User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমি পরতে গিয়ে কেন্দে ফেলেছি। ??????
Was this review helpful to you?
or
Really good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
One of the best book I've read ?♥️
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা আমি গিফট পেয়েছিলাম, এই বইটার গল্প টা মারাত্মক সুন্দর ?
Was this review helpful to you?
or
eto sundor je kichu bolar nai.....
Was this review helpful to you?
or
This is one of the best teenage novels I have ever read!!
Was this review helpful to you?
or
Best book I have ever read.
Was this review helpful to you?
or
Amazing Book. You can start your book reading journey with this book.
Was this review helpful to you?
or
It's really a heart touching book.
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
this book is a masterpiece
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম: আমি তপু লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল শ্রেণী: কিশোর উপন্যাস প্রকাশক: পার্ল পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১০ মূল্য: ১১০ টাকা রেটিং: ৯/১০ কোন কিছু বোঝার আগে তপুর জীবনটা হঠাৎ করে পাল্টে গেলো চিরদিনের মতো। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে থাকে। এক সময় তপু আবিষ্কার করে সে একা। একেবারেই একা। আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে আমাদের মা, বাবা।বাবা চলে যাওয়ার পর মা ছাড়া কেউ আপন হয় না। কিন্তু সে মা যখন আপনার সাথে খারাপ আচরণ করেন, আপনাকে ঘৃণা করেন তখন একটা মানুষ সুইসাইড অথবা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়। কাহিনি সংক্ষেপ: তপুর পরিবারে আছে বাবা, মা, দুই ভাই ও এক বোন। তপু ছিলো সবার ছোট ও আদরের। বাড়িতে, ক্লাসে ছিলো তার দুরন্তপনা। একদিন রাতে বাবার কাছে আবদার করলো তাকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট কিনে দিতে হবে। সেই রাতেই তার শখ পূরণ করতে যেয়ে তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।তপুর বাবার হঠাৎ মৃত্যু তার মা মেনে নিতে পারেননি। যার জন্য তপুর মা তপুর সাথে অসহনীয় মন্দ আচরণ শুরু করেন। সবাই তপুর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।এক সময়ের ভালো ছাএ এখন ক্লাসে বসে লাস্টের বেঞ্চে। কেউ তার সাথে কথা বলে না। তার এই একা সময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় প্রিয়াংকা নামের এক মেয়ে। প্রিয়াংকা এই উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিএ। উপন্যাসের এক জায়গায় প্রিয়াংকা তপুকে বলেছিলো, 'আমি তোর আম্মু হব, তোর ভাই হব, তোর বোন হব, তোর বন্ধুবান্ধব হব দেখিস তুই খোদার কসম।' মুলত হয়েছিলো এমনই। তপু বাড়ি থেকে চলে গেলে প্রিয়াংকা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে।আসার পর প্রিয়াংকা তপুকে একটি অংকের বই উপহার দেয়। এর পর থেকে তপু অংকের প্রতি বেশ মনোযোগী হয়। স্কুলে একদিন গণিত অলিম্পিয়াড এ অংশগ্রহণে নামের তালিকা চাওয়া হলে প্রিয়াংকা তপুর নাম দেয়।তারপর চলে এলো প্রতিযোগিতার দিন। তপু পরীক্ষা দিলো। প্রিয়াংকা উৎসাহিত হয়ে তপুকে জিজ্ঞেস করলো সে কয়টা অংক দিয়েছে। তপু বলেছিলো একটি। এইটা শুনে প্রিয়াংকা বেশ আশাহত হয়েছিলো। সব বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শেষ। বাকি আছে এখন সেরাদের সেরা। হঠাৎ করেই শোনা গেলো তপুর নামটা।প্রিয়াংকা ছিলো আনন্দে আত্নহারা। মুলত প্রিয়াংকাই তপুকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এনেছিলো। তপু যে অংকটা করেছিলো সে একটা অংকেই ছিলো ১০ নাম্বার। বাকি গুলা ছিলো ১ নাম্বার করে। যা তপু করেছিলো মাএ এক ঘন্টায়। তপুকে নিয়ে বেশ আলোচনা ছিলো তখন। এতো কিছু হয়ে গেলেও তপুর বাসায় জানতো না কিছু। কারণ তার মুখটাও তখন কেউ দেখতো না। হঠাৎ করে তপুর বাসায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এলেন। সাথে এসেছিলো অনেক সাংবাদিক। তপুর মা বেশ অবাক হলেন।তিনি তখন ও জানতেন না কিছু। শিক্ষিকা বললেন, 'টিভি টা ছাড়ুন।' তারপর তপুর মা দেখলো কত কত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে তপু।অবাক হয়েছিলেন খুব। এক সময় সব কিছু ভুলে মা ছেলে এক হয়। তাদের আবেগী কথা বাধ্য করবে আপনার চোখে জল আনতে। এখানে সবচেয়ে কষ্টের সময় ছিলো তখন, যখন তপু তার মাকে জড়িয়ে ধরে এবং সে সময় তপুর মা মারা যায়। তপুর চোখে ছিলো পানি, কিন্তু ঠোঁটের কোনায় ছিলো হাসি।হাসির কারণ ছিলো সে তার মাকে জড়িয়ে ধরতে পেরেছে। বইটি পুরো পড়ার অনুরোধ রইলো পাঠকদের প্রতি। কি অদ্ভুত অনুভূতি। পাঠ প্রতিক্রিয়া: মানুষ যেমন ই হোক সে যদি পরিবার থেকে ভালো কিছু না পায় তার প্রভাব পরে তার জীবনে। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তপুর প্রতি আমার আলাদা ভালোলাগা কাজ করছিলো। ছোট বেলার পাওয়া না পাওয়ার অনুভূতি দারুণ ভাবে এই বইটিতে আছে, যা পাঠকের মন ছুয়ে যেতে বাধ্য। উপন্যাসের ভালো লাগা কিছু লাইন: ★বড় কিছু করতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। ★কোনটা ভালো? শরীর অবশ হয়ে যাওয়া নাকি মন অবশ হওয়া! ★খ্যাতিটা গুরুত্বপূর্ণ না। যে গুনের জন্য খ্যাতি এসেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ★কখনো হাল ছেড়ে দিবি না।সব সময় বুকের মাঝে আশা ধরে রাখবি। ★একজন বিখ্যাত মানুষ হয়ে বিশেষ লাভ নাই, কিন্তু একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে অনেক লাভ আছে। ব্যাক্তিগত মতামত অনুযায়ী, প্রত্যেকের এই বইটি পড়া উচিত। একজন কিশোর কিভাবে সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজের সাফল্যের কাছে পৌছাতে পারে এটি জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই বইটি পড়তে হবে। রিভিউ লিখনে : শিখন ইসলাম দোলা
Was this review helpful to you?
or
best fiction ever...✨
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা "আমি তপু" বইটিকে বলা যায় কিশোরদের জন্য সময়োপযোগী একটি গ্রন্থ।
Was this review helpful to you?
or
এইসব বই কোনোদিনও পুরাতন হবে না।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
কাহিনীর শেষ পর্যায়ে তপুর ঠোঁটের কোণায় একটু হাসি দেখা গেলেও আমি কিন্তু চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি...
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে শেষ করার পর ,আমি কেঁদেছি,অনেক কেঁদেছি।পড়ার মাঝখানে লেখক যতটুকু আনন্দ দিয়েছেন,তা আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ট সুখ ছিল।কিছুই বলার নেই,আপনি বইটি পড়ুন।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় এইটা একটা অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
ai uponash ti ek kothay osadharon concept niye toiri kora ar khub e emotional
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগলো বইটি পড়ে৷
Was this review helpful to you?
or
Very good
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
এটিই বোধহয় একমাত্র বই যেটা যতবারই পড়ি কাঁদায়... অনেক পছন্দের একটা বই ??
Was this review helpful to you?
or
one of my fave book.
Was this review helpful to you?
or
Amar pora shera boi aiti. Echara topu choritroya jeno shokoler mon choie geche. Ma o bhai boner ador theke bonchito hoa topu kibhabe nijer jibonke agie nieche ta nie golpota. Tachara ' Jafor Iqbal' air er golpo manei notone kicho. Tai onorodh roilo ei bedona, anonodo nea lekha boiti ekbar holeo porar jonne
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা বই ।।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ভাল একটা বই
Was this review helpful to you?
or
eta amr pora best boi er ekta. onk bhalo lagse boi ta pore. ?❤️
Was this review helpful to you?
or
Emotional
Was this review helpful to you?
or
খুবই চমৎকার একটি শিশু কিশোরদের উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ দুটি বই
Was this review helpful to you?
or
outstanding
Was this review helpful to you?
or
কিশোর বয়সে 'আমি তপু' বইটা পড়া মিস করা মানে অনেক কিছুই মিস! যারা এখনোও পড় নি,জলদি পড়ে ফেলো! আর কিছুই বলবো না!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
বই ঠিকাছে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি একজনের কাছ থেকে ধারে নিয়েছিলাম। এতো ভালো লেগেছিল যে অর্ধেক পড়া হতে আমি বইটি ফেরত দিয়ে বইটি দোকান থেকে কিনে নিয়েছিলাম। এমন একটি বই সংগ্রহে না থাকলে আমার চলবে না।
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ, রকমারি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে বইটি সুন্দরভাবে, পরিপাটি ও যত্ন করে পৌঁছে দেয়ার জন্য। রকমারি এভাবেই ক্রেতাদের আমানত রক্ষা করে, সেবা দিয়ে যাবে এই আশাই করি।।।
Was this review helpful to you?
or
khub khub khub shundor akta boi...............................................
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু’ শীর্ষক কিশোর উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০০৫ অমর একুশে বইমেলায়, পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে। এটি মূলত এক সঙ্গীহীন কিশোরের দুঃসহ জীবনের গল্প, অন্ধকার জীবন থেকে এক কিশোরের স্বপ্নের গল্প। উপন্যাসটি লেখকের পাঠকনন্দিত কিশোর উপন্যাসগুলোর একটি। উপন্যাসের মূল চরিত্র আরিফুল ইসলাম তপু। সে-ই এই উপন্যাসের কথক চরিত্র। ডাকনামের মতো তার জীবনটাও খুব বেশি বড় নয়, সবেমাত্র ক্লাস এইটে পড়ে। কিন্তু এই ছোট্ট জীবনেই সে সাক্ষী হয়েছে বহু তিক্ত অভিজ্ঞতার।
Was this review helpful to you?
or
Boita j koto sundor bole bojhate parbo na ♥ Eta sundor ekta inspire pawar moto boi ?
Was this review helpful to you?
or
#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুকরিভিউ_প্রতিযোগ নাম : মুহাম্মদ মাহির মোসলেহ ফুয়াদ জেলা : পাবনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : পাবনা জেলা স্কুল ই-মেইল : [email protected] বই : আমি তপু লেখক : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী : পার্ল পাবলিকেশন্স প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ পৃষ্ঠা : ১২৩ পার্সোনাল রেটিং : ৫/৫ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরিফুল ইসলাম। ডাকনাম তপু। কিন্তু সে নিজেকে চল্লিশ বছরের এক মানুষ মনে করে। অনেকে হয়ত বলতে পারে সে পাগল। কিন্তু না, সে পাগল না। তার নিজেকে চল্লিশ বছরের ভাবার পেছনে রয়েছে এক করুণ কাহিনি। এক দূর্ঘটনায় বাবাকে হারায় তপু। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় সে। এই বেঁচে যাওয়াই যেন তার জন্য কাল হলো। তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকারতম অধ্যায়। তার পরিবারের সবাই তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। এমনকি তার মাও তাদের কোন আত্নীয়ের সাথে কথার সময় বলে তার নাকি এক ছেলে আর এক মেয়ে। সেই ছেলে-মেয়ে হলো তপুর বড় ভাই আর বড় বোন। কি এমন কারণ ঘটেছিল যে একজন মা তাঁর নিজের সন্তানকে ছেলে বলে পরিচয় দেয়না? তপুর বাবা মারা যাবার আগে তপু ক্লাসে সবসময় প্রথম হত। কিন্তু বাবা মারা যাবার পর সে ক্লাসের একেবারে শেষের দিকের স্থানে চলে যায়। সকলে ভাবে বাবা মারা যাওয়ার পর ছেলেটা বখে গেছে। আসলে তপু তার বাবা মারা যাবার পর আর ঠিকমত পড়াশুনা করার সু্যোগই পায়নি। কিন্তু এই তপুই একদিন খবরের শিরোনাম হয়। তবে কোন খারাপ কাজের জন্য নয়। এমন কাজ যার কারণে সকলেই তাকে নিয়ে গর্ববোধ করে। এমন কাজ যেটার মাধ্যমে যেই তপুর সাথে তার ক্লাসের কেউই ঠিকমত কথা বলতনা, সেইই তপুকেই সকলে আপন করে নেয়। তপুর এই কাজে সহায়তা করেছিল প্রিয়াঙ্কা বলে এক অদ্ভুত মেয়ে। যেখানে তপুর সাথে সকলে কথা বলতেই ভয় পেত, সেখানে এই প্রিয়াঙ্কা, তপুকে বানায় ফেলে তার বন্ধু। এবং তপুও তার এই বন্ধুর জন্যই সেইই কাজটি করে দেখাতে পেরেছিল সকলকে। কিন্তু তপুতো পড়াশোনা বা খেলাধূলা কোনটাতেই ভালো ছিল না। তাহলে কি ছিল সেই কাজ? আর কেই বা এই প্রিয়াঙ্কা? 'আমি তপু' বইটিকে অসাধারণ বললেও কম বলা হবে মনে হয় আমার কাছে। এই বইটির প্রশংসা আমার বর্ণণাতীত। এক ছোট ছেলের করুণ কাহিনি নিয়ে এই বইয়ের গল্প। কিন্তু এতে লেখক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকের রূপ তুলে ধরেছে যারা শুধু নামেই শিক্ষক কিন্তু কাজে না। আবার বন্ধুর সাফল্যে নিজের উচ্ছ্বাসও দেখানো হয়েছে প্রিয়াঙ্কা নামক মেয়েটির দ্বারা। এই বইয়ে কিছু বাক্য আছে যা সত্যিই মনে রাখার মত। যেমন- ''নিজেকে খুশি করা থেকে অন্যকে খুশি করার মাঝে অনেক বেশি আনন্দ।'' আবার মানুষের দুঃসময়ে অনেক সময় মানুষ তাদের অতীতের সুখ স্মৃতির কথা স্মরণ করে এই বিষয়টিও সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এখানে। এক কথায় বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ এই 'আমি তপু' বইটি। ©Mahir Molesh
Was this review helpful to you?
or
golpo to onik onik sundor cilo ??
Was this review helpful to you?
or
I'm blessed? thanks to Rokomari❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
mon cuye gece
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
আমার সবচেয়ে প্রিয় বই আমি তপু।একটা বই যে এত্তো সুন্দর হতে পারে,আমি তপু না পড়লে বোঝার উপায় নাই । ছোটো বড় সবার এই বইটি পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
তার লেখা কিশোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে "আমি তপু' একটু ব্যতিক্রম ধরনের এবং এর শেষের কাহিনী আমাকে অনেকটাই ইমোশনাল করে দিয়েছিলো।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় মারাত্মক
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটা বই,এক কথায় তুলনাহীন
Was this review helpful to you?
or
amazing
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
শ্রেষ্ঠ উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
aita diye boi pora suru kori...vlo boi ata...♥️
Was this review helpful to you?
or
সত্তিই অসাধারণ একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
Khub valo boi.Kanna peyegechio boi ta pore
Was this review helpful to you?
or
Full of emotions..... best book I have ever read.. ❤ this book....
Was this review helpful to you?
or
Wanna ruin your childhood and teenage life? Read this book.
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে একদম ইমোশোনাল হয়ে গিয়েছি,,,,, আমার জিবনে পড়া সব থেকে বেস্ট বই ❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল মানেই অন্যকিছু।বইটি এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
Ami boiti porechi r prista gula bijieyechi......thamate pari ni nijeke
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
এক টা সুন্দর গল্পের বই। গল্পটার সবচেয়ে আকর্ষীও চ রিত্র ছিল প্রিয়াঙ্কা
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
The Best
Was this review helpful to you?
or
বইটা আমার খুব প্রিয়,,আর তপু চরিত্র দারুণ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই হবে আশা করি আমি ???
Was this review helpful to you?
or
it's a really good book and the ending is emotional
Was this review helpful to you?
or
বইটা এক কথায় অসাধারণ। চোখের পানি অনেক ঝড়লো এই উপন্যাসটা পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
এক ছেলের জীবন, ছোটবেলা,কষ্ট,একাকীত্ব, মাইয়ের কাছ থেকে দূরে সরে থাকা এ নিয়ে বইটি। ভালো লেগছে পড়ে,কিছু জায়গায় কষ্ট ও অনূভব হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
কিশোরদের জন্য ১০ এর মধ্যে ১০ পাবার মতো একটা বই ...... চাইলে নিতে পারেন .......
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। যতবার পড়ি ততবারই ভাল লাগে। প্রথম বার কেঁদেছিলাম। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর বই সবসময় অসাধারণ। ধন্যবাদ আরেকটা সুন্দর বই উপহার দেয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
A book that made me cry
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটা অনেক অর্থপূর্ণ । ইমোশনাল হয়ে গেছিলাম বইটা পড়ে, এখনো আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে এই বইটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বই। একটি কিশোরের জীবনের কষ্টকর গল্প। কিশোর উপন্যাস এই বইটি পড়ে আমি জীবন যুদ্ধ এবং জীবনের কষ্টকর পরিস্থিতি অনুভব করতে পারছি।
Was this review helpful to you?
or
It's really heart touching.
Was this review helpful to you?
or
ami boita prothome pore kedei diechilam. Boita really onek sundor o bastobmukhi. Sobar boita pora uchit. Tara tader vetorer poshutto ke dur korte parbe.
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ...?
Was this review helpful to you?
or
অসাধার, অসাধারণ এবং অসাধার।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লাগা একটি বই। প্রতিটা অংশেই একজন নিসঙ্গ কিশোরের চিত্র খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি পড়ার সময় তোপু চরিত্রটি একটি চলচ্চিত্রের মতো চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। সব শেষে বইটির শেষ অংশ পড়তে গিয়ে চোখে পানি চলে এসেছিল।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন❤❤
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুব সুন্দর ।
Was this review helpful to you?
or
এটা সুন্দর একটি বই। একাকীত্ব জীবনকে কিভাবে নতুন একটা জীবন পথ দেখাতে পারে সেটা এই বইয়ের মুল সূত্র
Was this review helpful to you?
or
সেরা কিশোর উপন্যাস।।।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি খুব ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
An awesome book
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা এ বইটি অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
truely my lifes best book it is.....
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ বইয়ের নাম: আমি তপু লেখক: মোহাম্মদ জাফর ইকবাল ব্যক্তিগত রেটিং: ***** (৫) এই গল্পটি কিশোর তপুকে নিয়ে লেখা। তার জীবনের খারাপ সময়ের বর্ণনা, নিঃসঙ্গতা ছোট্ট ইঁদুরের সাথে গল্প-সব কিছু বিবেচনা করা হলে কিশোর বয়সে কষ্ট করা ছেলেটির জন্য চোখে পানি চলে আসে। প্রথমবার পড়ে আমার চোখেও পানি চলে এসেছে। বারবার পড়ার পরও একই অনুভূতি কাজ করে। তপুর বাবা গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যান। তার বাবার মূত্যুর কারণ হিসেবে তার মা তাকে দোষারোপ করেব। এমনকি তার উপর রীতিমতো অমানবিক অত্যাচারও করেন। তার বাবা চলে যাওয়ার পর সবাই তাকে দূরে ঠেলে দেয়। সে হয়ে যায় একেবারে একা। কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করতে পারে না। মায়ের ভয়ে ঘরের স্টোর রুমে তার ঠাঁই হয়। সেখানে বিচিত্র বন্ধু হিসেবে ইঁদুরকে বন্ধু বানায়। সে ধীরে ধীরে পড়াশোনায় খারাপ হতে থাকে। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও খারাপ হতে থাকে। একসময় সে ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র ছিল, পরে সে ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্রে পরিণত হয়। তার বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার অভিজ্ঞতায় বুড়ো হয়ে যায়। ক্লাসের সব বন্ধু তার থেকে দূরে সরে যায়। এমনকি তার পাশে বসতেও ভয় পায়। এদিকে সে তার মায়ের চোখের সামনে চলে আসলেও তার মা তাকে মারধর করতেন। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তার জীবন উলটপালট হয়ে যায়। একসময় যে মা তাকে খুব আদর করতেন সেই মা তাকে সন্তান হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। অবশেষে প্রিয়াঙ্কা নামে তার এক বন্ধু জোটে। সে তাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। রাতে স্টোররুমে অপুর যখন ঘুম আসতো না, তখন সে নানা রকম গাণিতিক সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করত। অবশেষে সে প্রিয়াঙ্কার সাহায্যে গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বকৃতি লাভ করে। তখন তার জীনব ঘুরে দাঁড়ায়। এর পরেও তার মা তাকে মেনে নিতে পারেন নি। তার মা যখন ব্রেইন টিউমারে ভুগছিলেন, তখন তাকে কাছে টেনে নেন। মায়ের কোলে থাকাকালে তার মা মৃত্যুবরন করেন। মায়ের মৃত্যুর পর সে হাসি ফিরে পায়। কানণ মৃত্যুর আগে তার তাকে আদর করেছিলেন। ক্ষনিকের জন্য সে তার আগের জীনব ফিরে পেয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
যারা বই আমার মতো পড়তে ভালোবাসো তাদের একবার হলেও এই বই পড়া উচিত।এই বইটি জাফর ইকবাল এর একটি ব্যাতিক্রমী উপন্যাস। একটি ছেলের বাবার মৃত্যু তার সুন্দর জীবন ওলটপালট করে দেয়।ফার্স্ট বয় হয়ে যায় লাস্ট বয়। তারপর ক্লাসে আসে প্রিয়াঙ্কা নামের একটি মেয়ে।তার হাত ধরেই পরিবর্তন হতে থাকে তপুর জীবন। পারিবারিক জীবনে মায়ের নির্যাতনকেও সে সহ্য করে। এরপর হয় গণিত অলিম্পিয়াড। তপু গণিতে অনেক ভালো হলেও স্কুল থেকে তার নাম পাঠানো হয় না। শেষ পর্যন্ত কি হয় তা জানতে পড়ে ফেল জাফর ইকবালের এই অসাধারণ উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
this is my favourite book
Was this review helpful to you?
or
ক্লাস সেভেনে থাকতে পড়েছিলাম। তখনকার হিসেবে আমার পড়া শ্রেষ্ট বই ছিলো এটা। হাইলি রিকমেন্ডেড ক্লাস সিক্স-সেভেন-এইটের স্টুডেন্টদের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সকল বইয়ের মধ্যে সেরা বই
Was this review helpful to you?
or
Onk valo Ekta Boi,
Was this review helpful to you?
or
বইঃ আমি তপু পৃথিবীতে সবচেয়ে আপন বা কাছের মানুষটির নাম জানতে চাওয়া হলে অবলীলায় একটি শব্দ উচ্চারিত হবে - মা। "আমি তপু" উপন্যাসটিতেও তার ব্যতিক্রম ছিল না।কিন্তু তপুর বাবার মৃত্যুকে ঘিরে ওর মার মানসিক পরিবর্তন তপুর কাছে তার মাকে সবচেয়ে অচেনা মানুষে পরিণত করে। সেইসাথে তার ভাই-বোন এর কাছ থেকে পেতে শুরু অসহযোগিতা। এরই মধ্য দিয়ে একাকিত্ব আর ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্যে জীবন চলতে থাকে। প্রত্যেকের জীবনে কেউ না কেউ শুভাকাঙ্ক্ষী থাকে এখানেও তার শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল। তার সুপ্ত জ্ঞানের বিকাশ ঘটে সেইসাথে আরো পরিবর্তন আসতে থাকে।এই অল্প বয়সেই তপু বিভিন্ন বিষয় দেখে এবং বুঝতে শিখে।
Was this review helpful to you?
or
Amr priyo akta book . valo lagar akta boi .kanna korte baddho.
Was this review helpful to you?
or
This is the best book I’ve read since now.(??)A lot of amazing moments.Sometimes it made me laugh even sometimes emotional.I loved it and I hope everyone else will like it too.
Was this review helpful to you?
or
বইটি আপনাকে কাদতে বাধ্য করবে
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসেটিতে দেখা মেলে এক কিশোরের প্রতি নিষ্ঠুরতার ছবি ও সেই নিষ্ঠুরতা থেকে বেরিয়ে আসার গল্প আর মানুষের জীবনে ভালবাসার প্রয়োজনীয়তার গল্প!! তপু, কিছু বছর আগেও সে ভাল ছাত্র ছিল! কিন্তু, তার বাবার মৃত্যুর পর তার জীবন হয়ে যায় একেবারে অগোছালো, বিশৃঙ্খলায় ভরপুর! তিন বছর আগে, তপুর বাবা তপুর জন্য ব্যাট কিনতে যাওয়ার সময় একটি কার এক্সিডেন্টে মারা যায়! এজন্য, তপুর বাবার মৃত্যুর জন্য তপুকেই দায়ী করে তার মা! যার জন্য, স্বভাবতই তাঁর প্রতি খারাপ আচরণ শুরু করে তার মা, তপুর জীবন আস্তে আস্তে দূর্বিষহ করে তোলে! একসময়, পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায় তপু! যার প্রভাব পড়ে, তপুর লেখাপড়ায়। আর সবার মতে বখে যাওয়া যায় সে, হয়ে যায় খারাপ ছাত্র! এজন্য, তার কোন বন্ধুও থাকে না! শিক্ষকেরাও তার সাথে ভাল ব্যবহার করে না! এসময় তার জীবনে আসে প্রিয়াংকার নামের এক সহপাঠী! যে স্কুলে নতুন এসেছে! সেই সহপাঠীর সংস্পর্শে এসে আস্তে আস্তে ভাল হতে থাকে "আরিফুল ইসলাম তপু "। কিন্তু কিভাবে তপু আবার ভাল হয়? তা জানার জন্য পড়ে ফেলুন " আমি তপু " উপন্যাসটি!!কিশোর উপন্যাস হিসের অসাধারন একটি বই!!♥️
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
amazing! I cried for a moment! bt when I thought about reality, the 1st thing came into my mind! how could a mother blame her child for husband dead! her mother an evil! if it happened to me! I never came back for my mother! and the other thing! how can tapu tolerate insane people.. whom didn't give him a chance to live peace ful! how can a mother andnd bro sis like this! bt this book is amazing
Was this review helpful to you?
or
কিশোর বয়সের রোমাঞ্চিত দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প। এখনোও মাঝে মাঝে পড়তে ইচ্ছে করে।
Was this review helpful to you?
or
বইঃআমি তপু লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল ক্লাস ফাইভে থাকা কালে তপু বাবা হারায় গাড়ি এক্সিডেন্টে।তপুর মা তপুকে দেখতে পারত না। মারধর করত। স্কুলের মেধাবি ছাত্র থাকলে সেটা শেষ হয়ে যাই, মায়ের অত্যচারে। বিভিন্ন দারুণ ঘটনা ঘতে তপুর জীবনে। অবশেষে তপু হয় বিখ্যাত ম্যাথম্যাটিসিয়ান। কিভাবে হয়েছিল?জানতে অব্যশই বইটি একবার হলেও পড়বেন!!
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদজাফর ইকবাল স্যার এর লেখা আমি তপু বইটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ❤ গল্পে তপুর দুরন্ত সাহসীকতা আমার মন কেরেছে, দেশের জন্য যতটুকু ভালোবাসা দরকার তপুর মধ্যে বিরাজমান। এখানে রাজাকা, আর বদর, আল শামস এর মতো জগন্য কিসু অভিনয় উল্লেখ্য আছে , এটা সম্পুর্ন মুক্তিযুদ্বা কালীন একটি কল্প কাহিনী। সবাইকে একবার হলেও পড়ার জন্যনিজ থেকে আহবান করবো, বিশেষ করে ছোট দের কে। ধন্যবাদ জাফর স্যারকে এমন অসাধারণ বই লেখার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু একটি কিশোর উপন্যাস যার মূল চরিত্র হলো তপু। একটি এক্সিডেন্টে তপুর বাবা মারা গেলে তার মা তাকে তার বাবার মৃত্যর জন্য তাকে দশি মনে করেন। তার থেকে দূরে সরে যায়। তার ফলে তপু খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু প্রিনংকা নামক এক মেয়ের সঙ্গে মিশে সে ভালো হয়ে যায়। সে গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম হয়।তার মা তাকে আবার ভালোবাস্তে সুরু করে।
Was this review helpful to you?
or
বেশ সুন্দর একটি বই। এটি আমাকে ইমোশনাল করেছে।
Was this review helpful to you?
or
I think it will fine
Was this review helpful to you?
or
এটা সম্ভবত একমাত্র বই যেটা পড়ে আমি এখনো কাঁদি। সেই ছোট্টবেলায় প্রথমবার যখন পড়লাম তখনই মন ছুয়ে গেল।...... ছোট্ট আর একা একটা ছেলে, বাবাকে হারালো, ভাইবোন থেকেও নেই৷ সবচেয়ে আপন যে মা সেও তাকে পর করে দিলো। আর এই কঠিন পরিস্থিতিতে যখন সে নিজেকেই হারাতে বসল তখন দেবদূতের মত এল প্রিয়াংকা। এই প্রিয়াংকা না থাকলে সবাই হয়ত ভুলেই যেতো তপু কতটা মেধাবী।।........ তপু, প্রিয়াংকা চরিত্রগুলো কখনো ভোলার মত না। ওরা আমার রঙিন শৈশবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি শেষ করে আমি হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম। এমন করেও গল্প বলা যায়! নিঃসন্দেহে 'আমি তপু' জাফর ইকবাল স্যারের সেরা সৃষ্টি। ভালো থাকুক ত্রিভুবনের সকল তপুরা।
Was this review helpful to you?
or
কোন কিছু বোঝার আগেই তপুর জীবনটা হঠাৎ করেই পাল্টে গেলো চিরদিনের মত। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে থাকে, এক সময় তপু আবিষ্কার করে সে একা। একেবারেই একা। নিঃসঙ্গ কিশোরের এই দুঃসহ জীবনে বন্ধুতের হাত বাড়িয়ে দিল তার বিচিত্র সব সঙ্গী সাথী। তাদের নিয়ে সে কী পাড়ি দিতে পারবে তার বান্ধবহীন নিষ্ঠুর এই জীবন? 'আমি তপু' নিঃসঙ্গ এক কিশোরের বেঁচে থাকার ইতিহাস । নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং ভালবাসার ইতিহাস। যাইহোক, গল্পটা তের বছরের এক ছন্নছাড়া বালক আরিফুল ইসলাম তপুর। শরীরের বিভিন্নস্থানে কাঁটা ঘায়ের দাগ, নোংরা কাপড়, উষ্কখুষ্ক চুল এগুলোই তার বাহ্যিক বৈশিষ্ট। তার রাত্রি যাপন হয় তাদের বাসার রান্নাঘরের স্টোররুমে, খাওয়া-দাওয়াটাও সেখানেই। কোনো মতে টেনেটুনে আজ সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। নেই কোন বন্ধু-বান্ধব, আর পরিবারতো থেকেও নেই। তপুর বর্তমানটা এমন হলেও অতিতটা কিন্তু মোটেও এমন ছিল না। এক সময় তপু ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিল। পরিবারের সকলের আদরের মধ্যমণি হয়ে থাকত সে। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় হটাৎ এক দুর্ঘটনায় তপুর বাবা মারা যায়। তার পর থেকেই প্রেক্ষাপট বদলে যায়। আসলে তপুর মা কখনও এই দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারেনি। সে সমস্ত দায়ভার চাপায় তপুর ওপর। নানা রকম ভাবে নির্যাতন করতে থাকে তপুকে। তপুর শরীরে বিভিন্ন কাঁটা ঘায়ের উৎস এইসব নির্যাতনই। একসময় তপুর জীবনে প্রিয়াঙ্কা নামের এক কিশোরীর আগমন হয়। প্রেক্ষাপট আবার বদলাতে থাকে। তপু আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, আবার জীবনকে ভালবাসতে শুরু করে, আবার দৌড়তে শুরু করে। গল্পে প্রিয়াঙ্কা নামক কিশোর মেয়েটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র বহন করেছে। লেখক তার চরিত্রে চাঞ্চল্যতার সাথে সাথে উদারপনা ও বুদ্ধিমত্তা জাতীয় বৈশিষ্টাবলি ফুটিয়ে তুলেছেন। আমি কিশোর মনের আকূল অনুভূতিসম্পন্ন এমন বই আগে কখনও পড়িনি। কিশোর উপন্যাসে জাফর ইকবালকে আরও একবার স্বার্থত ঔপন্যাসিক বলতে বাধ্য হয়েছি “আমি তপু” পড়ে। পুরো উপন্যাসটাই তপুময়। নামটি খুব সাধারণ হলেও শতভাগ স্বার্থক হয়েছে নামকরণ। ভালো নাম আরিফুল ইসলাম। ডাক নাম তপু। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে তপুর নামের পাশ থেকে মেধাবী উপাধিটা উঠে যায়। তপু ছিল এমন এক মেধাবী ছেলে, যে প্রতি পরীক্ষায় চোখ বন্ধ করে ফার্স্ট হয়ে যেত। শুধু তাই নয়… যে সেকেন্ড হতো, সে তপুর ধারে কাছেও থাকত না!! একটি দুর্ঘটনার পর, সেই ফার্স্ট বয়ের পাশ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল। স্কুলের স্যার ম্যাডাম এবং বন্ধু-বান্ধবেরা মনে করতে লাগল তপু হয়ত বখে গেছে! তবে প্রকৃত সত্য তপু ব্যতীত আর কেউ জানতো না। তপুর বাবা মারা যাওয়ার পর, তপুর মা’র মস্তিষ্ক বিকৃতি হয় এবং তিনি এজন্য তপুকে দায়ী করা শুরু করেন। ধীরে ধীরে তপুর জীবন দুর্ভিষহ করে তোলেন। তপু তাঁর পরিবার এবং ভাইবোন থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। তাঁর স্থান হয় রান্না ঘরের পাশের স্টোর রুমে!! তপুর বন্ধু বা আপনজন বলতে কেউ রইল না! তার বন্ধু বলতে রইল শুধু স্টোর রুমের ইঁদুর!! তখন তাঁর জীবনে প্রীয়াংকা আসে বন্ধু হয়ে। সে তপুর একাকীত্ব বুঝতে পারে। গণিতে তপুর প্রতিভা এবং আগ্রহ বুঝতে পারে। তপুকে উৎসাহিত করে। তখন ইঁদুরের সাথে তপুর বন্ধু হিসেবে যোগ দেয় প্রীয়াংকা এবং গণিত। শেষে তপুর জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসে গণিত অলিম্পিয়াড! তারপর থেকে শুধুই ‘আরিফুল ইসলাম তপুর’ সাফল্য। এই গল্পটি লেখক শেষ করেন, অত্যন্ত মর্মকাতরভাবে! এই উপন্যাসে জাফর ইকবাল স্যার দেখিয়েছেন, অ্যাডভেঞ্চার ছাড়াও কিশোর উপন্যাস লেখা যায়। আর সেটি এই মাত্রায় সফল হতে পারে! নিঃসন্দেহে ‘আমি তপু’ বাংলা সাহিত্যর অন্যতম সেরা বই। আর আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাস। পাঠ প্রতিক্রিয়া: উপন্যাসটির প্রশংসার ভাষা আমার জানা নেই। কিশোর সাহিত্য মানেই খালি মজা,অ্যাডভেঞ্চার বা খুনসুটি হবে এটি সেই ধারণা মুছে ফেলার মত বই।দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদে মতো এটিও একটি মাস্টারপিস কিশোর উপন্যাস। বইটি পড়ে তপুর জন্য আমার মনের কোণে কোথায় যেন একটা ব্যথা অনুভব করি। একটা ছেলের জীবনে হুট করেই এমন অস্বাভিকতা মেনে নেওয়া কষ্টকর। পুরো বইটিতেই একটি ঘোর লাগা অনুভূতি কাজ করেছে। উপন্যাসটিতো কৌশলে লেখক মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি তুলে এনেছে। যা বেশ ভালো লেগেছে। লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের রচিত অন্যতম সেরা কিশোর উপন্যাস এই ‘আমি তপু’। এটি ২০০৫ সালের অমর একুশে বইমেলায় পার্ল পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হয়। লেখকের যতগুলো বই আমি ইহজীবনে শেষ করেছি তার মধ্যে এটিই আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়েছে। হয়তো খুব কম বই পাঠকই রয়েছে যারা এটি পড়েননি। যারা এখনও পড়েননি তারা খুব বড় কিছুই মিস করছেন। সময় নিয়ে পড়ে ফেলুন অসাধারণ এই বইটি ।
Was this review helpful to you?
or
wow!!!!!very interestiing book.......kub valo gaglo pore.
Was this review helpful to you?
or
maybe এটা জাফর ইকবাল স্যার এর বেস্ট বই...... এমন মনস্তাত্ত্বিক ঘরানার কিশোর উপনাস পাওয়া সত্যি কঠিন....স্যার এর অন্ন সব বই থেকে আলাদা.....thank u sir অসাধারন আক্তা বই উপহার দেয়ার জন্য
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের অন্যতম সেরা একটি বই। এই বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রমাঞ্চকর এক কাহিনী ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। বইটির একটি পৃষ্ঠাও পাঠকের কাছে বিরক্তিকর লাগবেনা বলে আমি মনে করি। সহজ সাবলিল ভাষায় লেখা বইটি পড়তে একটুও কষ্ট হয়নি। তবে কষ্ট হয়েছিল তপুর জীবন কাহিনী পড়ে। আর পাঠকের মনে গল্পের চরিত্রের অনুভূতির সমরূপ অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারাই লেখকের কৃতিত্ব।
Was this review helpful to you?
or
This one is an uncanny book. It spins the tale of a boy genius who does not know that he is a genius. His friend is a mouse- a real mouse, not Jerry from Tom and Jerry. And he is shunned by his own family. A family of people suffering from psychological imbalance. But Topu's inner light shines bright despite the obstacles and he ultimately is recognized by his peers. The readers start with Topu at the bottom of a dark well of depression, and accompany him throughout his journey in his way to the top, toward freedom and happiness. But even to a boy so miserable, happiness comes at a price. And that's probably the best thing about this book.
Was this review helpful to you?
or
যারা বই পড়তে তেমন আগ্রহী নন এই বইটি পড়ার পর বই পড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে এটা অনেকটা নিশ্চিত...বেশিরভাগ পাঠকই এই বইটি শুরু করার পর শেষ না করে উঠতে চাইবেননা...
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের বই পড়াটা আসলেই অনেক বড় একটা বেপার। আমি তপু এই বইটি পড়ে অনেক মজা পেয়ে।
Was this review helpful to you?
or
তপু!!! বইয়ের মূল চরিত্র। তপুর বাবা মারা গিয়েছে আর তার মা মনে করে তপুর জন্য তার বাবা মার@ গিয়েছে। গল্প নেয় এক নতুন মোড়।শুরু হয় তপুর উপর তার মায়ের ক্ষোভ ঝরানো একটি জীবন গল্প। কখনো তার মায়ের আচরণ সব মাতৃত্বকে ছাপিয়ে যায়। আর তপু তার জীবনের প্রতিদিন একটি অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছিল হটাৎই তার জীবনে এলো প্রিয়াংকা। তার একটি প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া। বইয়ের শেষ অংশে তার মায়ের নির্মমতা যেন সব ছাপিয়ে অপুকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠেছিল। কিন্তু পরে অপু জানতে পারে তার মায়ের মাথায় টিউমার ছিল। তবে জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ একটি গল্প।আশা করি সবার ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
Amazing book for those who are seeking to purge themselves onto there childhood. Undoubtedly the best book for me of all the Jafar Iqbal books I have read so far. This story is about a 13 year old boy whose father died in a car accident when he was on his way to buy a cricket bat for his son Topu. Due to this co-incidental death, Topu's mother assumes its because of Topu that her husband died. And thus the ill fated boy Topu dedicates his life in agony.
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটির প্রশংসার ভাষা আমার জানা নেই। কিশোর সাহিত্য মানেই খালি মজা,অ্যাডভেঞ্চার বা খুনসুটি হবে এটি সেই ধারণা মুছে ফেলার মত বই।দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদে মতো এটিও একটি মাস্টারপিস কিশোর উপন্যাস। বইটি পড়ে তপুর জন্য আমার মনের কোণে কোথায় যেন একটা ব্যথা অনুভব করি। একটা ছেলের জীবনে হুট করেই এমন অস্বাভিকতা মেনে নেওয়া কষ্টকর। পুরো বইটিতেই একটি ঘোর লাগা অনুভূতি কাজ করেছে। উপন্যাসটিতো কৌশলে লেখক মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি তুলে এনেছে। যা বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
আমার সবচেয়ে প্রিয় বই এটা। জীবনে অনেক বই পড়েছি। কিন্তু এই বই এর মত মনে দাগ কাটতে পারে নি।
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা বই এর ভিতর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল..আমি তপু বইটি..সত্যি অনেক কস্টের ছিল অপুর জীবন কাহিনি
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা পড়ার সময়ে যে কত কান্না করেছি মনে নেই। সত্যি অসাধারণ একটি বই।অবশ্যই সবার কাছে এই বইটি ভালো লাগবে। ??
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই! এই বই টি যতোবারই পড়ি, শেষ পৃষ্ঠায় এসে চোখের পানি আটকাতে পারি না..
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই!কান্না চলে এসেছে পড়ে! জাফর ইকবাল এর সবগুলো বই এর মধ্যে এটা বেস্ট! বারবার পড়া যায় এমন বই!❤
Was this review helpful to you?
or
কোন কিছু বোঝার আগেই তপুর জীবনটা হঠাৎ করেই পালটে গেলো চিরদিনের মত। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে থাকে, এক সময তপু আবিষকার করে সে একা। একেবারেই একা। নিঃসঙগ কিশোরের এই দুঃসহ জীবনে বনধুতের হাত বাডিযে দিল তার বিচিতর সব সঙগী সাথী।
Was this review helpful to you?
or
the book really touched my heart. While I was reading this book make me fell cry in few heart-touching moment.
Was this review helpful to you?
or
If any book made me cry this is the one which made me cry. If anyone want to know about how you will feel if your mother and family abandoned you and don't care about you at all. Topu is a boy after his father accident her mother started to blame her for no reason and abounded her in a small room. Then her life turned into a bad dream and he started to became a bad boy, after a few year a girl name prianka come in there school and become friend of topu. She always try to inspire him for her talent in math. Prianka make topu attende a math competition. That competition change topu's while life. Ami topu is a best story to know about friendship and pain for being abounded...
Was this review helpful to you?
or
Ami Topu remains as the only book that bled my tears. I don't want to sound cliche, but this is really something else. Not only did I cry reading this, I was emotionally touched and it was an intense experience cannot be exclaimed by words. Ami Topu is about a teenage boy embracing his solitude and depression and chasing his dreams and interests, while meeting friends that actually watches his back! This is a must-read Zafar Iqbal classic.
Was this review helpful to you?
or
সবচেয়ে বেস্ট কিশোর উপন্যাস আমার কাছে
Was this review helpful to you?
or
"আমি তপু" স্যার জাফর ইকবালের অন্যতম জনপ্রিয় শিশু কিশোর উপন্যাস। এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিঃসঙ্গ একটি কিশোর তপু। তপুর ভালো নাম আরিফুল ইসলাম। এ উপন্যাস নিঃসঙ্গ কিশোরের ইতিহাস, নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং ভালোবাসার ইতিহাস। তপুর বড় ভাই, বড় বোন ও বাবা-মা নিয়ে তার পরিবার। এ পরিবারের সবচেয়ে আদরের সদস্য ছিল তপু। এ সুখ বেশিদিন তার কপালে সয় না। দশ বৎসর বয়সে তপুর বাবা অ্যাকসিডেন্টে স্পটে মারা যায়। তপুর মা এর জন্য তপুকে দায়ী করে। ফলে তপুর মা তপির সাথে নিষ্ঠুরতা শুরু করে দেয়। এই থেকে শুরু হলো তপুর নিঃসঙ্গ ও নিষ্ঠুরতার জীবন। তার এ ভয়াবহ জীবনে আলোর প্রদীপ হয়ে আসে তার স্কুল বান্ধবী প্রিয়াংকা। প্রিয়াংকা পাগলা টাইপের অদ্ভুত এক মেয়ে। প্রিয়াংকা ঘটনাক্রমে তপুর এ নিষ্ঠুরতার জূবন সম্পর্কে জানতে পারে। প্রিয়াংকা তপুকে সর্বদা সঙ্গ দেয় ওর মনকে উৎফুল্ল রাখার। তপু গণিত করতে খুব ভালোবাসে। যে কোনো অঙ্ক সে খাতায় না করে মনে মনে সমাধান করতে পারে। প্রিয়াংকা একসময় তপুর এ অস্বাভাবিক জীবনে এক অসাধারণ কান্ড ঘটায়। যার ফলে তপুর মধ্যে আমূল পরিবর্তন আসে। সে ফিরে আসে তার স্বাভাবিক জীবনে। তপুর নিঃসঙ্গ ও নিষ্ঠুরতার জীবন থেকে কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ভালোবাসার জীবনে ফিরে আসে? উত্তর জানতে এখনই পড়ে ফেলো এই হৃদয়স্পর্শী উপন্যাসটা।
Was this review helpful to you?
or
তপু ভীষণ রকম মেধাবী। তার পরিবার থেকেও নেই।নিজের বাসায় সে থাকে চাকরের মতো।তার পরিবার তপুকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেও লজ্জাবোধ করে।এক সময় এঞ্জেল হয়ে তার জীবনে আসে এক চমৎকার বন্ধু- প্রিয়াংকা। যে তপুর জীবন অনেকটাই বদলে দেয়।তপু গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম হয়।ধীরে ধীরে বদলে যেতে যাতে আগের অগোছালো তপু।কিন্তু গল্পের শেষটা তপুকে সুখ-দুঃখের মিশ্র পরিস্থিতিতে এনে দাঁড় করায়। চোখের কোণে পানি আর ঠোঁটে হাসি- সত্যিই বিচিত্র একটি ব্যাপার।
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু গল্পের শুরু হয় আরিফুল ইসলাম তপুর নামে একজন কিশোরের নিজ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এক দুর্ঘটনায় তপু তার বাবাকে হারায় এবং তা মূলতঃ ছেলেটির গোটা জীবনটাকেই উলটপালট করে দেয়। স্বামীর মৃত্যুতে তপুর মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং স্বামীর মৃত্যুর জন্য নিজের ছেলে তপুকেই দোষারোপ করতে থাকে। ফলে তপুর জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার ...
Was this review helpful to you?
or
গল্পের নায়ক তপু যার পুরো নাম আরিফুল ইসলাম তপু। যার পরিবার ছিলো অনেক সচ্ছল। তার পরিবারে ছিলো বাবা মা ভাই বোন ও একজন কাজের বুয়া। গল্পের শুরুতে তপুর জীবন ছিলো অনেক সম্ভবনাময়ী। সে ডিবেট করতো, ডিবেট করে সে পুরষ্কার অর্জন করে। মোটামুটি ভাবে তার জ্ঞান নিয়ে চারদিকে প্রশংসিত হতে থাকে। গল্পের প্লটে একসময়ে তার বাবা মারা যায় রোড এক্সিডেন্টে। সাথে ছিলো তপু, ভাগ্যক্রমে তপু বেঁচে যায়। তপুর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তপুর মা তপু কে আর দেখত পারেন না। তার উপর বিভিন্ন অত্যাচার হতে শুরু করে তপুর মা। তপুর মা তপুকে তার চোখের সামনে সহ্য করতে পারতো না। তপুকে অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তপুদের কাজের বুয়া তপুকে অনেক ভালোবাসে। তাকে লুকিয়ে অনেক সময় টাকা দিতো। আর অন্যদিকে তপুর অন্য দুই ভাইবোন সব ধরণের সুযোগ পেতো এবং আদর সোহাগেরও কমতি ছিলো না। শেষমেষ তপুর জায়গা হয় রান্না ঘরে। সেখানে তার সাথী হয় একটি ইঁদুরের সাথে। যার নাম ছিলো 'নিমকি'। এভাবে কাটতে থাকে তপুর দিনকাল। একসময় সে ভাবে পালিয়ে যাবে সে আর এই বদ্ধ সংসারে থাকতে চায় না। ঘটনার পরাক্রমে স্কুলের এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। মেয়েটির নাম প্রিয়াংকা। মেয়েটি তার একসময় অনেক ভালো বন্ধু হয়ে যায়। তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় এই মেয়েটি। তপু অংকে ছিলো অনেক ভালো যা অন্য কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি। যেটা এই মেয়েটি আবিষ্কার করেছিলো। শেষমেষ মেয়েটির কারণে তপু গণিত অলিম্পয়াডে অংশগ্রহণ করে। এবং তপু চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ান হয়। সবাই খুশি হয় টেলিভিশন পত্রিকায় সব জায়গায় তপুর ছবি। সবাই খুশি হলেও তপুর পরিবার ছিলো বিমর্ষ। তপুর এই বিশাল ফলাফলেও যেন কেউ খুশি নয়। গল্পের শেষের দিকে তপুর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ধরা পড়ে তপুর মায়ের মাথার ভিতর বিশাল টিউমার। চিকিৎসা করালেও ডক্টররা কোনো ভরসা দিতে পারছেন না। একদিকে তপু কোনোদিন তার মায়ের সামনে যেতে পারেনি। হাসপাতালে গিয়েও তপু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন দেখা করবে কি করবেনা। শেষে এক ডাক্তার চিনতে পেরে তাকে তার মায়ের সামনে নিয়ে গেলো। মায়ের মাথায় অপরাশেনের যন্ত্রপাতি, নাকের নলে পাইপ। তপু কাছে গিয়ে মাকে ডাকলো বললো আমি তপু। প্রায় তিন বছর পর তপু তপুর মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মা তাকিয়ে তপুকে অস্পষ্ট ভাষায় বললো তপু তোকে আমি অনেক অত্যাচার করেছি আমাকে ক্ষমা করে দিস। তোর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার মাথাটায় কি যে হয়েছে। কিছু বলতে পারিনা। তপু বললো না মা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি কখনো তোমার উপর আমি অভিমান করিনি। তোমার আগের যত্ন আদরকে সবসময় সাথে রেখেছি। তপুর মা সাথে সাথে তপুকে বুকে টেনে নিলো সেখানেই তপুর মা মৃত্যুবরণ করলো। হাসপাতালে তপু আর তপুর মা অদূরে শুধু দাঁড়িয়ে ছিলো প্রিয়াংকা। . #প্রতিক্রিয়া : গল্পটি পড়ে চোখের পানি আটকাতে খুব কষ্ট হয়েছে। মায়ের ভালোবাসা আশপাশের পরিবেশের মানুষদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কিছু শিক্ষাঃ ★কখনো ভেঙ্গে পড়তে নেয়। ★যার যার সুপ্ত অবস্থা ফুঁটিয়ে তুলতে হবে। ★জীবনে চলার পথে কেউ একজন তোমার উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করুক এমন একজনকে বেছে নাও। ★মাকে ভালোবাসো সে শত হলেও তোমাকেই ভালোবাসবে
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ নাম : আমি তপু লেখক : মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণ : শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনী : পার্ল পাবলিকেশন্স প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ মোট পৃষ্ঠা : ১২৩ মূল্য : ১৫৪ টাকা ( ২৩% ছাড়ে) প্রকাশসাল : ২০০৫ রেটিং : ৯.৩/১০ কাহিনী : তপু তিন বছর আগেও ভাল ছাত্র ছিল। কিন্তু, তার বাবার মৃত্যুর পর তার জীবন হয়ে যায় একেবারে অগোছালো, বিশৃঙ্খলায় ভরপুর। তিন বছর আগে, তপুর বাবা তপুর জন্য ব্যাট কিনতে যাওয়ার সময় একটি কার এক্সিডেন্টে মারা যায়। এজন্য, তপুর বাবার মৃত্যুর জন্য তপুকেই দায়ী করে তার মা। যার জন্য, স্বভাবতই তাঁর প্রতি খারাপ আচরণ শুরু করে তার মা। তপুর জীবন আস্তে আস্তে দূর্বিষহ করে তোলে। একসময়, পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায় তপু। যার প্রভাব পড়ে, তপুর লেখাপড়ায়। সবার মতে বখে যাওয়া যায় সে, হয়ে যায় খারাপ ছাত্র । এজন্য, তার কোন বন্ধুও থাকে না । শিক্ষকেরাও তার সাথে ভাল ব্যবহার করে না। এসময় তার জীবনে আসে প্রিয়াংকার নামের এক সহপাঠী। যে স্কুলে নতুন এসেছে। সেই সহপাঠীর সংস্পর্শে এসে আস্তে আস্তে ভাল হতে থাকে "আরিফুল ইসলাম তপু "। কিন্তু কিভাবে তপু আবার ভাল হয়? তা জানার জন্য পড়ে ফেলুন " আমি তপু " উপন্যাসটি। রিভিউ : এই বইটি একটা কিশোরের একা একা বেঁচে থাকার ইতিহাস। আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়ার উপন্যাস। আবার, সেই অন্ধকার থেকে পুনরায় আলোতে ফিরে আসার উপন্যাস । এই উপন্যাসে এক কিশোরের প্রতি নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং সেই নিষ্ঠুরতা থেকে বেরিয়ে আসার গল্প। মানুষের জীবনে ভালবাসার প্রয়োজনীয়তার গল্প। এই উপন্যাস পড়ার সময় কখন যে নিজেকে তপু/ প্রিয়াংকা মনে হবে, টেরও পাবেন না। প্রিয়াংকার বুদ্ধিমত্তা দেখে, সবাইকে নিয়ে ভাল থাকার চেষ্টা দেখে, সহজ-সরল ব্যবহার দেখে আপনি তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এই উপন্যাসে লেখক দেখিয়েছেন, শুধুমাত্র একটু ভালবাসা কিভাবে একজন খারাপ কিশোরকেও ভাল করতে পারে। কিভাবে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে। পরিশেষে বলা যায়, এটি একটি ভাল লাগার গল্প। ভালবাসার গল্প। আপনার মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকলে এই বই পড়লে আপনার চোখে জল আসবেই। শেষ করতে চাই, এই বইয়ের একটি উক্তি থেকে, " খ্যাতিটা গুরুত্বপূর্ণ না, যে গুণের জন্য খ্যাতিটা এসেছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। "
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু" বইটি জাফর ইকবাল এর লেখা অন্যতম সফল কিশোর উপন্যাস। এতে পাঠক খুজে পাবে এক কিশোর কে যার চোখ ভর্তি যখন সপ্ন, হঠাৎ এক দূর্ঘটনায় তার জীবন এর মোড় ঠিক উল্টো দিকে চলতে থাকে।চরম হতাশাগ্রস্থ অবস্হায় জীবন এর সকল মোহ সব যখন শেষ তখন আরেক বিচিত্র কাহিনির মধ্য দিয়ে এই কিশোরকে লেখক স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে। বস্তুত এই উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক কিশোরদের দেখিয়েছেন জিবনে দূঃখ কষ্ট,বিরূপ অবস্থা আসবেই কিন্তু তাই বলে হতাশায় নিজেকে শেষ করে নেই।দাঁত কামড়ে ধরে নিজের যা ভালো লাগে তা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।সুদিন একদিন আসবেই।আর তার ব্যবস্থা চারপাশের পরিবেশই করে দিবে,তোমার শুধু টিকে থাকতে হবে,ঝরে গেলে হবে না।পাঠক বইয়ের শেষাংশে তপুর সুদিনের মিলন দেখে কাঁদতে বাধ্য।আর এই বইয়ে লেখক এটাও দেখিয়েছেন যে,প্রতিভা আর লেজ কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না,থাকলে একসময় প্রকাশ হবেই।কিভাবে? তা জানতে হলে বইটি অবশ্যই পড়ে ফেলু। আশা করি হতাশাগ্রস্থ কিশোর-কিশোরীরা এ থেকে অনুপ্রাণিত হবে।
Was this review helpful to you?
or
Boiti ottanto charming
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি বই। চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন তপুুর কষ্টের দিন গুলো, মায়ের অবহেলা এবং শেষ মোমেন্ট টা মন কে কাঁদিয়েছে। গল্পের শুরুটা যেমন কষ্ট আর নিঃসঙ্গতা দিয়ে শুরু হয়, শেষ টাও একি। বাবার এক্সিডেন্টের পর তার জীবনে নামে আসে অন্ধকার।এরপর সে বাঁচার উৎসাহ পায়, প্রিয়াঙ্কা নামের সোয়েটার কাছ থেকে।কিন্তু শেষ টা যে এমন হবে ভাবতে পারি নি।
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু ভিন্নধর্মী গল্প।আমাদের বয়সি ছেলেমেয়েদের জন্যএকটা সাদামাটা বিষয়ই অনন্য হই উঠেছে।আমার সাথে অনেককিছু মিলে যায় গল্প একাংশ।ভাল লাগে তাদের বন্ধুত।প্রায় কান্না করে দিয়েছিলাম।এটি জাফর ইকবাল এর অন্যতম সেরা একটি বই।মনে গভীর ছাপ ফেলে গেল
Was this review helpful to you?
or
স্যার জাফর ইকবালের 'আমি তপু' হচ্ছে একটি কিশোর উপন্যাস। উপন্যাস এর প্রধান চরিত্র তপু(আরিফুল ইসলাম)র মা থাকা সত্ত্বেও সে মায়ের অাদর থেকে বঞ্চিত হয় এবং তার জীবন উলট পালট হয়ে যায়। সে সবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়। একজন মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষ হচ্ছে মা। কিন্তু সে মা যদি শত্রুতে পরিনিত হয় এর থেকে কষ্ট আর কি থাকে। একজন মানুষের জন্য পরিবার যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা এই উপন্যাস পড়লে বোঝা যায়। জীবনে কেউ নিজে নিজে খারাপ হয় না এর পিছনে থাকে একটা ইতিহাস। এই বইটি পড়তে পড়তে আমার চোখের কোণে জল চলে এসেছিল।হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই সুন্দর উপন্যাসটি না পড়ে থাকলে এখনি পড়ে নিন। আশাকরি, আপনার অর্থ,সময় ও শ্রম বৃথা যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা সকল শিশু-কিশোর উপন্যাস গুলির মধ্যে আমিতপু অন্যতম।এখানে তপু নামের একটি মেধাবী চরিত্রের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।তার বাবা তার জন্য ক্রিকেট ব্যাট কিনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার মা তার বাবার দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও বহুল হয়ে পড়েন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তপুকে তার বাবার হত্যাকারী হিসেবে দোষ দিতে থাকেন। তপুর মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায়। সে তপুকে ঠিকমতো দেখভাল করত না। তপুর ভাই-বোনেরাও তাকে ধীরে ধীরে ছেড়ে চলে যেতে থাকে। তপু ধীরে ধীরে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে।তবে তপুর এক সহপাঠী এবং তারই এক নিকটবর্তী লোকের সাহায্যে সে আবার জেগে ওঠে এবং সে গণিত অলিম্পিয়াডে একটি ভালো রেজাল্ট করে। সে তার হারিয়ে যাওয়া উদ্দীপনা আবার ফিরে পায়। কিন্তু তার মনের কোণে লুকিয়ে থাকা একটি কষ্ট তাকে বারবার আঘাত করে কেননা তার মা যে আর তাকে ভালবাসে না। হঠাৎ করেই তপু জানতে পারে তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং মৃত্যুশয্যায়। সে তার মাকে দেখতে হাসপাতালে যায়। আর সেখানেই তবু পায় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। তার মা আবার তাকে নিজের কোলে আগলে নেয়।তার মা তার সকল ভুল বুঝতে পারে এবং তপুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। আপনাদেরকে বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করবো।
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা আমার পড়া সেরা বই এর নাম যদি আমাকে বলতে বলা হয় তাহলে আমি চোখ বুজে এই বইয়ের নাম বলে দিব। একাকীত্ব নিয়ে জীবনযাপন করা এক কিশোর এর্ জীবন কাহিনী লেখা হয়েছে এই বইটিতে।অন্য সব বই থেকে একদম ভিন্ন ধরনের এই বইটি সকলেরই একবার হলে ও পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। একবার হলেও পড়ে দেখা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
One of my favourite books ❤
Was this review helpful to you?
or
কোনো কিছু বোঝার আগেই তপুর জীবনটা হঠাৎ করে পাল্টে গেলো চিরদিনের মতোই। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে,এক সময় তপু আবিষ্কার করে সে একা। একেবারেই একা। নি:সঙ্গ কিশোরের এই দুঃসহ জীবনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলো তার বিচিত্র সব সঙ্গী সাথী। তাদের নিয়ে সে কি পাড়ি দিতে পারবে তার বান্ধবহীন নিষ্ঠুর এই জীবন? "আমি তপু" নিঃসঙ্গ এক কিশোরের বেঁচে থাকার ইতিহাস। নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং ভালোবাসার ইতিহাস।
Was this review helpful to you?
or
কোনো কিছু বোঝার আগেই তপুর জীবনটা হঠাৎ করে পাল্টে গেলো চিরদিনের মতোই। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে,এক সময় তপু আবিষ্কার করে সে একা। একেবারেই একা। নি:সঙ্গ কিশোরের এই দুঃসহ জীবনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলো তার বিচিত্র সব সঙ্গী সাথী। তাদের নিয়ে সে কি পাড়ি দিতে পারবে তার বান্ধবহীন নিষ্ঠুর এই জীবন? "আমি তপু" নিঃসঙ্গ এক কিশোরের বেঁচে থাকার ইতিহাস। নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং ভালোবাসার ইতিহাস।
Was this review helpful to you?
or
jibone prothom kono boi pore kadchilam. jafar sir er oshadharon ek shristy. porar somoy mone hoto ami bujhi topu. topur maa ke mone hoto nijer maa. ending ta khubi emotional. eta amr kace exceptional legeche onk. bisesh kore hotat topur jibon palte jawata. math er proti topur interest amr kishor monkeo nariye diyechilo
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: আমি তপু লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৩ প্রকাশক: পার্ল পাবলিকেশন্স প্রথম প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা ২০০৫ মুদ্রিত মূল্য: ২০০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং: ৫/৫ অনলাইন প্রাপ্তিস্থান: রকমারি.কম ভূমিকা: কিশোর উপন্যাস মানেই হাসি-তামাসা, রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার মিশ্রিত উপন্যাস। কিন্তু এসব কিছু বাদেও একই ধারা বজায় রেখে যে একটি উপন্যাস শেষ করা যায়, এবং তা হয় পাঠকের মন ছুঁয়ে যাওয়া উপন্যাস! তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল 'আমি তপু' বইয়ের মধ্যে একজন বালকের জীবনের ঘটনা উল্লেখ করেছেন অভাবনীয় ভূমিকায়। যার কারণে শুধু বইটাই নয়, প্রতিটা শব্দই প্রশংসার দাবিদার বলে মনে হয়েছে। কাহিনী আলোচনা: বালকটির পুরো নাম আরিফুল ইসলাম তপু। সকলে 'তপু' নামেই ডাকেন। মা-বাবা এবং ভাই-বোনের স্বচ্ছল পরিবার তপুদের। হেসেখেলে ভালোই পেরিয়ে যাচ্ছিল জীবন। কিন্তু একটা সড়ক দুর্ঘটনা এই সুখী পরিবারটাকে দুঃখের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। সড়ক দুর্ঘটনায় তপুর বাবা মারা যান। দূর্ঘটনার পর থেকেই তপুর জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহতা। তপুর বাবার মৃত্যুর জন্য তপুর মা তপুকে দোষারোপ করতে শুরু করে। তপু যেন তার মায়ের চোখের বিষ হয়ে ওঠে। তপুর নিজ ভাই-বোনের থেকে তার মধ্যে বিশাল পার্থক্যের দেয়াল তৈরি করে দেয় তার মা। তপুর ভাইবোন যখন দামি খাদ্য গ্রহণে ব্যস্ত তখন তপু বাসি ভাত নিয়ে বসে থাকে। মায়ের অত্যাচারে তপুর পড়ালেখায় মরীচিকা ধরতে শুরু করে। তপুর মানষিক পরিস্থিতি সাময়িক ভাবে লেখাপড়া থেকে দূরে সরে আসে। ক্লাসে সবসময় প্রথম হওয়া তপুর পাশ করা নিয়ে টানাটানি শুরু হতে থাকে। তপুর বসবাসের জন্য স্থান হয় রান্নাঘরের পাশে স্টোর রুমে। নিঃসঙ্গ জীবনে এই স্টোর রুমে তার বন্ধু হয় একটি ইঁদুর। তপুর মনে হতে থাকে, এই গোটা দুনিয়াতে ইঁদুর আর কাজের বুয়া ছাড়া কেউ তাকে ভালোবাসে না। কাজের বুয়া তপুর মায়ের অগোচরে তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। তপু স্টোর রুমে থেকেও তার মায়ের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তপু আবেগের বশবর্তী হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু তখনই স্কুলে তার 'প্রিয়াংকা' নামে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। প্রিয়াংকা তপুর মধ্যে গণিত বিদ্যার বিশালতা আবিষ্কার করে। যার কারণে নিয়মিত চর্চাতে তপু গণিতে আরো পারদর্শী হয়ে ওঠে এবং গণিত অলিম্পয়াডে অংশগ্রহণ করে। অলিম্পয়াডে প্রথম হয়ে তপুর আনন্দের বাঁধ ভেঙে যায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তপুর ছবি এবং নাম উঠে আসে। কিন্তু এমন খবরেও খুশি হতে পারেনি তপুর পরিবার। গল্পের শেষাংশটুকু লেখক মর্মাহত করেছেন। তপুর মা ক্যান্সারের কবলে পড়ে হাসপাতালের বিছানায় জীবনযাত্রা করতে থাকেন। কয়েক বছর পরে তপু তার মায়ের সামনে গিয়ে দাড়ালে তপুর মা আপ্লুত হয়ে কাঁদতে থাকেন। তপুও মাকে জড়িয়ে ধরে চোখের জল ফেলতে থাকেন। ঠিক তখনই তপুর মা পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে বিদায় নেন। পাঠ্যপ্রতিক্রিয়া: বইটা পড়ার পরে থমকে থেকে থেকে কেঁদেছি। আমার জীবনে পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি হলো 'আমি তপু'। লেখক এমনভাবে পুরো বই সাজিয়েছেন, যেন প্রতিটি পাঠকই মন্ত্রমুগ্ধের মতো আটকে থাকবেন সব শব্দের সাথে। ব্যক্তিগত মতামত: কিশোর উপন্যাসের অন্যতম স্বাদ পেতে হলে এই বইটি পড়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। এমন একটি বইকে অবসরের সঙ্গী হিসাবে পেতে আজই অর্ডার করে টেবিলে সিটবেল্ট বেঁধে বসে পড়ুন বইয়ের সঙ্গে ভাব জমাতে। ব্যক্তিগত রেটিং: ৫/৫ #আপনার_পঠন_প্রক্রিয়া_শুভ_হোক
Was this review helpful to you?
or
Osthir 1 ta boi,,,mind blowing....jst full,
Was this review helpful to you?
or
স্যারের লেখা অন্যতম সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
Bhalo
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ২০ বই : আমি তপু লেখক : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ধরন: শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনী: পার্ল পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৪৭ মুদ্রিত মূল্য :১৫০ টাকা। কাহিনী সংক্ষেপেঃ গল্পটা তের বছরের এক ছন্নছাড়া বালক আরিফুল ইসলাম তপুর। শরীরের বিভিন্নস্থানে কাঁটা ঘায়ের দাগ, নোংরা কাপড়, উষ্কখুষ্ক চুল এগুলোই তার বাহ্যিক বৈশিষ্ট। তার রাত্রি যাপন হয় তাদের বাসার রান্নাঘরের স্টোররুমে, খাওয়া-দাওয়াটাও সেখানেই। কোনো মতে টেনেটুনে আজ সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। নেই কোন বন্ধু-বান্ধব, আর পরিবার তো থেকেও নেই।কোন কিছু বোঝার আগেই তপুর জীবন হঠাৎ করে পাল্টে গেলো চিরদিনের মতোই। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে থাকে, এক সময় তপু আবিষ্কার করে সে একা একেবারেই একা। নিঃসঙ্গ কিশোরের এই দুঃসহ জীবনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল তার বিচিত্র সব সঙ্গী সাথী। তাদের নিয়ে সে কি পাড়ি দিতে পারবে তার বান্ধবহীন এই নিষ্ঠুর জীবন?আমি তপু নিঃসঙ্গ কিশোরের বেঁচে থাকার ইতিহাস। নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং ভালোবাসার ইতিহাস। তপুর বর্তমানটা এমন হলেও অতীতটা কিন্তু মোটেও এমন ছিল না। এক সময় তপু ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিল। পরিবারের সকলের আদরের মধ্যমণি হয়ে থাকত সে। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় হটাৎ এক দুর্ঘটনায় তপুর বাবা মারা যায়। তার পর থেকেই প্রেক্ষাপট বদলে যায়। আসলে তপুর মা কখনও এই দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারেনি। সে সমস্ত দায়ভার চাপায় তপুর ওপর। নানা রকম ভাবে নির্যাতন করতে থাকে তপুকে। তপুর শরীরে বিভিন্ন কাঁটা ঘায়ের উৎস এইসব নির্যাতনই। এক সময় তপুর জীবনে প্রিয়াঙ্কা নামের এক কিশোরীর আগমন হয়। প্রেক্ষাপট আবার বদলাতে থাকে। তপু আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, আবার জীবনকে ভালবাসতে শুরু করে, আবার দৌড়তে শুরু করে। এরপর কি হয়?? কোথায় গিয়ে দাড়াই তপু শেষ অব্দি?? পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের রচিত অন্যতম সেরা কিশোর উপন্যাস ‘আমি তপু’।লেখকের যতগুলো বই আমি শেষ করেছি তার মধ্যে এটিই আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়েছে। হয়তো খুব কম বই পাঠকই রয়েছে যারা এটি পড়েননি। যারা এখনও পড়েননি তারা খুব বড় কিছুই মিস করছেন। সময় নিয়ে পড়ে ফেলুন অসাধারণ এই বইটি। লেখক পরিচিতিঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন।
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমার প্রিয় মানুষের প্রিয় বই।
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য সব লেখা থেকে এই লেখাটি একটু ব্যতিক্রম। কিন্তু তারপরও এটি আমার মতে তার শ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। জীবনে যত উত্থান-পতনই থাকুক না কেন, শত বৈরিতা পেরিয়েও সুস্থ মস্তিষ্কের মায়ের যেমন ছেলের প্রতি ভালোবাসার একবিন্দু কমতি হয় না, ঠিক তেমনি ছেলেও কখনো পারে না তার মাকে ভুলে থাকতে। শৈশবে জীবনের কঠোরতা মানসিকভাবে একটি ছেলেকে কিভাবে বড় করে তোলে তা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই বইটিতে। উপন্যাসের শেষে মা ও ছেলের মহান ভালোবাসা ও মায়ের চিরবিদায় সকল পাঠকের হৃদয়ে গভীর হাহাকার সৃষ্টি করেছে - এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
Was this review helpful to you?
or
সেই ২০০৫ সনে পড়েছিলাম, এখনও মনে আছে,
Was this review helpful to you?
or
জীবন চলার পথে দুটি জিনিস বড় নাড়া দেয়। বন্ধু আর মা বাবা। গল্পটা সেই ছেলের যার সব ছিল। ছিল ভরপুর পরিবার, বন্ধু। একদিন সব পর হলো। শরতের কটুতিক্ত আকাশে ভাঙা গলায় ডাকা কাকের মতোই জীবনের খন্ড খন্ড আশা, সুখ, বেদনা আর অমিয় স্নেহের গল্প। চলুন নেমে পড়ি চুপচাপ। #কাহিনী_অল্প_টানি কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেন সব ভেঙে খানখান হয়ে গেল। বাবার মৃত্যুর পর মা তাকে টানছে না। বরং একটা হিংস্রাত্মক আক্রমনে বিষিয়ে দিল মন। বাবার মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করছে? তপু! ছেললেটা কি তার বাবাকে ভালোবাসত না? ঘটনাটা নিছক এক্সিডেন্ট ছিল। আর তারপরই শুরু হলো অকথ্য অত্যাচার। মাররধর। এভাবে বাঁচা যায়? কিন্তু সে বেঁচে রইল। তার গোলগাল চেহারাতে শত দাগ। চেহারা চুল জামা সব উদ্ভট, সবার মতে সে বখে গেছে। বস্তুত সামাজিক অন্তর্দৃষ্টি খুব তীক্ষ্ণ যে না তা তো জানা কথা। কিন্তু এসবের মাঝে স্কুলে সে পড়ত। একদিন একটা মজার মেয়ের সাথে তার পরিচয় হলো। মেয়েটা বেশ পাগলাটে। রাজাকার স্যারের মুখের ওপর কথা বলে আবার প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সাথে কি গুছিয়েই না কথা বলে! তারপর ক্ষ্যাপাটে মেয়েটা পড়ে যায় তপুর পেছনে। তপুর ও ভালো লাগতে থাকে বন্ধুহীর জীবনের আবার বন্ধুত্বের ছোঁয়া। ওদিকে প্রিয়াঙ্কা মেয়েটা ঝক্কি দিয়ে ওঠে। জেনে যায় তপুর সব! তারপর? ঠিক কি হয়? হঠাৎ কেনই বা সেদিনের বখে যাওয়া বলে রটে যাওয়া ছেলেটা স্কুলের মধ্যমনি হয়ে ওঠল? নিছক কাকতালীয়? ওদিকে মায়ের ব্যাপরটা কি হলো? আগের মতোই না বদলে গেল? গল্পটা বন্ধুতের, গল্পটা মায়ের, গল্পটা প্রিয়াঙ্কার, গল্পটা একান্তই তপুর আর তাদের যারা তাকে তপু বানিয়েছে। #প্রতিক্রিয়া জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস হিসেবে বেশ বিখ্যাত একটা বই "আমি তপু" যদিও বইটার গল্পেন প্লটটা ইংরেজি মুভি "the boy called it" থেকে কপি করার অভিযোগও আছে। সে যাই হোক, বইটার সাহিত্যমাণ বেশ ভালো। তাছাড়া ছোট ছোট ঘটনা গল্পটাকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে মেরে ফেলার পর বোনটা গিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে থাকে । বর্ণনার ভাষা অনবদ্য। চরিত্র নির্মাণে খুব দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন লেখক। সবগুলো চরিত্র স্বতন্ত্র গুণে গুণাম্বিত। অতিরঞ্জিত ঘটনা তেমন নেই। বাস্তবতা আর লেখনী দুই মিলে বানিয়েছে আমাদের তপুটাকে। প্রিয়াঙ্কা মেয়েটা একটা অসম্ভব বড় মাপের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। গল্পের দ্বিতীয় গুরুত্ববাহী চরিত্র এটি। তার মতো করে ভাবতে পারাটা আসলে আমাদের সবার উচিত। এবার আসি বইটার কিছু নেগেটিভ দিকে। প্রথমত জাফর ইকবালে কিশোর উপন্যাসের প্যাটার্ন প্রায় এক রকম। এটাও তার ভিন্ন কিছু না। তাছাড়া কিছু জায়গাতে উনি গল্পটা টেনেছেন অযথা। যদিও সেটা অগ্রাহ্য করা যায়। তপু ছেলেটার চরিত্রে যেই দ্বৈততা দেখাতে চেয়েছেন লেখক তা আরেকটু রয়ে সয়ে দেখানো যেত। বাঙলা সাহিত্য জগতে লেখকদের সবচেয়ে কমফোর্ট জোন হলো প্রথম পুরুষে লেখা। বইটাও তেমনি। এধরনের লেখা পড়তে সবারই ভালো লাগে। আর এই গল্পে অনেকটা আবেগ দিয়ে চরিত্রগুলো নির্মান করা হয়েছে। সেগুলো সবার মন ছোঁয়ে যাবে অবশ্যই। আর একটু আধটু কান্না যদিও করেন তাতে কিছু এসে যায় না। কান্নায় আবেগ বাড়ে, চরিত্রগুলোকে ভালোবাসা যায়
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাসঃআমি তপু লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনঃপার্ল ধরনঃশিশু কিশোর উপন্যাস মুল্যঃ১৫০ টাকা কিশোর অবস্থায় থাকাকালীন সময়টা খুবই আনন্দের হয়ে থাকে,, জীবনের সবথেকে সুন্দর স্মৃতিগুলো আমরা এই সময়টাতেই স্মৃতির পাতায় সংরক্ষন করে থাকি,, কিন্তু এই স্মৃতিকালীন জীবনটা যদি হঠাৎ করে এলোমেলো হয়ে যায় তখন?? কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব এলোমেলো হয়ে গেলো ভাবতেই কেমন লাগছে না?? আচ্ছা এই পৃথিবীতে সন্তানের কাছে সব থেকে আপনজনের কথা যদি বলি তাহলে সেটা কে?? বাবা?? নাকি মা?? উত্তর টা আমার মনে হয় বেশীরভাগক্ষেত্রে মা ই আসবে।।। কিন্তু এই মা যদি হঠাৎ করে সবথেকে নিকৃষ্ট আচরন করা শুরু করে,,যদি হয়ে ওঠে পৃথিবীর বড় শত্রু,, কি হবে তখন মনোভাব টা?? কেন করছেন মা এরকম?? একাকীত্ব ব্যাপারটা খুবই খারাপ জিনিষ,, কিন্তু সেটা কতটুকু মর্মান্তিক হতে পারে যখন কাছের মানুষগুলো এরকম আচরন করে?? তাহলে তপুর জীবনের সুন্দর মুহুর্তের কি অবসান ঘটেই গেলো?? সে কি হারিয়ে গেলো অন্ধকার কোন জগতে?? নাকি বন্ধু হয়ে কেউ এসেছিল তার জীবনে?? পরিবার ছেলেমেয়ের বেড়ে ওঠার জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে এই বইটি তার বাস্তব নিদর্শন।। এরকম অবহেলার মধ্যে তপু কি শেষ পর্যন্ত তার সেই পরিবারের সদস্য হয়ে টিকে থেকেছিলো,, নাকি শেষ পর্যন্ত মায়ের অবহেলার জন্য ঘর ছেড়েছিলেন!!! জানতে হলে পড়ুন "আমি তপু" পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ এটা সেই কিশোর উপন্যাস,,যা পড়ে আমার চোখের পানি আর বইয়ের পৃষ্ঠা একাকার হয়ে গিয়েছিল, স্যারকে হাজারও সেলুট এরকম একটা বই উপহার দেয়ার জন্য,, বইটি পড়ে কাদেনি এরকম বইপোকা আছে কিনা আমার সন্দেহ,, আর যারা পড়েননি,, নিঃসন্দেহে মিস করেছেন একটি চমকপ্রদ বই ,তাই দেরি না করে পড়তে বসে যান।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ ৪ পর্বঃ ২ বইয়ের নামঃ আমি তপু লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনীঃ পার্ল পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠাঃ ১২৩ মূল্যঃ ১৫০ টাকা। ভূমিকাঃ কিশোর উপন্যাস গুলো কিশোর বয়সে পড়লে ভালো অনুভব করা যায়। তবে কিছু বইয়ের আবেদন থাকে সারা জীবন। তেমনি একটি কিশোর উপন্যাস 'আমি তপু'। এর থেকে অর্জিত জ্ঞান বা লেখক যে বার্তা দিতে চেয়েছেন তা জীবনের যেকোন মুহূর্তে কাজে লাগতে পারে। লেখক পরিচিতিঃ মোহাম্মদ জাফর ইকবাল সম্পর্কে আশাকরি বেশি বলার প্রয়োজন নেই। তুমুল জনপ্রিয় এই লেখক সায়েন্স ফিকশন ও কিশোর উপন্যাস দ্বারা বাঙালি তথা বাংলাদেশী পাঠকের মনে স্থান করে নিয়েছেন। লেখকের জন্ম ১৯৫২ সালের ২৩শে ডিসেম্বর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে। তিনি বর্তমানে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। বইয়ের নামকরণঃ কেন্দ্রীয় চরিত্র তপুর নামেই বইয়ের নাম 'আমি তপু' রাখা হয়েছে। তপুর ভালো নাম আরিফুল ইসলাম। কাহিনী সংক্ষেপেঃ ১৩ বয়সী অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোর তপু। এই বয়সের আর পাঁচটা সাধারণ কিশোরের মত তপু না। তার জীবনযাত্রা বিশৃঙ্খলায় ভরা। কিন্তু তিন বছর আগেও তার একটি সুন্দর জীবন ছিল। হঠাৎ তপুর বাবার মৃত্যুর পর তার জীবন পাল্টে গেলো। তপুর মা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। পরিবারের অন্যদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করলেও তার সমস্ত ক্ষোভ তপুর প্রতি। খারাপ ছাত্রের বন্ধু কেউ হতে চায় না। তপুর কোন বন্ধু নেই। তাকে সবাই অন্য চোখে দেখে। সবাই রীতিমত তপুকে ভয় পায়। শিক্ষকরা তার উপর অসন্তুষ্ট। আগে পড়ালেখায় ভালো থাকলেও এখন সে অমনোযোগী ছাত্র। একদিন তপুদের স্কুলে নতুন এক মেয়ে আসলো। মেয়েটির নাম প্রিয়াঙ্কা। নিঃসঙ্গ তপুর জীবনে সে আশার আলো হয়ে বন্ধু রূপে এলো। তপুর অন্যান্য সহপাঠীদের মত প্রিয়াঙ্কা তপুর সাথে খারাপ ব্যবহার করে না। বন্ধুর মত তার সাথে মেশে। প্রিয়াঙ্কা খেয়াল করল তপুর মাঝে বিশেষ কিছু প্রতিভা আছে। সে তার প্রতিভা বিকাশিত করতে এগিয়ে এলো। বিশৃঙ্খল তপুর জীবনে ফিরে এলো শৃঙ্খলা। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ উত্তম পুরুষে লেখা উপন্যাস 'আমি তপু'। তপুর জবানিতে সমস্ত কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে আসার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই উপন্যাসের কাহিনী। কিভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও নিজেকে ভালো রূপে উপস্থাপন করা যায় তা দেখতে পাওয়া গেছে। নিঃসঙ্গ জীবনে একজন বন্ধুর একটু সহযোগিতা যে কাউকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে তা আমরা দেখেছি। উপন্যাসের প্রথমাংশে মূল চরিত্র তপুর জীবনের করুণ কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এতটাই করুণ যে কিশোর মনে এর প্রভাব পড়তে পারে। লেখক এদিকে একটু সহনীয় হতে পারতেন। উপন্যাসের মাঝের দিকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ আছে, এটা খুবই ভালো একটা দিক। কিশোরদের মাঝে দেশ প্রেম জাগ্রত হবে। তপুর মায়ের মত মা যেনো কারো না হয়, যিনি নিজের সন্তানকে চিনতে পারেননি; তাকে আগলে রাখতে পারেননি । প্রিয়াঙ্কার মত একজন বন্ধু সবার জীবনে আসুক যারা নেপথ্যে থেকে জীবন পাল্টে দেয়। 'আমি তপু' নিঃসঙ্গ এক কিশোরের বেঁচে থাকার ইতিহাস। নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং ভালোবাসার ইতিহাস। আমার মতে রেটিং ৪.৫/৫ রিভিউ লিখেছেনঃ মাইমুনা রহমান মুন
Was this review helpful to you?
or
অনেক কষ্টের
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা। বই:- আমি তপু লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনাঃ পার্ল পাব্লিকেশন্স ঘরানাঃ কিশোর উপন্যাস রকমারি মূল্যঃ ১৩২টাকা পৃষ্ঠাঃ ১২৩ রেটিং:- ৫/৫ মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা কিশোর উপন্যাস গুলোর মধ্যে 'আমি তপু' উপন্যাসটি একটু ব্যতিক্রম মনে হয়। তাঁর অন্যান্য কিশোর উপন্যাসগুলোতে থাকে একদল স্কুলগামী কিশোর এবং তাদের দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার! আর 'আমি তপু' অষ্টম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক কিশোরের একাকিত্বের গল্প। বেস্ট মোটিভেশনাল বুক বলা যায় "আমি তপুকে"। রিভিউ:- একটি হাস্যোজ্জ্বল দুরন্ত ছেলে আরিফুল ইসলাম তপু। তপু তখস ক্লাস ফাইভে। ক্রিকেট ব্যাট কিনতে গিয়ে রোড অ্যাক্সিডেন্টে বাবাকে হারায়। স্বামীর মৃত্যুতে তপুর মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং স্বামীর মৃত্যুর জন্য নিজের ছেলে তপুকেই দায়ী করে । তখন তপুর জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। নিজের মায়ের কাছ থেকেই নিগৃহতার শিকার হতে হয় তপুকে। মায়ের ভয়ে আপন ভাই বোনেরাও ছেলেটার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।! তিন বছরে তপুর জীবনটা যেন জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যায় । কাউকে মুখ ফুটে সে বলেনি , দিনের পর দিন , সে মায়ের মানুষিক এবং শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে থাকে। ক্লাসের একসময়ের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ফার্স্ট বয় ছিল সে। আজ তাঁর রোল হয়ে গেছে শেষ কয়েকজনের একজন। যত দিন যায়, তপুর কষ্ট বাড়তেই থাকে তপুর। তপুকি পারবে আবার প্রথম হতে???? কিন্তু কিভাবে?? তপু কি পারবে মায়ের ভালেবাসা ফিরে পাববে?? নাকি কখনো সুস্থই হবেন না। তহলে কি করবে তবু তপুর???? কি করে মায়ের ভালোবাসা ফিরে পাবে সে???? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসের সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। তার অসাধারন লেখনি প্রতিটি চরিত্রকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। গতরাতে বইটি পড়া শুরু করে ভেবেছিলাম রাত অনেক হলো এখন কিছু সময় পড়ে ঘুমাব। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাকি অংশ পড়বো। কিন্তু কখন যে বইটি শেষ হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। কি সুন্দর লেখনি জাফর স্যারের। এক নিশ্বাসে পড়ার মতো বই। পড়ার সময় কখন যযে চোখের কোনে পানি জমতে শুরু করে বুঝতেই পরি নি।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ আমি তপু লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠাঃ ১২৩ মূল্যঃ ১৩২৳(রকমারি) প্রকাশনাঃ পার্ল পাব্লিকেশন্স ধরনঃ কিশোর উপন্যাস কাহিনীঃ । আরিফুল ইসলাম তপু, জীবনের শুরু হবার আগেই হঠাৎ করেই বদলে গেল। ঠিক ১০ বছর বয়সে, ক্লাস ফাইভে থাকার সময় তার ক্রিকেট ব্যাট কিনতে গিয়ে একটা এক্সিডেন্টে তপুর বাবা মারা যান। মা কিছুটা মানসিক রোগী হয়ে পড়ে তার বাবার মৃত্যুর পর। মায়ের মনে একটা ধারণা হয়ে যায়, তপুই তার বাবাকে মেরে ফেলেছে।আর মা কে বোঝানোর বদলে তপুর ভাই-বোনেরা মা কে সাপোর্ট করে । কেউ তপুর উপর দিয়ে কি চলছে, সেই সময় তপু ঞ্জে এক্সিডেন্ট দেখেছিল, সেটা মাথায় রাখে না! আর তাই পরিবারে সবাই আছে তবু তপু একা, খুব একা! রান্নাঘরেই আশ্রয় নিতে হয় ছেলেটাকে। এমনি সময় ভালো থাকলেও মা তপুকে সামনে পেলেই মা হিংস্র হয়ে ওথেন। সহায় বলতে দুলি খালা। বছর তিন ধরে এই অত্যাচার সহ্য করে করে তপু খুব বেশি ডিপ্রেসড হয়ে পরে। এক সময় অনেক বড় এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। আর সেদিন তপুর সাথে পরিচয় হয় প্রিয়াঙ্কা নামের একটা মেয়ের! পাশে দাঁড়ায় তপুর। প্রিয়াঙ্কার আশ্বাসেই তপু নতুন করে জীবনটা দেখতে শুরু করে আর সেই রান্নাঘর থেকেই। কিন্তু এর মাঝে তপুর জীবনে আসে আরেক ঝড়। সেই ঝড় সামাল দিতে পারবে তপু? পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ আমি তপু বইটা ঠিক প্রথম কবে পড়েছিলাম মনে নেই। কিন্তু, মনে আছে কেবল শেষ দুই পাতা পড়তে গিয়ে যেভাবে কেঁদেছিলাম, পুরো বই জুড়ে তত কাঁদি নি। কেঁদেছি , কিন্তু শেষ দুই পাতা!!! স্যার এর অন্য বই থেকে বেশ আলাদা লেগেছে আমার কাছে এই বইটা। আমি তপু আর বৃষ্টির ঠিকানা। নিজে প্রিয় মানুষ হারানোর কষ্ট খুব ভাল মত বুঝি বলেই তপুর কষ্টটা কিছু হলেও বুঝেছি। কিন্তু ওর মায়ের অদ্ভুত আচরণ তার থেকেও বেশি কষ্ট দিয়েছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, আশেপাশেই কোন তপু হয়ত আছে, আবার পাশে প্রিয়াঙ্কার মত বন্ধু ও হয়তো আছে।এরকম সাপোর্ট পেলে সবার জীবন বদলে যেতে পারে। এই বই রেটিং দেয়া কঠিন। “””””চোখে পানি আর ঠোঁটের কোণায় একটু হাসি- এটি কী বিচিত্র একটি দৃশ্য!””””””” কোন কোন সময় আমাদের কেউ চোখে পানি আর ঠোঁটে হাসি এটে রাখতে হয়। রকমারিঃ https://www.rokomari.com/book/4967/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%81
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ আমি তপু লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠাঃ ১২৩ মলাট মুল্যঃ ১৫০ প্রকাশনাঃ পার্ল পাব্লিকেশন্স মানুষ কখনো ই একা থাকতে চায় না । সেই আদিম যুগ থেকে ই এই রীতি চলেছে আসছে । সমাজ বব্ধ হয়ে বাস করার । একা থাকা কষ্টের নয় । রবিনসন ক্রুসো ও একা থেকে ছিলেন । তার মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা ছিল এক দিন এই দ্বীপ ছেড়ে ফিরে যাবেন আপন ঠিকানায় । তার ইচ্ছে পুরণ হয়েছিল । ফিরে গিয়েছিলেন তার আপন ঠিকানায় । কিন্তু পৃথিবীতে কিছু মানুষ একা । সব কিছু থাকার পর ও একা ও নিঃসঙ্গ । তপু একজন ছাত্র । আর সাধারণ এর মত তার ও একটা পরিবার আছে । আছে মা,ভাই, বোন সব । কিন্তু বাবা হ্যা, বাবা নেই । তার ভেতর একটা প্রতিভা আছে সে নিজেও জানে না । আদৌ কি তার প্রতিভা বিকোশিত হবে । প্রিয়াঙ্কা নতুন স্কুলে এসছে । সব কিছু আগ্রহ ভরে দেখছে । কিন্তু ভাবেনি তার সাথে ঘটে যাবে অন্য রকম কিছু । হয়ত জীবনের উৎসাহ হিসেবে পাবে কাউকে । দিতে পারবে জীবনের নতুন দিক । তার জন্য হয়ত বেচে যাবে একটা জীবন । শুরু হবে নতুন কিছু । অনেকের রিভিউ পড়ে আমি এই বইটা ওর্ডার করি । একটা উত্তেজনা নিয়ে শুরু করেছিলাম বই টি । কিন্তু খুব দ্রুত শেষ হবে ভাবিনি । একটু বেশি দ্রুত শেষ হয়েছে । একটু ভাবনার খোরাক যোগাতে পারেনি । তবে কিশোর উপন্যাস হিসেবে দারুন । তবে সমাপ্তিতে কেন জানি ভালো লাগেনি । অন্য ভাবে সমাপ্তি দেয়া যেতো । যদিও লেখক এর উপর সব নির্ভর করে । কিন্তু সমাপ্তি ছাড়া বইটা উপহার দেয়ার মত ।
Was this review helpful to you?
or
Just awesome! 3 I love this book! :)
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ আমি তপু লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনীঃ পার্ল পাবলিকেশন্স মূল্যঃ ১৫০ টাকা (রকমারি মূল্য ১১৩ টাকা) . তপুর বাবা নেই। . এই ব্যাপারটিই হয়তো উপন্যাসে চঞ্চলতা আনার জন্য মূখ্য ছিল। . তপু একসময় ছিল পরিবারের সবার আদরের মধ্যমণি। স্কুলে নিজের ক্লাসের সেরা ছাত্র। ভাল ছেলে হিসেবে প্রায় সব জায়গায়, সবদিকে তপুর ছিল বেশ পরিচিতি। সেই তপু হঠাৎ করেই গেল বদলে...... বাসায় কেউ আর আগের মত ভালবাসেনা তপুকে। মায়ের দুই চোখের বিষ যেন তপু! মায়ের অমানবিক অত্যাচারের মধ্যে যেন বাঁধা হয়ে গেল ছোট্ট তপুর দিন-রজনী.... যে মায়ের সবচেয়ে আদরের সন্তান ছিল তপু, সেই তপুই এখন যেন মায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু! ধীরে ধীরে তপুর চির চেনা পৃথিবী হয়ে যায় চির অচেনা..... কিন্তু কেন আর কোন সে গুরুতর অপরাধের জন্য তপু হঠাৎ করেই তার মায়ের কাছে অপ্রিয় হয়ে গেল? নামমাত্র পড়াশোনা করতে থাকে সে। ক্লাসের সেই সবচেয়ে মেধাবী আর শান্ত ছাত্র তপু হঠাৎ করেই কেন জানি পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ রেজাল্ট করতে লাগল। গুন্ডা হিসেবে পরিচিত হয়ে গেল কোন এক বিচিত্র কারণে! . এক কথায় হঠাৎ ঝড়ের মতন বদলে গেল তপুর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা.... তপু তখন বলতে গেলে পরিবারহীন, বন্ধুহীন। . একঘেয়েমি জীবন, মায়ের নির্মম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তপু যখন আত্মহত্যার চিন্তা বাদ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, ঠিক তখন সত্যিকার বন্ধু হয়ে পাশে আসে বিক্ষিপ্ত আনন্দ প্রদানকারী #প্রিয়াঙ্কা...... . তপুদের ক্লাস ছিল বলতে গেলে জোরপূর্বক সাম্প্রদায়িক, রবীন্দ্রনাথ বর্জিত এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে! এমন প্রাণহীন ক্লাস দিনের পর দিন চলতে থাকে তপুদের। সেই প্রাণহীন ক্লাসে কেমন করে তপুরা করতে পারবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা? . আসে গণিত অলিম্পিয়াড। আর যাই হোক, তপু তাদের ক্লাসের মধ্যে এমনকি সম্পূর্ণ স্কুলের মধ্যে অংকে ভাল। বলতে গেলে অংকই ছিল তপুর বেঁচে থাকার, ভাবার একমাত্র বিষয়বস্তু। কিন্তু বখাটে আর খারাপ ছাত্র তপুকে গণিত অলিম্পিয়াডে যেতে স্কুল থেকে অনুমতি দেয়া হলনা। এবার কিভাবে যাবে তপু অলিম্পিয়াডে? যাইহোক, কিভাবে কিভাবে যেন চলে যায় তপু গণিত অলিম্পিয়াডে! অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন হাতে নিয়ে তপু তো থ! এত সোজা প্রশ্ন! কিন্তু...... এত সোজা প্রশ্ন হওয়া সত্বেও তপু করতে পারে মাত্র একটা অংক!!! একটা অংক করে নিশ্চয়ই গণিত অলিম্পিয়াডে জেতা সম্ভব নয়.....? যাইহোক, পুরষ্কার ঘোষণার অপেক্ষায় সবাই.... . প্রিয়াঙ্কা হয়ে পড়ে আস্তে আস্তে ক্লাসের সবার ভাল বন্ধু। সবাইকে আনন্দ আর সারপ্রাইজ দিতে প্রিয়াঙ্কা নামের মেয়েটার কোন জুড়ি নেই! এখন ক্লাসের সবার কি উচিত না প্রিয়াঙ্কাকে একটা সারপ্রাইজ দেয়া? হ্যাঁ, যেই ভাবা সেই কাজ... সবার অনেক জল্পনাকল্পনার পর দাঁড় করায় প্রিয়াঙ্কাকে সারপ্রাইজ দেয়ার প্ল্যান.... তারপর কে যে সারপ্রাইজ দেয় আর কে যে সারপ্রাইজ হয়.... খোদাই মালুম...... . তপুর জীবন চলতে থাকে নিত্যদিনের যন্ত্রনায়..... মায়ের অত্যাচারে তপু কষ্ট পেলেও সে মনে মনে খোঁজে ফেরে তার সেই ছোট্টবেলার স্নেহময়ী মাকে... দিন-রাত চোখের জল ফেলে তপু মায়ের একটু আদরের জন্য। তারপর.......... . #পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ "আমি তপু" জাফর ইকবালের সেরা কিশোর উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম উপন্যাস। কেমন করে যে এমন অদ্ভুত অথচ সুন্দর লেখনী লেখক আমাদের উপহার দিতে পারলেন সেটা কেবল তিনিই জানেন। এই বই পড়ে অনেক পাঠক আছেন যারা খুব কেঁদেছেন। আমি কাঁদিনি, কিন্তু মন খারাপ করে বসে থাকার অবস্থা আমারও হয়েছে বই পড়ে... জাফর ইকবালের লিখায় একটা ব্যাপার সবসময় লক্ষণীয় আর সেটা হল #মুক্তিযুদ্ধ। প্রায় সব লিখায় মুক্তিযুদ্ধের একটা দিক আসবেই আর অবধারিত ভাবে মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে হলে আমার ভেতরে একটা কষ্ট জায়গা করে নেয়। এই লিখাটাও তার ব্যতিক্রম নয়, তপুদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা যখন ক্লাসে এসে একটা গল্প বলেন মুক্তিযুদ্ধের ঠিক তখন সেই করুণ যুদ্ধের গল্পটি পড়ে আমার চোখ ভিজে ওঠে... সত্যি এক অন্যরকম দুঃখের অথচ ভাল লাগার ছোঁয়া লাগা এক উপন্যাস #আমি_তপু পড়লে ভাল লাগবেই..... হ্যাপি রিডিং :)
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর অসামান্য এক সৃষ্টি - " আমি তপু " আমার পড়া জাফর ইকবাল স্যারের সম্ভবত প্রথম উপন্যাস আর এখন পর্যন্ত অন্যতম সেরা একটি উপন্যাস। বি.কে. সরকারি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আরিফুল ইসলাম তপু নামের এক কিশোরকে কেন্দ্র করে এরকম হৃদয় গ্রাহী উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব কমই আছে। -------------------------রিভিউ (Spoiler alert)------------- কিছু বই সম্পর্কে অনুভূতি আসলে রিভিউ বা রেটিং দিয়ে প্রকাশ করা যায় না ,আমি তপু সে রকমই একটি বই।পৃথিবীতে কারো সবচেয়ে কাছের মানুষ যখন তার শত্রু হয়ে যায় তখন তার থেকে কষ্টের আর কিছুই থাকে না , "আমি তপু" পড়ার পরে সে সত্য নির্মমভাবে বুঝতে পেরেছি। স্কুলে পড়ার সময় প্রথম এই বইটি পড়েছিলাম আর পড়া শুরু করার কয়েক পৃষ্ঠা পরেই তপুর জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ফেলেছিলাম। যখন তপুর মা তপুকে মারছিলো তখন মনে হতো নিজে ব্যথা পাচ্ছিলাম, তপু না যেন আমিই ইঁদুরছানার সাথে গল্প করছিলাম , চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছিলাম। মোহগ্রস্ততা মনে হয় একেই বলে ! গণিত অলিম্পিয়াডের ঘটনাটা কিছুটা অবাস্তব মনে হলেও যখন মাইকে তপুর নাম ঘোষণা করা হলো তখন মনে হল নিজেই পুরস্কার পেয়ে গেছি। - তপুর পরে যে চরিত্রটি সবচেয়ে বেশি পছন্দ তা হল প্রিয়াঙ্কা। যখন তপু জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলো তখন প্রিয়াঙ্কাই তাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায় । আর গল্পের শেষ অত্যন্ত মর্মান্তিক যা পড়ে চোখের পানি ধরে রাখা কঠিন।অনেক গুলো প্রিয় কথাও এই বইতে লেখা আছে যেমন " যার চোখের পানির কোন মূল্য নেই এই পৃথিবীতে তার থেকে হতভাগা আর কেউ নেই। " আবার "চোখে পানি আর ঠোঁটের কোণায় একটু হাসি - এটা কী বিচিত্র একটি দৃশ্য! " এ লাইনে যে অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে অসাধ্য। ছোটখাট অসঙ্গতি থাকলেও বইয়ের ইমোশনাল কন্টেন্টের কাছে সেগুলো তুচ্ছ। - এক কথায় , " আমি তপু " মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর অসামান্য এক সৃষ্টি যা সব ধরণের মানুষের জন্যই must read একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
better
Was this review helpful to you?
or
বইটি প্রথম যখন পড়ি তখন আমি ক্লাস এইটে। তখন নতুন নতুন জাফর ইকবাল পড়া শুরু করেছি, একটু একটু করে তার ভক্ত হওয়া শুরু করেছি। ঠিক এইরকম একটা সময়ে বইটা প্রথম বার পড়ি। রাত জাগার অভ্যাস আমার সেই ছোট কাল থেকে। বাসার সবাই ঘুমিয়ে গেলে তখন এইসব বই পড়তে বসতাম। কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্যকোন বই পড়া আমাদের বাসায় বারণ ছিল। খুব সম্ভবত রাত সাড়ে বারোটা কি একটার দিকে বইটা নিয়ে বসি। আমি তপুই প্রথম বই যেটা পড়ে আমি হাপুস নয়নে কেঁদেছিলাম। আমি তখন ক্লাস এইটে, বয়স ১৩। তপুও ক্লাস এইটে, তারও বয়স ১৩। পড়ার সময় মনে হচ্ছিল তপুর সাথে না, সব আমার সাথেই ঘটছিল। চোখের সামনে সব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম একটু খানি আদর, একটু খানি ভালবাসা পাওয়ার জন্য তপুর কি আকুতি; অবহেলায় অতিষ্ঠ হয়ে হয়ে বাড়ি ছেড়ে তপুর চলে যাবার সিদ্ধান্ত, স্কুলে গিয়ে প্রিয়ংকার সাথে দেখা, প্রিয়ংকার ডাক শুনে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে তপুর লাফ দেয়া, বুকের উপর একটা ইঁদুর ছানাকে বসিয়ে তার সাথে সুখ দুঃখের গল্প ককরা, গণিত অলিম্পিয়াডে তপুর চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া, প্রিয়ংকার সাথে তার ঘুরে ঘুরে আনন্দ বিতরণ, প্রিয়ংকাকে সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে ভড়কে দিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেয়া, তপুর শেষমেশ তার মায়ের কাছে ফিরে যাওয়া... ঠিক যেন পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি। একের পর এক আমার চোখের সামনে প্রতিটি দৃশ্য চিত্রিত হচ্ছে, আমি সব দেখতে পাচ্ছি, সব অনুভব করতে পারছি। জীবনে প্রথম কোন বই পড়ে এতটা জীবন্ত অনুভূতি পেয়েছিলাম। বইটা শেষ হতে হতে রাত ৩টা বাজে। সবাই ঘুমাচ্ছে এরমাঝে আমি হাপুস নয়নে কাঁদছি। বুকে প্রচন্ড কষ্ট, দুচোখে অঝোর ধারায় পানি... এখন মনে পড়লে হাসি পায়! আসলে ঠিক হাসি না, সেই পুরানো অনুভূতিটা ফিরে আসে। এতটা কষ্ট...
Was this review helpful to you?
or
Awesome book to read, to gift.
Was this review helpful to you?
or
it is tooooooo good!i just love it!
Was this review helpful to you?
or
ধন্যবাদ রকমারি , এর সকল বই Not Available করার জন্য। আশা এ সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকবে।
Was this review helpful to you?
or
অনেক পছন্দের একটি বই। সুন্দর গল্প, ছোটবেলায় পড়ে অনেক কান্না করেছিলাম। তপু নামে একজন কিশোরের জীবন এর বিভিন্ন তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে এখানে। ছোটবেলায় তপুর আবদারে ক্রিকেট খেলার ব্যাট কিনে দিতে যাওয়ার পথে ভয়ানক সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবার মৃত্যু ঘটে। তপুর মা এ ঘটনায় তপুকেই দায়ী করে৷ এরপর থেকেই মায়ের অনাদর, উপেক্ষা আর ঘৃণার মধ্যে দিয়ে বড় হতে থাকে সে৷ এই নিঃসঙ্গ কিশোরের বেচে থাকার করুণ কাহিনী বর্ণিত হয়েছে বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
amr jiboner pora sobcheye sundor golpo silo amo ei golpo pore onek bar kedeo felechi "ami topu" j golpo vlobasar j golpo nisthurotar ??
Was this review helpful to you?
or
Amazing book.i dont even buy this book from rokomari.com.But i feel something uncommon in my mind.how miserable a teenage life can be.the ending of this book make me cry and this book reading effect was till 1 month in my mind.but when i get time i read this story again and feel the same feeling when i read it first.
Was this review helpful to you?
or
khub vlo boi
Was this review helpful to you?
or
This book written by MUHAMMAD ZAFAR IQBAL is really amazing and exceptional book .Here Topu at first was misunderstood by his mother.He became depressed and tried to go away . But his friend Prianka at last inspired him and prepared him for math olympiad.Then his mother understood her mistake.This book is really awesome.
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু বই আছে যেগুলো পড়ার সময় বার বার চশমাটা খোলতে হয় চোখ মুছার জন্য।'আমি তপু' ঠিক সেই প্রকারের একটি বই।বইটা পড়েছিলাম আমার শৈশবে।বেচারা তপুর জন্য খুব কষ্ট লাগতো।মাঝে মাঝে তপুর অবস্থানে নিজেকে কল্পনা করতাম।অথচ বিষয়টা ছিল সম্পূর্ণই অযৌক্তিক। আজ অনেকদিন পর বইটি পড়তে বসলাম।আজও বার বার চশমাটাকে খুলতে হয়েছিল!
Was this review helpful to you?
or
তপুতে শুরু আমার স্বপ্ন আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি, স্কুল আর প্রাইভেট নিয়ে পার করছিলাম এক অগােছালাে জীবন। একদিন মুহম্মদ জাফর ইকবালের আমি তপু বইটা পড়া শুরু করলাম। এর আগে আমি কখনাে গল্পের বই পড়িনি। বইয়ের প্রথম কয়েকটা পাতা বেশ মনােযােগ দিয়ে পড়লাম। মনে মনে ভাবছিলাম, আমি গল্পের বই কেন পড়ছি? এর থেকে ভালাে অন্য কিছু করি... গান শুনতে পারি বা টিভি দেখতে পারি। তাছাড়া প্রাইভেটের। পড়াও শেষ হয়নি। এমন উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসছিল। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে এসব কিছুই আর রইল না। ধীরে ধীরে চলে গেলাম এক কল্পনার জগতে। বইয়ের প্রতিটি লাইন মুগ্ধ করছিল আমাকে। গল্পের বই যে এভাবে আরেকটা জগৎ তৈরি করতে পারে, তা কখনাে ভাবিনি। অসাধারণ এক চরিত্র তপু। তার পরিবারে সে অবহলিত, যা তাকে করে তােলে অসামাজিক। স্কুলের পরীক্ষাগুলােতেও তেমন ভালাে। করতে পারে না তপু। আশেপাশের মানুষও অবেহেলা করে তকে। স্কুল আর রান্নাঘরেই সীমাব্ধ তপুর জীবন। রান্নাঘরেই রাত কাটায় সে। তার মা তাকে ঘরে থাকতে দেয় না। তাই তার ভাই আর বােন মিলে থাকার। ব্যবস্থা করে দিয়েছে এখানে। এমন এক পরিবেশে বড় হতে হতেই তপুর এগিয়ে যায় রােমাঞ্চের দিকে। তােমরা একবার শুধু বইটি পড়াে, তারপর বুঝতে পারবে কেন কোনাে গল্পের বই না পড়া আমি একটা বইয়ে বুঁদ হয়ে গেলাম!
Was this review helpful to you?
or
One of the best novel for children by Zafar Iqbal sir.It's a story of a boy named topu who had lost his father in a accident.The story is really interesting and also emotional.Can be a great gift for children or teenagers.I think Bengali book lover child should obviously read this book once in his life.
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত চমৎকার একটি বই।এটি আমাকে এতটাই মগ্ন করেছিলো যে আমি একদিনেই পুরো উপন্যাসটা পড়ে শেষ করে ফেলি। গল্পের তপুর কষ্ট আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়।তার করুণ কাহিনীতে আমার চোখে পানি চলে আসে।বইটি পড়ার সময় আমি বার বার অনুভব করেছে কৌতূহল--এরপর কি হবে?আবার তপুর প্রতি এতো নির্মম অত্যাচার করায় তার মায়ের প্রতি আমার প্রচণ্ড রাগ ও হয়েছে।এটি আমাকে অনুভব করতে দেয় নি যে এটি সত্য ঘটনা নয়,এটি একটি উপন্যাস মাত্র।
Was this review helpful to you?
or
This book is definitely on my “top five favorites” book list, it is AMAZING! I want to request every person to gift this book between kids. I give the book 5 stars since I think it is important for other children.
Was this review helpful to you?
or
Sotti khub osadaron chilo golpoti... Ami topo' ei golpo ti jeno sudu ekjon topo noy hazaro topor porichoy bohon kore.. obohelito life a kivabe gore darano jay,,,ta ei boiti na porle bojtei partam na..school lifer frnd gulai best chilo..golpoti pore school lifer khota mone pore gelo...sei School lifer frnd gulake khub miss korsi....Finally,,boiti pore lekhok er proti srodda aro bere gelo..
Was this review helpful to you?
or
আমি বরাবর-ই জাফর ইকবাল স্যারের ভক্ত। প্রতি বইয়ের মতো এই বইটিতে অ্যাডভেঞ্চারের মতো কিছু ছিল না। বইটিতে ছিল শুধু তপুর কথা। যেখানে ছিল শুধু একাকিত্বতা। বইটি পড়ার সময় যে কত বার চোখ দিয়ে পানি পড়েছে তা বলে শেষ করতে পারব না। একজন মা মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর তার ছেলেকে সে যেভাবে অত্যাচার করে তার করুন দৃশ্য ফুটে ওঠে এই বইয়ে।
Was this review helpful to you?
or
বই:-আমি তপু লেখক:- মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরন:- শিশুকিশোর উপন্যাস মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা সম্পর্কে কম বেশি ধারণা সবারই আছে। আজ আমি বলতে এসেছি “আমি তপু” উপন্যাস সম্পর্কে। তার লেখা সম্পর্কে না বলাই ভালো কারণ সবাই জানে তিনি অসাধারণ লিখেন। “আমি তপু” উপন্যাসে,“তপুর বাবা মারা যাওয়ার পর কোন কিছু বোঝার আগেই তপুর জীবনটা হঠাৎ করে পাল্টে যায় চিরদিনের মতোই।তপুর মা তপুকে একদম সহ্য করতে পারে না। তপু তার মায়ের কাছেই যেতে পারে না। বিনা কারণে মার খেতে হয়। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে থাকে,এক সময় তপু আবিস্কার করে সে একা। একেবারেই একা। নিঃসঙ্গ কিশোরের এই দুঃসহ জীবনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় বিচিত্র সব সঙ্গী সাথী।সে যখন বাড়ি থেকে পালানোর চিন্তা করে তখনই প্রিয়াঙ্কা নামক বান্ধবী তপুর জীবনে এসে তপুর জীবনকে বদলে দেয়। সফলতার পথ দেখায়।" এই উপন্যাসে দুইটা জিনিস খুবই বাজে লেগেছে আবার দুইটা চরিত্র অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বেশি ভালো লেগেছে তপুর ইঁদুরের সাথে বন্ধুত্ব হওয়াটা। খারাপ লাগার মধ্যে একটা হলো,“গল্পে মায়ের চরিত্রটা খুব বাজে লেগেছে!একটা মা কখনোই এমন ব্যবহার করতে পারেন না যেমন ব্যবহার তুলে ধরেছেন।" আরেকটা হলো তেরো বছরের ছোট ভাই পরিবারের সবার চোখের মণি থাকে। যতো যাই হোক ছোট ভাই ভালোবাসা পাবেই। কিন্তু তপুর বড় ভাই ও বোন তপুর দিকে খেয়ালই করেন না। এটা কিভাবে হয়? ভালো লাগার বিষয়টি হলো,“প্রিয়াঙ্কার চরিত্র এবং প্রিয়াঙ্কার বাবার চরিত্র প্রিন্সিপাল ম্যাডামের চরিত্রটাও অসাধারণ ছিলো। প্রিয়াঙ্কা মেয়েটি দারুণ চঞ্চল।ক্লাসের সবাইকে সে মাতিয়ে রাখে। বিক্ষিপ্ত ভাবে আনন্দ বিলিয়ে সে সুখ পায়। সে সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে চায়। বইটি পড়ার সময় আমার স্বপ্নের রানীকে প্রিয়াঙ্কার মতো কল্পনা করতে ভালো লাগতো। আসলে এখনো আমি চাই “আমি তপু” উপন্যাসের প্রিয়াঙ্কা মেয়েটির মতো কেউ আমার জীবন সঙ্গিনী হোক। আর প্রিয়াঙ্কার বাবা একজন লেখক তিনি অবলুপ্ত প্রানীদের নিয়ে লেখা লেখি করেন। তিনি অন্য সব বাবার মতো মেয়েকে বেধে রাখেননি। মেয়েকে খোলা আকাশে উড়তে দিয়েছেন। আর না বলি! আপনারা পড়ে নিয়েন। আমার কাছে উপন্যাসটি খুবই ভালো লেগেছে৷ তপুর দুঃখের কাহিনি পড়তে গিয়ে প্রায় কেঁদেই দিয়েছিলাম। চোখ টলমল করছিলো,এখনই যেনো চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসবে। সব মিলিয়ে দারুণ লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
আমি শুনেছি আমি তপু বইটি পরে অনেকে চোখের পানি ফেলেছে। আমি মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল এর সাথে আমাদের স্কুল এর পক্ষ থেকে আমি তপু নিয়ে সারের সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তিনি আসলেয় আকজন সফল লেখক। আমি তপু বইটিও অসাধারণ। মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল তরুন সমাজের চালিকাশক্তি।
Was this review helpful to you?
or
This was the first book I read that made me think about life really hard. It's story is so emotional. It's an amazing book. Once you start reading, it will become more intese. So, please do read it.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃআমি তপু লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনীঃপার্ল পাবলিকেশন্স মূল্যঃ১৭৬টাকা আমার পড়া জাফর ইকবাল স্যারের রচিত সেরা বইগুলির একটি। এটি পড়ে আমি বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম, তবে মুখ্য চরিত্র তপু গণিত অলিম্পিয়াডের চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠলে আমি হেসেছিলাম।একটি ঘটনার মুখোমুখি সুখী-ভাগ্যবান পরিবারের হৃদয় ছোঁয়া গল্প যা তাদের জীবনকে রাতারাতি উপরের দিকে নামিয়ে দেয়। গল্পটি তরুণ প্রতিভাবান কিশোর সম্পর্কে যেটি একটি সূক্ষ্ম পর্যায়ে যাচ্ছিল এবং তার মা তার সন্তুষ্টি হারানোর পরে বাড়িতে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন।এটা ঠিক এতোটাই আবেগ জাগিয়েছিল আমার মনে যার জন্য আমি তপুর কষ্টে কেঁদেছিলাম। শিশুতোষ গল্প হলেও "আমি তপু" ভিন্ন রকম চমকপ্রদ এক গল্প।
Was this review helpful to you?
or
Of all the other novels of Muhammad Zafar Iqbal I liked this one the most. The story is about Topu a junior high student who is brilliant in math , which is his only passion after his father died in road accident and his mother became mentally ill and starts to abuse him physically and mentally. Can Topu find light in the darkest time of his life?
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু একটি অসাধারণ বই।আমার খুবই ভাল লেগেছে।এখানে যেমন মায়ের ভালবাসার গুরুত্ত তুলে ধরা হয়েছে।তেমনি,বন্ধুত্তের গুরুত্তও বলা হয়েছে।দারুন একটা বই এইটা।
Was this review helpful to you?
or
কিশোর উপন্যাসের মধ্যে আমি তপু জাফর ইকবালের একটি অনবদ্য সৃষ্টি!! একটা ছেলের ভাল ছাত্র থেকে হঠাত খারাপ হয়ে যাওয়া !! ভাল একটি বন্ধুর সংস্পর্শে এসে দিন দিন আবার ভালো হয়ে যাওয়া !! কত চড়াই উতড়াই এর পর আবার সাফল্যের দেখা পাওয়া!! এই বইটি কিশোর দের জন্য প্রেরণামুলক একটা বই!! যারা লিখা পড়ায় মনযোগী না তাদের অনায়েশেই বইটি উপহার দেওয়া যায়!!
Was this review helpful to you?
or
কোন কিছু বোঝার আগেই তপুর জীবনটা হঠাৎ করেই পাল্টে গেলো চিরদিনের মত। দেখতে দেখতে তার আপনজনেরা দূরে সরে যেতে থাকে, এক সময় তপু আবিষ্কার করে সে একা। একেবারেই একা। নিঃসঙ্গ কিশোরের এই দুঃসহ জীবনে বন্ধুতের হাত বাড়িয়ে দিল তার বিচিত্র সব সঙ্গী সাথী। তাদের নিয়ে সে কী পাড়ি দিতে পারবে তার বান্ধবহীন নিষ্ঠুর এই জীবন? 'আমি তপু' নিঃসঙ্গ এক কিশোরের বেঁচে থাকার ইতিহাস । নিষ্ঠুরতার ইতিহাস এবং ভালবাসার ইতিহাস।
Was this review helpful to you?
or
I am a big fan of Jafor Iqbal sir....and it was the first book of jafor iqbal sir I read.....and this made me a huge fan of him....a great and sad story....Thanks for all of your work sir..
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল বইয়ের নাম:আমি তপু লেখক:মুহম্মদ জাফর ইকবাল বইয়ের ধরণ:শিশু-কিশোর উপন্যাস মুদ্রিত মূল্য:২০০ টাকা পৃষ্টা সংখ্যা:১২৪ প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০০৫ প্রকাশনী:পার্ল পাবলিকেশন্স প্রচ্ছদ:ধ্রুব এষ তপু ক্লাস এইটে পড়ে।তিন ভাইবোনদের মধ্যে তপু সবার ছোট।তপুর মা আছে,তবে তপুর বাবা মারা গেছে যখন তপুর বয়স ছিল দশ।তপু তার পরিবারের সকলের কাছে অবহেলিত।তপুর মা ও ভাইবোন তপুকে নিজেদের পরিবারের অংশ হিসেবে ধরে না।বিশেষ করে তপুর মা তপুকে দুচোখে দেখতে পারে না তপুর কোনো দোষ না থাকা সত্ত্বেও।এমনকি তপুর মা তপুকে নিজের ছেলে হিসেবে কারো কাছে পরিচয় দেয় না।একসময় তপু ছিল সবার প্রিয়,সবাই তপুকে প্রচন্দ ভালোবাসত।এখন স্কুলেও তপুর কোনো বন্ধু নেই।আগে তপু পড়াশোনায় অসম্ভব ভালো ছিল।এখন তপু পরীক্ষায় পাশ করবে কিনা তাই সন্দেহ।তবে এক দূর্ঘটনার ফলে সব বদলে যায়।এমন কি ঘটেছিল যার ফলে তপুর বর্তমানে এরকম অবস্থা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তপুর পারিবারিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটবে কিনা তা জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। আমার প্রিয় কিশোর-উপন্যাস বইগুলোর মধ্যে সবার উর্ধ্বে এই বইটির স্থান।জাফর ইকবাল স্যারের লেখা শিশু-কিশোর উপন্যাস বইগুলোর মধ্যে এই বইটি অন্যতম।তিনি বইটিতে সকল চরিত্রকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সফল হয়েছেন।তপু চরিত্রর সাথে আমার পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনে কোনো মিল না থাকা সত্ত্বেও বইটি পড়ার সময় একসময় আমি তপুর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা শুরু করেছিলাম,তপুর কষ্টগুলো আমি অনুভব করতে পারছিলাম।যাদের কিশোর-উপন্যাস পছন্দ তাদের বইটি অবশ্যই পড়া উচিত। ধন্যবাদ ব্যক্তিগত রেটিং-৪.৮/৫ রিদওয়ান সিদ্দিক
Was this review helpful to you?
or
One of the best book of jafar Iqbal . I loved it
Was this review helpful to you?
or
বই পড়ে মানুষ কাঁদতে পারে সেটা প্রথম উপলব্ধি করেছিলাম এই বই পড়ে ? এই গল্পের অরজিনাল আইডিয়া বাজকে দিল থেকে মোবারকবাদ জানাই ✌
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
বই : আমি তপু লেখক : মুহাম্মদ জাফর ইকবাল জনরা : শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনী: পার্ল পাবলিকেশন্স পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৪৭ মুদ্রিত মূল্য :১৫০ টাকা। . ভূমিকা: আমি তপু বইটির কথা শুনেছি অনেক। কিশোর মনের আকূল অনুভূতিসম্পন্ন এমন বই আগে কখনও পড়িনি। কিশোর উপন্যাসে জাফর ইকবালকে আরও একবার স্বার্থত ঔপন্যাসিক বলতে বাধ্য হয়েছি "আমি তপু" পড়ে। . লেখক পরিচিতি: লেখক পরিচিতি : জনপ্রিয় লেখক জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ আর মায়ের নাম আয়েশা আখতার খাতুন। উনার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। পূর্বে তার নাম ছিল বাবুল।জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করের। বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ এবং সাহিত্যিক আহসান হাবীবের ভাই। . নামকরণ: পুরো উপন্যাসটাই তপুময়। তপুর জীবনকে ঘিরেই বইটি। তপুর জীবনের সুখ দুঃখ, সাহসিকতা, তপুর আচার ব্যবহার এসবিছু নিয়েই রচিত হয়েছে "আমি তপু" উপন্যাসটি। নামটি খুব সাধারণ হলেও শতভাগ স্বার্থক হয়েছে নামকরণ। . কাহিনী সংক্ষেপ: ভালো নাম আরিফুল ইসলাম। ডাক নাম তপু। ছেলেটির জীবন হুট করেই পরবর্তিত হয়ে যায়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে তপুর নামের পাশ থেকে মেধাবী উপাধিটা উঠে গিয়ে বসে বখাটে উপাধিটা। শুধু যে পড়াশুনার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে তা নয়। তার সর্বোপরি অবস্থাই পরিবর্তিত হয়ে গেছে তিন বছরে। তার যেন কোন আপনজন থেকেও নেই। তার নিজের মা তাকে সহ্য করতে পারে না। আবার তার বড় ভাই ও আপুর সাথে তার মা ঠিকই ভালো ব্যবহার করে। তাকে থাকতে হয় স্টোররুমে। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা যা খায়, সে তা খেতে পারে না। তাকে খেতে হয় কাজের লোকের সাথে। খারাপ ছাত্র ও খারাপ মানুষ এই দুইয়ের থেকেই মানুষ দূরে থাকতে চায়। তপুর ক্ষেত্রেও তাউ হলো। সবাই তার থেকে দূরে থাকতে চায়। এমন নিঃসঙ্গ জীবনে যখন সে অতিষ্ঠ ঠিক তখনই তার এক বন্ধু জুটে গেল। সবসময় হাসিখুশি থাকা তপুর এই বন্ধুটির নাম প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা তপুর বেগতিক জীবনে গতি আনে। তপুর স্কুলের বাংলার শিক্ষক তাদের বাংলা পড়ায় না। তার মতে মুক্তিযুদ্ধ ভারতের সাজানো ঘটনা। ওই স্যার রবীন্দ্রনাথের কবিতাও পড়াতে নারাজ। তপু এই ব্যাপারে প্রিন্সিপাল ম্যাডামের শরণাপন্ন হলে ম্যাডাম বিষয়টি সমাধান করে। দুর্ঘটনায় শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রিয়াঙ্কার বাবা। প্রিয়াঙ্কা তপুকে বাসায় এনে তার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তপুকে প্রিয়াঙ্কার বাবা অনুপ্রাণিত করে ভালোভাবে বাঁচতে। তপু কী পরে ভালোভাবে বাঁচতে পেরেছিল? সেটি তো বই পড়লেই জানা যাবে। . পাঠ প্রতিক্রিয়া: উত্তম চরিত্রে লেখা উপন্যাসটির প্রশংসার ভাষা আমার জানা নেই। বইটি পড়ে মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে আরও একবার সেরা কিশোর ঔপন্যাসিক মনে হলো। দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদে মতো এটিও একটি মাস্টারপিস কিশোর উপন্যাস। বইটি পড়ে তপুর জন্য আমার মনের কোণে কোথায় যেন একটা ব্যথা অনুভব করি। একটা ছেলের জীবনে হুট করেই এমন অস্বাভিকতা মেনে নেওয়া কষ্টকর। পুরো বইটিতেই একটি ঘোর লাগা অনুভূতি কাজ করেছে। তবে কিছু কিছু জায়গার বর্ণনা পড়তে গিয়ে কেমন যে বেশি করে ফেলেছেন মনে হলো। উপন্যাসটিতো কৌশলে লেখক মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি তুলে এনেছে। যা বেশ ভালো লেগেছে। ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৮/৫ . রিভিউ লেখা : Tanjia Tania
Was this review helpful to you?
or
আমাদের সকলের জীবনেই একটা সময় আসে যখন আমরা একটা টার্নিং পয়েন্ট এর মধ্যে দিয়ে যাই। এই টার্ণিং পয়েন্ট এর সময় টাই নির্ধারণ করে দেয় ভবিষৎ কি হবে ।।।। এই সময়টা কেউ পারি দেয় বাবা মার বা ভাই বোন বা বন্ধুর হাত ধরে ।তপুর বাবা মারা যাওয়ার পর তপুর মার সাথেও তার দূরত্ব বেড়ে যায় এমন সময় তপু কিভাবে পারি দেয় তাই দেখিয়েছেন স্যার "মুহাম্মদ জাফর ইকবাল" তার "আমি তপু" বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের কাহিনী ক্লাস এইটে পড়া ছোট এক ছেলেকে নিয়ে যার নাম তপু। জাফর ইকবাল স্যারের অন্য কাহিনীগুলা থেকে এটা বেশ ব্যতিক্রম বলা যায়। অন্য কিশোর উপন্যাসগুলোর কাহিনীতে দেখা যায় বেশ কিছু স্কুলগামী বাচ্চাদের গল্প, তাদের অ্যাডভেঞ্চারের গল্প। কিন্তু এই গল্প সম্পূর্ণ আলাদা। এই গল্প একাকিত্বের গল্প। হুম তপু ছেলেটা খুব একা। ওর মা, ভাই-বোন থেকেও কেউ নেই। কারণটা খুব অদ্ভূত। একদিন বাবার সাথে ক্রিকেট ব্যাট কিনার জন্য বাহিরে যায় তপু। রাস্তা পার হওয়ার সময় এক্সিডেন্ট করে বাবা মারা যান। আর তারপর থেকেই একা হয়ে যায় তপু। কারণ ওর মা কিছুটা অ্যাবনরমাল হয়ে পড়ে বাবার মৃত্যুর পর। মায়ের মনে একটা ধারণা হয়ে যায়, তপুই তার বাবাকে মেরে ফেলেছে। এমনি সময় ভালো থাকলেও মা তপুকে সামনে দেখলেই কেমন যেন ক্ষিপ্র হয়ে উঠেন। প্রচন্ড মারেন তপুকে। তপুকে সহ্যই করতে পারেন না তিনি। তপুর বড় ভাই-বোন আর বাসার কাজের মহিলা দুলি খালা এসে না আটকালে হয়তো কখনো মেরেই ফেলতেন তপুকে। মায়ের ভয়ে একটা সময় ভাই-বোনরাও মুখ সড়িয়ে নেয় তপুর দিক থেকে। তিনটা বছর এই অমানসিক অত্যাচার সহ্য করতে করতে বিরক্ত তপু। আর কতো সহ্য করা যায়। তাই ঠিক করে সে পালাবে। এই বাসা ছেড়ে, মা, ভাইয়া, বোনকে ছেড়ে বহুদূরে চলে যাবে। পালানোর আগে ঠিক করে শেষবারের মতো একবার স্কুক থেকে ঘুরে আসবে। আর এখানেই ঘটে যায় এক কাহিনী। সেদিনই ক্লাসে এক নতুন মেয়ে আসে। প্রিয়াঙ্কা মেয়েটির। ঘটনাচক্রে তপুর সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বন্ধুহীন তপুর জীবনে এই বন্ধুর প্রবেশই বদলে দেয় তার জীবন। আর এভাবেই চলতে থাকে বইয়ের কাহিনী।
Was this review helpful to you?
or
One of the best books i've ever read.
Was this review helpful to you?
or
আমি প্রচুর বই পড়ি... তাই যখন প্রিয় বইয়ের নাম জিজ্ঞেস করা হয়, তখন আউলায় যাই! কত ভালো ভালো, সুন্দর, অসাধারণ বই'ই তো পড়লাম। এখন কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি!! তাই বলে দেই, 'হিমু সিরিজ' আর 'মিসির আলি সিরিজ'। তবে অন্য সব ভালো, সুন্দর এবং অসাধারণ বই থেকে একটি বই'কে সবসময় আগে রাখি, আর সেটা হল 'আমি তপু'। তপু ছিল এমন এক মেধাবী ছেলে, যে প্রতি পরীক্ষায় চোখ বন্ধ করে ফার্স্ট হয়ে যেত। শুধু তাই নয়... যে সেকেন্ড হতো, সে তপুর ধারে কাছেও থাকত না!! একটি দুর্ঘটনার পর, সেই ফার্স্ট বয়ের পাশ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল। স্কুলের স্যার ম্যাডাম এবং বন্ধু-বান্ধবেরা মনে করতে লাগল তপু হয়ত বখে গেছে! তবে প্রকৃত সত্য তপু ব্যতীত আর কেউ জানতো না। তপুর বাবা মারা যাওয়ার পর, তপুর মা'র মস্তিষ্ক বিকৃতি হয় এবং তিনি এজন্য তপুকে দায়ী করা শুরু করেন। ধীরে ধীরে তপুর জীবন দুর্ভিষহ করে তোলেন। তপু তাঁর পরিবার এবং ভাইবোন থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। তাঁর স্থান হয় রান্না ঘরের পাশের স্টোর রুমে!! তপুর বন্ধু বা আপনজন বলতে কেউ রইল না! তার বন্ধু বলতে রইল শুধু স্টোর রুমের ইঁদুর!! তখন তাঁর জীবনে প্রীয়াংকা আসে বন্ধু হয়ে। সে তপুর একাকীত্ব বুঝতে পারে। গণিতে তপুর প্রতিভা এবং আগ্রহ বুঝতে পারে। তপুকে উৎসাহিত করে। তখন ইঁদুরের সাথে তপুর বন্ধু হিসেবে যোগ দেয় প্রীয়াংকা এবং গণিত। শেষে তপুর জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসে গণিত অলিম্পিয়াড! তারপর থেকে শুধুই 'আরিফুল ইসলাম তপুর' সাফল্য। এই গল্পটি লেখক শেষ করেন, অত্যন্ত মর্মকাতরভাবে! এই উপন্যাসে জাফর ইকবাল স্যার দেখিয়েছেন, অ্যাডভেঞ্চার ছাড়াও কিশোর উপন্যাস লেখা যায়। আর সেটি এই মাত্রায় সফল হতে পারে! নিঃসন্দেহে 'আমি তপু' বাংলা সাহিত্যর অন্যতম সেরা বই। আর আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
কোনও অস্বাভাবিক এবং নেতিবাচক আচরণের প্রভাব আপনাকে হয়তো নিঃসঙ্গ করে দেয়... আপনি হয়তো জানতেও পারছেন না যে আপনার ভিতরেও কোনও না কোনও প্রতিভা অঙ্কুরিত হওয়ার অপেক্ষা করছে... হয়তো কেউ আপনাকে সেটা বুঝতে শেখায়... তারপর হয়তো কিছু মুহূর্ত আপনার জীবনে ক্ষণিকের জন্য আসে যার জন্য আপনি সারা জীবন অপেক্ষা করে আছেন... জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ একটি বই...
Was this review helpful to you?
or
ব্যাতিক্রমধর্মী উপন্যাস "আমি তপু" তে মুহম্মদ জাফর ইকবাল তুলেধরেছেন তপু নামের এক কিশোরের নিঃসঙ্গতা আর তার প্রতি নিষ্ঠুরতার ইতিহাস।জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে জয় করার ইতিহাস।আমাদের আশে-পাশে তপুর মতো এমন অনেকেই আছে যাদের স্থান পেছনের বেঞ্চে।আমরা তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্ঠা করি কখনো তাদের পিছিয়ে পরার কারণ খুঁজি না "আমি তপু" উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই দূর্ঘটনায় তপুর বাবার মৃত্যুর পর মায়ের চোখের বালি হয় তপু।তার বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে তপুকে।শুরু হয় তপুর উপর নির্মম অত্যাচার যেখানে নিরব দর্শক তপুর ভাই-বোনও।তার কাছ থেকে দূরে সরে যায় সবাই। পাল্টে যায় তপুর জীবন।কিন্তু একদিন তার বন্ধু হয়ে যায় ক্লাসের নতুন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা।সে তাকে উৎসাহিত করে জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে।অনেক চেষ্ঠা করে গণিত অলিম্পিয়াডে তপুর নাম দেয় প্রিয়াঙ্কা।সেখানে অসাধারন মেধার পরিচয় দিয়ে তপু হয় চ্যাম্পিয়নদের চাম্পিয়ন।এগিয়ে আসে তার বন্ধু-বান্ধব আর শিক্ষকরা।কিন্তু এত কিছুও তপুকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি তার হারানো মাতৃস্নেহ।অবশেষে মায়ের মৃত্যুশয্যায় তপু ফিরে পায় হারানো মাতৃস্নেহ। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় নি তপুকে বুকে জড়িয়ে ধরেই এ পৃথিবী ছেঁড়ে যায় তপুর মা।
Was this review helpful to you?
or
I think this is one of the best creative work of JAFOR IQBAL sir.He is an amaizing writter.In this book the pain of a little boy has described very painfully.
Was this review helpful to you?
or
Jafor Iqbal sir er lekha amar favorite boi ati.Topu namer akti chaler koshter kahini hol ami topu.boiti soro hoiachilo koshto dia shasho hoiache koshto dia.
Was this review helpful to you?
or
kono kono boi ache manusher kharap somoy pase darate pare eti serokom ekti boi.math olimpiade zara participate korben tader boiti pora dorkar........................
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ের সবটাই অসাধারণ তবে প্রিয়াঙ্কা চরিত্রটা একটু বেশিই অসাধারণ.... বইটার তপু চরিত্রটি কী আসলেই বড় হয়ে ম্যাথমেটিশিয়ান হতে পেরেছিল কিনা তা জানতে খুব ইচ্ছে হয় আমার কিন্তু বইটা তো অসমাপ্ত........)
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমি জানি না আমার চোখের জলগুলো খুব সস্তা কি-না! তবে সস্তা হোক আর দামী হোক এই বইটা সেই জল চোখ থেকে বের করলো। জাফর ইকবাল স্যারের বই আমি এই প্রথম পড়ছি। তাঁর লেখা গল্পে সিনেমা দেখেছি দুটো। একটা দিপু নম্বর টু আরেকটা আমার বন্ধু রাশেদ। সিনেমা দুটোই আমার বেশ লেগেছে। এতোটাই ভালো লেগেছে আমি সিনেমা দুটোই কয়েকবার করে দেখেছি। তবে এরপরও জাফর ইকবাল স্যারের বই কিনে হোক কিংবা ধার করে হোক কখনো পড়া হয়নি। এই প্রথম আমি তপু বইটি পড়েছি। আমি বোধহয় সবচেয়ে সেরা বইয়ের একটি পড়ে ফেলেছি। যাইহোক বইটির গল্পটা আমার বুকে লেগেছে। মস্তিষ্কের একটা অংশে গল্পটা এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে। একটা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে একটা হৃদয়স্পর্শী গল্প তৈরী করতে পারা সহজ কথা নয়। এজন্য লেখকের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা অনেকখানি। এবার আসি গল্পে। গল্পটা তপুকে ঘিরেই। সে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাঁর পরিবার এবং স্কুল এদুটোকে কেন্দ্র করেই পুরো গল্পটা তৈরী। একটা ছেলের অসহায়ত্ব, একাকিত্ব এসবের মাধ্যমে তাঁর জীবনের পরিবর্তন একটা সুন্দর বার্তা দেয়। আমাদের পরিবার, প্রিয় মানুষগুলো যখন হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যায়, অত্যাচার করে, দূরে সরে যায় তখন আমরাও অনেকটা পরিবর্তন হয়ে যাই। চুপচাপ হয়ে যাই, সবকিছু থেকে দূরে সরে যাই। একসময় একাকিত্বের সাথে বসবাস করতে করতে অন্যরকম হয়ে উঠি। যা সবার কাছে খারাপ হয়ে উঠা। গল্পটার একটা অংশ এমন বার্তা দেয়। গল্পের অরেক অংশ থেকে আরেকটা বার্তা পাওয়া যায়। সেটা হচ্ছে, আমাদের জীবনের পরিবর্তনটাও কেউ না কেউ এসে করে দেয়। নিজে নিজে কখনও পরিবর্তন হওয়া যায় না। সেজন্য প্রয়োজন সাহস দেওয়ার মানুষ, ভালোবাসা, ভরসা, উৎসাহ। আর এসবের মাধ্যমেই একজন হেরে যাওয়া মানুষ জিতে যেতে পারে। তবে এই গল্পের শুরুতে তপুর কষ্ট দিয়ে শুরু, কিন্তু শেষটা কি দিয়ে শেষ হলো সেটা বলতে পারছি না। তবে শেষটা আমার কাছে স্তব্ধতা, চোখের জল গড়ানোর মতোই মনে হয়েছে আমার। আমার পড়া সেরা বইগুলোর একটি এটি❤️। পুরো বইয়ের সবকটি লাইনই বুকে লেগেছে। তবে সেখান থেকে এই লাইনটা নোট করে রাখলাম। এই গল্পের এই প্রশ্নটা সত্যি খুবই হৃদয়স্পর্শী। [ পছন্দের লাইন ]? @“কোনটা ভালো? শরীর অবশ হয়ে যাওয়া নাকি মন অবশ হয়ে যাওয়া?” সবশেষে বলতে চাই, বই পড়ুন, বই উপহার দিন, বই কিনুন। © আজহার মাহমুদ (রিভিউ লেখক)
Was this review helpful to you?
or
'আমি তপু' মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একটি কিশোর উপন্যাস। প্রিয় এই লেখকের যতগুলো বই পড়েছি সবগুলোই আমার মস্তিষ্কে টাগ টেনে দিয়ে গেছে। এমনই একটি বই নিয়ে আজ আলোচনা করছি। ১৩ বছরের ছেলে তপু। আরিফুল ইসলাম তপু। ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। নিজেকে সে দাবি করে তার বয়স চল্লিশ। চল্লিশ বছর বয়স দাবি করার কারন─ তার শেষ ৩ বছরের একেকটি বছর পার হতে সময় লেগেছে ১০ বছরের মত। কারন ৪০ বছরের একজন মানুষ যেভাবে চিন্তা চেতনা ও অভিজ্ঞতার মধ্যে দিন যাপন করে তপুও সেই চিন্তা চেতনা, অভিজ্ঞতা ও কষ্টে দিন যাপন করেছে। এবং এই ৩ বছর তাকে থাকতে হয়েছে অবহেলিত, অসহায় ও এতিমের মত। এবার আসি তার জীবনের মূল গল্পে। তপুর যখন ১০ বছর তখন ক্রিকেট খেলার জন্য তার বাবার কাছে ব্যাট আবদার করে। পিতা সেই আবদার রাখতে গিয়ে প্রাণ হারায়। ব্যাট কিনে ফেরার পথে তার পিতা একটা এক্সিডেন্টে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার মায়ের ধারনা তপুর কারনেই তার স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে। তপু ব্যাট কিনতে না চাইলে তাঁর স্বামী এখনো বেঁচে থাকতো। সুতরাং তার স্বামী মারা যাওয়ার পিছনে তপুই দায়ী। তখন থেকেই শুরু হয় তপুর জীবনে নির্মম আচরণ ও নির্যাতন। তার সঙ্গ দেবার মত অনার্স পড়ুয়া ভাইবোন দুটিও পাশে থাকেনা। পাশে থাকেনা তার ক্লাসের বন্ধু বান্ধবরাও। শুরু হয় তার নিসঙ্গ জীবন যাপন। ভাগ্যে তার একটি বিছানাও জোটে না। তাকে থাকতে দেওয়া হয় স্টোর রুমের অগোছালো মেঝেতে। সেখানে প্রতিরাত ১০টায় একটা ইদুর আসত। একাকীত্ব কাটাতে তপু সেই ইদুরটির সাথে বন্ধুত্ব পাতে। রাতে ইদুরটিকে রুটি খেতে দেয়, তার সাথে কথা বলে। এদিকে তার মায়ের নির্যাতন চলতেই থাকে। যদিও বাসায় তার খালা থাকত, তবুও খালার সাপোর্ট পেতো না । পেতো না বললে ভুল হবে। খালাকে তপুর মা সাপোর্ট দিতে দিতো না। তবুও ভয়ে ভয়ে খালা তাকে এক আধটু হেল্প করত। কিন্তু তা সীমিত। অসহায় তপু নির্যাতন আর অবহেলা সহ্য করতে করতে না পেরে একসময় বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করে। একেবারেই পালানো। যেদিন পালাবে সেদিন শেষ বারের মত তার প্রাণপ্রিয় স্কুলটিকে দেখতে যায়, আর তো কোনোদিন এই স্কুলে আসা হবে না তাই। যেদিন পালাবে ঠিক সেদিন স্কুলে প্রিয়াংকা নামের এক নতুন বান্ধবীর সাথে তপুর পরিচয় হয়। প্রিয়াংকার অমায়িক ব্যবহার ও ব্যক্তিত্ব তপুর ভালো লেগে যায়। সে নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকে এই তুচ্ছ, অপরাধী ও সঙ্গীবিহীন একটা ছেলের মাথায় কেউ বুঝি মিষ্টি বাতাস বয়ে দিয়ে গেলো। আর এই মিষ্টি বাতাসই তপুর জীবনের মোড় পাল্টে দেয়। সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। আজ না পালিয়ে কিছু দিন পর পালালে মন্দ হয় না। তপুর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে একদিনো সে সন্ধ্যাের আগে বাড়ি ফিরেনি─ শুধুমাত্র তার মায়ের ভয়ের জন্যেই। স্কুল ছুটির পর যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত। সন্ধ্যা হলেই চুপচাপ স্টোর রুমে ঢুকে পড়ত। বাড়ির অন্য কোনো রুমে যাওয়ার অধিকার তার ছিলো না। তপু পালানের জন্য তোষকের নিচে কিছু টাকা পয়সা জমা করেছিলো। একদিন তার মা হঠাৎ দেখতে পেয়ে সব নিয়ে নেয়। তারপর বেল্ট দিয়ে তপুকে যে মারটা মারে তা বলে বোঝানোর মত নয়(কোনো সময় রড, স্কেল দিয়েও মারত)। মারের আঘাত দেখে স্কুলের সবাই ভাবতে থাকে তপুর মত রাস্তার ছেলে রাস্তায়ই মার খেয়েছে। প্রিয়াংকাও তাই ভাবে। তবুও তার মনে তপুর জন্য করুণার সঞ্চার হয়। একরাতে যথাসময়ে তপুর কাছে ইদুরটি চলে আসে। তপু জানায় টাকা না থাকার কারনে তার কাছে আজ রুটি নেই। ইদুর তার দুঃখ বুঝতে পারে। তবে তপু আর থাকবে না। এত দুঃখ কষ্ট সহ্য করার চেয়ে পালানোই ভালো। তপু ইদুরকে বিদায় বার্তা জানায়। ইদুর মন খারাপ করে। একদিন আচমকাই তপু পালিয়ে গেলো। ট্রেন ছিলো যাত্রী বোঝাই। ট্রেন কোথায় যাবে জানে না। তবুও সে ছাদের উপর চড়ে সে। ট্রেন হুইসেল দেশ। অর্থাৎ ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। এদিকে প্রিয়াংকা তপুকে ক্লাসে না পেয়ে তার বাসায় যায় খোঁজ করতে। বাসায় খালা তপুর জীবনের সব ঘটনা খুলে বলে প্রিয়াংকাকে। এরই মধ্যে হঠাৎ প্রিয়াংকা প্লাটফর্মে এসে হাজির। সে তপুর জন্য পাগলপ্রায়। কোনো মতেই তপুকে সে পালাতে দিবে না। সদ্য চলন্ত ট্রেন থেকে সেদিন তপুকে সে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। একদিন গণিত অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগীতার জন্য স্যার ক্লাসে আলোচনা করেন। ঠিক করা হলো ক্লাসের টপ ৩জন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু প্রিয়াংকা স্যারকে রিকোয়েস্ট করে তপুর নামও দেয়। এ নিয়ে ক্লাসে হাসি ঠাট্টার রেশ থামেনা- যে পড়ালেখায় অমনোযোগী সে করবে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ। তবে তপুর বিশ্বাস সে অংকে ভালো। নির্দিষ্ট দিনে দেশের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে শুরু হয় গণিত প্রতিযোগীতা। তপু মাত্র ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। বাকিরা ৪/৫ টা। মেধা তালিকা অনুযায়ী ৩জন প্রেসিডেন্টের হাতে পুরষ্কার পায়। তারপর স্পেশাল ভাবে একজনকে সোনার মেডেল দেওয়া হয়। যাকে বলে সেরার সেরা। এই সেরার সেরা হিসেবে তপুর নাম ডাকা হয়। ক্লাসের সবাই বিস্মিত হয়, কেউ কেউ ইর্ষাও করে। তবে সবচেয় বেশি যে খুশি হয় সে হলো প্রিয়াংকা। তপুর সেরার সেরা হওয়ার কারণ হলো─ সে যে অংকটি করেছে সেটি সবচেয়ে বেশি কঠিন এবং এটাতেই বেশি মার্ক। যা অন্যরা কেউ পারেনি। এমনকি স্বয়ং স্যারও এই অংকে অনভিজ্ঞ। এরপর তপুর প্রতিভা বিভিন্ন সংবাদ পত্রে ছাপা হয়, টিভি মিডিয়ায় দেখানো হয়। ধীরে ধীরে তার বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তপুর মার হঠাৎ করেই একদিন মাথায় টিউমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তপু চুপি চুপি তার মাকে দেখতে যায়। সরাসরি দেখলে তার মা রেগে গিয়ে অসুখ আরো বাড়তে পারে তাই সে কাছে যায় না। তবে মা ঘুমিয়ে থাকলে কাছে গিয়ে প্রাণ ভরে দেখে। কত্তদিন হলো শান্তি মত এই মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকার ভাগ্য হয় না তার। একদিন মা তপুকে ডেকে কোলে নিয়ে তার সাথে কয়েকটি কথা বললেন। কথাগুলো ছিলো এমন─ "তুই একটু সামনে দাঁড়া। তোকে দেখি" "আমি তোর উপর অনেক অত্যাচার করেছি তাই না?" তপুর উত্তর ছিলো, "না আম্মু করো নি।" "করেছি। আমি জানি। তোর আব্বু মারা যাবার পর আমার যে কি হয়ে গেলো আমি জানি না। আমি তোকে সহ্য করতে পারতাম না তপু" তপু আরেকটু কাছে গিয়ে বলেছিলো, "তোমার হাতটা একটু ধরি আম্মু?" আম্মু বললো, " ধরবি? ধর।" বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর আম্মু শেষে বলল, "আয় বাব আমার আরেকটু কাছে আয়।" আম্মু তাকে তার বুকের মাঝে টেনে নেন। আহা! কতো দিন, কতো রাত, কত যুগ ধরে তপু এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করেছিলো। তপুর কেনো জানি মনে হলো ছেড়ে দিলেই বুঝি আম্মু চলে যাবেন। তপু খোদাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু খোদা তপুর কথা শুনলেন না। তার মা তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ধরেই মারা গেলেন। বাইরে বন্ধুরা দাঁড়িয়ে ছিলো। তপুকে বের হতে দেখে প্রিয়াংকা তাকে নরম গলায় ডাক দেয়। তপু প্রিয়াংকার দিয়ে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করে। মা মারা গেলে একজন হাসে কেমন করে সেটা কেউ বুঝতে পারে না। মা মারা গেছে বলে তো সে হাসছিলো না। অনেকদিন পর শেষ পর্যন্ত সে তার মায়ের কাছে ফিরে গিয়েছিলো বলে হাসছিলো। কেউ সেটা বুঝতে পারে নি। শুধু প্রিয়াংকা বুঝতে পেরেছে। উপলব্ধিঃ জীবনে যে ক'টা বই পড়ে চোখ দিয়ে পানি পড়েছে তার মধ্যে এটিও একটি।
Was this review helpful to you?
or
বইটি আসলেই অনেক অসাধারণ। এই বই পড়ে চোখে জল আসেনি এমন বোধ হয় খুব কম মানুষের -ই হয়েছে....
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুব হৃদয় স্পরশক, একজন ১০ বছরের ছেলে হয়ে যে অনেক বড় ধরনের ধাক্কার সমক্ষিন হতে পারে এবং সেখান থেকে লড়াই করে সফলতা অর্জন করতে পারে, আমি এই বইটি পড়ে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ স্যার মুহম্মদ জাফর ইকবাল কে।
Was this review helpful to you?
or
আমার প্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি । মুহম্মদ জাফর ইকবালের "আমি তপু" একটি কিশোরের একা লড়াই করার কাহিনী । একটি কিশোর যার কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী নেই , সে কীভাবে জীবনের প্রতিটা কঠিন ধাপ কীভাবে অতিক্রম করে তা এই উপন্যাসে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। অসাধারণ একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ একটি আবিষ্কার। গল্পের প্রধান চরিত্র তপু নামক একজন ছোট প্রতিভাবান ছেলের । এবং গল্পের অন্যতম চরিত্র বা নায়িকা হলো মা হারা মিষ্টি ছোট মেয়ের । তপু এক দুর্ঘটনায় তার বাবাকে হারায় এতে তার মা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে । লেখক চমৎকার ভাবে তপু প্রতি তার মার অত্যচার ,ভাই-বোনের অবহেলা , বাড়ি ত্যাগ করা ব্যর্থ চেষ্টা , ইঁদুরের সাথে মিছি কথা বলা , পরিশেষে গনিতের সেরাদের মধ্যে সেরা হবার পুরষ্কার অর্জন করার মাধ্যমে মায়ের মন জয় করার এক অসাধারণ সৃষ্টি জাফর ইকবাল স্যারের আমি তপু বইটি ।
Was this review helpful to you?
or
রকমারি কে request করব,প্রত্যেক বইয়ের details এ এর page number দিতে।
Was this review helpful to you?
or
Jafor Iqbal er shohoj vasshota otulonio. shohoj vashay je abeg thake ta bojha jay. kannar abeg ami topu.
Was this review helpful to you?
or
একবার জাফর ইকবাল স্যারের সাথে দেখা হয়, কথাও হয়। ওনার সবগুলো বই পড়লেও সেদিন 'আমি তপু' র জন্য ধন্যবাদটা দিতে ভুল করিনি। বইটিতে কিশোর মনের বাস্তবিক অনূভুতি এতোটা প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে, যেন নিজের মনের কথা। আবারও ধন্যবাদ জাফর ইকবাল স্যারকে।
Was this review helpful to you?
or
বংলাদেশের কিশোর উপন্যাসকে যে মানুষটি একাই সমৃদ্ধ করে চলেছেন বলা যায়, তিনি মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর লেখা কিশোর উপন্যাস গুলোর মধ্যে 'আমি তপু'কে সবচেয়ে ব্যতিক্রম বলতে হয়। কেননা, অন্যান্য কিশোর উপন্যাসগুলোতে থাকে একদল স্কুলগামী কিশোর আর তাদের দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চারের গল্প! কিন্তু, 'আমি তপু' কেবলি একাকিত্বের গল্প; সম্ভবত এ কারণেই এ উপন্যাসটি আমার মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে এবং আমার প্রিয় একটি কিশোর উপন্যাস এটি! 'আমি তপু' উপন্যাসটি একটি হাস্যোজ্জ্বল দুরন্ত ছেলে আরিফুল ইসলাম তপুর নিজ জবানিতে ফুটে উঠা দুর্ঘটনায় বাবাকে হারানোর পর জীবনের চরম মেরুকরণে সৃষ্ট করুণ অভিজ্ঞতার স্বীকারোক্তি! তপুকে ব্যাট কিনে দিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তপুর বাবা আর স্বামী হারানোর চরম শোকে মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়া তপুর মা এ মৃত্যুর জন্য তপুকে দায়ী করে! তপুকে অসহ্য যন্ত্রণার মনে হয় মায়ের। কোন কিছু বোঝার আগেই তার জীবনটা হঠাৎ করে পাল্টে গেলো চিরদিনে মতোই। এখান থেকেই ভেঙ্গে পড়া শুরু তপুর। মেধাবী ছাত্র তপু পরিবারে তার অবস্থান হারিয়ে, হয়ে পড়ে অন্য স্বভাবের, তার অসহায়ত্বের ভাগিদার হয় না ভাইবোনরাও। তপুর জায়গা হয় রান্নাঘরের ফ্লোরে, মায়ের চোখের বালি হয়ে, ভাইবোনদের নীরবতায় কাতর তপুর সঙ্গী বলতে কেবল তপুদের কাজের বুয়া 'খালা' আর তপুদের রান্নাঘরের ইঁদুরটাই বলা চলে। অসহ্য যন্ত্রণায় বাসা থেকে পালিয়যেনযেন বাঁচে না যেন, আবার ধরা পড়ে ফিরে আসতে হয়। দিন যায়, তপুর কষ্ট বাড়তেই থাকে। একদিন স্কুলে আসা নতুন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা হয়ে উঠে তপুর বন্ধু, শুধু বন্ধুই না, খুব ভালো বন্ধু। প্রিয়াংকা তপুকে তার আগের অবস্থান ফিরে পেতে উৎসাহিত করতে থাকে। এমনিভাবে, একদিন তপুদের স্কুলে গণিত অলিম্পিয়াডের প্রতিযোগীর নাম জমা নিলে তপুর নাম নিতে স্যারকে অনেক অনুরোধে রাজি করায় প্রিয়াংকা। তপু সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। যে অংকটি কেউ পারেনি সেটিই করে তপু। বিচারকরা তপুকে প্রথম ঘোষণা করলেন! আনন্দে আত্মহারা তপুর ইন্টারভিউ দেখায় টেলিভিশনে,অথচ একটি ভাল রিমার্ক সে বাড়ির কারো কাছ থেকে পায়নি।। এরই মাঝে তপুর হৃদয়জোড়া জমে উঠা দুঃখ একদিন কূল ছাপিয়ে বন্যা আনে। সেই বন্যায় ভাসতে থাকা তপু জানতে পারে তার মা হাসপাতালে। সে যখন হাসপাতালে যায় তখন তপুর মা তপুকে কাছে ডেকে আদর করে! আহা!! হতভাগা মায়ের আদর! হতভাগা তপু! বেশিক্ষণ জুটলো না সে আদর তার কপালে। তপুর মা মারা গেলেন। তপুর মা মারা যাওয়াতে তপুর দুঃখের সাগর যেন আরও অতল হলো। কিন্তু তার চেয়ে বেশি দুঃখ হল তপুর, মায়ের আদর পেয়েও সে আদর আবার হারিয়ে গেল, চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেল। এই হল তপুর বেদনা-ভালবাসা, হারিয়ে গিয়ে ফিরে আসার উপাখ্যান। এমন খুব কম পাঠকই পাওয়া যাবে, যাদের চোখে 'তপু' পানি আনেনি। সত্যিই, ''আমি তপু'' বাবার মৃত্যু,মায়ের ভুল বুঝা, তপুর জীবনকে যতটা দুঃখে ভরিয়ে দেয়,যতটুকু শূন্যতা তপুর মনকে গ্রাস করতো, প্রিয়াংকার মত ভাল অনুপ্রেরণাদায়ক বন্ধু আর মায়ের শেষ মুহুর্তের ভুলের অবসানে এক ছিলতে আদরের টুকরো তপুর জীবনকে ঠিক ততটাই ভরিয়ে তোলে পূর্নতায়। মোটকথা, "আমি তপু'' অনন্য।
Was this review helpful to you?
or
এক নিঃসঙ্গ কিশোরের নির্মম একাকিত্বের কাহিনী "আমি তপু"। আরিফুল ইসলাম-তপু । বি.কে. সরকারি হাইস্কুলের ক্লাস এইটের ছাত্র । কেউ ভাবতেই পারবেনা,ক্লাস এইটে উঠতে উঠতে ক্লাসের একসময়ের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ফার্স্ট বয়ের রোল হয়ে গেছে আটচল্লিশ জনের মাঝে পঁয়তাল্লিশ ! তিন বছরে তপুর জীবনটা যেন জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে । কাউকে মুখ ফুটে সে বলেনি , দিনের পর দিন , তিনটা বছর সে শুধু সয়েই গেছে-অপমান,মারধোর,আরও কতকিছু । ক্লাস ফাইভে থাকতে তপুর ক্রিকেট ব্যাট কিনে দিতে গিয়ে রোড অ্যাক্সিডেন্ট এ মারা যান তপুর বাবা । হঠাত্ করে কেন জানি তপুর মা সন্দেহ করতে থাকেন তপুকে - 'তপুই খুন করেছে ওর বাবাকে । তপুর ব্যাট কিনতে না গেলে তো তপুর বাবাকে এভাবে মরতে হত না ।' প্রথমে তপুর কাছে যেন সবকিছু ঘোরের মতই মনে হত । তারপর ধীরে ধীরে তপু বুঝতে পারে বাস্তবতা । শুধু তপুর মা ই না , তপুর থেকে দূরে সরে যায় তার ভাই বোন ও । তপু হয়ে পড়ে একা । বড় একা । মাঝে মাঝে তপুর মা খুব ক্ষেপে গিয়ে তপুর উপর অমানুষিক সব নির্যাতন চালাতেন । তপুর শরীরের ক্ষত গুলো সহপাঠীদের কাছে তপুকে করে তুলত এক বখাটে ছেলে,যে প্রতিদিন মারামারি করে রক্তারক্তি পর্যন্ত করে ফেলে ! তপুও যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলতে থাকে নিজেকে । সহপাঠীদের ভেতরেও চরম একঘরে হয়ে থাকা এই ছেলেটার একটা বন্ধু হয়ে গেল-প্রিয়াংকা । সে কারও মত না , সবার থেকে আলাদা । তপুর সুখ-দুঃখ আর হাসি-কান্নার সাথী । নিঃসঙ্গ আধার জীবনে আলো হয়ে আসা তপুর একমাত্র বন্ধু । নির্মম বাস্তবতার মাঝেও চাপা থাকেনি তপুর অনন্য প্রতীভা । বড় বড় গণিতের প্রফেসর কে তাক লাগিয়ে দিয়ে তপু গণিত অলিম্পিয়াড এ চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল । দেশের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং তাকে সোনার মেডেল পরিয়ে দিলেন , তবু তপুর মা- ভাই-বোনের কোন ভাবান্তর হলনা ! সব নির্মমতার ই অবসান ঘটে । এ নির্মমতারও অবসান ঘটল আরেক নির্মমতা দিয়ে । তপুর মায়ের শরীরে ধরা পড়ল প্রাণঘাতী ব্রেন টিউমার । তপু বুঝতে পারে তার মা কখনোই সজ্ঞানে তপুর ওপর এসব নির্যাতন চালাননি । কোন মা ই তা করতে পারেন না , কোন মা ই নিজের সন্তানকে কোনদিন খুনী ভাবতে পারেন না । তপুর মা তপুকে বুকে জড়িয়ে রেখে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন । বহুদিনের এক নিঃসঙ্গতার সমাপ্তি সূচিত হল আরেক নিঃসঙ্গতায় । তবুও তপুর আক্ষেপের অবসান , মা তাকে বুকে জড়িয়েই পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন . . . .
Was this review helpful to you?
or
boita shomporke bolar moto kono kotha khuje pacchi na..jafar iqbal sir is my all-time fav.....ei boita just awesome!ami kompokkhe 8 bar boiti porlam...
Was this review helpful to you?
or
This book is great .It tells a different story .one of the best book of Sir Jafor Iqbal .This book won 't disapoint you. But in a few place you will find little bit of over acting. But all around this book is good .You can buy it
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ বই : আমি তপু লেখক : মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনায় : পার্ল পাবলিকেশন্স প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ পৃষ্টা সংখ্যা : ১১২ মূল্য : ২০০ টাকা রেটিং : ৫/৫ আরিফুল ইসলাম তপু। বাবা-মায়ের আদরের ছোট্ট সন্তান। দুরন্ত হলেও অনেক মেধাবী আর হাস্যোজ্জ্বল। ক্লাস ফাইভে পড়ে সে। বায়না ধরে ক্রিকেট ব্যাট কেনার। বাবা তপুকে সঙ্গে নিয়ে কিনতে যায় ক্রিকেট ব্যাট। মুহূর্তটি কাল হয়ে দাঁড়ায় তপুর জীবনে। রোড অ্যাক্সিডেন্টে বাবা মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় তপু। তপুর মা এটা মেনে নিতে পারেন নি। উনার ধারণা, ক্রিকেট ব্যাট কিনতে না গেলে উনার স্বামী এখনো বেঁচে থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুতে তপুর মা মানসিকভাবে প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। তপুর জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। নিজের মায়ের কাছে তপু পরিণত হয় চরম ঘৃণার পাত্রে। নরম বিছানা আর বালিশের পরিবর্তে তপুর জায়গা হয় স্টোর রুমে। পুরো জীবন হয়ে যায় এলোমেলো, বাউন্ডুলে। একসময় ক্লাসে ফার্স্ট হওয়া ছাত্রটি এখন ক্লাসের লাস্ট বয়। তার কোনো বন্ধু নেই। একা, একদম একা। মা, ভাই, বোন, ক্লাসমেট, আত্মীয়-স্বজন কেউ কথা বলে না তপুর সাথে। চরম ঘৃণা আর অবহেলায় তপুর জীবন হয়ে উঠে চরম বিষাদময়। দিনের পর দিন মায়ের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে তপু সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যা করবে। একসময় তাও হয়ে উঠে নি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত পালিয়ে যাবার। গন্তব্যহীন, অজানার পথে। বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় তপু। নিঃস্বঙ্গ জীবনে সবার চোখের আড়াল হয়ে যাবে সে। লোকাল ট্রেনের ছাদে চড়ে বসে তপু। এমন সময় পেছন থেকে চিৎকার। তপু তাকিয়ে দেখে প্রিয়াংকা তাকে চিৎকার করে ডাকছে। কিন্তু কে এই প্রিয়াংকা? তপুর জীবনে কিভাবে উত্থান হলো প্রিয়াংকা নামের এই মেয়েটির? বাউন্ডুলে ছন্নছাড়া তপু ক্রমান্বয়ে ফিরে আসতে থাকে স্বাভাবিক জীবনে। বিজলী চমকানোর মতই সে বনে যায় ম্যাথমেটিশিয়ান। চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন। জিতে নেয় গোল্ড মেডেল। ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়াগুলো ফলাও করে প্রচার করতে থাকে তপুর গণিত প্রতিযোগিতায় সেরাদের সেরা হওয়ার খবরটি। কিন্তু কিভাবে সম্ভব? কি এমন আলাদীনের চেরাগ পেলো তপু? যার স্পর্শে মুহুর্তেই পাল্টাতে থাকলো তপুর জীবন? তপুর মায়ের কি একটা যেন হয়েছে ইদানিং। আগের মতো আর অস্বাভাবিক আচরণ করছেন না। কেমন যেন চুপচাপ থাকছেন সারাদিন। অফিসে যাওয়ার সময় হঠাৎ মাথা ঘোরে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে নেওয়া হলো। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানালেন তপুর মায়ের ব্রইন টিউমার হয়েছে। জটিল অপারেশন করতে হবে। তপুর টেনশন বেড়ে যায়। কেননা, সে স্বপ্ন দেখতো একসময় তপুর মা তার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করবে। বুকে জড়িয়ে চুমু খাবে। পাশে বসে ভাত খাইয়ে দিবে। আদর করে ডাকবে। কিন্তু অপারেশনের পর তপুর মা কি সুস্থ হয়ে উঠবে? নাকি তপুর সকল আক্ষেপ আর চাওয়া-পাওয়াকে মিথ্যে প্রমাণ করে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়ে তার বাবার কাছে চলে যাবেন তপুর মা। এরকম হাজারো প্রশ্ন তপুকে জর্জরিত করতে থাকে। অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়া হলো তপুর মাকে। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা সময় ধরে অপারেশন করা হলো। কিন্তু সবশেষ কি হলো তপুর মায়ের? তপুর মা কি সুস্থ হয়ে উঠলেন, নাকি পরপারে পাড়ি জমালেন? তাহলে তপুর শেষ চাওয়াটুকু কি পূরণ হয় নি? তপু কি পারে নি তার মায়ের বুকে মাথা গুঁজে ডুকরে ডুকরে কেঁদে নিজের অশান্ত মনটাকে শান্ত করতে? তপু কি তার মায়ের কাছে বাউন্ডুলে, অপদার্থ আর ঘৃণার পাত্রই রয়ে যাবে? এরকম হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আপনাকে পড়তে হবে "আমি তপু" বইটি। এই গল্পটি মূলত কার কাছে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাল লেগেছে তা আমি জানিনা। কিন্ত আমার কাছে বেশি ভাল লেগেছে গল্পটি লেখক পরোক্ষভাবে বেশ গোছালো আর সুন্দর করে মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করেছেন। লেখক দেখিয়েছেন, সন্তানরা ভালোবাসার অভাবে কেমন করে বখে যায়। স্বামীহারা এক শোকাতুর স্ত্রীর বা পিতা হারানো, মায়ের আদর ছাড়া এক সন্তানের বেড়ে উঠার করুণ পরিনতি। বখে যাওয়া ছেলেদের প্রতি সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, আবার সামান্য একটু মানসিক সাপোর্ট যে মানুষের সাফল্যে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে তা লেখক নিপুনভাবে তুলে ধরেছেন ঠিক কাঁদামাটি দিয়ে পুতুল গড়ার মত। একটা সুন্দর আর স্বার্থক গল্প যা এগিয়েছে সাদামাটাভাবেই অথচ সাবলীল ভাষা আর চমৎকার প্লট নিয়ে।
Was this review helpful to you?
or
ব ২০ জাফর ইকবালের একটি অনবদ্য উপন্যাস মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি অনবদ্য উপন্যাস হচ্ছে 'আমি তপু'। তপু নামের এক কিশোরের জীবনের খণ্ডচিত্র এতে উদ্ভাসিত হয়েছে সহজ, সরল ও সুখপাঠ্য লেখনীর মাধ্যমে। জীবনের গতিধারা কিভাবে একেক সময় একেকভাবে অকল্পনীয় পথে পাল্টে যায় তার স্পষ্ট ধারণা দেয় বইটি। উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে মূল চরিত্র তপুর জবানীতে। প্রতিটি মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা তার জীবনকে অত্যন্ত ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। কিশোরদের ক্ষেত্রে সেই প্রভাব আরও বেশি কার্যকর। আর সেই পারিপার্শ্বিক অবস্থার ক্রমপরিবর্তনে তপুর জীবনধারা কিভাবে কোন পথে গতিশীল হয় তাই মুখ্য হয়ে উঠেছে এই উপন্যাসে। তপুর বাবার মৃত্যুর পর তপুর জীবনে ঘটে যায় এক আকস্মিক পরিবর্তন। ক্লাস ফাইভে থাকতে যখন তপুর বাবা মারা যায় তার আগে তপু ছিল তার বাবা-মায়ের আদরের সন্তান, স্কুলের ফার্স্ট বয় আর এক স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকারী। কিন্তু, বাবার মৃত্যুর পর থেকে পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। যে একসময় স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিল তিন বছরের ব্যবধানে পাস করাই তার জন্য ঝামেলা হয়ে উঠে। তার শরীরে থাকে বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন। সে অকথ্য গালিগালাজ করতে পারে এবং সবাই তাকে বেশ ভয় পায় কারণ তারা মনে করে যে ছেলেটি বাবার মৃত্যুর পর বখে গিয়েছে। কিন্তু, আসলে এমন কি হয়েছিল যে তপু এক মেধাবী ছাত্র থেকে রূপান্তরিত হয়ে বখাটেতে পরিণত হয়েছিল? এই কারণ জানতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে কেন তপুর মা তপুকে বলে, "বাপকে মেরে এসে এখানে বসে ঢং করিস? জানোয়ারের বাচ্চা।" তপুর বাবা আসলে মারা গিয়েছিলেন তপুর জন্য ক্রিকেট ব্যাট কিনে ফিরে আসার সময় গাড়ি একসিডেন্টে। তপুর মার যুক্তি হল যে, তপু যদি ব্যাট কিনে দেয়ার জন্য আবদার করত তাহলে তার স্বামী অসময়ে মারা যেত না। তপুর মার এই যুক্তি তপুকে ঠেলে দিল অন্ধকার কূপে। মায়ের অত্যাচারের কারণে তপুকে বাসস্থান হিসেবে বেছে নিতে হয় রান্নাঘরের স্টোররূম। তপুর মা তার বড় মেয়ে ঈশিতা আর বড় ছেলে রাজীবকে নিয়ে পরিবারকে নতুন আঙ্গিকে গুছিয়ে তুলেন যেখানে তপুর জায়গা হয় না। তপুর আপন বলতে তখন অবশিষ্ট থাকে দুলি খালা। তপুদের বাসায় অনেকদিন যাবত্ কাজ করে আসা এই দুলি খালাই তপুকে বেশিরভাগ সময় মারের হাত থেকে বাঁচান। দুলি খালার কথায় আমরা তপুর মা সম্পর্কে যা জানতে পারি তা হল, "তার অর্থ তার মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে। তোমার মা অসুস্থ। তোমারমা পাগলি। তোমার বাপ মরে যাবার পর তার মাথাটা পুরাপুরি আউলে গেছে। অন্য কেউ বুঝতে পারে না, আমি পারি। চোখ দেখলেই বুঝতে পারি।..... চোখগুলি জ্বলে তুমি দেখ নাই? তুমি খুব সাবধান বাবা- আমার কেন জানি মনে হয় কোন একদিন তোমার মা তোমারে খুন করে ফেলার চেষ্টা করবে।" তপুর মা তপুর শরীরে যেসব ক্ষতচিহ্ন সৃষ্টি করেন সেগুলোকে তপু লুকানোর চেষ্টা করে কিন্তু, সবসময় পারে না। তপু পড়ালেখায় মনোযোগী না কারণ তপুর ভাষ্যমতে, "আগে পড়াশোনার একটা ব্যাপার ছিল এখন সেটাও নাই, খাতা কলম বইপত্র না থাকলে মানুষ পড়াশোনা করে কেমন করে?" তপুর নিঃসঙ্গ জীবনে হঠাত্ একদিন আগমন ঘটে প্রিয়াংকা নামের একটি মেয়ের। তপুর জন্য নির্দিষ্ট করা সিটে স্কুলের নতুন ছাত্রী প্রিয়াংকা ভুলবশত বসে থাকায় তপু তাকে সরে যেতে বলে। সরতে রাজি না হওয়ায় তপু প্রিয়াংকার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই তোফাজ্জল হোসেন সরকার তথা রাজাকার স্যারের বাংলা ক্লাসে তপু আর প্রিয়াংকাকে এক হতে হয় দিলীপের উপর শাস্তি বন্ধ করার জন্য। প্রিন্সিপাল ম্যাডামের কাছে ডাক পরার পর তপু সেই তোফাজ্জল স্যারের রাজাকারসুলভ আচরণ বর্ণনা করে। আরও কিছুদিনের মধ্যেই প্রিয়াংকা তপুর বান্ধবী হয়ে উঠতে থাকে। এরই মাঝে রাজাকার স্যারের বদলে ক্লাস নিতে আসেন প্রিন্সিপাল ম্যাডাম। রাজাকার স্যারের ক্লাসে যেই ব্যাপারটা কখনো ঘটে নি, তিনি সেটাই ঘটান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের মন কেড়ে নেন সহজেই। তপুর সাদাকালো জীবন যখন একটু রঙিন হতে শুরু করে তখনই তার নামের সংযুক্ত হয় নতুন এক অভিধা 'চোর'। চুরি করে কিছু জমানো টাকা খুঁজে পেয়ে তপুর মা তপুকে বেদম প্রহার করেন। আর তারপর এক কাজের ছেলের মত জীবন শুরু হয় তপুর। তপুর বড় ভাই রাজীব তপুকে দিয়ে জুতা পরিষ্কার করানো, কাপড়- চোপড় ইস্ত্রি করানো শুরু করে। এসব সহ্য করতে না পেরে তপু বাসা থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু, কমলাপুর রেল স্টেশনে তাকে খুঁজে বের করে প্রিয়াংকা। আসলে ততক্ষণে প্রিয়াংকা তপুর করুণ জীবনযাপনের সব জেনে গিয়েছে। তাই সে বলে, "... তুই আমাকে একটা সুযোগ দে, আমি তোর আম্মু হব, তোর ভাই হব, বোন হব, তোর বন্ধুবান্ধব হব- দেখিস তুই, খোদার কসম!" এরপর বাসায় ফিরে আসে তপু। আবারো শুরু হয় পুরোনো জীবন। এরই মাঝে অভিনব এক গণিত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। এরপর নতুন এক জীবন শুরু হয় তপুর। শুধুমাত্র বাসার ভিতরেই সে ঠিক আগের মতোই থাকে। তারকথা বলার সঙ্গী হিসেবে থাকে সেই 'মিচকি' নামক নেংটি ইঁদুরটি। অবশ্য এখানে উল্লেখ্য যে, গণিত প্রতিযোগিতায় যেদিন তপু স্বর্ণপদক লাভ করে ঠিক সেই রাতেই তপুকে খুন করার চেষ্টা করে তার মা। যদিও শেষপর্যন্ত তিনি তা করতে পারেন নি। অবশেষে এক সময় তপুর মার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। মৃত্যু ঘনিয়ে আসার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগে তপুর মা তপুকে আবার বুকে জড়িয়ে নেন। এভাবেই তপুর প্রত্যাবর্তন সম্পন্ন হয়। একবার শক পেয়ে যেই মানুষটি তপুকে দেখতে পারেন নি, দ্বিতীয়বার শক পেয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে আসলেও তিনি পৃথিবীতে আর থাকার সুযোগ পান নি। উপন্যাসটি মূলত পাঠকদের মাঝে অভিনব এক অনুভূতির সৃষ্টি করে। আমরা বখাটে বলে যেসব ছেলেকে ঘৃণা করি তারা কেন আজ এই পর্যায়ে এসেছে তা নিয়ে আমরা ভাবি না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে দেয় উপন্যাসটি। তপু ফিরে আসতে পেরেছে। কিন্তু, সবাই কি তা পারে? যারা ফেরার পথ খুঁজে পায় না তাদেরকে কি আমরা পথ খুঁজতে সাহায্য করি? সবার জীবনেই কি প্রিয়াংকার আবির্ভাব ঘটে? বাইরে থেকে আমরা যা দেখি তা সবসময়ই হয়তো সত্যি নয়। যা ভাবা যায় না তাও অনেক সময় ঘটে থাকে যদিও আমরা বুঝতে পারি না। উপন্যাসটিতে আরও কিছু ব্যাপার তুলে ধরা হয়েছে। তোফাজ্জল ওরফে রাজাকার স্যার ও প্রিন্সিপাল ম্যাডাম- এই দুটি চরিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের ও পক্ষের শক্তিকেও টেনে আনা হয়েছে আমাদের সামনে। যেখানে রাজাকার স্যার ক্লাসে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আলোচনাই করতেন না, সেখানে প্রিন্সিপাল ম্যাডামের রবীন্দ্র সাহিত্য চর্চা তার ছাত্রছাত্রীদের মাঝে নতুন এক অনুরণনের সূচনা করে। সহশিক্ষা ব্যাপারটি যেখানে তোফাজ্জল স্যার দেখতে পারেন না সেখানে প্রিন্সিপাল ম্যাডামের আমরা ভিন্ন চিত্র দেখতে পাই উপন্যাসের এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি প্রিয়াংকার বাবা প্যারালাইজড আর মা মৃত। তপুর মনে প্রশ্ন জাগে কোনটি ভালো- শারীরিক অবশতা নাকি মানসিক? উপন্যাসটিতে আমরা কিশোর মনের কিছু গভীর চিন্তাচেতনার খোঁজ পাই। এর একটি উদাহরণ হল "আমাদের মারলে ব্যথাটা সহ্য করতে পারি, কিন্তু স্যার লজ্জাটা সহ্য করতে পারি না-" এখানে আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়। তপু যখন চোর হিসেবে ধরা পড়ে তখন তার বড় বোন ঈশিতা বলে, "ছিঃ তপু, ছিঃ", তখন পাঠকমন অজান্তেই ঈশিতাকে ধিক্কার দিয়ে উঠে, তপুকে নয়। নিজের দায়িত্ব পালন না করলেও অনেকে অন্যের দোষকে বড় চোখে দেখে এবং দোষী ব্যক্তিটিকে বৃহত্তর অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়। ঈশিতা আর রাজীবের কি উচিত ছিল না তাদের ছোট ভাইটির জন্য একটি স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা? কিন্তু তারা সেটা করতে পারে নি। করতে পারলে একটা কলমের জন্য তপুকে রাতের আঁধারে রাজীবের ঘরে যেতে হত না। তপুর বইখাতা কলম ছিল না। কেউ সেই অভাব পূরণ করেনি, অথচ পরীক্ষায় ফেল করার দোষটা তপুর ওপরেই বর্তায়। মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার 'আমি তপু' উপন্যাসে আমাদের সামাজিক জীবনের নানা অসঙ্গতি তো তুলে ধরেছেনই, সেই সাথে মানবমনের বিকাশের জন্য কি প্রয়োজন তাও তপু চরিত্রটির সৃষ্টি করে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন। শুধু প্রতিভার জোরেই মানুষ প্রতিভাবান হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে না, বরঞ্চ দরকার হয় অনুপ্রেরণার অফুরন্ত স্রোতধারার তাও আমরা উপলব্ধি করি। তপুর জন্য মূলত প্রিয়াংকাই সেই অনুপ্রেরণার যোগান দেয়। 'আমি তপু' উপন্যাসের পঠন পাঠকমনকে এক নতুন জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। চিরায়ত সাহিত্যের গুণসম্পন্ন এই কিশোর উপন্যাসটি তাই সবার জীবনকে আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে।
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা সেরা কিশোর উপন্যাসগুলোর তালিকা যদি করতে হয়, এবং সেই তালিকা যত ছোটই হোক না কেন তাতে 'আমি তপু'র নাম থাকবেই। ছোটদের জন্য এত সাবলীল ভাষায় ট্র্যাজেডি টাইপের উপন্যাস আর লেখা হয়েছে বলে মনে হয় না। এই বইটা পড়তে পড়তে হাউমাউ করে না হোক, অন্তত নিজেদের অজান্তে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়েনি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া ভার। একটা কিশোর বয়সী ছেলের জীবন কতটা কষ্টের আর তিক্ততার হতে পারে আর জীবনে কত প্রতিকূলতা আসতে পারে প্রিয়জনদের কাছ থেকেই, তা 'আমি তপু' পড়ার আগে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। কিশোর বয়সী অনেককে দেখা যায় বয়ঃসন্ধিকালে নিজেদের তৈরি ফ্যান্টাসির জগতে ঘুরে বেড়ায় আর অতি সামান্য একেকটা কারণে মনে করতে থাকে যে দুনিয়ায় তাদের চেয়ে দুঃখী বুঝি আর কেউ নেই। তাদের একবার 'আমি তপু' পড়তে দেয়া হোক। তখন তারা নিঃসন্দেহে উপলব্ধি করতে পারবে, সত্যিকারের দুঃখের স্বরুপ আসলে কি। এরপর থেকে নিশ্চিতভাবেই তারা আর মিছিমিছি আত্মসৃষ্ট দুঃখকে প্রাধান্য দিয়ে জীবনে স্বেচ্ছাচারি হয়ে উঠবে না। এই বই তরুণ প্রজন্মের ঝান্ডাধারী কিশোর-কিশোরিদের মনে শুধু গভীর কষ্ট এবং গভীর আনন্দের মিশ্রিত মনোভাবেরই জন্ম দেবে না বরং তাদেরকে কল্পনার জগত থেকে বাস্তবের দুনিয়ায়ও নিয়ে আসবে, তাদেরকে দেখাবে পৃথিবীটা নানা চিন্তাচেতনার মানুষের ভিড়ে কতখানি বিচিত্র আর কতখানি কঠিন। এই বই থেকে আরও জানা যাবে, একটা শিশুর জীবনে বাবা-মার প্রয়োজন কতটা এবং তাদের অভাবে একটা শিশু বা কিশোরের জীবন কি অগোছালোই না হয়ে যেতে পারে। জীবনে সঠিক ও সফলতার পথে ফিরিয়ে আনতে একটুখানি ভালোবাসা আর ভাল ব্যবহার কতটা বড় প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেই কাজটা একটা সত্যিকারের ভাল বন্ধু কিভাবে করতে পারে, তার প্রমাণও দেবে এই বইটি। তপু নামের একটা ছেলের কথা বলা হয়েছে এই বইতে, এক দুর্ঘটনায় যে তার বাবাকে হারায় এবং যে দুর্ঘটনা ছেলেটির গোটা জীবনটাকেই তছনছ করে দেয়। স্বামীর মৃত্যুতে ছেলেটার মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং স্বামীর মৃত্যুর জন্য নিজের ছেলে তপুকেই দোষারোপ করতে থাকে। ফলে তপুর জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। নিজের মায়ের কাছ থেকেই নিগৃহতার শিকার হতে থাকে সে। মায়ের ভয়ে আপন ভাই বোনেরাও ছেলেটার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। শুরু হয় ছেলেটির জীবনে একলা চলার পথ। সেই পথে চলতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকে ছেলেটি। এক সময়ের মেধাবি ছেলেটির অবস্থা সার্বিকভাবেই শোচনিয় হয়ে পড়ে। নিজের বাড়িতে কাজের ছেলের মত থাকে সে, স্কুলে হয়ে যায় সবচেয়ে খারাপ ছেলে আর রাস্তাঘাটে যাকে দেখলে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায় বখাটে হিসেবে। এভাবেই ছেলেটার জীবন ক্রমে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। এমন সময় কাহিনীতে আগমন ঘটে প্রিয়াংকা নামের একটি মেয়ের, তপুর ক্লাসের নতুন একটা মেয়ে। ক্লাসের অন্য সবাই তপুকে ঘৃণার চোখে দেখলেও, প্রিয়াংকা তপুর বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাতে থাকে। তপু যখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, প্রিয়াংকাই তাকে ফিরিয়ে আনে। এরপর প্রিয়াংকার সান্নিধ্যে এসে তপু ধীরে ধীরে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে থাকে। প্রিয়াংকা তাকে সাহায্য করে তার প্রতিভার সঠিক বিকাশ ঘটিয়ে পৃথিবীর কাছে প্রমাণ করতে যে তপু কোন ফেলনা ছেলে নয়, সে আসলে একটা জিনিয়াস। এভাবে তপুর জীবন আবারো আলোকিত হয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে মায়ের কাছে সে সেই ঘৃণার পাত্রই রয়ে যায়। কিন্তু কাহিনীর শেষ পর্যায়ে এসে আবারো মায়ের সাথে তপুর পুনর্মিলন ঘটে, কিন্তু সে বড় অদ্ভূত এক পরিস্থিতিতে - যা ছিল তপুর জন্যে একই সাথে বড্ড আনন্দের আবার বড্ড দুঃখের। অত্যন্ত দুঃখভরা শুরু এবং বিয়োগান্তক সমাপ্তি সত্ত্বেও 'আমি তপু' উপন্যাসটির কাহিনী এতটাই হৃদয় ছোঁয়া যে, পড়তে পড়তে যারা অঝোরে কেঁদেছে, বইটি পড়া শেষ করার অনেক সময় পরও তাদের মনে এক বিচিত্র কারণে ভাল লাগার আবেশ রয়ে যাবে। এক কিশোরের জীবনে নিষ্ঠুরতার বৃত্ত থেকে ভালোবাসার জগতে পাড়ি দেয়ার কাহিনী জানতে হলে পড়তেই হবে 'আমি তপু'।
Was this review helpful to you?
or
Verry good book! it made me imotional...
Was this review helpful to you?
or
আমি তপু, জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা আরেকটি অসাধারন উপন্যাস। অ্যাকসিডেন্টে বাবা মারা গেলে হঠাৎ করেই যেন চোখের মনি তপু মায়ের কাছে চক্ষুশূল হয়ে দাড়ায়। তার মায়ের ধারনা, তপু যদি সেদিন ব্যাট কেনার আবদার না করত, তবে তার বাবা বেঁচে থাকতো। অ্যাকসিডেন্টে মারা যেত না। তাই সমস্ত দোষ এসে তপুর ঘাড়ে পড়ে। মায়ের পাশাপাশি বড় ভাই এবং বোনও তাকে বাসার কাজের ছেলের মত করে রাখে। পৃথিবীতে তখন আপন হয়ে দাঁড়ায় তাদের বাসার কাজের মহিলা এবং একটি ইঁদুর। পড়াশোনায় ভাল ছেলেটি কিভাবে যেন খারাপ হয়ে যায়। সবাই ভাবে, বাবা মারা যাবার পর ছেলে বখে গিয়েছে। এ সময় তার এক নতুন সহপাঠীর অনুপ্রেরণায় সে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে শিখে। গনিত অলিম্পিয়াডে হয় সেরাদের সেরা। কিন্তু তার ভাগ্যে এ ভালোটা না লাগতেই নতুন এক খবর শুনতে পায় যা তার জীবনকে আবার ভীষণভাবে ওলটপালট করে দেয়। এবং বইটি শেষ পর্যন্ত পড়লে কাঁদতে বাধ্য (যেমনটা আমি কেঁদেছি)
Was this review helpful to you?
or
একজন মানুষ কিংবা যেকোন প্রাণীর সবচেয়ে কাছের জন কে? কে সেই জন যে তাকে আগলে রাখে মায়া মমতায়? অবশ্যই মা। কিন্তু এই মা-ই যখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে যায় তখন তার চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে? “আমি তপু” মুহাম্মদ জাফর ইকবালের এক অনন্য কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসে লেখক মানুষের এমন বয়সের এমন এক পরিস্থিতির করেছেন যেই বয়সে যেই পরিস্থিতিতে আমরা কেউ পড়লে কি ঘটবে আমাদের জীবনে তা এই বই পড়লে সহজেই উপলব্ধি করা যায়। খুব কাঠখোট্টা শব্দ বা বাক্য বা ঘটনা নেই, খুবই সাদাসিধে কাহিনী,নেই সেই রকম নীতিবাক্য, নেই মাথা এলোমেলো করে দেওয়া বাক্যরীতি, তাই পড়তে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। ১৩ বছর বয়সের এক কিশোর তপু। পুরো নাম আরিফুল ইসলাম তপু। বি.কে. সরকারি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তিন বছর আগে যখন তপু এক রোড এক্সিডেন্টে তার বাবাকে হারায় ঠিক তখন থেকে দুই ভাই এক বোনের সুখী সংসারটা তছনছ হয়ে। তাকে নিয়ে তার জন্য ব্যাট কিনতে যেয়ে মারা যাওয়ায় তপুর মার একটা বদ্ধমূল ধারণা হয় যে তপুর জন্যই তপুর বাবা মারা গিয়েছেন। মায়ের দুর্ব্যবহার আর ভাইবোনের অসহায়তার কারণে তার জীবন অসহ্য হয়ে উঠে। সবচেয়ে আদরের ছোট ছেলেটির স্থান হয় স্টোর রুমে। যার সাথী একটি ইঁদুর, যার নাম সে দেয় মিচকি। তাকে খেতে হয় কাজের বুয়া দুলির সাথে মোটা ভাত, ভর্তা। একমাত্র দুলি খালার ভালোবাসা ছাড়া বাকি সবার ভালোবাসা থেকে সে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। লেখকের ভাষায়, “যার চোখের পানির কোন মূল্য নেই এই পৃথিবীতে তার থেকে হতভাগা আর কেউ নেই।” এতসব দুঃখ কষ্ট সইতে না পেরে সবচেয়ে ভালো ছাত্রটি আস্তে আস্তে খারাপ হয়ে সবার চক্ষুশূল হয়ে গেল। তার কোন বন্ধু নেই, কোন শুভাকাঙ্ক্ষী নেই, কি করে কি নিয়ে বাঁচবে এই পৃথিবীতে? এমনি সময় যখন সে বাড়ি থেকে চিরকালের জন্য চলে যাবার জন্য যখন মনস্থির করে ফেলল ঠিক তখন তার ক্লাশে আসা নতুন এক মেয়ে যার নাম প্রিয়াংকা, তার সাথে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। প্রিয়াংকা মেয়েটা স্পষ্টভাষী, খুব সুন্দর গুছিয়ে কথা বলতে পারে,খুবই মিশুক আর পরোপকারী। ওদিকে পালিয়ে যাবার জন্য ধীরে ধীরে জমানো টাকাসহ মায়ের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় সবার কাছে সে চোর হয়ে যায়। এদিকে সে হঠাৎ বুঝতে পারে গণিতের প্রতি তার একটা আলাদা ভালোবাসা আছে। খুব সহজেই সে জটিল জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে। প্রিয়াংকার উৎসাহে সে এই ভালোবাসাকে বাড়াতে থাকে। সময় গড়িয়ে যায়। প্রিয়াংকা একসময় জানতে পারে তপুর জমানো কষ্টগুলোকে। চেষ্টা করে এগিয়ে নিয়ে যেতে। প্রিয়াংকা কি পারবে তপুকে বেঁচে থাকার সাহস জোগাতে, তপু কি পারবে এমনি এক বিরূপ পরিবেশে বেঁচে থাকতে? কি আছে তার সামনে? তার মা কি আর কখনো তাকে সহজভাবে নেবে না? এমনি হাজার প্রশ্নে গড়া এই সুন্দর কিশোর উপন্যাসটি। “আমার বন্ধু রাশেদ” উপন্যাসটি যাদের পড়ার অভিজ্ঞতা আছে তারা বুঝতে পারবেন এর সৌন্দর্যটি। শেষ লাইন পর্যন্ত কোন না কোন লাইনে নিজের অজান্তেই চোখের কোনা গড়িয়ে জল পরবেই। এক গভীর মমতা জন্মাবে নিঃসঙ্গ তপুর উপর। জাফর ইকবালের সেরা কিশোর উপন্যাসের মধ্যে এই উপন্যাস নিঃসন্দেহে অন্যতম। একজন মানুষ সে বড় হোক কিংবা ছোট, তার জন্য একটা পরিবার যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা এই গল্প পড়লে অনুধাবন করা যায়। সেই সাথে বোঝা যায়, প্রতিভার বীজ লুকিয়ে থাকে সবার মাঝে, প্রয়োজন অঙ্কুরোদগমের পরিবেশ।আর প্রত্যেক খারাপ মানুষের জীবনে থাকে এক ভয়ংকর খারাপ ইতিহাস। কেউ খারাপ হয়ে জন্মায় না। পড়া না থাকলে পড়ার নিমন্ত্রন রইল।
Was this review helpful to you?
or
I read about 120 books of jafar sir.I think it is one of the best books of jafar sir.
Was this review helpful to you?
or
বই টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বই টি পড়ে আমি Emotional হয়ে গিয়েছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটার কাহিনী খুব সুন্দর । আমি সহ আমার পরিবারের সবাই বইটি পরেছি ।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা কিশোর উপন্যাস গুলোর মধ্যে 'আমি তপু'কে সবচেয়ে ব্যতিক্রম বলতে হয়।কেননা,অন্যান্য কিশোর উপন্যাসগুলোতে থাকে একদল স্কুলগামী কিশোর আর তাদের দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চারের গল্প! কিন্তু, 'আমি তপু' কেবলি একাকিত্বের গল্প তপু নামের একটা ছেলের কথা বলা হয়েছে এই বইতে।একটি হাস্যোজ্জ্বল দুরন্ত ছেলে আরিফুল ইসলাম তপুর নিজ জবানিতে ফুটে উঠা কাহিনী। ক্লাস ফাইভে থাকতে তপুর ক্রিকেট ব্যাট কিনে দিতে গিয়ে রোড অ্যাক্সিডেন্ট এ মারা যান তপুর বাবা । স্বামীর মৃত্যুতে ছেলেটার মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং স্বামীর মৃত্যুর জন্য নিজের ছেলে তপুকেই দোষারোপ করতে থাকে। ফলে তপুর জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। নিজের মায়ের কাছ থেকেই নিগৃহতার শিকার হতে থাকে সে। মায়ের ভয়ে আপন ভাই বোনেরাও ছেলেটার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।! তিন বছরে তপুর জীবনটা যেন জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে । কাউকে মুখ ফুটে সে বলেনি , দিনের পর দিন , তিনটা বছর সে শুধু সয়েই গেছে অপমান,মারধোর,আরও কতকিছু । ক্লাসের একসময়ের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ফার্স্ট বয়ের রোল হয়ে গেছে আটচল্লিশ জনের মাঝে পঁয়তাল্লিশ।দিন যায়, তপুর কষ্ট বাড়তেই থাকে। একদিন স্কুলে আসা নতুন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা প্রিয়াংকা তপুর বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাতে থাকে। এরপর প্রিয়াংকার সান্নিধ্যে এসে তপু ধীরে ধীরে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে থাকে।প্রিয়াংকা তপুকে তার আগের অবস্থান ফিরে পেতে উৎসাহিত করতে থাকে। এমনিভাবে, একদিন তপুদের স্কুলে গণিত অলিম্পিয়াডের প্রতিযোগীর অনেক অনুরোধে রাজি করায় প্রিয়াংকা। তপু সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিচারকরা তপুকে প্রথম ঘোষণা করলেন!এরই মাঝে তপুর হৃদয়জোড়া জমে উঠা দুঃখ জানতে পারে তার মা হাসপাতালে। সে যখন হাসপাতালে যায় তখন তপুর মা তপুকে কাছে ডেকে আদর করে! কিন্তু কাহিনীর শেষ পর্যায়ে এসে আবারো মায়ের সাথে তপুর পুনর্মিলন ঘটে, কিন্তু সে বড় অদ্ভূত এক পরিস্থিতিতে - যা ছিল তপুর জন্যে একই সাথে বড্ড আনন্দের আবার বড্ড দুঃখের। বহুদিনের এক নিঃসঙ্গতার সমাপ্তি সূচিত হল আরেক নিঃসঙ্গতায়