Our User Product Reviews

জি এইচ হাবীব আমার সম্মানিত শিক্ষক,তার করা সকল অনুবাদ-ই অনবদ্য।সহিত্য জগতে তার অনুবাদ সাহিত্য ব্যপক প্রভাব রাখছে।তার অনন্য এক অনুবাদ এই সোফির জগৎ।গল্পে গল্পে আপনি দর্শন চর্চা করবেন।দর্শন নিয়ে যাদের আগ্রহ তাদের হাইলি রিকমেন্ড করবো বইটা।

এটি একটি কালজয়ী দর্শন বই, পড়তে পড়তে আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য এক জগতে । দর্শন কে গল্পের মাধ্যমে সহজভাবে উপস্থাপন করাটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার

ছোট ছোট ঘটনার মধ্যেদিয়ে দর্শন শিক্ষকের দেয়া ছোট ছোট চিঠিগুলো দিয়ে কি সুন্দর ভাবেইনা লেখক বইটি সাজিয়েছেন। সত্যি অসাধারণ!

সোফির জগৎ রিভিউঃ ইশরাক নোবেল চৌদ্দ বছর বয়সী এক নরওয়েজিয় কিশোরী সোফি অ্যামুন্ডদেনকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উপন্যাসটির ঘটনাপ্রবাহ। অ্যালবার্টো নক্স নামের এক রহস্যময় দার্শনিকের কাছ থেকে সোফি পেতে শুরু করে একের পর এক চিঠি। কিছু সাধারণ প্রশ্ন দিয়ে শুরু হয় চিঠিগুলো, যে প্রশ্নগুলো শৈশব থেকেই আমাদের কৌতূহলী মনকে তাড়া করে ফেরে। তারপর একে একে উত্থাপিত হতে থাকে প্রাক-সক্রেটিস যুগ থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর সার্ত্রে অবধি পাশ্চাত্য দর্শনের অসাধারণ গল্পগুলো। এ এক চমৎকার অভিযাত্রা। একের পর এক চিঠি সোফির কৌতুহলকে বাড়িয়ে তুলছিলো। ফলে পরবর্তী চিঠিগুলো পাওয়ার আশায় সে মুখিয়ে থাকতো। এভাবেই শুরু হলো তার দর্শন কোর্স। স্কুলে যা শেখানো হয় নি, তার অনেক কিছুই এই কোর্সটি থেকে শিখতে শুরু করলো। পাশাপাশি এটিও বুঝতে থাকলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার ঠিক কোন জায়গাটায় গলদ রয়েছে, কেনো আজও পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ কুসংস্কারাচ্ছন্ন। উপন্যাসটির ঘটনাপ্রবাহকে বিশ্লেষণ করলে দুটি সমান্তরাল প্রবাহ পাওয়া যাবে। একটি প্রবাহ পাশ্চাত্য দর্শন আর অন্যটি উপন্যাসের মূল চরিত্রদের নিয়ে এগিয়েছে। পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাসকে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়েদের জানার কৌতুহলকে উস্কে দিতে লেখক বেশ চমৎকার ভাবেই সমর্থ হয়েছেন। তবে শুধু কিশোর বয়সীদের নয়, যে কোনো বয়সী মানুষকেই বইটি দেবে জানার অনুপ্রেরণা, স্ব শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অনুপ্রেরণা। অনেকেরই মনে হতে পারে যেহেতু এটি দর্শনের বই, অতএব কেবল দর্শনের প্রতিই ভালো লাগা জন্মাতে ভূমিকা রাখবে বইটি। তবে, ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়, বরং বহুমুখী জ্ঞান অর্জন করতে উদ্দীপনা যোগাবে এটি। দ্বিতীয় ঘটনাপ্রবাহটি উপন্যাসের চারজন মূল চরিত্র সোফি, অ্যালবার্টো নক্স, হিল্ডা মোলার ন্যাগ আর মেজর অ্যালবার্টো ন্যাগকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে। এছাড়াও কিছু পার্শ্ববর্তী চরিত্র দেখা যাবে। দর্শনের কোর্স করতে গিয়ে সোফি একসময় উপলব্ধি করে সে আর তার দর্শনের শিক্ষক অ্যালবার্টো নক্স হিল্ডার বাবা মেজর অ্যালবার্টো ন্যাগের একটি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে, যেটিকে একটি দর্শনগত প্রহেলিকা ছাড়া অন্য কিছু বলা সাজে না। এটিকে কেন্দ্র করেই রচিত হয়েছে থ্রিলার। এই ষড়যন্ত্রের মোক্ষম জবাব দিতে দার্শনিক আর সোফি পরিকল্পনামাফিক এগোতে থাকে। শেষে কি তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সমর্থ হয় ? জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে পুরো উপন্যাসটি। যদিও ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ থ্রিলারকেও ছাপিয়ে গেছে, তাই পাঠকের কাছে মূল আকর্ষণ হিসেবে ধরা দেবে দর্শনের এই অভিযাত্রাই। দর্শনের ইতিহাসকে সহজভাবে বোঝানোর জন্য লেখক যে উদাহরণগুলোর আশ্রয় নিয়েছেন, তারও কোনো তুলনা নেই। ফলে যে কোনো বয়সী পাঠকরাই খুব সহজে এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। চিঠির মাধ্যমে শুরু হয়ে একসময় সংলাপের মাধ্যমে এগিয়েছে দর্শনের ইতিহাস, যেটি লেখাকে করেছে প্রাঞ্জল। কিছু দার্শনিকের নাম না উল্লেখ করলেই নয়, তুলনামূলকভাবে যাদের দর্শন আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে। এরা হলেন ডেমোক্রিটাস, স্পিনোজা, হিউম, মার্ক্স, ডারউইন আর ফ্রয়েড। এবার আসি অনুবাদ প্রসঙ্গে। কিছু জায়গায় অনুবাদে দুর্বোধ্যতা ও বানান ভুল দৃষ্টিকটু লেগেছে। বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় কান্ট, রোমান্টিসিজম, হেগেল, কিয়ের্কেগার্ড এই কিস্তিগুলো। আশা করি, পরবর্তী সংস্করণে এই ভুলগুলো সংশোধন করে বইটিকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হবে। পরিশেষে এতটুকুই বলবো, একটি সুশিক্ষিত প্রজন্ম তৈরি করতে এই ধরণের বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। অতএব, আর দেরি না করে কিনে ফেলুন এই অনন্য অভিযাত্রার গল্প নিয়ে গড়া বইটি।

good

Must read!

অমর গ্রন্থ।

ভালো

Wonderful

good book

বইটি অনেক উপকারি, গল্পের ছলে ফিলোসফি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অনুবাদকের সৃষ্টি উপভোগ্য ও প্রশংসনীয়।

অসাধারণ একটি বই। প্যাকেজিং ও কুয়ালিটি খুবই ভালো ছিল। ২ দিনের ভেতর শেরপুরের শ্রীবরদীতে ডেলিভারি পেয়েছি।

Book: Sophie's World Author: Jostein Gaarder Translator: G.H.Habib Publishers: Swandesh Genre: Philosophical Novel Page: 540 Price: 600 " Sophie's World: A Thrilling Journey of the History of Philosophy " Jostein Gaarder is a famous Norwegian writer who was born on 8 August 1952 at Oslo, Norway. He had been a teacher of high school in Norway and written many novels and short stories. He has also written for children and often writes on the perspective of children and their way of exploring the world. His most renowned work is Sofies Verden or Sophie's World. He has many incredible writings like Through a Glass, The Christmas Mystery, The Frog Castle, Maya etc. Sophie Amundsen is a fourteen years old Norwegian girl who lives with her mother and going to turn into 15 soon. One day she found two letters and a postcard addressed to Hilde Moller Knag. The two letter contains two strange questions." Who are you? Where does the world came from?". The letters came from a mysterious philosopher named Alberto Knox. From these two questions, a new period started into Sophie's life. She became a student of an old philosopher without the knowledge of her mother. Her lessons start from pre-socrates philosophers to Darwinism and modern philosophy. She gets to know all the ideas and philosophers of Western Philosophy. She gets to know about almost every western philosophers like Socrates, Aristotle, Plato, Jean Paul Sartre, René Descartes, Immanuel Kant, David Hume, Karl Marx etc and many eras like Romantic,  Renaissance, Neo platonism etc. All this lessons were at first taught by some letters, then by his dog, Hermes' and at the end by Alberto Knox himself appears. A question after question was presented in front of Sophie and then solving them one by one to teach her. In this journey, she gets many postcards which are sent to Hilde Moller Knag from a military person named Albert Knag who was doing his duty at Lebanon. Even Albert Knag interrupts in her learning by controlling many events like presenting Red riding hood in real or making Hermes, the dog of Albert Knox, speak or creating environmental challenges and other unusual things. But the questions are, Who is Alberto Knox? Why is he teaching Sophie philosophy? Who is Albert Knag? How can he control or interrupt in Sophie's life? Who is Hilde Moller Knag? Why are her postcards coming to Sophie? What is the end of this matter? To know these things, the book must be read. The flow of the writing is very smooth. Before talking about this book, a famous quote by Sir Francis Bacon comes to mind that " Some books are to be tasted, others to be swallowed, and some few to be chewed and digested". Sophie's World is a book that should be tasted gradually and the depth of the book should be understood properly. In another word, it should be assimilated. It is a very important book for those who want to know about philosophy and the history behind it. The reader will always go through a thrill while reading the book. There will be a thirst of knowing what will happen in the next chapter everytime after finishing a chapter. As the main copy is written in Norwegian language, I had to read the Bangla translated one. The translation was very good and an excellent work done by G.H.Habib. After reading it, it is hardly believable that it is a translated book. To know philosophy, everyone must read this book. It can be said that Philosophy can not be explained more easily by any other book than Sophie's World. Once the book is finished, the reader who read this book will have a pile of satisfaction. His knowledge will be enriched with more information. It can be stated that the goal of the author has been accomplished perfectly. In a word, The book, Sophie's World, will increase the knowledge and nourish the soul of a reader.

History of philosophy through a novel. Anyone can understand it very well, I bet they won't get bored. The translation was up to the mark

বই : সোফির জগৎ লেখক : ইয়স্তাইন গোর্ডার অনুবাদক: জি এইচ হাবীব নরওয়েজীয় লেখক ইয়স্তেন গার্ডার রচিত একটি দার্শনিক উপন্যাস। উপন্যাসের ছলে সোফির জগতে মূলত পশ্চাত্য দর্শনের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। তুমি কে'..? 'পৃথিবীটা এলো কোথা থেকে'...? হ্যাঁ মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচাইতে বেশী বিতর্কিত এই প্রশ্নগুলো দিয়েই সোফির জগৎ বইটার শুরু। এই যে পৃথিবীর প্রকৃতি একটা নিয়ম মালার ভেতর দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিনিয়ত টিকে থাকছে এগুলো কি যুগ যুগ ধরেই এমন ছিলো নাকি ধর্মমতে ইশ্বরের কারুকাজ এগুলো...? মানব সভ্যতার শুরু থেকে এবং এখন অবধি এসব প্রশ্নের উত্তর খানিকটা অমীমাংসিত হিসেবেই মীমাংসিত হয়। সোফির জগৎ বইটিতে চরিত্র অনেক হলেও মূল চরিত্র ১৪ বছর বয়সী সোফি অ্যামুন্ডসেন এবং তার দর্শন শিক্ষক অ্যালবার্টো নক্স। সোফির মা হেলেন অ্যামুন্ডসেন, সোফির বান্ধবী জোয়ানা, সোফির সমবয়সী আরেকটি মেয়ে হিল্ডা মোল্যার ন্যাগ এবং তার বাবা মেজর আলবার্ট ন্যাগ বলতে গেলে এরাই প্রধান চরিত্র এই বইটির। কাহিনী: একদিন সোফি স্কুল থেকে ফেরার পথে বাসার ডাকবাক্সে একটা চিঠি পায় যার মধ্য দিয়ে সেই দর্শন শিক্ষকের সাথে তার পরিচয় হয়। চিঠিটাতে শুধু একটা প্রশ্নই লেখা 'তুমি কে'...? এভাবে আরেকটি চিঠি পায় তাতে লেখা 'পৃথিবীটা এলো কোথা থেকে'..? এভাবেই আগায় শুরুর দিকের কাহিনী। অনেকদিন পর জানতে পারে বেনামি চিঠিগুলো দার্শনিক আলবার্টো নক্স এর কাছ থেকে আসে। দর্শনের বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্য দিয়ে বইটাকে গোছালো করে তুলেছেন। দেহ-মনের সম্পর্ক কি ? যা দেখি সত্যিই কি তার কোনো অস্তিত্ব আছে, নাকি সকলই ‘অলীক ছায়া’ ? যে বিশ্বপ্রকৃতি আমরা দৃশ্যমান বলে ভাবছি সেটা আছে কেন ? এর উদ্দেশ্য কি? এটা এলোই বা কোথা থেকে ?প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কি ? সোফির মাধ্যমে পুরো বইয়ে লেখক পাঠকদের জানাতে চেয়েছেন প্রকৃতিবাদী দার্শনিকদের কথা, ডেমোক্রেটাসের কথা, সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটলের কথা, এথেন্সের নগর সভ্যতার ইতিহাসের কথা,মধ্যযুগ, রেনেসা, দেকার্ত,স্পিনোজা, লক, হিউম, বার্কলে, হেগেল, বিয়ার্কলে এমনকি মার্কসের কথা। পাঠ প্রতিক্রিয়া : বইটাতে সবচেয়ে বড় ত্রুটি বোধহয় এইটাই যে বইটা শুধুমাত্র ওয়ের্স্টার্ন ফিলোসোফি নিয়ে। ইস্টার্ন ফিলোসোফি লেখক এড়িয়ে গেছেন। তাছাড়া সোফি হিল্ডা ন্যাগের রসহ্য উদ্ধার করার সাসপেনশন তৈরি করতে চাইলেও তা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। এই দুইটা দিক ছাড়া বইটা অসম্ভব সুন্দর। লেখক তিন হাজার বছরের পাশ্চাত্য দর্শন তিনি শুধুমাত্র ৫০০ পেইজে সীমাবদ্ধ করেছেন তাও একজন টিনেজ চৌদ্দ বছর বয়সী সোফির সাহায্যে। দর্শন সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী তারা প্রাথমিকভাবে এই বইটা পড়তে পারে। ইয়স্তাইন গার্ডারের এই শিল্পকর্ম এখন অবধি ৫৩ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে আর প্রায় তিন কোটি কপির অধিক বিক্রি হয়েছে। দ্যা সলিটারি মিস্ট্রি' আর 'দ্যা অরিজিনাল গার্ল' তার অন্যতম সেরা বই।

বাচতে হলে জানতে হবে, আর জানতে সহায়তা করবে সোফির জগৎ

খুবই ভালো একটা বই

"সোফির জগত" নরওয়েজিয়ান লেখক ইয়েস্তান গার্ডারের এই বইটিকে বলা হয় দর্শনের স্তম্ভ।বইয়ে লেখকের প্রশ্নগুলো আমার মনেও কিশোর বয়সে মাথায় হেমারিং করতো। কারো কাছে জানতে চাইতাম না ভয়ে এবং কিছুটা লজ্জায়। উত্তর খুজে নিতাম নিজের মত করে। সোফির জগৎ বইটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।

Boi porata amar shokh-er o valolagar bisoy . Sai shokh o valo laga hote amra gore tulesi amader office library . Thanks Rokomari amader sokol boi thik quality te ena dewar jonno . And aro thanks alokito bangladesh gorar proyash newar jonno . Thanks the all team member of Rokomari .

আসলে কিছু বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ভাষায় প্রকাশ যায় না। আমার জীবনে পড়া বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই বইটি। এক কথায় বলতে জাস্ট ভালোবাসা৷ আমি নরমালি অনেক দ্রুত বই পড়ি কিন্তু এই বইটি শেষ করেছি প্রায় ১ মাস সময় নিয়ে। কারণ এইটা শুধু গো থ্রো করে যাওয়ার বই না। প্রত্যেকটা অধ্যায়, প্রত্যেকটা দার্শনিক টার্ম বুঝতে পারলে আলাদা একটা রোমাঞ্চ অনুভব করতে পারবেন৷ দর্শনশাস্ত্রের জন্য একটা রিমার্কেবল একটা বই৷ দার্শনিক টার্ম গুলা এত সহজভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে যেকেউ খুব সহজে তা বুঝতে পারবে৷ তাছাড়া আছে জগদ্বিখ্যাত দার্শনিকদের জীবনধারা আর তাদের চিন্তা চেতনা। দর্শনশাস্ত্র সাধারণত অনেকের কাছেই বোরিং লাগে। কিন্তু এই বইয়ে আপনাকে একটি মোমেন্টের জন্যও বোরিং ফিল করতে দিবে না। হ্যা দার্শনিক টার্ম গুলার জন্য মাঝে মধ্যে মাথায় গিট্টু লাগতে পারে কিন্তু যখন এগুলো ছাড়াতে পারবেন তখন আলাদা একটা আনন্দ পাবেন৷ নন্দকানন, টপহ্যাট, প্রকৃতিবাদী দার্শনিকবৃন্দ থেকে শুরু করে ডেমোক্রিটাস, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল, হেলেনিজম আরো অনেক অনেক দার্শনিক ও তাদের দর্শন সম্পর্কে বলা হয়েছে। এক কথায় বলতে ডেমোক্রিটাস এর আগে থেকে শুরু করে ডারউইনীয় দর্শন ও বিজ্ঞান পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হয়েছে। আসলে আমার কাছে বইটা এতটাই ভালো লেগেছে যে যত বলি ততই কম লাগতেছে৷ বইটি শুরু হয় সুন্দর একটি উক্তির মাধ্যমে " তিন হাজার বছর যে কাজে লাগাতে পারে না তার জীবন অর্থহীন।" — গ্যেটে কাহিনী সংক্ষেপঃ সোফি অ্যামুন্ডসেন নরওয়ের বাসিন্দা৷ মাত্র চৌদ্দ বছর বয়স কিন্তু খুব শীঘ্রই ১৫ বছর হয়ে যাবে তার। স্কুল থেকে ফেরার পর ডাকবাক্সে দুটি চিঠি দেখতে পায়। চিঠি দুটো তার জন্যেই পাঠানো। আর চিঠিতে থাকে দুটি অদ্ভুত প্রশ্নঃ "তুমি কে?" আর " পৃথিবীটা কোথা থেকে এল?"। প্রেরক হলো আলবার্টো নক্স নামের এক দার্শনিক। আর এভাবেই শুরু হয় দর্শনের জগতে তার এক অসাধারণ অভিযান। এভাবে বেশকিছু চিঠি আর কিছুদিন পর তার স্বশরীরে ও তার কুকুর হার্মেসের মাধ্যমে শুরু হয় সোফির দর্শন শিক্ষা আর সোফির কৌতূহলী মনের সামনে একের পর এক প্রশ্ন তুলে ধরা ও সেগুলো সমাধান করা৷ আর বলবো না বাকিটুক আপনারাই পড়ে জেনে নিন কোথায় গিয়ে থামে সোফির এই জার্নি। আর আলবার্টো নক্সই বা কে? কেন সোফিকে সে শিক্ষা দিতে চায় দর্শনবিদ্যা? সোফির জগৎটাই কি?? জানতে হলে পড়ুন এবং ঘুরে আসুন সোফির জগৎ থেকে।

ভালো লাগছে। অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো একটা দর্শ জাতিয় বই নিবো। অনেক খোজার পর বইটি হাতে পেলাম। এখন ও শেষ করতে পারি নায়। তবে যে টুকু পরেছি ভালো লেগেছে।

কোন এক অদ্ভুত কারনে এই বইটা আমাকে অসম্ভব রকমের টানে। এটাকে রহস্য উপন্যাস বলতে পারেন এর টুইস্ট এর জন্য এটাকে। আবার এত দর্শনতত্ব আছে যে দার্শনিক প্রবন্ধের নাম দিতেই পারেন। গল্পের কিংবা প্রবন্ধের শুরু হয় “এলিস এন্ড দি ওয়ান্ডারল্যান্ড” দিয়ে। এই রূপকথার গল্প নিয়ে কিছু কথা বলা আছে। এই বইটা রূপকথা আর দর্শন তত্তের অপূর্ব মিশেলে তৈরি। যতবার পড়ি মনে হয় নতুন করে পড়ছি। অন্যদিকে এটা কিশোর উপন্যাস বললেও বেশি কিছু বলা হবে না। সোফি অ্যামুন্ডসেন। সদ্য কৈশোরে পা দিয়েছে। চৌদ্দ বছর বয়েসী মেয়েটি একজন নরওয়েজীয় কিশোরী। প্রতিদিন স্কুলে যায়, বন্ধুদের সাথে গল্প করে, বন্ধুদের সাথে ফেরে। এরকম একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে বাসার লেটারবক্সে উঁকি মেরে দেখতে পায় সেখানে দুখানা চিঠি। বাসায় নিয়ে এল। কৌতুহল থেকেই চিঠি দুটো খুলল। চিঠিটা তার জন্যেই ছিল। খুলে সে বেশ অবাক। দু, দুটো অদ্ভুত প্রশ্ন লেখা সেখানে। ‘তুমি কে?’ আর ‘পৃথিবীটা কোথা থেকে এলো?’অ্যালবার্টো নক্স ও তার রহস্যময় কুকুর হার্মেস। নক্স রহস্যময় ব্যক্তি। আর চিঠিটা সেই পাঠিয়েছে। কিন্তু কেন? সোফি কে কেন বেঁছে নিল? সেই আশ্চর্য চিরকুট দুটোর সেই অদ্ভুত প্রশ্ন বদলে দিল সোফির চারপাশের জানা-অজানা জগত। তাঁর জগতে একে একে এল প্লেট, সক্রেটিস, গ্যালিলিও, কোন এক নাম না জানা সন্যাসী সহ নানা মানুষ। যতই দিন যায় আর এদিকে সোফির কৌতূহল বাড়ে। নিজেকে জানার, নিজের চারপাশ কে জানার। হাজার প্রশ্ন, তাঁর উত্তর, রোজ সে অপীক্ষায় থাকে, নক্সের, হার্মসের, চিঠির। মাঝে মধ্যে সে কি কিছুটা হলেও হতাশ? আস্তে আস্তে সে তাঁর বন্ধু জোয়ানার সাথে সব শেয়ার করল। আর সব শুনে এক সময় তাকে সাহায্য শুরু করে তার !কিছুদিন পর, হিন্ডা নামের কাউকে খোঁজার ভার পড়ে সোফির উপর! কাউকে খুঁজতে যাওয়া কি দর্শন তত্ব? নাকি? অনেক প্রশ্ন, অনেক উত্তর, অনেক রহস্য আবার তার অনেক সমাধান। মনে হতে পারে সব মিলেমিশে একটা খিচুড়ি। কিন্তু না, চাল-ডাল সব আলাদা আছে। কোথাও কিছু মিশে যায়নি। পৃথিবী বড্ড রহস্যময়, এর বেশিরভাগ আমরা জানিনা। অনেক তত্ব আছে যা আমরা দেখেও না দেখার ভান করি, কিন্তু এই যে সোফি নামের কিশোরী নিজে আগ্রহী হয়েছিল বলেই সে জানতে পারল অনেক কিছু। সাথে আমরাও। কোন ভিলেন নেই, কোন খুন-খারাবি নেই, না নেই রাজপুত্র, তবু এটা রূপকথার গল্প। এই বইটা না অনেকটা ম্যাজিকের মত। আপনাকে মোহবিষ্ট করে ফেলবে, আপনি নিজেই বুঝবেন না, এত বড় একটা বই কিভাবে শেষ হল। বই রেখে উঠে শান্তি পাবেন না। এক এক জনের কাছে এক এক জনরার বই, আমি রূপকথার কাতারেই ফেললাম। অনুবাদ বা লেখা নিয়ে কিছু বলার নেই। সোফির মত কৌতুহল যদি সবার থাকত। হিন্ডাকে রহস্যময় লাগে, লাগবেও। জোয়ানার মত বন্ধু আমাদের দরকার। আর আসে নক্স, উনার মত একজন শিক্ষক সবার জীবনে প্রয়োজন। আসলে এই বই এ কি আছে না আছে, নিজে কি বুঝেছি, বলতে চাইলে আসলে লেখা এত বড় হয়ে যাবে, সেটা কেউ পড়বে না। রিভিউ কিন্তু বেশ খটমটে হতে পারে, চেষ্টা করেছি খুব সাধারণ ভাবে লিখতে, বাকিটা পাঠক বুঝে নেবেন। পৃথিবীর অনেক অজানা রহস্য, ইতিহাস, দর্শন শাস্ত্রের অনেক ছোট ছোট বিষয় আপনারা জানতে পারবেন। অনেকেই এই বইটাকে বোরিং বলে শুনেছি, কিন্তু, আমি বলব, যে কোন প্রেমের উপন্যাসের চাইতে হাজারগুনে সুন্দর একটা বই। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাবেন বইটা পড়ে। এর বেশি কিছু বলার নেই।

দর্শন জগতের সাথে প্রাথমিকভাবে পরিচিত হবার জন্যে অসাধারণ একটি বই।যেকোনো চিন্তাশীল পাঠকের জন্যে অবশ্যপাঠ্য।

আমর জিবনে পড়া সেরা উপন্যাসগুলোর একটি।ধন্যবাদ জি এইচ হাবিবকে বইটিকে বাংলায় রুপান্তরকরার জন্য।আসলে বইটি পড়ে ইতিহাস ও জানতে পেরেছি।বইটি পড়তে বসে আমার মতনহয়ত হারিয়ে যেতে পারেন নতুন এক জগতে। আশা করি সকলেই বইটি পড়ে দেখবেন

I have not liked the printing quality of the book much. If I am not wrong, Ink is not enough in some places.

A great book for everyone.

# রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত ও # রকমারি_ডট_কম # বুক_রিভিউ_কনটেস্ট সভ্যতার সূচনালগ্ন হতে বিদ্যমান সৃষ্টির রহস্য বিষয়ে, মানুষের কৌতূহলী জিজ্ঞাসা নিয়ে রচিত এক চমৎকার সৃষ্টি এই বইটি। সাধারণভাবেই জিজ্ঞাসার শুরুটা হয় 'কি' বা ' কেন ' দিয়েই। বইটিতে মূলত প্রাধান্য পেয়েছে- আলবার্ট নক্স নামক একজন দার্শনিকের লিখা চিরকুটে থাকা দুটো রহস্যময় প্রশ্ন থেকে।। কাগজে লিখা প্রশ্ন দুটো ছিল - "তুমি কে? " আর অন্য প্রশ্নটি ছিল- " এই পৃথিবীটা কোথা থেকে এবং কিভাবে এলো? " দৃশ্যপট ও আঙ্গিক বিশ্লেষণ : প্রাগৈতিহাসিক সময় আরোপিত জাগতিক বেশ কিছু প্রশ্ন, সোফীর কৌতূহলী মন কে উস্কে দেয়ার চিত্রটি অংকিত হয়েছিল দার্শনিক নক্সের বেশকিছু অসাধারণ চিঠিতে। সভ্যতা গোড়াপত্তন হতেই, সৃষ্টির রহস্য নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। অভাব শুধু জানার নিমিত্তার্থক প্রচেষ্টার। বইয়ে মূলত এবিষয়টিকেই অংকনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কারণ- সোফী যখন এই আগ্রহ শূণ্য পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে অভ্যস্ত হতে চলেছিলেন; তখনি দার্শনিক নক্সের মাধ্যমে তাঁর অনুসন্ধানী চেতনা জাগ্রত হয়। বদ্ধ জানালো গুলো খুলতে শুরু করে।। পরিশেষে, আপাতত দৃষ্টিতে সাধারণত বিষয় গুলোও হয়ত কখনো আমাদের গভীর চিন্তাশক্তির কাছে হার মানে। অসাধারণ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে নিজ গুণে। প্রত্যেকের ই উচিত নিজের জানার আগ্রহ জাগিয়ে তুলা। এবং অন্যের মতামত এবং চিন্তাচেতনা, কখনো বা জানার আগ্রহের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ পূর্বক উৎসাহিত করা।। By Md.Tareque Rahaman

পড়ে ফেলুন যদি ধর্ম ও দর্শনের ইতিহাস জানতে চান ...এইটা কোন ইতিহাস না তার থেকেও এশি কিছু আপনার জ্ঞান টাকে এক উচু স্তরে নিয়ে যাবে

This is an amazing book :)

নরওয়েজীয় ভাষায় মূল বইটির নাম "সোফিস ভার্ডেন", লেখক ইয়স্তেন গার্ডার। পলেট মোলারকৃত ইংরেজি অনুবাদের নাম "সোফিস ওয়ার্ল্ড"। আর ইংরেজি থেকে বাংলা করেছেন জি এইচ হাবীব, নাম দিয়েছেন "সোফির জগৎ"। সোফি নামের ১৪ বছরের এক নরওয়েজীয় কিশোরী তার বাসার মেইল বক্সে স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পেতে শুরু করে। প্রথম চিঠিতে কেবল একটি বাক্য লেখা, তুমি কে? এই প্রশ্নই সোফিকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আমি সোফি আমুন্ডসেন, এই উত্তর তাকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। পরের চিঠিতে লেখা, বিশ্বটা কোত্থেকে এল? নিজে নিজেই আকাশ-পাতাল ভাবতে থাকে। কোন হদিস পায় না। তবে এটা বুঝতে পারে যে, প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে তার ভাল লাগছে। এর পরই শুরু হয় দর্শনের কোর্স। তৃতীয় চিঠি হিসেবে পায় টাইপ করা তিনটি পৃষ্ঠা। এভাবেই প্রাক-সক্রেটীয় যুগ থেকে দর্শন শিক্ষার সূচনা ঘটে, শেষ হয় আধুনিক যুগে জঁ-পল সার্ত্র্-এর অস্তিত্ববাদে এসে। সোফিকে দর্শন শেখাচ্ছিলো আলবার্তো নক্স নামের এক প্রৌঢ় দার্শনিক। নক্স তাকে বলে, দর্শনের ইতিহাস যেন এক গোয়েন্দা গল্প। এভাবে সোফির গোয়েন্দাগিরির পরিসর আরও বৃদ্ধি করা হলো। কারণ, সোফিকে প্রথমেই অনুসন্ধান করতে হচ্ছিল, কার কাছ থেকে এই বেনামী চিঠিগুলো আসছে? অচিরেই এই রহস্যের সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু তখনই এক অদ্ভুত সমস্যা দেখা দেয়। সোফি এবং নক্সের জগতে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে যার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, নিছক অলৌকিক। আলবার্তো ন্যাগ নামের কেউ তাদের সাথে এই অলৌকিক-অলৌকিক খেলা খেলছে। দেখে মনে হয়, ন্যাগের কোন ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে। এটুকু তারা প্রথমেই বুঝতে পারে যে, আলবার্তো ন্যাগের মেয়ের নাম হিল্ডা মোলার ন্যাগ যার বয়স সোফির সমান অর্থাৎ ১৪ বছর। এটাও বুঝতে পারে, হিল্ডার বাবা সোফির বাবার মত বাসার বাইরে থাকে। তবে সোফির বাবা মেরিন অফিসার, আর হিল্ডার বাবা জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী মিশনের মেজর যার পোস্টিং বর্তমানে লেবাননে। আলবার্তো ন্যাগ কিভাবে তাদের নিয়ে খেলা করছে, দর্শন কোর্সের পাশাপাশি এটা নিয়েও চিন্তা করতে হয় সোফি ও আলবার্তো নক্সকে। তাদের সূত্র হিসেবে থাকে হিল্ডার জন্মদিনকে উদ্দেশ্য করে সোফির প্রযত্নে হিল্ডার কাছে পাঠানো আলবার্তো ন্যাগের পোস্টকার্ডগুলো।

সোফির জগত। আমার পড়া প্রথম দার্শনিক লেভেলের বই। অত্যন্ত অবিভূত হয়েছি আমি। করে একটু ভিন্ন এংগেল থেকে চিন্তা করতে হয় তা এই বই না পড়লে বুঝতেই পাড়তাম না। এই বই আমার জীবনে চিন্তার মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছে। বইটি যখন পড়তে শুরু করি নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে একনাগাড়ে পড়ছিলাম। এমনকি আমার পরীক্ষার পড়াও পরছিলাম না। আশা করি বইটি সবাই পড়বেন। ধন্যবাদ।

ইয়স্তেন গা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ডার পরিচিত হয়েছেন দ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শন বিষয়ে তার সহজবোধ্য প্রকাশভঙ্গি দিয়ে। তার বিখ্যাত বহুল পঠিত বই সোফির জগত। বিষয় দ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শন হলেও এটি আসলে একটি উপন্যাস। একটা রহস্য দিয়ে এই গল্পের শুরু। সোফি এমুন্ডসেন নামের ১৪ বছরের এক নরওয়েজীয় কিশোরী হঠাত করেই তার বাসার মেইল বক্সে স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পেতে শুরু করে। প্রথম চিঠিতে কেবল একটি বাক্য লেখা, তুমি কে? হঠাত আসা এই প্রশ্ন সোফিকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আমি সোফি এমুন্ডসেন, এই উত্তর তাকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। পরের চিঠিতে আসে আর একটা বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন। এই বিশ্বটা এল কোথা থেকে? উত্তর জানে না সোফি। নিজে নিজেই আকাশ-পাতাল ভাবতে থাকে।উত্তর না পেলেও এটা বেশ বুঝতে পারে সোফি, বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে বেশ ভাল লাগছে তার! এভাবেই মেইল যোগে শুরু হয় তার দ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শন বিষয়ক কো‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্স। তৃতীয় চিঠি হিসেবে সোফি পায় টাইপ করা তিনটি পৃষ্ঠা। এভাবেই প্রাক-সক্রেটীয় যুগ থেকে দর্শন শিক্ষার সূচনা ঘটে, শেষ হয় আধুনিক যুগে জঁ-পল সার্ত্র্-এর অস্তিত্ববাদে এসে। আস্তে আস্তে আবিস্কার হয় সোফিকে দর্শন শেখাচ্ছিলেন আলবার্তো নক্স নামের এক প্রৌঢ় দার্শনিক। নক্স তাকে বলেন, দর্শনের ইতিহাস যেন এক গোয়েন্দা গল্প। আর দা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শনিকেরা যেন একএক জন গোয়েন্দা। আর তাই গোয়েন্দা হবার আশায় চারপাশের ঘটে যাওয়া নানারকম উদ্ভট ঘটনা নিয়ে ভাবতে থাকে সোফি এবং আবিস্কার করে, তার এবং দা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শনিক নক্সের জগতে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে যার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, নিছক অলৌকিক। আলবার্তো ন্যাগ নামের কেউ তাদের সাথে এই অলৌকিক-অলৌকিক খেলা খেলছে। দেখে মনে হয়, ন্যাগের কোন ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে। আরও হয়ত বলা যেত বইটা নিয়ে, গল্প নিয়ে। তবে এটা যতই দ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শন নিয়ে বই হোক না কেন, এটা একটা থ্রিলার এর চেয়ে কম রহস্যময় নয়, আর তাই গল্প পুরাটা না বলে পাঠককে পড়দে দেয়াটাই উত্তম হবে!! তবে এটা বলা যায়, বইটা পড়ার পরে আপনি দ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শন নিয়ে জেনে যাবেন অনেক কিছুই। চমকে দিতে পারবেন অনেক দাূশনিক বন্ধুকেও!!

সোফি এমুন্ডসেন নামের ১৪ বছরের এক নরওয়েজীয় কিশোরী হঠাত করেই তার বাসার মেইল বক্সে স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পেতে শুরু করে। প্রথম চিঠিতে কেবল একটি বাক্য লেখা, তুমি কে? হঠাত আসা এই প্রশ্ন সোফিকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আমি সোফি এমুন্ডসেন, এই উত্তর তাকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। পরের চিঠিতে আসে আর একটা প্রশ্ন। এই বিশ্বটা এল কোথা থেকে? উত্তর জানে না সোফি। নিজে নিজেই আকাশ-পাতাল ভাবতে থাকে।উত্তর না পেলেও এটা বেশ বুঝতে পারে সোফি, বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে বেশ ভাল লাগছে তার! এভাবেই মেইল যোগে শুরু হয় তার দ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শন বিষয়ক কো‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্স। তৃতীয় চিঠি হিসেবে সোফি পায় টাইপ করা তিনটি পৃষ্ঠা। এভাবেই প্রাক-সক্রেটীয় যুগ থেকে দর্শন শিক্ষার সূচনা ঘটে, শেষ হয় আধুনিক যুগে জঁ-পল সার্ত্র্-এর অস্তিত্ববাদে এসে। আস্তে আস্তে আবিস্কার হয় সোফিকে দর্শন শেখাচ্ছিলেন আলবার্তো নক্স নামের এক প্রৌঢ় দার্শনিক। নক্স তাকে বলেন, দর্শনের ইতিহাস যেন এক গোয়েন্দা গল্প। আর দা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শনিকেরা যেন একএক জন গোয়েন্দা। আর তাই গোয়েন্দা হবার আশায় চারপাশের ঘটে যাওয়া নানারকম উদ্ভট ঘটনা নিয়ে ভাবতে থাকে সোফি এবং আবিস্কার করে, তার এবং দা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্শনিক নক্সের জগতে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে যার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, নিছক অলৌকিক। আলবার্তো ন্যাগ নামের কেউ তাদের সাথে এই অলৌকিক-অলৌকিক খেলা খেলছে। দেখে মনে হয়, ন্যাগের কোন ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে। এটুকু তারা প্রথমেই বুঝতে পারে যে আলবার্তো ন্যাগ এর মেয়ে লিন্ডা সোফির বয়সী। এটাও বুঝতে পারে যে লিন্ডার বাবা ও সোফির বাবার মত বাইরে থাকে। তবে সোফির বাবা মেরিন অফিসার। আর লিন্ডার বাব জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী কমিশনের মেজর যার পোস্টিং বর্তমানে লেবানন। আলবার্তো ন্যাগ কিভাবে তাদের নিয়ে খেলা খেলছে দর্শনের পাশাপাশি এটা নিয়েও চিন্তা করতে হয় আলবার্তো নক্স ও সোফিকে। তাদের সুত্র হিসাবে থাকে হিল্ডার জন্মদিনকে উৎসর্গ করে সোফির প্রযত্নে আলবার্তো ন্যাগ এর পাঠানো পোস্টকার্ড গুলো...