User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
recommended to buy
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
সায়েন্স ফিকশনের গ্র্যান্ড মাস্টার আইজাক আসিমভের “ফাউন্ডেশন”, “ফাউন্ডেশন অ্যান্ড এম্পায়ার” এবং “সেকেন্ড ফাউন্ডেশন” নিয়ে ফাউন্ডেশন ট্রীলজী’ - বিশ্ব সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ । ট্রিলজী’র প্রথম বই “ফাউন্ডেশন”-এ বর্নিত হয়েছে, কিভাবে বিখ্যাত বিজ্ঞানী হ্যারী সেলডন নিজের আবিষ্কৃত স্ট্যাটিস্টিক্যাল সায়েন্স “সাইকোহিস্টোরী” দিয়ে ভবিষ্যৎবানী করেন এম্পায়ারের ধ্বংসের ব্যপারে । ধ্বংস পরবর্তী মানব সভ্যতা গঠনের লক্ষ্যে তিনি দূরের গ্রহ টার্মিনাসে প্রতিষ্ঠিত করেন ফাউন্ডেশন, যারা ইম্পেরিয়াল সিভিলাইজেশন থেকে দূরে থেকে নিজেদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত করে তুলবে এবং এক হাজার বছর পর গড়ে তুলবে নতুন এম্পায়ার । এই প্ল্যানকে বলা হয় সেলডন প্ল্যান । ট্রিলজী’র দ্বিতীয় বই “ফাউন্ডেশন অ্যান্ড এম্পায়ার” এর কাহিনীর শুরু এর পর থেকে । টার্মিনাসে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর কেটে গিয়েছে দু’শ বছর । অতি উন্নত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর কূটকৌশল দিয়ে ফাউন্ডেশন নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে চারপাশের শক্তিশালী বৈরী গ্রহগুলো থেকে - সেলডন প্ল্যানের স্বার্থকতা প্রমান করে এগিয়ে চলেছে নতুন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার দিকে । বর্তমানে পুরনো এম্পায়ারের অবশিষ্ট অংশ বাদ দিয়ে, ফাউন্ডেশনই গ্যালাক্সির সবচেয়ে শক্তিশালী স্টেট । পুরনো এম্পায়ার এখন অস্তগামী, সামরিক শক্তিতে এম্পায়ারের ফেলে আসা দিনের ছায়ামাত্র । কিন্তু তারপরও গ্যালাক্সির মাঝে তা এককভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী । এম্পায়ারের সেনাবাহীনি’র এক জেনারেল “বেল রীয়োজ” । পুরনো ধ্যান ধারণায় বিশ্বাসী একজন আদর্শ সৈনিক । এখনো সে স্বপ্ন দেখে নতুন গ্রহ দখল করে তা এম্পায়ারের অন্তর্ভুক্ত করার, এম্পায়ারের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনার । এই লক্ষ্যে দুর্ধর্ষ ইম্পেরিয়াল ফ্লীট নিয়ে সে আক্রমণ করে ফাউন্ডেশন । একের পর এক বাধা ভেঙ্গে এগিয়ে যায় । উপস্থিত হয় ফাউন্ডেশন দখলের দ্বার প্রান্তে । কি করবে ফাউন্ডেশন ? কিভাবে রক্ষা করবে নিজেদের ? নাকি ধংস হয়ে যাবে রীয়োজের সেনাবাহিনীর কাছে ? সেলডন প্ল্যান সবচেয়ে বড় বাঁধার সম্মুখীন হয় তিন শতাব্দীর মাথায়, যখন গ্যালাক্সীর ইতিহাসে আবির্ভূত হয় অতিমানবিক ক্ষমতার অধিকারী একজন অস্বাভাবিক “মিউল” । মিউল একজন মিউট্যান্ট, যেকোন মানুষের মন ও আবেগকে পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রনের অস্বাভাবিক ক্ষমতার অধিকারী । এমনকি খোদ সেলডনও তার আবির্ভাবের ব্যপারে ভবিষ্যৎবাণী করে যাননি । গ্যালাক্সিতে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে, মন নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে একের পর এক গ্রহ পরাস্ত করে মিউল । সবাইকে পরিনত করে নিজের অনুগত সেবাদাসে । সেলডন প্ল্যানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত দখল করে নেয় ফাউন্ডেশন । তিন শতাব্দীর মধ্যে এই প্রথমবার অন্যের পরাভূত হয় ফাউন্ডেশন । ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় সেলডন প্ল্যান । কিভাবে এই বিপর্যয় থেকে উত্তরণ করবে ফাউন্ডেশন ? কিভাবে রক্ষা পাবে সেলডন প্ল্যান ? নাকি সেলডন প্ল্যানের এখানেই ইতি ? এসব প্রশ্নের জবাব নিয়ে লেখা “ফাউন্ডেশন অ্যান্ড এম্পায়ার” । “ফাউন্ডেশন”, “ফাউন্ডেশন অ্যান্ড এম্পায়ার” এবং “সেকেন্ড ফাউন্ডেশন” নিয়ে ফাউন্ডেশন ট্রীলজী’র মূল বইগুলো । ১৯৬৬ সালে এই ট্রীলজী “বেষ্ট অল টাইম সায়েন্স ফিকশন সিরিজ” হিসাবে “হুগো অ্যাওয়ার্ড” লাভ করে । এই ট্রীলজী’র পাঠকদের চাপে, তিরিশ বছর পর সিরিজটাকে সম্প্রসারিত করে আরও চারটি বই লেখা হয়- “ফাউন্ডেশন এজ”, “প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন”, “ফরোয়ার্ড দ্য ফাউন্ডেশন” এবং “ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আর্থ” । বইটি প্রকাশিত হয়েছে “সন্দেশ” থেকে । পৃষ্ঠা ২১৬ এবং মূল্য ২৪০ টাকা । অনুবাদ নাজমুছ ছাকিব । সুন্দর এবং প্রাঞ্জল অনুবাদের জন্য অনুবাদকের একটা বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য । যারা সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত, তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য এই সিরিজ ।