User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
very nice
Was this review helpful to you?
or
সেরা একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
❤️
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযদ্ধভিত্তিক বই পড়ে আমি সবসময়ই শিহরিত হই। এই বইটা আমার পড়া সেরা বইয়ের মধ্যে অন্যতম।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর বইটি ?
Was this review helpful to you?
or
So emotional book... Great one
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
" আমার বন্ধু রাশেদ "বইটি মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি অসাধারণ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের শিশু কিশোরদের অসামান্য অবদান, আত্মত্যাগ এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্ভয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়টিই স্বতন্ত্রভাবে ফুটে উঠেছে এই গ্রন্থে। ?উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র স্কুল পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাশেদ হাসান। যে বয়সে তার মাঠে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা, বন্ধুদের সাথে সারা পাড়া ঘুরে বেড়ানোর কথা সেই বয়সেই সে রাত-বিরেতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিলে স্লোগান দেয়, মুক্তিবাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে, লুকিয়ে তাদের কাজে সাহায্য করে। এদিকে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বে রাশেদের বন্ধুরা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতো না। তারাও আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের মত মাঠে ছোটাছুটি করে বেড়াত, খেলাধুলা করত। কিন্তু রাশেদ তার বন্ধুদের কাছে সবসময় দেশ ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা কিভাবে নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাষবিক অত্যাচার চালাচ্ছে সে বিষয়ে কথা বলত। এভাবেই রাশেদকে দেখে এবং রাশেদের মুখে দেশের অবস্থা সম্পর্কে শুনে তার বন্ধুরাও উজ্জীবিত হয়। তারাও এগিয়ে আসে দেশের মাটিকে রক্ষা করতে। তারা বিভিন্ন ভাবে লুকিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করত। কখনো অস্ত্র পৌঁছে দিত, আবার কখনো বা খবর। বাচ্চা বলে কেউ তাদের সন্দেহ করত না। উপন্যাসের আরো দুটি প্রাণবন্ত চরিত্র হলো শফিক ভাই এবং অরু আপা। একদিন মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ঘর ছাড়েন শফিক ভাই। তখন তিনি হয়ে ওঠেন রাশেদ ও তার বন্ধু ইবু সহ অন্য সকলের প্রেরণা৷ একদিন অপারেশনে গিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে শফিক ভাই ধরা পড়ে গেলে রাশেদ এবং তার বন্ধুরা এক দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে। রাশেদ এবং তার বন্ধুদের এরকম বেশ কিছু দুঃসাহসিক অভিযানের জীবন্ত চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বইটির পাতায় পাতায়। সময় এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে এবং সেইসাথে দেশের পরিস্থিতিও দিন দিন আরো ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে। রাশেদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ইবু সহ অন্য বন্ধুরাও সপরিবারে চলে যায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে। তখন রাশেদ একাই সাহায্য করতে থাকে মুক্তিবাহিনীকে। কিন্তু একদিন আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষ দল, পাকিস্তানিদের দোসর এবং সহায়তাকারী রাজাকার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায় সে। রাজাকার আজরফ আলী তাকে পশ্চিম পাকিস্তানের আনুগত্য স্বীকার করতে বলে। কিন্তু রাশেদের কন্ঠে বার বার কেবল ধ্বনিত হচ্ছিল "জয় বাংলা"- স্লোগান। ফলস্বরূপ নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় তাকে। কন্ঠে জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে, বীরের মত মাথা উঁচু করে দেশের জন্য জীবন দেয় সাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ। ?এমনি এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়বিদারক জীবন্ত উপাখ্যান " আমার বন্ধু রাশেদ ।" রাশেদের মত এরকম হাজারো কিশোর মুক্তিযোদ্ধার আত্মবলিদানের ফসল আমাদের আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই ১৯৭১ সালে রাশেদের মত যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁরা কখনো মারা যায় নি, তাঁরা মারা যায় না। তাঁরা বেঁচে আছে এই স্বাধীন দেশের মাটিতে, খোলা আকাশে, মুক্ত বাতাসে। তাঁরা বেঁচে আছে কোটি বাঙালির মনে আর চিরকাল বেঁচে থাকবে। বইটি পড়লে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল সে সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এছাড়াও আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারব, যার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হবে। আমার মতে জাফর ইকবাল স্যারের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। বিশেষ করে দুই বাংলার যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এটি একটি আবশ্যপাঠ্য বই। তাই যারা এখনো বইটি পড়েননি তাদের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ রইল বইটি একবার পড়ে দেখার। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় লেখকের অন্যতম সেরা লেখা একটা বই ?
Was this review helpful to you?
or
আমি মনে করি,তাঁর জীবনের সকল লেখার মধ্যে একটা সফল সৃষ্টি হলো ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ উপন্যাস।এই উপন্যাসকে ছায়াছবিতে কনভার্ট করা হয়েছে।দেখলাম,এক কথায় দারুণ!শেষের দিকে চোখে পানি আসবেই।পাঁচ স্টার দিতে বাধ্য
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
আমি বইটি পড়েছি। এটা মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর অন্যতম সেরা উপন্যাস। বইটিতে তিনি চরিত্রগুলো কে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
Was this review helpful to you?
or
Emotionally touched by the writer
Was this review helpful to you?
or
Nice book.
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের এই বইটাতে অসম্ভব সাহসী এক কিশোরের গল্প বলা হয়েছে । যার বাবা একটু পাগল কিসিমের এবং ছেলের সাথে রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন । রাশেদের গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের আসার ভুল খবর শুনিয়ে রাজাকার আজরফ আলীকে সে এমন ভাবে ভরকায় দিসে , আমি তো হাসতে হাসতে শেষ । কিন্তু শেষের দিকে যখন রাশেদকে গুলি করে মেরে ফেললো তখন খুব খারাপ লাগলো মনে হলো ওই রাজাকারকে যদি সামনে পেতাম তাহলে তাকে পিটায় পিটায় মেরে ফেল তাম । তবে যাই হোক ,উপন্যাসটি পড়ে ভালো লেগেছে ম
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই!
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বই....????????
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে বইটি অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Blessed to read such a book.
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
এটি খুব ভালো কিশোরদের জন্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
'Aamar Bondhu Rashed' is a novel based on the liberation war, written from the point of view of a young boy. The best thing about the book is undoubtedly the perspective it is written from. In easy words, this book awards us a glimpse of the liberation war through the eyes of a youngster. The innocence and naivety of the kids in the story are a couple of things that are hard to miss and then again, the gallantry portrayed by them is simply mind blowing. Rashed is bold and courageous but amazingly kind and caring at the same time. The character is indeed intriguing and the air of mystery that he exhales contributes to the overall characterization. I feel that the narration could be smoother and redundancy could be avoided at a few places. The plot, nevertheless, proved itself to be satisfactory. It is a pretty good book and can be recommended to children and teenagers.
Was this review helpful to you?
or
এই সিনেমা টা আমি দেখেছি কিন্তু যদি জাফর ইকবাল স্যার এর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে সিনেমা করা যেত তাহলে আমার মনে হয় সিনেমাগুলো অনেক বিখ্যাত হতো
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যার আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছা খুব।এই বইটা নিয়ে আপনার মোট ৩০ টা বই পড়লাম।আপনার এই বইগুলোর মধ্যে কি যেন একটি ইন্টারেস্টিং জিনিস থাকে।এভাবেই আমাদের জন্য বই লিখে যান।আমি যদিও ক্লাস সেভেনে পড়ি তবু্ও আপনার লেখা গল্পগুলোকে নিয়ে অনেক দেয়ালিকাও বানিয়েছি।দয়া করে একবার নবীগঞ্জ আসবেন।৷৷৷৷৷৷৷৷৷
Was this review helpful to you?
or
fantastic
Was this review helpful to you?
or
মূলত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি কিশোর উপন্যাস এটি।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক বই।কিন্তু,কিশোর উপযোগী এই ধরনের বই খুব কমই আছে।শিশু-কিশোরেরাও যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রেখেছিল এক আসামান্য অব্দান তার কথায় তুলে ধরা হয়েছে এই বইটিতে।ভালোবাসা,অনুপ্রেরণা,শক্তি সবকিছুর সংমিশ্রণে গঠিতে হয়েছে বইটি।
Was this review helpful to you?
or
This is Muhammad Jafor Iqbal sir's one of the best book that I have ever read in my life.Sir has already produced some good ones but this book is really special.This book is based on our great liberation war and gives proper attention to the role of young generation's contribution on 1971 war.
Was this review helpful to you?
or
It is a very good and exilent book. Sir Jafar Iqbal explain it in a brilliant way. The main character Rashed attacks me very much.I proposed everyone to read this exiting book. I love this book and it is one of my favourite book.
Was this review helpful to you?
or
This book shows that no matter what is your age, you are never too young to show your love and respect for your country. No matter what is your age, sex and status in the society, you can be a hero. Salute to Jafor Iqbal Sir for this truly great novel. One of my favourite books ever.
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর আর মনে দাগ কাটা এই উপন্যাসের পাঠানুভূতি প্রকাশের পূর্ণ ক্ষমতা বোধহয় আমার নেই। যতক্ষণ পড়ছিলাম, যেন বুঁদ হয়েছিলাম বইটিতে। আমি ঢুকে গিয়েছিলাম বইয়ের ভিতর। নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য রাশেদের বন্ধুমহলের একজন ভেবে নিয়েছিলাম। জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসকে আমি কারও সাথে তুলনা করতে পারি না। মহান মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহনের অনবদ্য দিক ফুঁটে উঠেছে জাফর ইকবালের "আমার বন্ধু রাশেদ" উপন্যাসে। গোপনে রাশেদসহ একটি কিশোরদল মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে। পাকিস্তানের ঘাঁটিতে আঘাত হানার জন্য একটি ম্যাপ এঁকে দেয় এই কিশোর দল। তাদের ছোট ছোট ছেলে ভেবে পাকিস্তানিরা তাদের সন্দেহ করে না। কিন্তু বেশিদিন তারা সেটা পারে না। একসময় ধরা পরে যায়। যুদ্ধ যখন ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে, তখন সকলেই পালিয়ে যায়। পালায় না কেবল অকুতোভয় কিশোর, উপন্যাসের মূল চরিত্র রাশেদ। রাশেদ এক নির্ভীক কিশোর। তার বাবা মানুষটা কেমন যেন। ছেলের একটা ভালো নামও রাখেনি সে । রাশেদের নাম রেখেছিল লাড্ডু। লাড্ডুর স্কুলের বন্ধুরা তার নাম দেয় রাশেদ হাসান। রাশেদের বাবা ছেলের খবরাখবর রাখে না তেমন। ছেলের পড়াশুনার ব্যাপারেও সে পুরোদমে উদাসীন। বাবা হয়ে সে অল্পবয়স্ক ছেলের সাথে রাজনীতির গল্প করে। রাশেদ রাতে-দিনে মিছিলে ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। সে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করে। মুক্তিবাহিনীর সাথে দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠে রাশেদের। রাশেদের কর্মকাণ্ড দেখে উৎসাহিত হয় তার বন্ধুরাও। উপন্যাসের আরকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র শফিক ভাই অপারশনে গিয়ে মিলিটারিদের হাতে ধরা পড়ে। অকুতোভয় রাশেদের নেতৃত্বে তার বন্ধুরা কঠিন এক অভিযানের মাধ্যমে মুক্ত করে আনে শফিক ভাইকে। সবশেষে আজরফ আলী নামের এক রাজাকারের হাতে শহীদ হয় রাশেদ।
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক "আমার বন্ধু রাশেদ" বইটি পড়ে বেশ আন্দোলিত হয়েছি। বারবার নিজেকে রাশেদের স্থানে দাড় করিয়ে কল্পনা করছিলাম। নিজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বেশ স্পৃহা কাজ করে। কখন যে পড়া শেষ হয়েছিল বুঝতেই পারিনি। যারা এসব কিশোর উপন্যাস পড়তে আগ্রহী তারা পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি বেশ ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
আমার খুব পছন্দের একটি বই।জাফর ইকবাল আমার প্রিয় লেখক।তার এই বই টা আমার সব থেকে ভালো লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে খুবই সুন্দর একটি কাহিনী উপস্থাপনা করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
When my friend Rashed wrote, I thought that since this book is written on the war of liberation, those who read it need to get a real sense of that time of liberation. In our war of liberation there is inconceivable heroism, there is a victory in the sky, and most of all, there is the loss of one's loved ones. So I put a little trouble into this book. I have written in such a way that those who read, have a little trouble. What I wanted to give away, I think, was given more than I thought I would see in response to my little girl. Then I just returned home. Both of the children are still young. Can't read Bangla freely. I have to read my books sometimes. One day I read them to my friend Rashed. Hearing the whole thing made my seven-year-old daughter look like something else. He stares blankly at the sight of nothing. We slept at night, he lies in bed and sleepless eyes. On a deep night, she woke me up with a sore throat. "Father, do you know a thing?" I said, "What?" He told me, "It is written in the book that Rashed was shot. But his body was not found! 'I did not understand exactly what he was trying to say. But in her words, I said, 'No, the body has not been found.' My seven-year-old daughter's face lit up with joy. He said, 'Do you understand what that means? Rashed was not shot. He didn't die Swimming in the water and gone. ”I looked at my little girl's face in surprise. I said, 'Yes, you are right. Rashid's body was not shot - he did not die. She's gone, she's alive. ”My daughter's chest dropped. There was a smile on his face. He immediately fell asleep with a deep sigh. How many more children do I not know, like my little girl, I have trouble! If possible, I would have told everyone that Rashed was not dead. The Rashedas never actually die.
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এক অনবদ্য সৃষ্টি আমার বন্ধু রাশেদ । আমার পড়া সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস এটি । মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের আত্নত্যাগ এবং অংশগ্রহনকে এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন যা অসাধারণ। সত্যিকারের বন্ধুত্ব , দুষ্টুমি , অসীম সাহসিকতা , অনন্য পরিকল্পনার এক অসাধারণ সম্মিলন এই উপন্যাসটি
Was this review helpful to you?
or
কিশোরেরা দেশের জন্য কি কি করতে পারে।জাফর ইকবাল স্যারের লেখা এক অমর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসাধারণ কিশোর উপন্যাস । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহু সংখ্যক গ্রন্থ বহুবার রচিত হয়েছে । কিন্তু যুদ্ধে শিশু - কিশোরদের নির্ভয় অংশগ্রহণের ব্যাপারটি খুব কম গ্রন্থেই লেখা আছে । মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণ এবং তাদের অবদান স্বতন্ত্র উপন্যাস দিয়ে সবার সামনে ছবির মত তুলে ধরেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার । ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের কিশোররা মুক্তিযুদ্ধে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে ।কি হয়ে ছিল রাশেদের জানতে পড়ে ফেলুন অসম্ভব সুন্দর এই উপন্যাস আমার বন্ধু রাশেদ।
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্দ করতে এক অসাধারন বই।কিশোর এর দুরন্তপনা ও অনেক হাসি ঠাট্টা ও বেদনায় ফুটে উঠেছে এই অনন্য বইটিতে
Was this review helpful to you?
or
osadaron boi...sathe movie ta valo hoiche... jafar iqbal sir kishore upornash gulo bolo hoy
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর বই।
Was this review helpful to you?
or
অমর লেখা। কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে চমৎকার উপন্যাস। এ নিয়ে সিনেমা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ গল্প
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা অসাধারণ একটি কিশোর উপন্যাস। মুক্তিযদ্ধের সময় কিশোরাও যে অসামান্য অবদান রেখেছিল সেটা এই উপন্যাসে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বন্ধুত্ব, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ এইসব কঠিন বিষয় একই সুতোয় গাঁথা ছিল এই উপন্যাসে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসাধারণ এবং অনবদ্য এক অভিজ্ঞতা পেয়েছি এই বইটি থেকে।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: আমার বন্ধু রাশেদ লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমার বন্ধু রাশেদ এক ধরনের কিশোর উপন্যাস। ১০-১৩ বছর বয়সীদের জন্য খুব উপযোগী। মূল চরিত্র রাশেদের নাম প্রথমে লাড্ডু থাকে। যখন যে স্কুলে ভর্তি হয় তখন স্কুলের স্যার তার নাম পরিবর্তন করে রাশেদ রাখেন। রাশেদকে নিয়া অনেক অনেক ধরনের ঘটনার বর্ণনা পাবেন বইয়ে৷ যদি চান তাহলে ছোট ভাই-বোনকে উপহার হিসেবে দিতে পারেন। শিক্ষনীয় গল্প।
Was this review helpful to you?
or
This book is based on the liberation war of Bangladesh. Zafar Iqbal sir narrated a story about a young boy named Rashed who did not left his village during liberation war. Instead he joined the Mukti Bahini and fought for his country. As he was young, he was able to roam around Pakistani camp without having any attention from them. Pakistanis ignored him considering a little boy. Thus he was able to gather internal information about pakistani camp and used to acknowledge it to the Mukti Bahini. But one day, he got arrested by the Pakistanis..... You have to read the book to know what happened next, who helped the Pakistanis to arrest him. This book is very much emotional but has a good story to read.
Was this review helpful to you?
or
রাশেদের সঙ্গে আমার পরিচয় আমার বন্ধু রাশেদ ছবি থেকে। রাশেদের সেই অপরিসীম সাহস আমার বুকে দাগ কেটে যায়.. দেশের জন্য কিছু করার আগ্রহ জাগে! কেটে যায় বহুদিন, একদিন লাইব্রেরিতে খুঁজতে খুঁজতে হাতে চলে আসে আমার বন্ধু রাশেদ। দুই দিন পার করে আবার পড়তে বসলাম, সেই বইয়ের ঘ্রাণে নিজের জগতের তৈরি শফিক ভাই, ইবু, আপার সাথে কাহিনি গড়ে যাই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বই থেকে জানতে পেরেছি আমার বয়সী ছেলেদের কেনই বা বলা হয় দামাল ছেলে... এক জন রাশেদের জন্য, শফিক ভাই পায় ইবুর মতো আরো ৫ জন... এভাবেই দেশ হয় স্বাধীন তাই, বইটি পড়ে এর গুণাবলি বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, এককথায় কিশোরদের প্রাণেরএকটি বই ।
Was this review helpful to you?
or
This book is awesome.The writer of this book MD Jafar Iqbal has used many words in this book very awesomely.In this book a teenager boy Rashed and his friends have done many work bravely and carefully during the time of liberation war in 1971.Everybody should read this book because the story of this book is based on the story of 1971.
Was this review helpful to you?
or
প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মনে হয় জাফর স্যারের লাইফে ঘটা সত্য ঘটনা। পরে ইবু নাম টা দেখার পর বুঝলাম না এটা স্যার নয়। সত্যি বলতে রাশেদ কাল্পনিক নয়,এমন হাজারো রাশেদ আর ইবু যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা দের সাহায্য করেছে তা সহজেই বোঝা যায়।গল্পের একটা ব্যাপার মানতে পারিনি তা হচ্ছে রাশেদের মৃত্যু। খুব চাইছিলাম রাশেদ ফিরে আসুক
Was this review helpful to you?
or
দেশপ্রেমের খুব সুন্দর একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কিশোর উপন্যাস 'আমার বন্ধু রাশেদ'। বইটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রও। গল্পের মূল চরিত্র রাশেদ একজন সাহসী দুরন্ত কিশোর।মুক্তিযুদ্ধের সময় সে তার বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার এবং সফলও হয়। এছাড়াও গল্পে অরু আপা আর শফিক ভাইয়ের চরিত্র দু'টিও খুব ভালো লেগেছে।শফিক ভাই একজন মুক্তিযোদ্ধা,যাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয় রাশেদ। গল্পের শেষে রাজাকারের গুলিতে দেশের জন্য মাথা উঁচু করে জীবন ত্যাগ করে সাহসী রাশেদ।
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ আমার জীবনের পড়া বই এর মধ্যে প্রথমদিকের বই| তখনও এত বইপড়ুয়া হয়ে উঠিনি| তখন ক্লাস 6 এ পড়তাম| আম্মু একদিন তার স্কুল থেকে বইটা আনে| সেখান থেকেই একদিন পড়া শুরু করলাম| যখন পড়া শুরু করলাম তখন থেকেই গল্পের ভেতর ঢুকে যেতে থাকি| নিজেকে রাশেদের জায়গায় কল্পনা করতে শুরু করলাম| কি যেনো এক মোহ আমাকে উঠতে দিচ্ছিলো না| যখন শেষের দিকে এগতে লাগলাম ততই যেন শিউরে উঠতে লাগলাম| রাশেদকে যখন বন্দুকের সামনে চোঁখ বেঁধে দাঁড় করানো হয়, সেই অবস্থা কল্পনা করতেই গায়ের লোম দারিয়ে যায়| সে যেনো এক দেশের সূর্য সন্তান|
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা কিশোরদের জন্য অসাধারণ এক বই। জাফর ইকবাল স্যার মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের অবদান অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। কিশোরদের জন্য অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল কর্তৃক রচিত একটি শিশুতোষ উপন্যাস। উপন্যাসটি মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত হয়েছে। নিজ মাতৃভুমিকে স্বাধীন করার জন্য কিশোরেরা কি পরিমাণ ভূমিকা ও ত্যাগ স্বীকার করতে পারে সে বর্ণনা গুলোই ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে।উপন্যাসে বর্ণিত চরিত্রগুলো মূলত কয়েকজন স্কুলছাত্রের। উপন্যাসটি ইবুর কন্ঠে বর্ণিত হলেও মূল চরিত্র রাশেদ। রাশেদ আসলে তার আসল নাম নয়, স্কুলের শিক্ষক তাঁর ছাত্রদের নিয়ে রাশেদকে এই নামটি দিয়েছিল। গল্পের শুরুতে লাড্ডু তথা রাশেদ তার বন্ধুদের সাথে পরিচিত হয়, প্রত্যেক বন্ধুই রাশেদ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রকাশ করে, আর এভাবেই গল্প এগিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে ক্লাসের বন্ধু কাদেরের সাথে রাশেদের দ্বন্দ্বের কথা জানা যায়। গল্প এখানেই থেমে থাকে না চলতে থাকে আপন গতিতে। ফজলু, দিলীপ, আশরাফও ইবুর মত রাশেদের বন্ধু। একদিন তারা সবাই শফিক ভাইয়ের সাথে দেখা করতে যায়, সেখানেই তাদের দেখা হয় তাদের অরু আপার সাথে। অরু আপা সব সময় ইবুর সাথে ইয়ারকী মারত। ইবুর সাথে অরুর দেখা হলেই বলত, এই ইবু তুই আমারে বিয়ে করবি? তখন ইবু একটু লজ্জ্বা পেত। শফিক ভাইয়ের সাথে তাদের দেখা হয়। তার সাথে তারা গল্পে মেতে উঠে। গল্পের এক পর্যায়ে শফিক ভাই হঠাৎ করে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন, “দেশের অবস্থা খুব খারাপ সেটা জান?” তখন সবার আগে রাশেদ বলে উঠে হ্যাঁ জানি। কি জান? তখন রাশেদ বলে, “ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদ বন্ধ করে দিয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তান বাঙ্গালীদের ক্ষমতায় যেতে দেবে না।” শফিক ভাই আবার জানতে চান ,”তুমি কেমন করে জান বাঙ্গালীদের ক্ষমতায় যেতে দেবে না? তখন রাশেদ আবার বলতে থাকে, “পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের শোষণ করে বেঁচে থাকে। আমরা ক্ষমতায় গেলে আর শোষণ করতে পারবে না।” কথার এক পর্যায়ে গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ চলে আসে। তখন দিলীপ ভয়ে ভয়ে বলে, “সত্যি হবে গৃহযুদ্ধ?” শফিক ভাই আশ্বস্ত করে বলে, আমার মনে হবে। আমার মনে হয় পশ্চিম পাকিস্তান কখনো শেখ মুজিবকে ক্ষমতা দেবে না, কারণ তাহলে আর ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না। কিন্তু বাঙ্গালীরা সেটা চুপ করে মেনে নিবে না। কি করবে ? আন্দোলন করবে। এভাবেই গল্প বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিকে মোড় নিতে থাকে। এক সময় একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোর প্রসঙ্গ চলে আসে। জানা যায় মশাল মিছিলের কথা। এই মিছিলের একটা সুন্দর স্লোগান ছিল, “আমার দেশ তোমার দেশ-বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!” রাশেদ এই সব মিছিলে অংশ গ্রহণ করত। রাশেদ খুব রাজনীতিসচেতন। যখন কেউ কোন কিছু বুঝে না, তখন রাশেদ ঠিক তার মতো করে সেটা সবাইকে বুঝিয়ে দেয়। একসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সময়ের ব্যবধানে একদিন তাদের ছোট শহরেও এসে হাজির হয় তারা। ভয়ংকর এক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়ে থাকে রাশেদ। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকেই মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে সে। সঙ্গে কয়েকজন বন্ধু। মুক্তিবাহিনী যখন যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় গোলা বারুদ সরবরাহ করতে পারছিল না, ঠিক তখন রাশেদ, ইবু, ফজলু, আশফাক তাদের বুদ্ধি কাজে লাগায়। নিজেদের বেশভূষা পরিবর্তন করে খেলোয়ার সেজে শরীরে গুলির বেল্ট বেঁধে তা মুক্তিবাহিনীর কাছে পৌঁছে দেয়। এক রাতে রাশেদ আর ইবু শফিক ভাই কে সাহায্য করতে সম্মুখযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। কিন্তু সেই সম্মুখযুদ্ধে শফিক ভাই মিলিটারির হাতে ধরা পড়ে। ঘটনাচক্রে মুক্তিবাহিনীর সকল তথ্য সংগ্রহের জন্য মিলিটারিরা শফিক কে বাঁচিয়ে রাখে। দ্রুত সুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করায়। আর কিশোর যোদ্ধারা এই সুযোগকে কাজে লাগায়। একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা শফিক ভাইকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। শফিক ভাই বেঁচে যায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। কিন্তু একসময় যুদ্ধের ডামাডোলে রাশেদ ও তার বন্ধুদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে। ২ ডিসেম্বর রাশেদ রাজাকদের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে। মিলিটারি ও রাজাকাররা তাকে গুলি করে মেরে ফেলে। এর কিছু দিন পর দেশ স্বাধীন হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বন্ধু যখন আবার একত্র হয় ছোট্ট শহরটিতে, তখন তারা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের বিচিত্র ছেলেটি আর নেই। কিন্তু রাশেদের স্মৃতি তার বন্ধুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকে চিরদিন।
Was this review helpful to you?
or
সবার পরিচিত সেই আমার বন্ধু রাশেদ। এটা নিয়ে নতুন কিছু লিখার নেই। বাংলাদেশে এমন কোন কিশোর পাঠক মনে হয় নেই যে কিনা উপন্যাস পছন্দ করে কিন্তু আমার বন্ধু রাশেদ উপন্যাস পড়েনি। এই উপন্যাসটায় মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের অংশগ্রহণটাকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। উপন্যাসে রাশেদ একটা নির্ভীক চরিত্র। তার যেকোনো ঝুঁকি নিতে কোন সমস্যা নেই। আর যখন ঝুঁকিটা নিতে হবে দেশের জন্য তখন তো কোন কথাই নেই। সে আর তার বন্ধুরা নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে। কিন্তু একসময় তার সকল বন্ধুরা হানাদারদের ভয়ে তাদের পরিবারের সাথে নিরাপদ আশ্রয়য়ে চলে যায়। রাশেদ থকে যায় একা। এই একাকি সাহায্য করতে গিয়ে এক পর্যায়ে সে ধরা পড়ে যায়। আর এটাই তার শেষ সাহায্য।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সবচেয়ে ভালো একটি বই।।সকলের বইটি পড়া উচিত।।হৃদয়বিদারক।।
Was this review helpful to you?
or
#REVIEW:- Book: Amar Bondhu Rashed_Writer: Jafor Iqbal# I haven't seen the liberation war of 71, but I have experienced it through reading this book. A pure pattern of thought that how a teenager school going normal boy thinks about a free nation and contributes with limited source of instruments but huge number of creativity and planning as well as great bravery and transparent patriotism. This book is a lesson to the youths how to love your country and sacrifice ones' life for his beloved motherland. A heart touching story with good sense of presentation that represents the situation of the 71. Rashed will be an idol to us surely for long.
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের শেষটা বেশ আবেগময় । ঠিক সেই আবেগটাই তুলে আনার চেষ্টায় পরিচালককে সফলই বলতে হবে। সিনেমাটোগ্রাফি এবং স্ক্রিনপ্লে (বাংলা জানিনা) দিয়ে বিচার করতে গেলে বলতে হয়, Harry Potter সিরিজের বইগুলো পড়ে তারপর সিনেমা দেখতে গিয়ে প্রচন্ড বিরক্ত এবং হতাশ হয়েছিলাম। একটা ভাল সিনেমা যাতে হয় সেইজন্যে কাহিনীতেও টুকটাক পরিবর্তন আনা হয়েছিল!! ফলাফল - পুরোটাই গুবলেট করে ফেলেছিল। তবে “আমার বন্ধু রাশেদ” এর ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য নয়। বইয়ের কাহিনী প্রায় পুরোটাই অবিকৃত রেখে সিনেমা তৈরির চেষ্টা করেছেন পরিচালক। যেটা কানে লাগতে পারে সেটা হচ্ছে সিনেমার সংলাপ; সরাসরি বইয়ের সংলাপগুলোই ব্যবহার করা হয়েছে। তবে জাফর ইকবাল স্যার যেহেতু ‘চলচ্চিত্র বানানো হবে ‘ এমন কথা চিন্তা করে উপন্যাস লেখেননি, সেহেতু বই পড়া না থাকলে সংলাপ শুনে অনেকের বিরক্তি আসতে পারে। তবে বই যারা পড়েছেন তাদের ব্যাপারটি খারাপ লাগবেনা বলেই আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাসগুলোর মাঝে আমার সবচেয়ে প্রিয় এই "আমার বন্ধু রাশেদ' উপন্যাসটি।এই উপন্যাসটির পটভূমি ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধের সময় নেওয়া। দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে কিশোর মনও কিভাবে আন্দোলিত হয় সেই চিত্রই মূলত তুলে ধরেছেন উপন্যাসে। উপন্যাসে রাশেদ একদিন স্কুলে হাজির হয়। তার আসল নাম রাশেদ না। স্কুলের শিক্ষক তার সহপাঠিদের নিয়ে এই নামটি দিয়েছেন। একাত্তোরের উত্তাল দিন গুলো যখন ছোট ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনৈতিক সচেতন রাশেদ তখন তার নিজের ভাষায় সহজে সবাইকে বুঝিয়ে দেয়। ঘটনাক্রমে একসময় পাকিস্থানি বাহিনী পূর্ব পাকিস্থানে ঝাঁপিয়ে পরে ও রাশেদের ছোট্ট শহরে তারা এসে হাজির হয়। ভয়ানক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হতে থাকে রাশেদ। রাশেদ ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে স্বাধানতাকামী মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। যু্দ্ধে বন্ধি হয়ে যায় মুক্তিবাহিনীর এক সহযোদ্ধা। রাশেদ ও তার বন্ধুরা কৌশলে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে মৃত্যু হাত থেকে। যুদ্ধের কারণে একসময় রাশেদ ও তার বন্ধুরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর রাশেদ আরো গভীর ভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। দেশ স্বাধীন হলে তার বন্ধুরা যখন ছোট্ট শহরটিতে আবার ফিরে আসে তখন আবিষ্কার করেন রাশেদ নামের সেই তেজি ছেলেটি আর নেই। রাশেদের স্মৃতি গুলো বন্ধুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকে চিরকাল। একাত্তরের এক ত্যাগী কিশোরের অসাধারণ এক কাহিনী এটি।
Was this review helpful to you?
or
লাইফে পড়া বেষ্ট বই❤❤
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ বইটি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসে মহান মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটিতে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের অদম্য সাহসী কিশোররা তাদের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তাই বলা হয়েছে। বইটি পড়ে অনেক ভালো লাগল। ছোট বড় সবারই উচিত বইটি পড়া।
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ একটি কিশোর উপন্যাস হচ্ছে রাশেদ বইটি।। যুদ্ধকালীন সময়ে রাশেদ তার সাহসিকতা দেখিয়ে মুক্তিবাহিনী কে সাহায্য করে।। যেটা গল্পকেও হার মানিয়ে দেয়।।। অস্ত্র সরবরাহ, খাবার দেওয়া, বিশেষ করে যখন সে তার বন্ধুদের সহ গুলি গায়ে পেঁচিয়ে গার্ড দেরফাকি দিয়ে সেগুলি পৌছিয়ে দেয় সেটা তো এই উপন্যাস এর বেস্ট অংশ ।। যদিওবা মুক্তিবাহিনী তাদের কে বারন করে বহুবার কারন তারা ছোটো ছিলো।। আর এই ছোটো থাকাটাই তাদের কাজ গুলোকে খুব সহজ করে দেয়।। এক কথায় রাশেদ এর ছিলো অসাধারণ সাহস যেটা এখানে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন জাফর স্যার ।। যারা এটি পড়েননি তারা অবশ্যপাঠ্য মনে করে পড়ে ফেলতে পারেন।। খুবই মজার একটি বই।।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কিশোরবয়সী রাশেদ। দেশকে স্বাধীন করার ডাক এলে যার মন আন্দোলিত হয়, এমন কাহিনিই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে সে। সঙ্গে কয়েকজন বন্ধু। সম্মুখযুদ্ধে বন্দী হয়ে যায় তাদের পরিচিত একজন মুক্তিযোদ্ধা। একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। কিন্তু যুদ্ধের গ্যাঁড়াকল থেকে রাশেদ ও তার বন্ধুদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বন্ধু যখন আবার একত্র হয় ছোট্ট শহরটিতে, তারা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের বিচিত্র ছেলেটিকে।
Was this review helpful to you?
or
জাফর স্যারের "আমার বন্ধু রাশেদ" অন্যতম জনপ্রিয় একটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস। এ উপন্যাসটা পড়ে আমার হৃদয়ে দাগ কেটেছিল। এই উপন্যাস অবলম্বনে ২০১১ সালে “আমার বন্ধু রাশেদ” নামে একটি চলচিত্রও নির্মিত হয়। আমার জীবনে দেখা প্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচিত্র। প্রথমে আমি এই চলচিত্রটা দেখি, এরপর এই হৃদয়স্পর্শী উপন্যাসটা পড়ি। উপন্যাসের পটভূমি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নেওয়া। উপন্যাসে রাশেদ একদিন স্কুলে হাজির হয়। তার আসল নাম রাশেদ না। স্কুলের শিক্ষক তার সহপাঠিদের নিয়ে এই নামটা দেয়। একাত্তোরের উত্তাল দিন গুলো যখন ছোট ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনৈতিক সচেতন রাশেদ তখন তার নিজের ভাষায় সহজে সবাইকে বুঝিয়ে দেয়। ঘটনাক্রমে একসময় পাকিস্থানি বাহিনী পূর্ব পাকিস্থানে ঝাঁপিয়ে পরে ও রাশেদের ছোট্ট শহরে তারা এসে হাজির হয়। ভয়ানক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হতে থাকে রাশেদ। রাশেদ ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে স্বাধীনতাকামী মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। যু্দ্ধে বন্ধি হয়ে যায় মুক্তিবাহিনীর এক সহযোদ্ধা। রাশেদ ও তার বন্ধুরা কৌশলে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে মৃত্যুর হাত থেকে। যুদ্ধের কারণে একসময় রাশেদ ও তার বন্ধুরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর রাশেদ আরো গভীর ভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। দেশ স্বাধীন হলে তার বন্ধুরা যখন ছোট্ট শহরটিতে আবার ফিরে আসে তখন ওরা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের সেই তেজি বন্ধুটি আর নেই। রাশেদের স্মৃতি গুলো বন্ধুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকে চিরকাল। একাত্তোরের এক ত্যাগী কিশোরের গল্প নিয়েই জাফর ইকবাল স্যার উপন্যাসটি সাজিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ সালে । যখন বের হল তখন হইচই পরে গেল পাঠক সমাজে। তারপর ইংরেজি তে প্রকাশ ।তারপর বাংলা সিনেমা। তারপর ইংলিশে সিনেমা। ১৯৯৪ থেকে ২০১৯ , ২৫ বছর ধরে আলড়ন পাঠক সমাজে। তখনকার সাহিত্যিক দের বুঝতে দেরি হইনি যে মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল অল্প দিনেই হবেন বাংলার কিংবদন্তীতুল্য লেখক। বইটি যতই পড়ই আবার মন চাই পড়তে ।
Was this review helpful to you?
or
'Amar Bondhu Rashed' is a adolescence adventure novel set in the year 1971, the liberation war. It captures the liberation war from its very own perspective and manages it to present it well, through some teenagers' eyes. It's a brilliant book by Dr. Muhammad Zafar Iqbal. One of his most iconic teenage adventures, and one of the best liberation war based novels for the youth to read!
Was this review helpful to you?
or
A book i think that gave Sir Jafor Iqbal the greatest honour from the under aged readers also others. It is a book which was written on behalf of the Liberation War of Bangladesh. It is a great book to know about the condition of Bangladesh during the war. I just loved it for its apparence. A movie was also build in with base of this books fiction. I just loved the book and loved the story of Rashed. It made our patriotism a bit harder fir our motherland. Just loved it.
Was this review helpful to you?
or
One of the best books written by Zafar sir. This novel is based on the liberation way that was fought on 1971. In a certain village of Bangladesh, a group of kids participate in the war and have different adventure. I looked the novel very much, though the ending will make you incredibly sad.
Was this review helpful to you?
or
This is an inspiring novel.The story of the struggle of a brave child tovmake 5hos country independent is written here.We can be inspired to sacrifice for our country by his story. They took risk of their life to make this country independent. The starting was quite funny but ending was very emotional. I loved this story very much.
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধের পটভুমিতে রচিত এ উপন্যাসটি । এই উপন্যাসের স্রষ্টা মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। এটি মূলত শিশু কিশোর দের জন্য লেখা হলেও ছেলে বুড়ো সকলেই এই উপন্যাসটি পড়ে সমান রোমাঞ্চ অনুভব করবে।এতে যুদ্ধের সরাসরি বর্ননা রয়েছে যা পাঠক কে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারনা দিবে। এই উপন্যাসটি তে কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান এর কথা বলা হয়েছে। যা বর্তমান সময়ের ঘরকুনো ছেলেদের মনে সাহস সঞ্চার করবে।
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লিখা শ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাস!! এখানে এক বন্ধু আরেক শহীদ বন্ধুর সকল কান্ডকির্তী তুলে ধরেছে তার ছেলের কাছে!! কিশোর মনেও কীভাবে স্বাধীনতা দোলা দিয়েছিল তারই একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত এই বইটি!! ছোটরা এই বইটি পড়ার মাধ্যমে দেশের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে পারবে!!
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু বই আছে যেগুলাে সারাজীবন পড়া যায়। এই বই তেমনই একটা। গল্পটি মেইনলি ইবু তার ছােটবেলার স্মৃতিচারন করে তার সন্তানের কাছে। গল্পের মূল চরিত্র রাশেদ নামের একটি ছেলেকে ঘিরে যার পিতৃ প্রদত্ত নাম কিনা লাড্ড! পরবর্তীতে সে স্কুলে ট্রান্সফার হয়ে আসলে তার ক্লাস টিচার তার নাম করন করেন রাশেদ। সেই থেকেই তার নাম হয়ে যায় রাশেদ খুব দ্রুতই সবার সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলে, অনেক প্রানবন্ত ছেলে সে। এই গল্পটি এমন এক সময়ের যখন দেশের অবস্থা টালমাটাল। একসময় যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ইবু রাশেদ, আশরাফরা সরাসরি যুদ্ধে যােগ না দিলেও পরােক্ষ ভাবে সাহায্য করতে যােদ্ধাদের। এমন অনেক কাহিনী উঠে এসেছে বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে বানানো হয়েছে। দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করার ডাকে এক কিশোরের মনও কীভাবে আন্দোলিত হয়েছে- সে চিত্রই ফুটে উঠবে ছবির কাহিনীতে। প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মফস্বলের ছোট একটা শহর। আর চরিত্রগুলো হচ্ছে কয়েকজন স্কুলছাত্র। মূল চরিত্র রাশেদ হঠাৎ স্কুলে হাজির হয়। তার নাম আসলে রাশেদ নয়, স্কুলের শিক্ষক তাঁর ছাত্রদের নিয়ে রাশেদকে এই নামটি দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যায়, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলো যখন ছোট ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনীতিসচেতন রাশেদ তখন ঠিক তার মতো করে সেটা সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। একসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং একদিন এই ছোট শহরেও তারা এসে হাজির হয়। ভয়ংকর এক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়ে থাকে রাশেদ। স্বাধীনতাসংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে সে। সঙ্গে কয়েকজন বন্ধু। সম্মুখযুদ্ধে বন্দী হয়ে যায় তাদের পরিচিত একজন মুক্তিযোদ্ধা। একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে রাশেদ ও তার বন্ধুদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বন্ধু যখন আবার একত্র হয় ছোট্ট শহরটিতে, তারা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের বিচিত্র ছেলেটি আর নেই। কিন্তু রাশেদের স্মৃতি তার বন্ধুদের হূদয়ে বেঁচে থাকে চিরদিন
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন বই। প্রত্যেকের পড়া উচিত। ভালো লাগবে, মনে হবে আমি ৭১ এ চলে গেছি,আমিই রাশেদ...চোখের সামনে ভেসে উঠবে যুদ্ধের চিত্র। উপন্যাসের শেষে কষ্ট'টাও অনুভব করতে হবে...
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা "আমার বন্ধু রাশেদ " চমৎকার একটি কিশোর উপন্যাস। মুক্তিযুদ্ধ ও এক সাহসী কিশোর রাশেদকে কেন্দ্রকরে লেখা এ উপন্যাস বতর্মান তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক বই। এ বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে এবং এতে বাঙালিদের দেশপ্রেম ও সাহসিকতার পরিচয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। একথায় এ বইটি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত বইগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা।
Was this review helpful to you?
or
যারা পড়ে নাই এখনো, তাদের বইটি এখনেই পড়ে ফেলা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ৮ বই : আমার বন্ধু রাশেদ লেখক : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল জনরা : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস প্রকাশনী: কাকলী প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা :১১২ মুদ্রিত মূল্য :১৭৫ টাকা। লেখক পরিচিতিঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন। কাহিনী সংক্ষেপেঃ দেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য তারাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। লুকিয়ে লুকিয়ে মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে, পাকিস্তানি ঘাঁটিকে উচ্ছেদ করার জন্য ম্যাপ একে দেয়। বয়সে ছোট হবার কারনে হানাদার বাহিনী তাদেরকে সন্দেহ করে না। কিন্তু একসময় তা প্রকাশ পেয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ প্রচণ্ড আকার ধারন করলে সবাই পালিয়ে যায়। কিন্তু রাশেদ থেকে যায়। এক সময় রাজাকারদের হাতে সে মারা যায়। রাশেদ ১৯৭১সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের এক দুরন্ত - নির্ভীক কিশোর চরিত্র । তার বাবা কিছুটা পাগল গোছের মানুষ । তাই ছেলের পড়াশুনার কোন খবর রাখেন না , এমনকি ছেলের ভাল একটা নাম ও রাখেননি । বরং ছেলের সাথে রাজনীতির গল্প করেন । রাশেদ যেদিন প্রথম স্কুলে এসেছিল সেটা এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে। মাত্র ক্লাস শুরু হয়েছে, স্যার রোল কল করার জন্য খাতা খুলছেন ঠিক তখন দেখলাম একটা ছেলে দরজার সামনে এসে দাঁড়াল। তার বাম হাতে একটা কাগজ, সেটা ভিজে চুপচুপে, সাবধানে সে কাগজটা ধরে রেখে ক্লাসের ভিতরে উঁকি দিতে থাকে। দেখে মনে হয় তার ছাগলের বাচ্চটাচ্চা কিছু একটা হারিয়ে গেছে, সেটা খুঁজে দেখছে ক্লাসের ভিতরে। খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কি একটা ভেবে শেষ পর্যন্ত সে ক্লাসে ঢুকে পড়ল। এভাবেই শুরু হয় উপন্যাস টি। এক নির্ভীক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়বিদারক প্রায় জীবন্ত এক উপাখ্যান "আমার বন্ধু রাশেদ" । রাশেদের মত কত কত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তার হিসাব আমাদের হাতে নেই। কিন্ত জাফর ইকবাল স্যার দেখিয়েছেন রাশেদরা ছিল এবং তারা তাদের অবদান রেখে গেছে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ গল্পের দুটি প্রাণবন্ত চরিত্র অরু আপা আর শফিক ভাই । শফিক ভাই রাশেদ আর তার বন্ধু ইবু সহ অন্য সবার প্রেরণা । শফিক ভাই অপারেশনে গিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরা পড়লে রাশেদের নেতৃত্বে তার বন্ধুরা দুঃসাহসিক এক অভিযানের মাধ্যমে মুক্ত করে তাকে । রাশেদের এমন বেশ কিছু দুঃসাহসের কিছু জীবন্ত চিত্র যেন পাওয়া যায় উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ।
Was this review helpful to you?
or
কিশোরদের জন্য জাফর ইকবাল স্যারের লেখা শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর একটি হচ্ছে "আমার বন্ধু রাশেদ"। একজন কিশোরের চোখে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কেমন ছিল তার সুন্দর একটি বাস্তবায়ন এই বইটিতে দেখা যায়। মুক্তিযুদ্ধের মত national crisis কিভাবে একজন কিশোরকে মানসিকভাবে mature করে তোলে এবং কিভাবে তা তাদের চিন্তাভাবনা ও কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে তা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই বইটিতে। দেশপ্রেম ও সাহস যখন এক কেন্দ্রে এসে মিলিত হয়, তখন বয়স যতই হোক না কেন, একজন মানুষকে সহজে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বইটির শেষ মূহুর্তে এস যে করুণ সমাপ্তি দেখা যায়, তা নিশ্চিতভাবেই প্রতিটি পাঠকের চোখে জল এনে দিবে। বইটি আমার পড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শ্রেষ্ট কিশোর উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
great story
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর . বই আলোচনা ৭ . বই : আমার বন্ধু রাশেদ লেখক : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল জনরা : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস প্রকাশনী: কাকলী প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা :১১২ মুদ্রিত মূল্য :১৭৫ টাকা। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৯/৫ অনলাইন পরিবেশক :রকমারি.কম . লেখক পরিচিতি : জনপ্রিয় লেখক জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জুর রহমান আহমদ আর মায়ের নাম আয়েশা আখতার খাতুন। উনার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। পূর্বে তার নাম ছিল বাবুল।জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এবং সাহিত্যিক আহসান হাবীবের ভাই। জাফর ইকবালের মেয়ে ইয়েশিম ইকবাল তার এই"আমার বন্ধু রাশেদ" বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে নাম দিয়েছে Rashed, my friend. . বইটি সম্পর্কে লেখকের কিছু কথা : আমার বন্ধু রাশেদ বইটি যখন লিখি, তখন আমি আমেরিকায়, দেশে আসব আসব করছি। দীর্ঘদিন থেকে সেই দেশে পড়ে আছি, প্রায় ১৮ বছর, কিন্তু লেখালেখি হয়েছে খুব কম। তার কারণও আছে। আমি এক রকম পাণ্ডুলিপি পাঠাই, অন্য রকম বই হিসেবে বের হয়ে আসে। একবার একটা বই ছাপা হয়ে এল, দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম! আমার লেখার পুরো স্টাইল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। পড়ে মনে হয় আমি লিখিনি, অন্য কেউ লিখেছে। দেশে প্রকাশককে ফোন করে কারণ জানতে চাইলাম। তিনি লেখালেখির সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমাকে জ্ঞান দিয়ে বিশাল একটা চিঠি লিখলেন। অনেক কষ্ট করে পরে আমি অন্য একজন প্রকাশক দিয়ে আমার স্বল্পজ্ঞানের বইটি আমার মতো করে লেখা হিসেবে বের করতে পেরেছিলাম। এর মধ্যে একদিন নিউইয়র্কে শহীদজননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে দেখা হলো। তিনি তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন করে আমাদের সবার প্রিয় একজন মানুষ। আমি একদিন খুব কুণ্ঠিতভাবে হুমায়ূন আহমেদের ভাই হিসেবে পরিচিত হতে গেলাম। দেখি, তিনি আমার যৎসামান্য লেখা দিয়েই আমাকে আলাদাভাবে চেনেন। শুধু তা-ই না, শহীদজননী আমার লেখালেখি নিয়ে খুব দয়ার্দ্র কিছু কথা বললেন। তখন হঠাৎ করে আমার আবার লেখালেখির জন্য একটা উৎসাহ হলো—এক ধাক্কায় দুই দুইটা বই লিখে ফেললাম। তার একটি হচ্ছে আমার বন্ধু রাশেদ। এটা মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটা কিশোর উপন্যাস। এটা লেখার সময় আমি চেষ্টা করেছি সেই সময়ের ধারাবাহিকতাটুকু রাখতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষ কিসের ভেতর দিয়ে গেছে, সেই ধারণাটাও একটু দিতে চেষ্টা করেছি। এমনিতে আমার কিশোর উপন্যাসের একটা ফর্মুলা আছে, সব সময়ই সেখানে একটা অ্যাডভেঞ্চার থাকে। আর তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমি আমার ছোট ছোট পাঠকের মনে কখনো কোনো কষ্ট দিই না। আমার বন্ধু রাশেদ লেখার সময় আমার মনে হলো, এই বইটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা, তাই যারা এটি পড়বে, তাদের মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের একটু সত্যিকারের অনুভূতি পাওয়া দরকার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অচিন্তনীয় বীরত্ব আছে, আকাশছোঁয়া বিজয় আছে, আর সবচেয়ে বেশি আছে স্বজন হারানোর বুকভাঙা কষ্ট। তাই এই বইটাতে আমি খানিকটা কষ্ট ঢুকিয়ে দিয়েছি। এমনভাবে লিখেছি যেন যারা পড়ে, তারা মনে একটু কষ্ট পায়। আমি যেটুকু কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম, মনে হয় তার থেকে বেশি দেওয়া হয়ে গেছে, সেটি আমি বুঝেছিলাম আমার ছোট মেয়েটির একটা প্রতিক্রিয়া দেখে। তখন আমি মাত্র দেশে ফিরে এসেছি। ছেলেমেয়ে দুজনেই ছোট তখনো। স্বচ্ছন্দে বাংলা পড়তে পারে না। আমাকে তাই মাঝে মাঝে আমার লেখা বই পড়ে শোনাতে হয়। একদিন আমি তাদের আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে শোনালাম। পুরোটা শুনে আমার সাত বছরের মেয়েটি কেমন যেন অন্য রকম হয়ে গেল। চুপচাপ বসে থেকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আমরা রাতে ঘুমিয়েছি, সে বিছানায় শুয়ে ঘুমহীন চোখে শুয়ে আছে। গভীর রাতে সে উত্তেজিত গলায় আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল। বলল, ‘আব্বু, তুমি একটা জিনিস জানো?’ আমি বললাম, ‘কী?’ সে আমাকে বলল, ‘বইয়ে লেখা আছে রাশেদকে গুলি করে মেরেছে। কিন্তু তার লাশ তো পাওয়া যায়নি!’ আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না সে কী বলতে চাইছে। কিন্তু তার কথায় সায় দিয়ে বললাম, ‘না, লাশ পাওয়া যায়নি।’ আমার সাত বছরের মেয়ের মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল। বলল, ‘তার মানে বুঝেছ? আসলে রাশেদের গুলি লাগেনি। সে মারা যায়নি। পানিতে পড়ে সাঁতার দিয়ে চলে গেছে।’ আমি অবাক হয়ে আমার ছোট মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বললাম, ‘হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছ। রাশেদের শরীরে গুলি লাগেনি—সে মারা যায়নি। সাঁতরে সে চলে গেছে, সে বেঁচে আছে।’ আমার মেয়ের বুকের ভার নেমে গেল। তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। গভীর একটা প্রশান্তি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেল। আমার ছোট মেয়েটির মতো আরও কত শিশুকে না জানি আমি কষ্ট দিয়েছি! সম্ভব হলে সবাইকে বলে আসতাম যে রাশেদ মারা যায়নি। রাশেদরা আসলে কখনও মারা যায় না। . কাহিনী সংক্ষেপ : মহান মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহনের অনবদ্য দিক ফুঁটে উঠেছে জাফর ইকবালের "আমার বন্ধু রাশেদ" উপন্যাসে। গোপনে রাশেদসহ একটি কিশোরদল মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে। পাকিস্তানের ঘাঁটিতে আঘাত হানার জন্য একটি ম্যাপ এঁকে দেয় এই কিশোর দল। তাদের ছোট ছোট ছেলে ভেবে পাকিস্তানিরা তাদের সন্দেহ করে না। কিন্তু বেশিদিন তারা সেটা পারে না। একসময় ধরা পরে যায়। যুদ্ধ যখন ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে, তখন সকলেই পালিয়ে যায়। পালায় না কেবল অকুতোভয় কিশোর, উপন্যাসের মূল চরিত্র রাশেদ। রাশেদ এক নির্ভীক কিশোর। তার বাবা মানুষটা কেমন যেন। ছেলের একটা ভালো নামও রাখেনি সে । রাশেদের নাম রেখেছিল লাড্ডু। লাড্ডুর স্কুলের বন্ধুরা তার নাম দেয় রাশেদ হাসান। রাশেদের বাবা ছেলের খবরাখবর রাখে না তেমন। ছেলের পড়াশুনার ব্যাপারেও সে পুরোদমে উদাসীন। বাবা হয়ে সে অল্পবয়স্ক ছেলের সাথে রাজনীতির গল্প করে। রাশেদ রাতে-দিনে মিছিলে ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। সে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করে। মুক্তিবাহিনীর সাথে দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠে রাশেদের। রাশেদের কর্মকাণ্ড দেখে উৎসাহিত হয় তার বন্ধুরাও। উপন্যাসের আরকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র শফিক ভাই অপারশনে গিয়ে মিলিটারিদের হাতে ধরা পড়ে। অকুতোভয় রাশেদের নেতৃত্বে তার বন্ধুরা কঠিন এক অভিযানের মাধ্যমে মুক্ত করে আনে শফিক ভাইকে। সবশেষে আজরফ আলী নামের এক রাজাকারের হাতে শহীদ হয় রাশেদ। . পাঠ প্রতিক্রিয়া: অসম্ভব সুন্দর আর মনে দাগ কাটা এই উপন্যাসের পাঠানুভূতি প্রকাশের পূর্ণ ক্ষমতা বোধহয় আমার নেই। যতক্ষণ পড়ছিলাম, যেন বুঁদ হয়েছিলাম বইটিতে। আমি ঢুকে গিয়েছিলাম বইয়ের ভিতর। নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য রাশেদের বন্ধুমহলের একজন ভেবে নিয়েছিলাম। জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসকে আমি কারও সাথে তুলনা করতে পারি না। ব্যাক্তিগত রেটিং ৪.৯/৫। . রিভিউ লেখক :তানজিনা তানিয়া
Was this review helpful to you?
or
Well
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃআমার বন্ধু রাশেদ লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনঃকাকলী ধরনঃমুক্তিযুদ্ধ মুল্যঃ১৭৫ টাকা মূল চরিত্রঃরাশেদ বইটি মুক্তিযুদ্ধের পটভুমি নিয়ে লেখা।। দেশকে স্বাধীন করার ডাক,, দেশের জনগনকে সেই সময় প্রভাবিত করে।। সেই ডাক কি বয়স ভেদে শুধু বড়দের জন্যে ছিলো?? নাকি ছোটরাও অংশগ্রহন করে?? আমাদের আশেপাশে আমরা কতো রকমের কিশোর কিশোরিকে দেখি,,একেকজনের বেড়ে ওঠার গল্প থাকে একেক রকম।। এদের মধ্যে কিছু কিশোর থাকে যাদের চিন্তা চেতনা একদমই আলাদা, বড়রা শুনলেও হোচট খায়। সেরকম ই এক মুক্তমনা চিন্তার অধিকারি ছিল রাশেদ। পাকিস্তানিরা যখন বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় ধ্বংসলিলা শুরু করেছিল, রাশেদের সেই বেড়ে ওঠা জায়গাটিও যেন বাদ যায়নি,, আর এইসবের সাক্ষিও যেন হয়েছিল রাশেদ স্বয়ং নিজেই।। সাক্ষি হতে হতে কখন জানি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশেদ,, একটার পর একটা অপারেশনে এগিয়ে যায়,, অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দেয় নির্ভীকভাবে,, এগিয়ে যেতে থাকে মিশন। কিন্তু,, কতদিন?? শকুনদের চোখ কে ফাঁকি দিতে পেড়েছিল কি রাশেদ?? দেশ স্বাধীনের পর আসতে পেরেছিল তো তার স্বপ্নের বাংলাদেশে?? জানতে হলে পড়ুন বইটি।। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা যতগুলো উপন্যাস,, আমার মতে সেরা একটি বই।।। কি চমৎকার বুদ্ধিমত্তা এতোটুকু ছেলের,,দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা,, অপরিসীম সাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ। সবকিছু মিলে চমৎকার একটি গল্প।। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ থাকলো বইটি একবার হলেও পড়ে শেষ করার।
Was this review helpful to you?
or
অামার দেখা আরেকটি সেরা বই
Was this review helpful to you?
or
তখন দেশে মাত্র যুদ্ধ লাগবে লাগবে মুহূর্ত। বইয়ের শুরুটা সেরকম করেই শুরু। বলতে গেলে হুবহু জাফর ইকবাল স্যারের "দীপু নাম্বার টু" বইয়ের মত এ বইটা শুরু। একটা ক্লাসরুমে মজিদ স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। এমন সময় একটা ছেলে দরজায় এসে হাজির। হাতে একটা ভেজা কাগজ। কাগজটা নালায় পড়ে গিয়েছিল বলে সে ধুয়ে এনেছে। জানা গেল তার নাম লাড্ডু। ছেলেটার মা নেই। বাবাও অগোছালো ধরনের মানুষ। তেমন একটা খেয়াল নেই তার উপড়। তো মজিদ স্যার ঠিক করলেন ভোটের মাধ্যমে একটি নাম দেয়া হবে তার। নতুন নাম হিসেবে তার নাম রাখা হলো "রাশেদ হাসান" । রাশেদ যে শহরের স্কুলে সেদিন ভেজা কাগজ নিয়ে ঢুকেছিলো, সে শহরেই আরেকটি পরিবারে থাকতো ইবু নামে একটা ছেলে। সে তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। ইবুর বন্ধুমহলে তেমন কেউ ছিল না। ঘনিষ্ট যে কজন ছিল তারমধ্যে রয়েছে কাদের, ফজলু আর আশরাফ। ইবু আর রাশেদ একই স্কুলে পড়তো। রাশেদ অন্য দশটা ছেলের মত যে নয় সেটি তারা ধরতে পারলো কিছুদিন পরেই। তাকে তার বন্ধুরা পড়াশোনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, সে নাকি ফাইনাল পরীক্ষায় সব সাবজেক্টে ফেল করবে। পরপর দুই বছর সব সাবজেক্টে ফেল করলে নাকি তার বাবা তাকে আর পড়াবে না। শুধু তাই নয়, তার বাবা তার সাথে রাজনৈতিক আলাপ করে। রাশেদ নিজেও খুব রাজনীতি সচেতন ছেলে। অনেক ক্ষেত্রে বড়দের থেকেও সে বেশী তথ্য জানতো। ইবুর পাশের বাসায় আরেকটি চরিত্রের দেখা মিলবে বইটিতে। অরু আপা। শফিক নামের একজনের সাথে তাদের মন দেয়ানেয়ার এক ব্যাপার চলছিল। তাদের মধ্যে চিঠি আদান প্রদানের কাজে সহায়তা করতো ইবু। শফিক একটা সময়ে মুক্তিবাহীনিতে যোগ দেয়। রাশেদ ইবুরাও যোগ দেয় এক অপারেশনে। রাজাকারদের উতপাত বেড়েই চলছে। দেশ ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সেসময়... বাকীটা বই পড়লেই জানা যাবে। বেশ কম সংখ্যক পৃষ্ঠার এক বই। #ব্যাক্তিগত_মতামতঃ ইতিবাচক দিকঃ জাফর ইকবাল স্যারের বর্ণনাভঙ্গী সম্পর্কে সবাই বেশ ভালভাবেই অবগত। এ বইতেও সেরকমটি ব্যাতিক্রম হয়নি। এ বইটি যেমন একদিকে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, তেমনি একটি কিশোর উপন্যাসও বটে। দুটোর সমন্বয়টা অসাধারন ছিল। পড়ার সময়ে মনে হচ্ছিলো কাহিনী খুব সাবলীলভাবে এগোচ্ছে। আমি এ ব্যাপারটির বেশ ফ্যান। নেতিবাচক দিকঃ জাফর ইকবাল স্যারের সব কিশোর উপন্যাসের শুরুতেই কেন যেন ক্লাসরুম থাকে। একটা ছেলে ক্লাসের সামনে এসে দাড়বে। ফ্যালফ্যাল করে ক্লাসের ভেতরে তাকিয়ে দেখবে সবার চেহারা। এমন সময় ক্লাসের টিচার একটা ধমক দেবেন। এই ধরনের চিত্র তার বেশ কয়েকটি বইতে (যেগুলো পড়েছি) দেখলাম। যেমন "দীপু নাম্বার টু" "আমি তপু" "নিতু আর তার বন্ধুরা" বইগুলো শুরুও একই রকম। এ ব্যাপারটি একঘেয়ে লেগেছে.. তবে সবকিছুর বিচারে মনে করি "আমার বন্ধু রাশেদ" বইটি নিঃসন্দেহে একটি ভালমানের বই...
Was this review helpful to you?
or
একটি দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে কীভাবে সে দেশের কিশোররা নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে তার একটি চমত্কার বর্ণনা পাওয়া যায় এ বইটিতে । কিশোরদের দুরন্তপনার পাশাপাশি তাদের দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধের চরম একটি নমুনা তুলে ধরেছেন লেখক । বইটি উত্তম পুরুষে লেখা ।বইয়ে লেখক নিজেকে ইবু নামে পরিচয় দিয়েছেন । ইবু অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোর। বইয়ের শুরুতে দেখানো হয়েছে ক্লাসে এক নতুন মুখের আগমন । পরবর্তী এই নতুন মুখটিই পরিণত হয় কাহিনীর কেন্দ্রীয় চরিত্রে। ক্লাসের সকলের সমর্থনে তার নাম রাখা হয় রাশেদ। ধীরে ধীরে নতুন বিদ্যাপীঠে রাশেদের বেশ কিছু বন্ধু জুটে যায় । তাদের নিয়ে সে মেতে থাকে নানা রকম কাজে । লেখক ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে বইটির কাহিনী এগিয়ে নিয়েছেন । রাশেদ , ইবুদের স্কুলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্প করে। শুরু হয় তাদের ছোট্ট শহরজুড়ে নিষ্ঠুরতা আর নৃশংসতা। ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় ইবুর বন্ধু দিলীপের পরিবারের মতো হাজার হাজার মানুষ । রাশেদ , ইবু , ফজলু আর আশরাফ মিলে শুরু করতে থাকতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান। ইবুদের পাড়ার শফিক ভাই যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। তাদেরই পাড়ার কলেজ পড়ুয়া অরু অপেক্ষায় থাকে শফিকের ঘরে ফেরার। রাশেদরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে করতে একসময় সত্যিকার অর্থে যোদ্ধায় পরিণত হয় ।। তারা অস্ত্র চালনা শেখে , অংশ নেয় বিভিন্ন অপারেশনে । পাকিস্তানি ক্যাম্প আক্রমণে তারা শফিককে সঙ্গ দেয় । একসময় শফিক ধরা পড়ে নির্মম রাজাকারদের হাতে । আহত শফিককে উদ্ধার করে সেই দুঃসাহসী চার কিশোর । তাদের এই অভিযানের মাধ্যমে লেখক কিশোরদের বিচক্ষণতাকে তুলে ধরেছেন । কিছুদিনের মধ্যে শহরে কিশোরদের অপারেশনের খবর জানাজানি হয়ে যায় । ভারতে পাড়ি দেয় ইবুর পরিবার । শহরে একা থাকে রাশেদ । স্বাধীন দেশে ফিরে এসে ইবু জানতে পারে রাশেদের মৃত্যুর কথা । বইটির কাহিনীর পরিসমাপ্তি ঘটে অদম্য কিশোর মুক্তিযোদ্ধাটির করুণ মৃত্যুর মাধ্যমে । তাকে রাজাকার কমান্ডার গুলি করে হত্যা করে । রাশেদের মৃত্যু ঘটে , কিন্তু সে বেঁচে থাকে ইবুর মনে, বেঁচে থাকে এ দেশবাসীর মনে । বইটির প্রতিটি কাহিনী লিখিত হয়েছে চমত্কারভাবে । বইটির মাধ্যমে লেখক তাঁর সুনিপুণ লেখনী শক্তির পরিচয় দিয়েছেন । বইটি পাঠের সময় মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব একটি প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে পাঠকের মনে । কিশোরদের দুষ্টুমী আর কৌতুকের মাধ্যমে লেখক তাঁর রসিক মনেরও একটি পরিচয় তুলে ধরেছেন এ বইয়ে । শফিক-অরুর প্রেমের মাধ্যমে তিনি নিজের রোমান্টিকতাকেই উপস্থাপন করেছেন । মুক্তিযুদ্ধের মতো সশস্ত্র একটি সংগ্রামে কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বর্তমান প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে তুলবে । মৃত্যুর পরও রাশেদকে স্মরণ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে । লেখক তুলে ধরেছেন যুদ্ধপরাধীদের নির্মমতার কথা যা বর্তমান প্রজন্মকে যুদ্ধাপরীধীদের বিচার আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে তোলে । লেখক অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে এ কাজগুলো সম্পাদন করেছেন । এক্ষেত্রে লেখকের স্নায়ুশক্তির প্রশংসা না করলেই নয় । সর্বোপরি অত্যন্ত চমত্কার ভাষায়, সাবলীলভাবে, আনন্দ-বেদনা, বন্ধুত্ব, দেশপ্রেম , সংগ্রামী চেতনা, দেশদ্রোহিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতার এক দারুণ সমন্বয় ঘটেছে এ বইটিতে। বইটি বারবার পড়লেও মনে হবে এক বই কখনো পড়া হয়নি ।
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাশেদের শহরেও হানা দেয় পাকিস্তানি বাহিনী৷ সেসময় ভয়ংকর ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয় সে৷ এরপর ক্রমশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশেদ৷ বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানিদের কাছে আটক এক মুক্তিযোদ্ধাকে ছাড়িয়ে আনতেও সক্ষম হয়৷ কিন্তু যুদ্ধের মাঝে একসময় আলাদা হয়ে যায় রাশেদ এবং তার বন্ধুরা৷ একসময় মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়, দেশ স্বাধীন হয়৷ রাশেদের বন্ধুরা আবারো একত্রিত হয় ছোট্ট শহরটিতে৷ কিন্তু রাশেদ আর ফেরেনা৷ শিশুসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এর একটি উপন্যাসের নাম ‘আমার বন্ধু রাশেদ'৷ রাশেদ হচ্ছে সেই বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্র৷ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা এক অমর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসাধারণ কিশোর উপন্যাস । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহু সংখ্যক গ্রন্থ বহুবার রচিত হয়েছে । কিন্তু যুদ্ধে শিশু - কিশোরদের নির্ভয় অংশগ্রহণের ব্যাপারটি খুব কম গ্রন্থেই লেখা আছে । মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণ এবং তাদের অবদান স্বতন্ত্র উপন্যাস দিয়ে সবার সামনে ছবির মত তুলে ধরেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার । ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের কিশোররা মুক্তিযুদ্ধে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে । দেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য তারাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। বয়সে ছোট হবার কারনে হানাদার বাহিনী তাদেরকে সন্দেহ করে না। কিন্তু একসময় তা প্রকাশ পেয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ প্রচণ্ড আকার ধারন করলে সবাই পালিয়ে যায়। কিন্তু রাশেদ থেকে যায়। এক সময় রাজাকারদের হাতে সে মারা যায়। বইটি যতবারই আমি পড়েছি, ততবার আমি কেঁদেছি। জাফর ইকবাল স্যার এর কাছে প্রশ্ন- রাশেদকে বাঁচিয়ে রাখলে আপনার কি ক্ষতি হত? কেন মেরে ফেললেন ওকে?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
যে রক্তসাগর পেরিয়ে বাংলার বুকে স্বাধীনতা এসেছিল তাতে লাখো শহীদের রক্তের সাথে মিশে আছে ছোটছোট কিশোর মুক্তিযোদ্ধার রক্তকণা। কিন্তু তাদের কথা কেউ বলেনি! তাদের কেউ স্মরণ রাখেনি! কোন বইয়ে তাদের বীরত্বগাথা ফুটে ওঠেনি। এটা বড়ই দুঃখের বিষয়। শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যার লিখলেন তাদের নিয়ে। যাদের কেউ মনে করেনি! নিঃসন্দেহে "আমার বন্ধু রাশেদ" আমার এবং এদেশের সকল কিশোরের সর্বপ্রিয় উপন্যাস। সময়টা ১৯৭১ সাল। নতুন স্কুলে এসে সহজেই বন্ধু খুঁজে পায় রাশেদ। বরাবরই রাশেদ সবার থেকে একটু ভিন্ন রকমের ছিল। এ বয়সেই সে দেশ নিয়ে চিন্তা করতো। তার পাগলাটে বাবার (রাশেদের মতে) সাথে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো। স্কুলে মজার ক্লাস আর বন্ধুদের সাথে নানা ধরনের খেলাধুলায় ভালই কাটছিল দিন। হঠাৎ বেধে যায় স্বাধীনতা যুদ্ধ। পাক হানাদাররা এদেশের সাধারণ মানুষের উপর শুরু করে অবর্ণনীয় অত্যাচার। দেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। তাতে যোগদেয় এলাকায় ওদের হিরো শফিক ভাই সহ নানা বয়সের নানা পেশার মানুষ। স্কুল বন্ধ। হাত পা গুটিয়ে বসে থাকার লোক না রাশেদ। তাছাড়া দেশের এমন অবস্থায় বসে থাকে কি করে! মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার পন করে ও। কাজও পেয়ে যায়। গুলি লেগে শফিল ভাই হাসপাতালে ভর্তি থাকেন রাজাকারদের পাহারায়। বন্ধুদের নিয়ে হাসপাতাল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাশেদ। এরপর মুখোমুখি সত্যিকারের যুদ্ধের! ধীরেধীরে বন্ধুরা সবাই পরিবারের সাথে নিরাপদে চলে যায়। একা হয়ে পরে রাশেদ।মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে সব জীবন-মরন অভিযানে। লাখোলাখো প্রানের বিনিময়ে বাংলার বুকে আসে স্বাধীনতা। ফিরে আসতে শুরুকরে রাশেদের সব বন্দুরা। কিন্তু ততদিনে রাশেদের কি হয়েছে? একাকী রাশেদ কোথায় ছিল? কেমন ছিল? এখন ই বা কেমন আছে? সব উত্তর মিলবে বইয়ে। পড়তে বসলে হারিয়ে যেতে হবে ৭১ এর রনাঙনে। ঠিক রাদেশের মত। একজন রাশেদ হয়ে...!
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউঃ আমার বন্ধু রাশেদ লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল. মুক্তিযুদ্ধকে অবলম্বন করে বিভিন্ন লেখক বিভিন্ন সময়ে কালজয়ী লিখা লিখে গেছেন। কিন্তু প্রায় সব’কটি লিখা'ই লিখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে বড়দের অবদান নিয়ে। কিভাবে ১১ সেক্টরের বীর সেনানীরা বীরত্ত্বের সাথে যুদ্ধ করেন,কিভাবে রুমী মায়ের সাথে যুদ্ধে যাওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ দেখিয়ে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন,কিংবা কিভাবে আজাদের শোকে তার মা পানাহার ছেড়ে দিয়েছেন। জাহানারা ইমামের “একাত্তরের চিটি”, আনিসুল হকের 'মা', হুমায়ুন আহমেদের জোছনা ও জননীর গল্প, সুফিয়া কামালের একাত্তরের দিনগুলি- যাই বলি না কেন,সবকটি বড়দের অবদানের কথাই বিশেষভাবে বলা হয়েছে। কিন্ত মুক্তিযুদ্ধের মত বিশাল-একই সাথে বাঙ্গালী জাতির “মুক্তি”র যুদ্ধে এদেশের কৃষক,শ্রমিক,শিক্ষক,বুদ্ধিজীবী,গায়ক ইত্যাদি পেশার মানুষের ভূমিকা যেমন ছিল, ঠিক তেমনি ভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এ দেশের শত শত নিস্পাপ শিশুদেরও অবদান রয়েছে। যেটি খুব সুন্দরভাবেই ফুটে ওঠেছে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লিখা “আমার বন্ধু রাশেদ” নামের উপন্যাসে। সবে মাত্র ক্লাস শুরু হয়েছে। স্যার রোল কল করে যে-মাত্র হাতে চক নিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখতে গেলেন,ঠিক সে সময় চুল উসকো-খুসকো একটা ছেলে হাতে কাগজ নিয়ে বিনা অনুমতিতেই ক্লাসে ঢুকে পড়ে। আর সেটা দেখে ক্লাসের সবাই চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো, “স্যার দেখেন কে এসেছে”। স্যার পিছনে ঘোরে জিজ্ঞেস করেন, এই তুই ক্যারে? জবাবে ছেলেটি বলে,তার নাম লাড্ডু! এ শুনে ক্লাসে হাসির রোল পড়ে গেল। পরে স্যারের কড়া ধমকে হাসি বন্ধ হয়ে গেল। অবশেষে স্যার ক্লাসে সবার বাচাই করা নাম থেকে লাড্ডু নামের ছেলেটির সুন্দর একটা নাম দেই। রাশেদ হাসান। সে থেকেই লাড্ডুর নাম হয়ে গেল,রাশেদ হাসান। সে থেকে ক্লাসের সবাই রাশেদ নামেই ডাকে। রাশেদের মা অনেক আগেই মারা গেছেন,বাবা এখনো জীবিত রয়েছেন-তবে রাশেদের মতে তার বাবা একটু মাথা খারাপ টাইপের। আর প্রায় সময় রাশেদ বাবার সাথে রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা করে থাকে। দিনগুলো ভালোই কেটে যাচ্ছিল,প্রতিদিন ক্লাস করে,আর এর’ই মধ্যে বেশ কিছু বন্ধু পেয়ে যায় রাশেদ। কিন্ত এর মধ্যেই শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের আলামত। এলাকায় শুরু হয়ঃ মিছিল-মিটিং, নৌপথ ধরে আসতে থেকে শত শত পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী,এলাকায় বেশ কিছু নিমকহারামী মাওলানা গঠন করে রাজাকার,আলবদর, আল শামস বাহিনী। তারা প্রতিদিন নির্বিচারে অসংখ্য নিরীহ মানুষ হত্যা করছে,আর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক’দের বাড়িঘর লুটপাট করতে থাকে। সাথে সাথে মহিলাদের ধর্ষণের মত ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডও চালাতে থাকে। অত্যাচারের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে এলাকার সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পাড়ি জমান পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। পিছনে ফেলে যান, যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসা চৌদ্দ পুরুষের বাড়িঘর। একদিকে পূর্বপুরুষদের সম্পত্তি রক্ষা করতে না পারা,অপর দিকে নিজের ধর্ম পালন করতে না পারার শত বেদনা নিয়েই তাদের এ সম্প্রদায়ের প্রস্থান! এর মধ্যে এলাকায় তরুণ যুবকদের সমন্বয়ে গঠিত হয় “মুক্তিবাহিনী”। যারা নিজের জীবনের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করার এক অগ্নিদীপ্ত শপথে ঝাপিয়ে পড়েন যুদ্ধে-দেশের্ জন্য, দেশের মানুষের জন্য। যেভাবেই হোক-অধিকার নিশ্চিত করা চাই ই চাই। মুক্তিবাহিনীদের জন্য তৈরী করা হল “মুক্তিক্যাম্প”। যেখানে মুক্তিবাহিনীতে যোগদানে ইচ্ছুক সকল মুক্তিযোদ্ধা সমবেত হবে। এবং নিজেদের কাজ বন্টন করে নেবে। সেই মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে রাশেদ এবং ইবু তাদের স্কুলে হানাদার বাহিনীর করা ক্যাম্পের গোপন ম্যাপ পৌছে দেয়। একই সাথে মার্ক করে দেই কোথায় হানাদার বাহিনীর অস্ত্রাগার রয়েছে,কোথায় তারা অবস্থান করে। পরবর্তীতে যখন তাদের স্কুলে গঠিত হানাদার বাহিনীদের ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধোদের অপারেশন করা হয়,রাশেদ,ইবু,ফজলু জামার নিচে বুলেটের লম্বা লম্বা চেইন নিয়ে তা পৌঁছে দেই নির্ধারিত স্থানে। উল্লেখ্যঃ সে সময়ে চেকিং খুব কড়া ভাবে দেওয়ার দরুন মুক্তি বাহিনী প্রয়োজনীয় অস্ত্র শস্ত্র অপারেশন স্থলে নিতে পারেন নি। কিন্তু এ কিশোরেরাই তা পৌঁছে দিয়েছে। একসময় রাশেদ একা হয়ে যায়। ইবু,ফজলু সহ আরো যারা যারা রাশেদের খুব কাছের বন্ধু ছিল-তারা সবাই বাবা মায়ের সাথে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। একসময় দেশের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। দেশে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলার পতাকা। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ায়র ঠিক আগ মুহূর্তেই আজরফ আলী রাজাকার তার দুই সহযোগীকে নিয়ে রাশেদকে নদীর পাড়ে গুলি করে হত্যা করে..আর এভাবেই জন্ম নেই পৃথিবীর বুকে লাল সবুজের দেশ—বাংলাদেশ!
Was this review helpful to you?
or
The story covers a boy's life named Ibu - the narrator's life in 1971 in Purbo Pakistan - the time of our liberation war. In seventh grade, a transfer student has arrived in their class with a soaked admission form. The boy does not have a name. He calls himself "Laddu" and claims his brother's name to be, "Chamcham", as they were named after sweets. The class teacher - Mojid Sir says the students to write their favorite name and bring it on the day afterwards. And after a lot of complications, The boy is named Rashed. Ibu and his group of friends are acquainted with Rashed, and soon they are best of friends. Ibu's story mainly revolves around Rashed - the boy who has always remained a mystery to everyone. Rashed is the main protagonist of this book. He has a weird life - he goes to... No, I'm not going to give you any spoilers. Not a chance. *sticks out tongue* This book can be categorized in various genres - friendship, humor, tiny-weeny bit romance between side characters, action, thriller, mystery, historical and many, many things that can't be stated in words. This book has made me cry, laugh like a lunatic and smile. This book has... made me speechless. It would never feel boring to you. N.E.V.E.R. I want to say only one thing. Rasheds never die, they don't. Because they, *points to your heart* live there; they're immortal.
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
Zafar Sir Amar khubi priyo 1jon lekhok..unar lekha boi Ami sotobela theke porei Boro hocci unar lekha "Gramer name Kakondubi",,"Ritin",, "Ami Topo"..Amar favourite...amar ekta sopno holo 2021 sale boimelay Ami jeno unar sathe dekha hoy abong unar sathe ekta sobi tulbo.. InsaAllah..
Was this review helpful to you?
or
porte porte birokti eshe geche..
Was this review helpful to you?
or
this book is amazing. one of the best book I have ever read. In this book there is a little boy called rashad. Rashad is very brave. He always dream that one day Bangladesh will get freedom. So he helps the freedom fighters silently. Later his friends also joint him. but in a point of time his friends left and he became alone........ this book is mainly written for the children and teenagers.
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ বইটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি অদম্য রচনা। গল্পে রাশেদ চরিত্রটি একইসাথে মজাদার এবং সাহসী। সে একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সে নানাভাবে মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করে। পাকিস্তানিরা তাদের বিদ্যালয়কে নিজেদের ঘাটি বানায়। রাশেদ তাদেরই বানানো বিদ্যালয়ের ম্যাপ মুক্তিবাহিনীকে হস্তান্তর করে। তারা পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়া শফিকভাইকে বুদ্ধি খাটিয়ে উদ্ধার করে এমনকি তার ফাসি পর্যন্ত আটকে দেয়। রাশেদ একাই তাদের এলাকায় যুদ্ধ চালায়। যুদ্ধের শেষদিকে তার বন্ধু ইবু এলাকা থেকে চলে যায়। এক পর্যায়ে রাশেদ রাজাকারের হাতে ধরা পড়ে এবং অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে মারা যায়। তার দেশপ্রেম সকলের জন্য আদর্শ।
Was this review helpful to you?
or
"আমার বন্ধু রাশেদ" মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা এক অমর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসাধারণ কিশোর উপন্যাস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একটি কিশোরের অংশগ্রহণ ও দেশের জন্য নিজের জীবন দানের এক অনবদ্য উপন্যাস । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাশেদের শহরে হানা দেয় পাকিস্তানি বাহিনী৷ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপারেশনে যোগ দেয় সে। কিন্তু গল্পের শেষে দেশের জন্য প্রাণ দেয় সে ।
Was this review helpful to you?
or
'আমার বন্ধু রাশেদ'- নিয়ে লেখকের কথা ?? আমার বন্ধু রাশেদ বইটি যখন লিখি, তখন আমি আমেরিকায়, দেশে আসব আসব করছি। দীর্ঘদিন থেকে সেই দেশে পড়ে আছি, প্রায় ১৮ বছর, কিন্তু লেখালেখি হয়েছে খুব কম। তার কারণও আছে। আমি এক রকম পাণ্ডুলিপি পাঠাই, অন্য রকম বই হিসেবে বের হয়ে আসে। একবার একটা বই ছাপা হয়ে এল, দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম! আমার লেখার পুরো স্টাইল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। পড়ে মনে হয় আমি লিখিনি, অন্য কেউ লিখেছে। দেশে প্রকাশককে ফোন করে কারণ জানতে চাইলাম। তিনি লেখালেখির সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমাকে জ্ঞান দিয়ে বিশাল একটা চিঠি লিখলেন। অনেক কষ্ট করে পরে আমি অন্য একজন প্রকাশক দিয়ে আমার স্বল্পজ্ঞানের বইটি আমার মতো করে লেখা হিসেবে বের করতে পেরেছিলাম। এর মধ্যে একদিন নিউইয়র্কে শহীদজননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে দেখা হলো। তিনি তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন করে আমাদের সবার প্রিয় একজন মানুষ। আমি একদিন খুব কুণ্ঠিতভাবে হুমায়ূন আহমেদের ভাই হিসেবে পরিচিত হতে গেলাম। দেখি, তিনি আমার যৎসামান্য লেখা দিয়েই আমাকে আলাদাভাবে চেনেন। শুধু তা-ই না, শহীদজননী আমার লেখালেখি নিয়ে খুব দয়ার্দ্র কিছু কথা বললেন। তখন হঠাৎ করে আমার আবার লেখালেখির জন্য একটা উৎসাহ হলো—এক ধাক্কায় দুই দুইটা বই লিখে ফেললাম। তার একটি হচ্ছে আমার বন্ধু রাশেদ। এটা মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটা কিশোর উপন্যাস। এটা লেখার সময় আমি চেষ্টা করেছি সেই সময়ের ধারাবাহিকতাটুকু রাখতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষ কিসের ভেতর দিয়ে গেছে, সেই ধারণাটাও একটু দিতে চেষ্টা করেছি। এমনিতে আমার কিশোর উপন্যাসের একটা ফর্মুলা আছে, সব সময়ই সেখানে একটা অ্যাডভেঞ্চার থাকে। আর তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমি আমার ছোট ছোট পাঠকের মনে কখনো কোনো কষ্ট দিই না। আমার বন্ধু রাশেদ লেখার সময় আমার মনে হলো, এই বইটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা, তাই যারা এটি পড়বে, তাদের মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের একটু সত্যিকারের অনুভূতি পাওয়া দরকার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অচিন্তনীয় বীরত্ব আছে, আকাশছোঁয়া বিজয় আছে, আর সবচেয়ে বেশি আছে স্বজন হারানোর বুকভাঙা কষ্ট। তাই এই বইটাতে আমি খানিকটা কষ্ট ঢুকিয়ে দিয়েছি। এমনভাবে লিখেছি যেন যারা পড়ে, তারা মনে একটু কষ্ট পায়। আমি যেটুকু কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম, মনে হয় তার থেকে বেশি দেওয়া হয়ে গেছে, সেটি আমি বুঝেছিলাম আমার ছোট মেয়েটির একটা প্রতিক্রিয়া দেখে। তখন আমি মাত্র দেশে ফিরে এসেছি। ছেলেমেয়ে দুজনেই ছোট তখনো। স্বচ্ছন্দে বাংলা পড়তে পারে না। আমাকে তাই মাঝে মাঝে আমার লেখা বই পড়ে শোনাতে হয়। একদিন আমি তাদের আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে শোনালাম। পুরোটা শুনে আমার সাত বছরের মেয়েটি কেমন যেন অন্য রকম হয়ে গেল। চুপচাপ বসে থেকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আমরা রাতে ঘুমিয়েছি, সে বিছানায় শুয়ে ঘুমহীন চোখে শুয়ে আছে। গভীর রাতে সে উত্তেজিত গলায় আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল। বলল, ‘আব্বু, তুমি একটা জিনিস জানো?’ আমি বললাম, ‘কী?’ সে আমাকে বলল, ‘বইয়ে লেখা আছে রাশেদকে গুলি করে মেরেছে। কিন্তু তার লাশ তো পাওয়া যায়নি!’ আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না সে কী বলতে চাইছে। কিন্তু তার কথায় সায় দিয়ে বললাম, ‘না, লাশ পাওয়া যায়নি।’ আমার সাত বছরের মেয়ের মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল। বলল, ‘তার মানে বুঝেছ? আসলে রাশেদের গুলি লাগেনি। সে মারা যায়নি। পানিতে পড়ে সাঁতার দিয়ে চলে গেছে।’ আমি অবাক হয়ে আমার ছোট মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বললাম, ‘হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছ। রাশেদের শরীরে গুলি লাগেনি—সে মারা যায়নি। সাঁতরে সে চলে গেছে, সে বেঁচে আছে।’ আমার মেয়ের বুকের ভার নেমে গেল। তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। গভীর একটা প্রশান্তি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেল। আমার ছোট মেয়েটির মতো আরও কত শিশুকে না জানি আমি কষ্ট দিয়েছি! সম্ভব হলে সবাইকে বলে আসতাম যে রাশেদ মারা যায়নি। রাশেদরা আসলে কখনো মারা যায় না।
Was this review helpful to you?
or
অসীম সাহসী কিশাের আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জেনেছি বই পড়ে! সবচেয়ে আলােড়িত করেছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের আমার বন্ধু রাশেদ। এই বইটি আমার খুব প্রিয়! দারুণভাবে মুক্তিযুদ্ধে কিশােরদের সাহসিকতাপূর্ণ অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেছেন লেখক। যতবার ওই সাহসী অভিযানগুলাের কথা পড়ছিলাম, প্রতিবার বিস্মিত হচ্ছিলাম আমি চোখের সামনে ভাসছিলাে। সবটা। ভাবছিলাম, আমি সেখানে থাকলে কী করতাম? আমি কি এত সাহসিকতা দেখাতে পারতাম? এত দুর্দান্ত অপারেশনগুলােতে অংশ নিতে পারতাম? শেষ দৃশ্যটার কথা চিন্তা করার সাহস আমি পাইনি! পাইনি, নাকি চাইনি, সেটাও একটা প্রশ্ন! উত্তরটা না হয় নাইবা জানা হােক...
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ জাফর ইকবাল স্যার এর অন্যতম একটি কিশোর উপন্যাস । যদিও আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখি নাই , তবুও জাফর ইকবাল স্যার এর সাবলীল ভাষায় লেখা এই উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের ছোট বড় সকলের ত্যাগের কথা জানতে পারি । এই বইএর মাধ্যমে রাশেদ নামের অসাধারণ সাহসী কিশোরের চেতনা আমাদের মধ্যে ধারন করে আমরাও প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে পারি । এই বই ও বইএর অবলম্বনে তৈরি চলচিত্র আমি যে কত বার দেখেছি তার কোন হিসেব নেই।
Was this review helpful to you?
or
"আমার বন্ধু রাশেদ " বইটি আমি ঠিক কতবার পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই।পড়তে পড়তে কখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে;কখন রাত পেরিয়ে ভোর হয়েছে বুঝতেই পারিনি।বইটি পড়তে পড়তে আমি নিজেকে কল্পনা করেছি ইবু হিসেবে। আমিই হয়ে উঠেছি বইটির একটি চরিত্র। আমাদের মতো কিশোরদের মনে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা জন্মায় বইটি পড়ে। একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়।সেই অনুভুতিটি সত্যিই অদ্ভুত।কখনো আনন্দ, কখনো হাসি ; কখনো বেদনা,কখনো কান্না।আবার কখনোবা গৌরব। কিন্তু সর্বপরি যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে "দেশের জন্য এক অদ্ভুত ভালোবাসা-ভালোলাগা"। জাফর ইকবাল স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি বই উপহার দেয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর অন্যতম সেরা বই এটি!এই বইটি আপনার প্রত্যকটি রক্ত কনিকায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করবে!বুঝিয়ে দেবে বন্ধুতের অর্থ!দেশের প্রতি এক দূরন্ত কিশোর রাশেদ এর মুক্তিযুদ্ব তুলে ধরা হয়েছে!নিজের এলাকাকে যুদ্ধ করে শত্রু মুক্ত এবং সেই শত্রুদের ক্যাম্প হতে নিজের দলপতিকে উদ্ভার এক অনন্য মুক্তিযুদ্ব প্রতিক!কাকলী প্রকাশনীর এই বই এর পিছনে ১৫৪টাকা খরচ করলে আপনার কিংবা আপনার সন্তানের কোন ক্ষতি হবে না গ্যারান্টি দিতে পারি!
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ। একটি বইয়ের নাম অথচ নামের মধ্যেই কত ভালবাসা জড়িয়ে আছে। বইটা হাতে নিলে ওর ওজন হয়তো খুবএকটা মনে হবেনা কিন্ত পাতার পর পাতা উল্টে পড়তে শুরু করলে দেখা যাবে এটা বই নয় যেন বন্ধু আর দেশের ভালবাসার ইতিকথা। অন্তরের সাথে মিশে যাবে এর প্রতিটি পাতা প্রতিটি শব্দ। রাশেদের মত কত কত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তার হিসাব আমাদের হাতে নেই। কিন্ত জাফর ইকবাল স্যার দেখিয়েছেন রাশেদরা ছিল এবং তারা তাদের অবদান রেখে গেছে। নির্ভীক রাশেদ নদীর ধারে গিয়ে একা একা দেখে এসেছে পাকিস্তানিরা খান সাহেবকে মেরে ফেলেছে। ইবুকে নিয়ে আজরফ আলীকে ভয় দেখিয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকারদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। আমার বন্ধু রাশেদ বইটা না পড়লে বই পড়ার স্বার্থকতা থাকবেনা। এটি এমন একটি বই যা একই সাথে গল্প এবং সত্যিকারের ইতিহাসের অংশ। বইটি প্রতিটি পাঠক মনে অনাবিল আনন্দ। মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের অবদান কেমন ছিল এবং আমাদের কিশোরেরা দেশের জন্য কি কি করতে পারে তা জানতে হলে এই বইটি পড়তে হবে। এটা নিশ্চিত করে বলা যায় জাফর ইকবাল স্যার যতগুলো বই লিখেছেন তার মধ্যে সেরা পাচটির নাম বলতে হলে এটা থাকবে। জাফর ইকবাল স্যারের মেয়ে ইয়েশিম ইকবাল আমার বন্ধু রাশেদ বইটির ইংরেজী অনুবাদ করেছেন। আশা করি সবাই এই অসাধারণ বইটির স্বাদ গ্রহন করতে ভুলবেনা।
Was this review helpful to you?
or
কি বলবো ভাষা নেই বলার। বইটা বেশি সুন্দর সিনেমার চেয়ে
Was this review helpful to you?
or
আসলে বইটা খুবই মনে ধরার মত। কেউ এ বইয়ের অবলম্বনে বানানো সিনেমা দেখে বইটিকে জাজ করতে পারবেন না। কারন সিনেমাটা খুবই সাদামাটা করে বানানো হয়েছে, অথচ বইটি এতই ভালো যে একবার পড়লে হবে না, বার বার পড়তে মন চাইবে।
Was this review helpful to you?
or
This book is one of the best bangal book that I have ever read.
Was this review helpful to you?
or
আমি সবসময় কোনো না কোনো বই পড়তে ভালোবাসি। আমার বন্ধু রাশেদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি দুর্ধর্ষ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস। এখানে রাশেদের মশাল মিছিলে যোগদান,রাজনীতির খবর এনে দেয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা এবং শফিক ভাইকে উদ্ধার এই উপন্যাসটিতে অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। আমি মনে করি সবার এই বইটি পড়া উচিত। এই বইটি আমার সারা জীবন আমার প্রিয় বই হিসেবে থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
It is a good books for understanding freedom fight and others.(children under-18
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এতো চমৎকার গল্প আমি আগে কখনো পড়িনি।গল্পটির শুরু কিছুটা হাস্যরসাত্মক।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে রাশেদের আগের নাম হচ্ছে লাড্ডু।এ বিষয়টি হচ্ছে গল্পের প্রথম মজার বিষয়।তারপর ধীরেধীরে উল্লেখ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ঘটনা।কিশোররাও যে এভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারে তা কল্পনাতীত।এ গল্পে রয়েছে অসাধারণ বন্ধুত্নের নিদর্শন।তবে আমি যতটুকু বলেছি তা মোটেও যথেষ্ট নয়।উপন্যাস টি সম্পূর্ণ পড়লেই বোঝা যাবে এটা যে কতটা মজার!
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পে এক কিশোরের মনও কীভাবে আন্দোলিত হয়েছে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করার ডাক সেই চিত্র-ই ফুটে উঠেছে ।চরিত্র গুলো হচ্ছে কয়েকজন স্কুল ছাত্র।মূল চরিত্র রাশেদ- আসলে তার নাম রাশেদ নয়, তার শিক্ষক ও তার কয়েকজন সহপাঠী মিলে তার নাম দিয়েছে রাশেদ।রাশেদ একাত্তরের দিনগুলোর সম্পর্কে ছোট ছোট ছেলেদেরকে বুঝিয়ে দেয়।একসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাদের এই ছোট্ট শহরটিতে প্রবেশ করে।রাশেদ ও তার কয়েকজন বন্ধু সাধীনতাসংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। যুদ্ধে তাদের পরিচিত একজন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি হয়ে যায়।একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা তাকে মৃত্যুর হাত থেকে মুক্ত করে নিয় আসে।কিন্তু যোদ্ধের প্রতিকূলতায় রাশেদ ও তার বন্ধদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়।রাশেদ যোদ্ধে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে।যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন রাশেদ ও তার বন্ধুরা আবার ছোট্ট শহরটিতে একত্রে হয় এবং তারা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের ছেলেটি আর নেই।কিন্তু রাশেদের স্মৃতি তার বন্ধুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকে চিরদিন।
Was this review helpful to you?
or
যারা পড়ে নাই এখনো, তাদের বইটি এখনেই পড়ে ফেলা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
যে বইটি পড়ে আমার জীবনে বই পড়া শুরু,যে বইটি পড়ে বইকে ভালবাসতে শিখেছি , বই পড়াকে ভালবাসতে শিখেছি সেই বইটির নাম "আমার বন্ধু রাশেদ" । জাফর ইকবাল স্যারের লেখা এক অমর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসাধারণ কিশোর উপন্যাস । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহু সংখ্যক গ্রন্থ বহুবার রচিত হয়েছে । কিন্তু যুদ্ধে শিশু - কিশোরদের নির্ভয় অংশগ্রহণের ব্যাপারটি খুব কম গ্রন্থেই লেখা আছে । মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণ এবং তাদের অবদান স্বতন্ত্র উপন্যাস দিয়ে সবার সামনে ছবির মত তুলে ধরেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার । রাশেদ ১৯৭১সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের এক দুরন্ত - নির্ভীক কিশোর চরিত্র । তার বাবা কিছুটা পাগল গোছের মানুষ । তাই ছেলের পড়াশুনার কোন খবর রাখেন না , এমনকি ছেলের ভাল একটা নাম ও রাখেননি । বরং ছেলের সাথে রাজনীতির গল্প করেন । ভাল কোন নাম না থাকায় ক্লাসের শিক্ষক আর তার বন্ধুরা মিলে তার সুন্দর একটা নাম দিয়ে দেন । রাশেদ হাসান । তখন থেকে বন্ধুরা ওকে ডাকে রাশেদ । যে বয়সে সবাই বাবা মায়ের সাথে ঘরে বসে দিন কাটায় সে বয়সে রাশেদ রাত- বিরাতে মিছিলে ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় , সে বয়সে রাশেদ মুক্তিবাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে , জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিবাহিনী কে সহযোগীতা করে । রাশেদ কে দেখে উজ্জীবিত হয় তার বন্ধুরাও । তারাও এগিয়ে আসে । গল্পের দুটি প্রাণবন্ত চরিত্র অরু আপা আর শফিক ভাই । শফিক ভাই রাশেদ আর তার বন্ধু ইবু সহ অন্য সবার প্রেরণা । শফিক ভাই অপারেশনে গিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরা পড়লে রাশেদের নেতৃত্বে তার বন্ধুরা দুঃসাহসিক এক অভিযানের মাধ্যমে মুক্ত করে তাকে । রাশেদের এমন বেশ কিছু দুঃসাহসের কিছু জীবন্ত চিত্র যেন পাওয়া যায় উপন্যাসটির পাতায় পাতায় । অবশেষে রাজাকার আজরফ আলীর হাতে শহীদ হয় নির্ভীক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ হাসান । তবুও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও সে একটিবার পশ্চিম পাকিস্তানের আনুগত্য স্বীকার করে নেয় নি । বীরের মত জীবন দিয়েছে তবু মাথা নত করেনি । এমনি এক নির্ভীক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়বিদারক প্রায় জীবন্ত এক উপাখ্যান "আমার বন্ধু রাশেদ" ।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বই।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত সেরা বইগুলোর তালিকার উপরে নিসন্দেহে এই বই থাকবে।যারা এই বই এখনও পড়েন নাই তারা বইটি অবশ্যই পরবেন।এই বই আমাকে অনেকবার কাদিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা ছোটদের গল্পের মধ্যে অন্যতম । মূলত ছোটদের জন্য লেখা হলেও গল্পটি বড়দেরও মন ছুয়ে গেছে । গল্পটি মমুক্তিযুদ্ধভিত্তিক । ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের কিশোররা মুক্তিযুদ্ধে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে । আমি এই গল্পটি যতই পড়ছিলাম ততই এই দেশের জন্য গর্বিত বোধ করছিলাম । গল্পটি পড়তে পড়তে শেষ পর্যায়ে আমি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারি নাই। আমারও রাশেদের মতো বুকের ভিতর ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল । আশেপাশে সব ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল । গল্পটি পড়া শেষে আমি রাশেদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম । প্লীজ রাশেদ , তুমি আমাদের উপর , এই পৃথিবীর উপর অভিমান করো না । আমরা সবাই তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ।
Was this review helpful to you?
or
আমি সব ধরনের বই পড়তেই ভালবাসি। এই বইটা পড়েছি প্রায় বেশ কয়েক মাস আগে। খুবই সহজ ভাষায় মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কাহিনী সাহসী এক কিশোরের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। তবে যে কেউরই ছবি দেখার চেয়ে বইটা পড়লেই বেশি ভাল লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ,পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না থাকলে ও মানসিক সম্পর্ক গড়ে উঠল। রাশেদ নামে ছেলেটির চরিত্র আমার মনে দাগ কাটল। লেখক এত সুন্দর করে শিশু-কিশোরদের দেশপ্রেম ফুটিয়ে তুললেন যা আমাকে অভিভুত করে।
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ আমার প্রিয় বইগুলোর একটি এবং এই বইটি আমি কতবার পড়েছি তা আমি নিজেও জানি না।
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু রাশেদ বইটি যখন লিখি, তখন আমি আমেরিকায়, দেশে আসব আসব করছি। দীর্ঘদিন থেকে সেই দেশে পড়ে আছি, প্রায় ১৮ বছর, কিন্তু লেখালেখি হয়েছে খুব কম। তার কারণও আছে। আমি এক রকম পাণ্ডুলিপি পাঠাই, অন্য রকম বই হিসেবে বের হয়ে আসে। একবার একটা বই ছাপা হয়ে এল, দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম! আমার লেখার পুরো স্টাইল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। পড়ে মনে হয় আমি লিখিনি, অন্য কেউ লিখেছে। দেশে প্রকাশককে ফোন করে কারণ জানতে চাইলাম। তিনি লেখালেখির সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমাকে জ্ঞান দিয়ে বিশাল একটা চিঠি লিখলেন। অনেক কষ্ট করে পরে আমি অন্য একজন প্রকাশক দিয়ে আমার স্বল্পজ্ঞানের বইটি আমার মতো করে লেখা হিসেবে বের করতে পেরেছিলাম। এর মধ্যে একদিন নিউইয়র্কে শহীদজননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে দেখা হলো। তিনি তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন করে আমাদের সবার প্রিয় একজন মানুষ। আমি একদিন খুব কুণ্ঠিতভাবে হুমায়ূন আহমেদের ভাই হিসেবে পরিচিত হতে গেলাম। দেখি, তিনি আমার যৎসামান্য লেখা দিয়েই আমাকে আলাদাভাবে চেনেন। শুধু তা-ই না, শহীদজননী আমার লেখালেখি নিয়ে খুব দয়ার্দ্র কিছু কথা বললেন। তখন হঠাৎ করে আমার আবার লেখালেখির জন্য একটা উৎসাহ হলো—এক ধাক্কায় দুই দুইটা বই লিখে ফেললাম। তার একটি হচ্ছে আমার বন্ধু রাশেদ। এটা মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটা কিশোর উপন্যাস। এটা লেখার সময় আমি চেষ্টা করেছি সেই সময়ের ধারাবাহিকতাটুকু রাখতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষ কিসের ভেতর দিয়ে গেছে, সেই ধারণাটাও একটু দিতে চেষ্টা করেছি। এমনিতে আমার কিশোর উপন্যাসের একটা ফর্মুলা আছে, সব সময়ই সেখানে একটা অ্যাডভেঞ্চার থাকে। আর তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমি আমার ছোট ছোট পাঠকের মনে কখনো কোনো কষ্ট দিই না। আমার বন্ধু রাশেদ লেখার সময় আমার মনে হলো, এই বইটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা, তাই যারা এটি পড়বে, তাদের মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের একটু সত্যিকারের অনুভূতি পাওয়া দরকার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অচিন্তনীয় বীরত্ব আছে, আকাশছোঁয়া বিজয় আছে, আর সবচেয়ে বেশি আছে স্বজন হারানোর বুকভাঙা কষ্ট। তাই এই বইটাতে আমি খানিকটা কষ্ট ঢুকিয়ে দিয়েছি। এমনভাবে লিখেছি যেন যারা পড়ে, তারা মনে একটু কষ্ট পায়। আমি যেটুকু কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম, মনে হয় তার থেকে বেশি দেওয়া হয়ে গেছে, সেটি আমি বুঝেছিলাম আমার ছোট মেয়েটির একটা প্রতিক্রিয়া দেখে। তখন আমি মাত্র দেশে ফিরে এসেছি। ছেলেমেয়ে দুজনেই ছোট তখনো। স্বচ্ছন্দে বাংলা পড়তে পারে না। আমাকে তাই মাঝে মাঝে আমার লেখা বই পড়ে শোনাতে হয়। একদিন আমি তাদের আমার বন্ধু রাশেদ পড়ে শোনালাম। পুরোটা শুনে আমার সাত বছরের মেয়েটি কেমন যেন অন্য রকম হয়ে গেল। চুপচাপ বসে থেকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আমরা রাতে ঘুমিয়েছি, সে বিছানায় শুয়ে ঘুমহীন চোখে শুয়ে আছে। গভীর রাতে সে উত্তেজিত গলায় আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল। বলল, ‘আব্বু, তুমি একটা জিনিস জানো?’ আমি বললাম, ‘কী?’ সে আমাকে বলল, ‘বইয়ে লেখা আছে রাশেদকে গুলি করে মেরেছে। কিন্তু তার লাশ তো পাওয়া যায়নি!’ আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না সে কী বলতে চাইছে। কিন্তু তার কথায় সায় দিয়ে বললাম, ‘না, লাশ পাওয়া যায়নি।’ আমার সাত বছরের মেয়ের মুখ আনন্দে ঝলমল করে উঠল। বলল, ‘তার মানে বুঝেছ? আসলে রাশেদের গুলি লাগেনি। সে মারা যায়নি। পানিতে পড়ে সাঁতার দিয়ে চলে গেছে।’ আমি অবাক হয়ে আমার ছোট মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বললাম, ‘হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছ। রাশেদের শরীরে গুলি লাগেনি—সে মারা যায়নি। সাঁতরে সে চলে গেছে, সে বেঁচে আছে।’ আমার মেয়ের বুকের ভার নেমে গেল। তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। গভীর একটা প্রশান্তি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেল। আমার ছোট মেয়েটির মতো আরও কত শিশুকে না জানি আমি কষ্ট দিয়েছি! সম্ভব হলে সবাইকে বলে আসতাম যে রাশেদ মারা যায়নি। রাশেদরা আসলে কখনো মারা যায় না।
Was this review helpful to you?
or
কিছুদিন আগে এই বইটিকে কেন্দ্র করে একটি ছবি বানানো হয়েছে। বইটি আমার মতে জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা শ্রেষ্ঠ বই। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশেদ এবং তার অন্যান্য বন্ধুদের সাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ এই বইটি। দেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য তারাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। লুকিয়ে লুকিয়ে মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে, পাকিস্তানি ঘাঁটিকে উচ্ছেদ করার জন্য ম্যাপ একে দেয়। বয়সে ছোট হবার কারনে হানাদার বাহিনী তাদেরকে সন্দেহ করে না। কিন্তু একসময় তা প্রকাশ পেয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ প্রচণ্ড আকার ধারন করলে সবাই পালিয়ে যায়। কিন্তু রাশেদ থেকে যায়। এক সময় রাজাকারদের হাতে সে মারা যায়। বইটি যতবারই আমি পড়েছি, ততবার আমি কেঁদেছি। জাফর ইকবাল স্যার এর কাছে প্রশ্ন- রাশেদকে বাঁচিয়ে রাখলে আপনার কি ক্ষতি হত? কেন মেরে ফেললেন ওকে?
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের লেখা এক অমর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসাধারণ কিশোর উপন্যাস । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহু সংখ্যক গ্রন্থ বহুবার রচিত হয়েছে । কিন্তু যুদ্ধে শিশু - কিশোরদের নির্ভয় অংশগ্রহণের ব্যাপারটি খুব কম গ্রন্থেই লেখা আছে । মুক্তিযুদ্ধে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণ এবং তাদের অবদান স্বতন্ত্র উপন্যাস দিয়ে সবার সামনে ছবির মত তুলে ধরেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার । ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের কিশোররা মুক্তিযুদ্ধে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে । দেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য তারাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। লুকিয়ে লুকিয়ে মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে, পাকিস্তানি ঘাঁটিকে উচ্ছেদ করার জন্য ম্যাপ একে দেয়। বয়সে ছোট হবার কারনে হানাদার বাহিনী তাদেরকে সন্দেহ করে না। কিন্তু একসময় তা প্রকাশ পেয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ প্রচণ্ড আকার ধারন করলে সবাই পালিয়ে যায়। কিন্তু রাশেদ থেকে যায়। এক সময় রাজাকারদের হাতে সে মারা যায়। রাশেদ ১৯৭১সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের এক দুরন্ত - নির্ভীক কিশোর চরিত্র । তার বাবা কিছুটা পাগল গোছের মানুষ । তাই ছেলের পড়াশুনার কোন খবর রাখেন না , এমনকি ছেলের ভাল একটা নাম ও রাখেননি । বরং ছেলের সাথে রাজনীতির গল্প করেন । ভাল কোন নাম না থাকায় ক্লাসের শিক্ষক আর তার বন্ধুরা মিলে তার সুন্দর একটা নাম দিয়ে দেন । রাশেদ হাসান । তখন থেকে বন্ধুরা ওকে ডাকে রাশেদ । যে বয়সে সবাই বাবা মায়ের সাথে ঘরে বসে দিন কাটায় সে বয়সে রাশেদ রাত- বিরাতে মিছিলে ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় , সে বয়সে রাশেদ মুক্তিবাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে , জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিবাহিনী কে সহযোগীতা করে । রাশেদ কে দেখে উজ্জীবিত হয় তার বন্ধুরাও । তারাও এগিয়ে আসে । গল্পের দুটি প্রাণবন্ত চরিত্র অরু আপা আর শফিক ভাই । শফিক ভাই রাশেদ আর তার বন্ধু ইবু সহ অন্য সবার প্রেরণা । শফিক ভাই অপারেশনে গিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরা পড়লে রাশেদের নেতৃত্বে তার বন্ধুরা দুঃসাহসিক এক অভিযানের মাধ্যমে মুক্ত করে তাকে । রাশেদের এমন বেশ কিছু দুঃসাহসের কিছু জীবন্ত চিত্র যেন পাওয়া যায় উপন্যাসটির পাতায় পাতায় । অবশেষে রাজাকার আজরফ আলীর হাতে শহীদ হয় নির্ভীক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ হাসান । তবুও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও সে একটিবার পশ্চিম পাকিস্তানের আনুগত্য স্বীকার করে নেয় নি । বীরের মত জীবন দিয়েছে তবু মাথা নত করেনি । এমনি এক নির্ভীক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়বিদারক প্রায় জীবন্ত এক উপাখ্যান "আমার বন্ধু রাশেদ" । রাশেদের মত কত কত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তার হিসাব আমাদের হাতে নেই। কিন্ত জাফর ইকবাল স্যার দেখিয়েছেন রাশেদরা ছিল এবং তারা তাদের অবদান রেখে গেছে।