User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
great book
Was this review helpful to you?
or
কী নিয়ে বইটি তার আলাপ না করে বরং আকবর আলী খানের লেখার ঢঙ নিয়ে বলি- এমন ভঙ্গিতেও যদি প্রবন্ধ নিয়মিত লেখা যেত তবে এদেশে প্রবন্ধেরও আলাদা একটা পাঠকগোষ্ঠী থাকতো।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
Awesome
Was this review helpful to you?
or
It's a very interesting book
Was this review helpful to you?
or
লেখাটি সাবলীল হয়নি। লেখক মূল উপজীব্য কে উপস্থাপন করতে গিয়ে বারবার খেই হারিয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
বইটার উদ্দেশ্য এবং লেখার ধরন বেশ ভালো। এমন একজন ব্যাক্তির বই পড়তে পারাটাও একটা ভাগ্যের বেপার। তবে, মাঝে মাঝে অনেক বেশি তথ্য দেওয়া হয়েছে যা বিরক্তির কারণ। যেটা একাডেমিক বইতে হয়ে থাকে।
Was this review helpful to you?
or
very good one for me...
Was this review helpful to you?
or
প্রবন্ধ পড়েও যে গল্প উপন্যাসের ফিল পাওয়া যায় এরকম অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
অর্থনীতির ছাত্র না, বা এই সম্পর্কে ধারণা কম থাকা সত্ত্বেও যাদের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিভিন্ন বিষয়ের উপর অর্থনীতির প্রভাব এইসব বিষয়ে হালকা ঢঙের বই এটি।লেখক আকবর আলী খান তার স্বভাব মতোই খুব চমৎকার মেজাজে দারুণ সব উদাহরণ দিয়ে লিখে গেছেন বইটি। আপনার লাইব্রেরি আছে? বই সংগ্রহ করছে? এই বইটি না থাকলেই নয়!
Was this review helpful to you?
or
খটমট টার্মস গুলোকে ভুলে গিয়ে আজব ও জবর-আজব পদ্ধতিতে অর্থনীতির বিশ্লেষণ জানতে এই বইটি পড়ুন।
Was this review helpful to you?
or
আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি নামে বাংলায় আমরা যে একটি বই পেয়েছি, এটাই একটা আজব ঘটনা। কারণ, আমরা প্রমাণ পেলাম আইনশাস্ত্র বাংলায় না চললেও অর্থনীতির ত্যাঁদড় বিষয়ে লেখা চলে। লেখক দুর্দান্ত, না হলে কি কেউ এমন খবর ফাঁস করে যে সত্তরের দশকে আমাদের তিন অধ্যাপক ছিলেন, যাঁদের প্রত্যেকের ডবল পিএইচডি ছিল এবং দুর্নীতির দায়ে তাঁরা প্রত্যেকে জেল খেটেছিলেন। সুতরাং ডবল পিএইচডি থেকে সাবধান! জবর খবর বটে। বইটি এভাবে রস সঞ্চারক হলেও এর নামের শ্রীছাঁদে কেবল অর্থনীতি শব্দটি লেপ্টে থাকার কারণে এ দেশে বইটির কাটতি যদি নিতান্ত কম হয়, তাহলে অবাক হব না। কারণ, এই শব্দটি থাকার কারণেই, হয়তো এটা মাসুদ রানা কিংবা কিরিটি রায়ের মতো কোনো জনপ্রিয় উপন্যাস বা চিত্রনাট্য হতে হতেও যেন আটকে গেল। অর্থনীতিবিদ হিসেবে লেখকের আক্ষেপ মূলধারার বাঙালিরা বাংলায় অর্থনীতির ওপর বই লেখেন না। লেখেন ইংরেজিতে। আমাদের মূলধারার আইনবিদেরা তো আদৌ কোনো বইটই লেখেন না। সম্ভবত সে কারণেই আদালতের মতো নীরস জগতেও যে রসালো ব্যাপারস্যাপার আছে, সেগুলো আমজনতার অজানাই থাকছে। সেদিক থেকে লেখকের বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য, কারণ তিনি বিশ্বজুড়ে চিন্তারাজ্যে সুনামি বয়ে আনা ফ্রিকোনমিক্স এবং সুপার ফ্রিকোনমিক্স-এর স্বাদ বোধগম্য নান্দনিকতায় বাঙালি পাঠকের সামনে সহজলভ্য ও সহজবোধ্য করেছেন। মূল বইয়ের প্রচ্ছদটিও বিচিত্র: ‘ফ্রিকোনোমিক্স: একজন দুর্বৃত্ত অর্থনীতিবিদ সবকিছুর গোপন দিকসমূহ পরীক্ষা করেছেন’। এর মূল লেখক শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক স্টিভেন ডি লেভিট। তাঁর সহযোগী হলেন নিউইয়র্ক টাইমস-এর দুঁদে সাংবাদিক স্টিফেন জে. ডুবনার। তাঁরা সাফ বলেছেন, ‘এ জগতে যা কিছু উদ্দীপিত বা উত্তেজিত করে সেসবের অধ্যয়নই হলো অর্থনীতি।’ অর্থনীতির সনাতনী সংজ্ঞা তাঁরা ভেঙে ফেলেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদেরও সে পথে যেতে হবে। সম্ভবত খান তার পথিকৃত। এই বই লিখে তিনি বেড়ালের গলায় একটি ঘণ্টা বেঁধেছেন। ২০০৫ সালে ফ্রিকোনমিক্স ছাপা হওয়ার পরের চার বছরে বইটি ৪০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়। আকবর আলি খানের বই কত বছরে কটি বিক্রি হবে তা হলফ করে বলা কঠিন। বহু বিচিত্র বিষয় যা প্রথাগত অর্থনীতিবিদেরা বহুকাল এড়িয়ে গেছেন, তারই সুলুক সন্ধান করেন অধ্যাপক লেভিট। এই বইয়ের প্রচারে মুগ্ধ লেখকদ্বয় ২০০৯ সালে তাই বের করেন সুপার ফ্রিকোনমিক্স। এর ওপরে ২০১০ সালে ৩০ লাখ ডলারের বাজেটে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। আকবর আলি খান ওই দুটি বইয়ের অনুরণন এক মলাটে বন্দী করেছেন। তিনি এর অন্তর নিতে সচেষ্ট হয়েছেন, ভাষান্তর করেননি। অধ্যাপক লেভিট মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবক্তা। তাঁর ব্লগে দেখি, ১৯৯৯ সালে তিনি তত্ত্ব দিয়েছিলেন যে আমেরিকার কারাশিল্পের বেসরকারীকরণ করতে হবে। রাজনৈতিক ছাড়া শুধু আর্থিক বিবেচনায় সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। ১৩ বছর পরেই লেভিটের বেসরকারি কারাশিল্প শ্রমের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ লাখ কারাবন্দী প্রায় এক ডলার থেকে পৌনে পাঁচ ডলারের জন্য খেটে মরছে। লেভিটের আরেক কাণ্ড হচ্ছে, ওই বছরেই তিনি তত্ত্ব দেন যে ১৯৭০-এর দশকে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের ব্যাপক মাত্রায় গর্ভপাত ঘটানোর সুফল মিলেছে দুই দশক পরে। কারণ, তখন অপরাধের হার কমে গিয়েছিল। বর্ণবাদী হিসেবে তোপের মুখে পড়া লেভিট সে যাত্রায় ক্ষমা চেয়ে পার পান। তবে আমাদের খান নিশ্চয় ক্ষমা চাইবেন না, কোপানলে দগ্ধ হবেন না, কারণ তিনি নর-নারীর সবচেয়ে রোমান্টিক সময় হিসেবে বর্ষাকালকেই বেছে নেন। মেঘদূত-এর শ্লোক উদ্ধৃত করেন। আর বলেন, কালীদাস থেকে রবিঠাকুর—সব কবিই বর্ষার সঙ্গে প্রেমের ও কামের সংযোগ দেখতে পেয়েছেন। নর-নারীর এই মৌতাত শরৎ অবধি গড়ায়। তাঁর যুক্তি: ভারতীয় ও বাঙালির জন্মের তারিখের ওপর বর্ষার কোনো প্রভাব দেখা যায় না। এরপর তিনি নির্ভয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্মতারিখ মোটেও নির্ভরযোগ্য নয়। সত্যিই তো, বাংলাদেশের শতকরা ২০ ভাগের বেশি মানুষের জন্ম কেন জানুয়ারি মাসে হবে? তাই বলে কি আমরা জন্মদিনের রাজনীতি করি? জাতীয় জীবনের সুপরিচিত সংখ্যাসূচকগুলো কতটা বিশ্বাসযোগ্য? খান অবশ্য বলেছেন, ‘ডাবল পিএইচডিরা দল বেঁধে জেলে গেলেই পিএইচডি ডিগ্রির জন্য তাঁরা জেলে গেছেন এ সূত্র প্রমাণিত হয় না।’ আমরা বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।
Was this review helpful to you?
or
গতানুগতিক গণ্ডীর বাইরের কিছু অর্থনৈতিক তত্ত্বের সঙ্গে বাঙালি পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেবে এ বই। প্রবন্ধগুলোর বিষয়বস্তু বিচিত্র ও কৌতূহলোদ্দীপক। একটি প্রবন্ধের শিরোনাম 'ভেগোলজি ও অর্থনীতি'। দুটি প্রবন্ধে অর্থনীতিতে অনভিপ্রেত পরিণাম ও মিত্রপক্ষের গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। দুটি প্রবন্ধের উপজীব্য বিশ্বায়ন। সুখ ও অর্থনীতির সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনা দেখা যাবে একটি নিবন্ধে। তথ্য অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে 'সুকতলার অর্থনীতি ও জুতার রাজনীতি'তে। একটি প্রবন্ধে জন্মদিনের অর্থনীতি ও আরেকটি প্রবন্ধে সরকারের অপচয় নিয়ে বিশ্লেষণ রয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম বড়াই করে লিখেছেন, 'হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান'। কারণ হিসেবে বলেছেন, দারিদ্র্য তাঁকে 'অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস দিয়েছে'। তবে এ দাবি কখনো করেননি যে, দারিদ্র্য তাঁকে সুখ দিয়েছে। বরং তিনি লিখেছে—'দারিদ্র্য অসহ/ পুত্র হয়ে জায়া হয়ে কাঁদে অহরহ/ আমার দুয়ার ধরি। কে বাজাবে বাঁশি?/ কোথা পাব অনিন্দিত সুন্দরের হাসি?' দরিদ্র মানুষের মনে সুখ নেই, তাই তাঁর মুখে হাসি বেমানান। বেশিরভাগ মানুষেরই সুখের জন্য চাই অর্থ ও বিত্ত। তাই তো 'এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি'। দেশভেদে সুখের তারতম্যের একটি বড় নিয়ামক হলো মাথাপিছু আয়। তৃতীয় অংশের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, ধনী দেশের অধিবাসীদের সুখের মাত্রা উচ্চতর পর্যায়ের। গরিব দেশের মানুষেরা অপেক্ষাকৃত অসুখী হয়। দেশভেদে এ সূত্র যেমন সত্যি, দেশের ভেতরেও শ্রেণীভেদে তা সমভাবে কার্যকর। এই বক্তব্যের সমর্থনে দুই ধরনের উপাত্ত রয়েছে। প্রথমত, দেশভেদে সুখ ও মাথাপিছু আয়ের মধ্যে ধনাত্মক সহগমন লক্ষ করা যায়। ৪৯টি দেশের সুখ ও মাথাপিছু আয়ের সম্পর্ক বিশ্লেষণ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সুখ ও মাথাপিছু আয়ের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট ধনাত্মক সম্পর্ক রয়েছে। তবে সুখের ওপর মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তাত্ক্ষণিক প্রভাব অত্যন্ত নগণ্য।
Was this review helpful to you?
or
বইটি সুখপাঠ্য। অর্থনীতির তত্ত্ব নিয়ে জবড়জং লেখা খুঁজলে বইটি থেকে দুরে থাকুন। এখানে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নেই। আছে অর্থনৈতিক সমস্যাসংকুল ঘটনার সুস্বাদু বর্ণনা।
Was this review helpful to you?
or
This book exposes the economics as subject for general student with interesting example and analysis. There is no theory and hypothesis but have a lot of information which usher a thrust for knowledge. It change the traditional ways of economics thinking and make a new dimension of social science. Every social researcher and thinkers may have to read this happy ending book and get the paradox of politics.
Was this review helpful to you?
or
আকবর আলী খানকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মত কিছু নাই। আমলাতন্ত্রের শীর্ষপদ মন্ত্রীপরিষদ সচিব এবং একই সাথে একজন অধ্যাপক খু্ব কম লোকই আছেন পৃথিবীতে। থাকলেও আমি জানিনা। বিচরণ ইতিহাস থেকে গভর্নেন্স, অর্থনীতি অর্থাৎ সমাজবিজ্ঞানের সর্বত্র। ইতিহাসে গ্রাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন। অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রিধারী। লিখে চলেছেন অনবরত। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই এর সাথে বেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুজিবনগর সরকারের একজন বেশ আলোচিত আমলা। “আজব ও জবর আজব অর্থনীতি” অর্থনীতির একাডেমিক কোন বই নয়। বরং এটি লেখকের অর্থনৈতিক জ্ঞান, বাস্তব অভিজ্ঞতা আর নিবিড় গবেষণার নির্যাস। ১০ টি প্রবন্ধের এই সংকলনে ভিন্ন ১০ টি বিষয় আলোচনা করেছেন। প্রবন্ধগুলি অর্থনীতি, সুশাসন, আর সমাজ সম্পর্কে আমাদের বিদ্যমান ধারণাগুলোকে প্রশ্ন করে যায় নিরন্তর। উন্মোচিত করে চিন্তার এক নতুন দিগন্ত।গভীর বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ প্রবন্ধগুলিতে যেমন লেখকের নিজস্ব বিশ্লেষণ পাওয়া যায়, তেমনি বিভিন্ন পন্ডিতের বিশ্লেষণ গুলোকে বিন্যস্ত করেছেন নিপূণভাবে। বইটির অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেখক নিজে কোন সিদ্ধান্ত দেন নি। বরং নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করে গেছেন। অবজেক্টিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করা সহজ কাজ নয়। কেবলমা্ত্র বিশেষজ্ঞরাই পারেন অবজেক্টিভ মূল্যায়ণ করতে। সুতরাং বইটি সম্পর্কে নির্মোহ মতামত দেয়া এই অধমের পক্ষে অসম্ভব। তবে যেটা সবচেয়ে মুগ্ধ করে সেটা হল লেখকের নিরপেক্ষতা। পরস্পর বিরোধী তত্ত্বগুলিকে বিশ্লেষণ করে গেছেন এমনভাবে যে, যে কোন একটা পড়লে মনে হয় এটাই ঠিক। এইখানেই লেখকের স্বার্থকতা। তিনি পেরেছেন, নিরপেক্ষ থাকতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভারটা পাঠককেই দিয়েছেন। একটা একটা প্রবন্ধ শেষে পাঠক উদ্দীপ্ত হয় সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আরও জ্ঞানার্জন করতে। তবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে যেটা সংকলন এবং বিশ্লেষণ করেছেন সেটা সত্যিই উল্লেখযোগ্য (রিমার্কেবল)।