। অনেক ভাল একটি বই। ধন্যবাদ রকমারি।

      By নৃত্যকালী

      04 Aug 2013 05:11 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘চাঁদের পাহাড়' is a superbly written novel by my favorite writer Bivutivushan Bondopadhay. Today I was watching Life of Pi movie and I was amazed to see the similarities between these two novels. Pi, however, fought with the fierce Pacific ocean and then got rescued. This young boy Shankar got lost in the middle of Africa and fought his way back to a civilized city. Both of them were young, both of them had dreams and both of them were determined. In Bangladesh it's nearly impossible for someone to cherish adventurous dreams because we are so narrow-minded, self-centered and ignorant! I often too dream of wandering off to an unknown island or a forest, get closer to nature. But what's happening in Bangladesh? Bangladesh once was a beautiful child of nature but we're destroying nature, killing it day by day. I just want that everyone should be a little more conscious about our beautiful nature. Don't kill nature, love it, and it will love you back.

      By Mohammed Habibullah

      08 Feb 2021 08:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মুভির চাইতে কল্পনার থ্রীলটা অনেক বেশি

    • Was this review helpful to you?

      or

      অজ পাড়াগায়ের ছেলে শঙ্কর । স্বপ্ন রবিনসন ক্রুসো ,লিভিংস্টোন স্টানলির মত অজ্ঞাত দেশে অজ্ঞাত পথ পাড়ি দেয়া । সে রকম সাহস আর শক্তি ও তার আছে । সাঁতার , খেলাধুলা , গাছে ওঠা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই পারদর্শী । কিন্তু সেরকম সুযোগ বাঙালী ছেলেদের স্বপ্ন দেখার মতোই অসম্ভব । তবুও শঙ্কর এরকম একটা সুযোগ পেয়ে যায় । পূর্ব আফ্রিকার মোম্বাসায় সে কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পে চাকরি পেয়ে যায় । কিন্তু এই অজ্ঞাত দেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হলেও আফ্রিকা অজানা মৃত্যুসঙ্কুল । আফ্রিকার এমনো অনেক অজানা অজ্ঞাত প্রান্তর আছে যেখানে সভ্য মানুষদের পা পর্যন্ত পড়ে নি । আফ্রিকার এমনই দেশ ইউগান্ডা , সিংহের দেশ । এ সিংহের দেশেই প্রথম বলি গ্রহন করল শঙ্করেরই এক সঙ্গী তিরুমল । তিরুমলের পরেই আরও অনেক কুলি সিংহের কাছে বলি হতে হল । কিন্তু এতেও যে তার তৃষ্ণা মেটে নি । আফ্রিকা আর ও বলি চায় । ইউগান্ডা থেকে চাকরী ছেড়ে নতুন পদ পেয়ে শঙ্কর চলে যায় নতুন জায়গায় । এই নতুন জায়গায় শঙ্করকে সন্মুখীন হতে হয় আফ্রিকার সবচেয়ে ক্রুর ও হিংস্রতম সাপ ব্ল্যাক মাম্বা যার বিষে রয়েছে নিউরোটক্সিক বিষ । কিন্তু শঙ্করের নিজের স্নায়ুমন্ডলের উপর দক্ষতার কারণেই এ যাত্রায় বেঁচে যায় । কিন্তু এ জায়গায় এক ইউরোপিয়ানের সাথে দেখা হওয়ায় ঘটনা এক নতুন মোড় নেয় । ইউরোপিয়ান লোকটির নাম ডিয়েগো আলভারেজ । পানির তৃষ্ণায় আলভারেজ যখন মরতে বসছিলো শঙ্করই তাকে সুস্থ করে তোলে । সুস্থ হওয়ার পর আলভারেজ শঙ্করকে তার জীবনের অদ্ভুত কাহিনী শোনায় । আলভারেজ স্বর্ণ সন্ধানী মানুষ । স্বর্ণের সন্ধানে সে যখন অযথাই ঘুরে বেড়াচ্ছিল তখন তার সাথে দেখা হয় জিম কার্টার নামে এক ইংরেজের সাথে । এরপরে তারা দুজনই স্বর্ণের সন্ধানে বের হয় । তারা দুজনই এক কাফির বস্তিতে আশ্রয় নেয় । সেখানকার কাফির সর্দার তাদেরকে হীরকের সন্ধান দেয় । কিন্তু সাথে সাথে সতর্কও করে দেয় এক অজ্ঞাত প্রাণী বুনিপ সম্পর্কে । তারা সেই হীরকের খোজে বের হয় রিখটারসভেল্ড পর্বতশ্রেণীতে - দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বাপেক্ষা বন্য , অজ্ঞাত , বিশাল ও বিপদসঙ্কুল অঞ্চল । কিন্তু এখানেই প্রাণ হারাল জিম কার্টার সেই অজ্ঞাত প্রাণী বুনিপের হাতে , যার পায়ে তিন আঙ্গুল আছে । সেদিন তারা বিশ্রাম নিচ্ছিল । এমন সময় তারা দেখতে পায় সামনের তালগাছ নড়ছে । জিম কার্টার ব্যাপারটা দেখতে যায় । এরপরই জিম কার্টারকে রক্তাক্ত দেহে আবিষ্কার করে আলভারেজ । দেখে মনে হয় কেউ তার মুখের সামনে থেকে বুক পর্যন্ত ধারাল নখ দিয়ে চিরে ফেড়ে ফেলেছে । সেখানেই আলভারেজ দেখতে পায় শুকনো বালির উপরে সেই অজ্ঞাত ভয়ংকর জানোয়ারটার বড় বড় তিন আঙ্গুল থাবার দাগ । জিম - কে সেখানেই সমাধিস্থ করে আলভারেজ সভ্য দেশে ফিরে আসে । কিন্তু যার রক্তে - ই রয়েছে বিপদের নেশায় পথে পথে ঘোরা সে কীভাবে শান্ত জীবন যাপন করবে । আলভারেজ যখন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে তখন শঙ্করের ইচ্ছাতেই তারা সেই হলদে হীরার খনির খোজে বের হয় সেই রিখটারসভেল্ড পর্বতশ্রেণীর অজ্ঞাততর ভয়ংকর জানোয়ারের প্রান্তরে । এখানে শঙ্কর বার বার বিপদের সন্মুখীন হয় । রোডেসিয়ার জনমানবশূণ্য অজানা মরু প্রান্তরে শঙ্কর পথ হারায় । কিন্তু দক্ষ আলভারেজের জন্য শঙ্কর এ যাত্রায় বেঁচে যায় । এই আফ্রিকার বন্যপ্রকৃতিতে বার বার শঙ্কর মুগ্ধ হয়ে যায় । বন্যজন্তুর ডাক , লীলাময়ী জ্যোতস্নারাত্রীর অপরূপ দৃশ্য , ধূ -ধূ প্রান্তরে যখন চাঁদের আলো পড়ে তাকে যেন রূপকথার পরীরাজ্য করে তোলে । তারা দুজনেই অবিরামভাবে এই অজানা প্রান্তরে চলতে থাকে । রিখটারসভেল্ডের এক থাক্- এ শঙ্কর আবারও বিপদে পড়ে । শঙ্কর শিকারের সন্ধানে বের হয়ে এক গাছের নিচে বসে বিশ্রামের জন্য । কিন্তু সেখানকার লতা পাতার সুগন্ধে মারাত্নক বিষ মেশানো আছে যা অতিমাত্রায় গ্রহণ করলে মৃত্যু হওয়ায়ও অসম্ভব নয় । এবারেও দুসসাহসিক আলভারেজ তাকে বাঁচায় । কিন্তু অকুতোভয় ,নির্ভীক আলভারেজের মনেও ভয় ছিল । আলভারেজের ভয় ! হ্যাঁ । সেই অজ্ঞাত ,ভয়ংকর জানোয়ার বুনিপের ভয় আলভারেজের মনেও চেপে বসেছিল । যাই হোক টানা ছ' মাস ঘুরে আলভারেজ আবিষ্কার করে তারা একই জায়গায় বার বার ঘুরে ঘুরে আসছে । একে বলে মৃত্যুচক্র । এখানে তারা আবিষ্কার করে ওলডোনিও লেঙ্গাই -অগ্নিদেবের শয্যা । প্রায় দুবছর বা তার বেশীকাল সময় চুপচাপ ছিল এই আগ্নেয়গিরি । এরপরেই তারা সন্মুখীন হয় সেই ভয়ংকর ,অজ্ঞাত জানোয়ার বুনিপের । কিন্তু এবার কাকে বলি হতে হবে আলভারেজকে না শঙ্করকে । আলভারেজের রত্নানুসন্ধান শেষ হবে নাকি শঙ্কর তার ছায়াঘেরা গ্রামে ফিরে যেতে পারবে ?? বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর চাঁদের পাহাড় একটি এডভেঞ্চার বই । এ বই-এ আফ্রিকার কিছু প্রসিদ্ধ জায়গার বর্ণনা দেয়া আছে যেমন কালাহারি মরুভূমি , ভিক্টোরিয়া লেক ,রিখটারসভেল্ড , চিমানিমানি পর্বতমালা ,কোপজে । জ্ঞাত ,অজ্ঞাত ভয়ংকার প্রাণীর ও বর্ণনা দেয়া আছে । চাঁদের পাহাড় বইটি আগে ও যেমন এর সুনাম ছিল আজও তা অন্য সব আধুনিক বই এর সাথে সমান ভাবে পাল্লা দিতে পারে ।

      By Ankan Ghosh Dastider

      31 Mar 2013 12:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চাঁদের পাহাড় সাহিত্যরাজ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর লেখা একটি বিখ্যাত রোমাঞ্চকর উপন্যাস। এ উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক আশ্চর্য-সাবলীল ভাষায় দেখিয়েছেন যে বাঙ্গালিরা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারে! এ উপন্যাসের নায়ক বিশ বছর বয়সী তরুণ শঙ্কর। ছোটবেলা থেকেই সে বেপরোয়া-দুর্দান্ত সাহসী। আর পাঁচটা লোকের মত সকাল-বিকাল চাকরির মত সাদাসিধা জীবন তার পছন্দ নয়। সে চায় রোমাঞ্চ। কিন্তু পিতার অসুখের কথা চিন্তা করে যখন সে সেই কাজটিই করতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই তার জীবনে এল পরম আকাঙ্খিত দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রেনলাইন বানানোর কাজে যোগদানের সুযোগ। সে সেই রোমাঞ্চকর কাজ করতে আফ্রিকা যায়। সেখানে ওর দুইজন সহকর্মীকে টেনে নিয়ে গেল পশুরাজ সিংহ! মরণের দ্বারপ্রান্ত থেকে বেঁচে ফিরে এল ও। বর্ষার কারণে সে কাজ বন্ধ থাকল। শঙ্কর আফ্রিকায় নিল স্টেশনমাস্টারের চাকরি, কিন্তু সেখানেও কি শান্তি আছে? পুরো স্টেশনে ও একা, রাতে সেখানে আসে মানুষখেকো সিংহ, আসে ব্ল্যাক মাম্বার মত সাপ, যার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানে সাক্ষাৎ পুনর্জন্ম! এসব বিপদ থেকে বাঁচল ও, বাঁচাল স্বর্ণ-সন্ধানী ডিয়েগো আলভারেজকেও। তার কাছে হীরের খনির খোঁজ পেল ও। তার সাথে ও গেল হিরের খনির আবিষ্কারের লক্ষ্যে। পদে পদে ওঁৎ পেতে রয়েছে সাক্ষাৎ যমঃ কুখ্যাত প্রাণী বুনিয়াপ! হীরের সন্ধানে ওরা উঠল হাজার হাজার ফুট পর্বতের ওপরে। সেখানে ওর সঙ্গী আলভারেজ বুনিয়াপের আঘাতে মারা গেল। ও একা হয়ে গেল- সম্পূর্ণ একা! সেখান থেকে নেমে এল ও, পথ হারাল এক গুহায়, যেখানে দিনের বেলায়ও রাতের অন্ধকার! নুড়ির সাহায্যে সেখান থেকে বেরিয়ে এল ও, জানল অনেক পরে যে ওটাই ছিল হীরের খনি! বুঝেও বা লাভ কী? পথ হারাল শুষ্ক মরুভূমিতে যেখান থেকে কেউ কখনও বেঁচে ফেরেনি। মাথার উপর শকুনরা কীসের আশায় উল্লাস করছে? শঙ্কর কী তার পথ খুঁজে পাবে? লেখক তার বাস্তবসম্মত ভাষায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেখিয়েছেন যে, বাঙ্গালিরা শুধু ভয়ে মুখ বুঁজেই থাকে না, তারা ঠান্ডা মাথায় বিপদের সম্মুখীনও সফলভাবে করতে পারে।

      By Shayla Jesmin

      02 Mar 2013 07:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কিছুদিন আগে রেডিও মিরচি (কোলকাতা) একটি রেডিও স্টেশন থেকে চাদের পাহাড় অডিও বুক হিসাবে সানডে সাসপেন্স নামে একটি শোতে শোনানো হয় ৬ ভাগে। আমি বহু আগে সত্যাজিত রায়ের সৃস্ট চরিত্র তপেশকে একটি গল্পে চাদের পাহাড় সম্পর্কে মন্তব্য করতে শুনেছিলাম কিন্তু তখন বইটি পাইনি। বাবাকে বলে অনেক খোজাখুজি করেছিলাম, পাইনি। পরে জীবনের ধারায় ভেসে যেয়ে ভুলে গিয়েছিলাম, হঠাত সেদিন রেডিওতে শুনে আজ প্রায় ১৫ বছর পর বইটি আমি অবশেষে পেয়ে পরেছি। রেডিওতে গল্পটা বলার সময় আরজে জানান এই গল্পটি আজ থেকে ৭৫ বছর আগের লেখা এবং বিভূতিবাবু নাকি জীবনে কলকাতার বাইরে পা রাখেননি!! শুধুমাত্র ভৌগলিক অবস্থান এবং জায়গার সঠিক বর্ণনার জন্য উনি কিছু বিখ্যাত ভ্রমনকারীর বইয়ের সাহায্য নিয়েছেন মাত্র। কিন্তু গল্প সম্পূর্ণ অনার নিজের। বই পড়ে মনে হয়েছে গল্পে লেখক নিজেই যেন আফ্রিকা গিয়েছেন!! পাহাড়ি অভিযান আর ডিঙ্গোনেকের সাথে নিজেই লড়াই করে এসেছেন!! এত টুকু মনে হয়নি যে গল্প পড়ছি। এত বছর পরে পড়েও এতটুকু অন্যরকম লাগেনি। মনে হয়নি যে আমি বড় হয়ে গেছি। একজন সার্থক লেখক বোধয় একেই বলে।

      By Shihab Hassan

      10 Dec 2019 04:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      This is an adventure’s noble. This noble's main character's name ‘Sankar’, who is come from a Bengali poor family. he goes out of the country for livelihood and then his adventure starts. any age of reader can read this book easily. but this book is more interesting for an adventure lover.

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!