User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মোটেও ভালো বই না....সময় নষ্ট
Was this review helpful to you?
or
#আড্ডাখানায়_রকমারি #রিভিউ_২০২৩ 'বাংলার থ্রিলার সম্রাট' খ্যাত লেখক 'মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন' এর 'রবীন্দ্রনাথ সিরিজ' পড়েছেন অনেকেই। শীঘ্রই সিরিজটির তৃতীয় কিস্তি বের হবে। তবে আমি যদি বলি লেখকের অন্য একটি বইয়ের সাথে সিরিজটির একটা সংলগ্নতা আছে? বলছিলাম 'জাল' এর কথা। রবীন্দ্রনাথ সিরিজের 'কেএস খান' দ্বারা মীমাংসিত একটি কেসের কাহিনী 'জাল'। • প্লট: খুনের অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার হলো এক প্লে-বয় ব্যারিস্টার কিন্তু তার দাবি খুনটা আসলে করেছে মানসিক বিকারগ্রস্ত একজন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সাবেক ইনভেস্টিগেটর কেএস খানের শরণাপন্ন হলো সে। অদ্ভুত এক লোক, তার চেয়েও বেশি অদ্ভুত এই হত্যাকাণ্ডটি। যার ক্যারিয়ারে কোনো অমীমাংসিত কেস নেই সে কি পারবে এই রহস্যের জাল ছিন্ন করতে? (ফ্ল্যাপ থেকে) • চরিত্রসমূহ: উপন্যাসের মুখ্য চরিত্রে আছে ব্যারিস্টার রুহিন মালিক, কেএস খান, মাহবুব, ডাক্তার মামুন, আইনস্টাইন। এছাড়া কিছু পার্শ্ব চরিত্রও রয়েছে। মুখ্য চরিত্রগুলোকে লেখক কিছুটা রহস্যময় করার চেষ্টা করেছেন। চরিত্রগুলো নিয়ে আলাদা করে বিস্তারিত লিখলে কাহিনী স্পয়েল হয়ে যেতে পারে, তাই লিখলাম না। • পাঠ প্রতিক্রিয়া: উপন্যাসের শুরুটাই হয়েছে একটা হত্যাকাণ্ড দিয়ে, যেমনটা প্রায় সব থ্রিলারেই হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে গল্পটা হত্যাকারীকে ধরার নয়, বরং তার দোষী কিংবা নির্দোষ হওয়ার সত্যতা প্রমাণ করার। শুরুর দিকে উপন্যাসে যে থ্রিলার আমেজটা ছিলো, সেটা শেষেও রয়েছে, বিশেষ করে সত্য উন্মোচন কিংবা টুইস্ট রিভিলের পর। তবে উপন্যাসের মধ্য ভাগে প্লট কিছুটা স্লো মনে হয়। যে আঙ্গিকে উপন্যাসটি লেখা হয়েছে, পাঠকের কাছে বিদেশি প্লটই মনে হবে। এক্ষেত্রে মদের বার, প্লেবয় রুহিনের চরিত্র ও চরিত্রগুলোর কিছু সংলাপ অবদান রাখছে বলে আমার মনে হয়। প্রচ্ছদ নিয়ে যদি বলি, বইয়ের প্রচ্ছদটা কিছুটা হরর ধাঁচের মনে হয়। এক্ষেত্রে প্রচ্ছদের কিছু ডিটেইলস্ এর প্রশংসা করতেই হয়। উপন্যাসটি পড়ে প্রচ্ছদটা পুনরায় পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, প্লটের কিছু ইঙ্গিত প্রচ্ছদেও ছিলো। • ব্যক্তিগত মতামত: মূল টুইস্ট টা খুব আহামরি কিছু না হলেও আমার কাছে কিছুটা ইউনিক মনে হয়েছে। তবে টুইস্ট টা আরেকটু জমতো যদি অপরাধীর চরিত্রটা আরেকটু বেশি বিশ্লেষণ করা যেতো। মাহবুব সাহেব ও তার মৃত স্ত্রীকে নিয়ে যে কাল্পনিক দৃশ্যপট লেখা হয়েছে তাতে কামনার উপস্থিতি না থেকে শুধু রোমান্টিকতা থাকলেই ভালো হতো। ব্যারিস্টার রুহিনের উকিল হিসেবে যে বুদ্ধিমত্তার কথা শুরুতে উল্লেখ আছে,পরবর্তীতে নিজের জীবন বাঁচাতে সেই বুদ্ধিমত্তার যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো দরকার ছিলো। পরিশেষে বলবো, থ্রিলার ধাঁচের উপন্যাস হিসেবে মন্দ নয়। তবে বাকি পাঠকদের কেমন লাগবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমার মতে, যারা অনেক বেশি থ্রিলার পড়ে ফেলেছেন, তাদের কাছে 'জাল' ভালো নাও লাগতে পারে। তবে যারা এ জনরার নতুন পাঠক, তাদের কাছে উপন্যাসটি ভালো লাগবে। • বই: জাল • লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন • জনরা: থ্রিলার • প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী • প্রচ্ছদ: ডিলান • প্রচ্ছদ মূল্য: ৩৫০ টাকা • পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০ • ব্যাক্তিগত রেটিং: ০৩/০৫ ~ ইয়াসির আল সাইফ
Was this review helpful to you?
or
?পাঠ প্রতিক্রিয়া:- প্রথমে সাধারণ কোনো গল্প মনে হতে পারে। খাপছাড়া ভঙ্গি গল্পটা এগিয়ে গিয়ে হঠাৎ করে আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। মজা জটপাকানো বিষয় থাকবে, যা কাহিনীকে কিছুটা জটিল করে তুলে। শেষে এসে সেই জটগুলো আস্তে আস্তে খুলতে থাকতে। বইটার পরিপূর্ণ মজা পেতে গেলে পাঠককে কিছুটা কাঠখড় পোড়াতে, এর কারণ হলো গল্পে শুরুতে পাঠক টুইস্ট পাবে না। টুইস্ট কিংবা মোড বদলে দেওয়া কোনো কিছু দেখা পেতে বইয়ের দুই তৃতীয়াংশ পড়তে হবে। এরপর পাঠক মোড় ঘুরানোর সত্যের হাতছানি পাবে। যারা টানটান উত্তেজনা একের পর এক টুইস্টে মুখরিত থাকতে পছন্দ করে তাদের কাছে ‘জাল’ কিছুটা পানসে লাগতে পারে। কারণ এই বইয়ের কাহিনীতে টুইস্টের যোগান তুলনামূলকভাবে কম। তবে রহস্য ও রোমাঞ্চের ক্ষেত্রে স্বল্পতা থাকলেও পাঠক বিরক্ত হবে না। কারণ লেখক বইয়ে এমন একটা আবহের সৃষ্টি করেছেন যে পাঠক বইয়ে আটকে থাকতে বাধ্য। বইয়ের চরিত্রগুলোর অভিব্যক্তি ছিলো সহজ, সাবলীল ছিলো, যা লেখকের লেখনীর চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। সর্বোপরি বইটি ভালোই। পাঠক যদি থ্রিলার প্রেমী হয়ে থাকে বইটি নিঃসন্দেহে সংগ্রহ করে পড়ে ফেলতে পারে। মোদ্দাকথা, পড়ার মতো একটা বই। ?রেটিং:- ৭.৮/১০
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
GOOD
Was this review helpful to you?
or
একটা ব্যাপার ভালো লাগে নাই,,লেখক লেখার সময়,,এক প্রসঙ্গ নিয়ে শুরু করেছেন,,যখনই পরের অংশ টুকু পড়ার ইচ্ছা জাগে,,,ঐসময় ঐ বিষয় এরই ব্যাখা দিয়েছেন বেশি করে,,যা শুরুতে বুঝা যায় না,,পড়ার সময় আগ্রহ হারায়া ফেলছি অনেক বার,,,কিন্তু বই টা চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অন্য ধর্মী একটি কাহিনী। সবাইকে পড়ার উপদেশ রইলো
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
মজা পাইলাম না আসলেই
Was this review helpful to you?
or
Just Awesome....
Was this review helpful to you?
or
Khub valu lagse .maje maje hassi khub
Was this review helpful to you?
or
Great Original Thriller!
Was this review helpful to you?
or
একজন মানুষ যে কিনা অন্যদের কে আইনগত ভাবে শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করে যদি নিজেই খুনের আসামি হিসেবে পুলিশের হাতে ধরা পরে তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়? বই : জাল (বাতিঘর প্রকাশনী) লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরণ : থ্রিলার মূল্য : ২৮০ টাকা (রেটিং জানতে পুরো রিভিউটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন) জাল বইটির প্রধান চরিত্র সুপ্রিমকোর্ট এর জাঁদরেল ব্যারিস্টার রুহিন মালিক যিনি পুলিশের কাছে হাতেনাতে গ্রেফতার হয়েছেন তারই পুরনো বন্ধু রফিকের খুনের অভিযোগে | কিন্তু এই সেলিব্রেটি ব্যারিস্টারও আর দশটা খুনের আসামীর মত দাবি করলেন খুনটি তিনি করেননি | তার দাবি খুনটি করেছে তারই এক পূর্রপরিচিত মানসিক বিকারগ্রস্ত শত্রু মাহবুব| কিন্তু পুলিশের ইনভেস্টিগেশন এ জানা যায় যে সময় রফিকের খুন হয় তখন মাহবুব সাহেবের এপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন হচ্ছিলো হাসপাতালে | তাহলে খুনটা কে করলো আর কিভাবেই বা করলো? নিজের কেসটা নিজেই লড়বেন ঠিক করা রুহিন মালিক এক পর্যায়ে শরণাপন্ন হউ ডিবির সাবেক ইনভেস্টিগেটর কে এস খানের সাথে | অনেক ভেবে চিন্তে কে এস খান এক সময় রাজি হন রুহিন মালিকের কন্সালটেন্ট হিসেবে তাকে সাহায্য করতে| কিন্তু শর্ত একটাই..... যদি তিনি ইনভেস্টিগেশন এর মাধ্যমে জানতে পারেন যে রুহিনই খুনি তবে সাথে সাথে তাকে আইনের হাতে তুলে দিবেন| ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী কে এস খান অকালে রিটায়ার্ড এর পর ডিবির নতুন রিক্রুটদের ক্রিমিনোলজি এবং অ্যাডভান্স ইনভেস্টিগেশন প্রসিউডিং এর উপর প্রশিক্ষণ দেন | তারই এক প্রিয় ছাত্র আমিনুল এর কাছে আসে রুহিন মালিকের কেসটি | আমিনুলের বিচক্ষণতা এবং কে এস খানের অভিজ্ঞতার কারণে রুহিন মালিক এর কেসটা এগিয়ে যেতে থাকলেও তারা বার বার একই জায়গায় এসে আটকে পরে| খুনটা যদি সত্যিই মাহবুব সাহেব করে থাকে তাহলে কিভাবে করেছে? মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর চিরায়ত 'হু ডান ইট' ঘরানার বাইরের এই মৌলিক থ্রিলার উপন্যাসটি একটি রহস্য তৈরি করেছে গল্পের শেষ পর্যন্ত | আমার নিজস্ব মতামত অনুযায়ী লেখকের অন্যান্য লেখার তুলনায় এখানে বেশ ভিন্নতা রয়েছে| আমি তার অন্যান্য বইগুলো পড়ে যে শিহরণ বোধ করি তা এখানে কিঞ্চিত পরিমাণে হলেও কম ছিল| গল্পের ভেতর আরো কিছু প্লট টুইস্ট আশা করেছিলাম শেষ পর্যন্ত যা পাইনি | কিন্তু তাই বলে যে বইটি পড়ে ভালো লাগেনি তা কিন্তু নয়| মাঝে মাঝে আমরা ভাবলা গুলো কে এতই কঠিন করে ফেলি যে ছোট ছোট সাধারণ জিনিস আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় | এমনই এক সাধারণ বিষয়কে অসাধারণভাবে বের করে কে এস খান কেসটি সলভ করেন| খুনটা আসলে কে করল? রুহিন মালিক নাকি মাহবুব? মাহবুব করে থাকলে কিভাবে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে থাকা অবস্থায় খুন করল? নাকি সবকিছুই রুহিন মালিকের বানোয়াট গল্প খুনের শাস্তি থেকে রেহাই পাবার জন্য? জানতে হলে পুরো বইটি পড়ার অনুরোধ থাকলো | রেটিং: ৭/১০ . . . . . Follow @___kabir.bhai___ for more such content . . . . #kabirbhai #booklover #bookreview #thriller #bookworm #bookish #books #reader #readingchallenge #bookstagramming #readingdate #bookstagrammer #artistlife #followforfollow
Was this review helpful to you?
or
পুরাই ফালতু । অযথা সময় নষ্ট
Was this review helpful to you?
or
গল্পের কথা শুরুর আগে একজন মানুষের সম্পর্কে জানা জরুরি । খুবই সাদাসিধে একজন মানুষ । নাম তার খোদাদাদ শাহবাজ খান । কিন্তু সাবধান এই নামে তাকে ডাকবেন না যেন! নিজের এই নামটা বড্ড অপছন্দ তার । তাই সংক্ষেপে কেএসকে বলে ডাকতে হবে তাকে । সবসময় চলভাষায় কথা বলা এই মানুষটা বর্তমানে নবীন পুলিশ ইনভেস্টিগরদের ক্রিমিনোলজি পড়ান । একসময় নিজে ছিলেন ডিবির জাঁদরেল অফিসার । কিন্তু শারীরিক অসুস্থতায় নিজেই ছেড়েছেন ঐ পথ । ক্যারিয়ারে এখন অবধি কোনো কেস না হারা এই মানুষটার কাছে হঠাৎই হাজির হয় এক প্লেবয় ব্যরিস্টার । মদ আর নারী - যার নিত্যসঙ্গী । তারপর কী হল? গল্পবাঁক --------- রুহিন মালিক, পেশায় ব্যারিস্টার। বেশ ভালই পসার তার। দীর্ঘ ১০ বছর কাটিয়ে এসেছে লন্ডনে। যার ফলে জিমে যাওয়া, নিত্যনতুন বান্ধবী আর দামী হুইস্কি পরিণত হয়েছে তার আসক্তিতে। এই প্লেবয় ব্যারিস্টার ফেঁসে গেল এক ঝামেলায়। একদম মার্ডার কেসের স্পট থেকে গ্রেফতার করা হল তাকে । তবু জামিন নিয়ে কোনোমতে ছুটে যান দেশের সবচে' মেধাবী মানুষ কেএসকের কাছে । জানান অদ্ভুত এক কথা । বলেন,' এই খুনটা কে করেছে সেটা তিনি জানেন । নামও বলেন তিনি ।' কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় খুনের সময়ে ঐ লোকটা অপারেশন টেবিলে ছিল । তাহলে একটা মানুষ একইসাথে অপারেশন থিয়েটারে থেকে খুন কীভাবে করতে পারে? এটা জানতে হলে পড়ে ফেলুন বইটা । বইয়ের ভালো মন্দ ---------------- ● ভালো দিক ভালো লাগার কথা বলতে গেলে কেএসকে এর চরিত্রায়নের কথা প্রথমেই বলতে হয় । সহজ সরল একজন মানুষ কিন্তু তার চিন্তার জগৎটা খুবই আলাদা । নিজের মত করে সাজিয়ে নিয়েছেন সেটা । এছাড়া অন্যান্য ক্যারেক্টার বিল্ড আপও বেশ সুন্দর হয়েছে । ভাষা সাবলীল । প্রচ্ছদ এবং ফন্ট স্পষ্ট । ● মন্দ দিক ফিনিশিং টা এক্সপেক্টেশন লেভেল ছুঁতে পারেনি আমার । আরো ভালো একটা চমক রাখার দরকার ছিল শেষে । এছাড়া বইয়ের বাইন্ডিং অত্যন্ত খারাপ । প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা খুলে আসার মত অবস্থা । যদিও বাতিঘরের বাইন্ডিং সচরাচর ভালো হয় । হয়তো আমার কপিটার ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে । আমার কথা ------------ 'জাল' বইটা খুনির ওপর ফোকাস না করে 'কীভাবে খুন হয়েছে' সেই বেসিসে লেখা । অবশ্যই ইন্টারেস্টিং টপিক । তাই এক বসায় শেষ করতে পেরেছি বইটা । মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন বাংলায় মৌলিক থ্রিলারের কর্ণধার । তার হাতে জন্ম নিয়েছে কেএসকে সহ অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র । পরেরবার বাংলা সাহিত্যে থ্রিলার জগতে তার অন্যতম সৃষ্টি 'মুশকান জুবেরি' ক্যারেক্টারটা নিয়ে লিখবো । এক নজরে, বই : জাল লেখক: মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি বইমেলা,২০১৩ প্রচ্ছদ: ডিলান মুদ্রিত মূল্য: ২২০ টাকা আমার রেটিং: ৬.৫/১০
Was this review helpful to you?
or
The best book...goyenda kahini felodar por nazim uddin I amar mote best
Was this review helpful to you?
or
নামকরা এক প্লেবয় ব্যারিস্টার রুহিন মালিক একটি খুনের ঘটনায় ফেঁসে যান। খুন হয়েছে তারই এক ঘনিষ্ট বন্ধু রফিক। নিহত শরীরে যে গুলিটি পাওয়া যায় তাও এই ব্যারিস্টার এর গান থেকে। কিন্তু রুহিন মালিকের দাবি খুনটি সে করেনি করেছে তার ও তার বন্ধু রফিকের এক পুরোনো শত্রু। রুহিন যাকে খুনি বলে সাসপেক্ট করছে ওইদিন সেই ব্যক্তির একটা অপারেশন হয়েছিল। অপারেশনটা ঠিক সে সময় হয়েছিল সে সময় খুনটি সংগঠিত হয়েছিল। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সবার সন্দেহ রুহিন মালিকের উপরই যায়। এই কেস থেকে বাঁচতে ও রহস্যের কিনারা করতে রুহিন মালিক এক কনসালটেন্ট হিসেবে সাবেক গোয়েন্দা কেএসকে নিয়োগ করেন। যার রয়েছে শতভাগ কেস সলভের সুনাম। তারা দুইজন মিলে চেষ্টা করে খুনটির রহস্য উন্মোচন করতে। নাজিম উদ্দিন এর অন্যান্য উপন্যাসের মত এটার প্লট চমৎকার হলেও শেষের দিকে এসে গল্প ঠিক মত জমাতে পারেননি বলে আমার মনে হয়। তারপরেও খুব একটা খারাপ নয় বেশ উপভোগ্য।
Was this review helpful to you?
or
গল্পের শুরু হয় দুর্দান্ত এক মার্ডার মিস্ট্রি নিয়ে, একজন মানসিক রোগী, আরেকজন মানুষের সাহায্য নিয়ে, কিভাবে একটা খুনের মাস্টারপ্ল্যান বানান এবং আপাতদৃষ্টিতে সকল লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে, সন্দেহের উপরে থাকেন! কিন্তু কিছু সূক্ষ্ম ভুল, আর কে এস খানের চুলছেড়া বিশ্লেষণ, অভিজ্ঞতার কাছে খুনির সকল চেষ্টা ভেস্তে যায়... সবমিলিয়ে দারুণ থ্রিলিং একটা উপন্যাস। তবে খুনের রহস্যের চেয়েও আমার কাছে মোবাইল চুরির রহস্য টা বেশি রোমাঞ্চকর লেগেছে, খুনের রহস্য উন্মোচনে যতটা না শান্তি পেয়েছি তারচেয়ে অনেক বেশি শান্তি পেয়েছি মোবাইল ফোন চোরের রহস্য উন্মোচনের ব্যাপারটায়৷
Was this review helpful to you?
or
বই বিবরণী : নাম:জাল ধরণ :থ্রিলার লিখা:মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রকাশনী:বাতিঘর প্রচ্ছদ :ডিলান মূল্য :২৫০টাকা মুল গল্প কাহিনী : হাসপাতালের করিডোরটি খুব দীর্ঘ নয়।গুলশান এভিনুর ছয়তলার ভবনে এই প্রাইভেট হাসপাতালটি অবস্থিত। আজ ঠিক সন্ধ্যে সাতটায় মি. মাহবুবের অপারেশন রয়েছে।এপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন। হুট করেই অসুস্থ হয়ে যান তিনি।এই অপারেশন টি করবে তার ভাইয়ের বন্ধু তরুণ সার্জন মামুন। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের অপেক্ষা করার স্বভাব একেবারেই নেই।আর সেই মানুষ যদি হয় নামী দামী কেউ তবে তো আর কথায় নেই।ঠিক তেমন ই একজন ব্যক্তি হলো রুহিন মালিক। যাকে সবাই জাঁদরেল ব্যারিস্টার বলেই চিনে।আজ সেই ই অপেক্ষা করছে ক্যাফে গা-গা তে তার এক ক্লায়েন্ট এর জন্য।কিছু সময় পর পর ই তার হাতে থাকা রোলেক্স ঘড়িতে সময় দেখে যাচ্ছে।এমন সময় ই তার ক্লায়েন্ট সালেহীন সাহেব কল দিলেন।ভীত কন্ঠে রুহিন মালিককে অনুরোধ করলেন ক্যাফে গা-গা র পিছনে নর্দমার দিকের রাস্তায় যেতে। ক্যাফে তে তাকে কেউ লক্ষ করছে কিনা এই নিয়েও ভীত ছিলেন সালেহীন সাহেব।তাই রুহিন মালিককে বার বার সাবধান করছিলেন।ব্যারিস্টার কিছুটা বিরক্ত হলেও তার ক্লায়েন্ট এর ভয়ার্ত কন্ঠ উপেক্ষা করতে পারলেন না সাবধানে চলে গেলেন নর্দমার রাস্তায়। অন্ধকার রাস্তায় পৌঁছে ই সালেহীন সাহেবকে কল দিলেন, রিং বাজার আগেই তার মাথায় আঘাত পেলেন।কেউ যেনো তার হাত পা অসাড় করে দিয়েছে দেয়ালের সাথে ঠেসে রেখে।কিছুতেই কিছু করতে পারছিলেন না। তার শরীরে কেউ পাগলের মত হাত দিয়ে কিছু একটা খুঁজছে। হ্যা তার লাইসেন্স করা রাইফেল টা ই খুঁজছে সে।কিছুতেই বুঝতে পারছেন না রুহিন মালিক লোকটা কি চায়?? আর কে ই বা এই লোক???এসব ভাবার আগেই মাথার পিছনে বন্দুকের নলের দুইটা বাড়ি খেয়ে মাটিতে পরে গেলেন। পরে যাওয়ার পূর্ব সময়ে দুইটা গুলির আওয়াজ এ কেপে উঠলো সন্ধ্যের এই নির্জন গলিটা। মাটিতে লুটিয়ে পড়লো রুহিন মালিক, এক নজরের জন্য লোকটাকে দেখে অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন ওহ আপনি। ক্যাফে গা-গার পাশেই পুলিশের টহল চলছে।শহরে একটার পর একটা খুন হয়েই চলছে তাই নির্জন এলাকা গুলোতে বেছে বেছেই পুলিশ হানা দিচ্ছে।গুলির আওয়াজ কে লক্ষ করে এস আই শরীফ সহ আরো কিছু কন্সটেবল সেখানেই পৌঁছে গেলেন।চারপাশটা ভালো করে সার্চ করতেই একটা লাশ পেয়ে গেলেন।লাশটার দিকে ভালো করে নজরদারী করছিলেন এস আই শরীফ। হঠাৎ ই ঝোপের আড়ালে কি যেনো একটা নড়ে উঠলো।সেদিকটায় টর্চের আলো ফেলতেই বেড়িয়ে এলো পাগলমত এক লোক।যে নিজেকে রুহিন মালিক বলে পরিচয় দিলেন।তার কথা শুনে এস আই সহ পুলিশ কন্সটেবল হা হয়ে চেয়ে রইলেন।শহরের জাঁদরেল ব্যারিস্টার নিজেই খুনি?? অথচ রুহিন মালিক সমানে বলে যাচ্ছেন লাশের খুনি মি. মাহবুব।কিন্তু লাশের কাছে তাকে পাওয়া সহ সকল প্রমাণ বলছে ব্যারিস্টার রুহিন মালিক ই খুনি। যদি রুহিন মালিক খুনি ই হয়ে থাকে তবে বারবার মি.মাহবুবের নাম কেনো নিচ্ছেন??তাছাড়া কে এই মি.মাহবুব? আচ্ছা খুনটা কে হলো??আর কে ই বা করলো এই খুনটা??তাছাড়া সালেহীন সাহেবটা ই বা কে??রুহিন মালিক নিজেকে বাঁচাতে পারবেন কি এই জাল থেকে?? কত্ত প্রশ্ন! উত্তর গুলো কি জানতে ইচ্ছে হচ্ছে না??জানতে হলে কি করতে হবে??হ্যা জানতে হলে বইটা পড়তে হবে।তাহলে আর দেরী কেনো আজ ই কিনে ফেলুন আর জেনে নিন উত্তর গুলো। পাঠক্রিয়া: এটাই আমার পড়া প্রথম থ্রিলার গল্প।অনেকটাই ডিটেক্টিভ টাইপের।একেবারে প্রথম পাতাতে যা আছে তার সবটা বুঝেছি শেষ পাতার কয়েক পাতা আগে।এর আগে ভুলেও মনে হয়নি খুনি যে এই লোক হতে পারে।ডিক্টেকটিভ সাহেবের চরিত্র টা পড়ে হূমায়ন আহমেদের মিসির আলী চরিত্রের কথা শুধু মনে হয়েছে।সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে।আর লেখক সাহেবের তো কোনো কথা ই হয়না।সাড়া জাগানো উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড,লস্ট সিম্বল, গডফাদার, বর্ন আইডেন্টিটি, রেড ড্রাগন, ওডেসা ফাইল,দ্য এইট ইত্যাদি সহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন তিনি।
Was this review helpful to you?
or
এই লেখকের কয়েকটি বই পড়লাম, ভালই লেখেন। এই বইটাও ভাল লাগছে।
Was this review helpful to you?
or
অস্থির থ্রিলিং! পড়া যখন শুরু করেছি একটি রোমাঞ্ছকর অবস্থায় ডুবে গেছিলাম। আশা করি আপনাদের ও যদি থ্রিলিং পড়ার আগ্রহ থাকে থলে অবশ্যই এই বইটি পরবেন দেরি না করে আজই কিনে ফেলুন। ধন্যবাদ নাজিম স্যার।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই #বই_রিভিউ_১৫ #জাল #লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন #বইয়ের_ধরণ: থ্রিলার, ডিটেক্টিভ #প্রকাশনী: বাতিঘর #পৃষ্ঠা: ২৩৮ #মুদ্রিত_মূল্য: ২৫০ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৭/১০ . . হঠাত করেই খুন হয়ে যায় বিশিষ্ট ব্যারিস্টার রুহিন মালিকের বন্ধু রফিক। খুনটা একটু অস্বাভাবিক ভাবেই ঘটে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহিন নিজে! এমনকি যে পিস্তল থেকে গুলি করা হয় সেটাও রুহিনেরই পিস্তল। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও রুহিন মালিক দাবী করে খুনটা সে করেনি। তার এক পুরোনো শত্রু যে কিনা আবার মানষিক রোগী সেই খুনটা করেছে। কিন্তু খুনীর আছে শক্ত অ্যালিবাই। যেদিন খুন হয় সেদিন ওই খুনী ছিল অপারেশন টেবিলে...এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হয়েছিল তার... এমনকি অপারেশন এর সময়েই সেই খুনের ঘটনাটি ঘটে! স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের তীর ঘুরে যায় ব্যারিস্টারের দিকেই। কিন্তু ব্যারিস্টার একদম নিশ্চিত খুনটা করেছে তারই সেই পুরোনো শত্রু মানষিক ভারসাম্যহীন লোকটি। এদিকে ব্যারিস্টার রুহিন তার কনসালটেন্ট হিসেবে যোগাযোগ করে এক সময়ের নামজাদা ইনভেস্টিগেটর কেএসকে খান কে। যার জীবনে এমন কোনো কেস নেই যেটাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তবুও অদ্ভুত এই কেসটার ঘটনা প্রতি পদে পদে এমনভাবে মোড় নেয় যেন মনে হয় খুনটি আসলেই করেছেন ব্যারিস্টার রুহিন! আসলে খুনি কে? . . নাজিম উদ্দিনের অন্যান্য থ্রিলার গুলোর মত এই গল্পের প্লট চমৎকার হলেও শেষের দিকে খুব একটা জমিয়ে তুলতে পারেননি লেখক। কাহিনী কেমন যেন খুব সরল মনে হয়েছে। খুব একটা টুইস্ট ছিলনা। একটা মাডার মিস্ট্রি সলভ ই ছিল বইটির মূল প্রতিপাদ্য। সেক্ষেত্রে এটাকে একটু ভিন্নধারার সফট থ্রিলারের কাতারেই ফেলা যেতে পারে। কিংবা ডিটেক্টিভ বইয়েত কাতারেও ফেলা যেতে পারে। তবুও যেহেতু নাজিম উদ্দিনের থ্রিলার, পাঠক হতাশ হবেনা আশা করি। বইয়ে বানান ভুল ছিলনা বললেই চলে। এছাড়া প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, প্রিন্ট সব চমৎকার ছিল। . #হ্যাপী_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
হাসপাতালের করিডোর ধরে হেঁটে চলেছে দু জোড়া পা। তরুন সার্জন মামুন হাতঘড়িতে সময়টা দেখে নিলেন, তারপর ঢুকে পড়লেন রোগীর কেবিনে। তাকে অনুসরণ করলো নার্স মেয়েটি। একটু পরেই রোগীর অপারেশন, প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন নার্সকে ডক্টর মামুন। বনানীর এক অভিজাত ক্যাফেতে প্রায় মিনিট বিশেক হলো বসে আছে রুহিন মালিক। তার মতো বিখ্যাত ব্যারিস্টারের পক্ষে ক্লায়েন্টের জন্য এভাবে অপেক্ষা করাটা একেবারেই সাজে না। কিন্তু ভদ্রলোক ফোনে এমন করে অনুরোধ করলেন, গোপনে দেখা করতে চান। বোঝাই যায় জটিল কেসে ফেঁসে গেছেন। এধরণের মক্কেলরা বেশ সাঁশালোও হয়, রাজি হয়ে যাওয়ার সেটাও একটা কারণ। ফোনটা বেজে উঠলো পকেটে। ক্লায়েন্ট এর কাঁপা কন্ঠস্বর অনুরোধ করলো, ক্যাফের পেছনের গলিতে আসতে। ক্যাফেতে নাকি পুলিশের লোক আছে! কিছুটা কৌতুহলে, কিছুটা লোকটার প্রবল আকুতিতে, বিরক্তি চেপে গলিতে এলো রুহিন মালিক। জায়গাটা পরিত্যক্ত, ময়লা আবর্জনা আর বন্ধ হয়ে যাওয়া একটা পার্কের নিভু নিভু সোডিয়াম আলো পরিবেশ ভুতুড়ে করে তুলেছে। ব্যারিস্টার আবছা অন্ধকারে এগিয়ে যাচ্ছিলো পার্কের গেটের দিকে, পেছন থেকে কে যেন কলার চেপে ধরলো। 'একদম নড়বি না!' বললো ফ্যাসফ্যাসে উন্মাদের মতো কন্ঠস্বর। ঘাড়ের পেছনে পিস্তলের নলের ছোঁয়া পেল রুহিন মালিক, কন্ঠস্বর বলে উঠলো 'তোকে নিয়ে একটা খেলা খেলবো আজ!' মাথার পেছনে প্রচন্ড দুটো আঘাত করা হলো, জ্ঞান হারিয়ে টলে পড়ার আগ মূহুর্তে ব্যারিস্টার এক ঝলক দেখতে পেল কন্ঠস্বরের মালিককে। প্রবল বিষ্ময়ে কেবল বলতে পারলো 'আপনি..!' পরপর তিনটে গুলির আওয়াজে প্রকম্পিত হলো বদ্ধ গলি। খুনের দায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাকে ধরলো, সে দাবি করলো খুনটা করেছে এক মানসিক রোগী৷ কিন্তু সেই অভিযুক্ত রোগীর রয়েছে শক্ত অ্যালিবাই। অদ্ভুত হত্যাকান্ডের রহস্যভেদ করার জন্য মাঠে নামলেন ডিবির পাক্তন ইনভেস্টিগেটর কেএস খান। যাঁর ঝুলিতে এখনো একটিও অমীমাংসিত কেস নেই। তিনি কি পারবেন এই রহস্যের কিনারা করতে? খোদাদাদ শাহবাজ খান ওরফে কেএস খানকে পেয়েছিলাম লেখকের রবীন্দ্রনাথ সিরিজে। সেখানে তার চরিত্রটি ক্ষুদ্র পরিসরে পরামর্শদাতা বড়ভাইয়ের। 'জাল' উপন্যাসে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ছিলেন কেএস খানই। চল্লিশ পেরিয়েছেন, প্রায় বারো মাসই অসুস্থ থাকেন। স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটেছে, শারীরিক কারণে ডিবির চাকরিটাও ছেড়েছেন, তবে সত্যান্বেষণ তাকে ছাড়েনি। ছোটখাটো প্রতিটি বিষয়ের ব্যাখা করেন কেএসকে যুক্তির সাহায্যে। চলিত ভাষায় কথা বলা উদাসীন মানুষটার দিন কাটে বই পড়ে, পাশাপাশি ডিবির নতুন রিক্রুটদের ক্লাস নেন। মাঝেমধ্যে ছাত্ররা আসে কেসের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে। কেএসকের চরিত্রটির মাঝে অনেকটাই মিসির আলির ধাঁচ পাওয়া যায়। রুহিন মালিকের চরিত্রটি ছিল অভিজাত সমাজের নীতিবিবর্জিত মানুষের। 'প্লেবয় ব্যারিস্টার' যার তকমা, সেই সুদর্শন ব্যক্তিটি অল্পবয়সেই সাফল্যের মুখ দেখেছে। বয়স তার সাঁইত্রিশ, তবে জিম করা সুগঠিত দেহের মানুষটার প্রতি মেয়েরা সহজেই আকৃষ্ট হয়। রুহিন মালিকও তার সদ্ব্যবহার করতে ছাড়ে না, বয়স্কা বিবাহিতা কি তরুণী ছাত্রী কোনোটাতেই অরুচি নেই। নিজের সাফল্য আর চেহারা নিয়ে বেশ আত্মতুষ্টিতে ভুগলেও, কেএসকের জীবনদর্শন একসময় কিছুটা দোলা যায় আপন নীতিতে চলা ব্যারিস্টারকে। লেখকের অন্যান্য উপন্যাসের মতো এখানেও ছিল মদ্যপানের ছড়াছড়ি। সেটা বিদেশী থ্রিলারের অনুকরণ নাকি ঢাকার অভিজাত শ্রেণী দুইবেলা বিয়ার - হুইস্কি পানে অভ্যস্ত, আমার জানা নেই। স্বস্তির বিষয় এই যে, এ গল্পে অপ্রাসঙ্গিক গালিগালাজ অনেকটা কম ছিল। 'জাল' উপন্যাসে লেখক রহস্যটাকে জমিয়ে তুলতে চেয়েছেন একটু ভিন্নভাবে৷ সন্দেহভাজন চরিত্র ও খুনীকে শুরু থেকেই সনাক্ত করে, খুনটা কিভাবে হয়েছে সেই দিক থেকে পাঠককে ভাবিয়েছেন। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রথমেই পাঠকের সামনে এনে দেওয়াতে রহস্যটা জমাতে লেখক ব্যর্থ হয়েছেন অনেকাংশেই। খুনীর কর্মকান্ড অতিমাত্রায় অবশ্যম্ভাবী, যে চমকগুলো আনার চেষ্টা করেছেন সেগুলোও নিয়মিত রহস্য গল্পের পাঠকদের কাছে পানসে লাগবে। কেএসখানের চরিত্রটি সাধারণভাবে ভালো লাগলেও, তাঁর বুদ্ধির ঝলকানি গল্পে সেভাবে ফুটে ওঠেনি। মোবাইল চুরির যে পার্শ্ব-রহস্যের অবতারণা লেখক করেছেন, তা-ও তেমন জোরদার ছিল না। খান কেন যে সেটার সমাধান করতে পারছিলেন না সেটাই আশ্চর্য। লেখক উপন্যাস সাজাতে চেয়েছেন 'হু-ডান-ইট' ঘরানার বাইরে, তাই পাঠককে জানিয়ে দিয়েছেন কে খুনী। কিন্তু গল্পে কেএসকের মতো তুখোড় গোয়েন্দা যদি অন্যসব সন্দেহভাজন এবং সম্ভাবনাকে বাদ দিয়ে একগুঁয়ে ভাবে চিন্তা করেন, সেটা তাঁর বুদ্ধিমত্তা বলা যায় না। বাতিঘর প্রকাশনীর বইয়ের মুদ্রণপ্রমাদের যে কুখ্যাতি, তার থেকে 'জাল' ছিল মুক্ত। বাঁধাই ও পৃষ্ঠার মান সন্তোষজনক। ছোটখাটো কিছু খটকা বাদে, গল্পের প্লট সাজিয়ে ছিলেন লেখক চমৎকার ভাবে। শুরুটা দারুন রোমাঞ্চকর ছিল। শেষ পর্যন্ত রহস্যটাকে সেভাবে জমাতে পারেননি, তবে এই প্লটে আরো ভালো কিছু পাঠককে উপহার দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বইঃ জাল লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনায়ঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকালঃ ২০১৩ পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৩৯ মুদ্রিত মূল্যঃ ২২০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
না, এটি কোন মাছ ধরার জাল নয়। এ এক অদৃশ্য জাল। রহস্যের জাল - যা ছোঁয়া যায় না, দেখা যায় না। কিন্তু একবার যদি তাতে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যান তবে বের হবার পথ খুঁজতে গলদঘর্ম হতে হয়। তেমনি এক জালে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে জড়িয়ে গেলেন লন্ডন ফেরত একজন নামকরা ব্যারিস্টার রুহিন মালিক। ফেঁসে গেলেন তারই বন্ধু রফিক সাহেবের খুনের অভিযোগে। সাক্ষ্য প্রমাণ সব জলজ্যান্ত। এমনকি রফিক সাহেবের লাশ যেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেই ঘটনাস্থলেও ব্যারিস্টার রুহিন উপস্থিত ছিলেন। সবকিছুর ভিত্তিতে অভিযুক্ত খুনী হিসেবে একমাত্র রুহিন মালিককেই চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু রুহিন মালিকের মতে খুনটি তিনি করেননি। ব্যারিস্টার খুনী হিসেবে যার কথা উল্লেখ করলো সেই ব্যক্তি তখন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে। তাহলে তিনি কীভাবে খুনী হবেন? আবার ব্যারিস্টার নিজেইবা কেন নিজের বন্ধুকে খুন করবে? এই অদ্ভুত জাল থেকে মুক্তি পেতে রুহিন শরণাপন্ন হলেন ডিবির সাবেক ইনভেস্টিগেটর কেএস খান এর। অদ্ভুত এক লোক এই কেএস খান। অদমনীয় এক প্রতিভা। যার ক্যারিয়ারে কোন অমীমাংসিত কেস নেই। তিনি কীভাবে ছিন্ন করবেন এই রহস্যের জাল? আদৌ কি পারবেন? এ এক অনিশ্চিত দোলাচল। আমরা সচরাচর " হু - ডান - ইট " অর্থাৎ অপরাধী " কে " এই ধরনের রহস্যের জাল দেখে থাকি। কিন্তু মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের এই জাল বইটি " হাউ - ডান - ইট " ধাঁচের। খুন যেই করুক, ব্যারিস্টার বা অপারেশন থিয়েটার এর সেই অসুস্থ ব্যক্তি - " কীভাবে" করলো এটিই এই জালের বুনন রহস্য। কি - কে - কোথায় - কখন - কেন - কীভাবে নীতি মেনে কেএস খান এগিয়ে যায় তার তদন্তে। লেখকের বইয়ের যে দিকটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব পছন্দ তা হলো নামকরণের সার্থকতা। এই বইয়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বইটি পড়া শুরু করার প্রথমদিকে খুব ভালো লেগেছে। কেএস খান চরিত্রটি আমার এতোই পছন্দ হয়েছিলো যে বারবার লেখক এর বাস্টার্ড সিরিজ এর ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ এর সাথে আনমনে তুলনা করছিলাম। কিন্তু কাহিনী কিছুটা এগুনোর পর আমি হতাশ হয়েছি। আর টুইস্ট এতোটাই হালকা মনে হয়েছে যে কী আর বলবো! কেএস খান চরিত্রটিকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তার জন্য টুইস্ট আরো জোড়ালো হতে পারতো। আর বইয়ের কলেবর ছোট হলেই পড়ে শান্তি পেতাম। অপ্রয়োজনে পৃষ্ঠা বাড়ানো হয়েছে - ব্যক্তিগত মতামত এটাই। তবে হ্যাঁ, ব্যতিক্রমী একটি বিষয় " হাউ - ডান - ইট " এর জন্য মজা পেয়েছি। আমি জানি অপরাধী কে, কিন্তু কীভাবে অপরাধ করলো তা জানি না । কেএস খানের রহস্য উদঘাটনে প্রথম থেকে পরপর গৃহীত পদক্ষেপ আর সুতো ছাড়ানো খুব ভালো লেগেছে । বিরক্ত লেগেছে ব্যারিস্টার রুহিন তার প্রেমিকার সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বর্ণনা। কাহিনীর খাতিরে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে লেখক এসব দৃশ্য তুলে ধরেছেন কিনা আমার জানা নেই। বানান ভুল খুব একটা চোখে লাগেনি। সর্বোপরি হাতে সময় থাকলে পড়ে দেখতে পারেন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
বই : জাল। লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। মূল্য : ২৪০ টাকা। পৃষ্ঠা : ২৩৮। প্রচ্ছদ : ডিলান। প্রকাশনী : বাতিঘর। #কাহিনী_সংক্ষেপ অপেক্ষা করতে কখনই ভালো লাগে না। কারোই বা ভালো লাগে! প্রতিশ্রুতিশীল নামডাক ওয়ালা একজন ব্যারিস্টার হিসেবে ক্লায়েন্টের জন্য কোনো ক্যাফেতে অপেক্ষা করাটা বড্ড বেমানান! তাও গা-গা'র মত এমন ক্যাফেতে! আশেপাশে বসা থাকা টিনএজাররা মাঝেমাঝেই তার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে। তবে নিজেকে নিয়ে বেশ সচেতন সে। কি এমন বয়স তার! তার হালকাপাতালা সুগঠিত শরীর, কাঁচাপাকা দাড়ি তাকে আরো অভিজাত আর সুদর্শন করে তুলেছে। সে রোলেক্স ঘড়িতে সময় দেখে নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করল। আর তখনি কল এলো ক্লায়েন্টের। সালেহীন আহমেদ তাকে অনেকটা অনুনয়ের সাথে ক্যাফের পেছনের গলিতে যেতে বলেছেন। কেউ যাতে তাকে ফলো না করে সে বিষয়েও বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন। লোকটার কন্ঠে এমন আকুতি ছিল যে ব্যারিস্টার না করতে পারল না। ক্যাফে থেকে বের হয়ে সোজা চলে গেল দুই ব্লক পরের গলিতে। একটু এগিয়ে যেতেই মোবাইল টা বেজে উঠল, ব্যারিস্টার অধৈর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, " আপনি কোথায়?" ওপাশ থেকে উত্তর এলো, " স্যার আমি পার্কের ভেতরে, ভাঙা গেট দেখতে পাচ্ছেন? ওটা দিয়ে ঢুকে পড়ুন" খুব ফিসফিসিয়ে বললো কন্ঠটা। কিন্তু তারপরই ব্যারিস্টার চোখে সরিষা ফুল দেখল যেনো। কেউ একজন পেছন থেকে তার সুটের কলার চেপে ধরে ঠিক কানের নীচে ধরে রেখেছে একটা পিস্তল, আর তাকে ঠেলে নিয়ে দেয়ালের সাথে মুখটা খুব জোরে চেপে ধরল। কোটের পকেট থাকা তার নিজের পিস্তলটা লোকটা কেড়ে নিল। আর সেটা দিয়ে মাথায় পরপর দুবার আঘত করল। তার জ্ঞান ফিরল পুলিশ এর নজরদারিতে। খুনের দায়ে তাকেই আটক করা হয়েছে। কিন্তু ওসি এসে যখন পুরো ঘটনা শুনল, আর সন্দেহভাজন ব্যারিস্টার কে দেখল তখন সকলের চোখ চড়কগাছ! এ যে বিখ্যাত তরুণ ব্যারিস্টার রুহিন মালিক! তিনি বলছেন কেউ একজন ক্লায়েন্ট সেজে তাকে এখানে ডেকে এনে ফাঁসিয়েছে। অবাক হবার পালা তখন আরো বাকি! ডেডবডি দেখে যখন রুহিন মালিক জানায় মৃতব্যক্তি রফিক তার বন্ধু! পুলিশ পুরোপুরিভাবে সন্দেহ করছে তাকে! আর সে বলছে খুন করছে অন্য একজন! রুহিন মালিক কি আসলে নির্দোষ? সে কি পারবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ? নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত তবে সাবেক ইনভেস্টিগেটর কেএস খানের শরাণাপন্ন হয় সে! অদ্ভুত এক লোক, যার ক্যারিয়ারে নেই কোনো অমীমাংসিত কেস ! সে কি পারবে এই রহস্যের জাল ছিন্ন করতে? #অভিমত : বাংলাদেশি লেখকের মৌলিক থ্রিলার এই প্রথম পড়া। অনেক নামডাক শুনেছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমি পুরাই হতাশ। কাহিনী শুরুর পেইজে যে থ্রিল ছিল! পরের কয়েক পেইজ পড়ার পর তা ধীরেধীরে শূন্যের কোটায় এসে পৌঁছে ছিল। যদিও গল্পের প্লট আর কাহিনী বুননে যথেচ্ছ থ্রিল ছিল। কিন্তু লেখক শেষ অবধি পুরোটা ধরে রাখতে পারেনি। যা সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক ছিল। একটা ছোট উদাহরণ দেই, লেখক আমিনুল নামে এক ডিবি অফিসারের চরিত্রকে বারবার উদীয়মান ইনভেস্টিগেটর বলে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু সে ভিক্টীমের গাড়িতে পাওয়া রুমালকে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই সাধারণ একটা রুমাল বলে আখ্যায়িত করে। কিন্তু স্যাটেলাইট বা দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলার বদৌলতে ছোটছোট বাচ্চাকাচ্চারাও জানে কাউকে কিডন্যাপ করতে রুমালে ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়। অথচ সে উদীয়মান একজন ইনভেস্টিগেটর হয়েও এই ব্যাপারটা খেয়াল করল না! খুবই অদ্ভুত! তাই নয় কি? যাক অনেক দোষগুণ বলে ফেললাম। এবার ভালো দিক টা একটু বলি। বইটা শুরু করে প্রথমে ভেবেছিলাম, আরে কোনো অনুবাদ পড়ছি না তো? শুরুটা এমন চমকপ্রদ ছিল যে বইটাকে মৌলিক বলেই মনে হয়নি। প্রেক্ষাপট রচনা আর কাহিনীর বর্ণনা ততটা রোমাঞ্চকর ছিল, যতটা একটা থ্রিলারে থাকা প্রয়োজন । লেখক চাইলে হয়ত দুর্দান্ত কিছু হতে পারত। আশা করবো পরের বইটা দুর্দান্ত রকমের থ্রিল দেবে। বই হোক ভালোবাসার প্রতীক।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ জাল লেখকের নামঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ঘরনারঃ থ্রিলার রেটিং-৪.৫/৫ রিভিউঃ এক প্লেবয় ব্যরিস্টার খুনের অভিযোগে হাতে নাতে গ্রেফতার হলো পুলিশের কাছে। কিন্তু তার দাবি খুনটা সে করেনি। করেছে মানসিক বিকারগ্রস্ত একজন। কিন্তু সব অভিযোগ তাকে ঘিরেই কোন ভাবে নিজেকে দোষী থেকে ছাড়াতে পারে না। আর এরকম অবস্থায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সাবেক ইনভেস্টিগেটর কে.এস খানের দ্বারস্থ হয় সে। কে. এস খান অদ্ভূত এক চরিত্র। যার ক্যারিয়ারে কোন অমীমাংসিত কেস নেই। কিন্তু চরিত্র থেকেও অদ্ভূত এই হত্যাকান্ড। কিন্তু এস কে কি পারবে সেই হত্যারহস্যের কোন কিনারা করতে? প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ২৪০ মূল্যঃ২৪০ প্রকাশ কালঃ২০১৫ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর জন্ম ঢাকায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বমানের অসংখ্য জনপ্রিয় থুলার অনুবাদ করার পর অবশেষে বেশ কয়েকটি মৌলিক রচনা করেছেন। ব্যক্তিগত মতামতঃ নাজিম উদ্দিনের সব গুলো থ্রিলারই মূলত ভিন্নধর্মি। কিন্তু এটা যেন আরেকটু বেশিই অন্যরকম। তবে কি, 'জাল' নামটাতেই কেমন কেমন রহস্য টাইপ গন্ধ। এবং শুরুটাই হয়েছে একটা দ্বন্ধ নিয়ে। অভিযুক্ত খুনি দাবী করছে সে খুন করে নি। আর খুনী যাকে দায়ী করছে তাকে ঠিক সন্দেহের মাঝে আনাই যাচ্ছে না। কোন ক্লু ই কাজে লাগছে না কোন ভাবে। কেন খুন হয়েছে, কে করছে এই সব কথা গুলো এই গল্পের রহস্য নয়। রহস্য হলো কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় খুনটা হলো । খুনের প্রক্রিয়াটা এত নিখুত ভাবে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে কাজটা শেষ করলো কিভাবে। আর তাই প্রথমেই গল্পের শুরুতে কিছুটা পড়েই খুনির বিশদ বিবরণ পেয়ে যাই । কিন্তু মূল আকর্ষণ টা থেকে যায় কাহিনীটা ঘটার প্রক্রিয়ায়। আর কিভাবে কাহিনীটা এভাবে সামনে এসেছে তা বের করতে হয়েছে অভিযুক্ত খুনি এবং ইনভেস্টিগেটর অফিসার কে.এস এই দুজনের মাধ্যমে। আর তাতে পাঠক চমকে যাবে , কি করে ঘটনা টা ঘটেছে। কিভাবে একজন মানসিক রোগী,অন্যের সাহায্যে কিভাবে একটা খুনের মাস্টারপ্ল্যান করে ফেলেন এবং কোন রূপ সন্দেহের ছাপ ছাড়াই কাজটাতে তিনি উৎরে যান। শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল। লেখক তার লেখায় বিষয় গুলো বেশ সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। এবং চরিত্র গুলোও চমৎকার ভাবে নিজের রূপ পেয়েছে সব কিছু মিলিয়ে গল্পের কাহিনী থ্রিলার হিসেবে বেশ ভালো লেগেছে। https://www.rokomari.com/book/63464/জাল?ref=srbr_pg0_p0
Was this review helpful to you?
or
বই: জাল লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশক :বাতিঘর প্রকাশনী ধরণ: থ্রিলার প্রকাশকাল : ২০১৩ প্রচ্ছদ : ডিলান পৃষ্ঠা : ২৩৯ মূল্য :১৬৮৳(রকমারি) কাহিনী : একটি খুন। খুনের দায়ে অভিযুক্ত হলেন তরুণ সেলিব্রেটি ব্যারিস্টার রুহিন মালিক। আকণ্ঠ এলকোহল এ ডুবে থাকা রুহিন, একদিন তার এক ক্লায়েন্টের জন্য নিজের সুসজ্জিত চেম্বার ছেড়ে গুলশানের অভিজাত ক্যাফে গা-গাতে বসে আছেন। বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেল,লোকটার দেখা নেই। ফোন করে ক্যাফের পেছনে দেখা করার অনুরোধ জানাল লোকটা। দ্বিতীয় বারের মত লোকটার অনুরোধ ফেলতে না পেরে রুহিন মালিক গেলেন ক্যাফের পেছনের এক পার্কে, সচারাচর মানুষ এর পা পড়ে না এখানে। পার্কের গেট দিয়ে ঢুকতেই আক্রান্ত হলেন তিনি। জ্ঞান হারাবার আগেই দেখতে পেলেন হামলাকারীকে। পরপর কয়েকটি গুলির আওয়াজ। একটা গুলিবিদ্ধ লাশ আর একজন অজ্ঞান ব্যক্তি পড়ে আছেন পরিত্যক্ত পার্কটাতে। পুলিশি তদন্তে জানা যায় অজ্ঞান ব্যক্তি ব্যারিস্টার রুহিন মালিকের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে তারই বাল্যবন্ধু ব্যবসায়ী রফিক হাওলাদারকে খুন করা হয়েছে। রুহিন মালিক অভিযোগ করেন মাহবুব নামে এক ব্যক্তি তাকে ফাঁসিয়েছ, জ্ঞান হারাবার আগে তাকে দেখেছিলেন তিনি। কেন ফাঁসালো তাকে??। কিন্তু মাহমুদ ঘটনার দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আর খুনের সময়ে তার অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন হয়েছিল। অত:পর গ্রেফতার হন তরুণ ব্যারিস্টার। জামিনে মুক্তি পাবার পর রুহিন মালিক সোজা গিয়ে হাজির হন স্বেচ্ছাকৃত অবসরপ্রাপ্ত ডিবি ইনভেস্টিগেটর কেএসকের কাছে। সাহায্য চান। অসুস্থ থাকা এই ইনভেস্টিগেটর প্রথমে নিমরাজি হলেও পরে রাজী হয়ে যান। যেদিন রুহিন মালিক আসেন ঠিক সেদিন তার মোবাইল বন্ধ ঘর থেকে চুরি হয়ে যায়। কেএসকে এর সাথে আছে আনইন্সটাইন। বিনা পারিশ্রমিক এ স্বেচ্ছাশ্রম এ কাজ করা কে এস কে কি পারবেন আসল রহস্য উদঘাটন করতে? মাহবুব যদি সেদিন অপারেশন টেবিল এ থাকে, তাহলে খুনী কে?? রুহিন কি আসলেও নির্দোষ?? রুহিন কে কে ফাঁসালো, কেন?? অদৃশ্য জাল কে বিছালো??? আমার কথা : ল্যাপটপ নষ্ট। মোবাইল এ টাইপ করে রিভিউ লেখা একটু কষ্ট। আর এখন একটু প্রেশারে আছি, যার জন্য বই পড়া হচ্ছেও না। তাই ইচ্চা থাকলেও বই পড়া-রিভিউ লেখা কঠিন। পাঠ-প্রতিক্রিয়া: বই এ প্রথম চোখে লাগার বিষয় ভিক্টিম এর নাম,রুহিন মালিক।মনে হয়েছে ভারতীয় হিন্দি সিরিয়াল/মুভির কোন চরিত্র। আর এলকোহল কিংবা বিয়ার এইই বিষয় গুলো পাশ্চাত্য আর পাশের দেশ ভারতে যেমন সহজ, বাংলাদেশ এ এত সহজ না করায় ভাল মনে করি। কারন গল্প একদিকে যেমন জীবনের প্রতিচ্ছবি তেমনি গল্প পড়েই আমরা শিক্ষাটা নেই। এছাড়া গল্পের ধরণ সুন্দর। কে এস চরিত্র টা ভাল লেগেছে। আইন্সটাইন চরিত্র টা বেশ ভাল লাগার। কে এস কে সুস্থ হয়ে পরবর্তী আরো গল্পে আসুক, এটাই চাই। রেটিং: ৪/৫ রকমারি: https://www.rokomari.com/book/63464/জাল
Was this review helpful to you?
or
তরুণ সেলিব্রেটি ব্যারিস্টার রুহিন মালিক তার এক ক্লায়েন্টের জন্য ক্যাফে গা-গাতে বসে আছেন। আধা ঘন্টা হতে চলল লোকটার দেখা নেই। একটু পর ফোন করে ক্যাফের পেছনে দেখা করার অনুরোধ জানাল লোকটা। লোকটার অনুরোধ ফেলতে না পেরে রুহিন মালিক গেলেন ক্যাফের পেছনের নির্জন পার্কে। পার্কের ভাঙ্গা গেট দিয়ে ঢুকতেই আক্রান্ত হলেন তরুণ ব্যারিস্টার। জ্ঞান হারাবার আগেই দেখতে পেলেন কে হামলা করেছে। পরপর দুটো গুলির শব্দে লোকজন এসে হাজির হলো। একটা গুলিবিদ্ধ লাশ আর একজন অজ্ঞান ব্যক্তি পরে আছে পরিত্যক্ত পার্কটাতে। পুলিশ আসলে জানা যায় ব্যারিস্টার রুহিন মালিকের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে তারই বাল্যবন্ধু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিক হাওলাদারকে খুন করা হয়েছে। রুহিন মালিক অভিযোগ করেন মাহবুব নামে এক ব্যক্তি তাকে ফাসিয়েছে কারণ তিনি সেই ব্যক্তির স্ত্রীর হত্যাকান্ডের কেসে সহায়তা করেননি বরং অভিযুক্ত রফিককে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু মাহমুদ ঘটনার দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আর খুনের সময়ে তার অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন হয়েছিল। গ্রেফতার হন তরুণ ব্যারিস্টার। জামিনে মুক্তি পাবার পর রুহিন মালিক সোজা গিয়ে হাজির হন অবসরপ্রাপ্ত ডিবির ইনভেস্টিগেটর কেএসকের কাছে। সাহায্য প্রার্থনা করেন একসময়কার তুখোড় ইনভেস্টিগেটর বর্তমানে কনসালটেন্ট কে এস কে -কে তাকে সাহায্য করার জন্য। প্রথমে রাজি না হলেও পরে কেসের অভিনবত্বের জন্য রাজি হন অল্পবয়সে অবসর গ্রহণ করা এই ইনভেস্টিগেটর। কে খুন করেছে বা কেন করেছে সব প্রশ্নের উত্তর আছে। কিন্তু কিভাবে করেছে এই প্রশ্নের উত্তর নেই। ব্যারিস্টার রুহিন মালিককে কেউ নিপুণ হাতে জালে আটকেছে। কে সে? সে যদি মাহবুব হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে করেছে? এর উত্তর কে দেবে? কে এস কে কি পারবে এই রহস্য সমাধান করতে? আমার কথা : জাল উপন্যাস সম্পর্কে কিছু না বলাই মনে হয় ভাল। এজন্য বলছি যে যাই বলি না কেন কম বলা হবে। এত দিন থ্রিলারে দেখেছি একটা ক্রাইম বা মার্ডার হয়েছে। কে করেছে তাই জানা নাই। কিন্তু জাল এ খুন কে করেছে, কেন করেছে সবই জানি। কিন্তু কিভাবে করেছে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এর থেকেও বড় রহস্য মনে হয়েছে বন্ধ ঘর থেকে মোবাইল চুরির বিষয়টা। ঠিকই তো, একটা ঘরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, সেখানে জানালা থেকে দূরে ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে মোবাইল কি করে চুরি করা যাবে? যাবে তা তো নিশ্চিত। কারণ কেএসকের মোবাইল চুরি হয়েছে। কিন্তু কিভাবে? আর আইনস্টাইন নামে ডাকা সাহায্যকারী ছেলেটার হিউমার ভাল লাগার মতই। যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আসি। এই উপন্যাসে ব্যারিস্টার রুহিন মালিক নামটা ছাড়া মোটামুটি সবটাই ভাল লেগেছে। এই রকম রহস্য পরবর্তী উপন্যাসে আসলেও মন্দ হয় না।।। হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ জাল লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরণঃ থ্রিলার প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ২৪০ মূল্যঃ ২৪০ প্রিভিউঃ এক প্লেবয় ব্যরিস্টার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলো। তার দাবি খুনটা করেছে মানসিক বিকারগ্রস্থ একজন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সাবেক ইনভেস্টিগেটর কেএস খানের দ্বারস্থ হলো সে। অদ্ভুত এই ইনভেস্টিগেটর, তার চেয়েও অদ্ভুত হত্যাকান্ডটি। যার জীবনে কোনো অমীমাংসিত কেস নেই সে কি পারবে রহস্যের জাল ছিন্ন করতে? নেমেসিস, কন্ট্রাক্ট, নেক্সাস আর কনফেশন-এর পর মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি চরিত্র আর গল্প নিয়ে এসেছেন জাল-এ। নিজস্ব মতামতঃ এই বইটা দিয়েই মূলত আমি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলারগুলো পড়া শুরু করেছিলাম। বইয়ের কাহিনীটা একটু অন্যরকম, কাহিনীর বিল্ডআপ ভালো, তাই ফার্স্ট ইমপ্রেশন ভালো ছিলো। এ বইয়ের অন্যতম প্রধান চরিত্র কেএস খান, এই চরিত্রটা আমার প্রিয় হয়ে গেছে প্রথম বই পড়েই। কিছুটা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র "মিসির আলি"র সাথে মিল আছে চরিত্রটির। বৃদ্ধ লোক, বাসায় নিজে আর টুকটাক ফাইফরমাশ খাটা ছাড়া আর কেউ নেই। চলভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সে আর নিজের নাম নিয়ে সবসময় বিব্রত থাকা চরিত্রটি ভালো লেগেছে। ক্লাইম্যাক্সটাও দারুণ ছিলো। কিন্তু, টুইস্টটা ভালো লাগেনি। বড্ড প্রেডিক্টেবল টুইস্ট, প্রথম থেকে চোখকান খোলা রেখে বই পড়লে যেকোনো পাঠকই টুইস্টটা সহজেই ধরে ফেলতে পারবে, এখানে একটু ব্যতিক্রম আশা করেছিলাম। যাই হোক, সে আশা পূরণ হয়নি। প্রচ্ছদ, বাঁধাই ঝকঝকে ছিলো, বানান বিভ্রাট কম ছিলো। সবমিলিয়ে, উপভোগ্য বই “জাল।“ সময় থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি। খারাপ লাগবেনা, নিশ্চয়তা দেয়াই যায়। Happy Reading রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/63464/জাল
Was this review helpful to you?
or
তুখোড় ব্যারিস্টার রুহান মালিক দেশের বাহিরে থেকে পড়াশুনা শেষ করে বনানীতে চেম্বার দেন। এক পড়ন্ত বিকেলে তাঁর মক্কেল মামলার ব্যাপারে চেম্বারের বাহিরে দেখা করতে চাইলে উনি রাজি হন, এবং সেটাই তাঁর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। তিনি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি, তাকে আহত করে, তারই রিভেলবার দিয়ে খুনি মাহবুব খুন করে তাঁর আরেক বন্ধু ব্যারিস্টার রফিককে। কিন্তু যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে রুহান সাহেবকে মদ্যপ অবস্থায় এবং তারই পিস্তলের গুলিতে রফিক সাহেব খুন হন বলে স্বভাবতই পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় নাম উঠে যায় রুহান সাহেবের। কিন্তু তিনি দমবার পাত্র নন। জীবনের কোন মামলায় ব্যর্থ না হওয়া অবসরপ্রাপ্ত ডিটেকটিভ কে এস খান এর সাহায্য প্রার্থনা করেন। মামলাটি একটু অন্যরকম হওয়ায় এবং এই মামলায় নিজের আগ্রহ তৈরি হওয়ায়, এই মামলায় কে এস খান নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। এবং কাজ করতে গিয়ে তিনি অদ্ভুত সব তথ্য পেতে থাকেন। নিজের ছাত্র আমিনুলও এই মামলায় কাজ করতে ছিল। দুজনই সমান্তরালে কাজ করতে থাকেন। ক্রসচেক করেন নিজেদের মধ্যে পাওয়া তথ্যগুলো। কিন্তু কোন কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিলো না। এদিকে কে এস খানের বাসায় আশ্রিত আইনস্টাইন আর তিনি, সদ্য হারানো মোবাইল ফোনের চিন্তাতেও বিভোর ছিলেন। কোন ক্লু মিলাতে পারতেছিলেন না। হঠাৎ এক সকালে আইনস্টাইনেরএকটা কাজ, দারুণভাবে নাড়া দেয় তাকে। আস্তে আস্তে খোলাসা হতে থাকে ভিতরের কাহিনী। কেন একজন মানসিক রোগী, আরেকজন মানুষের সাহায্য নিয়ে, কিভাবে একটা খুনের মাস্টারপ্ল্যান বানান এবং আপাতদৃষ্টিতে সকল লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে, সন্দেহের উপরে থাকেন! কিন্তু কিছু সূক্ষ্ম ভুল, আর কে এস খানের চুলছেড়া বিশ্লেষণ, অভিজ্ঞতার কাছে খুনির সকল চেষ্টা ভেস্তে যায়... সবমিলিয়ে দারুণ থ্রিলিং একটা উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
'জাল' মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের আরও একটা মৌলিক থ্রিলার। বাংলা ভাষায় সম্পূর্ণ মৌলিকতা বজায় রেখে, বাংলাদেশেরই প্রেক্ষাপটে সাজানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্যের জাল বুনে থ্রিলার কাহিনী নির্মাণের যে অসামান্য ট্রেন্ড লেখক শুরু করেছিলেন 'নেমেসিস' এর মাধ্যমে, তা অব্যহত রয়েছে 'জাল' বইটিতেও। স্থূল দৃষ্টিতে নেমেসিস ও তার পরের তিনটি বইয়ের সাথে অবশ্য 'জাল' এর কিছুটা পার্থক্যও লক্ষণীয়। কারণ তার আগের থ্রিলারগুলোতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল জেফরি বেগ আর বাস্টার্ড। অর্থাৎ পাঠকেরা যাকে বলতে শুরু করেছিল 'জেফরি-বাস্টার্ড' সিরিজ। সেইসব জেফরি-বাস্টার্ড সিরিজের ভক্তরা এই বই পড়তে গিয়ে একটু নিরাশ হতে পারেন কেননা এই বইতে সেই দুই চরিত্র নেই। তবে সত্যিই যদি পাঠকেরা নাজিম উদ্দিনের ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের আবার খুশিও হওয়া উচিৎ। কেননা 'জাল' এ নাজিম উদ্দিন যথারীতি তার জাদুকরী থ্রিলিং কাহিনীর লেখনি বজায় রেখেছেন এবং তারই সমান্তরালে জন্ম হয়েছে নতুন এক চরিত্রেরও। তার নাম 'কেএসকে'! ব্যক্তিগতভাবে আমার কেএসকে'কে জেফরির তুলনায় একটু বেশি ভাল লেগেছে। তবে এটা কেবলই আমার স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত। হয়ত কেএসকে'র বাচনভঙ্গিতে আঞ্চলিক টান ও তা থেকে উদ্ভূত বৈচিত্র্য ও হাস্যরস আমাকে একটু বেশি আকৃষ্ট করেছে। আর আমার ভালো লাগার বিশ্বাস থেকে আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, অন্যান্য পাঠকেরাও আমার মতই একইভাবে, আন্তরিকতার সাথেই কেএসকে'কে গ্রহণ করবেন। তবে যাইহোক, চরিত্রের প্রশংসা করলেও সামগ্রিকভাবে এই বইটির নেতিবাচক দিক অনেকই রয়েছে। প্রথমত, কাহিনী শেষদিকে একটু দ্রুতগতির হয়ে গেছে। দ্রুতগতি বলতে আমি বুঝাচ্ছি যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন। পড়ে তার মনে হচ্ছিল, লেখক হয়ত অস্থিরতায় ভুগছিলেন বা বইটা তাড়াতাড়ি শেষ করতে চাচ্ছিলেন। এ জন্য শেষ দিকটা একটু খাপছাড়া লেগেছে। কাহিনীর প্রথমাংশের মতই শেষ অব্দি যদি লেখক প্রতিটা ঘটনা ধরে ধরে, খুঁটিনাটিসহ লিখতেন তাহলে হয়ত 'জাল' বইটাকে সম্পূর্ণরূপে 'পারফেক্ট' বলা সম্ভব হত। দ্বিতীয়ত, পড়তে পড়তে কখনো সখনো পাঠক বোর হতে পারেন, একঘেয়ে লাগতে পারে তাদের। কারণ এই বইতে টুইস্ট বা নতুনত্ব অনেক কম। ওয়ান ট্র্যাক রোডের মত কাহিনী একই পথে বয়ে চলছে। মাঝে সাঝে একটু ট্র্যাক চেঞ্জ করা হলে পাঠকও একটু গিয়ার চেঞ্জের সুযোগ পেত। কিন্তু লেখক সেই সুযোগ রাখেননি। যাইহোক, এবার একটু আসি বইয়ের কাহিনীর ব্যাপারে। বৈশ্বিক থ্রিলার কাহিনী সম্পর্কে যাদের ধারণা কম, তারা এই বইতে যথেষ্ট নতুনত্ব খুঁজে পাবেন। কারণ এই বইটার কাহিনীর আঙ্গিক গঠন একটু অন্যরকম। স্বাভাবিকে মত নয়। অর্থাৎ এই কাহিনীতে খুনিকে খুঁজে বের করার কোন ব্যাপার স্যাপার নেই। 'হু কিল্ড' এর বদলে এটি মূলত 'হাউ কিল্ড' ঘরানার থ্রিলার। তার মানে হল এই যে, খুনি যে আসলে কে তা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। খুনি আপনার সামনেই থাকবে। কিন্তু সে যে আসলেই খুনি, তা প্রমাণ কিভাবে করবেন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এর জন্য আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে অপরাধ কিভাবে সংগঠিত হয়েছে, তা। অনেকের কাছে এই ব্যাপারটা হয়ত একটু খটমট লাগছে। তবে ভয় নেই। পড়ে দেখুন, এই ধরণের থ্রিলারও কিন্তু বেশ আকর্ষণিয়। আপনি আরও বেশি করে কাহিনীর সাথে 'এটাচড' হয়ে যেতে পারবেন এই ধরণের থ্রিলারে। আর তবেই না হবে আপনার সময়ের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার! তাই দেরি না করে পড়ে ফেলুন 'জাল' আর জড়িয়ে পড়ুন নতুন ধরণের রহস্যের জালে। দেখা যাক কে আগে জাল ছেড়ে বেরুতে পারে। আপনি নাকি কেএসকে!
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের বই নিয়ে আমার বেশি লেখা নেই । এই অভ্যেসের পেছনে আমার যা দোষ তা আমার পছন্দের বইয়ের সংখ্যার চেয়েও কম । হ্যাঁ, আমি মূলত থ্রিলার পড়তে পছন্দ করি । ঐটাই আমার পছন্দের সাহিত্য শাখা(genre, এটার উচ্চারণ যনরা ), কবিতা বাদ দিয়ে ধরুন । তবে বাতিঘর প্রকাশনী আমার মত ইংরেজি না জানা ছেলেদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করেছে । যে কোন ভালো বইয়েরই আজকাল বাংলা অনুবাদের সংস্করণ পাওয়া যায় । রকমারি ডট কম এ গেলে সার্চ দিলেই হয় । আমাদের স্কুলে থাকতে কত কষ্ট করে ইংরেজি গুলো পড়তে হত । অনুবাদক হিসেবে শুরু করলেও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এখন পুরোদস্তুর লেখক । এ পর্যন্ত ছয়টা থ্রিলার লিখেছেন । 'জাল' তার পাঁচ নম্বর বই । আগের চারটি একই সিরিজের, এটি আলাদা । নতুন কোন সিরিজ শুরু হল কিনা বলতে পারছি না এখনই । তবে শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি এটা বলাই যায় । গল্পটা ঘুরে রুহিন মালিক নামে এক তরুণ, লেখকের ভাষায় "প্লেবয়" ব্যারিস্টারকে কেন্দ্র করে । ভদ্রলোক এক ক্লায়েন্টকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই খুনের দায়ে ফেঁসে যায় । আধা মাতাল অবস্থায় পুলিশের ( উচ্চারণ পোলিস ) কাছে আটকা পড়ে যায় । কিন্তু এতবড় একজনকে ধরতে পুলিশের বাধে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা ঠিকই আছে । কিন্তু সিনে অন্য কারো থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাকেই মূল আসামী ধরে পুলিশ আগানোর কথা চিন্তা করে । এ অবস্থায় ব্যারিস্টার মালিক শরণাপন্ন হন খোদাদাদ শাহবাজ খান বা কে এস খানের । এই ভদ্রলোক একজন অবসরপ্রাপ্ত ডিবি কর্মকর্তা । সারা বছর তার কোন না কোন অসুখ লেগে থাকে, বই থেকে বোঝা যায় তার সাথে তার বউয়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, যদিও এখনো প্রতিদিন কথা হয় তাদের মধ্যে । তার ফাইলে কোন অসমাপ্ত কেইস নেই। এজন্যই মালিক তার কাছে যায় । এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এখন পুলিশে ক্রিমিনলজি পড়ান । তার ছাত্র আমিনুলের কাছেই এই কেইসটা শেষ পর্যন্ত যায় । যা হোক, খান এই কেইস টা নেয় । প্রথম থেকেই মালিক বলতে থাকে খুনটা করেছে মাহবুব নামে তার একটা পুরনো শত্রু, ঠিক তার শত্রু নয় যাকে খুন করেছে, রফিক সাহেব যিনি মালিকের বন্ধু, তার শত্রু । কিন্তু পুলিশের কাছে এইটা বিশ্বাসযোগ্য হয় না কারণ ঐ সময় মাহবুব হাসপাতালে অপারেশনের জন্য ভর্তি ছিল । এই প্রেক্ষাপটে উপন্যাস শুরু হয় । ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব বা উত্তরা ক্লাবের বর্ণনা দেয়া হয়েছে । আমি জানি না এটা সঠিক কিনা, যাওয়া হয় নি ওদিকটায় কখনও । যা হোক থ্রিলার হিসেবে মূল্যায়ন করতে গেলে এটা ভালো নম্বর পেয়েই পাশ করবে, যদিও এ প্লাস পাবে না । খুনের ঘটনাটার বর্ণনা শেষ দিকে বড্ড একপেশে মনে হয়েছে । অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু অনুমান করা গেছে ঘটনা প্রবাহ । এটা হতে পারে আমার অনেক থ্রিলার পড়ার কারণেও । আর কিছু ভুল তথ্য দেয়া আছে । একটার উদাহরণ দিচ্ছিঃ নিক কার্টার নামে একজন লেখকের কথা বলা হয়েছে এই গল্পের একটা কথোপকথনে । আসলে নিক কার্টার কোন নির্দিষ্ট লেখকের নাম নয় । এটা একটা ছদ্মনাম । কম করে হলেও ২৬১ টা বই প্রকাশিত হয়েছে এই নামে । আমিও দু একটা পড়েছি, ওতটা খারাপ নয় যেভাবে বলা হয়েছে । উদ্দিনের মত থ্রিলার লেখকের কাছে এসব ছোটখাটো ভুলও গ্রহণযোগ্য না । বাতিঘর কোন লেখাই বোধ করি সম্পাদনা করেনা । না হলে এত বানান ভুল থাকতে পারে না । এটা শুধ্রানর সময় এসে গেছে । থ্রিলার লিখতে গিয়ে তিনি মালিককে দেখিয়েছেন "প্লেবয়" হিসেবে, কিন্তু উনি রোমান্সের বর্ণনা দিতে গিয়ে কার্পণ্য করেছেন, ভয় পান নি এটা বলাই যায় যেহেতু উনার অনুবাদ (যেমনঃ [si]গডফাদার[/si] ) বইগুলোতে উনি ঠিক অনুবাদই করেছেন । এটার ক্ষেত্রে আরও একটু মনোযোগি হতে পারতেন লেখক । আগের বইগুলোতে পুরনো ঢাকা বা দিল্লির বর্ণনা যেভাবে দিয়েছেন এই বইয়ে নতুন ঢাকার কথা ওভাবে বলেন নি । হয়ত উনি নিজের কমফোর্ট জায়গা থেকে বের হয়েছেন । খানের কথাগুলো অনেক জায়গাতেই ঠিক হয়নি । মানে এভাবে আমাদের কেউ চলিত ভাষা বলে না, তবে উনি এটা আমাদের সাহিত্যে আনার সাহস দেখিয়েছেন এটার জন্য প্রশংসা পেতেই পারেন । কাহিনিতে নতুনত্ব খুব আছে বলা যাবে না। একজনের খুনের দায় আরেকজনের উপর চাপান পুরনো কথা । কিন্তু পড়তে গেলে ভালই লাগবে । আমাদের দেশের খুব বেশি বই এই ক্ষেত্রে লেখা হয়নি । উনি একাই লিখছেন মোটামুটি, এবং বেশ ভালই লিখছেন । সাহসি হতেই গিয়েও হন নি, যেমন উনা লেখায় সরকারি কেউ কখনোই দোষী থাকেন না । এই কথাটা এই বইয়ের জন্য নয়, বরং উনার আগের চারটি বইয়ের জন্যেও প্রজোয্য । লেখকের কৃতিত্ব হচ্ছে ছোট একটা ঘটনা নিয়ে এত বড় বই লিখলেও কখনোই পড়তে খারাপ লাগবে না। আমি এক রাতেই শেষ করেছি । উনার সব বইয়েই নারী চরিত্র গুলো একদম সাদামাটা কেন জানি । অন্তত তাদের উপস্থাপন আরেকটু আকর্ষণীয় হতেই পারত । অনেক বইয়েই আছে । তবে একটা কথা না বললেই না, মাহবুব যেভাবে ব্যারিস্টারকে ফাঁসিয়েছেন তা উপভোগ্যই । লেখকের কৃতিত্ব দিতেই হবে, কোন উপায় নেই । তাছাড়া খানের চরিত্রটা লেখক ইচ্ছে করেই পুরোটা বিকশিত করেন নি মনে হয় । পরের বইয়ের জন্য রেখে দিয়েছেন । ডাক্তার লুবনার চরিত্রটা বিশ্বাসযোগ্য করা যেত আরও । তবে আবারো সবাইকে বলে দেই আমি তুলনা করছি মারিও পুজো, ডেভিড বালদাশি বা ফ্রেডরিক ফরসাইথদের মত লেখকদের সাথে । উদ্দিনকে আরও সময় দিতে হবে । যদি আমাকে কেউ বলত তুমি উদ্দিনকে একটা সাজেশন দাওঃ তাহলে আমি বলতাম এবার সময় হয়েছে প্রেক্ষাপট আরও বড় করার । লেখার সময় আরেক্তু বেশি সময় নিয়ে রিসার্চ করার । অনুবাদের থেকে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে এখন নিজের আলাদা অভিজ্ঞতা করার সময় হয়েছে । 'জাল' বইটি ভালো লাগার মত বই । কাহিনি ভালো, প্রেক্ষাপট ভালো, তবে নতুন মোড় নেয়ার কথা খুব কম ভেবেছেন এবার লেখক । একটা বইয়ে এটা হতেই পারে । হাজার হোক নতুন সিরিজ । অপরাধের মত লেখাতেও একটা কথা প্রজোয্য ঃ ভুল সব চেয়ে বেশি প্রথম বারেই হয় । চরিত্র চিত্রায়ণও ভালো । পৃষ্ঠা গুলো উল্লেখ করার মত ভালো । বইটির মলাটের পিছন দিক ভালো, সামনের দিকে আরও ভাবার সুযোগ ছিল । দাম সাধ্যের মধ্যেই । ভাষা সাবলীল, ঢাকার বাইরের লোকদের কয়েকটি জায়গায় দুবার পড়তে হতে পারে, নাও পারে । সব মিলিয়ে এক কথায় বইটি উপভোগ্য । পড়তে পারেন দ্বিতীয়বার না ভেবেই । খারাপ লাগবে না একথা বলে দিতে পারি ।
Was this review helpful to you?
or
নাজিম উদ্দিনের সব বই ই আমার খুব পছন্দ।কিন্তু এই বইটা আমার তেমন একটা ভালো লাগেনি। তরুণ ব্যারিস্টারকে খুনের অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেয় মানসিক বিকারগ্রস্থ মানুষ।খুনটা কে করেছে এটা আপনি প্রথম থেকে জানলেও কিভাবে করেছে সেটা জানতে হলে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।এবং শেষটা অবশ্যই অনুমেয়। বইটাতে আমার পছন্দের চরিত্র হলো কে এস কে খান
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কনটেস্ট ( জুন ২০১৯) বই : জাল লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনা : বাতিঘর প্রকাশনী রকমারি রেটিং : ৩.৫ প্রকাশকাল : ২০১৩ পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২৩৯ মুদ্রিত মূল্য : ২২০ টাকা পার্সোনাল রেটিং : ৭/১০ কাহিনী : খুন হয়েছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিক হাওলাদার। আর তাঁর হত্যার অভিযোগে খুনি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁরই বাল্যবন্ধু রুহিন মালিককে। যে অল্প বয়সেই দেখেছে সাফল্যের মুখ, আর "প্লেবয় ব্যারিস্টার " যার তকমা। রুহিনের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়েই খুন করা হয়েছে রফিক সাহেবকে এবং ঘটনাস্থলে শুধুমাত্র রুহিনকেই পাওয়া গেছে। কিন্তু হত্যায় অভিযুক্ত রুহিনের বক্তব্য সে খুন করে নিন। আর সে প্রকৃত খুনিকে দেখেছে। খুনি হিসেবে সে শনাক্ত করেছে, মাহবুব নামের এক ব্যক্তিকে। মাহবুব চার বছর আগে তাঁর স্ত্রীর খুনের অভিযোগে কেস লড়তে বলেছিল রুহিন মালিককে। আর মাহবুবের অভিযুক্ত সেই খুনি ছিল সদ্য খুন হওয়া রুহিনের বাল্যবন্ধু রফিক। পুলিশ রুহিনের কথা সত্যতা নিশ্চিতের জন্য মাহবুবের কাছে যায়। মাহবুবের খোঁজে গিয়ে জানতে পারে, খুন হওয়ার সময় অপারেশন থিয়েটারে ছিল মাহবুব। তার অপারেশন হচ্ছিল সেই সময়। খুনের ঘটনার পরেও সে আছে হাসপাতালে ভর্তি। তাহলে কি, রুহিন মালিক মিথ্যা কথা বলেছে? মাহবুব সাহেব যদি হাসপাতালে ভর্তি থেকে থাকে, তাহলে রফিককে খুন করল কে? মাহবুব যদি খুন করেই থাকে, তাহলে হাসপাতালে ভর্তি থেকে কিভাবেই বা খুন করবে সে? রুহিন মালিক সাহায্যের জন্য যায় ডিবির প্রাক্তন ইনভেস্টিগেটর কেএসকে'র কাছে। শারীরিক অক্ষমতার কারণে অল্পবয়সেই ডিবি থেকে অবসর নেন এই কেএসকে। বর্তমানে বই পড়া আর নতুন রিক্রুটদের ক্লাস নিয়েই পার করছেন তার সময়। এই জীবনে এখন পর্যন্ত তাঁর একটিও অমীমাংসিত কেস নেই। সে কি পারবে রুহিন মালিককে সাহায্য করতে? কিভাবেই বা সে সাহায্য করবে? জানতে হলে পড়ে ফেলুন, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন রচিত জাল থ্রিলারটি। রিভিউ : বইয়ের কাহিনী মোটামুটি ভাল লেগেছে আমার। অন্যান্য থ্রিলার বইয়ের চেয়ে এই বই ব্যতিক্রম। প্রথমেই খুনিকে ধরে নিয়ে এগিয়ে চলে এই বইয়ের কাহিনী। ব্যরিস্টার রুহিন মালিকের প্লেবয় ব্যরিস্টার চরিত্র সুন্দর করে সাজিয়েছেন লেখক। আর কেএসকে চরিত্রটিই ছিল এই উপন্যাসের মূল রহস্যভেদকারী চরিত্র। ড্যান ব্রাউনের "রবার্ট ল্যাংডন" সিরিজ পড়ে আমি এই বই পড়েছি। কাজেই, এই বই আমাকে খুব ভাল লাগবে এই আশা করা বৃথা। লেখক চাইলে হয়ত দুর্দান্ত কিছু হতে পারত। তবে, মোটামুটি ভালই বলা চলে এই বইকে। #maria_mit209
Was this review helpful to you?
or
সাধারণ একটা গল্পের উপর রং মাখিয়ে অসাধারণ করার চেস্টা করা হয়েছে কিন্তু সফল ও হতে পারে নি । মাত্র ৫০ পৃষ্টা পড়ে সম্পূর্ণ কাহিনী টি বুঝে ফেলেছি তাই আশা করি এই বই পড়ে কেও সময় নস্ট করবেন নাহ্ ।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডার নানান দিক থেকে সমৃদ্ধ হলেও “ মৌলিক থ্রিলার” কথাটা খুঁজে পাওয়া একটু কষ্টকর। আবার কিছু আছে মৌলিকত্ব আনতে যেয়ে থ্রিলারের মান চলে যায় তলানিতে। তবে আশার আলো দেখাচ্ছেন লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তাঁর পঞ্চম মৌলিক থ্রিলার “জাল”। প্রথম ৪ টা থ্রিলার একই চরিত্রগুলো কে নিয়ে হলেও জাল লিখেছেন তিনি আলাদা চরিত্র নিয়ে, কিছুটা আলাদা ছন্দে। গল্পে প্রবেশ করলেই দেখা পাওয়া যাবে এক নামডাক ওয়ালা ব্যরিস্টারের। পুরোপুরি আধুনিক জীবনের অধিকারী তিনি, যেখানে নৈতিকতার প্রবেশ গড়পড়তার চেয়ে কম। আদালত আর আইনের মারপ্যাঁচে জয়ী হলেও পড়ে যান বাস্তব জীবনের কানাগলিতে। মার্ডার কেসের আসামী হয়ে যান। তাঁর করা পুরোনো এক পাপের প্রতিশোধ নেয় হত্যাকারী। খুনের দায় চাপিয়ে দেয় ব্যারিস্টারের কাঁধে।ব্যারিস্টার জানেন খুনি কে? কিন্তু প্রমান কই? পুলিশ লেগেছে পিছে, কেস চলে যায় ডিবির হাতে। জামিন নিলেও মিডিয়ার কারনে নামের বদলে দুর্নাম বেড়ে চলছে। সাহায্য নেন অবসরের যাওয়া দুঁদে এক ডিবির ইনভেস্টিগেটরের। গল্পের প্রবেশ হয় কেএসকের। প্রতিভাবান, জ্ঞানী এই গোয়েন্দার জীবনটাও একটু আলাদা। কে সেই মেয়ে তাঁর খোজ নেয়? কেএসকে বুঝে উঠে ব্যারিস্টার নির্দোষ। কিন্তু আসল খুনিকে ধরা যে অসম্ভব। প্রচণ্ড শক্ত অ্যালিবাই। কিন্তু হাল ছাড়েন নাহ গোয়েন্দা প্রবর। একে একে আসতে থাকছে অসম্ভব সব ধাঁধা, পাওয়া যায় সাধারন সমাধান। সেই সাথে উন্মোচন হতে থাকে ব্যারিস্টার ,রুহিন মালিকের জীবনের অংশ। কেএসকে সাথে তিনিও ছুটছেন সমাধান খোজার জন্য। একসময় ধরা পড়ে খুনির কার্যকলাপে কিছু অসঙ্গতি। সেই সূত্র ধরে কি প্রমান করা যাবে খুনির অপরাধ কে? খুনির হাতে কি শেষ পর্যন্ত পরবে হাতকড়া? নাকি ঘুরে যাবে গল্পের মোড়? প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবেন বইয়ের পাঠক নিজেই।
Was this review helpful to you?
or
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর পড়া এইটা আমার অষ্টম বই। বরাবরের মতো এইটাও অসাধারণ থ্রিল আর রোমাঞ্চে ভরপুর। একটি পার্কে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ঘটনাস্থলে মাতাল অবস্থায় দেখতে পায় দেশের নাম করা ব্যারিস্টার রুহিন মালিককে। পুলিশ খুনি সন্দেহে রুহিন মালিককে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে এমন একজন এর উপর অভিযোগ করেন, যার কিনা খুনের মূহুর্তে অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন হচ্ছে। এইভাবে টান টান উত্তেজনা নিয়ে ঘটনা এগোতে থাকে।
Was this review helpful to you?
or
সন্ধ্যা ৭ টা। অপারেশন টেবিলে মানসিক বিকারগ্রস্ত মাহবুব। ঠিক সন্ধ্যা ৭ টায় একটি খুন হল। ঘটনাস্থলে প্লেবয় ব্যারিস্টার রুহিন মালিক। সেই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলো রুহিন। রুহিনের দাবি খুন করেছে মাহবুব। কিন্তু মাহবুবের তো তখন অপারেশন চলছিল। সমস্ত প্রমান রুহিনের বিপক্ষে। কেবলমাত্র সেই জানে সে খুন করেনি। নিজেকে নির্দোষ প্রমানের কোন মোক্ষম সুত্র নেই। বাধ্য হয়ে দ্বারস্থ হল ডিবির সাবেক ইনভেস্টিগেটর কেএস খানের। অদ্ভুত চরিত্রের লোক এই কেএস খান। কিন্তু তাঁর চেয়েও অদ্ভুত এই হত্যাকাণ্ড। কেএস খানের ক্যারিয়ারে কোন অমীমাংসিত কেস নেই। রুহিন কি এই পাগলাটে ইনভেস্টিগেটরের সহায়তায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক নতুন ধরনের মৌলিক থ্রিলার জাল। নতুন ধারার থ্রিলার বলছি এই জন্য, এই থ্রিলার লেখা হয়েছে "হাউ ডান ইট" টেকনিকে। বাংলাদেশে এর আগে "হাউ ডান ইট" টেকনিকে মৌলিক থ্রিলার লেখা হয়েছে কিনা তা আমি সঠিক বলতে পারছি না। সাধারণত আমরা বেশিরভাগ থ্রিলারে '"হু ডান ইট" টেকনিক দেখে থাকি। অর্থাৎ কে খুন করেছে সেটা বের করা হয়। কিন্তু "হাউ ডান ইট" টেকনিকে আমরা পাঠকরা শুরু থেকেই জানি যে কে খুন করেছে। ইনভেস্টিগেটর কিছু কিছু ক্ষেত্রে জানে যে কে খুন করেছে, কিন্তু আসল অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করতে তাকে কীভাবে খুন হয়েছে তা বের করতে হয়। কীভাবে খুনটি সংঘটিত হয়েছে তা জানতে পারলেই কেস শেষ হয়। ঠিক একইভাবে 'জাল' নামক থ্রিলারটিতে রুহিন এবং কেএস খানকে বের করতে হয় কীভাবে খুনটি সঙ্ঘটিত হয়েছে। কারন কীভাবে খুন হয়েছে তাঁর মধ্যেই নিহিত আছে তাদের উত্তর। আমি এর আগে "হাউ ডান ইট" থ্রিলার অত বেশী পড়িনি। রিসেন্টলি একটা পড়েছি। ডেভিড বালদাচ্চির এবসলিউট পাওয়ার। এই কাহিনীর প্রথম অধ্যায়ে পাঠক জেনে যায় কে খুন করেছে। কিন্তু ইনভেস্টিগেটর জানে না, কে খুন করেছে। সুতরাং ধীরে ধীরে ইনভেস্টিগেটরের পারস্পেক্টিভে পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয় কীভাবে খুন করা হয়েছে। লেখক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দিন যেহেতু 'এবসলিউট পাওয়ার' এর ফ্যান সুতরাং তাঁর কাছ থেকে "হাউ ডান ইট" থ্রিলার পাওয়া হয়ত অতটা অস্বাভাবিক নয়। "জাল" এর কাহিনী ডেভেলপমেন্ট নাজিম উদ্দিনের অন্যান্য মৌলিক থ্রিলারের মতই চমকপ্রদ ভাবে এগিয়ে নেয়া হয়েছে। কাহিনী ভালো, ডেভেলপমেন্ট খুবই দ্রুত গতির, টুইস্ট চলনসই, চরিত্র খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, বিশেষ করে প্রধান দুই চরিত্রের। "জাল" এর নেগেটিভ দিক নিয়ে বলতে হলে প্রথমেই বলব কাহিনীর শেষ অংশে এসে লেখক খুব দ্রুতই শেষ করে দিয়েছেন। যে কাহিনী লেখক ডেভেলপ করছিলেন এবং যা মেটেরিয়াল ছিল তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে এই থ্রিলারকে অনায়াসেই কমপক্ষে ৩০০/৩৫০ পাতা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতেন। যাহোক আমি তো কেবল পাঠক, লেখকই ভালো বুঝেন উনার কাজ। আরও একটা জিনিস লক্ষণীয়, গল্পের রুহিন মালিকের বাস্তবের একজনের সাথে মিল পেলাম। অবশ্য আমি ভুলও করতে পারি যেহেতু বাস্তবের মানুষটির চরিত্রের সাথে আমি অতটা পরিচিত না।