User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
❣️❣️❣️
Was this review helpful to you?
or
"আমি সাবধানে একটা নিঃশ্বাস ফেললাম। এই শিশুরা আমাদের জন্যে নতুন পৃথিবী গড়ে তুলবে। ভালোবাসাময় আনন্দের একটা পৃথিবী। নতুন পৃ।" পৃ - 'পৃথিবী'র ক্ষুদ্র সংস্করণ। শিশুদের মুখের আধো বুলি। পুরো নভেলাটিই শিশুময়। সেইসাথে আছে নিষ্পাপ ভালোবাসা। কালো চোখের ঝকঝকে চেহারার মা মা ভাবের একটি মেয়ের জন্য। আর আছে যন্ত্রের সাথে মানুষের চিরায়ত লড়াই। এবং সেই বুদ্ধির লড়াইয়ে মানুষের জয় অবশ্যম্ভাবী। মহাকাশযানের নিষ্ঠুর নিয়ন্তা সর্বশক্তিমান গ্রাউল - তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে নগন্য কটি মানুষ -নিনিষ স্কেলে আট বুদ্ধিমত্তার কিহা, আটটি নিষ্পাপ শিশু আর ধীরে ধীরে তাদের মা হয়ে ওঠা লেন নামের এক কালো চোখের তরুণী। আপাতদৃষ্টিতে অসম লড়াই। কিন্তু সেই লড়াইটিও জিতে এসেছে কিহা ও লেন। সম্ভবত মানুষ বলেই। অসম্ভবকে সম্ভব করা কেবল মানুষের পক্ষেই সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
Very good condition like it very much
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে বইটি মোটামুটি ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি খুব ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ পৃ লেখকঃজাফর ইকবাল প্রকাশনীঃসময় প্রকাশনী ধরনঃবৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মূল্যঃ১২০ টাকা(রকমারি মূল্যঃ৯০) . একটি মহাকাশযানকে ঘিরে-যা কোনো এক সুদূর গ্রহ থেকে মহাকাশ পাড়ি দিয়ে ভ্রমণ করছে বহুদিন আগে মানুষের ছেড়ে আসা আদি-গ্রহ পৃথিবীর উদ্দেশে, পৃথিবীতে বাস করার উদ্দেশ্যে।প্রকৃতি বহু শতাব্দি থেকে পৃথিবীকে আবার বাসের যোগ্য করে তুলেছে তাই শতাব্দি আগের ফেলে যাওয়া মানুষের আদি-বাসস্থান পৃথিবীতে ফিরে আসছে মহাকাশযানটি। . সে মহাকাশযানের ডিজাইন করেছে আধা মানব আধা রোবোটিক এক সত্তা, নাম তার গ্রাউল। তার বুদ্ধিমত্তা সাধারণ মানুষ থেকে উচ্চস্তরে। তাই তার দুর্বলতাও বেশি।তার ঘুম নেই, নিদ্রা নেই।কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক উপায় সব কাজ সুনির্দিষ্টভাবে চলতে থাকায় সে নিঃসঙ্গ অনুভব করে।তার এই নিঃসঙ্গতা দূর করার জন্য সে নিষ্ঠুর এক পরিকল্পনা করে।সে পরিকল্পনার ফলে মহাকাশযান এ শুরু হয় বিপর্যয়, শুরু হয় মহাকাশযান দখল নেওয়ার জন্য যুদ্ধ। . তাই সঠিক সময় আসার আগেই মহাকাশযানের মানুষকে জাগিয়ে তোলা শুরু হয়। কারণ হিসেবে সবাইকে বলা হয় যে, পৃথিবীতে মানুষ একে-অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে যা তারা যে উন্নত সমাজ থেকে এসেছে তা থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। তাই মহাকাশযানের মানুষকে এমন সমাজে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য জাগিয়ে তোলা হয়েছে এবং মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে নেয়া হয়েছে যাতে মানুষ নিজেরা বোঝাপড়ার মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেয় এবং মহাকাশযানকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু দেখা যায় মানুষ জড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধে, বিভিন্ন অঞ্চল দখল করার জন্য গড়ে তুলেছে সশস্ত্র বাহিনী। . সেই সময় ক্যাপসুল থেকে জাগিয়ে তুলা হয় কিহা ও লেনকে।কিহার বুদ্ধিমত্তা নিনীষ স্কেলে আট এবং লেনের বুদ্ধিমত্তা নিনীষ স্কেলে ছয়ের অধিক।br .br এই মহাকাশযানে শুধু তারাই বেচে থাকতে পারবে যাদের বুদ্ধি ও নৃশংস হওয়ার ক্ষমতা বেশি। কিহার বুদ্ধিমত্তা এই মহাকাশযানের মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলেও সে নৃশংস নয়। কিহাকে প্রথমে মিয়ারা নামে একজন নেতার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে তাকে অনেক নৃশংস কাজ করতে বলা হয়। কি সেই কাজ? আট জন মানুষকে নিয়ে কিহা আর লেন মিয়ারার আস্তানা থেকে পালিয়ে যায়। . মিয়ারার কাছ থেকে পালিয়ে সে আশ্রয় নেয় লী নামের এক বৃদ্ধের কাছে।কিন্ত সেখানে ও সে ঠিকে থাকতে পারে না।ধরে নিয়ে আসা হয় তাদের। . কিহা কি পারবে অসম্ভব বুদ্ধিমান সে সত্তাকে বুদ্ধির খেলায় হারাতে? কিহা কি পারবে মহাকাশযানের মানুষ গুলোকে বাচাতে? নাকি কৃত্রিমভাবে তৈরি এই বুদ্ধিমান সত্তার কাছে পরাজিত হতে হবে থাকে?।এটা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে এই উপন্যাসটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃউপন্যাসের পুরো প্রক্রিয়ায় নানান যুক্তির উপর নির্ভর করে চললেও শেষ মুহুর্তে এসে মানবিকতাই হয়ে উঠে প্রধান। উপন্যাসটি আসলেই খুব সুন্দর। পুরো কাহিনীটি দেখানো হয়েছে কিহার দৃষ্টিতে।রহস্য বজায় রেখে লেখা হয়েছে বইটি। আশা করছি পড়লে আপনাদের ও ভাল লাগবে। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নাম: পৃ লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণ: সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনা: সময় প্রকাশন মূল্য:১২০৳ আমাদের যে সমাজব্যবস্থা, সেখানে শুধু দুই অবস্থাই দেখা যায় এক শাসক এবং দুই শাসিত। শাসক যেভাবে শাসন করে শাসিত কে সেভাবেই চলতে হয়, অনেকসময় শাসিত জানেও না, কেন সে এ কাজটা করছে? এবং একারণেই বলা হয় আমরা সবাই রাষ্টযন্ত্রের কলের পুতুল। কিন্তু কেও কেও তবুও এ রাষ্ট যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাড়ায়, আর তখনি সংঘটিত হয় সত্যিকারের বিপ্লব। সে বিপ্লব কখনো ঠিক হয়, কখনো অনুচিত। এ বইয়ের সারসংক্ষেপ: একটি মহাকাশযানকে কেন্দ্র করে এ কাহিনীর শুরু এবং সমাপ্তি আশার বাণি নিয়ে। ভবিষ্যতের একটি গ্রহ থেকে অসংখ্য মানুষ তাদের আদিগ্রহ পৃথিবীতে ফিরে আসছিলেন। সে মহাকাশযানের ডিজাইন করেছে আধা মানব আধা রোবোটিক এক সত্তা, নাম তার গ্রাউল। তার বুদ্ধিমত্তা সাধারণ মানুষ থেকে উচ্চস্তরে। তাই তার দুর্বলতাও বেশি। কিন্তু সে হঠাৎ করে বুঝতে পারে তার এ দুর্বলতা দুর করতে হবে। তাই সে নিজের দুর্বলতা ঢাকতে তৈরী করে এক ভিন্ন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনার ফলে গোটা মহাকাশযানের মানুষ পরে বিপর্যয়ে। পৃথিবীর সন্তান কী পারবে অসম্ভব বুদ্ধিমান সেই সত্তাকে বুদ্ধির খেলায় পরাজিত করতে??? কিন্তু কিভাবে ই বা তারা সফল হবে? এটা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে এই উপন্যাসটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ উপন্যাসের পুরো প্রক্রিয়া নানান যুক্তির উপর নির্ভর করে চললেও শেষ মুহুর্তে এসে মানবিকতাই হয়ে উঠে প্রধান। যা দেখিয়ে দেয় মানুষ যৌক্তিক জীব হলেও মানবিকতা, এ সব কিছু মানবসভ্যতার অহঙ্কার ও বটে। এ উপন্যাসের শেষ পর্যায় অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী। যা পাঠককে মুগ্ধ করবে অবশ্যই। আমার চোখে এর রেটিং 4/5
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নাম: পৃ লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণ: সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনা: সময় প্রকাশন মূল্য:১২০৳ মানুষ সামাজিক জীব, কিন্তু হলে কী হবে? তার ইতিহাস জুড়ে রয়েছে অসংখ্য যুদ্ধের তরতাজা স্মৃতি। সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষে মানুষে, গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ চলে আসছে। কিন্তু এই যুদ্ধের কারণ গুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় অনেকটা যেন ঠুনকো কারণেই যুদ্ধ বেধে গেছে। একটু গণতান্ত্রিকভাবে উভয় পক্ষ মিলেই আলোচনা করলে যেখানে যুদ্ধের সম্ভাবনা এড়ানো যেত, সেখানে কে শ্রেষ্ঠ নিরুপণ করার জন্য মানুষ যেন নিজে থেকেই যুদ্ধকে টেনে নিয়ে আনে। অনেকটা এই সব বিষয়গুলোকে বিশ্লেষণ করেই সমাজের উচু স্তরের শাসকরা নীচু স্তরের মানুষ কে নিয়ে খেলতে থাকে। বাধিয়ে রাখে যুদ্ধাবস্থা। কারণ উলুখাগড়ার প্রাণ গেলেই রাজারই বা কী? সায়েন্স ফিকশন নির্ভর এই উপন্যাসে যেন মানব সভ্যতার সেই চিরন্তন সত্যই ফুটে উঠেছে। সারসংক্ষেপ: এ কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একটি মহাকাশযানকে কেন্দ্র করে। পৃথিবীর মানুষ গ্রহ থেকে গ্রহে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের একটি গ্রহ থেকে অসংখ্য মানুষ তাদের আদিগ্রহ পৃথিবীতে একটি মহাকাশযান করে ফিরে আসছিলেন। সে মহাকাশযানের ডিজাইন করেছে আধা মানব আধা রোবোটিক এক সত্তা, নাম তার গ্রাউল। যার ঘুম নেই, নিদ্রা নেই। সেও মহাকাশযানটির মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরে আসছিল। কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সকল কাজ সুনির্দিষ্টভাবে চলতে থাকায় সে নি:সঙ্গ অনুভব করে। সে নি:সঙ্গতাকে দূরকরণের জন্যই সে গোটা মহাকাশযানের মধ্যেই তৈরী করে এক যুদ্ধাবস্থা। পৃথিবীর মানুষ পৃথিবীতে যাওয়ার আগেই অতিকায় মহাকাশযানে হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এই চরম যুদ্ধাবস্থাকে পাল্টে দিতে এগিয়ে আসে কিহা নামক এক যুবক। কিন্তু এজন্য তাকে মুখামুখি হতে হয় প্রখর বুদ্ধিমান আধা জৈবিক আধা যান্ত্রিক মানব গ্রাউলের সাথে। কিহা কি পারবে অসম্ভব বুদ্ধিমান সেই সত্তাকে বুদ্ধির খেলায় পরাজিত করতে??? নাকি কৃত্তিমভাবে তৈরী এক বুদ্ধিমান সত্তার কাছে পরাজিত হবে শত বছরের বিবর্তনের ফসল, মানবসভ্যতার? এটা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে এই উপন্যাসটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ কিহার নায়িকা লেন পুরো উপন্যাসে সহযোগী হিসেবে থাকলেও শেষ মুহুর্তে এসে তার মানবিক দিকটাই হয়ে উঠে মুখ্য।যা উপন্যাসটিকে করে তুলেছে আরো সুন্দর আরো অর্থবহ।তাই সবমিলিয়ে আমার কাছে উপন্যাসটির রেটিং ৩.৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
This is really a good book of Jafar iqbal. I have read many books of Jafar iqbal. It is also like other books. I have enjoyed so much by reading this book. When I ordered this book I was thinking about this book quality. At last I received it in a good condition. For this I am thanking rokomari.
Was this review helpful to you?
or
This novel is a popular post-apocalyptic space opera by Muhammad Zafar Iqbal. Zafar Iqbal is a capable writer, but it is unknown why Zafar Iqbal writes some of his science fictions in such bland writing style. Wll, bland or not - 'Pri' is a melodramatic adventure about a spaceship returning to planet earth. But which is said to be a self-destructing, polluted and apocalyptic planet earth. Or is it just a propaganda? Read it to find out. I found this book decent. Worth checking out though.
Was this review helpful to you?
or
Mohaiminul waheed Ayon বইপোকাদের আড্ডাখানা #রিভিউ -[৪] বইয়ের নাম - পৃ লেখক - মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রচ্ছদ - ধ্রুব এষ প্রকশক - সময় প্রকাশন প্রকাশকাল - ঢাকা বইমেলা ১৯৯৭(প্রথম) - মে ২০০৭(দশম) কম্পোজ - সময় কম্পিউটার্স মুল্য - ১২০টাকা রিভিউ - একটি মহাকাশযানকে কেন্দ্র করে বইটি লেখা। অনেক বছর আগে পৃথিবী থেকে সব মানুষ অন্য গ্রহে চলে গেছে। পৃথিবী হয়ে গেছে বসবাসের অযোগ্য। প্রকৃতি বহু শতাব্দি থেকে পৃথিবীকে আবার বাসের যোগ্য করে তুলেছে। মহাকাশযানটি কোনো এক সুদূর গ্রহ থেকে এক শতাব্দি আগের ফেলে যাওয়া মানুষের আদি-বাসস্থান পৃথিবীতে ফিরে আসছে। উদ্দেশ্য পৃথিবীতে আবার বসবাস করা। তাই দশ সহস্র মানুষ নিয়ে মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করে । সব মানুষকে ক্যাপসুলে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসলে তাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলা হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সবাইকে জাগিয়ে তুলা হলো। আসলে কি কারণে জাগিয়ে তুলা হয়েছে তা বইটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলার কারণ হিসাবে মহাকাশচারীদের বলা হয়েছে যে, পৃথিবীতে মানুষ একে অন্যকে ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধ করছে। পৃথিবীর মানুষ কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না। আর মহাকাশচারীরা যে উন্নত গ্রহ থেকে এসেছে। সেখানে সবাই সবার উপরে নির্ভরশীল। এবং পৃথিবীর মানুষের থেকে তা পুরোপুরি উল্টো। তাই যখন মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হবে তখন তারা বেশিক্ষণ টিকতে পারবে না। তাই তাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশাল এই মহাকাশযানে শুরু হয় এক নৃশংস হত্যাকান্ড। যে বেশি বুদ্ধিমান ও নৃশংস সেই এই মহাকাশযানে টিকে থাকতে পারবে। দুর্বলদের এখানে কোনো জায়গা নেই। মহাকাশযানে বিভিন্ন স্তরে শুরু হয় দখল নেওয়ার জন্য যুদ্ধ। সেই সময় ক্যাপসুলে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলা হয় গল্পের নায়ক কিহাকে। গল্পের নায়িকার নাম লেন। কিহার বুদ্ধিমত্তা নিনীষ স্কেলে আট। এবং লেনের বুদ্ধিমত্তা নিনীষ স্কেলে ছয়ের অধিক। এই মহাকাশযানে শুধু তারাই বেচে থাকতে পারবে যাদের বুদ্ধি ও নৃশংস হওয়ার ক্ষমতা বেশি। কিহার বুদ্ধিমত্তা এই মহাকাশযানের মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলেও সে নৃশংস নয়। কিহাকে প্রথমে মিয়ারা নামে একজন নেতার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে তাকে অনেক নৃশংস কাজ করতে বলা হয়। কি সেই কাজ? আট জন মানুষকে নিয়ে কিহা আর লেন মিয়ারার আস্তানা থেকে পালিয়ে যায়। এই আটজন ব্যাক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ নির্দেশে তাদের জাগিয়ে তুলা হয়েছে। তারা কে? এবং কি করা হবে তাদের দিয়ে ? মিয়ারার কাছ থেকে যখন কিহা আর লেন পালিয়ে যাচ্ছিলো তখন তাদের "লী" নামে এক লোক সাহায্য করে। লোকটা নিজেই নিজেকে ত্রিশ বছর ধরে একটা পিলারের সাথে বেধে রেখেছে। লী একা হলেও তার কাছে কেউ আসতে সাহস পায় না। তাকে সবাই ভয় পায়। কি কারণে ভয় পায় আর কেনই বা সে নিজেকে একটা পিলারের সাথে বেধে রেখেছে? গল্পের শেষে কিহা আর লেনকে মহামতি গ্রাউলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। মহামতি গ্রাউল এই পুরো মহাকাশযানটা তৈরী করেছে। কিন্তু মজার ব্যপার হলো তিনি বিকলাঙ্গ। তার চোখ ,কান,ও অন্য কোনো ইন্দ্রিয় নেই। তিনি সরাসরি সংবেদন জাতীয় যন্ত্র দিয়ে বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগ করেন। মহামতি গ্রাউলের অনেক বুদ্ধি। এই মহাকাশযানটির মানুষ গুলোকে বাচাতে হলে তাকে হারাতে হবে। বুদ্ধি দিয়ে তাকে হারাতে হবে। কিহা কি পারবে মহাকাশযানের মানুষ গুলোকে বাচাতে? এটা জানতে হলে আপনাকে এই বইটা পড়তে হবে। বইটাতে আমার রেটিং - ৪/৫ ব্যাক্তিগত মতামত - বইটা আসলেই অনেক সুন্দর্। পুরো গল্পটি দেখা হয়েছে নায়কের দৃষ্টিতে। রহস্য বজায় রেখে লেখা হয়েছে বইটি। ধন্যবাদ জাফর ইকবাল স্যারকে আমাদের এত সুন্দর একটা বই দেওয়ার জন্য। :-) :-) :-)
Was this review helpful to you?
or
Mohammad jafar Iqbal sir er a boi ta onek valo ekta boi... porle tk ta oshul hoi bote.. science fiction a je Mohammad jafar Iqbal best ta পৃ boi ta porle bojha jay... pore dekhun valo lagbe..
Was this review helpful to you?
or
মানুষের সভ্যতার ইতিহাসের প্রায় পুরো অংশটাই যুদ্ধ,সংঘাত এবং হানাহানিতে পূর্ণ। বুদ্ধিমান প্রজাতি হিসেবে এমন আচরণ মানুষকে মানায় কিনা তা নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে প্রচুর। ‘সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট’- তত্ত্বকে সঠিক প্রমাণ করতেই যেন মনুষ্য প্রজাতি ব্যতিব্যস্ত। হয়ত বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্বের গভীরেই আছে আত্ম-ধ্বংসী প্রবণতা। আমরা কেন আজও পৃথিবীতে অন্য গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীর দেখা পাইনি- তা নিয়ে বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মির কিছু মন্তব্য “ফার্মির বিভ্রান্তি’’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। এ বিভ্রান্তির সমাধান হিসেবে অনেক বিজ্ঞানী বুদ্ধিমান প্রাণীর আত্ম-ধ্বংসী প্রবণতাকেই মেনে নিয়েছেন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘পৃ’ পড়তে পড়তে এসব কথাই মাথায় ঘুরছিল। “পৃ” উপন্যাসের প্লট একটি মহাকাশযানকে ঘিরে-যা কোনো এক সুদূর গ্রহ থেকে মহাকাশ পাড়ি দিয়ে ভ্রমণ করছে বহুদিন আগে মানুষের ছেড়ে আসা আদি-গ্রহ পৃথিবীর উদ্দেশে, পৃথিবীতে বাস করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সঠিক সময় আসার আগেই মহাকাশযানের মানুষকে জাগিয়ে তোলা শুরু হয়। কারণ হিসেবে সবাইকে বলা হয় যে, পৃথিবীতে মানুষ একে-অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে যা তারা যে উন্নত সমাজ থেকে এসেছে তা থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। তাই মহাকাশযানের মানুষকে এমন সমাজে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য জাগিয়ে তোলা হয়েছে এবং মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে নেয়া হয়েছে যাতে মানুষ নিজেরা বোঝাপড়ার মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেয় এবং মহাকাশযানকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু দেখা যায় মানুষ জড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধে, বিভিন্ন অঞ্চল দখল করার জন্য গড়ে তুলেছে সশস্ত্র বাহিনী। শুরু হয়েছে দাসপ্রথা। এমন একটি প্রেক্ষাপটে উপন্যাসের নায়ক কিহার আগমন ঘটে। এরপরে কী ঘটে কিহার জীবনে, মহাকাশযান এবং এর অধিবাসীদের ভাগ্যেই বা কী ঘটে তা নিয়েই এগিয়েছে গল্প। মুহম্মদ জাফর ইকবালের এই সায়েন্স ফিকশন জাতের দিক থেকে ‘Space Opera’। তবে এতে কিছুটা ‘Post- apocalyptic’ জাতের ফিকশনের ছোঁয়াও পাওয়া যায়। মুহম্মদ জাফর ইকবাল সব জাতের সায়েন্স ফিকশনে সিদ্ধহস্ত। তিনি সাধারণত ‘সায়েন্স ফ্যান্টাসি’তে অভ্যস্ত নন, বিজ্ঞানের সূত্রগুলো তাঁর কাহিনীতে খুব কঠিনভাবে মেনে চলেন। “পৃ” উপন্যাসেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। উপন্যাসে সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের কিছু জটিল বিষয়ও ঢুকে গেছে; যেমন- নৈতিকতা, নেতৃত্ব, স্বার্থপরতা, দাসপ্রথা। এসব বিষয় লেখক সচেতনভাবে প্রবেশ করিয়েছেন কিনা তা জানার উপায় নেই, কিন্তু এসব বিষয়ের আগমন খুব প্রাসঙ্গিক-ভাবেই ঘটেছে। নেতৃত্বের জন্য মানুষের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা তা খুব নগ্ন-ভাবে ফুটে উঠেছে এ উপন্যাসে। উপন্যাসের নায়িকা ‘লেন’এর কিছু উক্তি শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না- “ এই যে নেতৃত্বের কথা বলছে সেটা নিয়ে আমার খুব কৌতূহল। আমার খুব জানতে ইচ্ছে যে মানুষ যদি খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয় তাহলে সত্যিই কি স্বার্থপর হয়ে যায়? নিজের সিদ্ধান্ত- সেটা ভালো হোক আর খারাপ হোক- অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়? অন্যেরা সেটা মুখ বুজে মেনে নেয়?” উপন্যাসে কাহিনী বর্ণিত হয়েছে প্রথম পুরুষে, নায়কের দৃষ্টিতে। উপন্যাসের প্লট এবং এর বিস্তার লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে এটি একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলো লেখকের। রহস্য বজায় রাখার স্বার্থে এটি খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এই উপন্যাসের ক্ষেত্রে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্পগুলোতে দেখা যায়- শুভ-অশুভের দ্বন্দ্বে সবসময় পরাজিত হয় অশুভ শক্তি। ব্যাপারটি নিয়ে কিছু সমালোচনা হয়েও লেখক তাঁর লেখার স্টাইল পাল্টান নি। সম্ভবত তাঁর পাঠক-শ্রেণীর (যাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু-কিশোর) দিকে তাকিয়েই। লেখক শিশু-কিশোরদের কাছে অশুভ শক্তিকে শুভ শক্তির চেয়ে শক্তিশালী হিসেবে উপস্থাপন করতে চান নি। তিনি সর্বদা আশাবাদীর দলে থাকবেন বলেই ঘোষণা দিয়েছেন। এই আশাবাদ তিনি ছড়িয়ে দেন তাঁর লেখায়। উপন্যাস শেষ হয়েছে এভাবে- “এ শিশুরা আমাদের জন্যে নতুন পৃথিবী গড়ে তুলবে। ভালোবাসাময় আনন্দের একটা পৃথিবী”। এ প্রত্যাশা আমাদের সবারই। সাজেদুল ওয়াহিদ