User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস প্রশিদ্ধ বিখ্যাত একটি বই যার মুল চরিত্র ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। লেখক সুন্দর ভাবেে এই মহান মানুষটির মেধা মনন এবং প্রজ্ঞার সহজ চিত্রায়ন করছেন। তবে বই টি আমাকে মুগ্ধ করেছে। এক কথায় বইটি আমাদের ইতিহাসের অন্যতম দলিল বলা চলে।
Was this review helpful to you?
or
One of the best books that I have read
Was this review helpful to you?
or
অধ্যাপক রাজ্জাককে নিয়ে শ্রেষ্ঠতম রচনা বলে বিবেচিত যদ্যপি আমার গুরু।"যদ্যপি আমার গুরু সম্ভবত বাংলা জীবনী সাহিত্যেই তুলনাহীন একটা গ্রন্থ। অধ্যাপক রাজ্জাকের চিন্তার বৈচিত্র্য, গভীরতা আর স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় আমরা গ্রন্থটিতে বারংবার পাবো। কিন্তু পাণ্ডিত্য নয়, আবদুর রাজ্জাক নামের একটি মানুষকে রক্তমাংসে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তার সাহিত্যগুণ অনন্য।" এই বইটি আরোও নজর কাড়বে কারণ এই বইটাতে উঠে এসেছে ইতিহাস, রাজনীতি,সমাজবিজ্ঞান,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,শিক্ষা ও চলমান সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে নানা দিক। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে বিথোভেনের মুনলিট সোনাটা, মার্ক্স-এঙ্গেলস থেকে অ্যাডাম স্মিথ, ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র কিংবা সেক্যুলারিজম সবই তাদের আলোচনায় একে একে উঠে এসেছে। বইটিতে আরোও একটা ভালো দিক আমার নজরে এসেছে তা হল বইটাতে বিভিন্ন বইয়ের রেফারেন্স পাওয়া যায়। এমন নয় যে আপনি এসব সম্পর্কে বিস্তর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাবেন এ বইয়ে, কিন্তু জ্ঞানের নানা শাখার সূত্র ধরিয়ে দিতে অবশ্যই সক্ষম হবে বলে আশা রাখছি।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ যদ্যপি আমার গুরু লেখকঃ আহমদ ছফা প্রকাশকঃ মাওলা ব্রাদার্স আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু বইটি লিখেছেন প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক স্যার কে নিয়ে। তবে এটি কোনো জীবনী গ্রন্থ নয়। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যারের সাথে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন আহমদ ছফা সাহেব। সেই সাক্ষাতের নানা বিষয় এবং ঘটনা তিনি তুলে ধরেছেন এই বইয়ে। বিভিন্ন সময়ের আলাপচারিতায় ওঠে এসেছে বিভিন্ন টপিক, ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, পড়ালেখা, বইপুস্তক থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাদ যায়নি, শেক্সপিয়র, লেনিন, লিও টলস্টয়, মহাকবি গ্যাত, টয়েনবি প্রমুখ। চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, ড. শহীদুল্লাহ থেকে শুরু করে কবি দেবেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, জসীমউদ্দীন, কাজী মোতাহের হোসেন চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ প্রমুখ লেখকের আলোচনা । আরও ছিল জিন্নাহ, ভাষানী, এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিব, তাজউদ্দীন আহমদের বিভিন্ন ঘটনা। একজন ভালো শিক্ষক চাইলে একজন ছাত্রের জীবনে, মননে এবং চিন্তনে অনেক বিশাল পরিবর্তন আনতে পারেন। ভালো এবং জ্ঞানী শিক্ষক চাইলে ছাত্রের জীবনের মোড়ও ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এই গ্রন্থপাঠে তা আবার উপলব্ধি হলো। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে আবদুর রাজ্জাক সাহেব উপদেশের সুরে আহমদ ছফা সাহেবকে যা বলেছিলেন সেই সকল কথা গুলো। যেমন এক জায়গায় ছফা সাহেবকে বললেন, "একটা কথা খেয়াল রাখন দরকার। যখন কোন নতুন জায়গায় যাইবেন, দুইটা বিষয় পয়লা জানার চেষ্টা করবেন। ওই জায়গার মানুষ কি খায় আর পড়ালেখা কি করে। কাঁচাবাজারে যাইবেন কি খাই এইডা দেখনের লাইগা আর বইয়ের দোকানে যাইবেন পড়াশোনা কি করে হেইডা জাননের লাইগা।" ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে.....
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বইটা। ইতিহাসের অনেক কিছুই জানা যায় । বইটা পড়ার অনেক ইচ্ছা ছিলো তারপর রকমারি তে আমি অর্ডার দি তার দুই দিন পরেই আমি আমার কাঙ্ক্ষিত বইটি পেয়ে যায়। ধন্যবাদ রকমারি
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। সবার সংগ্রহে রাখার মত একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
One of the best masterpiece
Was this review helpful to you?
or
কার জ্ঞান কতোটুকু তা যাচাই করার সবথেকে ভালো উপায় রেনডম একটা টপিক্স নিয়ে তার সাথে আলোচনা করা। যখন সেই ব্যক্তি বিশ্বের বড় বড় বুদ্ধিজীবী,লেখকদের বইয়ের নামসহ রেফারেন্সের সাথে বিশ্বব্যবস্থার উদাহরণ মিশিয়ে টপিক্স ধরে এগোতে থাকেন এবং এক টপিক্স থেকে অন্য টপিক্সে আপনার অজান্তেই পদার্পণ করেন যা আপনার সীমীত জ্ঞানের বলয়েই বাইরে চলে যায়, তখন আর যাইহোক সেটাকে আর আলোচনা বলা যায় না। তখন আলোচক থেকে আপনি হয়ে যাবেন মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা আর ঐ ব্যক্তিটি হয়ে যাবে 'চলন্ত বিশ্বকোষ"। ড. আব্দুর রাজ্জাক সম্পর্কে বইয়ের লেখক আহমদ ছফার এমনই ধারনা হয়ে গেছিলো। তারপর তো উনাকে গুরু মেনে তাবৎ বিষয়ে উনার দৃষ্টিভঙ্গি শুনে গেছেন। ড. আ: রাজ্জাক ছিলেন ঢাবির ছাত্র ও পরবর্তিতে শিক্ষক। তিনি একই সাথে ইংরেজ কলোনাল যুগ, পাকিস্তান পর্ব এবং বাংলাদেশ তিনটি পর্বই নিজ চোখে দেখেছেন। উপমহাদেশের বিখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ কেউ ছিলেন উনার শিক্ষক, কেউ কলিগ বা ছাত্র। তিনি অনেক সাধারণভাবে এমন এমন ব্যক্তিবর্গের কথা নির্লিপ্তভাবে বলে গেছেন যাঁরা বাংলাদেশের শিক্ষা,সাহিত্য,রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মনীতি-তে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। রাজ্জাক স্যারের কথা শুনে মনে হবে এইসব ব্যক্তিবর্গ আপনার আশেপাশেই বিচরণ করছেন। কতো হাই প্রোফাইল মানুষজন রাজ্জাক স্যারের বাসায় তাঁর সান্নিধ্য পেতে যেতেন তার কোন হিসাব তিনি রাখতেন না। তিনি কাউকে খুব বেশি বড় করে প্রেজেন্ট করতেন না আবার কাউকে ছোট করে দেখা সেটা তো নাই ই। ড. আব্দুর রাজ্জাক তিনি নিজে কতো বড় জ্ঞানী আর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এটা তিনি নিজেই জানতেন না, হয়তো জানতেন কিন্তু সেটা মনে করে দম্ভের আশেপাশেও যেতেন না। শেরে বাংলা, বঙ্গবন্ধু, তাজউদদীন, ড. কামাল থেকে শুরু করে কবি জসিমউদ্দীন, কাজী মোতাহার, এস এম সুলতান, দবাডু নিয়াজ মর্শেদ ছাড়াও বিচিত্র পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে তাঁর যোগাযোগ ছিলো। একবার যুদ্ধের পর আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বাংলাদেশে আসেন, তিনি সভাস্থলে মানুষজনের সাথে ড. রাজ্জাক কে নিজের কলিগ বলে পরিচয় করিয়ে দেন, অথচ রাজ্জাক স্যার সেই অনুষ্ঠানে একটা পুরোনে পন্জাবি আর চাদর পরে গেছিলেন। ড. আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন জ্ঞান সাধক। তিনি শধু বইই পড়েননি সেটা মনেও রেখেছেন এবং উপযুক্ত স্থানে তার সারমর্মও উপস্থাপন করেছেন তিনি এমনই। নিজে অতি সাধারণ কিন্তু অপরের কাছে অসাধারণ। এবার আসি আহমদ ছফার কাছে। বলা হয়ে থাকে তিনি যা বিশ্বাস করতেন তাই লিখতেন। লেখনীর সাথে কখনো প্রতারণা করেননি। আসলেও তাই। তাঁর লেখাতে অবান্তর কিছু নেই। তিনি কিছু বিকৃত করেও লেখেননি। তিনি যা দেখেছেন-শুনেছেন, উপলব্ধি করেছেন সেগুলোই শুধু বলে গেছেন খুব সহজ ভাষায়। তাঁর লেখাতে দূর্বধ্যতা নেই, নেই কোন জড়তা। খুবই সাধারণ করেই অতি অসাধারণের নির্যাস তিনি পাঠকের হৃদয়ে দিতে পেরেছেন। যোগ্য গুরুর যোগ্য শিষ্য।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম।
Was this review helpful to you?
or
I don't secular people in particular, to be honest. But this book is really good, as it will introduce you to the realm of knowledge, and how a great intellectual of Bangladesh lived through his life. And this book has some book suggestions as well, which were suggested by Abdur Razzak sir.
Was this review helpful to you?
or
এই অসাধারণ বইটির ছাপা ও কাগজের মান নিয়ে হতাশ হয়েছি!
Was this review helpful to you?
or
সহজ সরল স্মৃতিচারণ এ অসাধারণ এক বই ??
Was this review helpful to you?
or
বইটি সবার পড়া উচিত। ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
গ্রীক দার্শনিক, সক্রেটিস জীবনে কিছু লিখে যায় নাই, শুধু মুখে বলে গেছেন। তার শিষ্য, প্লেটোর লেখায় তার গুরু সক্রেটিস এর সেই সব বক্তব্য কিছু কিছু পাওয়া যায় । ( যেমন 'রিপাবলিক' নামক বইটায় এইভাবে সক্রেটিস এর ভাবনা পাওয়া যায় , যে বইটা লিখেছেন প্লেটো) বাংলাদেশেও এইরকম এক মনীষী ছিলেন, যিনি নিজে প্রায় কিছুই লিখেন নি। তার নাম ছিল আব্দুর রাজ্জাক, জন্ম ১৯১৪ তে, ঢাবিতে পড়েছেন ১৯৩০ এর দিকে, পরে ঢাবিতে অধ্যাপনাও করেছেন। পাকিস্তান আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইংল্যান্ডে গিয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। পরে পিএইচডি শেষ না করেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। মারা গিয়েছেন ১৯৯৯ সালে। জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তার অগাধ পান্ডিত্যের জন্য তাকে 'জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক' বলা হয়৷ ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন চীরকুমার। কথাবার্তা বলতেন পুরান ঢাকার উচ্চারণে, পোষাক পরিচ্ছদে থাকতেন খুবই সিম্পল। এই আব্দুর রাজ্জাক কে নিয়ে স্মৃতিকথা লিখেছেন আহমেদ ছফা (১৯৪৩-২০০১)। বইটায় আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আহমেদ ছফার ব্যক্তিগত আলাপচারিতাত মাধ্যমে দেশ, সমাজ, দর্শন, ধর্ম, রাজনীতি, সাহিত্য ইত্যাদি নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক এর দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। সমসাময়িক এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন ক্যারেক্টার সম্পর্কে আব্দুর রাজ্জাক স্যারের ব্যক্তিগত মতামত এখানে পাওয়া যাবে। বইটা ছাপা হয়েছে ১৯৯৮ এ, তবে এখানে ১৯৭০ থেকে মোটামুটি ১৯৮০ পর্যন্ত কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। বইটার মধ্যে অবশ্য কোনো ঘটনার সাথে সন তারিখ উল্লেখ নেই, তবে অন্য বর্নণা থেকে কষ্ট করে বুঝে নিতে হয় ( যেমন, মুক্তিযুদ্ধের পরে তার সাথে আবার দেখা করতে গেলাম, কিংবা তখন ছিল জিয়াউর রহমানের শাসনামল, এইরকম) আহমেদ ছফা এই বইটাকে তার 'গুরুদক্ষিণা' হিসেবে বর্নণা করেছেন। মাত্র ১১১ পৃষ্ঠার এই বইটা খুবই সুখপাঠ্য
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি পড়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। আহমদ ছফা অসাধারণ একজন লেখক। বইটি পড়ে আমি তার ভক্ত হতে বাধ্য হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই সবার পড়া দরকার।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বইপ্রেমীদের অবশ্যই বইটি পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
valo lage ni
Was this review helpful to you?
or
best book
Was this review helpful to you?
or
Fine
Was this review helpful to you?
or
A very well written and informative book.
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
one of the best
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে পরে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
দেখতে শিখো। বুঝতে শিখো। জানতে শিখো।
Was this review helpful to you?
or
এই বই নিয়ে আমার বলার কিছু নাই। কি অসাধারণ একটা বই যা না পড়লে বুঝা সম্ভব নয় আর বলে বুঝানো তো এককথায় অসম্ভব। তাই যদি সময় থাকে বা পড়তে ইচ্ছা করে তাহলে পড়া শুরু করে দিন। আশা করি আমার মত অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
বই ভালো কিন্তু কাগজের মান একেবারেই ভালোনা, মনে হয় পত্রিকার পাতায় বই পড়ছি ??
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখনী
Was this review helpful to you?
or
যেসকল বই পড়লে জ্ঞান অর্জনের ক্ষুধা বাড়ে এই বইটা সেরকমই।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার গ্রন্থ!
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই?
Was this review helpful to you?
or
অনেক কিছু জানা যায় এই বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
একটি অসম্ভব সুন্দর সৃষ্টিশীল ও নান্দনিক বই।
Was this review helpful to you?
or
Your relationship with your Guru will be more strong after reading this book. I am really so happy about this book. Thanks.
Was this review helpful to you?
or
more than a book
Was this review helpful to you?
or
Very Nice
Was this review helpful to you?
or
এটা এপিক।
Was this review helpful to you?
or
জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, তার জ্ঞানচর্চার পরিধি কতটা প্রসারিত এই একটা বই পরে অনেক কিছু শেখার এবং জানার আছে
Was this review helpful to you?
or
Excellent book
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
বইটা ভালো। আমি মনে করি নতুন যারা বই পড়া শুরু করবে কয়েকটা বইয়ের মধ্যে এটা পড়া দরকার। এতে কিভাবে বই পড়বে কোন টপিক এর বই পড়বে বইপড়ার সময় নোট নিতে হবে কি না এসব বিষয় জানতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
অনেকদিন পর একরাতে শেষ করা একটি বই। অনেক চেষ্টা করেও পড়া থামাতে পারবেন না। বইয়ের শেষের দিকটা একটু অগোছালো।
Was this review helpful to you?
or
এক শব্দে, অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
Osadaron
Was this review helpful to you?
or
গুরুকে নিয়ে এমন লেখা দেখা মেলা ভার!
Was this review helpful to you?
or
Worst book I have ever seen
Was this review helpful to you?
or
Adjectives such as "Marvelous", "Wonderful" will not be able to emphasize the weight of this work accurately The display of the knowledge of professor Abdur Razzak is bound to pinned one down, as Ahmed Sofa mentioned that one would keep on hearing all day without being monotonous It is a MUST READ for any kind of reader While the author himself also beautifully narrated his accounts One more thing for further reading you can read this "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা"
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার বই।আহমেদ সফার সব বই অনেক অনেক ভালো।
Was this review helpful to you?
or
আহমদ ছফার বই অন্যরকম
Was this review helpful to you?
or
হ্যাঁ
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে। যারা বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে চান তারা পড়তে পারেন
Was this review helpful to you?
or
Thanks for great service.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
A book of a real intellectual by a real intellectual
Was this review helpful to you?
or
খুবই দারুণ শিক্ষক এবং ছাত্রের মাঝে বন্ডিং
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।প্রতিটি পৃষ্ঠা তথ্যবহুল।সবার অন্তত একটিবার বইটি পড়া শুরু করা উচিত তারপর শেষ হয়ে যাবে মনের অজান্তেই।
Was this review helpful to you?
or
excellent book
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
সেরা
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
Amazing
Was this review helpful to you?
or
যুদ্ধের পর যদি বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি সাহিত্যকর্ম থাকে,তবে এটি তার মধে অন্যতম
Was this review helpful to you?
or
বইটি যতবার পড়েছি ততবার নতুন লেগেছে, পড়ার পিপাসা কমেনি বরং মনে হয়েছে প্রতিবার -ই কিছু না কিছু বাদ পড়েছে পড়তে গিয়ে। অসম্ভব সুন্দর।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ দর্শনচিন্তার বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি বই
Was this review helpful to you?
or
দারুণ
Was this review helpful to you?
or
quality was great.
Was this review helpful to you?
or
Good service
Was this review helpful to you?
or
"যদ্যপি আমার গুরু" নিয়ে অল্প কথায় কিছু বলা খুব শক্ত কাজ। তবু পাঠ-প্রতিক্রিয়া লিখতে বসেছি কেননা আবদুর রাজ্জাক বলেছেন কিছু পড়ে তা নিজের ভাষায় বলতে না পারলে সে বই আসলে পড়া কিছু হয়নি। আবদুর রাজ্জাকের সাথে লেখকের পরিচয় পিএইচডি করতে গিয়ে। শেষ পর্যন্ত ডক্টরেট তো লেখকের করা হয়ে ওঠেনি, তবে দেখা পেয়েছেন এমন এক মানুষের যিনি লেখকের নিজের সত্ত্বাকে খুঁজে পেতে মশালের মতো পাশে ছিলেন। যাঁর মনন, যাঁর প্রজ্ঞাকে ধরে রাখতেই লিখেছেন এই বই। আহমদ ছফার কলমে জীবন্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের জীবন, চিন্তার প্রসার, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি, ধর্ম-বিজ্ঞান-শিল্প-সাহিত্য নিয়ে তাঁর মতামত। নিত্যদিনের টুকরো টুকরো ঘটনা, ক্রমশ বিস্তৃত আলোচনার প্রেক্ষাপট আর দৈনন্দিন কথোপকথনের ভীড় ঠেলে আহমদ ছফা কাগজে এঁকেছেন ভেতরকার মানুষটাকে। যে মানুষটা পড়তে ভালোবাসেন, যিনি সত্যকে সত্য বলতে কুন্ঠাবোধ করেন না, যিনি লেখকের হাতে একের পর এক তুলে দিয়েছেন বই, সৃষ্টি করেছেন জানার স্পৃহা, যিনি আপাদমস্তক একজন খাঁটি ঢাকাইয়া মানুষ হয়েও নতুনকে বরণ করেছেন মুক্তহাতে। এ বইয়ের পাতায় পাতায় জেনেছি কিভাবে অজানাকে জানতে হয়, বুঝেছি জানা জ্ঞানকে কতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। প্রতিটি অক্ষর সৃষ্টি করেছে নতুন সত্যের আলোড়ন। এখানে দেশ ভাগ, নতুন দেশের জন্ম, সমাজের মারপ্যাঁচ আর রাজনীতির কুটিলতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে জীবনকে দেখার সহজ স্বীকারোক্তি। জেনেছি বড় মানুষ হওয়ার চেয়ে জনপ্রিয় হওয়া কত সহজ। শিখেছি অতীতের মিথ্যে অহংকারকে মানুষ নিজের স্বার্থে বাঁচিয়ে রাখে কতটা নির্লজ্জভাবে। পেয়েছি নির্ভয়ে নিজের সত্য প্রকাশের সাহস। তার সবটাই কি শুধু আবদুর রাজ্জাকেরই কৃতিত্ব? না। আহমদ ছফার শব্দ, তার সহজ প্রকাশ এক আকাশ সুবিশাল ব্যক্তিত্বকে ১১০ পাতার বইয়ে যত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে, আমার মনে হয়না যে আর কারো পক্ষে তা সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
বাংলার একজন সেরা দার্শনিক কে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি আরো বড় হলেও ক্লান্তি আসতো না।
Was this review helpful to you?
or
বানান ভুল ছিল অনেক জায়গায়
Was this review helpful to you?
or
My favourite book
Was this review helpful to you?
or
splendid ?
Was this review helpful to you?
or
One of a kind
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে খুব ভালো লাগলো
Was this review helpful to you?
or
Very happy to receive the awesome books.
Was this review helpful to you?
or
Great indeed.
Was this review helpful to you?
or
Great book
Was this review helpful to you?
or
best platform
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে বইগুলো পড়ার কোন বিকল্প নাই
Was this review helpful to you?
or
Very nice
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
এককথায় অসাধারণ । এই বইটি পড়লে বাংলাদেশের অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষকে অন্যভাবে চিনতে পারবেন। আর অনেক অনেক ছোট্টলাইন আছ, যাতে অনেক চমক আছে। প্রতিটা পৃষ্ঠায়,প্রতিটি লাইনে চমক আর চমক ।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
আহমেদ ছফা তার শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যার কে নিয়ে লিখিত এই পুস্তক প্রত্যেকটা বাংলাদেশীদের পড়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
Was this review helpful to you?
or
oshadharon.
Was this review helpful to you?
or
বইটি জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যারের একটি জীবনীগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত হলেও এখানে মূলত আব্দুর রাজ্জাক স্যারের সাথে আহমদ ছফা স্যারের বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি শেয়ার করার বিষয়গুলোই ফুটে উঠেছে। যেকোনো একটা বিষয়কে আমরা কীভাবে ভাবি আর আব্দুর রাজ্জাক স্যার কীভাবে ভাবেন সেই পার্থক্যগুলোই এখানে ভাবগত দিক দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে৷ বইটি পড়ে এমন সব বিষয়ে জেনেছি যেসব বিষয় হয়ত আমরা আব্দুর রাজ্জাক স্যারের মত করে ভাবতাম না। নিঃসন্দেহে চমৎকার একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই ৷ একজন আদর্শ শিক্ষক আর একজন জ্ঞানপিপাসু ছাত্রের অসাধারণ একটি নমুনা ৷ জ্ঞানী পঠকের জন্য বইটির পাতায় পাতায় শিক্ষা আছে ৷ এবং আব্দুর রাজ্জাক স্যারের জ্ঞানগরিমার একটু ধারনা পাওয়া যায় মাত্র ৷ তিনি বাংলাদেশের একজন গর্ব ৷ এবং তার শিষ্য আহমদ ছফাও অনন্য ৷ যেমন উস্তাদ তেমন শাগরেদ ৷
Was this review helpful to you?
or
Super book. এমন বই না পড়লে জীবনবৃথা
Was this review helpful to you?
or
valo boi, janar ache onek
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে, সকলের একবার উচিৎ
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লেগেছে পড়ে
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালো একটি বই। আব্দুর রাজ্জাক স্যারের উপর এক গভীর ভালবাসার জায়গা তৈরি হয়েছে এই বইটি পরে। আহমদ ছফা বইটি লিখে পরবর্তী বাঙালি জাতির জন্য এক মহান উপহার রেখে গেছেন।
Was this review helpful to you?
or
It was more of a diary and conversation record but covers almost all the topics. Liked it.
Was this review helpful to you?
or
khub valo
Was this review helpful to you?
or
I consider this an epic from Ahmed Sofa. Gives you a great perspective of an ideal mentor-mentee relationship and in the process provokes a new school of thought easily in the reader's mind.
Was this review helpful to you?
or
মাস্ট রিড একটা বই। নিঃসন্দেহে এই বই বাংলা সাহিত্যের একটি বড় সম্পদ।
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
সেরা
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
N.
Was this review helpful to you?
or
পড়ে ভালো লেগেছে। জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর রাজ্জাকের জীবনের অনেক অংশ উঠে এসেছে।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর, বার বার পড়তে মন চায়
Was this review helpful to you?
or
কিছু বলার নাই। কি বলবো বলেন বইটা পড়ে আবদুর রাজ্জাক স্যার সম্পর্কে জান চাই।
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
Fast delivery system Thanks
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা বই
Was this review helpful to you?
or
পড়া হয়নি
Was this review helpful to you?
or
such a nice book
Was this review helpful to you?
or
শ্রেষ্ঠ শ্রেনীর লেখক এবং আমার গুরু আহমদ সফা। তার প্রতিটি বই অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
পাঠক জীবনের একটা পর্যায়ে সবারই মনে মনে একটা ইচ্ছা জাগে যে আমিও একদিন লেখক হব, এমনি করে লিখব। কিন্তু বেশির ভাগেরই অবস্থা বোধহয় “I wanna a be a writer but I don’t know what to write about!” তুলনামূলক ভাবে বলতে গেলে আমার পাঠক জীবনে এই লেখালেখির ইচ্ছাটা বরাবরই অনুপস্থিত। একটা ভাল লেখার প্রশংসা করতে আমার ভাল লেগেছে, কোন লেখার ব্যাপারে অন্যদের কি মতামত এসব শুনতে ভাল লেগেছে মানে সর্বোপরি একজন তুখোড় পড়ুয়া হয়ে ওঠার ইচ্ছা মনের মধ্যে তো সবসময়ই আছে কিন্তু কেন জানি কোনদিন লেখক হতে ইচ্ছা করেনি । “যদ্যপি আমার গুরু” -এই প্রথম একটি বই কিছুটা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে যে খুব আটপৌরে বিষয়বস্তুকেও রিপ্রেজেন্টেবল করে লিখলে সেটা থেকেই দারুন এক সৃষ্টি সম্ভব। এর মানে কিন্তু এই না যে বইটি এতটাই পলকা যে পড়ে মনে হয়, “এ আর এমন কি?! আমিও তো এরকম কতই লিখতে পারি?” বরং ঠিক উল্টো। বইটির বিষয়বস্তু দুই গুরু-শিষ্যের দীর্ঘ সময়ব্যাপী আলাপচারিতার নানান দিক। কিন্তু নেহাত ঘোরোয়া আলোচনায় ইতিহাস-সংস্কৃতি, অর্থশাস্ত্র, রাজনীতি, ধর্ম কি যে উঠে আসেনি তাই ভাবতে হয়! আহমদ ছফা আবদুর রাজ্জাকের সান্নিধ্যে ছিলেন প্রায় সাতাশ বছর। সুদীর্ঘ একটা সময়। সম্পর্কে ছাত্র-শিক্ষক হলেও মনে হয়নি তাদের সম্পর্কটায় আদৌ কোন ফর্ম্যালিটি ছিল। এত দীর্ঘ সময় ধরে কাউকে গুনমুদ্ধ করে রাখা কিন্তু খুব কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আবদুর রাজ্জাক পেরেছিলেন, শুধু ছফা নয়, সমসাময়িক অনেক প্রতিভাবানেরাই তাকে গুরুর আসনে আসীন করেছেন। এই মানুষটিকে বিশ্বকোষ বললে বাড়িয়ে বলা হয় না, জ্ঞানের শাখায় শাখায় তার অবাধ বিচরণ। ছাত্রের মনের জানালা খুলে দেয়া শিক্ষক বুঝে এমন কাউকেই বলে। অথচ বিস্তর পড়াশোনা, অগাধ জ্ঞানী এই মানুষটি কখনও নিজে কিছু লেখেননি । আবদুর রাজ্জাক স্যার কেন লেখেননি এই ব্যাপারে ছফা ব্যাখা দিয়েছেন এভাবে, এই মানুষটি তার সমকালীনদের গন্ডি পেরিয়ে এতখানিই উপরে উঠেছিলেন যে তাদের কাতারে নেমে আসা হয়ত একটু মুশকিল হত তাঁর জন্য। আবদুর রাজ্জাক স্যারকে সমালোচনাও কিন্তু তাকে কম শুনতে হয়নি। তৎকালীন বহু বিখ্যাত ও বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে ভাল মন্দ নানা প্রসংগে। উজ্জল একটি নক্ষত্রের মত এই মানুষটির ব্যক্তিজীবন ছিল খুব অদ্ভূত। খাঁটি ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলতেন, কাপড়-চোপড়ের নেই কোন আড়ম্বর, খেতেও ভালবাসেন যা কিছু বাঙালী। অথচ তিনি কতটা বিশ্বজনীন প্রখর দৃষ্টির অধিকারী এই ব্যাপারে ছফা মন্তব্য করেছেন, “নিজেস্ব সামাজিক অবস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে এবং নিজের সামাজিক পরিচিতির আদি বৈশিষ্ট্যসমূহ গৌরবের সাথে ধারণ করে একটি বিশ্বদৃষ্টির অধিকারী হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।” আমি বইটি পড়ার সময় আবদুর রাজ্জাক স্যারকে যতটা না লক্ষ্য করেছি মনের অজান্তেই আহমদ ছফার উপর নজর রেখেছি তার চেয়ে বেশি। সাতাশ বছর – এত দীর্ঘ সময়ের নানা কখনপোকথন থেকে আহমদ ছফা যে বিষয় গুলোকে আঁজলা ভরে তুলে নিয়েছেন সেগুলো আসলে আমার মনে হয় আবদুর রাজ্জাক নয়, আহমদ ছফাকেই বেশি সংজ্ঞায়িত করেছে। যে বিষয় গুলোতে তার মুগ্ধতা বেশি ছিল, স্যারের যে কথা গুলো তিনি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন সেগুলোই তুলে এনেছেন তার বইতে। ভূমিকায় তিনি বলেছেন আবদুর রাজ্জাক স্যারের অনেক কথায় হয়ত অতি সংবেদনশীলেরা নিতে পারবে না, আবার অনেক কথার ভুল ইন্টারপ্রিটেশনে স্যারও রুষ্ঠ হবেন। তাই দুটো ব্যাপারে ছফাকে লক্ষ্য রাখতে হয়েছে। আবদুর রাজ্জাকের “Wit” গুলোও জায়গা বিশেষে সুন্দর করে খাপে মিলিয়েছেন যাতে করে নেহাত দুটি অচেনা-অজানা মানুষের কখনপোকখন পড়ে আমরা বিরক্ত না হয়ে যায়! অগাধ জ্ঞানের পাশাপাশি কাঁঠালের এঁচোড় বিষয়ক ঘটনার অবতারণা আবদুর রাজ্জাক স্যারের মানবীয় গুনাবলি প্রকাশ করেছে তো বটেই। হেনরী কিসিঞ্জারের সাথে দেখা করতে যাওয়ার ঘটনাও এক মজার ব্যাপার। আহমদ ছফার মুন্সীয়ানায় তাই আমি মুগ্ধ – ঠিক কতটুকু সিরিয়াসনেসের সাথে কতটুকু কৌতুক জুড়ে দিলে আমরাও আবদুর রাজ্জাক স্যারকে ভালবেসে ফেলব উনি তা মাথায় রেখেই এই বই লিখেছেন। অনেকে অনেক প্রশ্ন হয়ত তুলেছেন আহমদ ছফার উদ্দেশ্য কি ছিল এই বইটি লেখার পিছনে, নিজের গুরুর মহত্ব তুলে ধরা নাকি আবদুর রাজ্জাক স্যারের নানান বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদান ইত্যাদি। আমার কাছে মনে হয়েছে আহমদ ছফা এই অসাধারন মানুষটির সান্নিধ্যের স্বাদ কিছুটা হলেও আমাদের কাছে পৌছে দিতে চেয়েছেন এই বইটির মধ্য দিয়ে। দুজন অসম বয়সী বন্ধুর টুকরো টুকরো আলাপচারিতার স্মৃতিচারণ বলে একে মেনে নিতেও আমার আপত্তি নেই। বইটি আরেকটি কারনে প্রশংসার দাবি রাখে তা হল এর অসংখ্য রেফারেন্স। ইতিহাস, ধর্ম, অর্থনীতি, রাজনীতি, সাহিত্য এত এত বিষয় দুজনের আলাপচারিতায় উঠে এসেছে যে কেউ যদি এসব বিষয়ে আরও পড়াশোনা করতে চান তাহলে রেফারেন্স হিসাবে কি পড়বেন আমাদের আলোচ্য গুরুর কাছ থেকে তা ভালই জেনে নিতে পারবেন। বাংলার সুলতান থেকে শুরু করে জিন্নাহ, বঙ্কিম থেকে শুরু করে টলস্টয়, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে বিথোভেনের মুনলিট সোনাটা, মার্ক্স-এঙ্গেলস থেকে অ্যাডাম স্মিথ, ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র কিংবা সেক্যুলারিজম সবই তাদের আলোচনায় একে একে উঠে এসেছে। এমন নয় যে আপনি এসব সম্পর্কে বিস্তর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাবেন এ বইয়ে, কিন্তু জ্ঞানের নানা শাখার সূত্র ধরিয়ে দিতে অবশ্যই সক্ষম হবে বলে আশা রাখছি। আবদুর রাজ্জাক স্যার নিজেই একবার আহমদ ছফাকে বলেছিলেন, “ প্রথম লাইব্রেরীতে ঢুইক্যাই আপনার টপিকের কাছাকাছি যে যে বই পাওন যায় পয়লা একচোটে পইড়া ফেলাইবেন। তারপর একটা সময় আইব আপনে নিজেই খুইজ্যা পাইবেন আপনার আগাইবার পথ।” আর আমার মনে হয়েছে “টপিক” টা কি বেছে নেব সেটারই নানান পথ বাতলে দিয়েছেন লেখক এই বইটিতে। আবদুর রাজ্জাক স্যার বই পড়া প্রসঙ্গে খুব দারুন একটা কথা বলেছেন, “পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা। আপনের ভাষার জোর লেখকের মতো শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইর্যা নিবেন , আপনের পড়া অয় নাই।” এই কথাটার সাথে নিজের মিল খুঁজে পেলাম। কারন আমার মনে হয় আমিও রিভিউ লিখি ঠিক একই কারনেই – যতটা না অন্য পাঠকদের বইটির কথা জানানোর জন্য তার চেয়েও বেশি আমি নিজের মধ্যে বইটা নিতে পেরেছি কিনা উপলব্ধি করার জন্য। দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল আহমদ ছফার এই বইটি পড়ার। সত্যি বলতে এই প্রথম তার লিখা পড়লাম। তাই হালখাতা খুলতে “যদ্যপি আমার গুরু”ই বেছে নিয়েছি। দুটো মানুষের দৈনন্দিন সম্পর্ক আর আটপৌরে আলাপও যেন সাগর থেকে তুলে আনা মণি-মুক্তোর মত অমূল্য রত্ন। এই সুন্দর বইটা আসলে চমৎকার একটা অভিজ্ঞতার মত মনে হল।
Was this review helpful to you?
or
A good one
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
বই হিসেবে আহমদ ছফার প্রথম বই পড়লাম এটা। এই বইটি যেঁই মহান ব্যক্তিকে নিয়ে রচিত তিনি ছিলেন নিভৃতচারী একজন শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, সাহিত্য, সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তক। যাঁর সংস্পর্শে তৈরি হয়েছে বহু হীরকখন্ড। যাঁর প্রভাব ছিল বিদেশি অনেক স্কলারদের উপর। তিনি ছিলেন জ্ঞানের বিশাল এক সমুদ্র।তিনি হলেন জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা ও ছয়দফার মূল রচনাকারী। বইটি পড়লে আপনি জ্ঞানের রাজ্যে ডুবে যানেন কিছু সময়ের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া ভালো মানের বইগুলোর অন্যতম। একটা মানুষের জীবনকে কতটা সূক্ষ্মভাবে কলমের কালিতে ফুটিয়ে তোলা যায় তা বইটি পড়ে বুঝা যায়। দেশের ইতিহাস,ঐতিহ্যের অনেক কিছুই উঠে এসেছে বইটিতে। জানা যাবে নাম করা অনেক মানুষ সম্মন্ধে যার এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে।
Was this review helpful to you?
or
সেরা বই
Was this review helpful to you?
or
kfuyf
Was this review helpful to you?
or
দাম হিসেবে কোয়ালিটি একদম ঠিকঠাক৷
Was this review helpful to you?
or
boiti onek interesting. pore maja paoyar moton. prothom prothom ei boi ta porte amar ektu time legesilo. kintu pore bujhte pelam ei boita sudhu bangladesh na gota world er modhye ei boita ek legend. amar pora sera boi. amar onurodh, sobai please, please, please ei boita apnara jibone ekbar hoileo porien. apnar onek upokar hobe. ami chai, bangladesh theke vobissoteo jeno aro onek onek ei rokom boi niyomito prokashito hoy.
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
goood..........
Was this review helpful to you?
or
One of the Over hyped Book By Mr. Sofa
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
প্রত্যশিত সেবা!
Was this review helpful to you?
or
আহমদ সফা রচিত সুন্দর একটি বই। শিক্ষক-শিষ্য'র কথোপকথন, জ্ঞ্যান তাপষ আব্দুর রাজ্জাকের উইটি, সহজ-সাবলিল ভাষায় গভীর কথা, অসম্ভব জ্ঞানী-মেধাবী হয়েও নিরহঙ্কারী জীবন যাপন ও সফা'র মূল্যায়ন, স্মৃতিচারণ ...... সব মিলিয়ে বইটিকে বাংলা ভাষায় রচিত অবশ্য এবং সুখপাঠ্যে পরিণত করেছে।
Was this review helpful to you?
or
খুব একটা উপভোগ্য মনে হয়নি বইটিকে। যেরকম হাইপ সৃষ্টি হয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ।
Was this review helpful to you?
or
এমনিতেই আমার প্রিয় লেখকের মধ্যে আহম্মদ ছফা অন্যতম। বইটা আদ্যোপান্ত পড়তে বেশ কষ্ট হলেও সেটা স্বীকার করতে কষ্ট হয়নি কারন প্রবন্ধ গুলো খুবই উচ্চ মানের কথার মিশেল যা আমাকে সমাজ তথা জীবন নিয়ে নতুন করে বুঝতে শিখিয়েছে প্রকৃত ইতিহাস ও মূল্যবোধের শিক্ষা, আদর্শ। আশা করি আপনি বইটি পড়লে আরো ভালো কিছু উপলব্ধি করবেন।
Was this review helpful to you?
or
Nice book..❤
Was this review helpful to you?
or
যথেষ্ট ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
নির্দিষ্ট কোনো শব্দে আসলে এই বইয়ের রিভিউ লেখা সম্ভব না। জ্ঞানের দরজা খুলে দেওয়ার মত একটি বই। অসংখ্য প্রবাদপ্রতিম মানুষ এবং বিখ্যাত কিছু বইয়ের রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে এই বইয়ে। বইটি মূলত একজন শিক্ষক ছাত্রের কথোপকথন। তবে বইটি পড়ার সময় অবশ্যই কলম দিয়ে দাগিয়ে পড়া উচিত। রেফারেন্স বই এবং ব্যক্তিদের নোট নেওয়াটা খুব জরুরি এবং ধীরে ধীরে সেগুলোর ব্যাপারে জানা। তবেই এই বইটি পড়ার আসল স্বার্থকতা উপলব্ধি করা সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
Nice Book..
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়েছি আর অবাক হয়েছি। গুরু ইজ গুরু। এক কথায় বইটি না পড়লে আপিনার অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে জীবন সম্পর্কে।
Was this review helpful to you?
or
শিক্ষককে সাথে নিয়ে লেখক ইতিহাসে হেটেছেন; হাটিয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
I was very much moved by this book. I would say that this is a must-read and you can review the chapters anytime you want. Enlightening!
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
আহমেদ শফার লিখিত 'যদ্যপি আমার গুরু' অসম্ভব চমৎকার একটি বই।বইটিতে লেখক তার শিক্ষা জীবনে তার থিসিসের সুপারভাইজার প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন।শিক্ষামূলক এই বইটি সবার পড়ার অনুরোধ রইল।
Was this review helpful to you?
or
শিক্ষাবিদ ড. রাজ্জাক সাহেবের সাথে লেখকের কথোপকথন এর জীবন্ত দলিল এই বই। অসাধারন বর্ননা দিয়ে গেছেন স্যার রাজ্জাক , আর কলমের কালিতে তা ছফা সাহেব নিয়ে এসেছেন পাঠকের সামনে,যা পাঠকদের বিমোহিত করবেই। বইটি পড়লেই অকপটে স্বীকার করতে হয় শিক্ষাবিদ স্যার রাজ্জাক ছিলেন জীবন্ত encyclopaedia.
Was this review helpful to you?
or
যদ্যপি আমার গুরু ---আহমদ ছফা ============= ০১. বেঙ্গলের এন্টায়ার এডুকেশন সিস্টেমটাই টপ হেভি। ..................... বাঙ্গালিদের যে রকম ডিগ্রির ক্রেজ...... অন্য কোন অঞ্চলে এই ক্রেজ পাইবেন না। ০২. অনেক সময় উৎকৃষ্ট বীজও পাথরে পড়ে নষ্ট হয়..... ০৩..... এই এতগুলো ভূমিকায় আপনে এত সুন্দর সাকসেসফুল অভিনয় করতে পারেন, এইডাতো একটা মস্ত ক্ষমতা..... আপনে সুন্দর সুন্দর মিছা কথা কইবার পারেন... ০৪. লেখার ব্যাপারটি অইল পুকুরে ঢিল ছোড়ার মত ব্যাপার।..... আর পড়ার অইল অন্য রকম.... আপনের শব্দ ভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইর্যা নিবেন, আপনের পড়া অয় নাই। ০৫. "এ জ্যু'স ব্লাড ইজ অলসো রেড"... এইখানেই শেক্সপিয়রের আসল প্রতিভা ফুইট্যা বাইর অইছে। উপরে কয়েকটি লাইন খুব প্রিয় কিছু অমিয় বাণী। হ্যাঁ, আমি "যদ্যপি আমার গুরু"র কথাই বলছি। আমার পড়া অন্যতম সেরা একটা বই। ইউনিভার্সিটি সেকেন্ড বা থার্ড ইয়ারে একবার পড়েছিলাম, আজ থেকে ১৪/১৫ বছর আগে, অনেক কিছুই বুঝিনি, বেশির ভাগই মনে ছিলনা, অনেক বছর পর গতকাল পড়ে শেষ করলাম। ১০১ পৃষ্ঠার একটা বই মানে সাড়ে ৫০ পাতা। অথচ প্রতিটি পাতাই যেন হীরা, মনি, মুক্তো দিয়ে ভরা। কি নাই এতে? সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, ইতিহাস, দর্শন, ধর্ম, জীবন, ক্যারিয়ার, পড়ালেখা, ব্যাক্তিত্ব, ভিশন....... ০১. আপনি পড়ালেখা করবেন, ইচ্ছে হচ্ছেনা, আগুন ধরিয়ে দেবে। ০২. সাহিত্য জানিনা! বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, আরবি... ক্ষুদা তৈরি করে দিবে... ০৩. রাজনীতি বুঝিনা! ভালোকথা, ব্রিটিশ, ভারত -পাকিস্তান, বাংলাদেশ আরো বহুত কিসিমের জিনিস পাইবেন। ০৪. গান্ধী, জিন্নাহ, নবাব, ব্রিটিশ সাহেব, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, বঙ্গবন্ধু, জিয়া... ০৫. ব্রিটিশ ভাগ, পাকিস্তান সৃষ্টি, বাংলাদেশ শাসন একেবারে ডাইরেক্ট এক্সপিরিয়েন্স... ০৬. বড় বড় বিশ্বপন্ডিতদের লিস্ট দেব? সম্ভব না, এত লম্বা হবে এটা তখন একটা বুক রিভিউ না হয়ে একটা বইই হয়ে যাবে। ভাই সত্যি কথা অনেকরই নাম আমার প্রথম শুনা ছিল এই বইয়ের মাধ্যমে। এই বইটি মুলত একজন ছাত্রের চোখে তার শিক্ষক, আর সেই শিক্ষক যদি হোন জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, আর ছাত্রহোন বাংলার শক্তিমান লেখক আহমদ ছফা, তহলেই বুঝা যায় কেমন হবে বইটি..... পরোক্ষ আসফেক্টে এই ভাবে যে একটা শক্তিশালী আবেদনময় অবদানমুখি বই হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা থাকতো না। আমাদের দেশের এক চিরস্মরণীয় ব্যাক্তি প্রফেসর অবদুর রাজ্জাক স্যার। স্যারের আলোচনা, পড়াশোনা, বিশ্লেষনি শক্তি, নতুনেরে খুঁজে বেড়ানো, সহজ সরল জীবন ধারণ, ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র প্রায় সবই উঠে এসেছে এই বইতে। আমার চোখে অন্তত ৫ বছর পর পর হলেও ব্যসিক স্টাডির বইগুলো পড়া দরকার, আর এটা হল ১ম সারির মাস্ট রিড বই । প্রথমেই প্রচ্ছেদে প্রিয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্যারের সিম্পল হাসিমাখা ছবিটি দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। পড়ালেখা, পড়ানো, চিন্তা ভাবনা এই সব নিয়েই পুরো জীবন পার করে দেন। সারা দুনিয়ায় সমাদ্রিত এই ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে আমরা বাঙ্গালী ও বাংলাদেশিরাই তেমন জানিনা। আসুন জানি, বুঝি.... মাওলা ব্রাদার্স থেকে ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত বইটির দাম ১৭৫ টাকা, ডিসকাউন্টে আরো কমে আসে, আমি রকমারি থেকে নিয়েছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
আহমদ ছফা মানেই মনের কথা লেখা লেখক...
Was this review helpful to you?
or
অসাধরন লেখনি
Was this review helpful to you?
or
Go to Library and shake...... জনাব আব্দুর রাজ্জাক কে নিয়ে ওনার অভিজ্ঞতা দিয়ে পরিপূর্ণ এই বইটি। আব্দুর রাজ্জাকে আমি চিনিনা৷
Was this review helpful to you?
or
গুরুকে কিভাবে সন্মান দেওয়া যায় এবং স্মরণীয় করে রাখা যায় এই বই পরলেই বুঝা যাবে।
Was this review helpful to you?
or
আমার মনে হচ্ছে বইটি আমাকে অনেকখানি প্রভাবিত করেছে। রাজ্জাক স্যারকে আমারও স্যার মনে হচ্ছে। যেকোনো বই পড়ার পড়ে নোট নেয়া বা ছোট করে রিভউ লিখে রাখা আমার অভ্যাসে ছিল না। আমি শুধু প্রয়োজনীয় বা প্রিয় লাইনগুলো দাগিয়ে রাখতাম। এখন ভাবছি একটি খাতা বানাবো এই কাজের জন্য। ঢাকার পোলা হিসেবে রাজ্জাক স্যারের ভোজন আভিজাত্য আমাকে স্পর্শ করেছে। আমারও ইচ্ছে হচ্ছে পারিবারিক ভোজনপর্বকে উতসবের পর্যায়ে এবং খাবার গুলোকে শিল্পের পর্যায়ে নিতে; সুযোগ পেলে সেটা হয়তো নিবও। আর আহমদ ছফার লেখনী, প্রকাশভঙ্গী আমাকে ছুয়ে গেছে। শীঘ্রই লেখকের অনেকগুলো বই পড়েফেলার আশা করছি।
Was this review helpful to you?
or
কিছু বই থাকে যা একবার হাতে নিলে সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেখে দেয়া যায় না। এই বইতে এমন একজন জ্ঞানী এবং সৃজনশীল মানুষের কথা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যার মতো মানুষ এ জাতির আরও প্রয়োজন। আহমদ ছফা তার সাবলীল ভাষায় অনন্য এক প্রবন্ধ সৃষ্টি করেছেন। বোনাস হিসেবে দেশি বেদেশি নানা সাহিত্য এর আলোচনা এবং নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে আরও কিছু বই এর সন্ধান পাওয়া যাবে এই বইতে।।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন অনন্য?
Was this review helpful to you?
or
I made a video review on this book. check it out - https://www.youtube.com/watch?v=sAf7k0gzkUs
Was this review helpful to you?
or
বইটি আহমদ ছাফার একটি অসাধারণ সৃষ্টি আর আমি গর্বিত যে আমি সকল শিক্ষকদের শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যারের এলাকার লোক স্যার যে গ্রামে তার শৈসব পাড় করেছেন আমি সেই গ্রামের লোক
Was this review helpful to you?
or
বইটি শেষ করে অসম্ভব রকম ভালোলাগা নিয়ে রিভিও দিতে বসেছি। রিভিও আর কি দেব, এসে দেখছি সবাই আগেই আমার কথা গুলো সাজিয়ে বলে দিয়েছে। কিছু বই আছে যার রেশ পড়ার পরও দীর্ঘ দিন মনে থেকে যায়। যদ্যপি আমার গুরু তেমনই একটি প্রবন্ধ।
Was this review helpful to you?
or
বইটা আমি আদ্যোপান্ত পড়েছি , মুগ্ধ করেছে আমায়। প্রায় খুলে খুলে বিভিন্ন অংশ পুনঃপাঠ করি, পুরোনো মনে হয় না।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিকার অর্থে একজন ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলার জন্য আহমদ ছফা স্যার এর তুলনা অতুলনীয়। তিনি যেভাবে রাজ্জাক স্যার এর আচরণ, চাল-চলন, সাধারন মানের জিবন যাপন তুলে ধরেছেন তার প্রসংসা না করলেই নই।
Was this review helpful to you?
or
আহমদ ছফা বিরচিত 'যদ্যপি আমার গুরু' থেকে দীর্ঘ উদ্ধৃতি শেয়ার করছিঃ 'আমি কইছিলাম আপনেরা বাংলায় যত উপন্যাস লেখা অইছে সব এক জায়গায় আনেন। হিন্দু লেখক মুসলমান লেখক ফারাক কইরেন না। তারপর সব উপন্যাসে যত চরিত্র স্থান পাইছে রাম শ্যাম যদু মধু করিম রহিম নামগুলা খুঁইজ্যা বাইর করেন। তখন নিজের চৌকেই দেখতে পাইবেন, উপন্যাসে যত মুসলমান নাম স্থান পাইছে তার সংখ্যা ৫ পার্সেন্টের বেশি অইব না। অথচ বেঙ্গলে মুসলিম জনসংখ্যার পরিমাণ অর্ধেকের বেশি। এই কারণে আমি পাকিস্তান দাবির প্রতি সমর্থন জানাইছিলাম। উপন্যাস অইল গিয়া আধুনিক সোশ্যাল ডিসকোর্স। বেঙ্গলে হিন্দু মুসলমান শত শত বছর ধইর্যা পাশাপাশি বাস কইর্যা আইতাছে। হিন্দু লেখকরা উপন্যাস লেখার সময় ডেলিবারেটলি মুসলমান সমাজরে ইগনোর কইরা গেছে। দুয়েকজন ব্যতিক্রম থাকলেও থাকবার পারে। বড় বড় সব হিন্দু লেখকের কথা চিন্তা কইরা দেখেন। তারা বাংলার বায়ু বাংলার জল এই সব কথা ভালা কইরাই কইয়া গেছে। কিন্তু মুসলমান সমাজের রাইটফুল রিপ্রেজেন্টেশনের কথা যখন উঠছে সকলে এক্কেরে চুপ। মুসলমান সমাজরে সংস্কৃতির অধিকার থেইক্যা বঞ্চিত করার এই যে একটা স্টাবর্ন এটিচ্যুড তার রিমেডির জন্য অন্য কোন পন্থা আছিল না।' [জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে আহমদ ছফার কথোপকথন]
Was this review helpful to you?
or
বইটি প্রয়াত শ্রদ্ধেয় আব্দুর রাজ্জাক স্যারের সাথে লেখক আহমদ ছফার বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতার এক অসম্ভব সুন্দর উপস্থাপনা। বইটি পড়ার সময় বারবার এটিকে আলোচনার এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি মনে হচ্ছিল। আব্দুর রাজ্জাক স্যারের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অসাধারণ এক চিত্র এতে চিত্রায়িত হয়েছে। তার পারিবারিক বিষয় এতে সামান্য তুলে ধরা হলেও তা পরিবার সম্পর্কে জানার জন্য যথেষ্ট ছিল। সর্বোপরি চমৎকার একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
অনেক বার পড়েছি তার পরও সময় পেলেই বইটি পড়ি।
Was this review helpful to you?
or
যে যত বড়ই রথি মহারথি হয়ে যাক না কেনো, যতই সেলফ ইম্প্রুভমেন্টের বুলি আওড়াক না কেনো। প্রতিটা মানুষে লাইফে একজন থাকে যে পেছন থেকে সব কলকাঠি নাড়ে। বাপ মা ভাই বোন ফ্রেন্ড ফ্যামিলি স্কুল কলেজ ভার্সিটির টিচার বড় ভাই এলাকার মুরুব্বি যে কেউ। হাতেগনা মাত্র কয়েকটা বই পড়ছি তার মধ্যে এই বইটা লাইফে প্রথমবারের মতো এক বসায় পড়ে উঠছিলাম। মাত্র ১১০ পৃষ্ঠার বই এতো সমৃদ্ধ হতে পারে আমার জানা ছিলো না। ছোটখাট এন্সাইক্লোপিডিয়া বলা যায়। আর অধ্যাপক রাজ্জাক তার বাহক। উনি ছিলেন গুরুদের গুরু শিক্ষকের শিক্ষক। স্বাধীনতার পর চার জাতীয় অধ্যাপকের একজন। ধর্ম দেশ রাষ্ট্র সমাজ রাজনীতি দর্শন অর্থনীতি কুটনীতি মুজিব ইয়াহিয়া সলিমুল্লাহ এস এম সুলতান সব উঠে আসছে এই ১১০ পৃষ্ঠায়। আহমেদ ছফার জীবনে ঐ উপরের কলকাঠি নেড়েছিলো অধ্যাপক রাজ্জাক। বইটা স্মৃতিচারণমূলক না তার থেকে অনেক বেশি কিছু। অন্তত আমার মনে হইছে আহমেদ ছফার এই বইটা প্রতিটা বাঙ্গালীর একবার হলেও পড়া উচিত। ’যদ্যপি আমার গুরু' পড়বার সময় বারবার নিজের গুরুর কথা মনে আসবে।
Was this review helpful to you?
or
'গুরু' জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্যারকে নিয়ে আহমেদ ছফার বেশ বিখ্যাত একটা বই। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়েছি, কিছু জায়গায় একটু খটমটে লেগেছে, তবে তার কারণ হিসেবে আমার নিজের জ্ঞানের স্বল্পতাকেই দায়ী করবো। বইটাকে যতটা না বায়োগ্রাফি-মূলক, তারচেয়ে অনেক বেশি প্রবন্ধ-ধর্মী বলা যায়। ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ে বেশ ডিটেইলড বর্ণনা দিয়েছেন, খুব কাছ থেকে দেখা আবদুর রাজ্জাকের। তবে চমৎকার ব্যাপার হলো, এই বইয়ে উঠে এসেছে আরো অনেক কিছু। দেশ, ধর্ম, শিল্প-সংস্কৃতির সাথে সাথে আমাদের পরিচিত অনেক নাম এসেছে। উঁকি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ-নজরুল, ভাসানী-চিত্তরঞ্জন দাস-শেখ মুজিব-লেনিন। প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে উপমহাদেশের রাজনৈতিক পালাবদল, বায়ান্ন-একাত্তরের অধ্যায়গুলোতে ফুটে উঠেছে প্রখর চিন্তার ছাপ। কখনো কখনো কিছু অংশে আহমেদ ছফা জাগ্রত করেছেন নিজের লেখক স্বত্ত্বা। সব মিলিয়ে নিজের গুরুর মানসিকতা, ভাবনা, জ্ঞান-গরিমার রাজ্যের একটা হাইলাইট বেশ নিপুণভাবেই দিয়েছেন লেখক।
Was this review helpful to you?
or
Many of the teachers are, how many can occupy the place of the teacher in the mind of the student? Don't know the rest, I can talk about myself. In my short life, I learned from many teachers, including school-college-coaching, but how many of them have got importance in their mind as gurus? A few in the hand. Some of them have taken the place of me and many of my teammates with their personality and knowledge. The book "Nevertheless, my Guru" is called Ahmad Chhafar Gurudakshina. I've heard a lot of good things about the book, many have done the Richmond. So when I started, the level of hope was high. But perhaps my failure, the book did not look that way. Why not? First, the book is small, yet why it seems to me to be a drag. Ahmad Chhafa does not seem to have said anything beyond what he has to say. Yet, the spontaneous genre of his writing that I felt while reading the previous books, I did not feel that way. At one point I had to read a little forcefully. About whom the book was written, the national professor Abdur Razzak was undoubtedly knowledgeable. He was probably awesome as a human being. But I could not agree with many of his views. I have no problem in misunderstanding the thinking of wise people like him. Yet I do not hesitate to say that I do not believe in such thinking. To sum it all up, this first Ahmed Chhafer didn't like any book. When I grow up, I have to read another time, see if I can understand a little more, see if I like it a little more.
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
best book ever by ahmed chofa
Was this review helpful to you?
or
আমি যখন ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম ক্লাসে বাংলা শিক্ষকের কাছে আহমেদ ছফা নামটি প্রথম শুনেছিলাম। পরবর্তিতে একজন বই পাগল মানুষের সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় আমার। সেই রুমমেট প্রিয় ভাইয়ের থেকে আহমেদ ছফার 'যদ্যপি আমার গুরু' বইটি। সত্যি অসাধারন লেখনি প্রতিভা বলতেই হবে। খুবই ভাল লেগেছে , আমি মুগ্ধ
Was this review helpful to you?
or
'যদ্যপি আমার গুরু' বলতে লেখক আহমদ ছফা তার গুরু জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে নিয়ে লিখা। খুব মজার লিখনি, সবাই পড়ে আনন্দ পাবে।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ যদ্যপি আমার গুরু লেখকঃ আহমদ ছফা প্রচ্ছদঃ কাইয়ুম চোধুরী প্রকাশনীঃ মাওলা ব্রাদার্স মুদ্রিত মূল্যঃ একশত পঁচাত্তর টাকা মাত্র যদ্যপি আমার গুরু বইটি সম্পর্কে অনেক শুনেছি তবে সময় হয়ে ওঠেনি পড়ার। বাসায় আসার সময়ে বাসে বসে শেষ করে ফেললাম যদ্যপি আমার গুরু বইটি। আহমদ ছফা বাংলা একাডেমীতে গবেষণার জন্য অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পান । আহমদ ছফা প্রথম পুরুষে পুরো রচনাটি লিখেছেন। তিনি প্রথমেই রাজ্জাক স্যারের অতি সাধারণ জীবনযাপনের কথা তুলে ধরেছেন। স্যারের কথাবার্তাতেও ঢাকার একজন সাধারণ বাসিন্দা বলে মনে হবে। কিন্তু তার জ্ঞানের পরিধি যে বিশাল তা মানতে হবে। কিন্তু তারপরেও তার লেখা কোনো বই নেই কেন এমনটা আহমদ ছফা ভেবেছিলেন। আহমদ ছফার মনোযোগ এক বিষয়ে বা এক ব্যক্তিতে বেশিদিন থাকে না। কিন্তু জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে তিনি যতবারই গিয়েছেন আহমদ ছফার কাছে তাকে কোনোদিনই পুরনো মনে হয়নি। শুধুই আহমদ ছফাই নন তার কাছে যিনিই গিয়েছেন তার জ্ঞানের পরিধি অবশ্যই বিস্তৃত হয়েছে। শুধু যে জ্ঞানার্জনের জন্যই লোকে তার কাছে যেতেন এমনটা নয়। অনেকে বিভিন্ন ধরনের তদবীর নিয়ে তার কাছে হাজির হতেন। তিনি তার যথাসাধ্য চেষ্টা করতেন। রাজ্জাক স্যার আহমদ ছফাকে মৌলবী আহমদ ছফা বলে ডাকতেন। রাজ্জাক স্যারের “যখন কোনো নতুন জায়গায় যাইবেন, দুইটা বিষয় পয়লা জানার চেষ্টা করবেন। ওই জায়গার মানুষ কি খায়। আর পড়ালেহা কি করে। কাঁচাবাজারে যাইবেন, কি খায় দেখনের লাইগ্যা। আর বইয়ের দোকানে যাইবেন পড়াশোনা কি করে হেইডা জাননের লাইগ্যা।“ কথাটি মোটামুটি সকলেই জানেন। আহমদ ছফা তাকে নিয়ে যা লিখেছেন বেশিরভাগই তার স্মৃতি হাতড়ে লিখেছেন। কোনোখানে আবার আহমদ ছফা তার নিজের মত রাজ্জাক স্যারের কথার ব্যাখ্যা করেছেন। তবে রাজ্জাক স্যারের সবচেয়ে যে কথাটি ভালো লেগেছে যা আহমদ ছফা এই বইতে তুলে ধরেছেন, “ লেখার ব্যাপারটি হইল পুকুরে ঢিল ছোড়ার মতো ব্যাপার। যতো বড় ঢিল যত জোড়ে ছুড়বেন পাঠকের মনে তরঙ্গটাও তত জোরে উঠব এবং অধিকক্ষণ থাকব। আর পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইর্যা নিবেন আপনের পড়া হয়নাই। আমি ইদানীং এই থিউরীটা নিজের ওপর খাটাচ্ছি। এই বই পড়ে আমি আসলে অনেক জিনিস নতুন করে জানতে শিখেছি। মনে করি সবারই এই বইটা একবার হলেও পড়া উচিৎ।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
প্রকাশের ২০ বছর পর পুনরায় প্রকাশিত হয়ে বেস্ট সেলার তকমা পাওয়া বই কেমন হবে সেটা ভাবার অবকাশ না পেয়ে কিনা মাত্র পড়ে ফেললাম যদ্যপি আমার গুরু। তৎকালীন জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্যারের অধীনে লেখক কাজ করার সময় স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে এই বই সৃষ্টি। বইয়ে স্যার এবং লেখকের কথোপকথন ই শিক্ষা। আশা করি বই পড়ে আপনি কিছুটা হলেপ প্রভাবিত হবেন।
Was this review helpful to you?
or
ছফা সাহেব বলেছেন, ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র ইত্যাদি বিষয়ে রাজ্জাক স্যার স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেসব কথা বলে গেছেন, সেগুলো যদি আমি যথাযথভাবে টুকে রাখতে পারতাম, তাহলে আমি আমার দেশের মানুষের সামনে জ্ঞান বিজ্ঞানের একটা রত্নভাণ্ডার তুলে ধরতে পারতাম। এই কথা থেকেই বোঝা যায় বইটি কেমন হবে।
Was this review helpful to you?
or
যদ্যপি আমার গুরু- আহমদ ছফা আব্দুর রাজ্জাক যাকে বলা হয় জ্ঞানতাপস। জীবনে পড়েছেন প্রচুর, কথা বলেছেন খুব কম এবং কিছুই লেখেননি। কিন্তু তার চিন্তার বহুমাত্রিকতা তাই বলে আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যায়নি। আহমদ ছফা যদ্যপি আমার গুরু বইটির মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের একটি নিরপেক্ষ কিন্তু চমৎকার রূপরেখা এঁকেছেন যদিও এটা খুবই কঠিন। কেমন মানুষ ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক? মনের দিক থেকে কেমন? মহিমার দিক থেকে কেমন? ভাবনার দিক থেকে কেমন? এমন একজন মানুষের চিন্তাভাবনা থেকে কি আদৌ নতুন করে কিছু শেখার বা জানার আছে? জ্ঞান অর্জন ও নিরহঙ্কারীর মতো একজন গুণগ্রাহী ব্যক্তির জীবন থেকে আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে পারি। আব্দুর রাজ্জাক আহমদ ছফাকে বলতেন মৌলভী ছফা। তাহলে চলুন পড়ে ফেলি মৌলভী ছফার বয়ানে আব্দুর রাজ্জাকের জগতের রূপরেখা যে মানুষ অনেকের কাছে অকৃত্রিম বিস্ময় ও শ্রদ্ধার পাত্র। এই বইটিতে আব্দুর রাজ্জাকের বেশ কিছু অমূল্য "সাক্ষাৎকার" রয়েছে। এগুলোই এই বইয়ের মূল আর্কষণ বলে আমি মনে করি। কারণ এগুলোই আমাদের নতুন করে দেখতে ও ভাবতে শেখাবে
Was this review helpful to you?
or
"পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা। আপনার ভাষার জোর লেখকের মত শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইরা নিবেন, আপনের পড়া অয় নাই।" এই উক্তি পড়ার পরে বই পড়ায় আরো মনযোগী হওয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করলাম।সাধারণত একাডেমীক বিষয়ের বাইরে পঠিত অন্যান্য বই এতোটা গভীরভাবে পড়া হয়না।শুধুমাত্র মূল/ সারাংশ টুকু জানতে পারলেই হতো!কিন্তু যেকোনো কাজ করলে তা যে ভাল মতো/যথাসাধ্য সুচারুরূপে করা উচিৎ তা আরেকবার স্মরণ হল উক্ত উক্তি পড়ে। 'যদ্যপি আমার গুরু' প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক এবং চিন্তাবিদ আহমদ ছফা রচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ।বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি এবং জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যারের সাথে লেখকের পরিচয়ের পর থেকে একটা সময় তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ সাহচর্য পেয়েছিলেন। সেই সূত্রে লেখক তাঁর ব্যক্তিত্ব, চিন্তাভাবনা এবং মনীষায় ভীষণরকম আকৃষ্ট হন।আর 'যদ্যপি আমার গুরু' গ্রন্থে লেখক আহমদ ছফা অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যারের সেসব বিষয় চমৎকারভাবে চিত্রিত করতে সক্ষম হন। এমন ব্যক্তিত্ব ও মনস্বী ব্যক্তি সম্পর্কে পড়লে/জানলে নিজেও সেরকম হতে মন চাইতে পারে। কেননা লেখক ঠিক তেমনটাই করতে সক্ষন হয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
আমি এই বইটি থেকে প্রথম কিছু অংশ পড়েছি তা মুগ্ধ হয়েছি , আসা করি বাকি তা পরে আরো ভালো কিছু পাবো।
Was this review helpful to you?
or
জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক সাহেবকে নিয়ে তারই ছাত্র লেখক আহমদ ছফার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। দেশ বিভাগের পূর্বেকার বেশিরভাগ ঘটনা এবং বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য এবং বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গদের(হ্যারল্ড ল্যাস্কি, মুনীর চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) সম্পর্কে রাজ্জাক সাহেবের চিন্তাভাবনা হুবুহু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক। বইটা পড়ার পর পুরাতন বিষয়গুলো আবার নতুন করে ভাবাবে আপনাকে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
কয়েকদিন আগে পাঠ্যাবাস গ্রুপ এ একজন পোষ্ট করেছিলো যে তিনি বই পড়া শুরু করতে চান, এখন কোন বই দিয়ে শুরু করবেন। অনেকেই অনেক বই সাজেস্ট করেছিল তো ওখানে একজন আহমদ ছফার যদ্যপি আমার গুরু বইটি সাজেস্ট করেছিল। আমার তো আগে থেকেই বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে তারপর ও এই বইটি রকমারি থেকে কিনে আনি। তো আজ বইটি পড়তে বসেছিলাম, প্রথম কয়েকপাতা এলোমেলো লাগছিলো, কিন্তু একটু পরেই মনে হল যারা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে চায় তাদের জন্য এর চেয়ে ভাল বই হয়তো হাতেগুনা কয়েকটা পাওয়া যাবে। বইটি পড়ে হয়তো নতুন রা বই পড়ার ব্যপারে তেমন উৎসাহ পাবে নাহ, তবে এটি পড়ে এমন কয়েকটি বিষয় জানতে পারবে যা নেক্সট টাইম বই পড়ার ক্ষেত্রে অনেক উপকারি। ধন্যবাদ কমেন্ট টি পড়ার জন্য
Was this review helpful to you?
or
'যদ্যপি আমার গুরু' বইটি অামার কাছে আহমদ ছফার লেখা সেরা বইগুলোর একটি বলে মনে হয়েছে।কারণ গুরু-শিষ্যের মধ্যেকার সম্পর্কের যে বর্ণনা তিনি এ বইয়ে দিয়েছেন তা অত্যন্ত চমৎকার ছিল।এ বইয়ে তিনি তার গুরু জাতীয় অধ্যাপক "আবদুর রাজ্জাক" স্যারের স্মৃতি চারণ করেছেন।আর একজন ভালো বন্ধু যে একটি লাইব্রেরির সমান তা সুনিপুণভাবে স্যারের মাধ্যমে উপস্থাপন করছেন লেখক।স্যারের সঙ্গে লেখকের যে কথোপকথন গুলো বইতে আছে, তা যেন প্রত্যেকটি একেকটি বিষয়ের একেকটি বই। সকল বিষয়ে স্যারের ছিলো অসাধারণ জ্ঞান। এতো জ্ঞানীগুণী মানুষ হয়েও স্যার বাস করতেন অতি সাধারণ ভাবে। লেখক স্যারের বাসায় গিয়ে সব সময় দেখা করতেন,তাঁর পরামর্শ নিতেন,তাঁর কাছ থেকে নতুন নতুন বই সম্পর্কে অভিমত জানতে চাইতেন এবং স্যারের অাদেশে লেখককে দিনরাত পড়ালেখা করে অনুবাদের কাজ পর্যন্ত করতে হয়েছে।সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে, জাতীয় অধ্যাপক হওয়া সত্ত্বেও দুবার স্যার বাহিরে লেখকের সঙ্গে দেখা করার জন্য গেছিলেন কিন্তু একবারো দেখা হয়নি। কারণ স্যারের শরীরে যে পোশাক ছিলো তা অতি সাধারণ ছিল এবং তার জন্য লেখকের লোকজন স্যারকে চিনতেই পারেনি। এই বইটা থেকে আরো অনেক জ্ঞানীগুণী জনের সম্পর্কেই জানা যাবে, যাদের সাথে আবদুর রাজ্জাক স্যারের যোগাযোগ ছিলো।তবে সবথেকে দুঃখজনক ব্যাপার হলো স্যার এত বড় মাপের মানুষ হলেও কখনো বিয়ে করেননি, তিনি সবাইকে হাজারটা পরামর্শ দিয়ে বেড়ালেও কখনো একটা বইও অামাদের জন্য লিখে যাননি। পুরো লেখাজুড়ে লেখক স্যারকে যে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন এবং স্যারও তাঁর শিষ্য অাহমদ ছফাকে যেভাবে অান্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন তার থেকে অামাদের অনেক কিছু শিখার অাছে।অাধুনিক যুগে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যেকার একন অান্তরিক সম্পর্ক সচরাচর দেখাই যায় না।সবশেষে বলব বইটা অামাট চরম লেগেছে।কারণ বইটিতে অাহমদ ছফা ও রাজ্জাক স্যার সম্পর্কে অনেক কিছু জানার ও শেখার ছিল।তাই পাঠক অাশা করি এ বইটি পড়ার সুযোগ মিস করবেন না।
Was this review helpful to you?
or
আসলে বইটি না পড়লে কেউ বুঝবে না এটার মজা ।। খুবই সুন্দর একটি বই।।। একজন প্রশ্নকারী কে যেভাবে উত্তর দিলে প্রশ্নকারীর মনে হবে যে এই উত্তর টাই আমি চাইছিলাম,,কিংবা তার মনে হবে আমি যেভাবে উত্তর চেয়েছি তার থেকেও বেটার উত্তর আমি পেয়েছি ,, এটাই এই বইটার জনপ্রিয় তা বাড়িয়েছে।।। আহমদ ছফা এবং আবদুর রাজ্জাক স্যার এর কথোপকথন গুলো পড়লেই বুঝবেন ।। এক কথায় সাবলীল ভাষার এই বইটি পড়লে মেধাটা ভালই চাঙা হবে।। দা বেস্ট ❤?✌
Was this review helpful to you?
or
তিঁনি আমাদের কালের নায়ক, যিনি না জন্মালে কিংবা না লিখলে বাংলা সাহিত্য অনেকখানি অপূর্ণ থেকে যেতো। "যদ্যপি আমার গুরু" বাংলাদেশের অগ্রণী চিন্তাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা বিরচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ। দীর্ঘ স্মৃতিচারণামূলক রচনাটি ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে বই আকারে প্রকাশের আগে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রায় চার মাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তি জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাথে লেখকের বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনসমূহের বিবরণ পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। ছফা অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মনীষা এবং চারিত্র্য প্রাঞ্জল ভাষায় ও সুচারু শৈলীতে চিত্রায়িত করেছেন। রাজ্জাকের মুখনিঃসৃত সংলাপ যতদূর সম্ভব তিনি যে ধরণের ঢাকাইয়া বুলিতে কথা বলতেন সে বুলিতেই তুলে ধরেছেন ছফা। গ্রন্থটিকে ছফার গুরুদক্ষিণা বলা হয়।
Was this review helpful to you?
or
ফ্ল্যাপে লিখা কথা জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে চলমান বিশ্বকোষ বললে খুব একটা অত্যুক্তি করা হয় না। অর্থশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, শিল্প-সাহিত্য, ধর্ম-সংস্কৃতি এই সবগুলো বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞের মতো মতামত দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। সমকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপীঠসমূহের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের অনেকেই একবাক্যে তাঁর মেধা এবং ধী-শক্তির অনন্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই নিভৃতচারী, অনাড়রম্বর জ্ঞানসাধক মানুষটি সারাজীবন কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। সভ্য-সমিতিতে কথাবার্তা বলারও বিশেষ অভ্যাস তাঁর নেই। তথাপি এই কৃশকায় অকৃতদার মানুষটি তাঁর মেধা এবং মনন শক্তি দিয়ে জাতীয় জীবনের সন্ধিক্ষণ এবং সংকটময় মুহূর্তসমূহে পথ নির্দেশ করেছেন। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, বলতে গেলে, চারটি দশক ধরেই তরুণ বিদ্যার্থীদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। সকলেই স্বীকার করেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক একজন প্রবাদতুল্য পুরুষ। কিন্তু তাঁর জ্ঞানচর্চার পরিধি কতদূর বিস্তুত, আর তিনি ব্যক্তি মানুষটি কেমন সে বিষয়েও মুষ্টিমেয় অনুরাগীদের বাইরে অধিক সংখ্যক মানুষের সম্যক ধারণা নেই। যদ্যপি আমার গুরু গ্রন্থটি পাঠক সাধারণের মনে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মনীষা এবং মানুষ আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে একটি ধঅরণা গঠন করতে অনেকখানি সাহায্য করবে। এই গ্রন্থের লেখক আহমদ ছফা আমাদের সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি অধ্যাপক রাজ্জাকের ছাত্র। দীর্ঘদিন মেলামেশা করার ফলে অধ্যাপক রাজ্জাককে খুব ঘনিষ্ঠভঅবে দেখার যে দুর্লভ সুযোগ তাঁর হয়েছে, বর্তমান গ্রন্থ তার প্রমাণ। অধ্যাপক রাজ্জাকের ওপর খোলামেলা, তীক্ষ্ণ, গভীর এবং সরস এমন একটি গ্রন্থ রচনা করা একমাত্র আহমদ ছফার পক্ষেই সম্ভব। লেখক অধ্যাপক রাজ্জাকের উচ্চারিত বাক্যের শুধু প্রতিধ্বনি করেননি, ব্যাখ্যা করেছেন, উপযুক্ত পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপন করেছেন, প্রয়োজনে প্রতিবাদও করেছেন। এখানেই গ্রন্থটির আসল উৎকর্ষ। অধ্যাপক সমকালীন বিশ্বের কথা বলেছেন। সামাজিক দলিল হিসেবেও গ্রন্থটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটি বই। লেখকে অনেকেই চিনি না । তবে তার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর কিছু তথ্য পাবেন এই লেখাই
Was this review helpful to you?
or
কলেজে পড়াকালীন সময়ে রাজ্জাক স্যারের কথা সিনিয়রদের কাছ থেকে অনেক শুনেছি। তারপর থেকেই উনার প্রতি প্রচন্ড শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়েছিল। আহমদ ছফা স্যারের লেখা নিয়ে কোন কথা লেখার যোগ্যতা এখনো অর্জন করতে পারিনি। “যদ্যপি আমার গুরু” যতবারই পড়ি না কেন ততবারই নতুন ভাবে আকর্ষিত হই। সবারই অবশ্যই বইটি পড়া উচিত। রাজ্জাক স্যারদের মতো মানুষদের বর্তমান সময়ে খুবই দরকার।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ যদ্যাপি আমার গুরু --লেখকঃ আহমদ ছফা--- বইটি লেখক আহমদ ছফা উনার প্রিয় একজন শিক্ষক কে নিয়ে লিখেছেন। যিনি সাহিত্যের জ্ঞান এর পাহাড় ছিলেন। উনার সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সময়কার বিখ্যাত ও গুণী মানুষদের সাথে।তাই, এই বই থেকে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। বইয়ের প্রিয় কিছু উক্তি নিচে তুলে ধরলাম : **গুরু মুহাম্মদে করি ভক্তি, স্থানে স্থানে প্রকাশিত নিজ মনোউক্তি। **নতুন কোনো জায়গায় গেলে। দুইটি জিনিস খিয়াল করা দরকার। তারা কি খায় আর কি পড়ে। **বই পড়ার পরে ঐ বইয়ের যদি নিজের মত করে একটা রিভিউ লেখা যায়।তাহলে পড়া সার্থক মনে করতে হবে,নয়তো পড়া হয়নি। **বই পড়ার সময় গুরুত্ত্বপূর্ণ লেখা নোট করে রাখতে হয়। ♥আরো ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে বইটাতে আমাকে নিয়ে কথা হয়েছে।আই,মিন স্যার সলিমুল্লাহ সম্পর্কে। **বড় লেখক আর বড় মানুষ এক না।
Was this review helpful to you?
or
'যদ্যপি আমার গুরু' এমন একটা বই যেটাকে স্বল্প বাক্যে তুলে ধরা কঠিন। প্রখর ধীশক্তিসম্পন্ন দুজন মানুষের আলাপচারিতায় উঠে আসা তথ্যে বইটি হয়ে উঠেছে তথ্যকোষ। লেখক আহমদ ছফার ইচ্ছা ছিল তিনি পিএইচডি করবেন। থিসিসের পরামর্শক হিসেবে তিনি প্রফেসর আবদুর রাজ্জাককে বেছে নিয়েছিলেন। অতি জ্ঞানী মানুষটির সংস্পর্শে এসে ছফার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন লাটে উঠেছিল। তবে ডিগ্রী অর্জন করে ছফা যা শিখতে পারতেন, তার থেকে কম শিখেছেন সেটা বলা যাবে না। 'মনীষা কান্তি' বলে একটা কথা আছে যার মানে বুদ্ধির প্রেমে পড়া। ছফার মতে তিনি রাজ্জাক সাহেবের তীক্ষ্ণ ধীশক্তির প্রেমে পড়েছিলেন। নিত্য তার কাছে ছুটতেন ছফা, জ্ঞানের টানে। সমাজ, রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং সমকালীন ঘটনা প্রবাহ সবকিছু নিয়েই দুজনের মাঝে হতো বিস্তর আলোচনা, তা থেকে ঠিকরে পড়তো প্রজ্ঞার আলো। তারই সংকলিত রূপ হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে, অধ্যাপক রাজ্জাকের মৃত্যুর আগের বছর। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে তাদেরই সমসাময়িক লেখক ড. আহমদ শরীফকে। 'যদ্যপি আমার গুরু' তে শিষ্যের কলমে উঠে এসেছে গুরুর ব্যক্তিগত জীবন, তার বিনয়, তার জ্ঞান, তার দৃষ্টিতে তার সময়ের অন্যান্য কিংবদন্তীদের সম্পর্কে নানা তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিঁখুত পর্যবেক্ষণ। প্রফেসর রাজ্জাকের বাচনভঙ্গির একটা বিশেষত্ব ছিল, তিনি ঢাকার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতেন। পোষাক পরিচ্ছেদের ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনাড়ম্বর। বিয়ে করে সংসারী হওয়া হয়নি তার। তবে খাবার দাবারের ব্যাপারে তাকে বেশ শৌখিন হিসেবেই দেখিয়েছেন ছফা। দেশী - বিদেশী সব ধরনের খাবার নিয়ে তার আগ্রহ ছিল। সমসাময়িক ব্যক্তি এবং পরিস্থিতি নিয়ে তার নিজস্ব একটা মত ছিল। সেটা প্রকাশে তিনি অকপট ছিলেন। তার মাঝে পরোপকার করার এবং ভালো কাজে পৃষ্ঠপোষকতা দানের প্রবনতা ছিল। কারো গুণটা যদি তার গোচরে আসতো ব্যক্তিগত ভাবে তাকে পছন্দ না হলেও তার গুণের কদরে তার সহযোগীতায় এগিয়ে যেতেন। জ্ঞান চর্চা এবং জ্ঞান বিকাশে তার প্রচেষ্টা ছিল নির্মোহ। ছফা - রাজ্জাকের আলোচনায় উঠে এসেছে আমাদের শিল্প, সাহিত্য এবং রাষ্ট্রিয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনেকের নাম। তাদের অনেকের প্রশংসা করেছেন তিনি, অনেকের ব্যাপারে করেছেন সমালোচনা। ঈশ্বরচন্দ্র, জসীমউদ্দীন, নজরুল, মুনীর চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিদের প্রশংসা করেছেন অকুণ্ঠচিত্তে। অন্যদিকে বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যকর্মকে তিনি মনে করতেন উপস্থাপনে আধুনিক হলেও বিষয়বস্তুতে মধ্যযুগীয় ধর্ম কেন্দ্রিক। রাজা রামমোহন রায়কে তিনি মনে করতেন না অতি বড় সমাজ সংস্কারক। তার মতে 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' রচনাই তার সবথেকে বড় কীর্তি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তিনি যতো বড় লেখক ততো বড় মানুষ বলতে চাননি। এমনকি তার কবিতার থেকে প্রবন্ধ নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন এবং বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন। শিল্পী জয়নুল আবেদীনের সাথে ছিল তার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক। তাকে মনে করতেন অতি উচ্চ দরের শিল্পী। গ্রান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদের দাবারু হয়ে উঠবার পিছনে ছিল তার পৃষ্ঠপোষকতা। শিল্পী এস এম সুলতানকেও তিনি সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন ভাবে। বাঙ্গালী মুসলিমদের একটা স্বতন্ত্র শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্যের জগৎ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করতেন। তিনি ইসলামকে মনে করতেন না পরকাল সর্বস্ব ধর্ম। পার্থিব - পরলৌকিক দুই দিকেই ইসলামে স্বীকৃত বলে তার ধারণা। বাংলাসাহিত্যে মুসলিমম সাহিত্যিকরাই প্রথমে পরলৌকিকতার বাইরে এসে সাহিত্য রচনা করেছেন বলে তিনি মত দিয়েছেন। অন্যদিকে অনেক বিখ্যাত হিন্দু সাহিত্যিক নিরপেক্ষ ভাবে সাহিত্য রচনা করতে সক্ষম হয়নি বলে তিনি মনে করেন। তার মতে পাশাপাশি বাস করার পড়েও এইসব সাহিত্যিকদের সৃষ্টিতে মুসলিমদের উপস্থিতি ৫% এর বেশি হতে পারে নি। তাই মুসলিম মানসের বিকাশে তিনি ছিলেন জিন্নাহর দ্বি - জাতী ত্বত্তের সর্মথক। তার সময়ের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তির সাথে তার আলাপ পরিচয় ছিল। তাদের অনেকের সম্পর্কে প্রফেসর তার মতামত প্রদান করেছেন নিঃস্পৃহ ভাবে। বই পড়া নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিটা ছিল এরকম, যখন আপনি কোন বই পড়া শেষ করে সেই বইটি নিজের ভাষায় লিখতে পরবেন তখনই কেবল বইটি ঠিকভাবে আপনার পড়া হয়েছে। যদি বইটির সারবস্তু নিজের ভাষায় লিখতে না পারেন তবে বুঝতে হবে বইটা পড়া হয়নি। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তার নিজেস্ব একটা দৃষ্টিভঙ্গির ছিল। তার মতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার উপর গুরুত্ব বাড়ানো উচিৎ। ডিগ্রী সর্বস্ব শিক্ষার সমালোচনা করেছেন তিনি। তার মতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় নয় শক্তিশালী 'মিডল স্কুল' পারে শিক্ষার মেরুদন্ডকে শক্ত করতে। আমাদের দেশের জনগনকে তিনি মনে করেন অনেক মেধাবী। তার মতে যদি সঠিক যত্ন নেয়া যায় তবে সম্পদে পরিণত হতে পারে সাধারণ জনগন। বাগদাদের খলিফা হারুনর রশীদ। প্রচন্ড জাত্যাভিমান তার। জাত্যাভিমানে অন্ধ হয়ে নিজের বোন আব্বাসাকেও হত্যা করেন তিনি। কিন্তু এতে করে তার মধ্যে এক ধরনের মানসিক অশান্তি দেখা দেয়। হাসতে ভুলে যান তিনি। এমন এক সময় নিজের কর্মচারী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু মশরুরকে নিয়ে বাগানে ঘোরার সময় তিনি হাসির শব্দ শুনতে পান। হাসি শুনে তিনি মুগ্ধ হয়ে এর উৎস খুঁজতে থাকেন৷ এক পর্যায়ে তিনি আবিষ্কার করেন, হাসির শব্দ আসছে তার গোলাম তাতারীর ঘর থেকে। তাতারী ও আর্মেনীয় বাদী মেহেরজানের প্রণয়ের সময় তাদের হাসি খলিফার কানে পৌঁছে। তাতারী ও মেহেরজানকে লুকিয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন খলিফার স্ত্রী বেগম জোবায়দা। খলিফা এই খবর পেয়ে ভেতরে ভেতরে রেগে থাকলেও কৌশলে তাতারী ও মেহেরজানকে আলাদা করে দেন। কারণ মেহেরজানের রূপে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। তাতারীকে মুক্ত করে তিনি বাগিচা উপহার দেন। আর মেহেরজানকে নিজের বেগম বানিয়ে ফেলেন। খলিফা ভেবেছিলেন তাতারী বাগিচা পেয়ে খুশি হবে। কিন্তু হয়েছিলো তার উল্টোটা। তাতারীর মুখের হাসি চলে গেল। কারণ তার প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছ থেকে তাকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। কিছুদিন বাদে খলিফা তার বন্ধুদের নিয়ে তাতারীর হাসি দেখতে যান। কিন্তু ব্যর্থ হন। তাতারীর মুখের হাসি ফেরাতে বাগদাদের সেরা নর্তকীকে পাঠান তার ঘরে। কিন্তু তাতারী তাকে প্রত্যাখ্যান করে। আত্মগ্লানিতে ভুগতে থাকা নর্তকী আত্মহত্যা করে। এতে করে খলিফা ক্ষেপে গিয়ে তাতারীকে বন্দী করেন। তার উপর অত্যাচার করা হয়। তাতারীকে হাসতে হবে। না হাসতে পারলে তাকে বন্দী হয়ে অত্যাচার সহ্য করে যেতে হবে। এভাবেই এগিয়ে গেছে শওকত ওসমান রচিত ‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসটি। এটি একটি অনুবাদমূলক উপন্যাস। আরব্য রজনীর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আলিফ লায়লা ওয়া লায়লা’ অর্থাৎ ‘সহস্র ও এক রাত্রি’ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটি আসলে ‘আলিফ লায়লা ওয়া লায়লানে’ অর্থাৎ ‘ সহস্র ও দুই রাত্রি’। এর শেষ গল্পটি ‘জাহাকুল আবদ’ বা ‘ক্রীতদাসের হাসি’। ঔপন্যাসিক শওকত ওসমান দৈবক্রমে উপন্যাসটির পান্ডুলিপি পান। তাঁর সহপাঠিনীর বাড়িতে বেড়াতে যেয়ে তার দাদা শাহ ফরিদউদ্দীন জৌনপুরীর কাছ থেকে তিনি এই দুষ্প্রাপ্য পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন। হালাকু খান বাগদাদ ধ্বংসের (১২৫৮ খ্রিস্টাব্দ) সময় এই পান্ডুলিপি হিন্দুস্তানে আসে। নানা হাতবদলের মাধ্যমে আসে শাহ সুজার কাছে। তিনি আরাকান পলায়নের সময় পান্ডুলিপি মুর্শিদাবাদের এক ওমারাহের কাছে রেখে যান। সেখান থেকে জৌনপুর। সেখান থেকে ফরিদউদ্দীন জৌনপুরী তা উদ্ধার করেন। পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ মূল উপন্যাসটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে রচিত হলেও ঔপন্যাসিক অনুবাদের ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখিয়েছেন৷ যে সব আরবি-ফারসি শব্দ উপন্যাসে ব্যবহার হয়েছে, তার বাংলা অর্থ শেষে দেয়া হয়েছে। ফলে উপন্যাসটি বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না৷ উপন্যাসটিতে নাটকের মত সংলাপ ব্যবহৃত হয়েছে। তাই একে সংলাপনির্ভর উপন্যাস বললেও ভুল হবে না। সংলাপগুলো উপন্যাসটিকে প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য করেছে৷ এর মধ্যে ভালো লাগা উক্তিগুলো তুলে দিচ্ছি- ১. মরজী যেখানে ইনসাফ সেখানে কোন কিছুর উপর বিশ্বাস রাখতে নেই। ২. এই লোভের (রাজত্বের লোভের) আগুনের কাছে হাবিয়া-দোজখ সামাদানের ঝিলিক মাত্র। বিবেক, মমতা, মনুষ্যত্ব- সব পুড়ে যায় সেই আগুনে। ৩. জায়গা বিশেষে কানের চেয়ে চোখের কিমৎ বেশি। ৪. শাস্ত্রকে চোখ ঠারা যায়, কিন্তু বিবেককে চোখ ঠারা অত সহজ নয়। ৫. হাসির জন্য ওয়াক্ত লাগে, যেমন নামাযের জন্য প্রয়োজন হয়। ৬. জমিন-দরদী দেহকান (চাষী) যেমন নহরের পানি নিজের জমির জন্য বাঁধ দিয়ে বেঁধে রাখে, প্রেমিক-নারী তেমনই সমস্ত লজ্জা-সঙ্কোচ একটি হৃদয়ের জন্য সঞ্চিত রাখে। ৭. যুক্তির পেছনে থাকে মুক্তির স্বপ্ন। এই মুক্তির স্বপ্নই মানুষকে মানুষ বানায়। ৮. কালো পাথর কোনদিন নকল হয় না। সাদা আর ঝলমলে পাথরই সহজে নকল করা যায়। ১০. ভুলকে ভুল বলা কবিদের ধর্ম। ১১. সত্য তিক্ত পদার্থ। ১২. দীরহাম দৌলত দিয়ে ক্রীতদাস গোলাম কেনা চলে। বান্দি কেনা সম্ভব! কিন্তু ক্রীতদাসদের হাসি না- ১৩. হাসি মানুষের আত্মারই প্রতিধ্বনি। রিভিউ শেষ করার আগে একটি বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে চাই। এটি কোন ঐতিহাসিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা নয়৷ তাই তৎকালীন কোন ব্যক্তি বা সময়ের বাস্তব প্রতিচ্ছবি ভেবে উপন্যাসটিকে পড়লে ভুল ভাবা হবে। বই: যদ্যপি আমার গুরু; লেখক: আহমদ ছফা; ধরন: শিক্ষাবিদ; প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স
Was this review helpful to you?
or
এই বইটার জন্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যারকে ভাল ভাবে জানতে পাড়ছি
Was this review helpful to you?
or
জ্ঞানের কোন সীমাবদ্ধতা নেই ।
Was this review helpful to you?
or
One of the best book.
Was this review helpful to you?
or
যদিও বই খানা পড়েছি আরেকজনের কাছ থেকে ধার করে তারপরও এইরকম কিছু মাস্টারপিস নিজের কাছে থাকা ভাল তাই অর্ডার করে দিলাম...?
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ ডিসেম্বর রাজ্জাক স্যারকে আমি প্রথম দেখি বইয়ের প্রচ্ছদের এই ছবিটিতে। মানুষটাকে আহমদ ছফা ভেবে ভুল করিনি কারণ আগেই জেনেছিলাম বইটা স্যারকে নিয়ে লেখা, এবং ছবিটা তাঁরই। . এক সপ্তাহ পর স্যার নতুন বিস্ময় নিয়ে আমার সামনে হাজির হলেন। আমি হঠাৎ স্যারের ছবিটির দিকে তাকিয়ে আবিষ্কার করলাম উনার দাঁড়ি আছে! সাদা আর ফিনফিনে পাতলা বলে যা এতদিন চোখে পড়েনি। আমার মত নাকি আহমদ ছফা ও একই রকম বিস্মিত হয়েছিলেন, যখন মুক্তিযুদ্ধের পর স্যারের বাসায় গিয়ে দেখলেন উনি দাঁড়ি রেখেছেন। . বইটা পড়তে গিয়ে প্রায় ভিরমি খেলাম। স্যার দেখি পুরা ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলেন! আহেন, বয়েন, খাইয়া যাইবেন! একজন জাতীয় অধ্যাপক, তিনি কিনা লুঙ্গি পাঞ্জাবী পড়ে কাঁধে চাদর নিয়ে বাজারে যান, মানুষের বাড়িতে ছেঁড়া পাঞ্জাবী পড়েই চলে যান! হুমায়ূন আহমেদের এক লেখায় পড়েছিলাম উনি নাকি মাটির সানকি ছাড়া ভাত খেতে পারেন না। . বইটা পড়তে পড়তে বুঝলাম, উনার আসল স্মার্টনেস পোশাকে না। মাথাভর্তি যে জ্ঞানগুলি ঢুকিয়ে রেখেছেন, সেগুলো যখন সময়মত বের হয়ে আসে, তখন সেটার মাত্রা বুঝা যায়। উনার সেই লেভেলে পৌঁছতে গেলে হাজার হাজার টাকা দামী স্যুট-টাই পড়া লাগেনা। যে জিনিস পড়া লাগে তার নাম বই। . রবীন্দ্রনাথের 'শেষের কবিতা' যারা পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই আমিত রায়কে চেনেন। ঢাকা কলেজের অধ্যাপক অপূর্বকুমার চন্দ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রিয় একজন। বেশ ছিমছাম, খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারতেন, কবিতা আবৃত্তি করতেন। রবীন্দ্রনাথ অমিত রায়কে গড়েছেন ঢাকার ছেলে অপূর্বকুমারের স্মার্টনেসে মুগ্ধ হয়েই। বইটি পড়ে আমিও এই 'ঢাকাইয়া পোলা' রাজ্জাক স্যারের প্রতিটি আচরণেই মুগ্ধ হয়েছি। . কি জ্ঞান! কি ঠাস ঠাস ইংরেজি বলেন! আমি তো কতগুলোর অর্থও জানি না! ক্লাস নাইনেই নাকি স্যার যদুনাথ সরকারের হিস্ট্রি অব আওরঙ্গজেব পড়েছেন। উনি কথা বলছিলেন না, যেন মুক্তা ঝরছিল! যদিও আহমদ ছফার কলমে এগুলি লেখা, এবং তিনি যতটা পেরেছেন স্মৃতি হাতড়ে এগুলি বের করে এনেছেন। আমার এখন মনে হয়, কেবল স্মৃতি হাতড়ে আনা কথাই এমন অসাধারণ, আসল কথা না জানি কেমন! কত কথাই তো বাদ থেকে গেল। চলন্ত বিশ্বকোষ কি আর এমনিতেই বলা হতো স্যারকে! বইটা পড়ার পর আমার কেবল একটা আফসোস ই হচ্ছে- স্যার কেন বই লিখলেন না! . স্যার দাবা খেলতে ভালোবাসতেন। কাজী মোতাহার হোসেনের সাথে নিয়মিত দাবা খেলতেন, উনার আয়োজিত দাবা টুর্নামেন্টে একবার গোপালগঞ্জ গিয়েছিলেন। তবে খুব সুবিধাজনক খেলোয়ার ছিলেন না। নমুনা দেই- হুমায়ুন আজাদ বলেছেন-" আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সাথে আমার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ; আমি তাঁর সঙ্গে অনেক বছর দাবা খেলেছি।...এবং আমি নিয়মিত তাঁকে হারাতাম।"(ধর্মানুভূতির উপকথা ও অন্যান্য) অন্যদিকে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, " তিনি নিয়ম করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে যেতেন। নির্দিষ্ট একটা জায়গায় বসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাবা খেলতেন।...আমার মনে হয় তিনি তাঁর প্রতিভার পুরোটাই দাবা খেলায় ব্যায় করেছেন। বেশিরভাগ সময়েই অন্যদের কাছে হেরেছেন। আমি অতি নিম্নমানের দাবা খেলোয়ার। তিনি আমার কাছেও মাঝে মধ্যে হারতেন। চাল ফেরত নেয়া দাবা খেলায় নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ কাজটি তিনি বারবার করতেন" (বলপয়েন্ট)। . দাবা খেলায় তিনি যেমনই হোন না কেন, কত দেশে গেছেন, কত বড় বড় মানুষের সান্নিধ্য লাভ করেছেন, দেশে-বিদেশে তাঁর কত সম্মান। অথচ একটুও অহমিকা নেই। আহমদ ছফাকে ডাকতেন মৌলবি আহমদ ছফা, এবং আপনি আপনি করতেন। বইটা যারা পড়েননি তারা নিশ্চয়ই ভাবছেন, বাহ বেশ অসাধারণ মানুষ তো! আর যারা পড়েছেন তারা তো দেখতেই পাচ্ছেন, আমি এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলছিনা। . কিছু কিছু বই আছে, যেগুলো পড়া শুরু করলে একবার যদি এর গভীরে ঢুকতে পারেন তবে আর এর থেকে বের হওয়া যায় না। এই বইটা তেমন না। এখানে আপনাকে বইয়ের ভেতরে ঢুকতে হবেনা। শুধু পাতায় চোখ বুলাবেন। বইটা একদম শুরু থেকেই আপনার মনে ঢুকে বসে থাকবে। এমন অসাধারণ একটা বই পড়ে শেষটায় একটা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই হবে। :)
Was this review helpful to you?
or
“আহমদ ছফা” হচ্ছেন একজন বাংলাদেশি লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও গণবুদ্ধিজীবী। তাঁর লেখায় বাংলাদেশি জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে। “যদ্যপি আমার গুরু” বইটি মূলত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ যা ১৯৯৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় অপরদিক থেকে বলা যায় গুরুদক্ষিনা।জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্যারের সাথে লেখকের অর্থাৎ ছাত্র-শিক্ষকের সুদীর্ঘ সাতাশ বছরের নিত্যদিনের সম্পর্কের কথোপকথনসমূহ সাক্ষাতকার আকারে এই বইতে লেখা হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্যারকে চলমান বিশ্বকোষ বললে খুব একটা অত্যুক্তি করা হয় না। অর্থশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, শিল্প-সাহিত্য, ধর্ম-সংস্কৃতি এই সবগুলো বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞের মতো মতামত দেবার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু কথা হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে কাউকে গুনমুদ্ধ করে রাখা কিন্তু খুব কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আবদুর রাজ্জাক পেরেছিলেন, শুধু ছফা নয়, সমসাময়িক অনেক প্রতিভাবানেরাই এমনকি বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিরাও তাকে গুরুর আসনে আসীন করেছেন। তার জীবন যাপন থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস সবই ছিল খুব সাধারণ , এতো গুণী একজন মানুষ যে নিজের জন্য কিছু না করে নীরবে শুধুমাত্র ছাত্রদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে আর নতুন কিছু শিখার-করার আগ্রহ তইরী করে গিয়েছেন ।”আহমদ ছফা” এই বই প্রকাশের মাধ্যমে চেয়েছেন আবদুর রাজ্জাক স্যারেকে আমাদের মাঝে তুলে ধরতে , সবাইকে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি কি ছিলেন এবং আমরা কি হারিয়েছি !। আমি বইটির যে তিনটি দিক বিশেষ ভাবে বলবো তা হচ্ছে – গুরুভক্তি , সেই সময়কার চলমান নানান বিখ্যাত মানুষদের পরিচিতি এবং অসংখ্য বইয়ের রেফারেন্স। আবদুর রাজ্জাক স্যার যতটা গুরু ছিলেন , আহমদ ছফা স্যার ততটাই শিষ্য। সব মিলিয়ে আমার কাছে খুব অসাধারণ লেগেছে “যদ্যপি আমার গুরু” বইটা , যতটুক সময় বইটা পড়েছি ততটুক সময়ই মনে হয়েছে সব কিছু চোখের সামনে ঘটছে আর এদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিগণ আমার আশে পাশেই আছেন ; বইটি সম্পর্কে বলতে গেলে কথা খুব দীর্ঘ হয়ে যাবে । তাই বলছি এই তথ্যবহুল বইটি সংগ্রহ করুন আর পড়ে ফেলুন। শুভ হোক আপনার পাঠ্য কার্যক্রম।
Was this review helpful to you?
or
জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর পাণ্ডিত্য, বিদ্যা, জ্ঞান ছিল সর্বজনবিদিত। তাঁকে চলমান বিশ্বকোষ বলা হয়। তাঁর জীবন ছিল খুব সাধারণ। তাঁর ছাত্র ছিলেন আহমেদ ছফা। তিনি পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কে নিয়ে করেছেন কিছু স্মৃতিচারণ। বইটা নিয়ে কম বেশি সবাই জানি। বই এ কি আছে, এর আগে বইটা পড়ে আমার কি মনে হচ্ছে সেটা বলি। আমার মনে হচ্ছিল উনি আমার শিক্ষক, উনি, আব্দুর রাজ্জাক স্যার যে কথাগুলো বলছেন, দীক্ষা দিচ্ছেন সেটা আমাকে দিচ্ছেন। কেবল মাত্র আব্দুর রাজ্জাক নয়, মুনীর চৌধুরীর খুব সামান্য উপস্থিতিও আপনাকে কিছু না কিছু শেখাবেই।আহমেদ ছফা তাঁর উচ্চশিক্ষা জীবনে পি এইচ ডি এর সুযোগ পান। সেখান থেকেই এই বই এর যাত্রা শুরু হল। সময়টা ১৯৭০ সাল ছিল। মাস্টার্স পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছিল বিভিন্ন কারনে। একসময় পি এইচ ডি এর সুপারভাইজারের জন্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক এর দ্বারস্থ হলেন। লেখকের ভাষ্যমতে আব্দুর রাজ্জাক স্যার খুব সাদামাটা জীবন যাপন করতেন, প্রচুর পড়াশোনা করেছেন জীবনে। সুশিক্ষা আর স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। উচ্চশিক্ষিত হয়েও তিনি নিজের শেকড়কে ভুলে জাননি। প্রথমে যেদিন লেখক দেখা করতে যান, স্যার নিজের রুমে ঘুমাচ্ছিলেন। দরজা বলতে গেলে খোলায় ছিল। ছফা সাহেবের কাছ থেকে সব শুনে নাক মুখ ঢেকে আবার ঘুমিয়ে গেলেন। এবার সেইদিকে গিয়ে ছফা আবার ও আর্জি জানান, যাতে আব্দুর রাজ্জাক তাঁর থিসিস সুপারভাইজ করেন। ওমা! উনি এবার আবার পাশ ফিরে শুলেন। এর পর সাহসী ছফা, বেশ সাহসের একটা কাজ করে বসলেন। যার জন্য আব্দুর রাজ্জাক ঘুম থেকে উঠে বসতে বাধ্য হলেন। প্রথম দিন, ছফা কে মৌলবী ছফা নামে সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু কেন? এতো কেবল শুরু, ছোট্ট বইটা, কিন্তু আব্দুর রাজ্জাক স্যার কে জানা, আর নিজে শিক্ষা পাবার জন্য অনেক। উনার মত জ্ঞানতাপসের বড্ড প্রয়োজন আমাদের। শিক্ষকদেরকে হয়তো আজ আমরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনা, চাই না কিংবা উনাদের দিক থেকেও কিছু ভুল আছে । আব্দুর রাজ্জাক মাটির মানুষ ছিলেন, খেতে এবিং খাওয়াতে ভালোবাসতেন। আহমেদ ছফা আস্তে আস্তে তাঁর পরিবারের একজন হয়ে ওঠে। পুরো বই জুড়ে নিয়াজ মোর্শেদ, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন সহ আরো অনেকের কথায় উঠে এসেছে। সবার সম্পর্কে ২-৩টা করে হলেও নতুন তথ্য জানতে পারবেন। এই বইটা এত সুন্দর, যদি লিখতে চাই, তাহলে অনেক বেশি বড় হয়ে যাবে, এটাকে না যদি বলি ফিকশন মানাবে , যদি বলি নন ফিকশন তাও হবে। বইটা অনেকদিন পরে পড়লাম। আমার মনে হল, এর পর থেকে আমি কোন কাজে আটকে গেলে সত্যিই এই বইটা পড়ব আর আহমেদ ছফা কে যে যে পরামর্শ উনি দিয়ে গেছেন, পুরোপুরি না হলেও কিছু না কিছু আমি মেনে চলব।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : যদ্যপি আমার গুরু
Was this review helpful to you?
or
"যদ্যপি আমার গুরু" মূলত একটি স্মৃতিচারণমূলক উপন্যাস। বই আকারে প্রকাশের আগে "দৈনিক বাংলাবাজার" পত্রিকায় চারমাস ধরে এটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। বইটি রচনা করা হয় প্রিয় লেখক ও ব্যক্তি আহমদ ছফা স্যারের শিক্ষক "অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক" স্যারকে নিয়ে। একজন মানুষ এমএ পাশ করতে বহু শিক্ষকের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করেন। সেখান থেকে একজন শিক্ষককে নিয়ে উপন্যাস রচনা করা হয়েছে। এজন্য বইটি পড়ার জন্য আগ্রহ ছিলো প্রবোল। তাছাড়া আহমদ ছফা স্যারের লেখার প্রতি আলাদা একটি ভালোবাসাতো আছেই। আবদুর রাজ্জাক স্যার ছিলেন অসাধারণ মেধার অধিকারী।একাধারে তিনি ধর্ম,পুরাণ,দর্শন,রাজনীত সহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখতেন।বইটিতে আহমদ ছফা মূলত এইসব বিষয় তুলে ধরেছেন।সাথে ফুটে উঠেছে তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত দর্শন। প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক ১৯১৪ সালে পরাগ্রাম, নবাবগঞ্জ উপজেলা,ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার কারণে তাকে "শিক্ষকদের শিক্ষক" বলা হতো। তিনি খুবই সহজ, সরল ও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি অল্প কিছু প্রবন্ধ রচনা করেছেন। #সংক্ষিপ্ত_রিভিউ:- ১৯৭০ সালের দিকে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিলো। অপরদিকে বাংলা একাডেমীর পিএইচডি ফেলোশিপ প্রোগ্রামে এপ্লাই করার সময় হয়ে আসে। এমএ পরিক্ষার জন্য অপেক্ষা করলে একাডেমীর পিএইচডি ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই অহমদ ছফা একাডেমীর পরিচালক "জনাব কবির চৌধুরীর সাথে দেখা করেন এবং এবং তার অবেদন পত্র গ্রহণ করার জন্য রাজি করায়। অন্য প্রার্থীদের মতো লেখকও ইন্টারভ্যু কার্ড পান। ইন্টারভ্যু বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন ড. আহমদ শরিফ, প্রফেসর মুনির চৌধুরী, এবং ড.এনামূল হক। লেখকের স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় "ড.এনামূল হক"। তিনি খুব রাগি মানুষ ছিলেন। তার জুনিয়র সহকর্মীরাও তাকে ভয় পেতেন। ড.এনামূল হক আহমদ ছফাকে রাগি কন্ঠে প্রশ্ন করলেন- "এমএ পরিক্ষা শেষ হয়নি আর পিএইচডি করতে চলে এলে? লেখক বুঝতে পারে "তিনি যদি এই বুড়োর সামনে রুখে না দাঁড়ায় তাহলে এই বুড়ো তার নাকের পানি চোখের লানি এক করে ছাড়বেন"। তাই সরাসরি কড়া পাওয়ারের চশমার দিকে তাকিয়ে বলেন - "চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এমএ পাশ না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন"। "মোহিতলাল এমএ পাশ ছিলেন না তবুও তিনি এখানে শিক্ষকতা করেছেন। আমিতো এমএ পাশ কিরবোই দু-চার মাস এদিক আর ওদিক। লেখকের কথার তোরে বুড়ো বাঘ ঘায়েল হয়ে যায়। এরপর পিএইচডি থিসিসের সুপারভাইজার হিসেবে লেখক বেছেনেয় " জাতীয় অধ্যাপক রাজ্জাক" স্যারকে। রাজ্জাক স্যারের মতো একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষকে লেখক কিভাবে রাজি করলেন তার থিসিসের সেপারভাইজার হতে? সময়টা ছিলো ১৯৭০ সালের দিকে। লেখক কি পেরেছিলেন তাঁর লক্ষ পূরণ করতে??? নাকি পারেন নি? কি কি ঘটেছিলো সে সময়? জানতে হলে পড়তে হবে আহমদ ছফা স্যারের "যদ্যপি আমার গুরু"। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- লেখক এতো সাবলীলভাবে পুরো ঘটনাটা বর্ণনা করেছেন যে প্রত্যেকটা চরিত্র খুবই জীবন্ত মনে হয়েছে। বইটিতে গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিষ্য আহমদ ছফা তার গুরু আবদুর রাজ্জাক কে এমন ভাবে বইতে তুলে ধরেছেন যে, পাঠকের কাছে মনে হবে, পাঠক আবদুর রাজ্জাকের সামনেই বসে আছে। সমস্ত ঘটনা ছবির মতো ভেসে উঠবে। ১৯৪৭, ১৯৫২ ও ১৯৭১ এই তিন সময়কার বাংলার অর্থনীতি, রাজনীতি, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা খুব সহজেই পাঠক লাভ করতে পারবে। শুধু নিজ দেশ সম্পর্কে নয় গুরু ও শিষ্যের মাঝে তৎকালীন আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী সম্পর্কেও আলোচনা হতো। হতো সমালোচনা। গুরু ও শিষ্যের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধও হতো। বইটি পাঠ করলে খণ্ড খণ্ড স্মৃতিচারনের মধ্য দিয়ে এমন একজন সাদাসিধে, প্রজ্ঞাবান মানুষের সাথে আপনার পরিচয় ঘটবে যার ব্যাক্তিত্বের পরিমাপ করতে গিয়ে আপনি থমকে যাবেন। যার জ্ঞানের পরিধি আপনাকে বিস্ময়-বলয়ে বেষ্টন করে নিবে!! জীবদ্দশায় আহমদ ছফা তাঁর প্রথাবিরোধী, নির্মোহ, অকপট দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য বুদ্ধিজীবী মহলে বিশেষ আলোচিত ছিলেন। তিনি সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গল্প, গান, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, ইতিহাস, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তিরিশটির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। যদ্যপি আমার গুরু তার রচনা গুলোর মধ্যে একটি। আমার পড়া শ্রেষ্ঠ উপন্যাস গুলোর মধ্যে একটি "যদ্যপি আমার গুরু" আমি মনে করি সাহিত্য প্রেমী প্রতিটা মানুষের বইটি অবশ্য পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
দ্যা বেষ্ট... যারা বই পড়ে অথবা পড়তে ভালবাসে,তারা যদি এই বইটা না পড়ে তাহলে তাদের পাপ হওয়া উচিত। অনেক পাপ হওয়া উচিত। এই একটি বই পড়েই আমরা বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তি সম্বন্ধে বাস্তবনিষ্ঠ অনেক ঘটনা জানতে পারি। আক্ষেপ শুধু এই জায়গায়,আব্দুর রাজ্জাক স্যার নিজে প্রায় কিছুই লেখেন নাই। এটা যে এই দেশের জন্য কতটা ক্ষতির তা অপরিমেয়।
Was this review helpful to you?
or
একজন শক্তিশালী লেখক, একজন সাহসী লেখক, একজন স্পষ্টভাষী লেখক। এই তকমা গুলো বাস্তবতা পায় আহমেদ ছফা নামটির পাশে বসালে। আহমেদ ছফার আমার প্রথম পড়া ভাই গাভী বৃত্তান্ত। এরপর তো পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরান পাঠ করে রীতিমত ভক্ত হয়ে গেলাম। ওংকার পড়ে কেঁদে ফেললাম। এরপর যখন ‘যদ্যপি আমার গুরু’ পড়া শুরু করলাম আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। পড়লাম আর বিস্মিত হলাম, পড়লাম আর বিস্মিত হলাম। কেন বিস্মিত হলাম- আহমেদ ছফার লেখায় এবং জাতীয় অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারের প্রজ্ঞায়। এটি একটি স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থ। এখানে আহমেদ ছফার সাথে রাজ্জাক স্যারের অনেক স্মৃতির কথা উল্লেখ আছে, অনেক আলাপ চারিতার কথা। খুব সাদাসিধে একজন মানুষ ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। আহমেদ ছফাকে ডাকতেন মৌলবি ছফা বলে। প্রথম যেদিন আহমেদ ছফা , রাজ্জাক স্যারের সাথে দেখা করতে যান – স্যার কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। আহমেদ ছফা স্যারকে ডাকেন- আর উনি পাশ ফিরে শোন। এরকম কয়েকবার হওয়ার পর , ছফা আহমেদ স্যারের উপর থেকে টান দিয়ে কাঁথা সরিয়ে ফেলেন। এরপর আহমেদ ছফার সাথে রাজ্জাক স্যারের অদ্ভুত এক সম্পর্ক হয়ে গেল। প্রতিদিন ছফা স্যারের কাছে আসতেন, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেন- একেকটা কথা যেন অমৃতবানী। স্যারের বাসা থেকেই খাওয়া দাওয়া করে আবার নিজ ডেরায় ফিরতেন। ঘটনাক্রমে বইতে এস এম সুলতান নিয়েও অনেক কথা চলে আসে। এই বইটা তো রাজ্জাক স্যারকে নিয়েই লেখা সেই সাথে এটা পড়লে কিংবদন্তী শিল্পী এস এম সুলতান সম্পর্কেও সংক্ষিপ্ত পরিচিত পাওয়া যাবে। আমার প্রিয় বইগুলোর মধ্যে- ‘যদ্যপি আমার গুরু একটি’।
Was this review helpful to you?
or
শুরুতেই একটা কথা বলে নেওয়া ভালো যে কোন লেখকের প্রতি বিশেষ দূর্বলতা না থাকলে আমি সেই লেখকের বই পড়ে শেষ করতে পারিনা! সুতরাং যেখানে দূর্বলতা কিংবা মুগ্ধতা কাজ করে সেখানে ইনসাফ খুঁজতে যাওয়া বোকামি! স্রেফ দু-এক শব্দ মুগ্ধতা কিংবা ভাবাবেগ প্রকাশই উদ্দেশ্য! ১৯৯৮ সালে প্রথম প্রকাশিত "যদ্যপি আমার গুরু" রচনা করা হয় "জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক" এর সাথে লেখকের দীর্ঘ সাহচর্যের বিক্ষিপ্ত বহু সাক্ষাৎ-ঘটনাবলী কে কেন্দ্র করে!! প্রয়াত অধ্যাপকের পূর্ণাঙ্গ জীবনী কিংবা জীবন-চরিতের সুনির্দিষ্ট কোন অংশ এই বই এ আলোচোনার চেষ্টা করা হয়নি এবং পুরো বই জুড়ে কোন ঘটনাই বিশেষ দিন তারিখের সাথে বিন্যস্ত করার বিন্দুমাত্র প্রয়াস লেখক পাননি, যার মাধ্যমে বইটিকে একটি "ক্ষুদ্র জীবনী" বলা যেতে পারে!! ১১০ পৃষ্ঠার এই বইটি পুরোটাই লেখা হয়েছে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাথে লেখকের ২৭ বছরের দীর্ঘ সংস্পর্শের কখনোই ভুলতে না পারা অমলিন স্মৃতি থেকে! এই বিন্যাসহীন খণ্ড খণ্ড স্মৃতিচারনের মধ্য দিয়ে এমন একজন সিধেসাদা, নিভৃতচারী "অধ্যাপকের" সাথে আপনার পরিচয় ঘটবে যার ব্যাক্তিত্বের পরিমাপ করতে গিয়ে আপনি থমকে যাবেন! যার জ্ঞানের পরিধি আপনাকে বিস্ময়-বলয়ে বেষ্টন করে নিবে!! আশ্চর্যের বিষয় হলো! এই ছন্নছাড়া স্মৃতিচারণ প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের পূর্ণ সত্বাকে এমন এক ফ্রেমে বন্দি করেছে যেখানে তাঁর জ্ঞান-গরিমা, কর্ম-ব্যাক্তিত্ব ও আচার-আচারনের পরিপূর্ণ অবয়ব ফুটে উঠেছে! শত শত পৃষ্ঠার পূর্ণ জবনী-গ্রন্থও এই প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে নিঃসন্দেহে ব্যার্থ হবে! "যদ্যপি আমার গুরু শুড়ি বাড়ি যায়, তদ্যপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়" লেখক এই পংক্তি দিয়ে সূচনা করে শুরুতেই চমৎকৃত করে তুলে পাঠক কে!! তবে সবচেয়ে বড় চমৎকার হলো অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মুখের ভাষায়! রসালো ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলে গেছেন তিনি সারাটা জীবন সর্ব মহলে!! স্মৃতি হাতরে হাতরে লেখক আহমদ ছফা সর্বোচ্চ সচেষ্ট থেকেছেন তাঁর বক্তব্যটাকে হুবুহু তার মুখের ভাষায় সীমাবদ্ধ রাখতে!! উদাহারণ স্বরুপঃ "মৌলভী আহমদ ছফা! কি কইবার চান অখন কন" "এক্কেরে ত সাগর সেঁচার কাম! কার বুদ্ধিতে এই গন্ধমাদন মাথায় লইছেন" "যখন কোণ নতুন জায়গায় যাইবেন, দুইটা বিষয় পয়লা জানার চেষ্টা করবেন! ওইজাগার মানুষ কি খায় আর লেখাপড়া কি করে" সারাটা জীবন এই জ্ঞানতাপস ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং এখান থেকেই তিনি মানুষকে আকৃষ্ট করে গিয়েছেন নিজের কাছে!! চিন-রাশিয়ার সমাজতন্ত্র থেকে শুরু করে উপমহাদেশের ভারতভাগ বিশ্লেসন করে গেছেন অতি সহজে!! জয়নুল আবেদীন,নজরুল, জসিমুদ্দীন, অপর দিকে বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর,ঠাকুর সহ বহু রাজনৈতিক ব্যাক্তি সম্পর্কে নিজের নির্মোহ বক্তব্য পেশ করে গিয়েছেন সন্তর্পনে! এমন বহু ঘটনার সাথে নিজেকে একাকার করে দিয়েছেন লেখক ছফা নিজের বক্তব্য ও চিন্তাকে! পাঠশেষে আপনি নিজের ভিতর যে আবেগটা অনুভব করবেন তা হলো কখনো চোখে না দেখা, পূর্ব কোন পরিচয় ছাড়াই "জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক" কে আপনি ভালোবাসেন এবং সীমাহীন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন! পুরো বই শেষ করে লেখক সম্পর্কে একটা মন্তব্যই করতে পারি...প্রিয় শিক্ষকের প্রতি পরিশুদ্ধ প্রেম ও অম্ল বিরহের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে "আহমদ ছফা" যার নজির খুবই কম আমাদের এই ভুখা সমাজে! #এক_নজরে_অদ্ধ্যাপক_রাজ্জাক জন্মঃ১৯১৪ পরাগ্রাম, নবাবগঞ্জ উপজেলা, ঢাকা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বর্তমানে বাংলাদেশ) মৃত্যু নভেম্বর ২৮, ১৯৯৯ (৮৫ বছর) জীবিকাঃ জাতীয় অধ্যাপক শিক্ষাঃ এমএ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ State of the Nation: জাতির অবস্থা
Was this review helpful to you?
or
আহমেদ ছফা নামটির সাথে আমি বেশিদিন হয় নি পরিচয় ঘটেছে। ব্যক্তিটির সম্পর্কে জানা উচ্ছ্বসা মনে জেগে উঠলো। তখন তার লেখা বইয়ের মধ্যে প্রথমে এই বইটিকে পড়ার জন্য সিলেক্ট করি। সবচেয়ে অসাধারণ বিষয় হলো আহমেদ ছফার বলার ভঙ্গিমা। তিনি লেখাগুলো এমন করে সাঁজিয়ে তুলেছেন মনে হয়েছে তিনি যেন আমার সামনে বইটি পাঠ করছে। নিজের শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসা আর স্মৃতিচারণে এই বইটি অনবদ্য সৃষ্টি। উনার এই বইয়ের মাধ্যমেই জানতে পারলাম আব্দুর রাজ্জাক স্যার আসলে কতটা জ্ঞানবান আর সচেতন মানুষ ছিলেন। উনার সময়কার শিক্ষাব্যবস্থা আর বর্তমান সময়কার শিক্ষাব্যবস্থা চিন্তা করলে দেখা যায় এই কালে উনার মতো আরেকজন গড়ে উঠা সম্ভব নয়।
Was this review helpful to you?
or
A phenomenal book. The writer mainly portrayed National Professor Abdur Razzaq, his simple life and lifestyle, however, relevantly were many other famous personalities talked about in this book: from Poet Jashim Uddin, Munier Chowhdury of that time, to Professor Salimullah Khan of these days. This book picturizes the golden age of Bengali intellectuals, their ideas and ideology, news and views, ethics and culture. I would rate it with a 5 out of 5 stars, or beyond if there were more stars to rate it with.
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো সার্ভিস
Was this review helpful to you?
or
যদ্যপি আমার গুরু বুদ্ধিবৃত্তিক লেখক আহমদ ছফার একটি স্মৃতি আলেখ্য মূলক বই। এখানে তার গুরু জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকের সহচার্যে থাকা দিন গুলো কথা অনবদ্য ভাষায় ফুটে উঠে। সাথে উঠে এসেছে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক রাজনৈতিক পর্যালোচনা। এখানে প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের গুনকির্তন যেমন হয়েছে তেমনি তার বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে করা মুল্যবান মন্তব্য গুলোও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।সব মিলিয়ে চমৎকার অবশ্য পাঠ্য একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া অন্যতম একটি বই । বইটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে । লেখক খুব সুন্দর ভাবে তার মনের কথা বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন । সবাই বইটি ট্রাই করবেন ।
Was this review helpful to you?
or
স্যার আব্দুর রাজ্জাক স্যারকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আহমদ ছফা সাহেব। রীতিমতো আহমদ ছফা সাহেব এর লিখার ভক্ত হয়ে গেলাম ❤️
Was this review helpful to you?
or
"পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা। আপনার ভাষার জোর লেখকের মত শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইরা নিবেন, আপনের পড়া অয় নাই।" -------প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক যদ্যপি আমার গুরু বাংলাদেশের অগ্রণী চিন্তাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা বিরচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তি জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাথে লেখকের বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনসমূহের বিবরণ পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। ছফা অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মনীষা এবং চারিত্র্য প্রাঞ্জল ভাষায় ও সুচারু শৈলীতে চিত্রায়িত করেছেন। রাজ্জাকের মুখনিঃসৃত সংলাপ যতদূর সম্ভব তিনি যে ধরনের ঢাকাইয়া বুলিতে কথা বলতেন সে বুলিতেই তুলে ধরেছেন ছফা। গ্রন্থটিকে ছফার গুরুদক্ষিণা বলা হয়। স্যার আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে বলতে গেলে তিনি অত্যাধিক পরিমাণের জ্ঞানী মানুষ। উনিশশো সত্তর সালে বাংলা একাডেমী থেকে গবেষণা বৃত্তি নিয়ে পি.এইচ.ডি করার প্রচেষ্টা চলাকালীন সময়ে অধ্যাপক আব্দূর রাজ্জাকের সাথে আহমদ ছফার প্রথম পরিচয় ।এরপর বিশ বছরের স্মৃতি লেখক চারণ করেছেন। স্যার আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে জানতে অসাধারণ একটা বই "যদ্যপি আমার গুরু।"
Was this review helpful to you?
or
সমাজে একজন শিক্ষকের ভূমিকা যে কতবেশি, তা ছফা সাহেব খুব সুনিপুণ ভাবে এ রচনায় ব্যাখ্যা করেছেন । বইটি মূলত লেখা হয়েছে আহমদ ছফার শিক্ষক 'প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক' কে কেন্দ্র করে । লেখক প্রফেসর রাজ্জাকের সানিধ্যে ছিলেন প্রায় তিরিশটা বছর । এ সময়টার ভেতর লেখকের মধ্যে যে আমুল পরিবর্তন এসেছে এবং তিনি যে নতুন জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করেছেন বইটির প্রতিটি লাইন তার বহিপ্রকাশ । ছফা সাহেব একজন চিন্তাশীল মানুষ, এমন একজন ব্যক্তির মনে যিনি আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেন তিনি সত্যিকার অর্থেই মহামানব । কিন্তু এরকম একজন অসাধারন মানুষ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই। আমারও ছিলোনা বইকি, তবে রচনাখানা পড়ে ঢের হয়েছে । তবে এজন্য আপনি নিজেকে দোষ দিতে পারেননা । অনেক সময় উৎকৃষ্ট বীজও পাথরের নিচে পড়ে নষ্ট হয় । আমার ধারণা রাজ্জাক সাহেবের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে ।
Was this review helpful to you?
or
আসলে কি বলব বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।বার বার মনে হয় রাজ্জাক স্যারের কাছে যায় তার সামনে বসার যোগ্যাতা হয়ত নাই কিন্তু মনে হচ্ছে তার কাছ থেকে সাৃান্য কিছু শব্দ ও হতে পারে আমার জন্য অনেক কিছু।তার সবচেয়ে বড় গুণ তার নিরহংকারী স্বভা। বারবার মুগ্ধহতে হয় তা জ্ঞানের মহিমা দেখে তার বাচন দেখে।এর চেয়ে তেমন কিছু বলার নাই কারণ সবার পছন্দ এক না
Was this review helpful to you?
or
'যদ্যপি আমার গুরু' একটি স্মৃতিকথা জাতীয় গ্রন্থ । আহম্মেদ ছফা তাঁর প্রিয় শিক্ষক -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথিতযশা প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক স্যারকে নিয়ে লিখেছেব এই বইটি । অাব্দুর রাজ্জাক স্যার ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক হেগেলের সরাসরি ছাত্র । সারাদিন বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে যেতেন এই মানুষটি আর জীবন ধারনে ছিলের খুবই অনাড়ম্বর । তিনি ষে কতো বড় পন্ডিত ছিলেন তা বইটি পড়লেই বোঝা যায় । কিন্তু তাঁর এই পান্ডিত্বের কোনো চিহ্ন তিনি রেখে যান নি । অর্থাৎ নিজ হাতে কিছুই লিখেন নি । এই পড়ে কিছুটা হলেও তার সম্বন্ধে জানতে পারবেন অাশা করি ।
Was this review helpful to you?
or
আমি এর অনেক বই পড়েছি। তবে এমন টাইপের বই পড়িনি। বইটা আমাকে একটা মোহের মধ্যে আটকে রেখেছিল। এই বইটি পড়ে আহমেদ ছফার অন্য বই গুলোও পড়তে মন চাচ্ছে। আসলে লেখক হিসাবে আহমেদ ছফা যেভাবে ঘটনা ফুটিয়ে তুলেছেন তাতে মনে হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক স্যারের মতো লোক আমাদের সমাজে আজ বড় দরকার। বইটি পড়ে আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
যতবার পড়ি ততবারই নতুনত্ব কিছু খুজে পাই।
Was this review helpful to you?
or
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম তিনজন জাতীয় অধ্যাপকের মধ্যে প্রফেসর অাবদুর রাজ্জাক ছিলেন একজন। সহজ সরল জীবনযাপন করা ও বাঙ্গালির ঐতিহ্য লালন করা এই ব্যক্তির জ্ঞানের পরিসীমা ছিলো অনেক বিস্তৃত। তিনি ছিলেন পুরাতন ঢাকার অধিবাসী। তাঁর কথাবার্তা, চাল-চলন ছিল পুরাতন ঢাকাবাসীদের মতো। তিনি প্রচুর জ্ঞানচর্চা করতেন। অন্যরা যেখানে কোনমতে ডিগ্রি নিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে তিনি নিরবে-নিভৃতে জ্ঞানচর্চা করে গেছেন অাজীবন। বিভিন্ন বিদেশী ব্যক্তি ও লেখকদের উদ্বৃতি থেকে বুঝা যায়, তিনি অান্তর্জাতিক অঙ্গণে কতটা পরিচিত ছিলেন। তাঁর জ্ঞানের তুলনা করা সম্ভব নয়।
Was this review helpful to you?
or
"যদ্যপি আমার গুরু" বইটিকে আপনি প্লুটোর "Phaedo" এর সাথে তুলনা করতে পারেন। প্লেটোর লেখার মাধ্যমে আমরা যেমন তার শিক্ষক দার্শনিক সক্রেটিস সম্পর্কে জানতে পারি। তেমনি এ বইটির মাধ্যমেও আমরা জানতে পারি আহমদ ছফার শিক্ষক রাজ্জাক স্যার সম্পর্কে। এই বইটি লেখা না হলে হয়তো কখনও জানাও যেত না এমন একজন উঁচু মানের লোক এদেশে ছিল। যিনি কোন প্রকার লেখালেখি না করেই শুধুমাত্র চিন্তা, মননের মাধ্যমে বহু মানুষের চিন্তা চেতনাকে নাড়িয়েছ। এই বইটি আত্মজীবনী হতে পারত কিন্তু ঘটনার বর্ননা এমন ভাবে সাজানো হয়েছে তা থেকে বুঝা কঠিন কোনটি আগে কোনটি পরে। কথা হচ্ছে কেন বইটি গুরুত্ববহ?প্রথমত আমার কাছে বইটির সবচেয়ে আকর্ষনী দিক বলি কিংবা ভিন্নতাই বলি তা হচ্ছে, আব্দুর রাজ্জাক স্যারের জন্ম সন। যা উনাকে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ করে দেয়। শুধু তাই নয়, শিক্ষা ও বিচক্ষণতা, নির্লোভ, সহজ সরল জীবন যাপন, সহযোগী ও সৌহার্দ পূর্ণ মনোভাবের মাধ্যমে উনি এমন এক পর্যায়ে ছিল , যার কারণে ব্রিটিশ আমল,পাকিস্তান শাসন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে বাংলাদেশের জন্মের পটভূমি তে যেসব দেশীয় ও বিদেশি বাঘাবাঘা ব্যক্তি রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাদের প্রায় প্রত্যকে কোন না কোন সময়ে উনার সংস্পর্শে এসেছিল। ফলে ঐ সকল ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সম্পর্কে উনার নিজস্ব মতামত ও তাদের চিন্তা চেতনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। যা বইটির প্রাণ বলা যায়। দ্বিতীয়ত বইটির মাধ্যমে আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ভাষা, এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কেও জানতে পারবো।
Was this review helpful to you?
or
প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের নাম শুনেছি নানাভাবে। বিশেষ করে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন কলাম পড়ে এবং নানা জনের সাক্ষাৎকার পড়ে। এই বইটি পড়ে উনার সম্বন্ধে কিছুটা বিস্তারিত জানতে পারলাম। বইটি বেশ আগ্রহ সহকারে পড়েছি। লেখার মাঝে একটা টান টান ভাব আছে, যেটির জন্য বইটি শেষ না করে ওঠা যায় না। বইয়ের লেখকও কম আকর্ষণীয় নন।
Was this review helpful to you?
or
Excellent Reading
Was this review helpful to you?
or
“যদ্যপি আমার গুরু” আহমদ ছফা’র লেখা অসাধারন এক সৃষ্টি! এমন লেখার দেখা মেলে কয়েক দশক পর পর!! ... ... ... প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক স্যার হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক! খুব কম মানুষ তাকে চেনে, আমি নিজেও জানতাম না... যা জানতাম তিনি জাতীয় অধ্যাপক... এটুকুই শুনেছি বাবা মুখে!! বইটিতে আব্দুর রাজ্জাক স্যারকে সম্পর্কে চমৎকার ধারণার পেয়েছি ! যেমন ... একদিন প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক স্যারের রুমে গিয়ে আহমদ ছফা দেখেন রাজ্জাক স্যারের চৌকির একটি খুটি নেই! কিন্তু সেখানে রাজ্জাক স্যার বই দিয়ে খুটির সমান করে রেখে দিয়েছেন! লেখক আহমদ ছফা একজন স্পষ্টবাদী লেখক! তিনি তার এই লেখায় লিখেন আব্দুর রাজ্জাক স্যার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হলেও সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি, ইতিহাস, রাষ্ট্রতত্ত্ব কোনো কিছুর কমতি নেই রাজ্জাক স্যারের ঝুলিতে!! বইটি পড়ছিলাম, আর আমার কেন জানি অল্প সময়ের মনে হয়েছে-আমি নিজেই আহমদ ছফা, আমার সামনে বসে আছেন আব্দুর রাজ্জাক স্যার! যিনি মৌলবি আহমদ ছফা নামে আমাকে ডাকছেন! ... ... ... নজরুল, জসীমউদ্দীন, মুনীর চৌধুরী, হবস,দ্বিজেন্দ্রলাল সহ বিখ্যাত সব মানেষের সম্পর্কে এতো নিখুত ধারনা ছিলো না- বইটি পড়ে যা পেলাম!! আহমদ সফা’র মতো করে শিক্ষা গুরুদের দেখার দৃষ্টি আমাদের মত মানুষের নেই!! বইটি পড়ুন কথা দিচ্ছি চিন্তা ভাবনা পালটে যাবে আপনাদের!!”?
Was this review helpful to you?
or
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া- "যদ্যপি আমার গুরু" লেখক- আহমদ ছফা। আহমদ ছফা নামের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে আরেক জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর মাধ্যমে। তার কয়েকটা বইয়ে'ই স্যার তাকে ছফা ভাই হিসেবে আখ্যায়িত করে কয়েকবার স্মৃতিচারণ করেছিলেন। (বলে রাখা ভাল আমি, হুমায়ুন স্যারের এত্ত বড় ফ্যান যে, কয়েকটা হিমু ও কয়েকটা সাইন্সফিকশন বাদে তার প্রতিটি বই আমার কয়েক বছর আগেই পড়া শেষ)। এরপর বহু জায়গায় ছফা নামটি পেয়েছি, তবে আমার দূর্ভাগ্য হলো উনার কোন লেখা আমার আগে পড়া হয় নি। আমি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠক, নয়তো এমনটা হতোনা। যাই হোক, এমন চমৎকার একটি বইয়ের মাধ্যমেই উনার লেখার জগতে আমার প্রবেশ। আর শুরুটাই আমাকে উনার লেখার প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে! ?"যদ্যপি আমার গুরু" বইটি বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিমান কথাসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ আহমদ ছফা বিরচিত স্মৃতিচারণা মূলক গ্রন্থ। এমন তৃপ্তিদায়ক, শক্তিশালী একটা বইয়ের রিভিউ কিংবা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখা আমার মতো একজন আনাড়ি পাঠকের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। আবার এমন একটা বইয়ের সাথে সবার পরিচয় না করিয়ে দেওয়াটাও অপরাধবোধে ভোগাবে। সে দায় থেকেই লিখছি! অবশ্য আরো একটা কারন আছে, সে কারনটা কি? সে কারনটা বইয়ের মাঝেই পেয়েছি! "পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা। আপনার ভাষার জোর লেখকের মত শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইরা নিবেন, আপনের পড়া অয় নাই।"- আব্দুর রাজ্জাক স্যার। কথাটা একজন গুরুর, একজন শিক্ষকের, একজন বুদ্ধিজীবির। সেই মহীরুহের গল্প নিয়েই এই বই। একজন বহুমাত্রিক, ব্যতিক্রমী, প্রচার বিমুখ সাদাসিধে মানুষের গল্প। সেই মানুষটি হল জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত ড. আবদুর রাজ্জাক। উনার সাথে লেখকের দীর্ঘ ২৭ বছরের সংস্পর্শে পাওয়া কিছু অমলিন স্মৃতিকথাই ফুটে ওঠেছে এখানে। এই স্মৃতিচারণা পড়তে গিয়েই বিমোহিত হয়েছি বারবার। শুধু লোমহর্ষক থ্রিলার কিংবা টানটান উত্তেজনার ফিকশন বই-ই পাঠককে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আকর্ষিত করতে পারে, এ বইটা পড়ার পর আমার সেই ভুল ভাঙলো। নন-ফিকশন হওয়ার পরও শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মোহাচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম! মাত্র ১১০ পৃষ্ঠা আর দুই মলাটে ভর করে যেন ফিরে যাওয়া যায় সেই সময়ে, ড. আবদুর রাজ্জাক স্যারের সামনে! যেন চোখ বন্ধ করলেই শোনা যায় ঢাকাইয়া ভাষায় একজন মানুষের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা! একজন মানুষের জানার পরিধি কত বিস্তৃত হতে পারে তা এই বই না পড়লে জানতাম না। ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, দর্শন, শিল্প-সাহিত্য সবকিছুই আলোচিত হয়েছে এখানে। বইয়ের নাম আর লেখকের নাম সহ রেফারেন্স দিয়ে আলোচিত হয়েছে অনেকগুলো বই। পড়া শেষে যা আপনার জানার তৃষ্ণা বাড়িয়ে দিবে, বাড়িয়ে দিবে জ্ঞানের পরিধি। "একটা কথা খেয়াল রাখন খুব দরকার। যখন একটা নতুন জায়গায় যাবেন, দুইটা বিষয় পয়লা জানার চেষ্টা করবেন। অই জায়গার মানুষ কি খায় আর পড়ালেখা কী করে। কাঁচাবাজারে যাইবেন কি খায় হেইডা দেহনের লাইগ্যা। আর বইয়ের দোকানে যাইবেন পড়াশোনা কি করে হেইডা জাননের লাইগ্যা।....কী খায় আর কী পড়ে এই দুইডা জিনিস না জানলে একটা জাতির কিছু জানন যায় না।"- আব্দুর রাজ্জাক স্যার। একজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কতটা প্রখর আর দূরদর্শী হলে এমন ভাবনা মাথায় আসতে পারে, ভাবতে পারেন? পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেও এই বই নিয়ে আমার অনূভুতি প্রকাশ হয়তো শেষ হবে না। এবং তাও হয়তো যথেষ্ট হবেনা। তাই পাঠকের বিরক্তবোধ চলে আসার আগেই লেখা শেষ করছি! সবশেষে, একটা কথা। একটা বই কখন স্বার্থক হয়ে ওঠে- যখন তা পাঠককে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে, যখন তা পাঠকের মনে চিন্তার উদ্রেক ঘটাতে পারে, যখন তা পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিকশিত করতে পারে। আমার মতে, এই বইটা তেমন একটা বই। দুই তিনদিন হল আহমদ সফা'র "যদ্যপি আমার গুরু' পড়ে শেষ করলাম। এবং দুই তিনদিনের প্রতিদিনই ভাবছি একটা রিভিউ লিখব। নাহলে পাপ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কি লিখব এই ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখন এই বই নিয়ে কিছু রিভিউ আমার চোখে পড়েছে। কয়েকটা রিভিউ একদম মনের মত মনে হয়েছে। তাই ব্যর্থ চেষ্টা না করে কয়েকটা রিভিউ'র নিজের 'মনের কথা' সাথে কিছু সম্পাদকীয় অংশ রিভিউ হিসেবে তুলে ধরলাম।
Was this review helpful to you?
or
এটি একটি অতুলনীয় উপহার সেই সব পাঠকদের জন্য যারা জানতে চায় বাংলার উর্বর মাঠে জন্মানো সকল মহীরুহদের সম্পর্কে। আহমেদ সফার আরো একটি সার্থক কারুকাজ এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
"যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি বাড়ি যায়/তথাপি তাহার নাম নিত্যানন্দ রায়।" সত্যি বলতে এই কথাটি আমার জীবনে এমনভাবে দাগ কেটে গিয়েছিলো, বহুদিন পরেও কানে বেজেছে এই লাইন দু'টো। একজন মানুষের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়াটা কঠিন। ব্যক্তিত্বের ভিন্ন পাঠই স্বাভাবিক। তাই কারও ব্যক্তিত্ত্বের কোন অংশকে সত্যিকার শ্রদ্ধা করলে, অন্য অংশের নেতিবাচক প্রকৃতির কারণে সেই শ্রদ্ধা মুছে যেতে পারে না। এই বইটি আহমদ ছফার গুরু অধ্যাপক রাজ্জাককে নিয়ে লেখা। লেখক আহমদ ছফা বেশ গল্পোচ্ছলে শুরু করলেন এমএ করা ছাড়াই বাংলা একাডেমীর তিন বছরের ফেলোশিপ প্রোগ্রামে এপ্লাই করার ঘটনা দিয়ে। এরপর পিএইচডি থিসিসের সুপারভাইজার আর অধ্যাপক রাজ্জাক এই গল্পের মধ্যে চলে আসলেন, এতো সাবলীলভাবে পুরো ঘটনাটা বর্ণনা করা হয়েছে যে প্রত্যেকটা চরিত্রটি খুবই জীবন্ত মনে হয়েছে। বইটির মুখবন্ধ প্রথমে ড. আনিসুজ্জামানের লেখার কথা ছিল। তিনি রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু আহমদ ছফার ভাষায় ”এই লেখায় তিনি অনেকগুলো গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছেন”। তাই “অপরাধ-স্খালনের বোঝা” তাঁকেই নিতে হলো।/লেখক পরিচিতি: আহমদ ছফা একজন লেখক, কবি ও সমাজবিজ্ঞানী ছিলেন। তাঁর লেখায় বাংলাদেশি জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি ২০০২ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। জীবদ্দশায় আহমদ ছফা তাঁর প্রথাবিরোধী, নির্মোহ, অকপট দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য বুদ্ধিজীবী মহলে বিশেষ আলোচিত ছিলেন। তিনি সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গল্প, গান, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, ইতিহাস, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তিরিশটির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর জীবদ্দশায় আহমদ ছফা রচনাবলি প্রকাশ শুরু হয়। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে আহমদ ছফা রচনাবলি দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ পায়। জীবিত থাকাকালীন আহমদ ছফা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কলাম লেখা অব্যাহত রেখেছেন। ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদ তার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।
Was this review helpful to you?
or
অনেক কিছুর উর্ধে হতে পারে অথবা সব কিছুর উর্ধে অসম্ভব সুন্দর, সৃষ্টিশীল লেখা। জীবনের অনেক চাওয়া যাদের পুর্ন হয় নি তারা যেন এই বইটি পরে , আশা করি তাদের জীবনের অনেকটুকু চাওয়া পুর্ন হবে ।
Was this review helpful to you?
or
যার কথা বলছি তাকে এই আধুনিক-অত্যাধুনিক সময়ের অনেকেই চিনবেন না। তবু তার কথা বলছি, বলছি “একজন বহুমাত্রিক ও ব্যতিক্রমী প্রতিকৃতির ” (প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিমের ভাষায়) কিংবা একজন প্রচারবিমুখ অথচ চলমান বিশ্বকোষের কথা। বলছি প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের কথা। ‘যদ্যপি আমার গুরু’ পড়ার আগে তার সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা ছিলো না। শুধু জানতাম তিনি একসময়ে জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন, নামে চিনতাম এই যা। পরে জেনেছি তিনি সে মানুষটি যিনি কিনা একসময়ে হ্যারল্ড লাস্কির সাথে একসাথে গবেষণা করেছেন, যার সাথে তার একটা পেপারও থাকতে পারতো (কেন নেই সে প্রসঙ্গে পরে আসি) যেই হ্যারল্ড লাস্কির কথা আমরা পড়ি বইয়ের পাতায়, ছোটবেলা থেকে। শুধু এটুকু বলে তাকে বরঞ্চ তাকে ছোট করা হয়। তিনি যে কী ছিলেন তা আরও জেনেছি বইটি পড়ে। সৌম্য ভাষার লেখক আহমদ ছফা প্রথম পুরুষে চেষ্টা করেছেন তার একটা ছবি তুলে আনতে। বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা থেকেই শুরু করি-“তার পাণ্ডিত্যের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। সমকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠসমূহের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের অনেকেই একবাক্যে তার মেধা আর ধী-শক্তির অনন্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। ” আমার যেমন বইটি পড়ে তার সম্পর্কে শূন্য থেকে জানতে শেখা, আহমদ ছফার জানার সূচনাটা তেমনি অল্প থেকেই। অনেকটা আগ্রহের কারণেই তিনি নিভৃতচারী মানুষটার শিষ্যত্ব নিয়েছিলেন। পরে অবশ্য আর সম্পর্কটা নীরব-নিভৃত থাকেনি, হয়ে উঠেছে শিক্ষণীয়। ছফা নিজেই তা স্বীকার করেছেন। রাজ্জাক স্যার জানতেন না এমন কোন বিষয় ছিলো বলে মনে হয় না। অন্তত আহমদ ছফার ভাষ্য থেকে সেটাই প্রতীয়মান হয়। হয়তো ছফা সাহেব নাম না জানা অজ্ঞাতকুলশীল একটি বিষয় নিয়ে রাজ্জাক স্যারকে জিজ্ঞাসা করে বসলেন, অমনি স্যার হয়তো আলমারি থেকে স্বাস্থ্যবান একটা বই বের করে বলে দিলেন কোন একটা অধ্যায়ের কথা। পড়তে ব্যাপক আগ্রহ যে তার ছিলো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না, যেটা না বললেই নয় সেটা তার পড়ার বিষয়বৈচিত্র্যের কথা। বাংলা-পূর্ববর্তী সময়ে মুসলমানে সমাজ ও সাহিত্যে তাদের লেখার বৈচিত্র্যের কথা রাজ্জাক স্যারের যেমন মুখের আগাতেই ছিলো, ঠিক তেমনি ছিলো বর্তমান সময়ের কোন সামাজিক নায়ক কোথায় কেমন ছিলো তার খোঁজ খবরও। দুটো বিষয়ের কথা বলে হয়তো তার বৈদগ্ধতাকে ঠিক বুঝাতে পারলাম না কিন্তু কোন কিছু বলেই এই জ্ঞানতাপসের মূল্য বোঝানো যাবে বলে মনে হয় না। আমি তাই সে চেষ্টা না করে তার অন্যদিক নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করি । আহমদ ছফার ভাষ্য থেকে জানা যায়, স্যারের সান্নিধ্যে এসে তিনি প্রচুর বই পড়তে শিখেছেন এবং তা অনেক বিচিত্র বিষয়েই। পাশাপাশি অনাড়ম্বর এই মানুষটার অনেক বদান্যতার বর্ণনাও এসেছে তার লেখায়। অনেকেই এমন ছিলেন যারা স্যারের রিকমেন্ডেশন নিয়ে বাইরে গিয়েছেন বা অনেক উচু পর্যায়ে নিয়োগ নিয়েছেন। তার মাঝে অনেকেই বিলাত-ফেরত এই মানুষটার অনেক দুর্নাম করেছেন কিন্তু স্যার কিছুই বলেননি তাদের-এতটাই বিনীত ছিলেন তিনি। ভালো কিছুর কদর করতে পারতেন তিনি। তারই প্রমাণ যখন এস এম সুলতানের কথা আসে। প্রথমে আগ্রহ না দেখালেও পড়ে তিনি ঠিকই সুলতানের সমাদর করেছিলেন। সুলতানের পরের দিকের কাজেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এইগুলো তো গেলো ব্যক্তিগত গুণগানের কথা। বইটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপারটা হলো রাজ্জাক স্যারের নিজমুখের কথাগুলি। ভেবে অবাক হই ছফা সাহেব কীভাবে এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আঞ্চলিক ভাষার সব সংলাপ অবিকলভাবে বর্ণনা করে গেছেন। দুই একটা উদাহরণেই সব স্পষ্ট হবে। “সেজন্যে পালটা প্রশ্ন করলাম, রবীন্দ্রনাথ কি বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাষাকে উৎকর্ষের একটা বিশেষ স্তরে নিয়ে যাননি? স্যার বললেন, বাংলা ভাষাটা বাচাইয়া রাখছে চাষাভুষা, মুটেমুজুর-এরা কথা কয় দেইখ্যাই ত কবি কবিতা লিখতে পারে। সংস্কৃত কিংবা ল্যাটিন ভাষায় কেউ কথা কয় না, হের লাইগ্যা অখন ল্যাটিন কিংবা সংস্কৃত ভাষায় সাহিত্য লেখা হয় না।” আরেকটা- “একটা কথা খেয়াল রাখন খুব দরকার। যখন একটা নতুন জায়গায় যাইবেন, দুইটা বিষয় পয়লা জানার চেষ্টা করবেন। অই জায়গার মানুষ কি খায় আর পড়ালেখা কী করে। কাঁচাবাজারে যাইবেন কি খায় হেইডা দেহনের লাইগ্যা। আর বইয়ের দোকানে যাইবেন পড়াশোনা কি করে হেইডা জাননের লাইগ্যা। ... কী খায় আর কী পড়ে এই দুইডা জিনিস না জানলে একটা জাতির কোনো কিছু জানন যায় না। ” আরও অনেক ছিলো । সব আমি বলতে পারছি না আমার অক্ষমতার কারণে, তবে তা পড়ে যে নিদারুণ আনন্দ পেয়েছি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি স্যারের সাথে কথোপকথনের প্রতিটি সংলাপেই বোঝা যাবে কতকিছু জানার আছে তার থেকে। ভারতের মাওলানা আজাদের ‘নির্জলা গালাগালি’-র বই থেকে শুরু করে শেরে বাংলার ‘অভিনয়’ পর্যন্ত অসংখ্য ছোটখাট ঘটনার উল্লেখ আছে। আমি আর কি বলবো, নিজে যেমন বিমোহিত হয়েছি এত বিচিত্র কিছু জেনে, পাঠককেও বলব সেই সমুদ্রে অবগাহন করতে। শেষ করতে গিয়ে আবার মানুষ আব্দুর রাজ্জাক স্যারের কথাতেই আসতে হয়। অত্যন্ত বিনীত এই মানুষটি কিন্তু চাইলেই পারতেন বিদেশে থেকে নিজের নামযশ কামাতে। তা না করে চিরতরুণ এই মানুষটি হ্যারল্ড লাস্কির মৃত্যুর পর গবেষণাপত্র প্রকাশ না করেই চলে আসেন। কারণ তার ধারণা ছিলো লাস্কি ছাড়া আর কেউ সে পেপারের মর্যাদা বুঝবেন না !! তাকে উৎসর্গ করে দেশে বিদেশে কম বই বেরয়নি, কম পেপার-জার্নালও না। তবে কেন জানি খুব নির্বিকার থাকতে পারতেন। নির্মোহের মতই মানুষের উপকার করতেন। তিনি হয়তো অনেক বড় সেলেব্রিটি ছিলেন না, কিন্তু তিনি যে কী মহীরুহ ছিলেন, তা তিনি কখনো না বললেও বইটি পড়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। আহমদ ছফার জীবনের একটা সেরা কাজ বলবো আমি এটাকে। আমার জীবনের একটা সেরা প্রাপ্তিও তার সাথে পরিচিত হতে পারাটায়। (“যদ্যপি আমার গুরু শুড়ি বাড়ি যায় তথাপি তাহার নাম নিত্যানন্দ রায়” )
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভ-ভয়ঙ্ক-অপরুপ সুন্দর একটি বই । যত বার বইটি পড়ি, মনে হয় আব্দুর রাজ্জাক স্যারের সামনে বসে আছি । তাঁর কথা শুনছি । তাঁর নিরহঙ্কার সভাব দেখে মুগ্ধ হচ্ছি । আর আমার জ্ঞানের পরিধি বিদ্যুৎ গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । আমি বিকশিত হচ্ছি । আমি মনেকরি বইটি আহমদ ছফার অনন্য সৃষ্টি ।