User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
কিশোর-কিশোরীদের জন্য বেশ উপভোোগ্য। Recommended
Was this review helpful to you?
or
jooooooooosssssssssss book I like the book the concept is soo cool
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিল এবং আমি রিকুমেন্ট করবো এটা কেনার জন্য আসলে জাফর ইকবাল এর সব বইগুলো অনেক ভালো
Was this review helpful to you?
or
tulona mulok vlo lagsa. tobe 18+ der kisuta nirutsahito korbo karon eta tader asa onujay anondo dita parbe na
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে আমি অনেক মজা পেয়েছি
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল ar likha ami protom bar ar moton porlam oshadharon chilo, chuto bhaike porte diachi !
Was this review helpful to you?
or
Not available . please make more copies . I want to buy it please
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
I am really happy to read this book. Read this book I would know very interesting things.
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর বই। পড়ে ভালোই লাগলো। তবে এটি যতটা না সায়েন্স ফিকশন, তার থেকে বেশি কিশোর উপন্যাসও বলা যেতে পারে। অর্থাৎ, কেউ যদি সায়েন্স ফিকশন ভেবে পড়ে তাহলে সায়েন্স ফিকশনের মজা পাবে, আর কেউ যদি কিশোর উপন্যাস ভেবে পড়ে তাহলে সে উপন্যাসেরই মজা পাবে। কিশোরদের জন্য একটি পারফেক্ট বই বলা যেতে পারে। জাফর ইকবাল স্যারের আরো একটি চমক। দারুন।
Was this review helpful to you?
or
nc
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
Once again a masterpiece from Dr.Zafar Iqbal.
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
xoss
Was this review helpful to you?
or
Not bad
Was this review helpful to you?
or
অনেক আগেই আমি বইটি পড়েছিলাম। এতই ভালো লেগেছিলো যে, আরেকজনকে গিফট করবো বলে আবার কিনলাম।
Was this review helpful to you?
or
Onek Valo Golpo Chilo Eita. Specially 11-15 agers ra ei boi pore moja pabe
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সবচেয়ে সেরা সায়েন্স ফিকশন।
Was this review helpful to you?
or
আমার জিবনের পরা প্রথম সাইন্স ফিকসেন বই। এই বইটি পরার সময় একটা অন্ন রকম অনুভূতি ফিল করা জায়। আমি সকলকে এই বই টি রেকমেনড করছি।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো একটি সায়েন্স ফিকশন বই। আমার এমনিতেই জাফর ইকবাল এর বই ভালো লাগে। কিনতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
my favorite book
Was this review helpful to you?
or
onk vhalo lagasa boi ti
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
the book is nice .black holer baccha is so nice .ektu ajob naam kintu Balo.
Was this review helpful to you?
or
Not so interesting
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি যাকে বলে একেবারে রগরগে সায়েস্ন ফিকশন..... ???
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ। ব্ল্যাকহোলকে নিয়ে লিখা।
Was this review helpful to you?
or
very good
Was this review helpful to you?
or
A very good book for-(12-17) Kids
Was this review helpful to you?
or
বই সমালোচনা বইয়ের নাম : ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা, (বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি) লেখক : মোহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রথম বই প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০১৩, "আমাদের পরিচিত পদার্থ দিয়ে ব্ল্যাকহোল তৈরী করা এতো সোজা না। চাপ দিয়ে যদি পৃথীবিটাকে ব্ল্যাকহোল বানাতে চাই তাহলে পৃথীবিটার সাইজ হবে পিপড়াঁর মতো। কি দিয়ে চাপ দিবো? কেমন করে চাপ দিবো? কিন্তু বাকি যে ছিয়ানব্বই ভাগ পদার্থ সেটা সম্পর্কে আমরা কিছু জানিনা। তার সত্তুর ভাগ হয়ত ডার্ক এনার্জি কিন্তু চল্লিশ ভাগ তো অন্যরকম পদার্থ। সেই অন্যরকম পদার্থ দিয়ে কি একটা নতুন রকম ব্ল্যাকহোল বানানো সম্ভব?" . বই এর নামটাই যেনো কেমন না? নাম দেখেই হয়ত অনেকের বইটা পড়ে ফেলতে ইচ্ছা করবে! যেমনটা আমার ক্ষেত্রেই ঘটেছিলো! তবে নাম দেখেই পড়ুন আর বই এর কাভার দেখেই পড়ুন আপনার মুল্যবান সময়ের এক মিনিট ও নষ্ট হবে না। পড়া শুরু করলে মনে হবে যে না আরেক পৃষ্ঠা পড়ি, না না আরেক পৃষ্ঠা এমন করতে করতে দেখবেন বইটাই শেষ! বই এর মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২৪ পেজ। . সাইন্স ফিকশন মানেই হচ্ছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনি, বিজ্ঞানের সীমা আসলে আমাদের কারোরি জানা নেই! বিজ্ঞান কে কল্পনা করতে দূষ কি? এই কল্পনা শক্তি ই হয়ত আমাদের কখনো নতুন কিছু উদ্ভাবনের জন্য অনুপ্রাণিত করবে! আর জাফর ইকবাল স্যার তার প্রত্যেকটা সাইন্স ফিকশন এ এই কাজ টা খুব নিখুত ভাবে করেন! কিশোর এর মনে একধরনের সুপ্ত বিকাশ ঘটিয়ে দেন। . গল্পের কাহিনী সংক্ষেপে আসি, মিঠুন পড়ে অক্সব্রীজ নামক এক বিখ্যাত এবং অনেক ভালো একটা স্কুলে। আর অন্যদিকে হাজী মহব্বত জান স্কুল যেখানে ইবু পড়ালেখা করে, হাজী মহব্বত জান স্কুল কে আসলে স্কুল বললে ভুল হবে, এটাকে বলা চলে অনিয়ম আর আড্ডার জন্য আদর্শ যায়গা। ঘটনা ক্রমে মিঠুন কে অক্সব্রীজ স্কুল থেকে টিসি দেয়া হয়, দূষ - মিঠুন এর বৈজ্ঞানিক মন কিছু আবিষ্কারের নেশায় অক্সব্রীজের ল্যাব কে উড়িয়ে দেয়! পর্যায়ক্রমে মিঠুন চলে আসে মহব্বতজান স্কুলে, কে যানত এই স্কুল থেকেই একসময় হয়ত বিজ্ঞানী বের হবে, যার নাম হবে হয়ত মিঠুন! . আসার পরে একের পর এক অনিয়ম চুখে পড়তে থাকে, এর মাঝেই মিঠুন কিছু ভালো বন্ধু পেয়ে যায়। চলতে থাকে মজাদার সব অভিজ্ঞতা। ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাটা (যেটার আবিষ্কারক মিঠুন নিজেই) কে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে গবেষণা চলতে থাকে। একসময় এর কাজ দেখে মিঠুন নিজেই চমকে যায়, এ যেন সুপার পাওয়ার! কি কি করা যেতে পারে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাটাকে নিয়ে? পৃথীবিটাকে ধ্বংস করার মতো ক্ষমতাও কি এই ছোট্য ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাটা রাখে? যদি তাই হয় তবে এটা কি মানব সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে? কি করবে মিঠুন এখন! বাকিটা যানতে নিজেই পড়ে ফেলুন না কষ্ট করে! আশা করি চমৎকার লাগবে। . স্মার্ট ফোনের যুগে হয়ত আপনি পিডিএফ ও পেয়ে যেতে পারেন, তবে মূল বইয়ের তুলনা আর স্বাদ কখনোই পিডিএফ দিতে পারে না। বইটা পড়ার পর আমার সাথে সাথেই এর রেটিং দিয়ে দিতে ইচ্ছে করছিলো আমি এটাকে, রেটিং- ৭.৩/১০ দিবো, নিজস্ব মতামত। আপনাদের কারো বইটা পড়া থাকলে রেটিং টা কমেন্ট এ জানিয়ে দিয়েন। . মুভি দেখা আর বই পড়ার মাঝে পার্থক্য কোথায় যানেন? আপনি যখন মুভি দেখেন আপনাকে যা দেখায় তাই দেখেন, নিজের কল্পনা শক্তি কাজে লাগানোর বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই। অথচ আপনি যখন বই পড়েন আপনাকে হাড়িয়ে যেতে হয় কল্পনা রাজ্যে, বই এর কোথাও যদি লিখাও থাকে আকাশ সবুজ, আপনার চিন্তা শক্তি আপনার অজান্তেই দেখবেন তা কল্পনা করে নিয়েছে! তাই বেশী বেশী বই পড়ুন, নিজের কল্পনা শক্তি কে কাজে লাগান। . রিভিউ টা কেমন হয়েছে জানাবেন ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় পাঠক, আমি সাধারণত বই পড়িনা তবে দুইদিন আগে আমার আপুর টেবিলে আমি এই ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাকে দেখি এবং কিছুটা বিষ্ময় নিয়েই বইটা খুলি।এরপর আমি কিছুক্ষণ পড়ি এবং আমার আস্তে আস্তে এইটা ভালো লাগতে শুরু করে।বইটা আমার এতোটাই ভালো লাগে যে আমি শেষ পর্যন্ত নিজের জন্য একটা বই নিয়ে নিই।আর সেই রাতেই আমি বইটা শেষ করি।
Was this review helpful to you?
or
this is my type of book . I love it. You can also read it cause its pretty good
Was this review helpful to you?
or
good book for kids.
Was this review helpful to you?
or
ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা বইটা তে একই সাথে স্কুল জীবনের মজার মজার ঘটনার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ের নানা এক্সপেরিমেন্ট তুলে ধরা হয়েছে.. বইটা পড়ে ফিরে গিয়েছিলাম স্কুলের বিজ্ঞান মেলার দিন গুলোতে... বইটা আমার অনেক ভালো লেগেছে....
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
darun ekti boi. Porar somoi kolponar rajje hariea giasilam!
Was this review helpful to you?
or
It is really a good book
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
দিন শেষে বইটা খুব ভালো।
Was this review helpful to you?
or
One of the best book I've ever read in my life! I recommend everyone to read this book!
Was this review helpful to you?
or
khub valo
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমি পড়ি বন্ধুদের কাছে থেকে । অসাধারন বলতে যা বোঝায় বইটি তাই । হাজী মহব্বতজান বিদ্যালয়ে নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে আসা এক ছেলের কান্ডকারখানা আর বৈজ্ঞানিক নানা কাহিনির ভরপুর এই বইটি একদিকে যেমন বিজ্ঞানভিত্তিক অন্যদিকে তেমনি মজার । আমি বইটি পড়ে হাসতে হাসতে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। তোমরাও পড়ো , অনেক ভালো লাগবে ।
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের ছোয়ায় মজা পেয়ে কোন উপন্যাস পড়তে চাইলে ব্লাক হোলের বাচ্চা হতে পারে আপনার প্রথম চয়েস। বইটির চমতকার উপস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি বিজ্ঞান প্রেমী আর মহাকাশ, ব্লাক হোল এর প্রতি আমার আকর্ষন অনেক আগে থেকেই। যদিও বইটি সেরকম না, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সুচিন্তিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। একজন কিশোর বয়সি বাচ্চা স্কুলের ল্যাবে লুকিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে ভুল করে ছোটখাটো একটা ব্লাক হোল তৈরি করে ফেলে। সেই ব্লাক হোলের নাম দেয় সে ব্লাক হোলের বাচ্চা। এরপর কিশোর ছেলেটা ব্লাক হোলের বাচ্চাকে নিয়ে কি করে? ব্লাক হোলের বাচ্চাটা কি তার জন্য ক্ষতিকর না উপকারি? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ত্ব হবে বইটি
Was this review helpful to you?
or
outstanding
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
বইটি অসাধারন হাস্য রসাত্নক কিন্তু যদিও বলা হয় এটি একটি বিজ্ঞানিক কল্প কাহিনী কিন্তু বইটিতে বিজ্ঞানের থেকে ফ্রিকশন আর কল্পনাটাই বেশি!! বিজ্ঞান বিত্তিক মনে করা হলে বড্ড বোকামী হবে!! কিন্তু সব কিছুঈ পুসিয়ে নিবে হাজী মহাব্বতজান স্কুলের গটনা গুলো
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃব্ল্যাক হোলের বাচ্চা লেখকঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনীঃ সময় প্রকাশন মূল্যঃ২০৪টাকা ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা মূলত জাফর ইকবাল রচিত শিশুতোষ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।উপন্যাসটির গল্পটা স্কুল পড়ুয়া কিছু ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে। যাদের অনেকের নাম পড়া শেষ হবার মাত্র ভুলে গেলেও কিছু নাম কিছু নাম ঠিকই মনে থাকে। তাঁদের মধ্যে একজন গল্পের মূল চরিত্র বললে ভূল হবে না মিঠুন। যে কিনা প্রতিদ্বন্দ্বী স্কুল মহব্বতজান স্কুলে ভর্তি হয়, তার স্কুল বিস্ফোরণে যার মূল কারন কিনা মিঠুন নিজে। আর যার ফলাফলে পাওয়া যায় ব্ল্যাকহলের বাচ্চা। বিশাল ব্ল্যাক হোলের সমান না বলেই কিংবা শিশিতে ভরে রাখা যায় এত ছোট বলে। এই ব্ল্যাকহোল আর মিঠুনকে নিয়েই স্কুলে চলতে থাকে নিত্য নতুন মজার সব ঘটনা।বলযাকহোল বইটিতে এনারজি, ভর সংকোচন, ইলেকট্রিক ফিলড, আইনস্টাইনের লো, সাইনস ফেয়ার, পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা, বিভিন্ন জটিল মেকানিজম এসবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ এক শিক্ষনীয় ওরিবেশের সৃষ্টি করেছেন লেখক। বইটি পড়ে মনে হচ্ছে ছোটবেলার মতোই দারুন মজা পেলাম । জাফর ইকবালের প্রতিটি উপন্যাসই যে উপাদেয় এবং শিক্ষামূলক বার্তাবহ সেটারই নতুন করে প্রমাণ পেলাম যেন এ বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
The book is very good.This is a nice fiction.In this book a boy who discover a very powerful plasma.He has fly through the sky by the plasma.The plasma is infinite.But some people tried to take this thing from the boy.The wanted to sell it with a higher price.But their wish didnt come true.The plasma being destroyed.This is a enjoyable book.
Was this review helpful to you?
or
''ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা'' জাফর ইকবালের লেখা জনপ্রিয় একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। অবশ্য এটিকে কিশোর উপন্যাস বললেও ভুল হবে না। বইটির লেখনি খুবই চমকপ্রদ, প্রতিটি চরিত্রের বৈশিষ্ট লেখক গল্পের বিভিন্ন জায়গায় খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নাম শুনলে বাচ্চাদের মনে হলেও, সকল বয়সী পাঠকই বইটি উপভোগ করতে পারবেন। জাফর ইকবালের এই *আইকনিক* বইটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে!
Was this review helpful to you?
or
ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা বইয়ের নামটাই অন্যরকম। যখন শুনি বইটি প্রকাশিত হয়েছে তখন ইচ্ছা হলো বইটি কিনে ফেলি। বইটি যখন হাতে পেলাম ,পরেও দেখলাম এটা একটি কল্পকাহিনীমুলক বই। লেখক কল্পকাহিনীর মাধ্যমে বইয়ের চরিত্র গুলো অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। শহরের মাঝে নামকরা স্কুল অক্সব্রীজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল । স্কুলটার অনেক সুনাম বাইরে । সবকিছুর মান সেখানে যেমন ভালো তেমনি বেতনের পরিমানটা ও বেশি । সেখানে শুধু বড় লোকের ছেলে মেয়েরাই পড়ার সুযোগ পায় । অন্যদিকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী মহব্বতজানের নামে আর একটি স্কুল হাজি মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয় । এই স্কুলটা একেবারেই অক্সব্রীজ স্কুলের উল্টো । এখানে কখনো ক্লাসগুলোও ঠিকভাবে হয়না। আর এই স্কুলেরই ছাত্র ছাত্রি ইবু, ঝুম্পা, ফারা, আর বগা ।তারা অক্সব্রীজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নিয়ে অনেক হিংসা হয়। অসাধারন একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
onk sundr 1ta boi
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটি বই
Was this review helpful to you?
or
কিছু গল্প আছে যার ধারা পাঠককে বইয়ের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। যে বইটি সম্পর্কে বলতে চলছি তা এমনি একটি গল্প যার ধারা আপনাকে মোহিত করবে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা মুক্ত সত্তাকে নাড়া দেবে, নিঃশব্দে বলে যাবে অনেক কিছু ।
Was this review helpful to you?
or
OSTHIR!!
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমি পড়েছি অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা
Was this review helpful to you?
or
শহরের এক অখ্যাত স্কুল হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়। একসময় এই মহব্বতজান ছিলেন একজন বিশাল সন্ত্রাসী। থানায় যার নামে অনেক মামলা- সেই লোকটা হজ্ব করে এসে দিব্যি ভালো মানুষ হয়ে গেলো। মানুষের কেড়ে নেয়া জমিতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা দিলো এই মহব্বতজান। যাই হোক, হাজী মহব্বতজান সেই স্কুল নামেই একটা স্কুল। এখানে কোন পড়াশোনা হয় না, কেন নিয়মকানুন নেই, যার যা খুশি সেই ড্রেস পড়েই ক্লাসে যায়, যার যে ক্লাসে খুশি ঢুকে বসে পড়ে। এই স্কুল নিয়ে কেউ কখনো ভালো কিছু আশা করতে পারে না। এই স্কুলের বিপরীত পাশেই আরেকটা স্কুল শহরের বিখ্যাত স্কুল, নাম- অক্সব্রীজ স্কুল! সেই স্কুলের ছেলে-মেয়েরা ফিটফাট হয়ে গাড়িতে করে স্কুলে যায়, টিসটাস করে ইংরেজিতে কথা বলে, হাজী মহব্বতজান স্কুলের ছেলে- মেয়েদের তারা দেখতে পারে না। আবার হাজী মহব্বতজান স্কুলের ছেলে-মেয়েরা এমনকি শিক্ষকরা পর্যন্ত তাদের দেখতে পারে না। হটাৎ একদিন সকালে শহরের সবাই জানতে পারলো সেই অক্সব্রীজ স্কুল ধ্বসে পড়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ। আর তার পরেরদিনই সেই অক্সব্রীজ স্কুলের এক ছাত্র এসে এই মহব্বতজান স্কুলে ভর্তি হয়। সেই ছেলেটির নাম মিঠুন। তার কাছ থেকেই জানা যায়, এই স্কুলের ল্যাবরেটরিতে এক বৈজ্ঞানিক এক্সপেরিমেন্ট চালাতে গিয়ে স্কুল বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে আর তাই স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয় মিঠুনকে। কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে মিঠুনের একটুও মন খারাপ না। কারণ মহব্বতজান স্কুলে এসে পেয়েছে কিছু বন্ধু, এক্সপেরিমেন্ট চালানোর অবাধ স্বাধীনতা। আর সেসব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গল্প নিয়েই লেখা "ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা"!
Was this review helpful to you?
or
???❤️
Was this review helpful to you?
or
এলাকার সবচেয়ে স্বনামধন্য স্কুলের এক জিনিয়াস ছাত্র একদিন স্কুলে গোপন একটি এক্সপেরিমেন্ট করার সময় ভুলবশত আবিষ্কার করে ফেলে একটি ব্ল্যাক হোল। তবে বিষয়টি সে প্রথমে কাউকে জানায় না। এরকম এক্সপেরিমেন্ট করায় তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তাঁকে ভর্তি করতে হয় এলাকার সবচেয়ে নিম্ন স্তরের স্কুলে। এখানে গড়ে ওঠে ছেলেটি কিছু ভালো বন্ধু। ধীরে ধীরে বন্ধুদেরকে সে ব্ল্যাকহোল টির বিষয়ে জানায়। এভাবে চলতে থাকে গল্প। এক সময় এই সুনাম হীন স্কুলের নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ব্ল্যাকহোলের লোভে গুন্ডারা তাদের কিডন্যাপ করে। এটি হলো এই বইয়ের মেইন থিম। ব্যক্তিগতভাবে বইটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Boi ti pore valo laglo.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৪০ টাকা মানুষের মনে ঘুরপাক খাওয়া একটা সাধারণ বৈজ্ঞানিক প্রশ্নঃ "ব্ল্যাকহোল কি?" আমরা হয়তো মনের মধ্যে অজান্তেই ব্ল্যাকহোল বলতে কল্পনার জগতে "মহাকাশে থাকা কালো রঙের বিশাল এক গর্ত" কেই বুঝে থাকি।আসলে ব্ল্যাকহোল কিন্তু এরকম কিছু না। এই বইটিতে ব্লাকহোল কি সে সম্পর্কে সেরকম কোন বৈজ্ঞানিক কথাবার্তা বলা হয়নি।কারণ এটা একটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মাত্র। মিঠুন নামক ছোট একটা ছেলের কাল্পনিক চরিত্র দিয়ে আসলে একজন ক্ষুদে বিজ্ঞানীর চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে গল্পটিতে। মিঠুন নামের ছেলেটির যেকোন সাফল্যের পেছনে তার বন্ধু-বান্ধবীর অসামান্য অবদানের কথাই মূলত এই গল্পে উঠে এসেছে। লেখক নিজেই মিঠুনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু "ইবু" চরিত্র হিসেবে আছেন এখানে। বইটি শুরু হয়েছে পারিপার্শ্বিক চরিত্রের বর্ণনা এবং প্রত্যেকের একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দিয়ে। যেমনঃ ঝুম্পার দাপট, ফারা র সরলতা, বগা র সন্দেহ করার প্রবণতা,গুললু র শক্তি এরকম আরও অনেক ইন্টারেস্টিং কিছু।এসব স্বকীয় বৈশিষ্ট্যগুলো লেখক বিভিন্ন ঘটনায় কাজে লাগিয়েছেন অত্যন্ত নিপুণ কৌশলে। অনেক মজার মজার ঘটনার ভেতর আছে মিঠুন এবং ইবুর আকাশে গিয়ে চা খাওয়া,বিজ্ঞান মেলায় মহব্বতজান স্কুল এবং অক্সব্রীজ স্কুলের ছেলেমেয়েদের মধ্যকার ব্যঙ্গাত্নক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। আবারও বলি,এই বইটিতে ব্ল্যাকহোল নিয়ে সেরকম কোন বৈজ্ঞানিক সঙ্গা নেই ঠিকই কিন্তু এই ব্ল্যাকহোল দিয়ে যে আসলে কতকিছু করা সম্ভব সেটারই কয়েকটা ক্ষুদে বিবরণ আছে এই গল্পটিতে নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে ।ব্ল্যাকহোল জিনিসটা যে আসলে অনেক ভারি এবং এটি যে জ্বালানির একটি সীমাহীন উৎস সেটা দুয়েকটা ঘটনার মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে খুবই সহজভাবে। এই বইটির একেবারে শেষ অংশে লেখক দেখিয়েছেন আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের কিছু পজিটিভ দিক এবং সেই পজিটিভিটি দিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকা কিছু অসাধু লোকদের ঘায়েল করার উপায়। আগামী দিনের বিজ্ঞানী হিসেবে মিঠুনের মত বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষ যেরকম দরকার ঠিক তেমনি উপস্থিত বুদ্ধি এবং প্রয়োজনমাফিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দরকার ইবু,ফারা,বগা,ঝুম্পা এদের মতো মানুষগুলোও।এই দিকটা থাকার কারণ হিসেবে এতটুকুই বলবো যে,ব্ল্যাকহোলের মত সীমাহীন জ্বালানির উৎসের সন্ধান পেলে মানুষ সেটি দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরী না করে হয়তো নিউক্লিয়ার বোমা তৈরীতেই অগ্রগামী হতো। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ঠিক যেভাবে শুরু করা দরকার ঠিক সেভাবেই শুরু হয়েছে আর যেভাবে শেষ করা দরকার ঠিক সেভাবেই শেষ হয়েছে।একজন অভিজ্ঞ লেখক হিসেবে জাফর ইকবাল স্যারের বইটির এই গুণ মোটেই নূতন নয়।ব্ল্যাকহোল নিয়ে কখনও না ভেবে থাকলেও এই বইটি পড়া যেতে পারে। কারণ অনেক হাস্যরসাত্নক ভঙ্গিতে লেখক তুলে ধরেছেন বিজ্ঞান জগতের এক বিস্ময় কে।
Was this review helpful to you?
or
বলতে গেলে ছোট বেলা থেকেই আমার বইয়ের সাথে সম্পর্ক।আমার বাড়ির যেদিকে তাকানো যায় সবদিকেই বইয়ের ছড়াছড়ি।জীবনে অনেক বই পড়েছি। কিন্তু সেরাদের কাতারে এই বইটা স্থান পাবেনা বলে মনে করি।কারণ ব্লাকহোলের বাচ্চা বইটা সায়েন্স ফিকশন আর কিশোর উপন্যাস এই দুইটার সঙ্গে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে।কিছু অদ্ভুত শব্দ আছে যেগুলো ছোটদের বোধগম্য নয়।তা সত্ত্বেও বইটাতে কিছু মজার কাহিনি আছে যেটা পড়ে ভালো লাগছে
Was this review helpful to you?
or
ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা – মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা একটি বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এর বই। ফ্লাপে লিখা কথাঃ কাজেই দেখাই যাচ্ছে এখন আমাদের স্কুলের কোনো নাম ডাক না থাকতে পারে কিন্তু আজ থেকে পনেরো কিংবা বিশ বছর পরে আমাদের স্কুল থেকে অনেক বিখ্যাত (কিংবা কুখ্যাত) মানুষ বের হবে। ফুটবল প্লেয়ার, দার্শনিক, সিরিয়াল কিলার, মাদক সম্রাজ্ঞী, নায়কা, পীর, শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাহিত্যিক কিংবা নেতা এরকম অনেক কিছু তৈরী হলেও এই স্কুল থেকে কোনো বৈজ্ঞানিক বের হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা গেল আমাদের হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন খাঁটি বৈজ্ঞানিক বের হওয়ারও একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। তবে এটাকে সম্ভাবনা বলব না আশংকা বলব সেটাও অবশ্যি আমরা এখনো ঠিক জানি না।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বলবো হাজি মহব্বতজান স্কুলের বর্ণনার জন্য।বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে বিজ্ঞান কম থাকলেও ক্ষতি নেই।কিন্তু স্কুলটা ফাটিয়েছে।এখনকার স্কুলগুলোয় নানা ধরণের পরীক্ষার চাপে বাচ্চারা সব শেখে-শুধু আসল দুনিয়াটাই চিনতে পারে না।নিজেরা কী হতে চায় বুঝতে পারে না।ছোটদের জগতের বড় জাদুকর আমাদের জাফর ইকবাল স্যার!
Was this review helpful to you?
or
boi ta valoi
Was this review helpful to you?
or
Excellent book
Was this review helpful to you?
or
বইঃ ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী প্রকাশনীঃ সময় প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি বইমেলা, ২০১৩ প্রচ্ছদঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পৃষ্ঠাঃ১২৪ মূল্যঃ ২০০ টাকা প্রেক্ষাপটঃ কোনো একটা ছোট শহরে দুইটা স্কুল কাছাকাছি অবস্থিত। একটা স্কুলের নাম অক্সব্রীজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হাইফাই স্কুল সেটা। অক্সফোর্ডের "অক্স" আর ক্যামব্রীজের "ব্রীজ" নিয়ে দুটি যোগ করে স্কুলের নাম হয়েছে অক্সব্রীজ। সেই স্কুলের একেবারে উল্টা স্কুল হচ্ছে হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়, ল্যাটাপ্যাটা স্কুল। এই স্কুলে কোনো পড়াশোনা হয়না। শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী যার যখন ইচ্ছে আসে, চলে যায়। কোনো নিয়মকানুন নাই। সেই স্কুলের ক্লাস এইটে পড়ে ইবু, বগা, রূম্পা, ফারা। ইবু এখানে গল্পকথক। তার ভাষাতেই কাহিনী এগোয়। বগার একটু খিদে বেশি, বুদ্ধিশুদ্ধি কম। রূম্পা ডেঞ্জারাস মেয়ে, দুনিয়ার কিছুকেই সে ভয় পায়না। ভয়ডরশূন্য একটা মেয়ে সে, শরীরে দয়ামায়াও কম। ফারা আবার রূম্পার ঠিক বিপরীত। খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে সে, হাশিখুশী, মিষ্টি স্বভাবের, পৃথিবীর সবার জন্যে তার ভালোবাসা। শুধুমাত্র কোনো এক বিচিত্র কারণে সে বেগম রোকেয়াকে দেখতে পারেনা। এই হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস এইটে ভর্তি হয়ে আসে নতুন একটা ছেলে, যার চোখে চশমা এবং চশমার পাওয়ার অনেক বেশি। জানা গেলো, ছেলেটার নাম মিঠুন এবং সে অক্সব্রীজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিলো। কোনো একটা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে সে স্কুলের ল্যাবরেটরি ধ্বসিয়ে ফেলেছে এবং তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই তাকে এ স্কুলে ভর্তি করেছে তার মা। মিঠুনের সাথে বন্ধুত্ব হতে সবার দেরি হয়না। মিঠুনও সবার সাথে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়। মিঠুনের কাছ থেকেই জানা যায়, যে এক্সপেরিমেন্ট করে মিঠুন অক্সব্রীজের এক অংশ বিধ্বস্ত করেছে, সে এক্সপেরিমেন্ট থেকে সে একটা ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা পেয়েছে। এবং ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাটা সে সাথে নিয়েই ঘোরে সবসময়। বুক পকেটে একটা হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মিষ্টি মিষ্টি ট্যাবলেট দেয়ার ছোট্ট একটা শিশির মধ্যে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাটাকে রেখেছে সে। বাইরের কাউকে এ বিষয়ে সে জানায়নি। এই ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাটাকে ব্যবহার করে মিঠুন একদিন প্লাজমা বানিয়ে ফেলে। আন্তঃস্কুল বিজ্ঞানমেলায় সেই প্লাজমা দেখিয়ে প্রথম পুরষ্কারও পেয়ে যায় জীবনে কোনোদিন পুরষ্কার হিশেবে একটা কলমও না জেতা হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়। সেই খুশিতে হেডমাস্টার একদিনের ছুটিও দিয়ে দেন সবাইকে। ব্লাকহোলের বাচ্চাটাকে ব্যবহার করে ফ্লাইং সসারও বানিয়ে ফেলে মিঠুন। সেই ফ্লাইং সসারে ইবু, মিঠুন, রূম্পা, ফারা, বগা একদিন আকাশে ওড়ার সময়ে ইন্টেলিজেন্সের হাতে ধরা পড়ে যায়। প্রকাশ হয়ে পড়ে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চার কথা। তারপর? মিঠুন কেন চেয়েছিলো ব্ল্যাকহোলের বাচ্চার কথা কেউ যেন না জানতে পারে? আর লিখলাম না। বাকিটা বইয়ে পড়ে নেবেন। নিজস্ব মতামতঃ সত্যি বলতে বইটার জনরা তে "বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী" লেখা হলেও এখানে বৈজ্ঞানিক টার্ম খুব কমই এসেছে। সাই-ফাই মানেই যে দাঁতভাঙা সব ইকুয়েশন, প্রজেক্ট, ডিডাকশন এনে বইয়ের পৃষ্ঠা মজবুত বানাতে হবে...এমন মাথার দিব্যিও অবশ্য কেউই দেয়নি। সে কারণেই বইটা আমার বেশ প্রিয়। আর, কোনো জিনিস প্রিয় হলে, সে বইয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা যায়না। ত্রুটিগুলোকে এড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করে। তবুও, যতটা সম্ভব নিরপেক্ষভাবে লিখছি। বাকিটা, আপনাদের বিবেচনা। কলেজে থাকতে বইটা পড়েছিলাম। কলেজজীবনে অনেক বই-ই পড়ার সুযোগ হয়েছিলো। বয়স যত বাড়ছে কাজের, লেখাপড়ার জটিলতা এসে ভীড় করছে। আগের মত গোগ্রাসে বই গেলা এখন আর হয়না। সমীকরণ ক্রমশ জটিল হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হলো, দুই-তিন বছরের মধ্যে এ বইটা আর পড়া হয়নি। অনেককিছু ভুলে ভুলে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম, রিভিউ যখন লিখতেই হবে, বইটা আবার পড়া যাক। পড়লাম। পড়ে প্রথমবারের মতই ভালো লাগলো। আমার মনে আছে, বইটা কিনে আমি একটানা ৭ বার পড়েছিলাম "ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা।" বইয়ের নামটাই তো অদ্ভুত। বাঘের বাচ্চা, গাধার বাচ্চা... টাইপের কথা তো আমরা অহরহই শুনি। তাই বলে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা!!! বইয়ের নাম আর ওপরের প্রচ্ছদ দেখেই বই কেনার তাগিদ জোরদার হয়েছিলো। তাছাড়া, জাফর ইকবাল স্যারের বই, কিনতে তো হতোই। ওপরের প্রচ্ছদও কিন্তু লেখকেরই করা ;) কাহিনী হয়তো আহামরি না, খুঁজলে আরো অনেকগুলো বইয়ের সাথে হয়তো কনসেপ্টের মিল পাওয়া যাবে। কিন্তু, এতকিছু ভাবলে, এতকিছু চিন্তা করলে আসলে বইয়ের আসল মজাটাই পাওয়া যায় না। বই উপভোগ করতে পারলাম কী না, সময়টা ভালো কাটলো কী না, দিনশেষে এটাই তো বড় কথা। এত কিছু ভাবার আসলেই কী কোনো প্রাসঙ্গিকতা আছে? তবে, এ কয়দিন ধরে জাফর ইকবাল স্যারের বইগুলো আবার পড়ে রিভিউ দিতে গিয়ে কয়েকটা বিষয় দেখলাম। স্যারের বেশিরভাগ কিশোর উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো ক্লাস এইটে পড়ে। স'তে সেন্টু, ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা, দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ... মিলিয়ে নিতে পারেন। মস্তিষ্ক যদি খুব বেশি প্রতারণা না করে, "হাত কাটা রবিন"এও রবিন ক্লাস এইটে পড়তো, এটা শিওর হয়ে বলা যাচ্ছেনা। আবার, প্রায় সব উপন্যাসেই একজন গল্পকথক থাকে যার নাম ইবু। ইকবাল থেকে ইবু এসেছে বলেই আমার ধারণা। আগেই বলেছি "ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা"র কোনো ত্রুটি ধরা আমার পক্ষে হয়তো সম্ভব হবেনা। রিভিউ'র এ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। একটাও ত্রুটির কথা উল্লেখ করিনি একবারও। এবার করছিঃ আন্তঃস্কুল বিজ্ঞানমেলার জন্যে হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়ের হেডমাস্টার মিঠুনদের ৫০০০ টাকা দিয়েছিলেন। পরে, সে টাকার উল্লেখ প্রসঙ্গে বইয়ে লেখা হলো, হেডমাস্টার ১০০০০ টাকা দিয়েছেন। তাড়াহুড়োয় হয়তো লেখক বিষয়টা খেয়াল করেননি। অবশ্য এটা সেরকম আহামরি ভুলও না। শেষ করছি "উৎসর্গ" অংশটা লিখে। আমার রিভিউতে আমি মূলত "উৎসর্গ" অংশটা আনিনা। তবে এ বইয়ের উৎসর্গপত্রটা এত ভালো লেগেছে, না লিখে পারছিনা। উৎসর্গ প্রিয় নিষাদ ও নিনিত (একদিন তোমরা জানবে তোমার বাবা এই দেশের মানুষকে যত আনন্দ দিয়েছে তার একটু খানিও যদি কারো জীবনে ফিরে আসে তাহলে এক জন্মেও সেটি শেষ হবেনা) বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই গল্পের জাদুকর, প্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে। "ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা"র রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/62146/ব্ল্যাক-হোলের-বাচ্চা
Was this review helpful to you?
or
ইবুদের ছোট শহরে একটা হাইফাই স্কুল আছে- স্কুলটার নাম অক্সব্রীজ স্কুল। ইবুদের স্কুলটা অবশ্য অক্সব্রীজ স্কুলের একেবারে উলটো। যেমন-স্কুলের নাম হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্তু স্কুলের যে অবস্থা তাতে করে নাম হওয়া উচিত ছিল, পাজী মহব্বতজান নিম্ন বিদ্যালয়। এই স্কুলে কোন পোষাক নাই যার যা ইচ্ছা পরে চলে আসে। এখানে ইবু ছাড়াও আরও আছে জঙ্গী রুম্পা, ভবিষ্যত খানকা শরীফের পীর জুননুন, ভবিষ্যত সিরিয়াল কিলার রোল নম্বর তেতাল্লিশ(সে কখনও তার নাম বলেনি) আরও অনেকে।কাজেই দেখাই যাচ্ছে এই স্কুল থেকে ভবিষ্যতে অনেক বিখ্যাত (কিংবা কুখ্যাত) মানুষ বের হবে। ফুটবল প্লেয়ার, দার্শনিক, সিরিয়াল কিলার, মাদক সম্রাজ্ঞী, নায়কা, পীর, শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাহিত্যিক কিংবা নেতা। এরকম অনেক কিছু তৈরী হলেও এই স্কুল থেকে কোনো বৈজ্ঞানিক বের হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ এক বিস্ফোরণে অক্সব্রীজ স্কুল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর সবকিছু পাল্টে গেলো।নতুন ছাত্র মিঠুন বুকপকেটে একটা বোতল লুকিয়ে রাখে।ইবুদের সন্দেহ অক্সব্রীজ স্কুলের বিস্ফোরনের সাথে যে রহস্যময় বালক জড়িত ছিলো, তার সাথে মিঠুনের কিছু একটা সম্পর্ক আছে। মিঠুনের বুক পকেটের শিশিটার মধ্যেই বা কী?
Was this review helpful to you?
or
awasome book
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবালের হাত থেকে বহুদিন পরে একটা কিশোর সাইফাই পেলাম এবং তাও এমন একটা বই, যেটা পড়ে গত কয়েক বছরের মত হতাশায় পড়লাম না, এবং ধার করে পড়া বইটার একটা কপি কিনে নিতেও মনে চাইলো। কোন এক নামহীন শহরের এক সুনামহীন স্কুলের গল্প এটা, কথিত আছে, এলাকার বিশিষ্ট রাজাকার এবং সন্ত্রাসী এবং না জানি আরও কতকিছু, জনাব হাজী মহব্বতজান এর পয়সায় স্থাপিত এই স্কুলে নেই কোন নিয়ম কানুন, নেই কোন পড়ালেখার চাপ। শিক্ষকরা আদি পন্ডিতদের ঐতিহ্য মেনে ক্লাসে এসে ঘুমাতেন এবং প্রায়ই এক ক্লাসের বদলে অন্য ক্লাসে চলে যেতেন! মনে হয় মাঝে মাঝে ঘুমাবার জায়গা চেঞ্জ করতে ভালই লাগত তাদের! এই অদ্ভুত এবং সকল ফাকিবাজ ছাত্রছাত্রীর স্বপ্নের তীর্থস্থানের মত এই স্কুলের মাঝেই আছে আমাদের গল্পের চরিত্ররা। তারা নিজেরাও কোনকিছু নিয়ে খুব আশাবাদী নয়। না নিজেদের জীবন নিয়ে, না ভবিষ্যত নিয়ে। তারা বেশ ভালভাবেই চিন্তা করছে কে কি হবে এবং যার যার শখ থেকে জানা যায় তাদের মাঝে কেউ দার্শনিক হবে তো কেউ সিরিয়াল কিলার। একজন হতে চায় মাদক সম্রাজ্ঞী তো অন্য জন সিনেমার নায়িকা। এই তালিকায় সন্ত্রাসী, পীর, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক নেতা, কেউই বাদ যায় না। তবে এটা শিওর ছিল, এই বাজে, ফাকিবাজ স্কুল থেকে কোন বৈজ্ঞানিক বার হবে না, কারন বৈজ্ঞানিক হতে হলে অন্তত কিছু পড়ালেখা তো করতেই হয়, আর এদের কেউ পড়ালেখার ধারও ধারে না। স্কুলে আসা আসলে বাপ মাকে বুঝ দেয়া আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবার জন্য। হাজী মহব্বতজানের ঠিক অপোজিটেই ছিল একটি নামকরা প্রাইভেট স্কুল। অক্সব্রীজ স্কুল, পুলের উপরে ষাড় হেটে যায়!! এর নাম নিয়ে মহব্বতজানের ছাত্ররা অনেক মজা করলেও তারা কিছুটা হিংসার চোখেই দেখতো এই ঝকঝকে স্কুলের চকচকে ছাত্রছাত্রীদের। একরাতে কি হল, বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে, সারা শহরকে কাপিয়ে দিয়ে অক্সব্রীজ স্কুলের ভবন উড়ে গেল। এর কিছুদিন পরেই স্কুলে এল এক আজব ছেলে। অতি অবশ্যই বড় ঘরের ছেলে, কারন তার মা তাকে গাড়ি করে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে এখানে কেন? সময়ে আবিস্কার হল, অক্সব্রীজ স্কুলের ভবন ধ্বংস হবার পেছনে হাত রয়েছে তারই। এক বিদঘুটে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালাতে গিয়ে সে বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে স্কুলটার! কি সেই পরীক্ষা? সে ল্যাবে বসে ব্লাকহোল বানাতে গিয়েছিল। সফল কি হয়েছে? নিজেই পড়ে নিন!! অনেক দিন পরে জাফর ইকবালের বই পড়ে অনেক মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ তাকে, আবার নতুন করে এই দিকটায় মনোযোগ দেবার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
বইটা এতো ভালো আমি শুধুমাত্র স্টারে রেটিং দিতে পারবো না। এটাকে টেন স্টার বললেও খুব বলা হয়। যদিও রেটিং ফাইভ স্টার পর্যন্ত দেওয়া যায় তাই ফাইভ স্টার দিলাম। বইটা যে আমি কতবার পড়েছি হিসেব নেই। অসাধারণ সায়েন্স ফিকশান। এ পর্যন্ত জাফর স্যারের পড়া সেরা সায়েন্স ফিকশানের মধ্যে সেরিনার পর ব্ল্যাকহোলের বাচ্চার স্থান। Thanks Our Jafor sir for writte such a great book!
Was this review helpful to you?
or
গল্পের কাহিনি অত্যন্ত চমৎকার। গল্পের শুরুটাই অসাধারণ, বিশেষ করে মিঠুন যেভাবে বোমা দিয়ে স্কুল উড়িয়ে দিয়েছে, তা ছিল পুরো বইয়ের সবচেয়ে সেরা অংশ। এছাড়াও ইবুদের সাথে মিঠুনের বন্ধুত্ব, তাদের সাইন্স ফেয়ারে অংশ নেয়ার কৌশল ছিল দেখার মতো। তারা যেভাবে স্যার কে ব্ল্যাকমেইল করেছে,তা চমৎকার ছিল।তারপর মেলায় তাদের বানানো প্রজেক্ট গুলো মজার ছিল। তাদের নিজেদের বানানো যন্ত্রে আকাশে ওড়া ভালো লেগেছে। এক কথায় বইটি অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
ata ki black hole ar bacca 2
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি সত্যি অসাধারণ একটি বই । এই বই তে কিছু কিছু জায়গায় মনের ভাব এমন সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে যে কথায় বোঝানো যায় না
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বলবো হাজি মহব্বতজান স্কুলের বর্ণনার জন্য।বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে বিজ্ঞান কম থাকলেও ক্ষতি নেই।কিন্তু স্কুলটা ফাটিয়েছে।এখনকার স্কুলগুলোয় নানা ধরণের পরীক্ষার চাপে বাচ্চারা সব শেখে-শুধু আসল দুনিয়াটাই চিনতে পারে না।নিজেরা কী হতে চায় বুঝতে পারে না।ছোটদের জগতের বড় জাদুকর আমাদের জাফর ইকবাল স্যার!
Was this review helpful to you?
or
(মনের কথাটা দিয়েই রিভিউ শুরু করি) অনেক দিন পর স্যারের একটা স্বাদু – ‘কাহিনী ও ভাষার’ কিছু একটা পেলাম, পড়লাম এবং একটানে শেষ করলামও। স্যারের শেষ দিককার যতগুলি সায়েন্স ফিকশান পড়েছি, বেশিরভাগই ছিলো, "অনেকখানি ফিকশন আর একটুখানি সায়েন্স"। এই বইটা সেই ধারার একটা ব্যতিক্রম- বলতেই হবে। হয়তো হতে পারে কিছু অবাস্তবতার সায়েন্স কিংবা আবেগীয় সাহসের ফলে করে ফেলা কিছু সায়েন্টিফিক অ-অ্যাচিভমেন্ট। তারপরেও তা মুগ্ধতাকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে অনেক খানিক-ই। একটা স্কুলপড়ুয়া ছেলের স্বপ্ন কত বড় হতে পারে, কতদূরেই বা আপনি তার কল্পনার ফানুসটাকে উড়িয়ে দিতে দেখতে পারেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়ে যায় তা। “ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা ”-য় স্যার সেই স্বপ্ন নিয়ে অনেক দূর গিয়েছেন এবং আনমনেই প্রতিটি কিশোর পড়ুয়া ছেলে-মেয়ের মাঝে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন এক অ-পরিধিয় স্বপ্নের বীজ। গল্পের নায়ক মিঠুন একটা ছোট ব্ল্যাকহোল বা ‘ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা’ তৈরি করেছিল। সেটা নিয়েই কাহিনীর টুইস্ট ও বেড়ে ওঠা । আস্তে আস্তে সে আর তার টিসি-ফেরত-“হাজী মহব্বতজান”-স্কুলের আপাত অস্পৃশ্য বন্ধুরা মিলে স্কুলের ইতিহাসকে এক নতুন মাত্রা দেয়। কোনদিন বিজ্ঞান মেলার নাম না শোনা একটা স্কুলের বাচ্চারা বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে প্রথম হয়, হারিয়ে দেয় শহরের সবচেয়ে নামজাদা ও কাঙ্ক্ষিত স্কুলটিকে। সেখান থেকেই এক অসময়ে তারা পরিণত হয় চোরাকারবারিদের লক্ষ্যবস্তুতে। এবং বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে তারা বেরিয়ে আসতেও পারে হয়তো। এত ঘটনার ঘনঘটায় কোন ফাঁকে যে পাঠক হিসেবে মিঠুন ও তার বন্ধুদের মিথষ্ক্রিয়ার একজন মনোযোগী দর্শক হয়ে গিয়েছি, খেয়াল করেছি বইটার শেষ হবার পর। স্যার যথারীতি তার বইতে যেমন অনেক অনেক সংলাপের মাঝ দিয়ে সম্পর্কগুলোকে টেনে নিয়ে গেছেন তেমনি ছোটখাট অনেক খুনসুটি ও মজার মজার ঘটনা দিয়ে পুরো গল্পটি সাজিয়েছেন। সেটা নিয়ে নতুন কিছুই বলার নেই, পাঠক নিজ উদ্যোগে তার স্বাদ আস্বাদন করে নেবেন-ই। বলতে গেলে সায়েন্টিফিক কিছু জিনিসের কথা বলতে পারি। ম্যাস-এনার্জি কনভার্সনের ধারণা যেমন স্যার এনেছেন, তেমনি তার টুকটাক( যদি ফ্লাইং মেশিনের তৈরিটাকে টুকটাক ধরে নেই আরকি!! ) কিছু (অ)প্রয়োগের কথাও বলেছেন । এসেছে ডার্ক এনার্জি, বোজন-মেসন, ফ্রি এনার্জি রিলিজিং-এরকম অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক পরিভাষার কথাও। স্কুলপড়ুয়া অনেক ছেলেমেয়ের পক্ষেই জিনিসগুলির ব্যাখ্যা বা কার্যকারণ দাঁড়া করা বেশ কঠিনই। তবে সে ব্যর্থতা কখনোই কাহিনীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াবেনা। পরিশেষে মানব মনের মহৎ আর সুন্দর বোধগুলোর প্রাধান্যসুলভ পরিসমাপ্তিই গল্পটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। তবে একটা কথা কিন্তু সত্য, বইটি পড়ার পর সব কিশোর-কিশোরীর মনেই সায়েন্টিফিক অনেকগুলি যৌক্তিক প্রশ্নের উদয় হবে। এবং একসময় যখন তারা তা জানার জন্য উপযুক্ত হবে, সেগুলোর উত্তর খুজতে তাদের উতলা হবারও যথেষ্টই কারণ থাকবে বৈকি!! অনেকের অগোচরেই যে জাফর স্যার একদল বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্মের সূচনা করে দিয়ে গেলেন, পুরো বইটি পড়ে এই জিনিসটাকেই আমার কেন জানি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়!!! ধন্যবাদ তাই স্যারকে!!
Was this review helpful to you?
or
"ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা" নামটা শুনেই মুহূর্তের জন্য অবাক হয়ে যেতে হয় । মনের ভেতর ভাবনাটা চলে আসে,"ব্ল্যাক হোলের কথা তো শুনেছি কিন্তু তাই বলে ব্ল্যাক হলের বাচ্চা !! সেটা আবার কি?" হ্যাঁ এই ব্ল্যাক হোলের বাচ্চাটাকে নিয়েই লিখা মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী "ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা" শহরের মাঝে নামকরা স্কুল অক্সব্রীজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল । স্কুলটার অনেক সুনাম বাইরে । সবকিছুর মান সেখানে যেমন ভালো তেমনি বেতনের অঙ্কটাও বেশি । সেখানে শুধু বড়লোকের ছেলে মেয়েরাই পড়ার সুযোগ পায় । অন্যদিকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী মহব্বতজানের নামে আর একটি স্কুল হাজি মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয় । এই স্কুল্টা একেবারেই অক্সব্রীজ স্কুলের উল্টো । এখানে কখনো ক্লাসগুলোও ঠিকভাবে হয়না । আর এই স্কুলেরই ছাত্র ছাত্রি ইবু, ঝুম্পা, ফারা, আর বগা । অক্সব্রীজ স্কুল নিয়ে তাদের বেশ হিংসে হতো তেমনই কৌতূহলও ছিলো বেশ । তাই তারা যেদিন জানতে পারলো স্কুলভবনটার একপাশ অজ্ঞাত এক বিস্ফোরণে ভেঙ্গেচুড়ে গেছে তারা বেশ অবাক হলো ।পত্রিকা ঘেটে জানতে পারলো এক রহস্যময় বালকের কথা কিন্তু কথাটা কেনো যেন সবাই চেপে যায় । কিন্তু কিছুদিন পর সেই রহস্যময় ছেলেটিই এসে ভর্তি হয় ইবুদের স্কুলে । ছেলেটার নাম মিঠুন । বিজ্ঞান তার খুব ভালো লাগে । মিঠুনের সাথে ইবুদের বন্ধুত্ব হয়ে যায় । মিঠুন থেকেই তারা জানতে পারে কিভাবে তার এক বৈজ্ঞানিক গবেশনার জন্য অক্সব্রীজ এর একটা অংশ ধ্বসে পড়ে । মিঠুন তাদেরকে দেখায় সেই এক্সপেরিমেন্ট থেকে পাওয়া রহস্যময় একটা জিনিস যা চোখে দেখা জায় না কিন্তু তার অস্তিত্ব অনুভব করা যায় । মিঠুন জিনিসটার নাম দিয়েছে ব্ল্যাক হলের বাচ্চা । আর এই ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা নিয়ে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা । মিঠুন ও তার বন্ধুরা নানা বিপদের মাঝেও পড়ে এই জন্য । এর পর কি হলো ব্ল্যাক হোক হোলের বাচ্চাটার?? জান্তেই পাঠক ঘুরে আসতে পারে মিঠুনের বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক জগতটাতে । এই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীটি আমাদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হরে তোলে, আমাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে তোলে ।
Was this review helpful to you?
or
afsos amar ishkul mohobbotajan ishkulr moto chilo na.....:(, but khubi valo lagse boi ta.....:), thanks Iqbal sir.
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ-ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা আজ রাত সোয়া নয়টার দিকে পড়া শুরু করেছিলাম ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা। এগারোটা নয়ের সময় শেষ। এটাকে বলা হয়েছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। যদিও এটা মোটেও তা নয়। বইটির লেখক আমাদের সবার প্রিয় মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি এখন পর্যন্ত অনেক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এবং কিশোর উপন্যাস লিখেছেন। আর ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাকে বলা যায় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এবং কিশোর উপন্যাস এর একটি জগাখিচুড়ি। যদিও লেখাটায় যথেষ্ট হাস্যরসাত্মক উপাদান রয়েছে এবং পড়ার সময় বেশ মজাও পেয়েছি,কিন্তু তৃপ্তি পেলাম কই। যে তৃপ্তি পেতাম তার আগের সায়েন্স ফিকশনগুলো পড়ার সময়। যে তৃপ্তি পেয়েছি তার লেখা কপোট্রনিক সুখ দুঃখ, মহাকাশে মহাত্রাস, ত্রিনিত্রি রাশিমালা, ইরন, রুহান রুহান, জলমানব সহ অসংখ্য সায়েন্স ফিকশনে। কাহিনী সংক্ষেপ- কাছাকাছি দুটো স্কুল। একটায় পড়ালেখা করে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েরা। যারা সময় গাড়িতে চলে, ইংরেজিতে কথা বলে, ভাঙ্গাচোরা বাংলাও বলে। অন্যদিকে অপর স্কুলটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। অন্যসব স্কুলে যারা পড়ার সুযোগ পায়না তারা এখানে পড়ে। এই লেখার চরিত্ররা সব এই স্কুলে পড়ে। এই স্কুলে একদিন এক নতুন ছেলে এসে হাজির। সে আগে ঐ বড়লোকের স্কুলে পড়ত। কিন্তু সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তার অপরাধ মাঝরাতে স্কুলের ল্যাবরেটরিতে গোপনে কি এক এক্সপিরিমেণ্ট করতে গিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে স্কুল বিল্ডিংই!! কিন্তু সে কি এক্সপিরিমেণ্ট করতে গিয়েছিল? বইটিতে রয়েছে অদ্ভুত সব চরিত্র। যেমন নরম স্বভাবের ফারা যে বিচিত্র কারনে বেগম রোকেয়াকে পছন্দ করেনা। আছে জঙ্গি টাইপের মেয়ে ঝুম্পা, হুবুহু বকের মত দেখতে বগা, কখনো কথা না বলা ছেলে রোল নাম্বার তেতাল্লিশ, ষ্টীলের তৈরি গুললু। এছাড়াও আরও কত বিচিত্র সব লোক রয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এবং কিশোর উপন্যাস এর সংমিশ্রণে এর আগেও কিছু লেখা লিখেছেন। যেমন টুকুনজিল। তবে সেটা পরে অল্প হলেও কিছুটা তৃপ্তি পেয়েছিলাম। এটাতে তাও পাইনি। সম্ভবত এই কারনেই আমি জগাখিচুড়ি বলেছি! তবে কিছু সময় মজায় কাটাতে চাইলে এই বই পড়া যায়। আমার যেমন বইটি পড়ার সময় বেশ মজায় কেটেছে। কিন্তু এরপরেও তার কাছ থেকে এই ধরনের লেখা আমি খুব বেশি চাইনা। তিনি আমার অন্যতম প্রিয় এক লেখক। তার কাছ থেকে আমরা পেয়েছি অসংখ্য কালজয়ী লেখা। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য তিনি ইদানিং ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা টাইপের লেখাই বেশি লিখছেন। এক নজরে- বইয়ের নাম- ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা লেখক- মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশক- সময় প্রথম প্রকাশ- ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০১৩ প্রচ্ছদ- মুহম্মদ জাফর ইকবাল গায়ের মূল্য- ২০০ টাকা আমার রেটিং- ৩.৫/৫ পরিশেষে বলতে পারি বইটি পড়ে দেখতে পারেন(অবশ্য অনেকেই অলরেডি পড়ে ফেলেছেন), অন্তত সময়টা খারাপ কাটবে না।
Was this review helpful to you?
or
Boi ta valo but rate ta rokomari tay aktu bashi. Akahanay 170 tk. But library tay 140 tk.
Was this review helpful to you?
or
কোন এক নামহীন শহরের এক সুনামহীন স্কুলের গল্প এটা, কথিত আছে, এলাকার বিশিষ্ট রাজাকার এবং সন্ত্রাসী এবং না জানি আরও কতকিছু, জনাব হাজী মহব্বতজান এর পয়সায় স্থাপিত এই স্কুলে নেই কোন নিয়ম কানুন, নেই কোন পড়ালেখার চাপ। শিক্ষকরা আদি পন্ডিতদের ঐতিহ্য মেনে ক্লাসে এসে ঘুমাতেন এবং প্রায়ই এক ক্লাসের বদলে অন্য ক্লাসে চলে যেতেন! মনে হয় মাঝে মাঝে ঘুমাবার জায়গা চেঞ্জ করতে ভালই লাগত তাদের! হাজী মহব্বতজানের ঠিক অপোজিটেই ছিল একটি নামকরা প্রাইভেট স্কুল। অক্সব্রীজ স্কুল, পুলের উপরে ষাড় হেটে যায়!! এর নাম নিয়ে মহব্বতজানের ছাত্ররা অনেক মজা করলেও তারা কিছুটা হিংসার চোখেই দেখতো এই ঝকঝকে স্কুলের চকচকে ছাত্রছাত্রীদের। একরাতে কি হল, বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে, সারা শহরকে কাপিয়ে দিয়ে অক্সব্রীজ স্কুলের ভবন উড়ে গেল। গল্পের নায়ক মিঠুন একটা ছোট ব্ল্যাকহোল বা ‘ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা’ তৈরি করেছিল। সেটা নিয়েই কাহিনীর টুইস্ট ও বেড়ে ওঠা । আস্তে আস্তে সে আর তার টিসি-ফেরত-“হাজী মহব্বতজান”-স্কুলের আপাত অস্পৃশ্য বন্ধুরা মিলে স্কুলের ইতিহাসকে এক নতুন মাত্রা দেয়। কোনদিন বিজ্ঞান মেলার নাম না শোনা একটা স্কুলের বাচ্চারা বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে প্রথম হয়, হারিয়ে দেয় শহরের সবচেয়ে নামজাদা ও কাঙ্ক্ষিত স্কুলটিকে। সেখান থেকেই এক অসময়ে তারা পরিণত হয় চোরাকারবারিদের লক্ষ্যবস্তুতে। এবং বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে তারা বেরিয়ে আসতেও পারে হয়তো। এর কিছুদিন পরেই স্কুলে এল এক আজব ছেলে। অতি অবশ্যই বড় ঘরের ছেলে, কারন তার মা তাকে গাড়ি করে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে এখানে কেন? সময়ে আবিস্কার হল, অক্সব্রীজ স্কুলের ভবন ধ্বংস হবার পেছনে হাত রয়েছে তারই। এক বিদঘুটে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালাতে গিয়ে সে বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে স্কুলটার! কি সেই পরীক্ষা? সে ল্যাবে বসে ব্লাকহোল বানাতে গিয়েছিল। সায়েন্টিফিক কিছু জিনিসের কথা বলতে পারি। ম্যাস-এনার্জি কনভার্সনের ধারণা যেমন স্যার এনেছেন, তেমনি তার টুকটাক( যদি ফ্লাইং মেশিনের তৈরিটাকে টুকটাক ধরে নেই আরকি!! ) কিছু (অ)প্রয়োগের কথাও বলেছেন । এসেছে ডার্ক এনার্জি, বোজন-মেসন, ফ্রি এনার্জি রিলিজিং-এরকম অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক পরিভাষার কথাও। স্কুলপড়ুয়া অনেক ছেলেমেয়ের পক্ষেই জিনিসগুলির ব্যাখ্যা বা কার্যকারণ দাঁড়া করা বেশ কঠিনই। তবে সে ব্যর্থতা কখনোই কাহিনীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াবেনা। পরিশেষে মানব মনের মহৎ আর সুন্দর বোধগুলোর প্রাধান্যসুলভ পরিসমাপ্তিই গল্পটিকে পূর্ণতা দিয়েছে।