Our User Product Reviews

মায়া... ইয়স্তেন গা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ডার আসলে কি লিখেছেন বা কি বোঝাতে চেয়েছেন এই বইটিতে, সেটা বুঝতে বেশ কষ্ট করতে হয়। তবে মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা আছে আপনি কিছু হলেও বুঝতে পারেবন! বইটার শুরু হয় কিছু চিঠির মাধ্যমে। ফ্রাঙ্ক, এক জীব বিজ্ঞানী, ভা‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্জনিয়াল দ্বীপ টাভেন্নিতে একাকী গবেষনায় থাকার সময়ে সে ডিভো‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্স হওয়া স্ত্রীকে চিঠিগুলো লেখে। এই চিঠির মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি দ্বীপে বেড়াতে আসা কিছু মানুষের কথা, রহস্যময় এক রোমানটিক জুটির কথা জশ এবং আনা। আরও দেখা হয় একাকী লরার নাথে। তবে যার কথা না বললেই হয়, সে হল কথা বলা গেক্কো বা পোকামাকড় খাওয়া বড় গিরগিটি বিশেষ! ইয়স্তেন গা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ডার তার স্বভাবসিদ্ধভাবেই কিছু মৌলিক প্রশ্ন করার মাঝ দিয়ে তার গল্প শুরু করেন। তুমি কে? কোথা থেকে এসেছ তুমি? যাবেই বা কোথায়? সবকিছুর শুরু হয়েছে কোথা থেকে? শেষই বা হবে কোথায়! মৃত্যুর পরে কি কোন জীবন আছে? তবে আর দশটা বই এর মতন যদি আপনি আশা করেন, বই এর শেষে আপনি সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন তাহলে আপনাকে হতাশ হতে হবে। ইয়স্তেন গা‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ডার কোন পশ্নের উত্তর দেননি। তিনি কিছু সস্ভাবনার কথা বলেছেন, কিছু বিষয়ৈ নিজের মত দিয়েছেন। আসলে এই প্রশ্নগুলোর কি কোন সলিড এবং একক উত্তর হয়? এই প্রশ্নটা করুন নিজেকে, তাহলে হয়ত আর হতাশ হবেন না। তবে বেশ কিছু বিষয়ে আপনাকে চিন্তায় ফেলবে এই বইটা। ধারনা করছি ইয়স্তেন গা‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ডার মানুষকে চিন্তাই করাতে চেয়েছেন। চিন্তা থেকেই তো সব শুরু! চিন্তাই মানুষকে মানুষ বানিয়েছে, মানুষকে আর সব জীব থেকে আলাদা করেছে। তাই হয়ত তিনি বলতে চেয়েছেন, নেভার স্টপ থিংকিং! বইটা একটু বোরিং লাগতে পারে দী‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ঘ ব‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্ণনামুলক উপস্থাপনের কারনে। তবে আশা করি ধৈ‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্য্য নিয়ে পড়লে খারাপ লাগবে না!