User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সৈয়দ অলিউল্লাহ বাংলা ইতিহাসের অন্যতম প্রধান লেখক যার লেখায় আবিষ্কারের ধার রয়েছে,রয়েছে সংগ্রামের কথা,রয়েছে নিজের শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতা।তারই লেখা “শিম কিভাবে রান্না করতে হয়” একটি অসাধারন উপন্যাস।“শিম কিভাবে রান্না করতে হয়”উপন্যাসিকাটি তার কর্তৃক ফ্রান্স ভ্রমণের ইতিবৃত্ত। এর নামের ভেতরই আছে রহস্য, আছে আচরণের নিগূঢ় একেক বিষয়।উপন্যাসটির কাহিনি সংক্ষেপে বলতে গেলে,ফ্রান্সের এক আলিশান এশিয়ান হোটেলের ডাইনিং রুমে বসে প্রাচ্যবাসী দেখলেন, এক ফরাসি ভদ্রলোক ওয়েটারকে ধমকে বলছেন, শিম এভাবে রাঁধতে হয় না, শেফকে ডাকুন। হন্তদন্ত হয়ে হোটেলের শেফ এলেন।ফরাসি ভদ্রলোক তাঁকে শিম রান্নার কৌশল বাতলে দিলেন। প্রাচ্যবাসী এর কিছু বুঝতে পারলেন না। তিনি আকস্মিকভাবে ঠিক করলেন, যে দেশের মানুষ নিখুঁতভাবে শিম রাঁধতে জানে, তাঁকে সেই দেশে যেতে হবে। এখানে ভাষার নতুন কারুকাজ যেমন আছে, রচনার পরাবাস্তববাদী ঢংটিও খুব চমৎকার। এতে কথক কর্তৃক ফ্রান্স যাত্রা আছে। একজন এশীয়র জায়গা থেকে সাম্রাজ্যবাদী প্রবণতা দেখার কথকতা আছে।তত দিনে তাঁর ভেতর সাম্রাজ্যবাদকে একেবারে স্পষ্টভাবে দেখার বাসনা জাগছে। ফ্রান্সের শিম-রান্না এখানে কার্যত এক প্রতীক, আসল কথা হলো, ঔপনিবেশিক আচরণের সঙ্গে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এখানে তিনি জানাচ্ছেন, একজন এশীয় নিজ ভূমে বা নিজ লোকের সামনে এশীয় হতে পারেন না, অন্যদের সামনে তাঁদের প্রকৃত রূপটি ভেসে ওঠে। এ উপন্যাসতি তে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ নেমেছেন সরাসরি ভাঁড়ের ভূমিকায়; একজন প্রাচ্যবাসীর দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমের একটি দেশকে হাজির করেছেন উদ্ভট চেহারায়, তার বাইরের চামড়াটির খোলস খসিয়ে দিয়ে।বইটি পরে মনে হয়েছে তিনি পশ্চিমাদের একটু খোঁচা দিয়ে রচিত করেছেন এই উপন্যাসটি।পাঠকের মনে সাড়া জাগানোর মত বই এটি।বইটি পড়লে ভাল লাগবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর শিম কীভাবে রান্না করতে হয় চটুল ভঙ্গিতে লেখা। আলিশান এক এশিয়ান হোটেলের ডাইনিংরুমে বসে প্রাচ্যবাসী দেখলেন, এক ফরাসি ভদ্রলোক ওয়েটারকে ধমকে বলছেন, শিম এভাবে রাঁধতে হয় না, শেফকে ডাকুন। হন্তদন্ত হয়ে হোটেলের শেফ এলেন। ফরাসি ভদ্রলোক তাঁকে শিম রান্নার কৌশল বাতলে দিলেন। প্রাচ্যবাসী কিছুই বুঝতে পারলেন না। তিনি আকস্মিকভাবে ঠিক করলেন, যে দেশের মানুষ নিখুঁতভাবে শিম রাঁধতে জানে, তাঁকে সেই দেশে যেতে হবে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ চেয়েছিলেন এশিয়াবাসীর আবেগ ও বঞ্চনার কথা পশ্চিমি পাঠকদের কাছে স্যাটায়ারের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে। উপন্যাসে পাঠক পাবেন অন্য এক ওয়ালীউল্লাহকে।