User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মুক্তধারা আয়োজিত হুমায়ূন আহমেদের ৬৩তম জন্মদিনে মধুসূদন বিশেষজ্ঞ গোলাম মুরশিদ ( ড. মুরশিদ কে “গল্প পঞ্চাশৎ” এর উৎসর্গ পত্রে এই ভাবেই সম্বোধন করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ ) এসেছিলেন লেখকের “রঙ পেন্সিল” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে। অনুষ্ঠান শেষে কথায় কথায় ড. মুরশিদ উল্লেখ করেছিলেন মাইকেল মধুসূদনকে নিয়ে “আশার ছলনে ভুলি” বই লিখতে গিয়ে তার দীর্ঘ ২০ বছরের (১৯৮৬-১৯৯৫) গবেষণা এবং অধ্যবসায়ের গল্প। আজ থেকে ১০০ বছর পর যিনি ড. মুরশিদের মত হুমায়ূননামা লিখতে বসবেন তাকে আগাম সুসংবাদ দিচ্ছি। আপনার জন্য বিশ্বজিত সাহা “হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো” শিরনামে একখানা গ্রন্থ রেখে যাচ্ছেন। না কোন অনুমান নির্ভর গল্প নয় বরং তথ্য-উপাত্ত, দলিল পত্র এবং দুর্লভ ছবির সমন্বয়ে বিশ্বজিত সাহা হুমায়ূন আহমদের শেষ দিনগুলোকে এঁকেছেন ২৭৯ পৃষ্ঠার ক্যানভাসে। নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসাকালীন দিনগুলো- তার ভক্তদের জন্য ছিল মর্মস্পর্শী উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষার কাল। পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্যে প্রতিটি পত্রিকাই ধারাবাহিক ভাবে ছাপছিল হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। সত্য, মিথ্যা কিংবা গুজব -- ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকার ভিন্ন ভিন্ন তথ্যে পরিচিত জনেরা যখন সন্দেহ আর বিশ্বাসের দোলাচলে দুলতে দুলতে আমার কাছে সত্য ঘটনা জানতে চাইত তখন আমার তথ্যের উৎস ছিলেন বিশ্বজিত সাহা; যিনি নিউ ইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তার চেয়ে তথ্যের বিশ্বস্ত উৎস আর কে হতে পারে? হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তার মৃত্যুকে নিয়ে যখন নানা বিভ্রান্তি ডালপালা মেলল তখন আমার মত অনেকেই বিশ্বজিত সাহাকে অনুরোধ করেছিলেন বিভ্রান্তি নিরসন করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে। এই বই হয়ত সেই অনুরোধের ফসল। বইটি হাতে পাই ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে। তখন আমি নিউইয়র্ক গণজাগরণ মঞ্চের উন্মাদনায় ব্যাস্ত। বইটি পড়ব পড়ব করেও পড়া হচ্ছিল না। কারন ২৭৯ পৃষ্ঠার বই শেষ করার জন্যে আলাদা মনোযোগের দাবি রাখে। কিন্তু বই পড়তে গিয়ে ভুল ভাঙ্গে। প্রথমেই দেখতে পাই সময় সচেতন বিশ্বজিত সাহা বইটিকে উৎসর্গ করেছেন শাহবাগের আন্দোলনরত তরুণদের উদ্দেশ্যে। হুমায়ূন সংস্পর্শ কিনা জানি না, কিন্তু বিশ্বজিত সাহা লিখি গেছেন হুমায়ূন আহমদের মত সহজ ভঙ্গিতে। সহজ ভঙ্গিতে মাথার ভিতরে গেঁথে থাকা স্মৃতিকোষের সাজানো দৃশ্যপট থেকে তুলে দিয়েছেন একের পর এক স্মৃতি। দিন তারিখ সহ ঘটে যাওয়া ঘটনার ডিটেইলের সাথে জুড়ে দিয়েছেন অসংখ্য ছবি। ফলে পাঠক কেবল বই পড়েন না, নিজেও অংশ হয়ে দাড়ান সেই সব ঘটনার। শুধু চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য নয়, হুমায়ূন আহমদের জীবনের শেষ ১০ মাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং ঘটনার সাথে সম্পর্কিত ঘটনার পর্যায়ক্রমিক বিবরণ পাই আমরা এখানে। দেখতে পাই বিশ্বজিত সাহার মত মানুষগুলো কিভাবে দূর পরবাসে হুমায়ূন আহমদের চারপাশে ভালবাসার দেয়াল তুলে তার কর্কট রোগের বিরুদ্ধে লড়ছে। টের পাই কর্কট রোগ থেকে লেখককে মুক্ত করতে পারলেও তাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে না পারার কষ্ট। “হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো” – বইটি কেবল হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলোর ঘটনাপঞ্জী কিংবা তার সম্পর্কিত স্মৃতিকথার লেবেলে বন্দী থাকেনি। শেষদিন গুলোর পাশাপাশি হুমায়ূন আহমদের পূর্বের আমেরিকা ভ্রমণ, নিউইয়র্কে মুক্তধারা আয়োজিত বইমেলায় হুমায়ূন সম্পর্কিত স্মৃতি বিশ্বজিত সাহা নির্মোহ ভঙ্গিতে পাঠকের সাথে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে “চিত্রকর হুমায়ূন আহমেদ” আধ্যায়ে হুমায়ূন আহমেদের জল রংয়ে আকা ২৩ রঙ্গিন ছবি বইটিকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা; হয়ে উঠেছে সংগ্রহে রাখার মত একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বইটির জন্য অনেকেই অপেক্ষা করছিলেন। বইটিতে আছে ৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ হতে ২৯ জুলাই ২০১২ পর্যন্ত লেখককে ঘিরে সকল ঘটনা ও তার সাথে প্রতি মুহূর্তের জড়িত প্রায় ১২০ জনেরও বেশি চরিত্র। দুর্লভ সব ফটো ও মুহুর্তের বর্ণনা যা এ পর্যন্ত কোথাও প্রকাশিত হয়নি। সকল মেডিকেল রিপোর্ট-এর হুবহু ও বিস্তারিত উপস্থাপন।