User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
onk taratari hate pelam
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাস টি সত্য ঘটনা অবল্বনে লিখিত হয়েছে। ২০০৫ সালে স্পেনের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে ১১ জন বাঙালি। পরে আরো ১৫ জন যোগ দেয় তাদের সাথে। অর্থ উপার্জনের জন্য তারা তাদের দেশ ত্যাগ করে অবৈধ পথে। কিন্তু দেশে ফিরতে পারে নি অনেকেই। তাদের লাশ হারিয়ে যায় সাগরের গভিরে। তারা যাত্রা পথে কতটা কষ্ট সহ্য করেছে তা ভাষায় প্রকাশ ক্রা সম্ভব না। পারলে বইটা কিনতে পারেন। বইটা পরে আপনার ভালো লাগবেই। সব থেকে মজার ব্যাপার এই উপন্যাসের গল্পকথক রবিউল আমাদের গ্রামেই থাকে।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসটি সত্য ঘটনা নিয়ে লিখেছেন আনিসুল হক। এমন কিছু সত্য আছে যা জানলে গা শিউরে উঠে, জবান বন্ধ হয়ে যায়।উপন্যাসটিতে এমন কিছু ঘটনার বর্ননা আছে। বইটি আমার মনে প্রচন্ড ভাবে দাগ কেটেছে। আমাদের দেশটি উন্নয়নশীল একটি দেশ।এখনও অনেক মানুষ বাস করে দারিদ্র সীমার নিচে। আছে শিক্ষার অভাব,কাজের অভাব। তাই বেকার মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। এর বড় একটি অংশ হলো আমাদের যুব সমাজ। দেশ গড়ার কাজে অনান্য দেশ যেভাবে তাদের যুব সমাজকে কাজে লাগিয়েছে আমরা সেভাবে পারনি। সেটা আমাদের দূর্ভাগ্য।নিজের জীবনকে পরিবর্তন করতে এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থা বদলাতে এসব যুবকের অনেকে পাড়ি জমায় ভিনদেশের উদ্দেশ্যে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বেছে নেয় অবৈধ ভাবে যাওয়ার রাস্তা। আর অবৈধ ভাবে যাওয়া জন্য প্রয়োজন হয় দালালদের। এই সব দালালরা ওত পেতে থাকে শিকার ধরার জন্য। দালালদের তেমনই শিকারের খপ্পরে পরে আঠারো জন তরতাজা যুবক। এদের কেউ টাকা দিয়েছে বাবার একমাত্র জমি বিক্রি করে, কেউ দিয়েছে বোনের জন্য রাখা বিয়ের টাকা, কেউ আবার দিয়েছে প্রিয়তমা স্ত্রীর গয়না বেচার টাকা। আর যারা মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছে তারাই সব থেকে হতভাগা। ২০০৫ সালের ঘটনা কয়েকজন আফ্রিকানের সাথে ১৮ জন বাংলাদেশি স্পেনে যাওয়ার জন্য দেশ ছাড়ে। তারা ভাবতেও পারেনি সামনে কি অপেক্ষা করছিল। টাকা লোভি দালালদের কারনে তাদের সবাই নরক যন্ত্রনা ভোগ করে। তাদেরকে পাড়ি দিতে হয়েছে দুর্গম সাহারা মরুভূমি যেখানে মগজগলানো রৌদ্রতাপ আর রাতে শরীর জমানো শীত। সবচেয়ে দুর্বিষহ দিন কাটে ভূমধ্যসাগরে। শেষ পর্যন্ত মৃত সহযাত্রিদের মাংস খেয়ে তারা বেঁচে থাকে। উদ্ধার হওয়া কয়েকজনের কাছ থেকে ।
Was this review helpful to you?
or
"দুঃস্বপ্নের যাত্রী" আনিসুল হকের একটি বাস্তব ঘটনা ভিত্তিক উপন্যাস। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অবৈধভাবে স্পেনে যেতে চেয়েছিল একদল বাংলাদেশী । তারা পড়েছিল দালালের খপ্পড়ে । মধ্যপথে পথ হারিয়ে আক্ষরিক অর্থেই তাদের পড়তে হয়েছিল অথৈ সাগরে । ক্ষুধা-পিপাসায় প্রাণ দিতে হয়েছিল ১১ বাংলাদেশীকে । যারা বেঁচে ফিরে আসতে পেরেছিলেন তাদের কয়েকজনের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করে বাস্তব কাহিনী নির্ভর এই উপন্যাসটি লিখতে প্রয়াস পেয়েছেন আনিসুল হক । ২৬জন বাংলাদেশী যুবক আর কয়েকজন আফ্রিকান । স্পেনে পৌঁছবার আশায় তাদেরকে পাড়ি হয়েছে দুর্গম সাহারা মরুভূমি । সাথে খাদ্য নেই,পানীয় নেই- দিনের পর দিন এক বস্ত্রে পথ চলেছে তারা । গোসল নেই,নেই ঘুমাবার বিছানা । দিনে মরুভূমির মগজগলানো রৌদ্রতাপ আর রাতে শরীর জমানো শীত । এতকিছুর পরেও পাড়ি দিতে হবে বিশাল ভূমধ্যসাগর । একটা রাবারের তৈরি নৌকায় তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেবে । কিন্তু বিপত্তি দেখা দিল মাঝ সমুদ্রে । নৌকার ইঞ্জিন বিকল । নেই কোন সাহায্য বা সাহায্যের আশা । ফুরিয়ে গেছে খাবার । খাবার পানি নেই । চারপাশে অথৈ সমুদ্রে শুধু পানি । তবু সেই পানি খাওয়া যায়না । লবণাক্ত পানি খেলে শুরু হয় রক্তবমি । তারপর একে একে না খেতে পেয়ে মরতে শুরু করলো তারা । ক্ষুধার জ্বালায় যারা জীবিত ছিল তারা কেটে কেটে খেতে শুরু কর মৃত সহযাত্রীদের মাংস !!! সেই দুঃস্বপ্নের যাত্রার বাস্তব গল্প নিয়েই আনিসুল হক লিখেছেন ওই মর্মান্তিক উপন্যাসটি ।
Was this review helpful to you?
or
আর্থিক টানপোড়ানে নিঃশেষ কখনই হয়। স্বচ্ছলতার চাদর গায়ে চাপাতে কে না চায়! আর তাই রবিউল, মামুন, পাভেল, সোহেল, হিমেল সহ আরো অনেকে পাড়ি জমায় সদূর স্পেনে। ১৬ জন বাঙ্গালী প্রবাসী হওয়ার দিকে ধাবিত হয়। মালিতে ল্যান্ড করার পরই শুরু হয় অভিশপ্ত জীবন। অনাহার আর তৃষ্ণায় সাহারা মরুভূমির দিনগুলো। সারাদিন প্রখর রোদের তাপ আর রাতের তীব্র ঠাণ্ডায় কাতর হতে হত। তবুও অর্থলোলুপ দালালদের ভ্রুক্ষেপ হয় নি। কাড়ি কাড়ি টাকা হাতে নিয়েও একটা সুস্থসবল যাত্রার ব্যবস্থা করতে পারে নি। সবচেয়ে দুর্বিষহ দিন কাটে ভূমধ্যসাগরে। চারপাশে পানি থাকা স্বত্তেও খাবার পানি পায় নি। খাবার যেন স্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। পথ হারিয়ে মাঝি,আফ্রিকানরা আর বাঙ্গালীরা দিশেহারা। ক্ষুধার জ্বালায় নিজের মাংস ছিঁড়ে খায়। এক এক ঝরে যায় ১১টি বাঙ্গালীর প্রাণ।মাঝি,আফ্রিকানও মরে। সহযাত্রী আফ্রিকানের তাজা ছিঁড়ে খেতেও দ্বিধা লাগে না কারো। যখন সকলের উদ্ধার হয় তখন অনেক প্রাণ হারিয়ে গেছে সাগর তলে। আলজেরিয়ার ওরান শহরে অদের চিকিৎসা হয়। অনেক ভালবাসায় আর সেবায় ওরা সুস্থ হয়। অবশেষে দেশে ফিরে সমাপ্ত করে এই ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের যাত্রা...
Was this review helpful to you?
or
This really touched my heart. I hope to see more real life stories from him.