User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
after 5Aug 2024 ,the book does not need any review
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। বইটি পড়ার সময় মনে হয়েছে ঘটনাগুলো আমার চোখের সামনে ঘটছে। অনেক ধন্যবাদ লেখককে, তার জীবন্ত লেখনীর জন্য।
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ৩টি সেনা অভ্যুত্থান যার ইতিহাস অনেকেই জানেনা। লেখক একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে অনেক না জানা, অপ্রকাশিত ইতিহাস এখানে তুলে ধরেছেন। সাফায়েত জামিল এর বই এও এটা নিয়ে বিস্তারিত লিখা থাকলেও এই বইএ সব থেকে বেশি ইনফরমেশন আছে। ধন্যবাদ। সকলকে এই বইটি পড়ার আহবান জানাচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
wonderful
Was this review helpful to you?
or
Awesome book, I think everyone should read this book to know the real history which we, the normal people know wrong information about the then time.
Was this review helpful to you?
or
পড়ে ভালো লাগলো। তবে কিছু কথা বার বার রিপিট হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
বেস্ট বই ইতিহাস জানার❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো বই ।
Was this review helpful to you?
or
Very informative and true
Was this review helpful to you?
or
Good quality book, thanks.
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Delivery was little bit late. But okay fine?
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
The history always written by the victorian and always mix of truth and lies, but here the writer nor the victorian or on the side of losers, that is why he could portrait the picture of the painful Seventies and more even the pathetic Eighties (The Ershad's Regime) with a bird's eyes view. Thanks for his great effort for us a essence of truth. Zajakalaah Khairan.
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
Detailed
Was this review helpful to you?
or
The book is good.
Was this review helpful to you?
or
Informative book
Was this review helpful to you?
or
✌️✌️
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো
Was this review helpful to you?
or
খুবই বিশ্লেষণধর্মী ও গবেষণা মূলক একটি বই যা অনেক অস্পষ্ট ঘটনাকে স্পষ্ট করেছে। আমি এই ঘটনার সময় ঢাকার লালমাটিয়ায় থাকতাম, আমি তখন কিশোর অনেক কিছুই সামনে থেকে দেখেছি, যা অনেক অস্পষ্ট ঘটনাকে স্পষ্ট করেছে।
Was this review helpful to you?
or
Average
Was this review helpful to you?
or
It's a very good book. Thanks, Lt.Col. M.A. Hamid sir .
Was this review helpful to you?
or
Nice book
Was this review helpful to you?
or
much better ??
Was this review helpful to you?
or
Very smart Book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
Combination of real information
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিল
Was this review helpful to you?
or
তিন সেনা অভ্যুত্থানের পিছনের অনেক ঘটনায় প্রকাশ পেয়েছে এই বইটিতে । এই বইটিতে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তর ভাবে বর্ণনা করা হয়নি । তবে এই বইটি পড়ে অনেক কিছু জানা যায় যা পরবর্তীতে আরো জানতে সাহায্য করবে। এই বইটি তে লেখক তার দেখা , বোঝা এবং তার চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে লেখক তার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করলেন বিস্তারিতভাবে সবকিছু ধারণ করতে পারেননি। বইটি অনেক তথ্যবহুল এবং সম্যক ধারণা দিতে সক্ষম ।
Was this review helpful to you?
or
Very nice Very nice and good books thanks Rokomary
Was this review helpful to you?
or
রেকমেন্ড করার মতো একটি বই। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে ঘটনাগুলি। নির্ভরযোগ্য তথ্য সন্নিবেশ করেছেন লেখক।
Was this review helpful to you?
or
সঠিক ইতিহাস জানার জন্য ভালো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Average. Informative.
Was this review helpful to you?
or
খুবই তথ্যপূর্ণ এবং সাবলীল ভাষায় লিখিত একটি বই৷ যে কোন পাঠকই পড়ে উপভোগ করবে।
Was this review helpful to you?
or
এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করার মতো! মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর সেনা বাহিনী উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির সময় নিয়ে খটকা রয়ে গেলো৷
Was this review helpful to you?
or
নাইস বুক।
Was this review helpful to you?
or
Interesting Revelations
Was this review helpful to you?
or
Amazing.
Was this review helpful to you?
or
Amazing book
Was this review helpful to you?
or
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যাবতীয় ঘটনাবলী বা ইতিহাস ক্যান্টনমেন্ট ঘিরে রচিত হয়েছে। কাজেই ক্যান্টনমেন্টের বাইরের সিভিলিয়ান গবেষকদের পক্ষে ঘটনার মর্মার্থ বের করা কঠিন। ফলে এত বছর ধরে জেনে আসা অনেক কিছুই এই বইটি পড়ে বুঝলাম যে, ভুল। যাদেরকে নায়কের আসনে স্থান দিয়ে এসেছি এতদিন তারা এখন খলনায়ক হয়ে গেলেন। আওয়ামী ঘেঁষা হিসেবে জেনে আসা জেনারেল খালেদ মোশাররফ ক্ষমতার লোভে পড়ে যে বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে জড়িত ছিল, তা আগে জানা ছিল না। আবার ধারণা ছিল যে, সিপাহি বিপ্লব কর্নেল তাহেরের পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশে সকল সিপাহিরা একত্রিত হয়ে সংঘটিত করেছে। কিন্তু বইটি পড়ে বুঝলাম, কিছু সিপাহি তাহের সাহেবের সাথে ছিল, কিন্তু বাকিরা হুজুগে পড়ে বিদ্রোহটি ঘটিয়েছে। তবে বইটি পড়ে আরও মনে হয়েছে যে, লেখক জেনারেল খালেদ মোশাররফের বিদ্রোহের সময় মেজর জিয়ার সমর্থনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন। আমার মনে হয়েছে, তিনি খালেদ মোশাররফ সেনাপ্রধান থাকার সময় তাকে সর্বোতভাবে সাহায্য করেননি। অবশ্য জেনারেল শাফায়েত জামিলের বই পড়লে হয়ত আরেক জেনারেলের দৃষ্টিতে ইতিহাস জেনে তুলনা করা যেত।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
লেখক এর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা তিনটি সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির উত্থান পতন।
Was this review helpful to you?
or
5
Was this review helpful to you?
or
লে. কর্নেল (অব.) এম. এ. হামিদ পিএসসি একজন প্রত্যক্ষদর্শী,যিনি ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন এই তিনটি সেনা অভ্যুত্থান।বইটিতে ১৫ অগাস্টের একটি নিখুঁত বর্ণনা ফুটে উঠেছে,লেখক কিছু প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন।সবমিলিয়ে তথ্যপ্রমাণসহ লেখকের তৎকালীন অবস্থান বিবেচনায় লেখাটি নিরপেক্ষ।
Was this review helpful to you?
or
In politics of bangladesh The Govt. opossition and Military are highly converged. Political situations of Bangladesh is moving right to left or left to right since long. In this arena many things happned which general people no nothing about. Sometimes people suffered a lot. Historians sometimes dig it down but many often not get proper description. In this situation any eyewithness of these incident is superbly appreciated. A well written book for those who eager to know history and political culture of this beloved country.
Was this review helpful to you?
or
One of the best book regarding our country's history
Was this review helpful to you?
or
টান টান উত্তেজনায় ভরা একটা বই। সবাই কিনতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
১৯৭৫ সালের বাংলাদেশ। ১৫ই অগাস্ট, ৩রা নভেম্বর এবং ৭ই নভেম্বর – মাত্র চার মাসে সংগঠিত হওয়া তিন তিনটি সেনা-অভ্যুত্থান। কর্নেল এম এ হামিদ এমন একজন মানুষ যিনি এই তিনটি ঐতিহাসিক অভ্যূত্থানই একেবারে কেন্দ্রে থেকে দেখবার সুযোগ পেয়েছিলেন; এবং প্রতিটি অভ্যুত্থানের নায়ক-ভিলেনের সাথেই তার জানাশোনা ছিল। চাকুরী এবং দায়িত্বের কারণে প্রতিটিও ঘটনার সাথে কমবেশি প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংযুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি বলেন:- এই কারণে আমার কাছে ১৯৯৩ লিখা এই বইটা একটা ভিন্ন মর্যাদা পেয়েছে। কারণ সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন লেখকদের বরাতে ৭৫ সালের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে যে বইগুলো পাওয়া যায় (তার অনেকগুলাই আমি পড়ে দেখেছি), সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটনাবলী শুনে শুনে অর্থাৎ সেকেন্ডারী সোর্সের ওপর ভিত্তি করে লিখা এবং অনেক ক্ষেত্রেই লেখকের মতাদর্শ এবং ব্যক্তিগত মনোভাবের প্রভাবে অতিসঞ্জিত হয়েছে, সেখানে এই বইটা একটা নিরপেক্ষ ধাঁচ বজায় রেখে বেশ কিছু চিত্র একেবারে ভিতর থেকে তুলে এনেছেন। কর্নেল হামিদ ছিলেন কাকুল মিলিটারী অ্যাকাডেমিতে জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল শফিউল্লাহর কোর্সমেট। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দী থাকবার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। জিয়াউর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অবশ্য জিয়াউর রহমানের শাসনকালে জিয়ার সাথেই এক মনকষাকষির সূত্র ধরে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে সেচ্ছায় অবসর নেন। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পরিচয়ের কোন সুযোগ ছিল না তার, তবে ঐ সময়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের স্টেশন কমান্ডার থাকার সুবাদে একবার বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন তিনি। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে বসে বঙ্গবন্ধু তার কাছে কিছুটা ক্ষোভই প্রকাশ করেছিলেন সামরিক বাহিনী নিয়ে। কমান্ডার থাকবার কারণে কর্নেল হামিদ বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের লাশ উদ্ধার করে তা দাফনের ব্যবস্থা করান। বইটিতে ৭৫ এর রক্তাক্ত অধ্যায়ের সকল কুশীলব সম্পর্কেই তিনি তার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। নির্মোহ বিশ্লেষণে এবং ঝরঝরে ভাষায় লিখা এই বইটা পড়তে পড়তে মনে আপনার পাশে কেউ যে গল্প বলে যাচ্ছে আর আপনি কল্পানায় চলে যাবেন সেই ডিনগুলোতে।।একের পর এক মিলিটারি অপারেশন, ক্যু এবং কাউন্টার ক্যু, সেনাসদর এবং অন্যান্য সশস্ত্র ইউনিটে অফিসারদের তৎপরতা, আওয়ামী লীগ এবং জাসদের রাজনৈতিক নেতাদের কাজ, আন্তর্জাতিক চাপ ও চালচিত্র সবকিছু মিলিয়ে একটা চিত্র চোখের সামনে ফুটে উঠবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার বলার টোনে একটি ডিলেমা পাওয়া যেতে পারে। তিনি শেষ করেছেন তাই অনেকটা দুঃখ এবং কিছুটা যেন অভিমান নিয়েই।
Was this review helpful to you?
or
লেখক খুবই দারুণভাবে ১৯৭৫-১৯৮১ সময়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করেছেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনা অভ্যুত্থানে স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হন। দ্বিতীয় অভ্যুত্থানে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ নিহত হন এবং আরেক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন। তৃতীয় অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। লেখক ওই সময় ঢাকা স্টেশনে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ঘটনাগুলোকে খুব কাছাকাছি অবস্থান থেকে অবলোকন করেছেন। আমার কাছে ঘটনাগুলোর বর্ণনা নিরপেক্ষ হিসেবেই মনে হয়েছে। লেখার মানও যথেষ্ট ভালো ছিলো। স্বাধীন বাংলাদেশের উত্তাল প্রথম দশকের বিষয়ে জানার জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
"তিনটি ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানই অতি নিকট থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার।সৌভাগ্যক্রমে ঐ সময় ঢাকার স্টেশন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ থাকায় প্রায় কমবেশি ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলাম আমি"। ১৯৭৫ সালে ঢাকা ক্যান্টেনমেন্টে সংঘটিত হয়েছিল তিন তিনটে (১৫ আগস্ট,৩ই নভেম্বর,৭ই নভেম্বর) ভয়াবহ সেনাঅভ্যুত্থান।তিনটি অভ্যুত্থানই ছিল খুবই অদ্ভুত এবং যুগান্তকারী।যে সেনাঅভ্যুত্থানের কারণে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিমণ্ডলে ঘটে ব্যাপক উত্থান-পতন। . রক্তখুনের নদী ফেরিয়ে পালা বদল হয় ক্ষমতার হাত।সবচেয়ে দুঃখের বিষয়টি হলো ক্ষোভ-ক্ষমতার দ্বন্ধকেন্দ্রিক এসব অভ্যুত্থানে জড়িত আর নিহত দুপক্ষেরই অধিকাংশ অফিসারই মুক্তিযোদ্ধা . ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কর্নেল ফারুক,কর্নেল রশীদের ঝটিকা অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হোন।অভ্যুত্থানের কারণ দর্শাতে গিয়ে, কর্নেল রশীদ ও ফারুক উপমহাদেশের তৎকালীন বিখ্যাত সাংবাদিক এ্যান্থনী ম্যাসকার্নহাস এর এক ইন্টারভিউতে বলেন, "দেশে অনিয়ম ও অরাজকতার কারণে এমন হিমশীতল কঠিন পদেক্ষেপ নিতে বাধ্য হই"। . শেখ সাহেবেরর বিষয় মিটমাট করে রশিদ-ফারুক মিলে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করায় শেখ সাহেবের মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদকে।এসময় ক্ষমতার পরিক্রমায় মেযর জিয়ারও প্রমোশন হয়। . রশিদ-ফারুক জুনিয়র অফিসার হয়ে ক্ষমতার কলকাঠি নাড়াবার ব্যপারটা সেনাবাহীনির উচ্চপদস্থ অফিসারদের (খালেদ মোশারফ প্রমুখ) মোটেও ভাল ঠেকে নি।পর্বর্তী খালেদ মোশাররফের ক্ষমতাগগ্রহণ।মেযর জিয়া বন্দী। সেপাহী বিদ্রোহী।মেযর জিয়ার মুক্তি।সেপাহীদের হাতে খালিদ মোশাররফের নির্মম মৃত্যু। আবারও সেপাহী বিদ্রোহী।রক্তনেশায় পাগল সেপাহীরা।'সেপাহী সেপাহী ভাই ভাই,অফিসারদের রক্ত চাই' স্লোগানে উত্তাল। মেযর তাহরকে টপকিয়ে জিয়ার ক্ষমতাগ্রহণ।জিয়ার মৃত্যু। সবকিছুর সন্বিবেশে চমৎকার একখানা বই।
Was this review helpful to you?
or
বাজারে প্রচলিত যেকোনো রাজনৈতিক ইতিহাসমূলক স্মৃতিকথার চেয়ে বইটি ভালো। লেখক নিজে যেসব ঘটনার সাক্ষী ছিলেন তা তো লিখেছেনই সাথে বিভিন্ন ঘটনার তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখা-বিশ্লেষণ এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বইটির গুরুত্ব দীর্ঘকাল থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে জানতে ইচ্ছুকদের অবশ্য পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
very good.
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_আগস্ট । সদ্য স্বাধীন হওয়া এক দেশ, দেশটির তুমুল জনপ্রিয় স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ক্ষমতায়। তবে নেতাকে একের পর এক কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে, চারিদিকে সব লোভীদের মিছিল। এমনই সময় একদল জুনিয়র অফিসাররা পরিকল্পনা করলো নেতাকে উৎখাত করার জন্য। একটি দেশের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার জন্য সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের মাত্র দুটি ইউনিট, অল্প কিছু ট্যাংক আর এক হাজারের কম সৈন্য কোনও অবস্থাতেই যথেস্ট নয়। তবু অপারেশন সাকসেসফুল হল। নেতা মারা গেলেন, নেতার প্রায় সমগ্র পরিবারও। কীভাবে এই অপারেশন সফল হল? কীভাবেই বা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করা হল? মুজিব হত্যার পেছনে সব অফিসারদের মোটিভ কী একই ছিল? অপারেশনের পর পর কীভাবে নিপুণতার সাথে অফিসাররা পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলেন? কীভাবে ছোট দুটি ইউনিটের বিদ্রোহ সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর বিদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হল? ক্যুতে গোপন ইন্ধন কারো ছিল না তো? চাঞ্চল্যকর ১৫ই আগস্টের বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে এসব অজানা প্রশ্নের নিরপেক্ষ ও নির্মোহ উত্তরই পাবেন এ বইতে। ১৯৭৫ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক রক্তাক্ত বছর। প্রেসিডেন্ট হত্যার পরেই সেনাবাহিনীর অফিসারদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ক্ষমতা দখলের এক অসুস্থ লড়াই। ঘটে যার আরো দুটি সেনা অভ্যুত্থান। জেলের ভেতর অন্তরীণ অবস্থায় খুন হন জাতীয় চার নেতা। সেপাই বিদ্রোহের মাধ্যমে মুক্ত হলেন জিয়া। কিন্তু সাসপেন্সের এখানেই শেষ নয়? ক্ষমতার ইঁদুর দৌড়ে শেষ হাসি কে হাসবে? বিপ্লবী জাসদ নেতা কর্নেল তাহের? বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল খালেদ মোশাররফ? সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারা ধূর্ত জেনারেল জিয়া? নাকি প্রভুভক্ত কালো বিড়াল জেনারেল এরশাদ? এ ইতিহাস রক্তাক্ত ইতিহাস। বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে অনভিপ্রেত এক পাওয়ার স্ট্রাগল। একে একে ক্ষমতার অসুস্থ লড়াইয়ে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকেই বরণ করে নিতে হয়েছে করুণ পরিণতি। সম্পূর্ণ ইতিহাস জানতে পড়তে হবে এ বই। বই শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ এ শেখ মুজিবের হত্যা অপারেশনের পরিকল্পনার বর্ণনা দিয়ে। আর শেষ হয়েছে জিয়াউর রহমানের হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে। দুই প্রেসিডেন্টের হত্যাযজ্ঞের মাঝের উত্তাল সময়টাই এ বইয়ের প্রতিপাদ্য বিষয়। লেখক কর্নেল হামিদ নিজে তিনটি সেনা অভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঢাকা স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার ছিলেন। চোখের সামনেই দেখেছেন সবই, জড়াননি একটি অভ্যুত্থানেও। অবশেষে আর চক্রান্ত সইতে না পেরে আর্মির চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। এ বইর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল, লেখক প্রত্যেক ঘটনা নিজের চোখে দেখে অথবা ঘটনার নায়কদের সরাসরি সাক্ষাতকার দিয়ে সে মতে ঘটনা বর্ণনা করেছেন। যেসব ঘটনার সুরাহা করেন নি সেগুলো রেখে দিয়েছেন ঘটনার মতই। অনেক জায়গায় নিজের মত আলাদাভাবে ব্যক্ত করেছেন। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোকে বিশ্লেষণ করেছেন ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমেই, নিরপেক্ষভাবে। আলগা রাজনৈতিক আবেগ-অনুভূতি এ বইতে ছিল না। বইয়ের শেষে লেখক মেজর ফারুক রশিদের চাঞ্চল্যকর সাক্ষাতকার এবং বইতে অভ্যুত্থানগুলোর অনেক ছবিও যুক্ত করেছে। নিঃসন্দেহে এ বইর বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী দশ বছরের ঘটনাপ্রবাহের উপর একটি বিরাট দলিল।
Was this review helpful to you?
or
নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে লেখা অন্যতম সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
Every Bangladeshi should read this book at least once to know the untold truth about three revolution of Bangladesh army. Very infomative.
Was this review helpful to you?
or
I love this book but the total summary of my mind is "How these can be possible?"
Was this review helpful to you?
or
'তিনটি সেনা-অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা' বইটি ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনিতে কর্মরত একজন সেনা অফিসারের লিখিত বই। যিনি(এ সংক্রান্ত দলিলে, সংঘটিত অভ্যুত্থানে তিনি জড়িত হিসেবে তার নাম পাওয়া যায়নি) অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেনি, কিন্তু অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সাথে হাস্যমুখে অন্তরঙ্গভাবে বিভিন্ন সময়ে আলাপ-আড্ডায় বসেছিলেন বলে তার বক্তব্য থেকে জানা গেছে। এরপরও তিনি তার বয়ানকে নিরপেক্ষ বস্তুনিষ্ঠ হিসেবে আমাদের সামনে হাজির করেছেন বলে লেখকের দাবী। অত্যন্ত নিবিড় পাঠে যা পক্ষপাত দোষেদুষ্ট এবং বেশকিছু তথ্য আড়ালের প্রবণতা এখানে দেখা গেছে। তবে একটি বিষয়ে লেখককে ধন্যবাদ দিতে হবে, তিনি অভ্যুত্থানে জড়িত সবাইকে আকণ্ঠচিত্তে ক্ষমতালোভী হিসেবে বলতে দ্বিধা করেননি, যা অন্যান্য জড়িত বয়ানকারীদের মধ্যে 'আমি না, ও দোষী' এমন বলবার প্রবণতা প্রবলভাবে দেখা গেছে। হয়ত তিনি এসবে জড়িত ছিলেন না বলে এমনটা বলতে সক্ষম হয়েছেন। এই বইটির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', হুমায়ূন আহমেদের 'দেয়াল', 'জোৎস্না ও জননীর গল্প', হুমায়ূন আজাদের 'পাক সাদ জমিন সাদ বাদ', শহীদ জননী জাহানারা ইমামের 'একাত্তরের দিনগুলি', সুখরঞ্জন দাশগুপ্তের 'মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্র' ও 'সেকাল একাল'--- বইগুলো পড়ার অনুরোধ করব সঠিক ইতিহাস জানার জন্য। মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে অনেক বই রচিত হয়েছে যার অনেকগুলোই বিভ্রান্তিকর, বায়াসড ও পক্ষপাতদুষ্ট । একটি অসাধারণ বই, সবাধীনতা পরবরতি বাংলাদেশের ঘটনা পরবাহ অনুধাবনের জনয অবশয পাঠয। যদিও লেখক সেনাবাহিনীতে তার কোরসমেট জিয়াউর রহমানের পরতি সনেহ সমপূরণ লুকোতে পারেন নি, তবে তার দোষ, গুন, হঠকারিতা বরণনা করেছেন সমপূরণ নিরপেকষ ভাবেই। তিনি পরিসকারভাবেই বলেছেন, বঙগবনধুকে হতযার পরিকলপনার তথয জিয়াউর রহমান সহ অনেক উচচ পদসথ সামরিক করমকরতাই জানতো। এই সামানয সনেহ পরদরশন মানবিক দূরবলতা ধরে নিলে বইটি পরামাণয দলিল হিসেবে বযবহৃত হওয়ার যোগযতা রাখে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারিরিভিউপ্রতিযোগিতা বই-তিনটি সেনা অভ্যূত্থান এবং না বলা কথা লেখক-এম এ হামিদ পি এস সি পৃষ্ঠা-১৯২ মূল্য-২৫০ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪ বছর পর যখন যুদ্ধবিদ্ধস্ত অঞ্চল গুলো একটু একটু করে সংস্কার হচ্ছিলো ঠিক তখনি বাঙালি জাতির উপর এসে পরে এক বজ্রাঘাত। তা হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এক নারকীয় হত্যাকান্ড। যা রচিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহীনির কিছু উর্ধতন কর্মকর্তা দ্বারা। এই হত্যাকান্ডে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যবৃন্দ। এই থেকে শুরু। এই হত্যাকান্ড সহ ১৯৭৫ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সংগঠিত হয়েছিল তিন তিনটি সেনা-অভ্যুত্থান। অভ্যূত্থান তিনটি হলো, ১৫ আগস্ট এবং ৩ ও ৭ নভেম্বর। এবং এর প্রতিটি অভ্যুত্থানই যুগান্তকারী ঘটনা, শতাব্দীর অন্যতম ঐতিহাসিক ঘটনা, যেগুলোর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিমন্ডলে ঘটে ব্যাপক উত্থান-পতন। এমন কি সরকার পরিবর্তনের মত অবিশ্বস্য ঘটনাও ঘটে যায়। কিন্তু ঘটে যাওয়া এই হত্যাকান্ডের পিছনে রয়ে গেছে অনেক কথা যার কোন অংশই সাধারণ মানুষের কর্ণগোচর হয় নি। এই তিনটি ছাড়াও ১৯৭৫ থেকে ৮১ পর্যন্ত মোট ১৮ টি ছোট বড় অভ্যূত্থান সংঘটিত হয়। সব থেকে দুঃখের বিষয় এটাই, ক্ষমতা আর লোভে পড়ে এই সকল সংঘটিত অভ্যূত্থানে যারা জড়িত তারা এবং যারা নিহত হয়েছে এই দুপক্ষেরই অধিকাংশ অফিসারই মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের এই অস্থির সময়ে সংঘটিত এসকল অভ্যূত্থান নিয়ে রয়েছে অনেক অস্পষ্টতা। "তিনটি সেনা অভ্যূত্থান এবং কিছু না বলা কথা " বইয়ের লেখক এম এম হাকিম অভ্যূত্থান গুলো সংঘটিত হবার সময় ঢাকার "স্টেশন কমান্ডার" হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওনার ভাষ্য মতে, "সৌভাগ্যবশত : তিনটি ঐতিহাসিক অভ্যূত্থানই অতি নিকট থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। প্রায় প্রতিটি ঘটনার সাথে কমবেশি প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংযুক্ত ছিলাম।" তিনি এই বইয়ে সে সকল প্রতক্ষ ঘটনা সমূহের বিবরণ দিয়েছেন। এ বিষয়েও তিনি বলেন, অন্যরা যেখানে শুনে শুনে লিখেছেন, আমি সেখানে নিজে প্রত্যক্ষ করে লিখেছি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু লেখক অভ্যুত্থান ঘটনাগুলো না দেখেই শুধু শুনে শুনেই রং চং দিয়ে বিভিন্নভাবে অতিরঞ্জিত করে গল্পাকারে অলংকরন করে লিখেছেন। এতে প্রকৃত তথ্য বিকৃত হয়েছে।" এছাড়া ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর,৭ নভেম্বর অভ্যূত্থানের প্রধান নায়কদের প্রায় সবার সাথে লেখকের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ও সরাসরি জানাশোনা ছিলো। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস পর, নভেম্বরের শুরুতে। ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর ঢাকাস্থ পদাতিক রেজিমেন্টগুলোর মাধ্যমে এবং বিমানবাহিনীর একটি অংশের সক্রিয় সমর্থনে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অবস্থানরত চক্রের বিরুদ্ধে সামরিক অবস্থান গ্রহণ করা হয়। ফলে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর ৩নভেম্বর ঘটে যায় আরেকটি নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। আর তার পরের সেই ৭ নভেম্বর। এই তিনটি সংকটময় সময়ের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা লেখক তার বইটিতে তুলে ধরেছেন। পুরো বইটিতে ছোট ছোট অধ্যায়ে বিভক্তত করে বিষদভাবে আলোচিত হয়েছে ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত সেনা অভ্যুত্থান, ৭১-৭৪ পর্যন্ত সময়কার পর্যালোচনা, মুজিব হত্যাকান্ড, ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে ফারুক-রশিদের সাফল্যের প্রধান কারণসমূহ, রাষ্ট্রপতি মুজিবের সাফল্য ও ব্যর্থতা, আগস্ট পরবর্তী অবস্থা, ক্ষমতার লড়াইয়ে চরম মুহুর্ত, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন সহ মুজিব হত্যা প্রসঙ্গে ফারুক-রশিদের সাক্ষাৎকার, কর্ণেল ফারুক ও রশিদের চাঞ্ছল্যকর সাক্ষাৎকার, আইজি নুরুজ্জামানের জেল রিপোর্ট সহ আরো খুটিনাটি অনেক কিছু। ১৯৭৫ সালে যে তিনটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল তা দেশের ১৯৭৫-পরবর্তী সময়কে ভিন্নতর করতে ভূমিকা রেখেছে। এই অভ্যুত্থানসমূহ নিয়ে লেখালেখি এবং আলোচনা হয়েছে, কিন্তু অভ্যুত্থানগুলির বিভিন্ন দিক নিয়ে এখনও অনেক অস্পষ্টতা বিদ্যমান। সেই সময়ের ঘটনাধারা এবং বিভিন্ন ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্নসমূহ স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে কখনও তার উত্তর আলোচিত হয়নি, আবার কখনও তা পাওয়া গিয়েছে বিভিন্নভাবে। ফলে সেই ঘটনাগুলি নিয়ে টিকে থাকছে নানা বিতর্ক, অস্পষ্টতাও দূর হচ্ছে না। প্রয়োজন সেই সময়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে নৈর্ব্যক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ। এই লেখায় সেই সামরিক অভ্যুত্থানগুলির বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি কিছু জরুরি প্রশ্ন বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেই সময়ের ঘটনাধারা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য। সদ্দ্য স্বাধীনতা পাওয়া একটি দেশ, যার শিরায় শিরায় যুদ্ধের ছাপ। যখন সকলে মিলে এসব ছাপ মুছে নতুন করে রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা করবার পালা তখনি যুদ্ধের ছাপের উপর আবারো কতোগুলো লোভী ব্যক্তি জাতির পিতার রক্তের ছাপ লাগিয়ে দিলো। বিধস্ত একটা দেশের ক্ষতি সামলে উঠার আগেই পরপর তিনটি সেনা অভ্যুত্থানে যে কি পরিমাণ অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। অনেক বছর পর্যন্ত বোধহয় এর ঘানি টেনে চলতে হবে।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা লেখকঃ লে. কর্ণেল (অব:) এম এ হামিদ পিএসসি কাহিনীর কথাঃ ইতিহাস থেকে আমরা জানি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত ও সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত কিছু অফিসারের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয় দেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যকে। এই হত্যাকাণ্ডের পর দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি ভেঙে যায় সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড। নতুন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া মেজর এবং ক্যাপ্টেন পদবীর অপেক্ষাকৃত অধস্তন অফিসাররা ভোগ করতে থাকেন বিপুল ক্ষমতা। সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্লাহকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন প্রধান করা হয় মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস পর, নভেম্বরের শুরুতে। ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর ঢাকাস্থ পদাতিক রেজিমেন্টগুলোর মাধ্যমে এবং বিমানবাহিনীর একটি অংশের সক্রিয় সমর্থনে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অবস্থানরত চক্রের বিরুদ্ধে সামরিক অবস্থান গ্রহণ করা হয়। ফলে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর ৪ নভেম্বর ঘটে যায় আরেকটি নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। আর তার পরের সেই ৭ নভেম্বর...। এই তিনটি সংকটময় সময়ের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা লেখক তার বইটিতে তুলে ধরেছেন। বইটিতে বিষদভাবে আলোচিত হয়েছে পনের আগস্ট রক্তাক্ত সেনা অভ্যুত্থান, ৭১-৭৪ পর্যন্ত সময়কার পর্যালোচনা, মুজিব হত্যাকান্ড, ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে ফারুক-রশিদের সাফল্যের প্রধান কারণসমূহ, রাষ্ট্রপতি মুজিবের সাফল্য ও ব্যর্থতা, আগস্ট পরবর্তী অবস্থা, ক্ষমতার লড়াইয়ে চরম মুহুর্ত, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন সহ মুজিব হত্যা প্রসঙ্গে ফারুক-রশিদের সাক্ষাৎকার, কর্ণেল ফারুক ও রশিদের চাঞ্ছল্যকর সাক্ষাৎকার, আইজি(প্রিজন)নুরুজ্জামানের জেল রিপোর্ট সহ আরো অনেক কিছু পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে যে তিনটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল তা দেশের ১৯৭৫-পরবর্তী সময়কে ভিন্নতর করতে ভূমিকা রেখেছে। এই অভ্যুত্থানসমূহ নিয়ে লেখালেখি এবং আলোচনা হয়েছে, কিন্তু অভ্যুত্থানগুলির বিভিন্ন দিক নিয়ে এখনও অনেক অস্পষ্টতা বিদ্যমান। সেই সময়ের ঘটনাধারা এবং বিভিন্ন ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্নসমূহ স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে কখনও তার উত্তর আলোচিত হয়নি, আবার কখনও তা পাওয়া গিয়েছে বিভিন্নভাবে। ফলে সেই ঘটনাগুলি নিয়ে টিকে থাকছে নানা বিতর্ক, অস্পষ্টতাও দূর হচ্ছে না। প্রয়োজন সেই সময়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে নৈর্ব্যক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ। এই লেখায় সেই সামরিক অভ্যুত্থানগুলির বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি কিছু জরুরি প্রশ্ন বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেই সময়ের ঘটনাধারা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য। ৭৫-৮১ সময়কালে সংঘটিত তিনটি সেনাঅভ্যুত্থান,এর ভেতর-বাহিরের সঠিক ইতিহাস জানাবে বইটি। এই বইটির সবচেয়ে যে দিকটি না বললেই নয়, ইতিহাসের বইগুলো লেখা হয়ে থাকে গবেষণালব্ধ তথ্য হতে,প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা হতে, অথবা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কথোপকথন হতে। কিন্তু, এ বইটি এখানেই ব্যতিক্রম যে,এটি তিনিই লিখেছেন, যিনি প্রত্যেকটি অভ্যুত্থানকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। অভ্যুত্থানের নেতা কিংবা নিহতরা সবাই ছিলেন লেখকের পূর্বপরিচিত। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আমাদের তিনটি সংকটময় মূহুর্তের কথা জানতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রিভিউঃ ১৯৭৫ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সংগঠিত হয়েছিল তিন তিনটি সেনা-অভ্যুত্থান। তিনটি অভ্যুত্থানই যুগান্তকারী ঘটনা, শতাব্দীর অন্যতম ঐতিহাসিক ঘটনা, যেগুলোর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিমন্ডলে ঘটে ব্যাপক উত্থান-পতন। এমন কি সরকার পরিবর্তনের মত অবিশ্বস্য ঘটনাও ঘটে যায়। সৌভাগ্যবশত : তিনটি ঐতিহাসিক অভ্যূত্থানই অতি নিকট থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। প্রায় প্রতিটি ঘটনার সাথে কমবেশি প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংযুক্ত ছিলাম। অন্যরা যেখানে শুনে শুনে লিখেছেন, আমি সেখানে নিজে প্রত্যক্ষ করে লিখেছি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু লেখক অভ্যুত্থান ঘটনাগুলো না দেখেই শুধু শুনে শুনেই রং চং দিয়ে বিভিন্নভাবে অতিরঞ্জিত করে গল্পাকারে অলংকরন করে লিখেছেন। এতে প্রকৃত তথ্য বিকৃত হয়েছে। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর,৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানগুলোর উপর আমার লেখার সুবিধা হলো, ঐ সময় সৌভাগ্যক্রমে আমি ঢাকার স্টেশন কমান্ডার হিসেবে অত্যান্ত কাছ থেকে ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানগুলো প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমার হয়েছিল। এছাড়া অভ্যূত্থানের প্রধান নায়কদের প্রায় সবার সাথে ছিল আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ও সরাসরি জানাশোনা।
Was this review helpful to you?
or
Awesome book, I think everyone should read this book to know the real history which we, the normal people know wrong information about the then time.
Was this review helpful to you?
or
১৯৭৫ এর আগস্ট থেকে নভেম্বরের রক্তাক্ত ইতিহাস এবং ঘটনাবলী নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক বই। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেসকল বইগুলো পক্ষপাতদুষ্ট, স্ববিরোধী তথ্য দিয়ে পরিপূর্ণ এবং কিছু ক্ষেত্রে অতি নাটকীয় ঢঙ্গে লেখা। এসকল কারনে সঠিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে বইগুলো প্রায়সময়ই গ্রহণযোগ্যতা হারায়৷ কিন্তু আলোচ্য বইটির লেখক জনাব এম. এ. হামিদ এসকল ঘটনাপ্রবাহ দেখেছেন একদম কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, এইসব ঘটনার নায়ক-প্রতিনায়ক-খলনায়কদের সাথে তিনি ছিলেন ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত, ছিলেন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে। তাই, সকল দিক ও কূল বিবেচনা করে তিনি বইটি লিখেছেন নিজের বিবেকের তাড়নায়, চেষ্টা করেছেন পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে সকল সত্য উন্মোচন করতে। যারা উল্লেখিত সময়ের ইতিহাস ও সত্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত নন, সত্যান্বেষণে কিংবা শুদ্ধ ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে প্রামাণ্য হতে পারে এই বইটি, সেজন্য লেখক প্রয়াত লে: কর্নেল এম. এ. হামিদ যার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
Was this review helpful to you?
or
Very informative narration of one of the most Hated and despised crime of the century!
Was this review helpful to you?
or
‘তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা’। বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৭৫ সালের তৎকালীন সময়ে ঘটনাপ্রবাহ। ৭১- এর বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির স্বল্প আলোচনা দিয়ে বইয়ের সূচনা হয়। পরবর্তীতে ১৫ ই আগষ্টের সেনা অভ্যুত্থানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহপরিবারে হত্যা, ৩ রা নভেম্বরের অভ্যূত্থানে খালেদ মোশাররফ-শাফায়েত জামিলদের উত্থান, ৭ ই নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ঘটনাপ্রবাহ বয়ে গিয়ে সমাপ্তি ঘটে প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যাকাণ্ডের মধ্যমে। এসকল ঘটনাবলী নিয়ে অন্যান্য বইয়ের থেকে এই বইটি তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানেই আছে। এর মূল কারণ হলো অন্যসব লেখকরা যেখানে শুনে শুনে তাদের বইতে ঘটনাগুলোকে তুলে ধরেছেন, সেখানে এই বইয়ের লেখক তিন অভ্যূত্থানকে সচক্ষে উপলব্ধি করেছেন, এছাড়াও অভ্যুত্থানে নায়কদের প্রায় বেশীরভাগের সাথে তার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ও জানাশোনা ছিলো। এতে করে সাবলীল ও সুন্দরভাবে ঘটনাসমূহ উপস্থাপন করেছেন। ঘটনাসমূহ উপস্থাপনের পাশাপাশি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাসমূহ পরিপাটিভাবে বিচার বিশ্লেষণও করেছেন। তাই ব্যক্তিগতভাবে বইটি বেশ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
১৯৭৫ সালে ঘটে যাওয়া তিনটি সেনা অভ্যুত্থান সম্পর্কে জানার জন্য শ্রেষ্ঠ বই।
Was this review helpful to you?
or
boita pore onek kisu jante parsi thanks
Was this review helpful to you?
or
স্বাধীনতার মাত্র ৪ বছর না পেরোতেই একের পর এক হত্যা আর পাল্টা হত্যার ঘটনা ঘটে যায় । স্বাধীনতার মূল স্তপতিকে সপরিবারে হত্যা, সেই সাথে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মুসাররফ সহ আরো অনেক সেনা কর্মকর্তার হত্যা আর ক্যু নিয়ে অনেক অজানা কাহিনি জানা যাবে এই বই থেকে। আর সেই সাথে এত দিন ধরে জেনে আশা অনেক ভুল তথ্য ও নতুন করে জানতে পারবেন। অভ্যুত্থান কে করলো, কারা জড়িত ছিল, কারা বেনিফিশিয়ার, কাদের কি ভুমিকা ছিল তা উঠে এসেছে একজন প্রত্যক্ষদর্শির বয়ানে। সাবলীল লেখনীর মাধ্যমে তথ্যবহুল একটি বই। বিশেষ করে যারা আমাদের স্বাধীনতা পরবর্তী ঘটনা নিয়ে আগ্রহী তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
১৯৭২ সাল।রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হাল ধরলেন স্বাধীন সরকারের।শুরু হল ঐতিহাসিক যাত্রা।উৎফুল্ল জনতা।একমাত্র তিনিই তখন সকল চেতনার কেন্দ্রবিন্দু।তাকে নিয়ে শুরু হলো বন্ধুর পথে কঠিন যাত্রা। বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাঙালী।সবাই এবার বিজয়ের অংশীদার। ভারতীয় বাহিনী বলে বিজয় আমাদের।মুক্তিবাহিনী বলে আমাদের।মুজিববাহিনী ভাবে আমাদের।সেনাবাহিনী বলে আমাদের।দেশের আনাচে কানাচে ছিটিয়ে পরা নাম না জানা গেরিলারা বলে আমাদের।সেতু পারার গেদু মিয়া কদম আলীরা ভাবে আমাদের। কারণ তারা নাকি বাড়িতে বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধাদের দিয়েছিল আশ্রয়। কবির ভাষায়.. রথযাত্রা,লোকারণ্য,মহা ধূমধাম--- ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম। পথ ভাবে ‘আমি দেব’ রথ ভাবে ‘আমি’। মূর্তি ভাবে ‘আমি দেব’ হাসে অন্তর্যামী। সবাই বলে আমি বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।এবার আমার প্রাপ্য আমাকে দাও।আমি কেন অবহেলিত?অন্যরা কেন আমার অগ্রভাগে? শুরু হয়ে গেলো চাওয়া পাওয়ার “ইদুর দৌড়”।চাই,চাই,চাই।গাড়ি চাই,বাড়ি চাই।টাকা চাই চাকুরী চাই।চাকুরিওয়ালাদের প্রমোশন চাই।নবগঠিত সেনাবাহিনীতেও একই আওয়াজ প্রমোশন চাই। উপরিউক্ত এ বর্ণনায় ই বলে দেয় যুদ্ধ পরবর্তী দেশের করুণ অবস্থা।সকলের চাওয়া পাওয়া মিশেল মিলাতে না পেরে আর নানান কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব দল ভেঙে বাকশাল প্রবর্তন করলেন।ধুমায়িত অসন্তোষ আরো বাড়তে লাগলো।যার ফলশ্রুতিতেই ১৫ আগস্টের সেই নৃশংস সেনা অভ্যুত্থান। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনটি বড় বড় সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।সে অভ্যুত্থান গুলোই বদলে দেই বাংলাদেশের ইতিহাস।আমার কেন জানি মনে হয় বহু বছর পিছিয়ে দেওয়া এই সেনা অভ্যুত্থান তিনটি যদি সংগঠিত না হতো তাহলে দেশ এতদিনে অনেক দূর এগিয়ে যেতো। . যাইহোক।ইতিহাস বদলে দেওয়া এই তিন সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে বইটি লেখা।এক কথায় ভালো লেগেছে।বিতর্ক থাকতে পারে।ইতিহাস সংক্রান্ত এমন বইয়ে নানান বিতর্ক থাকে।একই ইতিহাস নানান বইতে নানান ভাবে আসার কারণেই এই বিতর্ক টা সৃষ্টি হয়। আবার লেখকের ও নিজের একটা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে।সত্য বা মিথ্যা যাই লিখুক নিজের মত করে লেখার প্রবণতা থাকে।সেক্ষেত্রে একজনের বইয়ের সাথে আরেকজনের টা নাও মিলতে পারে।আর সবচেয়ে বড় কথা এত বছর আগের ইহিতাসের সত্যতা যাচাই করাটাও আমাদের জন্য দুঃসাধ্য। কাজেই এক্ষেত্রে আমাদের হাত পা বাধা। সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে এটা আমার প্রথম পড়া বই।ভালো লেগেছে এই অর্থে যে প্রতিটা ঘটনা উনি মোটামুটি টাইম ম্যানশন করে স্টেপ বাই স্টেপ গুছিয়ে তুলে ধরেছেন।উনার নিজের দিক থেকে প্রতিটা ঘটনার কারণ ও ঘটনার পরে প্রতিক্রিয়া বা ফলাফল নির্ধারণের চেষ্টা করেছেন। ---এইবার আসেন বইটি কেন পড়বেন? যদি এই বিষয়ে কোনো বই এর আগে একটাও না পড়েন তাইলে বইটা আপনার না জানার শূন্যস্থান টি ভরাট করে দিবে। আর যদি এই বিষয়ে আরো বই পড়ে থাকেন তাহলে জানার পরিধিটাও আরো বেড়ে যাবে আর দুটো বা তিনটি বইয়ের ইতিহাসকে একসাথে নিজে নিজে বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এবার নিজের কথায় আসি একটু।বাংলাদেশের ইতিহাস সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ বই আছে।বইগুলোর কিছুই পড়া হইনি।বলতে গেলে এটিই প্রথম।এই মাসে বেশ কয়েকটা বই কিনে পয়সার ভাড় অনেকটা ফাকা। অথচ এইটা পড়ার পরে দেশের ইতিহাসকে জানার আগ্রহ আরো প্রবল হয়ে গেল।
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুব দ্রুত পড়েছি। অসম্ভব ভালো একটা বই।যারা সত্যিকারের ইতিহাস জানতে অাগ্রহী, তাদের জন্য সেরা বই। বঙ্গবন্ধু , জিয়া, মোশতাক, খালেদ মোশারফ, কর্ণেল তাহের, এরশাদ সবার ব্যপারে জানতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট, ৩রা নভেম্বর ও ৭ই নভেম্বরে সংঘটিত হওয়া তিনটি সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা আমাদের দেশের ইতিহাস নিয়ে আসলে কতটুকু জানি! এই বই পড়ার আগে এই অভ্যুত্থান গুলো সম্পর্কে অল্পস্বল্প জানতাম। বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেয়া অভ্যুত্থান গুলো সম্পর্কে জানা সবার জন্যই জরুরি। খালেদ মোশাররফ,মেজর হায়দারের মতো মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়কদের এমন পরিণতি সত্যিই কষ্টদায়ক। ব্যক্তিস্বার্থ আর ক্ষমতার লোভের জন্য মানুষ কি না করতে পারে!
Was this review helpful to you?
or
ভাল্লাগেনাই মোটেও
Was this review helpful to you?
or
১৯৭৫ সালের যে ঘটনা আমরা শুনতে পাই তার সবই যখন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। এই বইটা সেই তুলনায় নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ মনে হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশের অস্থির সময়ে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে রয়েছে অনেক অস্পষ্টতা।ঢাকার তৎকালীন স্টেশন কমান্ডার এম এ হামিদ সেনা অভ্যুত্থানগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন এই বইতে,জন্ম দিয়েছেন কিছু নতুন প্রশ্নের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য থেকে সম্ভাব্য উত্তরও বের করার চেষ্টা করেছেন।অভ্যুত্থানগুলোর সাথে জড়িত অনেকের সাথে তার পরিচয়,এমনকি ঘনিষ্ঠতা ছিল।তাই রুদ্ধশ্বাস ঘটনাগুলোর বর্ণনা পাওয়া গেল প্রত্যক্ষদর্শীর জবানীতে।অভ্যুত্থানপরবর্তী ক্যান্টনমেন্টের থমথমে অবস্থা,সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া আর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বর্ণনা করেছেন লেখক তার নিজস্ব ভঙ্গিতে।লেখকের দৃষ্টিতে অভ্যুত্থানগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতার কারণগুলো গুছিয়ে লিখেছেন এই বইতে।পর্যালোচনা করতে গিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন নিরপেক্ষ থাকার।সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বইটি আরো জানার আগ্রহ তৈরী করবে বলে মনে করি।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি থেকে প্রাপ্ত চমকপ্রদ তথ্য, ১। খালেদ মোশাররফ ছিলেন ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের জোরালো সমর্থক। ২। মেজর ফারুক ছিলেন খালেদের ঘনিষ্ঠ আত্নীয়। তার জোরালো অবস্থানের জন্য বিতর্কিত ফারুককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ৩। জিয়া ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী। তিনি চীফ হবার জন্য শুরু থেকেই তদবির করছিলেন। আওয়ামীলীগের তোফায়েল আহমেদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলতেন। ৪। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পক্ষে ছিলেন সেনা সদরের প্রায় সকলেই। বিশেষ করে হত্যাকারীদের সাথে হাত মেলানোর জন্য সবাই নাকি হুড়োহুড়ি করত। ৫। ৩নভেম্বরের অভ্যুত্থানে খালেদের ভুমিকা সামান্যই ছিল। এটা ছিল মুলত ১৫ আগস্টের কুশীলবদের বঙ্গভবন থেকে সরানোর ও বাচানোর একটা চাল। খালেদকে এখানে ব্যবহার করা হয়েছিল। পুরো ঘটনায় কর্নেল তাহের ও জাসদের যোগ ছিল। ৬। সম্ভবত জিয়ারও একটা নিরব ভুমিকা ছিল এখানে। জিয়া মুলত তাহেরের সাথে গোপন আতাত করে সব করেছিলেন। ৭। তাহেরের উদ্দেশ্য ছিল জিয়াকে ক্ষমতায় এনে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করা। আর জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাহের ও জাসদকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করা। ৮। সাপলুডু খেলায় জিয়া জিতে যান। তাহের হেরে যান। খালেদ পুরোপুরি হারিয়ে যান। ৯। জিয়া ছিলেন অত্যন্ত সন্দেহ প্রবণ কানভারী স্বভাবের। ক্ষমতায় যাওয়ার পর কর্নেল শওকত ও জেনারেল এরশাদের বলয়ে পড়ে শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এই দুজন কৌশলে জিয়াকে কব্জা করে নেন। ১০। এরশাদ ছিলেন অত্যন্ত ধুর্ত এবং সুযোগসন্ধানী। জিয়া হত্যাকান্ডের পেছনে মুল কলকাঠি নেড়েছিলেন তিনিই। এক ঢিলে মঞ্জুরকে জিয়া হত্যার আসামী করে তাকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়া, অন্যদিকে জিয়ার পরবর্তী উত্তরসুরী হিসেবে ক্ষমতা দখল করা, দুটোই করেছিলেন অত্যন্ত দক্ষভাবে। এই বই ননিয়ে পরিশেষে এটুকু বলা যায় যে এটি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ইতিহাস জানার জন্য একটি অপরিহার্য বই। নিরপেক্ষ সত্য ঘটনা যারা জানতে চান, তাদের অবশ্যই বইটি পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
এই বই টা পড়ে ১৫ই অগাস্ট, পঁচাত্তর এবং তার পরবর্তীতে ক্যান্টনমেন্টের ঘটনাগুলো খুব ভালো ভাবে জানা যায়। লেখক খুব সুন্দর ভাবে ওই সময়ের ক্যান্টনমেন্টের অবস্থা তুলে ধরেছেন। জেনারেল জিয়া, মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল শাফায়াত জামিল, কর্নেল তাহের এবং অন্যান্য জুনিয়র অফিসাররা স্বার্থ সিদ্ধি এবং ক্ষমতা আহরণের লোভে কি ধরনের নিন্দনীয় কাজ করেছেন এবং নিজের স্বার্থের বিপরীতে গেলে কিভাবে একে অপরের প্রতি হিংস্র আচরণ এবং উৎখাত করতে চেয়েছেন তা খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। ক্ষমতার শীর্ষে আহরণ করার জন্য কতিপয় সিনিয়র আর্মি অফিসাররা জাতির পিতার হত্যার সময় এবং পরে কিভাবে এবং কেন নিস্ক্রিয় ছিলেন- এটা খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে নিম্নলিখিভ ৩টি বিষয়ে অপূর্ণতা রয়েছে- ০১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাকশাল করে কি করতে চেয়েছিল আর কি হয়েছিলো লেখক এই সম্পর্কে কিছু না বলে বাকশাল সম্পর্কে বলেছেন যিনি গনতন্ত্রের জন্য সারাজীবন লড়লেন, তিনিই কিনা একদলীয় বাকশাল কায়েম করলেন। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কেন বাকশাল করলেন সে ব্যাপারে লেখক এখানে কিছু ই বলেন নি। ০২. মেজর ফারুক এবং মেজর রশীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে উৎখাত করবে বলে প্ল্যান করলেন এবং লেখক তার কারণ দেখালেন যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশ ঠিকমত চালাতে পারছেন না, দুর্নীতি, সেনা বাহিনীর অফিসারদের সাথে আওয়ামীলীগ এর নেতাদের বিরোধ ইত্যাদি। শুধু কি এই কারনেই তারা এতবড় বিদ্রোহ করলো? তাদের কি আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না? তাদের সাথে কি কোন আন্তর্জাতিক যোগসাজশ ছিল না ? ০৩. ১৫ আগস্টের গণহত্যার প্ল্যান কবে থেকে করা শুরু করা হয়েছে এই ব্যাপারে লেখকের দেয়া তথ্য মনপুত হয়নি।
Was this review helpful to you?
or
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে একের পর এক ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি বেশ ধোঁয়াশাপূর্ণ। তার মৃত্যুর পর পর ঘটে যাওয়া তিনটি সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে আছে এক রাশ অস্পষ্টতা, পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, সন্দেহ , পরস্পর বিরোধী ইতিহাস। লেঃ কর্ণেল এম.এ.হামিদ সেই উত্থাল ধূমায়িত অসন্তোষের ঘোট পাঁকানো সময়ের সাক্ষী। এই সব অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের কুশীলব অথবা নিহতরা তার পুর্ব পরিচিত। অভ্যুত্থান গুলোকে দেখেছেন তিনি কাছ থেকে। মুলত সেই সময় তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষনই তিনি হাজীর করেছেন তার জবানীতে, চেষ্টা করেছেন নিরোপেক্ষ থাকতে।প্রকৃত নিরপেক্ষ থাকতে পেরেছেন কিনা তা গবেষক রা ভালো বলতে পারবেন। বইটিতে প্রথম অংশ শেখ মুজিবের হত্যা কান্ড ও তার প্রেক্ষিত, দ্বিতীয় অংশ খালেদ মোশারফের উত্থান এবং শেষ হয়েছে জিয়ার উত্থান ও তার হত্যা কান্ডের বর্ননা নিয়ে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যে ধোঁয়াশা ও তর্ক বিতর্ক আছে তা কতখানি প্রচারণা আর কত খানি ফ্যাক্ট সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পাঠক কে আরও আগ্রহী করে তুলবে।
Was this review helpful to you?
or
একাত্তরের স্বাধীনতা লাভের মাত্র ৪ বছর পরে ১৯৭৫ সালে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয় পরপর তিনটি সেনা অভ্যুত্থ্যান ঘটার মাধ্যমে। যেখানে নিহত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের বীর যোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, কর্ণেল হায়দারসহ আরো অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা অফিসার। ১৫ আগস্ট, ৩রা নভেম্বর এবং ৭ই নভেম্বরের ক্ষমতা দখলের এই অভ্যুত্থানগুলোতে কি ঘটেছিলো বা কেন ঘটেছে সে সম্বন্ধে দেশের সাধারণ মানুষজন তখন কিছুই জানত না। অনেকদিন পর্যন্ত মানুষ এই ঘটনাগুলো নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা করেছে। এমনকি এখনো অনেক কিছু অজানা রয়ে গেছে। লেঃ কর্ণেল (অবঃ) এম এ হামিদ পিএসপি এর “তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা” বইটিতে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। অভ্যুত্থানগুলো ঘটার সময় লেখক এম এ হামিদ ঢাকার “স্টেশন কমান্ডার” হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবারসহ ক্যান্টনমেন্টেই অবস্থান করছিলেন। অভ্যুত্থানে জড়িত ব্যক্তিরা ছিলেন তার সিনিয়র সহকর্মী এবং বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তি। ফলে নিজে জড়িত না থেকেও তিনটি অভ্যুত্থানই তার খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। তিনি নিজেও বেশ কয়েকবার মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন। তখনকার সেই অভিজ্ঞতাগুলো তিনি এই বইয়ে তুলে ধরেছেন। সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী এবং অভ্যুত্থানে জড়িত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে সেগুলো পর্যালোচনা করে বইয়ে লিখেছেন। এছাড়া প্রত্যেকটি অভ্যুত্থানের বিস্তারিত ঘটনা বলার পর প্রথমে সেই অভ্যুত্থানগুলো সফলতার কারণ এবং পরবর্তীতে ব্যর্থতার কারণগুলোও প্রাপ্ত তথ্য এবং নিজের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। পঁচাত্তর থেকে একাশি পর্যন্ত যে ১৮টি ছোটবড় অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় তারও কিছু বর্ণনা বইয়ে দেয়া হয়েছে। বইয়ের শেষে পরিশিষ্ট হিসেবে ১৫আগস্টের অভ্যুত্থানের মূল কারিগর ফারুক ও রশীদের শেখ মুজিব হত্যা প্রসঙ্গে এবং ১৯৮৩ সালে স্যাটারডে পোস্টে প্রকাশিত দুটি সাক্ষাতকার তুলে দেয়া হয়েছে। একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের ক্ষতি সামলে না উঠতেই এই পরপর তিনটি সেনা অভ্যুত্থানে যে অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে, তার ভার এই দেশ আজও বহণ করছে, পরবর্তীতেও হয়ত এর রেশ রয়ে যাবে। ছোট ছোট অধ্যায়ে ভাগ করে লেখা এই বইটিতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লেখক ঘটনার বর্ণনা করেছেন বেশ সাবলীলভাবে। তিনি নিরপেক্ষভাবে লেখার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন বলা যায়। বইটি বেশ তথ্যবহুল।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটির সবচেয়ে যে দিকটি না বললেই নয়, ইতিহাসের বইগুলো লেখা হয়ে থাকে গবেষণালব্ধ তথ্য হতে,প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা হতে, অথবা সে বিষয়েসংশ্লিষ্টদের কথোপকথন হতে। কিন্তু, এ বইটি এখানেই ব্যতিক্রম যে, এটি তিনিই লিখেছেন, যিনি প্রত্যেকটি অভ্যুত্থানকে দেখেছেন খুব কাছ থেকে। অভ্যুত্থানের নেতা কিংবা নিহতরা সবাই ছিলেন লেখকের পূর্বপরিচিত। তাই, আমি কর্নেল হামিদের এ বইটি সংগ্রহ করেছিলাম এবং পড়ে নিরপেক্ষ বিবরণই পেয়েছি বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ তিনটি সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট,৩রা নভেম্বর এবং ৭ই নভেম্বর: যাতে প্রাণ হারান রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য,অসংখ্য সেনা অফিসার, তাদের পরিবারের লোকজন। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়টি হলো ক্ষোভ-ক্ষমতার দ্বন্ধকেন্দ্রিক এসব অভ্যুত্থানে জড়িত আর নিহত দুপক্ষেরই অধিকাংশ অফিসারই মুক্তিযোদ্ধা। অভ্যুত্থানের সময়কালে লেখক ছিলেন ঢাকার ষ্টেশন কমান্ডার। তিনটি সেনা অভ্যুত্থানেই তিনি প্রত্যক্ষদর্শী থাকলেও অংশগ্রহণ করেননি কোনটাতেই ফলে বইটিতে নিরপেক্ষ ও সত্য তথ্যই উঠে এসেছে বলে আমার মনে হয়েছে। বইটি তিনটিভাগে বিভক্ত এবং নিম্নোক্তভাবে সাজানো- ১. পনের আগস্ট রক্তাক্ত সেনা অভ্যুত্থান। - ৭১-৭৪ পর্যন্ত সময়কার পর্যালোচনা। - অভ্যত্থান দানা বাধা: আগস্ট ৭৫ - মুজিব হত্যাকান্ড। - ৪৬ ব্রিগেডে উল্লাস। - ট্যাংক মিছিল ও মোশতাকের শপথ গ্রহণ। - ভারতীয় হস্তক্ষেপ। - চীফ অফ স্টাফের গদী দখল। - অভ্যুত্থানের সময় রাষ্ট্রপ্রধানকে কি বাচাঁনো যেত? - ক্যান্টনম্যান্ট থেকে কোন সৈন্য মুভ করলো না কেন? - ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে ফারুক-রশিদের সাফল্যের প্রধান কারণসমূহ। - ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থান: একটি পর্যালোচনা। - রাষ্ট্রপতি মুজিবের সাফল্য ও ব্যর্থতা। ২. তেসরা নভেম্বর অভ্যুত্থান:খালেদের উত্থান পতন - আগস্ট পরবর্তী অবস্থা - ভগহৃদয় খালেদ, নাখোশজিয়া। - জিয়া বনাম মোশতাক-ওসমানী - জিয়াবন্ধী: পাল্টা অভ্যুত্থান। - মেজরদের দেশত্যাগ:কুখ্যাত জেল হত্যা। - খালেদের ব্যর্থ অভ্যুত্থান:একটি পর্যালোচনা। - কেন সংঘটিত হলো এবং ব্যর্থ হলো এই অভ্যুত্থান ৩.সাত নভেম্বর এতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহ। - যেভাবে বন্দী জিয়াকে উদ্ধার করা হলো। - ক্ষমতার লড়াইয়ে চরম মুহুর্ত। - ৭-৮ নভেম্বর: রক্তাক্ত রাত। - এবার সিপাহি-অফিসার ভাই-ভাই। - এরশাদের আগমন। - আমার পদত্যাগ। - ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন। - জিয়ার শুদ্ধি অভিযান। - জিয়া হত্যাকান্ড:চট্টগ্রাম সেনা অভ্যুত্থান। ৪. পরিশিষ্ট: - মুজিব হত্যা প্রসঙ্গে ফারুক-রশিদের সাক্ষাৎকার। - কর্ণেল ফারুক ও রশিদের চাঞ্ছল্যকর সাক্ষাৎকার। - আইজি(প্রিজন)নুরুজ্জামানের জেল রিপোর্ট। - গুরুত্বপূর্ণ ছবি,সাক্ষর,রিপোর্ট,নোট। বইটি বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও বারবার ক্ষমতার মেরু বদলের সময় হিসাবে বিবেচিত ৭৫-৮১ পর্যন্ত সময়ের ঘটনাপ্রবাহ ধারণ করেছে, ক্ষমতার নাগপাশে ক্যান্টনমেন্টের নড়াচড়া এবং তার কারণও যুক্তির কষ্টিপাথরে অনুসন্ধান ও যাচাইয়ের প্রচেষ্টাও এতে পরিলক্ষিত হয়। তাই, সঠিক ইতিহাস জানতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।