User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রঞ্জিত জননী'র সমস্যা নিয়ে পড়ে বলব। কোন কিছুই সমস্যা ছাড়া হয়না রঞ্জীত জননীও তার বাইরে না। তবে আগে লেখকের প্রাপ্য প্রশংসা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা সহজ ব্যাপার না। সার্জিল খানের প্রথম লেখা এটা। প্রথম লেখাটারই ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধ যা সে নিজেই দেখেনি। সব কোন সন্দেহ নাই তার চেষ্টাটা ভাল। কারন পড়ে কখনই মনে হয়নায় এটা শোনা কোন গল্প। পড়ে মনে হল লেখক হয়ত মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন কিছু জায়গায়। সমস্যা কিছু আছে অবশ্য। কিছু কিছু চরিত্রের পরিণতি বোঝা যায়নি যা ভাল লাগেনি । লেখকের লেখার দক্ষতা আছে। উপন্যাসের নিজস্ব গতি থাকে এই উপন্যাসে মাঝে মাঝে গতিপথে বাধার সঞ্চার হয়েছে তবে নতুন লেখক হিসেবে ঠিক আছে। আসলে সব কিছুরই সমালোচনা করা যায় তাই এত কিছু বলা। কিন্তু প্রথম উপন্যাস হিসেবে রঞ্জিত জননী'র লেখক সার্জিল খানকে ধন্যবাদ। বলা যেতে পারে, লেগে থাকলে এই লেখক হারিয়ে যাওয়ার নয়।
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ উপন্যাসটি লেখকের প্রথম একক উপন্যাস।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাঙালির আবেগের ব্যাপ্তিকে তিনি ছোট পরিসরে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন এই উপন্যাসে।পাকবাহিনীর নিষ্ঠুরতা অনেকখানি ই বর্জিত এ উপন্যাসে কিন্তু যুদ্ধের সময় মানুষের কষ্ট ও দুর্দশা বেশ ভালভাবেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।ছিমছাম,গোছানো এই উপন্যাসটি পড়লে জানা যাবে যুদ্ধের বেশ কিছু অজানা কাহিনী,কিছু অব্যাক্ত আর্তনাদ,আর কিছু রক্তমাখা অপূর্ণ স্বপ্নের কথা। শুভকামনা লেখককে এই বইয়ের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সত্যি কথা বলতে এই উপন্যাসটি একটানে পড়ে যাওয়ার মতো একটি উপন্যাস। তবে কাহিনীগুলো খুব দ্রুত এগিয়ে গিয়েছে। তবে এই দ্রুত ঘটনার মধ্যে দিয়েই কিছু কিছু লাইন খুবই ভাবিয়ে তুলেছে একদম ভেতর থেকে। ভাষার দখল সত্যিই অসাধারণ। আনিসুল হকের লেখাও এতটা গোছালো না। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস লেখাটা সত্যি কঠিন একটা কাজ। কাজটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায় যদি কোন স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের নতুন লেখক এটি লিখেন। তবে লেখক সার্জিল খান যে সত্যিই একটা অসাধ্য সাধন করেছেন সেটা বাজি ধরে বলা যায়। সাহিত্যে লেগে থাকলে তিনি অবশ্যই দেশসেরা বড় লেখক হবেন এটা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র কোন দ্বিধা নেই।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটা উপন্যাস। একটানে পড়ে যাওয়ার মতো। হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কোন লেখকের গল্প আমি একটানে পড়তে পারি না। নতুন লেখকদের মাঝে তো আরো না। কিন্তু এই উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে বারবার উঠতে চাইলেও উঠতে পারিনি। শব্দচয়ন ও লেখার সাবলীলতা প্রশংসাযোগ্য। প্রত্যেকটা টার্নিং গোছালো, রচনাশৈলী অদ্ভুত। আর ভাষার দখল তো বলতেই হয় খুবই উঁচুমানের। নিঃসন্দেহে বলতে পারি বাংলা সাহিত্যকে দেওয়ার অনেক কিছুই আছে এই লেখকের মাঝে। রীতিমত অসম্ভব রকমের একটি সুন্দর উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #ডিসেম্বরঃ ১৮ বইঃ রঞ্জিত জননী লেখকঃ সার্জিল খান প্রকাশনীঃ আদী প্রকাশন প্রথম প্রকাশ একুশে বইমেলা ২০১৩ ধরণঃ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও রাজনৈতিক উপন্যাস পৃষ্ঠাঃ ৯৬ রকমারি মূল্যঃ ১০৮টাকা . লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এদেশ।আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।আজো এই সূর্যসন্তানদের অশ্রুধারা বইছে অজানা ক্ষতে আজো বিদ্ধ হয়ে আছে রঞ্জিত জননী।সার্জিল খানের লেখা রঞ্জিত জননী বইটি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তে রচিত একটি উপন্যাস। . রিভিউঃ কাহিনী শুরু হয়েছে আসিয়া আর তার ছোট মেয়ের মাধ্যমে।মেয়ে পরী ভীষণ অসুস্থ,জণ্ডিস।ঘনঘন বমি করছে সাথে জ্বর তো আছেই।স্বামী আশফাক বাইরে গিয়েছিল,কিন্তু আর ফিরে আসেনি।এদিকে মেয়ের প্রচণ্ড রকম অসুখ,অন্যদিকে স্বামীর কোন খোঁজ নেই।বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটাও আসিয়া জানেনা।সারাদেশে কারফিউ শুরু হয়ে গেছে।স্বামীকে খুঁজতে যাওয়ার বা কাউকে পাঠানোর উপায় নেই।ঘরেও কোন বাজার নেই।নানান চড়াই উৎরায় পেড়িয়ে সারাদেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।এমন অরাজকতা পূর্ণ অবস্থায় আসিয়া তার অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে প্রথমে বাড়িওয়ালা চাচার বাসায় আশ্রয় নেন।কিন্তু ক্রমেই ঢাকার অবস্থা খারাপ হতে থাকে।শুধু ঢাকায় না সারাদেশের অবস্থা পাল্টে যায়।অনেকে ভিটেমাটি ছেড়ে ইণ্ডিয়ায় পাড়ি জমাতে থাকে,যেন ইণ্ডিয়ায় চলে যাওয়াতে তাদের পরম সৌভাগ্য।বাড়িওয়ালা চাচা আসিয়াকে নিজের গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।আসিয়া তার নানার বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে চলে যায়।সেখানে গিয়ে সে আরো অবাক হয়।দেখে বাসার সবাই মিলে দলবল বেঁধে জামালপুর মেলান্দহ যাওয়ার পাঁয়তারা করছে।কারণ ময়মনসিংহ সদরেও তখন মিলিটারিরা চলে এসেছিলো। কিন্তু মেলান্দহ গ্রামে গিয়েও কি আসিয়া আর তার মেয়ে পরী নিরাপদে থাকতে পেরেছিল??যে কারণে শহর ছেড়ে পালিয়ে আসা শেষ পর্যন্ত সেখানেও কি পৌঁছে গিয়েছিল পাক-মিলিটারি ফৌজ?আর আসিয়ার স্বামী আশফাক কোথায়?কি হয়েছিলো তার?শেষ পর্যন্ত কি আসিয়া আশফাককে খুঁজে পেয়েছিল? . পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পেছনে রয়েছে লাখো মানুষের রক্ত,অজস্র মানুষের আর্তনাদ।এটি একদিনে সৃষ্টি হয়নি।এটি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে রয়েছে বহু ইতিহাস,অনেক কাহিনী,অনেক বছরের সাধনা।বইটি লেখক ১৯৭১সালের পটভূমিতে রচনা করেছেন।বইটিতে ১৯৭১সালের ২৫শে মার্চ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা এবং তার বহু বছর পরের কিছুটা সময় উল্লেখ করেছেন।১৯৭১সালে সারাদেশে যে অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো তাই লেখক উপন্যাসের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি গৌরবান্বিত ইতিহাস।১৯৭১সালে বাংলাদেশের মানুষ যে আতঙ্কে দিন যাপন করেছে তাই লেখক তাঁর লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।লেখক পাকবাহিনীর লেখাগুলো এত বাস্তবভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে পড়ার সময় গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে।এটা লেখকের প্রথম লেখা।লেখক কখনও মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি,কিন্তু তাঁর প্রথম লেখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক।লেখক মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতে পেরেছিলেন।যুদ্ধের সময় এদেশের মানুষের দুঃখ-কষ্ট,দুর্দশা,আতঙ্ক তিনি এ উপন্যাসে বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন।যুদ্ধ চলাকালীন অনেকেই নিজ দেশের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে,কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তাদের অনেকেই বিভিন্ন খেতাবে ভূষিত হয়েছে যা সত্যি লজ্জাজনক,লেখক সে বিষয়টিও এখানে তুলে ধরেছেন।তবে কিছু কিছু জায়গায় চরিত্রের নাম একটু গুলিয়ে ফেলেছেন।তাছাড়া লেখকের রাফখাতা পড়েছি কিছুদিন আগে,সেটার লেখা রঞ্জিত জননী থেকে গোছানো মনে হয়েছে।কিন্তু প্রথম উপন্যাস আর মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি হিসেবে এই উপন্যাসটি ভালো অনেক ভালো হয়েছে।আমার বেশ ভালো লেগেছে। . রেটিং:- ৪/৫