User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন আলোচনা।
Was this review helpful to you?
or
must need
Was this review helpful to you?
or
খুব ভাল একটা বই ইসলামএর বিদআত বিষয়সমূহ যানার জন্য
Was this review helpful to you?
or
অত্র গ্রন্থের মূল বক্তব্য হচ্ছে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে আদর্শ দুনিয়ার মানুষের সামনে উপস্থাপিত করেছেন, এক কথায় তা-ই হচ্ছে সুন্নাত এবং তার বিপরীত যা কিছু তা বিদআতের পর্যায়ে গণ্য। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পুনঃপুন সাবধান বাণী উপেক্ষা করে বেশ কিছু নতুন বিষয় আমাদের ধর্ম পালনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে, যেগুলো আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর সময়ে ছিল অনুপস্থিত। যেমন- মৃত ‘বুযুর্গ’ লোকদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা, আল্লাহ্র আইনের পরিবর্তে অন্য আইন মানা, ইসলামী রাজনীতি না করা, আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের অসীলা হিসেবে পীর ধরা, পীর-মুরীদী সম্পর্ক, শরীয়ত ও মারিফত বা তরীকতকে ভিন্ন ভাবা, তাসাউফ (আধ্যাত্ববাদ), গদীনশীন হওয়ার প্রথা, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নামে মানত করা, অলৌকিক ক্রিয়াকান্ড ঘটানোর উপর অন্ধবিশ্বাস,স্বপ্নের ওপর নির্ভরতা, স্বপ্নের দ্বারা পরিচালিত হওয়া, স্বপ্নের ভিত্তিতে কোন কাজ করা বা না করা, কবরস্থান সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করা, কবর যিয়ারতের সঠিক নিয়ম না মানা, মসজিদে হারাম (কা’বা ঘর), মসজিদে নববী ও মসজিদে আকসা- এই তিনটি জায়গা ছাড়া অন্য কোনো স্থানের বা দূরে অবস্থিত কোন কবর যিয়ারত করতে বিদেশ যাত্রা করা, তাবিজ-কবজ বাঁধা, মিলাদ অনুষ্ঠান, কদমবুচি করা, সমাজে নারীদের প্রাধান্য, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন প্রভৃতি বিষয়ে আমাদের দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে। সুন্নাত ও বিদআতের মৌলিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ জেনে আমাদের জীবন ও সমাজের কোথায় কোথায় আমরা প্রকৃত সুন্নাত থেকে বিচ্যুত হয়েছি এবং সেই সুযোগে বিদআতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তা আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। আমাদের ধর্ম পালনে কিভাবে বিদআতের অনুপ্রবেশ ঘটে সে সম্পর্কেও অত্র গ্রন্থে আলোকপাত করা হয়েছে। সাধারণত যেভাবে সমাজে বিদআত ছড়িয়ে থাকে তা হচ্ছে- প্রথমত, বিদয়াতী তা নিজের থেকে উদ্ভাবিত করে সমাজে চালিয়ে দেয়। পরে তা সাধারণভাবে সমাজে প্রচলিত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, কোনো আলিম ব্যক্তি হয়ত শরীয়তের বিরোধী জেনেও একটা কাজ করেছেন, কিন্তু জাহিল লোকেরা মনে করতে শুরু করে যে, এ কাজ শরীয়তসম্মত না হয়ে যায় না। এভাবে এক ব্যক্তির কারণে গোটা সমাজেই বিদয়াতের প্রচলন হয়ে পড়ে। তৃতীয়ত, জাহিল লোকেরা শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজ করতে শুরু করে। তখন সমাজের আলিমগণ সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব হয়ে থাকেন, তার প্রতিবাদও করেন না, সে কাজ করতে নিষেধও করেন না- বলেন না যে এ কাজ শরীয়ত বিরোধী, তোমরা এ কাজ কিছুতেই করতে পারবে না। এরূপ অবস্থায় আলিমদের দায়িত্ব, সুযোগ ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিদআত বা শরীয়ত বিরোধী কাজের প্রতিবাদ কিংবা বিরুদ্ধতা না করার ফলে সাধারণ লোকদের মনে ধারণা জন্মে যে, এ কাজ নিশ্চয়ই নাজায়েয হবে না, বিদআত হবে না। হলে কি আর আলেম সাহেবরা তার প্রতিবাদ করতেন না। অথবা অমুক সভায় এ কাজটি হয়েছে, এ কথাটি বলা হয়েছে, সেখানে অমুক বড় আলেম উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা যখন এর প্রতিবাদ করেননি তখন বুঝতেই হবে যে, এ কাজ বা কথা শরীয়তসম্মত হবেই, নাহলে তো তাঁরা প্রতিবাদ করতেনই। এভাবে সমাজে সম্পূর্ণ বিদআত বা নাজায়েয কাজ শরীয়তসম্মত কাজরূপে পরিচিত ও প্রচলিত হয়ে পড়ে। এরূপ বিভিন্নভাবে দ্বীনে বিদআতের প্রচলন অস্বাভাবিক বা অভিনব কিছু নয়। সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া এবং ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন ও চর্চা করার মাধ্যমে বিদআতসমূহ চিহ্নিত করে তা বর্জন করা, যে দ্বীনকে আল্লাহ্ তা’আলা পরিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছেন তাতে নতুন কিছুর অনুপ্রবেশ রোধ করা।