User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ছবির নামঃ মরনের পরে মুক্তির সালঃ ১৯৯০ পরিচালনাঃ আজহারুল ইসলাম খান অভিনয়েঃ শাবানা,আলমগির সঙ্গিতঃ আহমেদ ইমতিয়াজ টনি ফিল্মস এর ব্যনারে জাতিয় চলচিত্র পুরুষ্কার জিতেছে ৩ টা সেরা অভিনেতা - আলমগীর – মরণের পরে সেরা অভিনেত্রী - শাবানা – মরণের পরে সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী - আনোয়ারা – মরণের পরে একটা মধ্যবৃত্ত সংসার। কর্তা ( আলমগির) একজন সংকৃতিমনা, গিটার বাদক এবং একটা মিলের আন্ডারগ্রাউন্ডের কর্মচারি । তার স্ত্রি ( শাবানা) অমায়িক, সংসারি, পরিপুর্ন বাংগালি বধু । এবং ৬ সন্তান নিয়ে সাজানো-গোছানো,পরিচ্ছন্ন, চমৎকার এই সংসার কিরকম করে ভেঙ্গে গেল ? কি করে একের পর এক নিয়তির থাবা দাগ বসাতে লাগলো অসহায় মুখগুলোতে, সেই গল্প নিয়েই নির্মিত মরনের পরে। সংসারে প্রথম ভাঙ্গন আসে কর্তার অন্যকে বাচাতে গিয়ে নিচের দুহাত বিসর্জন দেওয়ার মধ্য দিয়ে। হাতহীন(?),প্রতিবন্ধি একটা মানুষকে কতটা শুনে,দেখে,গিলে বাচতে হয় তা খুব অল্প সময়ে বেশ স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে এই ছবিতে। উচ্ছল মানুষগুলো আর তাদের প্রান্তবন্ততা এক নিমিষে কতটা নিস্তেজ হতে পারে তাও মনে করিয়ে দেয় এই ছবি। নিজের ব্যর্থতা, হোক সে শারিরিক অথবা মানসিক, একরকম ব্যর্থতার আঘাত যে যুক্তিবোধ নষ্ট করে দেয় সেই ছবিও খুব-ই ঘনিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। ২য় ভাঙ্গনটা আসে যখন জানা যায় শাবানার লান ক্যন্সার হয়েছে। স্বামীর দু হাত নেই। কর্মক্ষমতাহীন স্বামীকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। তার উপর তার মৃত্যু সংবাদ পুরো সংসারটার উপর ঘনিয়ে আনলো কালো ছায়া। সীধান্ত নেওয়া হলো সবগুলো সন্তানকে পালক দেয়া হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো। চলচিত্র প্রবেশ করলো সবথেকে শক্তিশালী পয়েন্টে। এই চলচিত্রে দেখানো কিছু ব্যস্তবতার আড়ালে লুকায়িত কথাটা আপনি জানেন। আপনি জানেন বিচ্ছেদ কতটা আঘাত দিতে পারে। আপনি অবশ্যই জানেন নিসংগতা কতখানি বিষের কাজ করেনা। কিছু না করতে পারার ব্যাথা, আর ব্যর্থতার বেদনা চোখের জল শুষে নিয়ে হৃদয়কে করে দেয় পাথর। লিখেছেনঃ জুবায়েদ দ্বীপ যোগাযোগঃ http://www.facebook.com/jubaead.dip )