User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার অঞ্চলের ইতিহাস। আগ্রহ করেই পড়ছি
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিসংগ্রামে আত্রাই গ্রন্থটি একজন কমিউনিস্ট এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধাভিজ্ঞতার বিবরণ। লেখক ওহিদুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে না গিয়ে রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ এলাকায় নয়টি থানাব্যাপী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আলোচ্য গ্রন্থটি ওই প্রতিরোধের কাহিনি নিয়েই। ওহিদুর রহমান নামের এই গেরিলা নেতার বীরত্বকথা লরেন্স লিফসুলজ, ড. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও ড. আবুল ফজল তাঁদের লেখালেখিতে উল্লেখ করেছেন । নওগাঁর দক্ষিণ অঞ্চল, মান্দা, রানীনগর ও আত্রাই থানা, অপরদিকে নাটোরের দক্ষিণ অঞ্চল ও রাজশাহীর পূর্ব এলাকা বাগমারা অঞ্চলে তিনি গড়ে তুলেছিলেন প্রতিরোধযুদ্ধ। এ গ্রন্থের তিনটি অধ্যায়—এক. আত্রাই অঞ্চলের কৃষক আন্দোলন (৪৭-পরবর্তী সময়ের ঘটনা)। দুই. মুক্তিযুদ্ধ। তিন. নকশাল আন্দোলন ও দুই পতাকা। লেখক ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ ভাসানী ও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওহিদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি হলো: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হলে তিনি প্রথমে আত্রাই কমিউনিস্ট পার্টি এবং পরে রাজশাহী জেলার আঞ্চলিক কমিউনিস্ট পার্টির মূল নেতার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে তিনি আবারও প্রার্থী হন, কিন্তু হেরে যান। কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে গেলে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক বলেন, আওয়ামী লীগের ছয় দফার সংগ্রাম দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠলে, তার সঙ্গে যোগ হয় সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ১১ দফার সংগ্রাম। এ সময় পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি (মণি সিং) এবং মোজাফফর ন্যাপ ছয় দফা ও ১১ দফা দাবির প্রতি সমর্থন করে। কিন্তু ন্যাপ ভাসানী ও চীনপন্থী বাম ধারার সংগঠনগুলো ছয় দফা সমর্থন না করে বরং ১১ দফাকে সমর্থন করে, যদিও ১১ দফার মধ্যে ছয় দফাভিত্তিক আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের কথাও ছিল। তারপর ১৯৭১ সালের মার্চে, তরুণেরা ডাক দিল, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ আকাশে-বাতাসে তখন ধ্বনিত হচ্ছিল ‘যুদ্ধের জন্য তৈরি হও, আর কোনো রাস্তা নাই।’ মুক্তিযুদ্ধে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে লেখক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান ও মেজর জিয়া যদি বেতার ভাষণ না দিতেন, তাহলে কি দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ হতো না?’ আগের মন্তব্যের সূত্র ধরে তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা করে বলেছেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বর্বর গণহত্যা এবং তার বিরুদ্ধে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার গণসংগ্রাম যখন বাস্তব সত্য হয়ে উঠেছে, তখন কমিউনিস্টদের দায়িত্ব ছিল বাঙালি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের তথা স্বাধীনতাসংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা এবং প্রকৃত স্বাধীনতার প্রবক্তারূপে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তারা তা পারেনি। মুক্তিযুদ্ধে লেখকের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা দখল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এতে অপারেশনের আগে গ্রুপ কমান্ডারদের মতামত নেওয়া হয়। তারপর লেখকের কমান্ডে, মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান থেকে গুলি করতে করতে থানার দিকে এগোতে থাকেন। শত্রুপক্ষ তাঁদের আকস্মিক হামলার জবাব দেওয়ার কোনো সুযোগ পায়নি। আক্রমণে কয়েকজন মিলিশিয়া ও পুলিশ মারা যায়, বাকিরা প্রাণ নিয়ে পালায়। এরপর নওগাঁ মহকুমার আত্রাই থানার সাহাগোলা রেলওয়ে ব্রিজ উড়িয়ে দিলে পাকিস্তানি আর্মি বহনকারী স্পেশাল ট্রেন ধ্বংস হয়ে যায়। এ অপারেশনে রাজা ও মালেকের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল রাত ১০টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যেই সাহাগোলা রেলস্টেশনের অর্ধকিলোমিটার দক্ষিণে ব্রিজ ও স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান নেয়। মূলত নৌকায় করে তারা ওখানে পৌঁছায়। নৌকা থেকে নেমেই ক্রলিং করে ব্রিজের কাছে গিয়ে সাত রাজাকারকে পাকড়াও করে। এরপর খুব দ্রুত ব্রিজের উত্তর পাশের গার্ডারের গা ঘেঁষে চার-পাঁচ ফুট গর্ত খুঁড়ে এক্সপ্লোসিভ ঢেলে দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে ডেটোনেটর সেট করে। এ অপারেশনে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। শেষদিকে আত্রাইয়ের দিক থেকে একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে চলে এসে বেঁচে যাওয়া পাকিস্তানি আর্মিদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরের দিন দুপুরবেলা প্রতিশোধ নিতে শতাধিক পাকিস্তানি আর্মি ও ২০০ জনের মতো রাজাকার সাহাগোলা গ্রামে হামলা করে একজনকে হত্যা, ব্যাপক লুটপাট ও ধর্ষণ চালায়। গ্রামটি এমনিতেই প্রায় জনশূন্য ছিল। তার পরও লেখক বলেন, ‘আমাদের উচিত ছিল পুরো এক ব্যাটালিয়ন যোদ্ধা নিয়ে আশপাশে লুকিয়ে থেকে শত্রুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া। আমরা এড়িয়ে গিয়ে ভুল করেছিলাম।’ স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে ওহিদুর রহমান আত্রাইতে যে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, এর কয়েক মাস পর তিনি তুলে ধরলেন কাস্তে-হাতুড়ির লাল পতাকা, কিন্তু তা বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননি। ১৯৭২-এর মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি জেলে গেলেন, এ সময়ে তিনি দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। লেখক স্মৃতিচারণা করেছেন: গ্রেপ্তারের ৮-১০ দিন পর মেজর মতিন নামে একজন সেনা অফিসার রাজশাহী জেলখানায় তাঁর সেলে গিয়ে দেখা করে বলেন, ‘আপনার রক্তমাখা জামা-লুঙ্গির পরিবর্তে কাপড় কেনার জন্য ৬০ টাকা দিয়ে যাচ্ছি। কিনে নেবেন।’ স্বাধীনতার পরপরই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ডানপন্থীরা এবং উগ্র বামপন্থীরা সরকার উৎখাতের জন্য সশস্ত্র লড়াই শুরু করে—এ ছাড়া সমাজবিরোধীরা সশস্ত্র ডাকাতি, লুটতরাজ, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে লিপ্ত হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে জাসদের আবির্ভাব আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। ক্ষমতাসীন দলের সাংসদেরা, মন্ত্রিসভার সদস্যরা দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের একক নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। ফলে সাংসদ ও মন্ত্রীদের যৌথ দায়িত্ববোধ ও উদ্যোগের অভাবে গণতান্ত্রিক ধারা অনুশীলনের অবকাশ ছিল খুব কম। বাকশাল কর্মসূচি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন যখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নকশালপন্থী শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে আলোচনা করেন, নেতারা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি বাকশাল কর্মসূচি কী তা পড়ে দেখারও প্রয়োজন মনে করেননি। এ ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে লেখক বলছেন, তিনি বাকশাল কর্মসূচি পড়ে দেখেছিলেন। তাঁর কাছে এটা সেদিন একটা জাতীয় নয়া অর্থনৈতিক কর্মসূচি বলেই মনে হয়েছে। লেখক এক জায়গায় বলছেন. ‘শেখ মুজিব কি কমিউনিস্ট বা সমাজতন্ত্রী ছিলেন? তিনি একবার বলেছিলেন: “পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত—একদিকে শোষক, অপরদিকে শোষিত—আমি শোষিতের পক্ষে।’’’ লেখকের মতে, ‘অনেকে চীন, ভিয়েতনাম, কিউবার একদলীয় শাসনের সাফাই গায়, কিন্তু বাকশালের কথা শুনলে নাক সিটকায়।’ ১৯৭৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান লেখককে বিএনপিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব পাঠান। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ করা হয়। এর আগে মওলানা ভাসানীর দৃঢ় ভূমিকা ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কিছু চরমপন্থী বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিলেন। লেখকের স্ত্রীও এঁদের সঙ্গে মুক্তি পান। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ চীনাপন্থীই জিয়ার দলে যোগ দেন। পরে নানামুখী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে লেখক অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। লেখকের সমর্থকদের মধ্যে সংখ্যাগুরুর মত ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে। অগত্যা লেখক তাঁর সংগঠন থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হয়েও বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হন। তবে শেষাবধি তিনি সিপিবির এমপি হিসেবেই জাতীয় সংসদে শপথ গ্রহণ করেন। এ বিষয়টি এলাকার মানুষ, কর্মী বাহিনীর একাংশ এবং আত্মীয়স্বজন ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। তাঁদের যুক্তি ছিল, বিরোধী দলের এমপি হওয়ায় এলাকার কোনো উন্নয়ন হবে না। দ্বিতীয়ত, ‘তুমি গরিব এমপি—আবার ভোটে অংশ নিতে গেলে টাকা পাবে কোথায়—সুযোগ তো বারবার আসবে না।’ জীবনের এ রকম নানা অভিজ্ঞতার কথা লেখক অকপটে এই বইয়ে তুলে ধরেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, যেদিন জামানতের টাকা তুলে নেওয়ার শেষ দিন, সেদিন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বলা হলো, ১৪ দল ভেঙে গেছে—সিপিবিও ভেঙে গেছে—কেউ নিয়েছেন তারা প্রতীক, কেউ বা কাস্তে। এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে লেখক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের অনুরোধে নৌকা প্রতীক গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু অধিকাংশই বিপক্ষে চলে গেলে তাঁর পরাজয় সুনিশ্চিত হয়ে যায়। লেখকের কথায়, তাঁর কাছ থেকে কাস্তে-হাতুড়ির লাল পতাকা আবার হারিয়ে গেল। তিনি বললেন, ‘মিখাইল গর্বাচেভের গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রোইকার জগাখিচুড়ি একটি আওলা-ঝাউলা অবস্থা আমাদের বিমূঢ় করে ফেলে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেল। এই দেশসহ ইউরোপের কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলো থেকে সমাজতন্ত্র বিদায় নিল। লেখক দুঃখ করে বলছেন, ‘পুঁজিবাদী আমলেও ছিল রাষ্ট্র শোষণের হাতিয়ার, কমিউনিস্ট শাসনেও রাষ্ট্র হয়ে রইল শোষণের যন্ত্র।’ চীনা কমিউনিস্ট পার্টি যেমন পুরোনো স্লোগান নতুন করে আবিষ্কার করল, ‘শত ফুল ফুটতে দাও’ বলে ব্যক্তি, রাষ্ট্র ও বিদেশি বিনিয়োগের রমরমা শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করে অর্থনৈতিক পরাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে ওঠার পথে এগিয়ে চলেছে। উপসংহারে লেখক বলেছেন, ‘প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমার একটি ধারণা জন্মেছে যে সমাজবাদের আদলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অত্যাবশ্যক যা সামনের দিনগুলোতে নবতর পর্যায়ে প্রস্ফুটিত হতে পারে। এটার জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরে সুতীক্ষ্ন মতাদর্শগত লড়াই, তা সংস্কৃতিতে, সামাজিক আন্দোলনে ও রাজনৈতিক অঙ্গনেই হোক না কেন!’ যে তরুণ লেখাপড়ার ক্ষতি করে ছাত্র ও কৃষক আন্দোলনে হাত পাকিয়ে দেশের অভ্যন্তরে এক বিশাল অঞ্চলে সাফল্যের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং যিনি বামপন্থী খতম রাজনীতির পথে হারিয়ে যাননি বা সৌভাগ্যক্রমে খতম বা খরচ হয়ে যাননি, তাঁর সংগ্রামী জীবনকথা আমি সোৎসাহে পড়েছি। তাঁর কথা আমাদের জানা দরকার। যাঁরা সমাজহিতৈষায় ব্রতী হতে চান তাঁদেরও জানা দরকার। নিরাবেগে লেখক তাঁর ও তাঁর সঙ্গী-সহকর্মীদের এক এক করে মনে রেখে তাদের কথা বড় ভালোবেসে লিখেছেন। আমি লেখককে অভিনন্দন জানাই।