User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ছোটোবেলায় বেশ লেগেছিলো, বড় হয়েও পড়েছি তখন আলাদা অনুভূতি পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
????
Was this review helpful to you?
or
এক কথিত সর্বশক্তিমান উপরঅলার নামে তার মূর্খ শিষ্যরা সারা পৃথিবীজুড়ে যে ঘৃণা বিদ্বেষ হানাহানি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তার উপযুক্ত মেটাফোর মুহম্মদ জাফর ইকবালের রচিত 'ক্রোমিয়াম অরণ্য।' নভেলাটি এক ডিসটোপিয়ান পৃথিবী নিয়ে। পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের ফলে আজ সে পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী। এখানে ওখানে অল্প কিছু মানুষের কলোনি টিকে আছে, তাদের দন্ডমুন্ডের কর্তা পৃথিবীব্যাপী শক্তিশালী নেটওয়ার্কে তৈরী অপারেটিং সিস্টেম গ্রুস্টান। সে যা বলে তাই ই আইন। সন্তান জন্ম হবে কি হবেনা, কোন শিক্ষা দেয়া যাবে আর কোনটা যাবেনা তা গ্রুস্টানই ঠিক করে দেয়। তার বিরুদ্ধে গেলেই পেতে হয় মৃত্যুদন্ড। নায়ক কুশানই সর্বপ্রথম এই একনায়কের বিরুদ্ধে দাড়ায়। ফলস্বরূপ তাকে কলোনী থেকে বহিষ্কার করা হয়। সঙ্গী হিসেবে পায় তার একান্ত সহযোগী নিম্নমানের রোবট ক্রিশি ও ভাবুক মেয়ে টিয়ারাকে। কুশানের এই বিদ্রোহ, যেটা দলনেত্রী লিয়ানার ভাষায় ছিল 'পাথর গড়িয়ে দেয়া', আস্তে আস্তে স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলে রূপ নেয়। তার সাথে যুক্ত হয় আরো সমমনা লোকজন। সবাইকে সাথে নিয়ে সুকৌশলে কুশান ধসিয়ে দিতে সমর্থ হয় একনায়ক প্রোগ্রাম গ্রুস্টানকে। 'ক্রোমিয়াম অরণ্য' স্বেচ্ছাচারী একনায়কের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি। গ্রুস্টান সেই কথিত উপরওয়ালারই প্রতিরূপ, যার ব্লাসফেমির দায়ে, যাকে না মানার দায়ে প্রতিদিন শত শত মানুষের জীবন নিচ্ছে তার শিষ্যরা। গ্রুস্টান যেন সেই অত্যাচারী একনায়ক, জার্মানির হিটলার, ইরাকের সাদ্দাম, তিউনিসিয়ার বেন আলী, মিশরের মুবারক, পাকিস্তানের ইয়াহিয়া কিংবা হাল আমলের ইরানের খোমেনি। যাদের একনায়কতন্ত্রের প্রতিবাদ করায় যুগে যুগে প্রাণ দিতে হয়েছে শত শত মানুষকে। যাদের তাঁবেদার বাহিনী কখনো রাজাকার রূপে কখনো নাৎসী রূপে কখনো রেভ্যুলশনারি গার্ড রূপে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিদ্রোহীদের উপর। কিন্তু বিদ্রোহ থামানো যায়নি। বিশ্বযুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ, আরব বসন্ত হয়ে অধুনা চলা হিজাববিরোধী আন্দোলন - একনায়কদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলেছে, আন্দোলন চলেছে, চলবে। আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই একজন করে কুশান লুকিয়ে আছে। শুধু বের হওয়ার অপেক্ষায়। 'ক্রোমিয়াম অরণ্য' পরিসরে ছোট হলেও, ব্যাপ্তিতে অনেক বড়। বাংলাদেশের মত মৌলবাদী দেশের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে এরকম স্পষ্টবাদী মেটাফোরিক বই লেখা কেবল মুহম্মদ জাফর ইকবালের পক্ষেই সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
Fantastic book! I really enjoyed this book.
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
khub vlo boi...
Was this review helpful to you?
or
সায়েন্স ফিকশন টা খুব ভালো। পড়ে মজা পেয়েছি খুব।
Was this review helpful to you?
or
Nice story
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বই☹️☹️
Was this review helpful to you?
or
Very Nice..
Was this review helpful to you?
or
The book is very interest. Thanks for Mohammad Zafar Iqbal.
Was this review helpful to you?
or
Chromium Ornith can also be called a science fiction adventure thriller. The description is simple and easy. The complexities of science are explained in very nice or impressive terms. People are fighting against a computer operating system and this idea is basically unique. Chromium forest can be taken away if you want to absorb the literary juices from new contemporary novels and stories. The story's brief: The earth's air is completely polluted, a flickering color throughout the sky, with the sun shining before the sun sets, suddenly plays a strange mysterious meteor. However, the shape of this world was very different from the Asha-Valbasa other. One day as the descent of a snowy plutonium sphere descended from the deep blue sky on a sunny afternoon, the existence of a city completely disappeared. People jumped on each other with revenge. The ravages are humanity, rape is nature. The civilization that took millions of years to build is a collapse. Nuclear explosions have blown up like dust in the picturesque palaces of the earth, ancient and famous cities. The world is now a vast desert wilderness. In the midst of a life-threatening firestorm, a group of unlucky people, some fourth-class robots, have survived by holding hands in some fourth-class robots. That living is harder than death. In this world of neither pure food nor water, breathing in the pure air is a dream here. Kushan was deported after an emergency session. Leaving safe shelter, Kushan descends into this world with an intense fear of terror. Groston's robot could kill him at any time. Where to go?
Was this review helpful to you?
or
এইটা স্যারের লেখা অসাধারন একটা বই। বইটা সবার জন্য উপযুক্ত। অর্থাৎ বইটা যে কেও পড়লে মজা পাবে। বইটা তে কাহিনির সম্প্রসারন খুব সুন্দরভাবে হয়েসে এবং কাহিনি সাবলিল ভাবে এগিয়েছে। বইটা আমাদের বাস্তব জিবনকেও প্রভাবিত করে পরোক্ষভাবে। বইয়ের ঘটনার সাথে জিবনের মিল বিদ্যমান। তাই বইটা সবার পরার অনুরোধ রইল।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ ক্রোমিয়াম অরণ্য লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনাঃ সময় প্রকাশন প্রকাশনী হতে প্রকাশিত । দামঃ ১৩২ টাকা ভবিষ্যত যখন রোবট নিয়ন্ত্রিত তখন কীভাবে মানুষ তাকে প্রতিহত করে কেড়ে নেয় ক্ষমতার অাসন তা নিয়েই সায়েন্স ফিকশনটি লেখা। দারুণ একটি সায়েন্স ফিকশন!
Was this review helpful to you?
or
সায়েন্স ফিকশন বই পরলে ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়েরঃক্রোমিয়াম অরণ্য লেখকঃজাফর ইকবাল ধরনঃসায়েন্স ফিকশন প্রকাশনীঃসময় প্রকাশনী মূল্য ১২৫ টাকা . শরতের এক বিকেলে, আকাশ থেকে নেমে আসে একটা তুষার শুভ্র গোলক। অদ্ভুত সুন্দর সেই গোলকটি আচমকাই ফেটে পড় শহরের উপরে, চরম আক্রোশ নিয়ে। ওটা ছিল একটা মহাশক্তিশালী পারমানবিক বোমা। এরপর আর কিছু থেমে থাকেনি। মানুষরা যার যত মারমানবিক বোমা ছিল, সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে একে অন্যের উপরে। যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল লাখ লাখ বছরে সেটি পুরোপুরি ধধংস হয়ে গেল পরদিন সূর্য ওঠার আগে। প্রধান চরিত্র, কুশান, গ্রুস্টান, টিয়ারা,রোবট ক্রিশি।আর অনেক চরিত্র এই উপন্যাস এ পাওয়া যাবে তবে এদের দিয়ে গল্পের শুরু আবার এদের দিয়েই শেষ। বহুকাল পার হয়ে গেছে, পৃথিবী এখন এক বিশাল ধধংসস্তূপ।সমুদ্র, হৃদ,আর নদীতে দূষিত পানি,বিষাক্ত মাটি,বাতাসে তেজস্ক্রিয়তা আর তার মাঝে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছে কিছু মানুষ। পৃথিবীর সব কিছু নষ্ট হয়ে গেলেও পৃথিবীজোড়া নেটওয়ার্ক নষ্ট হয়ে যায়নি। পৃথিবীর বুকে অল্পকিছু মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে গ্রুস্টান ধধংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পাওয়া কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম।যার ফলশ্রুতিতে গ্রুস্টান নিজের এই মানুষ গুলার ইশ্বর মনে করে। . গল্পটির শুরু এভাবে,, কুশান গল্পের মূল চরিত্র একদিন মনের ভুলে বলে ফেলে যে গ্রুস্টান একটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম।সে তাদের ইশ্বর নয়।কুশান এই কথা গ্রুস্টান বিরোধী ধরা হয় এবং মৃত্যদন্ড এর আদেশ দেয়া হয়।কিন্তু থাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে বাইরের পৃথিবীতে বের করে দিল সর্বোচ্চ বিচার কার্যালয়।একটা ব্যাগ এ তাকে কিছু জিনিসপত্র দেওয়া হয়। শুরু হয় কুশান এর ক্রোমিয়াম অরণ্য এর বাইরের পৃথিবীতে গিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তার সঙ্গি হয় তার ক্রিশি নামে অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর একটি রোবট।এখানে, সেখানে ঘুরে কিছুদিন বাইরের পৃথিবীতে কাটে কুশানের।এক সময় সে ধরা পরে একদল দস্যু রোবট এর হাতে।সেখানে তার পরিচয় হয় টিয়ারা নামে এক মেয়ের সাথে। টিয়ারাকে বাঁচাতে কুশান অনেক ভেবে পরিকল্পনা তৈরি করে। কিভাবে সে তার বুদ্ধির লড়াইয়ে সফল হয় তা আপনার পড়লেই বুঝতে পারবেন। একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, কুশান গ্রুস্টানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এবং সে গ্রুস্টানের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করবে।এর ফলে কিছু মানুষ পালিয়ে এসে কুশান এর সাথে যোগ দেয়।তাদের লক্ষ হল গ্রুস্টানকে ধধংস করে দেয়া।যদিও এমন কোন পরিকল্পনা কুশান এর মাথায় ছিল না।এই মানুষ গুলার দিকে থাকিয়ে তাকে এই যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। কুশান ও তার দলের লোক ছিল একেক জন একেক বিষয়ে অভিজ্ঞ।তাই তারা তাদের শ্রম ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গ্রুস্টান এর পরিব্যাপ্ত নেটওয়ার্ক গুলো খুজে বের করে আনে।এবং সেগুলো কিভাবে বিচ্ছিন্ন করা যায় তার পরিকল্পনা করতে থাকে। এদিকে গ্রুস্টান ও বসে নেই সে তার প্রতিরক্ষা রোবট গুলোকে পাঠিয়ে দিয়েছে কুশান ও তার দলকে ধরে নিয়ে যেতে। শেষমেষ, গ্রুস্টান টিয়ারাকে জিম্মি করে কুশানকে বন্দি বানায়। কুশান কি পারবে টিয়ারাকে বাঁচাতে? এই মহাশক্তিশালী কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম গ্রুস্টানকে ধধংস করতে পারবে কি? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানতে পড়ে নিন রোমাঞ্চকর কাহিনী দিয়ে সাজানো "ক্রোমিয়াম অরণ্য" বইটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃমুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ একটা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী "ক্রোমিয়াম অরণ্য"।আগেও বলেছি ইদানীং বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়তে অসম্ভব ভাল লাগছে। এটা ও চমৎকার লেগেছে। কুশান আর তার নির্বোধ রোবট ক্রিশিকে বেশি পছন্দ হইছে। #শুধুমাত্র_মানুষই_একটি সভ্যতাকে এত যত্ন করে গড়ে তুলে তাকে আবার এত নিখুঁতভাবে ধধংস করতে পারে।শুধুমাত্র মানুষ। এই লাইনটা খুব ভাল লাগেছে।সব মিলায়ে বইটা সুন্দর। পড়ে দেখতে পারেন। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নাম: ক্রোমিয়াম অরণ্য লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল মুল্য: 140 টাকা ধরন: বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী প্রকাশনা: সময় প্রকাশন ক্রোমিয়াম অরণ্য: ক্রোমিয়াম একটি ধাতু,( ভৌত অবস্থা থেকে হাইড্রোজেনের কাছাকাছি যেমন হিলিয়াম, একইভাবে লোহার কাছাকাছি ধাতু এই ক্রোমিয়াম) নাম থেকে বুঝাই যাচ্ছে এমন এক সময়ের কথা বলা হচ্ছে, যেখানে ঘাসের অরণ্য নয়, থাকে ধাতুর ছড়াছড়ি। যে অরণ্য হয়ে দাড়ায় বিপর্যয়ের সাক্ষী। এবং একে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাস। রিভিউ: এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে পৃথিবী। সেই পৃথিবীতে বেচে রয়েছে অল্প কিছু মানুষ। আর তাদের রক্ষার জন্য রয়েছে তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ পরিব্যপ্ত অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে সকল কম্পিউটারের যোগসূত্র গ্রুস্টান। সে নিজেকে ঈশ্বরের মত মনে করে। কিন্তু একদিন উপন্যাসের মূল নায়ক কুশান গ্রুস্টানকে কম্পিউটার প্রোগ্রাম বলায় গ্রুস্টান ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তার মনে হয় মানুষের হৃদয়ে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাশালী বানানোর ক্ষেত্রে এটা বড় বাধা। তাই সে কুশানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু কুশান সেখান থেকে পালিয়ে যায়, এরপর ফেরারী হয়ে সে ঘুরতে থাকে। কুশান কী পারবে নিজেকে রক্ষা করতে? এক বিশাল পরিব্যাপ্ত অপারেটিং সিস্টেমের বিরুদ্ধে সে কিভাবেই বা লড়াই করবে? জানার জন্য এ উপন্যাস পাঠ্য। পাঠ প্রতিক্রিয়া: যন্ত্র এবং মানুষের দ্বন্দ্ব সায়েন্স ফিকশন লেখকদের কাছে প্রিয় সাবজেক্ট হলেও অন্যান্য সায়েন্স ফিকশন থেকে এর কিছুটা পার্থক্য আছে। বিশেষ করে মানুষের সাথে যন্ত্রের যুদ্ধের যে কৌশল টা তা অন্য সায়েন্স ফিকশন থেকে আলাদা, মৌলিক। যন্ত্রের মানুষের প্রতি ভালোবাসা, এবং একই সাথে ঘৃণা, সমান্তরালভাবে ফুটে উঠেছে, যা এ সায়েন্স ফিকশন কে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। আমার চোখে এর রেটিং 4/5
Was this review helpful to you?
or
বইটির পূর্বকথা শুরু হয়েছে একটি নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে। পারমাণবিক বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয় সমগ্র পৃথিবী। আকাশে বাতাসে ধুলিকনায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা। এধরণের একটা ভয়ঙ্কর পরিবেশে শুরু হয় মানুষের বেঁচে থাকার আদিম লড়াই। মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব নেয় গ্রুস্টান নামক একটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম। মূল কাহিনীর শুরু এরকম একটি ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয় আবহাওয়ার পৃথিবীতে। গল্পটির মূল চরিত্র কুশান নামের একটি সাহসী তরুণ। যে কিনা তার ব্যাক্তিগত রোবট ক্রিশিকে নিয়ে বাস করে। মানবজাতির সমস্ত তত্ত্বাবধায়ন করে গ্রুস্টান নামক কম্পিউটার সিস্টেমটি। যার ফলশ্রুতিতে সবাই গ্রুস্টানকে ঈশ্বর হিসেবে দাবী করে। গ্রুস্টানও তাদেরকে দেখা দেয় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানবীয় আকৃতির মাধ্যমে। কিন্তু গ্রুস্টানকে ''একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম' হিসেবে দাবী করায় কুশানকে গ্রুস্টানের বিরোধী বলে মনে করা হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ বিচার কার্যালয় কুশানকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ক্রোমিয়াম এলাকা থেকে বের করে দেয়। শুরু হয় কুশানের বাইরের এলাকায় বেঁচে থাকার লড়াই। যেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে তেজস্ক্রিয় বিষাক্ত পরিবেশে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ, ক্ষ্যাপাটে দস্যু রোবট। তার সঙ্গী হিসেবে এগিয়ে আসে তার একমাত্র ব্যাক্তিগত রোবট ক্রিশি। একসময় কিছু দস্যু রোবটের কবলে পড়ে কুশান। এখানে তার পরিচয় হয় টিয়ারা নামের একটি মেয়ের সাথে। সে ও দস্যু রোবটদের হাতে বন্দি। টিয়ারাকে বাঁচানোর জন্য কুশান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দস্যু রোবটগুলোকে প্রতিহত করার পরিকল্পনা করে। এবং বুদ্ধির লড়াইয়ে সে সফলও হয়। একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, কুশান গ্রুস্টানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এবং সে গ্রুস্টানের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করবে। একসময় মানবজাতির ধ্বংসের কারন হতে পারে এরকম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। কিন্তু মানুষের বুদ্ধিমত্তার কাছে তারা চিরকালই পরাজিত হবে; এই জিনিসটি মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার অসাধারণ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ক্রোমিয়াম অরণ্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বইটি পড়া না থাকলে পড়ে দেখার আমন্ত্রন রইলো।
Was this review helpful to you?
or
শরতের এক বিকেলে, আকাশ থেকে নেমে আসে একটা তুষার শুভ্র গোলক। অদ্ভুত সুন্দর সেই গোলকটি আচমকাই ফেটে পড় শহরের উপরে, চরম আক্রোশ নিয়ে। ওটা ছিল একটা মহাশক্তিশালী পারমানবিক বোমা। এরপর আর কিছু থেমে থাকেনি। মানুষরা যার যত মারমানবিক বোমা ছিল, সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে একে অন্যের উপরে। পরেরদিন সকাল হবার আগেই, লক্ষ বছরের মানবজাতি, হাজার হাজার বছরের মানব সভ্যতার সকল চিহ্ন ধুলায় মিশে গেল। বড় বড় যত নগর, বন্দর, বানিজ্যস্থল, সব গুড়িয়ে ধুলার মত উড়ে গেল। এখানে ওখানে, কিছু জায়গা বেচে গেল, চরম ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা থেকে মুক্ত এই এলাকাগুলোতে আশ্রয় বানিয়ে বেচে থাকে মানুষেরা। আকাশ, পানি, মাটি, খাবার.. সব বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তা দ্বারা। সবই নষ্ট হয়েছে, কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়নি পৃথিবীজোড়া নেটওয়ার্ক, নষ্ট হয়ে যায়নি এই নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নোড নিয়ে তৈরি হওয়া মহাশক্তিশালী কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, গ্রুস্টান! এই ছোট ছোট বস্তি বানিয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে গ্রুস্টান তাই ঈশ্বরের মতই। আর গ্রুস্টান নামক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাও মানুষের উপরে নিজের ক্ষমতা যেন সেভাবেই জাহির করছে! বরাবর যেভাবে ঘটে, এক নি:সঙ্গ বক্তা তুলে ধরে সবার মনের কথা। কুশানকে জীবনের হুমকি দেয়া হয় গ্রুস্টান এর বিরোধিতা করার জন্য, গ্রুস্টান যে কোন ঈশ্বর নয়, কেবল পৃথিবীব্যপী বিস্তৃত এক নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম এটা সবাইকে আবারো মনে করিয়ে দেবার জন্য। বসতির নিরাপদ আশ্রয় থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় কুশান, আশ্রয় নিতে হয় তাকে মানুষ বসবাসের অযোগ্য, বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় এলাকায়। কিন্তু এর মাঝে ঘটতে থাকে একটার পর একটা আশ্চর্য ঘটনা। যে মানুষটার বাচবারই কথা নয়, সে শুধু বেচেই যায় না, ঘটাতে থাকে একটার পর একটা অদ্ভুত ঘটনা। পড়ার জন্য আমন্ত্রন সবাইকে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর সবচেয়ে ভাল সায়েন্স ফিকশনগুলোর একটা এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লাগলো বই টা। কিন্তু আর্ডার টা সেই ভাবে পাইলে আরো অনেক ভালো হবে। অনেক ভালো লাগলো বই টা পরে
Was this review helpful to you?
or
বই: ক্রোমিয়াম অরণ্য ধরণ: সায়েন্স ফিকশন লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: ধ্রুব এষ প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান: সময় প্রথম প্রকাশকাল: ১৯৯৫ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৮০ কাহিনী সংক্ষেপ: পৃথিবীর বাতাস পুরোপুরি দুষিত হয়ে গেছে,অসংখ্য ধুলিকনায় সারা অাকাশে একটি ঘোলাটে রং, সূর্য ডুবে যাবার অাগে সূর্যালোক বিচ্ছুরিত হয়ে হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য একটি বিচিত্র রহস্যময় অালো অাকাশে খেলা করতে থাকে। অথচ অাশা -ভালবাসা অার সম্ভাবনার এই পৃথিবীর রুপ ছিল ভিন্ন।একদিন শরতের রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরে গভীর নীল অাকাশ থেকে নেমে অাসা একটি তুষারশুভ্র প্লুটোনিয়ামের গোলকের ভয়াবহ বিস্ফোরণে পৃথিবীর বুক থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে যায় এক নগরীর অস্তিত্ব। প্রতিশোধ স্পৃহা নিয়ে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ল একে অন্যের উপর। ধংব্বস হল মানবতা, ধর্ষিত হল প্রকৃতি। যে সভ্যতা গড়তে লক্ষ বছর লেগেছিলল তা ধংব্বস হল নিমেষেই। পারমানবিক বিস্ফোরণে ধুলার মত উড়ে গেল পৃথিবীর সুরম্য অট্টালিকা,প্রাচীন ও বিখ্যাত সব নগরী। পৃথিবী এখন অাজ অাদিগন্ত বিস্তৃত মরু প্রান্তর। প্রাণহীন সেই ধংব্বসস্তুপের মাঝে ধিকি ধিকি করে জ্বলে ওঠা অাগুনের মাঝেই হতভাগা কিছু মানুষের দল অার চতুর্থ শ্রেনীর কতগুলোর রোবট হাতে হাত ধরে অাজো বেঁচে অাছে। সেই বেঁচে থাকা যেন মৃত্যুর চেয়েও কঠিন।বিষময় এই পৃথিবীতে না অাছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, বিশুদ্ধ বায়ুতে শ্বাস গ্রহন এখানে এক অলীক স্বপ্ন। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা মানুষের দলের একজন কুশান। যার চোখে নেই কোন স্বপ্ন, মনে নেই কোন ভালবাসা।সাথী একটি চতুর্থ শ্রেনীর রোবট; যার নাম ক্রিশি। পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে থাকা সেই হতশায় নিমজ্জিত খাদ্যবস্ত্রহীন মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে “গ্রুষ্টান”। গ্রুষ্টান ধংব্বসযন্ত্র থেকে রক্ষা পাওয়া পৃথিবীজুড়ে সুরক্ষিত কম্পিউটারের ঘাটিগুলির যোগসুত্র। কোয়ার্টজের তন্তুতে অবলাল রশ্মিতে পরিব্যপ্ত এক অবিশ্বাস্য শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম। যাকে বেঁচে থাকা মানুষেরা ঈশ্বর বলে ভাবে। গ্রুস্টান অার মানুষের এক সভায় কুশান হঠাৎ গ্রুস্টানের বিরোধিতা করে বসে। জরুরি অধিবেশন ডেকে কুশানকে নির্বাসন দেওয়া হয়। নিরাপদ অাশ্রয় ছেড়ে বিষময় এই পৃথিবীতে নেমে পড়ে কুশান মনে একরাশ ভয় অার অাতংক নিয়ে। যে কোন সময় গ্রুস্টানের রোবটবাহিনী তাকে হত্যাও করতে পারে। কি করবে কুশান?কোথায় যাবে? প্রতিক্রিয়া: বিজ্ঞাণ সম্পর্কিত জটিল বিষয়গুলো খুব চমৎকার অার চিত্তাকর্ষক শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়েছে। মানুষ যুদ্ধ করছে একটা কম্পিউটার অপারেটিং সিসটেমের বিরুদ্ধে এই চিন্তাটি মূলত ইউনিক। প্রচলিত সমসাময়িক উপন্যাস থেকে সরে গিয়ে নতুন কিছু বিষয় ও কাহিনী থেকে সাহিত্য রস অাস্বাদন করতে চাইলে হাতে নিতে পারেন ক্রোমিয়াম অরণ্য। একথা প্রায় সব পাঠকই স্বীকার করবে বাংলাদেশে সায়েন্স ফিকশনের জনক জাফর ইকবাল স্যার। তার হাতেই সায়েন্স ফিকশনের বিকাশ ও জনপ্রিয়তা।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ একটা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ক্রোমিয়াম অরণ্য। বইটির পূর্বকথা শুরু হয়েছে একটি নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে। পারমাণবিক বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয় সমগ্র পৃথিবী। আকাশে বাতাসে ধুলিকনায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা। এধরণের একটা ভয়ঙ্কর পরিবেশে শুরু হয় মানুষের বেঁচে থাকার আদিম লড়াই। মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব নেয় গ্রুস্টান নামক একটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম। মূল কাহিনীর শুরু এরকম একটি ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয় আবহাওয়ার পৃথিবীতে। গল্পটির মূল চরিত্র কুশান নামের একটি সাহসী তরুণ। যে কিনা তার ব্যাক্তিগত রোবট ক্রিশিকে নিয়ে বাস করে। মানবজাতির সমস্ত তত্ত্বাবধায়ন করে গ্রুস্টান নামক কম্পিউটার সিস্টেমটি। যার ফলশ্রুতিতে সবাই গ্রুস্টানকে ঈশ্বর হিসেবে দাবী করে। গ্রুস্টানও তাদেরকে দেখা দেয় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানবীয় আকৃতির মাধ্যমে। কিন্তু গ্রুস্টানকে ''একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম' হিসেবে দাবী করায় কুশানকে গ্রুস্টানের বিরোধী বলে মনে করা হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ বিচার কার্যালয় কুশানকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ক্রোমিয়াম এলাকা থেকে বের করে দেয়। শুরু হয় কুশানের বাইরের এলাকায় বেঁচে থাকার লড়াই। যেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে তেজস্ক্রিয় বিষাক্ত পরিবেশে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ, ক্ষ্যাপাটে দস্যু রোবট। তার সঙ্গী হিসেবে এগিয়ে আসে তার একমাত্র ব্যাক্তিগত রোবট ক্রিশি। একসময় কিছু দস্যু রোবটের কবলে পড়ে কুশান। এখানে তার পরিচয় হয় টিয়ারা নামের একটি মেয়ের সাথে। সে ও দস্যু রোবটদের হাতে বন্দি। টিয়ারাকে বাঁচানোর জন্য কুশান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দস্যু রোবটগুলোকে প্রতিহত করার পরিকল্পনা করে। এবং বুদ্ধির লড়াইয়ে সে সফলও হয়। একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, কুশান গ্রুস্টানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এবং সে গ্রুস্টানের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করবে। কিন্তু এ গুজবটি শুধুমাত্র একটা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। কুশানের সে ধরনের কোন পরিকল্পনাই নেই। তার সঙ্গ দিতে ১৩ জনের একটি দল এগিয়ে আসে। তাদের লক্ষ্য গ্রুস্টানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। কারন তারা আবিষ্কার করে ফেলেছে, গ্রুস্টান তাদের অনেক ভুল তথ্য দিয়ে বোকা বানিয়ে রেখেছে। একসময় কুশানও রাজী হয় গ্রুস্টানের বিরুদ্ধে দাড়াতে। কুশান ও তার দল তাদের বুদ্ধিমত্তা আর শ্রম দিয়ে গ্রুস্টানের পরিব্যাপ্ত নেটওয়ার্কে ঘাটিগুলোকে আবিষ্কার করে ফেলে। সেগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে তারা। কিন্তু তাদের ওপর গ্রুস্টানের পক্ষ থেকে নেমে আসে ভয়বাহ বিপদ। শেষ মুহূর্তে টিয়ারাকে জিম্মি করে গ্রুস্টান কুশানকে বন্দি করে। কিন্তু কুশানের বুদ্ধিমত্তার কাছে পরাজিত হয় কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমটি। প্রথমে তারা পুরো নেটওয়ার্ককে সমান দুইভাগে ভাগ করে ফেলে। জন্ম হয় একই ক্ষমতার দুইজন গ্রুস্টানের আলাদা দুইটি নেটওয়ার্কে। পরবর্তীতে কুশানের ব্যাক্তিগত রোবট ক্রিশি নেটওয়ার্কটিকে আবার জুড়ে দেয়। ফল সরূপ দুইজন গ্রুস্টান একই নেটওয়ার্কের অধিনে চলে আসে। এবং তাদের ধ্বংস হয় একে অপরের মাধ্যমে। এভাবে সমাপ্তি হয় কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম গ্রুস্টানের। এধরণের রোমাঞ্চকর কাহিনী দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রোমিয়াম অরণ্য বইটি। গল্পটিতে মানুষের পাশাপাশি যন্ত্রকে স্থান দেওয়ার পরিনাম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে অসাধারণ এক কাহিনীর মাধ্যমে। একসময় মানবজাতির ধ্বংসের কারন হতে পারে এরকম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। কিন্তু মানুষের বুদ্ধিমত্তার কাছে তারা চিরকালই পরাজিত হবে; এই জিনিসটি মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার অসাধারণ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ক্রোমিয়াম অরণ্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। বইটি পড়া না থাকলে পড়ে দেখার আমন্ত্রন রইলো। বইটি পড়তে পড়তে হারিয়ে যাবেন, ক্রোমিয়ামের ধ্বংসস্তূপে। পরিচিত হবেন, মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর বুদ্ধিমত্তা দ্বারা কত অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব এই সত্যটির সাথে।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল কাহিনীর শুরুতেই ভুমিকায় লিখেছেন।কাহিনির শুরু।কিভাবে ঘটল সব। শরতের এক বিকেলে, আকাশ থেকে নেমে আসে একটা তুষার শুভ্র গোলক। অদ্ভুত সুন্দর সেই গোলকটি আচমকাই ফেটে পড় শহরের উপরে, চরম আক্রোশ নিয়ে। ওটা ছিল একটা মহাশক্তিশালী পারমানবিক বোমা। এরপর আর কিছু থেমে থাকেনি। মানুষরা যার যত মারমানবিক বোমা ছিল, সব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে একে অন্যের উপরে। পরেরদিন সকাল হবার আগেই, লক্ষ বছরের মানবজাতি, হাজার হাজার বছরের মানব সভ্যতার সকল চিহ্ন ধুলায় মিশে গেল। বড় বড় যত নগর, বন্দর, বানিজ্যস্থল, সব গুড়িয়ে ধুলার মত উড়ে গেল। এখানে ওখানে, কিছু জায়গা বেচে গেল, চরম ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা থেকে মুক্ত এই এলাকাগুলোতে আশ্রয় বানিয়ে বেচে থাকে মানুষেরা। আকাশ, পানি, মাটি, খাবার.. সব বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তা দ্বারা। সবই নষ্ট হয়েছে, কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়নি পৃথিবীজোড়া নেটওয়ার্ক, নষ্ট হয়ে যায়নি এই নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নোড নিয়ে তৈরি হওয়া মহাশক্তিশালী কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, গ্রুস্টান! এই ছোট ছোট বস্তি বানিয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে গ্রুস্টান তাই ঈশ্বরের মতই। আর গ্রুস্টান নামক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাও মানুষের উপরে নিজের ক্ষমতা যেন সেভাবেই জাহির করছে! কিন্কুতু কুশান নামে এক ছেলে একদিন স্শত্নয তা ব্কলে ফেলে। কুশান এর জীবনের হুমকি দেয়া হয় গ্রুস্টান এর বিরোধিতা করার জন্য, গ্রুস্টান যে কোন ঈশ্বর নয়, কেবল পৃথিবীব্যপী বিস্তৃত এক নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম এটা সবাইকে আবারো মনে করিয়ে দেবার জন্য। বসতির নিরাপদ আশ্রয় থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় কুশান, আশ্রয় নিতে হয় তাকে মানুষ বসবাসের অযোগ্য, বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় এলাকায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হল অনেক্কেই কুশান কে সাপোর্ট করল। তারা কুশান কে খুজে বের করল। ভাবল কুশান নেত্রিত্ত দিবে গ্রুস্তান এর বিরুদ্ধে। কিন্তু কুশান নিজেই যে কিছু নবম শ্রেনীর রোবটের কাছে বন্দী। এদিকে কুশান দেখল রোবটদের দ্ধংস না করলে ন্য।কারন তারা টিয়ারা নামে এক মেয়ে কে ধরে এনেছে প্রীক্ষার জন্যে...এরপ্র কি হ্ল...একবার ধ্রলে আর রাখা যাবেনা বইটি এটি নিশ্চিত
Was this review helpful to you?
or
মূল কাহিনীর চেয়ে প্রেমের অনুভূতি, বাংলা চলচ্চিত্রের মত আবেগপ্রবণ হয়ে কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলা এগুলোর গুরুত্ব বেশি ছিল।